
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘ভিটামিন সি’–এর গুরুত্ব অনেক। যেকোনো ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতেও এই ভিটামিনের বিকল্প নেই। হাড় ও দাঁতের জন্যও ভিটামিন সি দরকারি। এটি ত্বকের টিস্যুর গঠনেও সরাসরি অংশ নেয়। রসায়নের ভাষায় ‘ভিটামিন-সি’–কে বলা হয় ‘অ্যাসকরবিক অ্যাসিড’। এটি একটি অম্লধর্মী জৈব যৌগ। যা শাকসবজি ও টক ফলমূলে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ভিটামিন সি-এর ঘাটতির ফলে ‘স্কার্ভি’ রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এ শব্দটির উৎপত্তি স্কোরবুতাস (ল্যাটিন), স্করবাত (ফরাসি) এবং স্কোরবাট (জার্মান) থেকে। স্কার্ভি ছিল সারা বিশ্বের নৌ বাহিনীর সদস্যদের একটি নিয়মিত রোগ। অনুমান করা হয়, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ নাবিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
১৯৪৭ সালে স্কার্ভি রোগে আক্রান্ত ১২ জন নাবিকের জন্য ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসার একটি ট্রায়াল পরিচালনা করেন জেমস লিন্ড। যে ট্রায়ালে স্কার্ভি চিকিৎসায় শুধু কমলালেবু এবং লেবু জাতীয় ফল কার্যকর প্রমাণিত হয়। ১৮৪৫ সালে আয়ারল্যান্ডে ‘আলুর দুর্ভিক্ষ’–এর সময়ও সেখানে বহু মানুষ স্কার্ভি রোগে আক্রান্ত হয়।
অনেক প্রাণী শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ‘ভিটামিন-সি’ সংশ্লেষ করতে পারে। কিন্তু মানুষ করতে পারে না। অ্যাক্সেল হোলস্ট এবং থিওডোর ফ্রোলিচ একটি গিনিপিগের মধ্যে সৌভাগ্যক্রমে স্কার্ভি তৈরি করতে সক্ষম হন। এ প্রাণীরও মানুষের মতো ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হয়। ১৯২৮ সালে আলবার্ট সেজেন্ট-জিয়র্গি ‘অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি’ থেকে একটি পদার্থ নিষ্কাশন করেন। তিনি এটির নাম দেন ‘হেক্সুরোনিক অ্যাসিড’।
এর চার বছর পর, চার্লস গ্লেন কিং তাঁর গবেষণাগারে ‘ভিটামিন সি’ আলাদা করেন এবং সিদ্ধান্তে আসেন যে হেক্সুরোনিক অ্যাসিডই হচ্ছে ভিটামিন সি। নরম্যান হাওয়ার্থ ১৯৩৩ সালে ভিটামিন সি-এর রাসায়নিক গঠন আবিষ্কার করেন।
গতকাল (২৪ জানুয়ারি) ছিল ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু দিবস। ১৯৮৮ সালের এই দিনে তিনি মারা যান।
ভিটামিন সি–এর ইতিহাস
খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ সাল—এবার্স প্যাপিরাস
খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ সালে প্রকাশিত মিসরীয় চিকিৎসা গ্রন্থের সংকলন ‘এবার্স প্যাপিরাস’–এ স্কার্ভির মতো একটি রোগের বিবরণ ছিল। এই রোগের প্রস্তাবিত চিকিৎসা দেওয়া হয়—পেঁয়াজ খাওয়া। আমরা এখন জানি যে পেঁয়াজে অল্প পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ সাল—হিপোক্রেটিস
আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস স্কার্ভির লক্ষণ হিসেবে শ্বাসে দুর্গন্ধ, মাড়ি এবং নাক থেকে রক্তক্ষরণের কথা উল্লেখ করেছেন।
১৫৩৫ সাল—স্কার্ভির আদিবাসী চিকিৎসা
শীতকালে বরফে পরিণত হওয়া কানাডার সেন্ট লরেন্স নদীতে আটকে যায় ফরাসি অভিযাত্রী জ্যাক কার্টিয়ের জাহাজ। জাহাজের খাবারও প্রায় ফুরিয়ে আসে। জাহাজে থাকা লোকদের মাঝে স্কার্ভি রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ওই জাহাজে থাকা আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের একটি প্রতিকারের পরামর্শ দেয়—একটি স্থানীয় গাছের ছাল ভিজিয়ে তৈরি পানীয় পান করা। এই প্রতিকার বেশ কাজে দেয়।
১৭৪৭ সাল—সাইট্রাস ফল
ব্রিটিশ নেভাল সার্জন জেমস লিন্ড এইচএমএস সালিসবারি জাহাজ থেকে স্কার্ভিতে ভোগা ১২ জন পুরুষকে বেছে নেন। তিনি তাঁদের ছয় জোড়ায় বিভক্ত করেন। প্রতিটি গ্রুপকে তাঁদের দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে নতুন নতুন খাবার যুক্ত করেন প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন। দেখা গেল, যাদের ‘সাইট্রাস’ জাতীয় ফল খাওয়ানো হয়েছিল, তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
১৭৯৫—নিয়মিত খাবারে সাইট্রাস
ব্রিটিশ নৌবাহিনীর চিকিৎসক গিলবার্ট ব্লেন ব্রিটিশ নৌযানগুলোতে খাবারে সাইট্রাস জাতীয় ফলের রস ব্যবহারের নিয়ম করতে অ্যাডমিরালকে প্রভাবিত করেন। ফলে, ব্রিটিশ নৌবাহিনী থেকে স্কার্ভি রোগ চিরতরে দূর হয়।
১৮৮০—স্কার্ভি প্রতিরোধে লেবুর ব্যবহার
ব্রিটিশদের প্রভাবের ফলে ক্যারিবীয় অঞ্চলে লেবু এবং কমলালেবুর স্থলে কাগজি লেবু ব্যবহার করা হতো। কারণ এ অঞ্চলে কাগজি লেবু বেশি পাওয়া যায়। ওই অঞ্চলে ব্রিটিশ নাবিকেরা ‘লাইমি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। কারণ স্কার্ভি প্রতিরোধে ব্রিটিশ নাবিকদের বিপুল পরিমাণে কাগজি লেবুর জুস সরবরাহ করা হতো।
১৯০৭—গিনিপিগ এবং বাঁধাকপি
নরওয়েজিয়ান জৈব রসায়নবিদ অ্যাক্সেল হোলস্ট এবং আলফ্রেড ফ্রোহলিচ দেখান, নির্দিষ্ট কিছু খাবার গ্রহণ করা থেকে গিনিপিগকে বিরত রাখা হলে এর মধ্যে স্কার্ভি রোগের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে। বাঁধাকপি খাওয়ালে লক্ষণগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। ঠিক কোন পুষ্টির কারণে এমন ঘটে তা পরবর্তীতে অনুসন্ধান করা হয়।
১৯২৮—হেক্সুরোনিক অ্যাসিড
হাঙ্গেরীয় জৈব রসায়নবিদ আলবার্ট সেজেন্ট-জিয়র্গি উদ্ভিদের নির্যাস এবং প্রাণীর টিস্যু থেকে একটি জৈব ক্ষয়কারী এজেন্ট আলাদা করেন এবং এটিকে ‘হেক্সুরোনিক অ্যাসিড’ নাম দেন। চার বছর পরে, তিনি প্রমাণ করেন যে এই যৌগটিই অ্যান্টিসকরবিউটিক ফ্যাক্টর যা ১৯০৭ সালে হোলস্ট এবং ফ্রোহলিচ আবিষ্কার করেছিলেন।
১৯৩২—অ্যাসকরবিক অ্যাসিড
ব্রিটিশ রসায়নবিদ ওয়াল্টার হাওয়ার্থ হেক্সুরোনিক অ্যাসিডের আণবিক গঠন আবিষ্কার করেন এবং এর নাম দেন ‘অ্যাসকরবিক অ্যাসিড’। এই জৈবটিই আজ ‘ভিটামিন-সি’ নামে পরিচিত। এর পরের বছর, হাওয়ার্থ বিজ্ঞানীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন যারা কৃত্রিমভাবে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড তৈরি করতে সক্ষম হন।
১৯৩৭—নোবেল পুরস্কার
ভিটামিন সি আবিষ্কারের জন্য আলবার্ট সেজেন্ট-জিয়র্গিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সি নিয়ে কাজ করার জন্য ওয়াল্টার হাওয়ার্থকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৯৭০—ভিটামিন সি এবং সাধারণ ঠান্ডাজনিত রোগ
রসায়নবিদ লিনাস পলিংয়ের ‘ভিটামিন সি এবং কমন কোল্ড’ শীর্ষক বই প্রকাশিত হয়। বইটি ওই বছরের বেস্টসেলার স্বীকৃতি পায়। এই বইয়ের মাধ্যমে অনেক মানুষ ঠান্ডা প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় ভিটামিন সি–এর গুরুত্ব বুঝতে পারে।
২০০৭ সাল—অজানার খোঁজে
২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ডের উদ্ভিদ ও খাদ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদে ভিটামিন সি তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানান। বিজ্ঞানীরা কিউই প্রজাতির বিভিন্ন এবং কিউই ফলের ডিএনএ নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ডেটাবেইস নিয়ে কাজ করে শেষ পর্যন্ত ভিটামিন সি উৎপাদনে সহায়ক অনাবিষ্কৃত এনজাইমটিকে আলাদা করতে সক্ষম হন।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘ভিটামিন সি’–এর গুরুত্ব অনেক। যেকোনো ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতেও এই ভিটামিনের বিকল্প নেই। হাড় ও দাঁতের জন্যও ভিটামিন সি দরকারি। এটি ত্বকের টিস্যুর গঠনেও সরাসরি অংশ নেয়। রসায়নের ভাষায় ‘ভিটামিন-সি’–কে বলা হয় ‘অ্যাসকরবিক অ্যাসিড’। এটি একটি অম্লধর্মী জৈব যৌগ। যা শাকসবজি ও টক ফলমূলে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
ভিটামিন সি-এর ঘাটতির ফলে ‘স্কার্ভি’ রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এ শব্দটির উৎপত্তি স্কোরবুতাস (ল্যাটিন), স্করবাত (ফরাসি) এবং স্কোরবাট (জার্মান) থেকে। স্কার্ভি ছিল সারা বিশ্বের নৌ বাহিনীর সদস্যদের একটি নিয়মিত রোগ। অনুমান করা হয়, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ নাবিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
১৯৪৭ সালে স্কার্ভি রোগে আক্রান্ত ১২ জন নাবিকের জন্য ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসার একটি ট্রায়াল পরিচালনা করেন জেমস লিন্ড। যে ট্রায়ালে স্কার্ভি চিকিৎসায় শুধু কমলালেবু এবং লেবু জাতীয় ফল কার্যকর প্রমাণিত হয়। ১৮৪৫ সালে আয়ারল্যান্ডে ‘আলুর দুর্ভিক্ষ’–এর সময়ও সেখানে বহু মানুষ স্কার্ভি রোগে আক্রান্ত হয়।
অনেক প্রাণী শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ‘ভিটামিন-সি’ সংশ্লেষ করতে পারে। কিন্তু মানুষ করতে পারে না। অ্যাক্সেল হোলস্ট এবং থিওডোর ফ্রোলিচ একটি গিনিপিগের মধ্যে সৌভাগ্যক্রমে স্কার্ভি তৈরি করতে সক্ষম হন। এ প্রাণীরও মানুষের মতো ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হয়। ১৯২৮ সালে আলবার্ট সেজেন্ট-জিয়র্গি ‘অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি’ থেকে একটি পদার্থ নিষ্কাশন করেন। তিনি এটির নাম দেন ‘হেক্সুরোনিক অ্যাসিড’।
এর চার বছর পর, চার্লস গ্লেন কিং তাঁর গবেষণাগারে ‘ভিটামিন সি’ আলাদা করেন এবং সিদ্ধান্তে আসেন যে হেক্সুরোনিক অ্যাসিডই হচ্ছে ভিটামিন সি। নরম্যান হাওয়ার্থ ১৯৩৩ সালে ভিটামিন সি-এর রাসায়নিক গঠন আবিষ্কার করেন।
গতকাল (২৪ জানুয়ারি) ছিল ভিটামিন ‘সি’র আবিষ্কারক প্রাণ-রসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিংয়ের মৃত্যু দিবস। ১৯৮৮ সালের এই দিনে তিনি মারা যান।
ভিটামিন সি–এর ইতিহাস
খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ সাল—এবার্স প্যাপিরাস
খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ সালে প্রকাশিত মিসরীয় চিকিৎসা গ্রন্থের সংকলন ‘এবার্স প্যাপিরাস’–এ স্কার্ভির মতো একটি রোগের বিবরণ ছিল। এই রোগের প্রস্তাবিত চিকিৎসা দেওয়া হয়—পেঁয়াজ খাওয়া। আমরা এখন জানি যে পেঁয়াজে অল্প পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ সাল—হিপোক্রেটিস
আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক প্রাচীন গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস স্কার্ভির লক্ষণ হিসেবে শ্বাসে দুর্গন্ধ, মাড়ি এবং নাক থেকে রক্তক্ষরণের কথা উল্লেখ করেছেন।
১৫৩৫ সাল—স্কার্ভির আদিবাসী চিকিৎসা
শীতকালে বরফে পরিণত হওয়া কানাডার সেন্ট লরেন্স নদীতে আটকে যায় ফরাসি অভিযাত্রী জ্যাক কার্টিয়ের জাহাজ। জাহাজের খাবারও প্রায় ফুরিয়ে আসে। জাহাজে থাকা লোকদের মাঝে স্কার্ভি রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ওই জাহাজে থাকা আদিবাসী ইন্ডিয়ানদের একটি প্রতিকারের পরামর্শ দেয়—একটি স্থানীয় গাছের ছাল ভিজিয়ে তৈরি পানীয় পান করা। এই প্রতিকার বেশ কাজে দেয়।
১৭৪৭ সাল—সাইট্রাস ফল
ব্রিটিশ নেভাল সার্জন জেমস লিন্ড এইচএমএস সালিসবারি জাহাজ থেকে স্কার্ভিতে ভোগা ১২ জন পুরুষকে বেছে নেন। তিনি তাঁদের ছয় জোড়ায় বিভক্ত করেন। প্রতিটি গ্রুপকে তাঁদের দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে নতুন নতুন খাবার যুক্ত করেন প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন। দেখা গেল, যাদের ‘সাইট্রাস’ জাতীয় ফল খাওয়ানো হয়েছিল, তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
১৭৯৫—নিয়মিত খাবারে সাইট্রাস
ব্রিটিশ নৌবাহিনীর চিকিৎসক গিলবার্ট ব্লেন ব্রিটিশ নৌযানগুলোতে খাবারে সাইট্রাস জাতীয় ফলের রস ব্যবহারের নিয়ম করতে অ্যাডমিরালকে প্রভাবিত করেন। ফলে, ব্রিটিশ নৌবাহিনী থেকে স্কার্ভি রোগ চিরতরে দূর হয়।
১৮৮০—স্কার্ভি প্রতিরোধে লেবুর ব্যবহার
ব্রিটিশদের প্রভাবের ফলে ক্যারিবীয় অঞ্চলে লেবু এবং কমলালেবুর স্থলে কাগজি লেবু ব্যবহার করা হতো। কারণ এ অঞ্চলে কাগজি লেবু বেশি পাওয়া যায়। ওই অঞ্চলে ব্রিটিশ নাবিকেরা ‘লাইমি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। কারণ স্কার্ভি প্রতিরোধে ব্রিটিশ নাবিকদের বিপুল পরিমাণে কাগজি লেবুর জুস সরবরাহ করা হতো।
১৯০৭—গিনিপিগ এবং বাঁধাকপি
নরওয়েজিয়ান জৈব রসায়নবিদ অ্যাক্সেল হোলস্ট এবং আলফ্রেড ফ্রোহলিচ দেখান, নির্দিষ্ট কিছু খাবার গ্রহণ করা থেকে গিনিপিগকে বিরত রাখা হলে এর মধ্যে স্কার্ভি রোগের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে। বাঁধাকপি খাওয়ালে লক্ষণগুলো অদৃশ্য হয়ে যায়। ঠিক কোন পুষ্টির কারণে এমন ঘটে তা পরবর্তীতে অনুসন্ধান করা হয়।
১৯২৮—হেক্সুরোনিক অ্যাসিড
হাঙ্গেরীয় জৈব রসায়নবিদ আলবার্ট সেজেন্ট-জিয়র্গি উদ্ভিদের নির্যাস এবং প্রাণীর টিস্যু থেকে একটি জৈব ক্ষয়কারী এজেন্ট আলাদা করেন এবং এটিকে ‘হেক্সুরোনিক অ্যাসিড’ নাম দেন। চার বছর পরে, তিনি প্রমাণ করেন যে এই যৌগটিই অ্যান্টিসকরবিউটিক ফ্যাক্টর যা ১৯০৭ সালে হোলস্ট এবং ফ্রোহলিচ আবিষ্কার করেছিলেন।
১৯৩২—অ্যাসকরবিক অ্যাসিড
ব্রিটিশ রসায়নবিদ ওয়াল্টার হাওয়ার্থ হেক্সুরোনিক অ্যাসিডের আণবিক গঠন আবিষ্কার করেন এবং এর নাম দেন ‘অ্যাসকরবিক অ্যাসিড’। এই জৈবটিই আজ ‘ভিটামিন-সি’ নামে পরিচিত। এর পরের বছর, হাওয়ার্থ বিজ্ঞানীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন যারা কৃত্রিমভাবে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড তৈরি করতে সক্ষম হন।
১৯৩৭—নোবেল পুরস্কার
ভিটামিন সি আবিষ্কারের জন্য আলবার্ট সেজেন্ট-জিয়র্গিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সি নিয়ে কাজ করার জন্য ওয়াল্টার হাওয়ার্থকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৯৭০—ভিটামিন সি এবং সাধারণ ঠান্ডাজনিত রোগ
রসায়নবিদ লিনাস পলিংয়ের ‘ভিটামিন সি এবং কমন কোল্ড’ শীর্ষক বই প্রকাশিত হয়। বইটি ওই বছরের বেস্টসেলার স্বীকৃতি পায়। এই বইয়ের মাধ্যমে অনেক মানুষ ঠান্ডা প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় ভিটামিন সি–এর গুরুত্ব বুঝতে পারে।
২০০৭ সাল—অজানার খোঁজে
২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ডের উদ্ভিদ ও খাদ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদে ভিটামিন সি তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানান। বিজ্ঞানীরা কিউই প্রজাতির বিভিন্ন এবং কিউই ফলের ডিএনএ নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ডেটাবেইস নিয়ে কাজ করে শেষ পর্যন্ত ভিটামিন সি উৎপাদনে সহায়ক অনাবিষ্কৃত এনজাইমটিকে আলাদা করতে সক্ষম হন।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

ভিটামিন সি-এর ঘাটতির ফলে ‘স্কার্ভি’ রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এ শব্দটির উৎপত্তি স্কোরবুতাস (ল্যাটিন), স্করবাত (ফরাসি) এবং স্কোরবাট (জার্মান) থেকে। স্কার্ভি ছিল সারা বিশ্বের নৌ বাহিনীর সদস্যদের একটি নিয়মিত রোগ। অনুমান করা হয়, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ নাবিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৩
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

ভিটামিন সি-এর ঘাটতির ফলে ‘স্কার্ভি’ রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এ শব্দটির উৎপত্তি স্কোরবুতাস (ল্যাটিন), স্করবাত (ফরাসি) এবং স্কোরবাট (জার্মান) থেকে। স্কার্ভি ছিল সারা বিশ্বের নৌ বাহিনীর সদস্যদের একটি নিয়মিত রোগ। অনুমান করা হয়, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ নাবিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৩
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

ভিটামিন সি-এর ঘাটতির ফলে ‘স্কার্ভি’ রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এ শব্দটির উৎপত্তি স্কোরবুতাস (ল্যাটিন), স্করবাত (ফরাসি) এবং স্কোরবাট (জার্মান) থেকে। স্কার্ভি ছিল সারা বিশ্বের নৌ বাহিনীর সদস্যদের একটি নিয়মিত রোগ। অনুমান করা হয়, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ নাবিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৩
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ভিটামিন সি-এর ঘাটতির ফলে ‘স্কার্ভি’ রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এ শব্দটির উৎপত্তি স্কোরবুতাস (ল্যাটিন), স্করবাত (ফরাসি) এবং স্কোরবাট (জার্মান) থেকে। স্কার্ভি ছিল সারা বিশ্বের নৌ বাহিনীর সদস্যদের একটি নিয়মিত রোগ। অনুমান করা হয়, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ নাবিক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৩
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৬ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৬ দিন আগে