প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
ঘোড়দৌড়ের জন্য ও পোষ মানানোর জন্য মানুষ বেছে বেছে ঘোড়ার জাত নির্বাচন করে। এদের পায়ের খুর খুবই নরম ও দুর্বল। তাই খুরের সুরক্ষার জন্য নাল পরানো হয়।
কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পশুচিকিৎসক ও ইকুউইন এক্সটেনশন এজেন্ট (ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ) ড. ফার্নান্দা ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের কিছু অংশে সুরক্ষা দেয় নাল। এই নাল খুরের ক্ষয় রোধ করে ও তা সংবেদনশীল হয়ে উঠতে বাধা দেয়।’
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশনের তথ্য অনুযায়ী, খুরের বাইরের অংশ, যা ‘ওয়াল’ নামে পরিচিত, শিংয়ের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি। এই অংশ ক্রমাগত বাড়ে। এ কারণে মানুষের নখের মতোই এটি ছাঁটতে হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের সঠিক আকৃতি বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই নাল।’
এবড়োখেবড়ো রাস্তা ও বালি, পাথর ঘোড়ার খুর ক্ষয় করে। ফলে খুরের ভেতরের সংবেদশীল অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। তখন ঘোড়া হাঁটতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করে। তখন হাঁটাচলা করতে চায় না। ঐতিহাসিকভাবে, এই ধরনের সমস্যার কারণে ঘোড়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে বা ফসল কাটার সময় ব্যবহার করা যেত না। তাই খুরের প্রাচীরকে শক্তিশালী করার জন্য নাল পরার কৌশল উদ্ভাবন করে মানুষ।
ছয় হাজার বছর আগে থেকে ঘোড়াকে পোষ মানানো শুরু হয়। সেসময় থেকেই নাল বা এই ধরনের কিছু একটা ঘোড়ার খুরে পরানো হতো বলে ধারণা করা হয়। প্রথমদিকে চামড়া বা উদ্ভিদজাত উপাদান দিয়ে ঘোড়ার নাল তৈরি করা হতো। ঘোড়ার খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো ধাতব নাল প্রথমবারের মতো ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ব্যবহার শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী ৫০০ বছরের মধ্যে এই কৌশল সবখানে ব্যবহার শুরু হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, বর্তমানে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার নালের প্রচলন বেশি। এগুলো খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো হয়। এ ছাড়া নাল হিসেবে রাবার, রেজিন ও প্লাস্টিকের মতো উপাদান পেরেক বা আঠা দিয়ে খুরে আটকানোর প্রচলনও আছে।
অবশ্য সব ঘোড়ার নাল লাগে না। ঘোড়ার ধরন, রাস্তার অবস্থা বা কত ঘন ঘন ঘোড়ায় চড়া হয় তার ওপর নির্ভর করে এটি। বিশেষ করে পাথুরে বা কংক্রিটের রাস্তায় চলাচলের জন্য ঘোড়ার খুরে অবশ্যই নাল পরাতে হয়। যেসব ঘোড়ার পিঠে চড়া হয় না সেগুলোর খুর ভালো রাখতেও নাল পরানো প্রয়োজন।
ড. ক্যামার্গো বলেন, যেসব ঘোড়া বেশি চলাফেরা করে না ও শক্ত রাস্তার বদলে ঘাসযুক্ত রাস্তায় চলাফেরা করে এবং নিয়মিত খুরের যত্ন নেওয়া হয় সেগুলোর পায়ে নাল না পরালেও চলে।
বন্য ঘোড়া (যেমন: মুস্তাং প্রজাতির ঘোড়া) নাল ছাড়াই অসমতল শক্ত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে। কারণ এদের খুর অনেক শক্ত। তবে এদেরও খুর ক্ষয়ে যেতে পারে ও পায়ে ব্যথা পেতে পারে।
কেউ কেউ মনে করেন, পেরেক দিয়ে নাল পরালে ঘোড়া ব্যথা পায়। এই ধারণা সঠিক নয়। মানুষের নখের মতোই ঘোড়ার খুর। তাই খুরের ওপরের অংশ কাটলে বা এতে পেরেক বসালে ঘোড়া ব্যথা পায় না। কারণ এই খুরের সঙ্গে স্নায়ুর সংযোগ নেই।
এ সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশন বলে, খুরের প্রাচীরে কোনো রক্তনালি বা স্নায়ু নেই, তাই নাল সঠিকভাবে পেরেক দিয়ে আটকালে ঘোড়া কোনো ব্যথা পাবে না। তবে সঠিকভাবে নাল না পরালে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। যদি নাল বা পেরেক ভুল জায়গায় লাগানো হয় বা ভুল আকারের নাল পরানো হয় তাহলে ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। আর খুর যদি আগেই ভুলভাবে কাটা হয় তাহলে নাল পরালেও লাভ নেই।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
ঘোড়দৌড়ের জন্য ও পোষ মানানোর জন্য মানুষ বেছে বেছে ঘোড়ার জাত নির্বাচন করে। এদের পায়ের খুর খুবই নরম ও দুর্বল। তাই খুরের সুরক্ষার জন্য নাল পরানো হয়।
কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পশুচিকিৎসক ও ইকুউইন এক্সটেনশন এজেন্ট (ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ) ড. ফার্নান্দা ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের কিছু অংশে সুরক্ষা দেয় নাল। এই নাল খুরের ক্ষয় রোধ করে ও তা সংবেদনশীল হয়ে উঠতে বাধা দেয়।’
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশনের তথ্য অনুযায়ী, খুরের বাইরের অংশ, যা ‘ওয়াল’ নামে পরিচিত, শিংয়ের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি। এই অংশ ক্রমাগত বাড়ে। এ কারণে মানুষের নখের মতোই এটি ছাঁটতে হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের সঠিক আকৃতি বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই নাল।’
এবড়োখেবড়ো রাস্তা ও বালি, পাথর ঘোড়ার খুর ক্ষয় করে। ফলে খুরের ভেতরের সংবেদশীল অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। তখন ঘোড়া হাঁটতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করে। তখন হাঁটাচলা করতে চায় না। ঐতিহাসিকভাবে, এই ধরনের সমস্যার কারণে ঘোড়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে বা ফসল কাটার সময় ব্যবহার করা যেত না। তাই খুরের প্রাচীরকে শক্তিশালী করার জন্য নাল পরার কৌশল উদ্ভাবন করে মানুষ।
ছয় হাজার বছর আগে থেকে ঘোড়াকে পোষ মানানো শুরু হয়। সেসময় থেকেই নাল বা এই ধরনের কিছু একটা ঘোড়ার খুরে পরানো হতো বলে ধারণা করা হয়। প্রথমদিকে চামড়া বা উদ্ভিদজাত উপাদান দিয়ে ঘোড়ার নাল তৈরি করা হতো। ঘোড়ার খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো ধাতব নাল প্রথমবারের মতো ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ব্যবহার শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী ৫০০ বছরের মধ্যে এই কৌশল সবখানে ব্যবহার শুরু হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, বর্তমানে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার নালের প্রচলন বেশি। এগুলো খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো হয়। এ ছাড়া নাল হিসেবে রাবার, রেজিন ও প্লাস্টিকের মতো উপাদান পেরেক বা আঠা দিয়ে খুরে আটকানোর প্রচলনও আছে।
অবশ্য সব ঘোড়ার নাল লাগে না। ঘোড়ার ধরন, রাস্তার অবস্থা বা কত ঘন ঘন ঘোড়ায় চড়া হয় তার ওপর নির্ভর করে এটি। বিশেষ করে পাথুরে বা কংক্রিটের রাস্তায় চলাচলের জন্য ঘোড়ার খুরে অবশ্যই নাল পরাতে হয়। যেসব ঘোড়ার পিঠে চড়া হয় না সেগুলোর খুর ভালো রাখতেও নাল পরানো প্রয়োজন।
ড. ক্যামার্গো বলেন, যেসব ঘোড়া বেশি চলাফেরা করে না ও শক্ত রাস্তার বদলে ঘাসযুক্ত রাস্তায় চলাফেরা করে এবং নিয়মিত খুরের যত্ন নেওয়া হয় সেগুলোর পায়ে নাল না পরালেও চলে।
বন্য ঘোড়া (যেমন: মুস্তাং প্রজাতির ঘোড়া) নাল ছাড়াই অসমতল শক্ত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে। কারণ এদের খুর অনেক শক্ত। তবে এদেরও খুর ক্ষয়ে যেতে পারে ও পায়ে ব্যথা পেতে পারে।
কেউ কেউ মনে করেন, পেরেক দিয়ে নাল পরালে ঘোড়া ব্যথা পায়। এই ধারণা সঠিক নয়। মানুষের নখের মতোই ঘোড়ার খুর। তাই খুরের ওপরের অংশ কাটলে বা এতে পেরেক বসালে ঘোড়া ব্যথা পায় না। কারণ এই খুরের সঙ্গে স্নায়ুর সংযোগ নেই।
এ সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশন বলে, খুরের প্রাচীরে কোনো রক্তনালি বা স্নায়ু নেই, তাই নাল সঠিকভাবে পেরেক দিয়ে আটকালে ঘোড়া কোনো ব্যথা পাবে না। তবে সঠিকভাবে নাল না পরালে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। যদি নাল বা পেরেক ভুল জায়গায় লাগানো হয় বা ভুল আকারের নাল পরানো হয় তাহলে ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। আর খুর যদি আগেই ভুলভাবে কাটা হয় তাহলে নাল পরালেও লাভ নেই।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
ঘোড়দৌড়ের জন্য ও পোষ মানানোর জন্য মানুষ বেছে বেছে ঘোড়ার জাত নির্বাচন করে। এদের পায়ের খুর খুবই নরম ও দুর্বল। তাই খুরের সুরক্ষার জন্য নাল পরানো হয়।
কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পশুচিকিৎসক ও ইকুউইন এক্সটেনশন এজেন্ট (ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ) ড. ফার্নান্দা ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের কিছু অংশে সুরক্ষা দেয় নাল। এই নাল খুরের ক্ষয় রোধ করে ও তা সংবেদনশীল হয়ে উঠতে বাধা দেয়।’
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশনের তথ্য অনুযায়ী, খুরের বাইরের অংশ, যা ‘ওয়াল’ নামে পরিচিত, শিংয়ের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি। এই অংশ ক্রমাগত বাড়ে। এ কারণে মানুষের নখের মতোই এটি ছাঁটতে হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের সঠিক আকৃতি বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই নাল।’
এবড়োখেবড়ো রাস্তা ও বালি, পাথর ঘোড়ার খুর ক্ষয় করে। ফলে খুরের ভেতরের সংবেদশীল অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। তখন ঘোড়া হাঁটতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করে। তখন হাঁটাচলা করতে চায় না। ঐতিহাসিকভাবে, এই ধরনের সমস্যার কারণে ঘোড়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে বা ফসল কাটার সময় ব্যবহার করা যেত না। তাই খুরের প্রাচীরকে শক্তিশালী করার জন্য নাল পরার কৌশল উদ্ভাবন করে মানুষ।
ছয় হাজার বছর আগে থেকে ঘোড়াকে পোষ মানানো শুরু হয়। সেসময় থেকেই নাল বা এই ধরনের কিছু একটা ঘোড়ার খুরে পরানো হতো বলে ধারণা করা হয়। প্রথমদিকে চামড়া বা উদ্ভিদজাত উপাদান দিয়ে ঘোড়ার নাল তৈরি করা হতো। ঘোড়ার খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো ধাতব নাল প্রথমবারের মতো ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ব্যবহার শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী ৫০০ বছরের মধ্যে এই কৌশল সবখানে ব্যবহার শুরু হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, বর্তমানে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার নালের প্রচলন বেশি। এগুলো খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো হয়। এ ছাড়া নাল হিসেবে রাবার, রেজিন ও প্লাস্টিকের মতো উপাদান পেরেক বা আঠা দিয়ে খুরে আটকানোর প্রচলনও আছে।
অবশ্য সব ঘোড়ার নাল লাগে না। ঘোড়ার ধরন, রাস্তার অবস্থা বা কত ঘন ঘন ঘোড়ায় চড়া হয় তার ওপর নির্ভর করে এটি। বিশেষ করে পাথুরে বা কংক্রিটের রাস্তায় চলাচলের জন্য ঘোড়ার খুরে অবশ্যই নাল পরাতে হয়। যেসব ঘোড়ার পিঠে চড়া হয় না সেগুলোর খুর ভালো রাখতেও নাল পরানো প্রয়োজন।
ড. ক্যামার্গো বলেন, যেসব ঘোড়া বেশি চলাফেরা করে না ও শক্ত রাস্তার বদলে ঘাসযুক্ত রাস্তায় চলাফেরা করে এবং নিয়মিত খুরের যত্ন নেওয়া হয় সেগুলোর পায়ে নাল না পরালেও চলে।
বন্য ঘোড়া (যেমন: মুস্তাং প্রজাতির ঘোড়া) নাল ছাড়াই অসমতল শক্ত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে। কারণ এদের খুর অনেক শক্ত। তবে এদেরও খুর ক্ষয়ে যেতে পারে ও পায়ে ব্যথা পেতে পারে।
কেউ কেউ মনে করেন, পেরেক দিয়ে নাল পরালে ঘোড়া ব্যথা পায়। এই ধারণা সঠিক নয়। মানুষের নখের মতোই ঘোড়ার খুর। তাই খুরের ওপরের অংশ কাটলে বা এতে পেরেক বসালে ঘোড়া ব্যথা পায় না। কারণ এই খুরের সঙ্গে স্নায়ুর সংযোগ নেই।
এ সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশন বলে, খুরের প্রাচীরে কোনো রক্তনালি বা স্নায়ু নেই, তাই নাল সঠিকভাবে পেরেক দিয়ে আটকালে ঘোড়া কোনো ব্যথা পাবে না। তবে সঠিকভাবে নাল না পরালে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। যদি নাল বা পেরেক ভুল জায়গায় লাগানো হয় বা ভুল আকারের নাল পরানো হয় তাহলে ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। আর খুর যদি আগেই ভুলভাবে কাটা হয় তাহলে নাল পরালেও লাভ নেই।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
ঘোড়দৌড়ের জন্য ও পোষ মানানোর জন্য মানুষ বেছে বেছে ঘোড়ার জাত নির্বাচন করে। এদের পায়ের খুর খুবই নরম ও দুর্বল। তাই খুরের সুরক্ষার জন্য নাল পরানো হয়।
কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পশুচিকিৎসক ও ইকুউইন এক্সটেনশন এজেন্ট (ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ) ড. ফার্নান্দা ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের কিছু অংশে সুরক্ষা দেয় নাল। এই নাল খুরের ক্ষয় রোধ করে ও তা সংবেদনশীল হয়ে উঠতে বাধা দেয়।’
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশনের তথ্য অনুযায়ী, খুরের বাইরের অংশ, যা ‘ওয়াল’ নামে পরিচিত, শিংয়ের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি। এই অংশ ক্রমাগত বাড়ে। এ কারণে মানুষের নখের মতোই এটি ছাঁটতে হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, ‘ঘোড়ার খুরের সঠিক আকৃতি বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই নাল।’
এবড়োখেবড়ো রাস্তা ও বালি, পাথর ঘোড়ার খুর ক্ষয় করে। ফলে খুরের ভেতরের সংবেদশীল অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। তখন ঘোড়া হাঁটতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করে। তখন হাঁটাচলা করতে চায় না। ঐতিহাসিকভাবে, এই ধরনের সমস্যার কারণে ঘোড়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে বা ফসল কাটার সময় ব্যবহার করা যেত না। তাই খুরের প্রাচীরকে শক্তিশালী করার জন্য নাল পরার কৌশল উদ্ভাবন করে মানুষ।
ছয় হাজার বছর আগে থেকে ঘোড়াকে পোষ মানানো শুরু হয়। সেসময় থেকেই নাল বা এই ধরনের কিছু একটা ঘোড়ার খুরে পরানো হতো বলে ধারণা করা হয়। প্রথমদিকে চামড়া বা উদ্ভিদজাত উপাদান দিয়ে ঘোড়ার নাল তৈরি করা হতো। ঘোড়ার খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো ধাতব নাল প্রথমবারের মতো ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ব্যবহার শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তী ৫০০ বছরের মধ্যে এই কৌশল সবখানে ব্যবহার শুরু হয়।
ড. ক্যামার্গো বলেন, বর্তমানে অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার নালের প্রচলন বেশি। এগুলো খুরে পেরেক দিয়ে আটকানো হয়। এ ছাড়া নাল হিসেবে রাবার, রেজিন ও প্লাস্টিকের মতো উপাদান পেরেক বা আঠা দিয়ে খুরে আটকানোর প্রচলনও আছে।
অবশ্য সব ঘোড়ার নাল লাগে না। ঘোড়ার ধরন, রাস্তার অবস্থা বা কত ঘন ঘন ঘোড়ায় চড়া হয় তার ওপর নির্ভর করে এটি। বিশেষ করে পাথুরে বা কংক্রিটের রাস্তায় চলাচলের জন্য ঘোড়ার খুরে অবশ্যই নাল পরাতে হয়। যেসব ঘোড়ার পিঠে চড়া হয় না সেগুলোর খুর ভালো রাখতেও নাল পরানো প্রয়োজন।
ড. ক্যামার্গো বলেন, যেসব ঘোড়া বেশি চলাফেরা করে না ও শক্ত রাস্তার বদলে ঘাসযুক্ত রাস্তায় চলাফেরা করে এবং নিয়মিত খুরের যত্ন নেওয়া হয় সেগুলোর পায়ে নাল না পরালেও চলে।
বন্য ঘোড়া (যেমন: মুস্তাং প্রজাতির ঘোড়া) নাল ছাড়াই অসমতল শক্ত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে। কারণ এদের খুর অনেক শক্ত। তবে এদেরও খুর ক্ষয়ে যেতে পারে ও পায়ে ব্যথা পেতে পারে।
কেউ কেউ মনে করেন, পেরেক দিয়ে নাল পরালে ঘোড়া ব্যথা পায়। এই ধারণা সঠিক নয়। মানুষের নখের মতোই ঘোড়ার খুর। তাই খুরের ওপরের অংশ কাটলে বা এতে পেরেক বসালে ঘোড়া ব্যথা পায় না। কারণ এই খুরের সঙ্গে স্নায়ুর সংযোগ নেই।
এ সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি এক্সটেনশন বলে, খুরের প্রাচীরে কোনো রক্তনালি বা স্নায়ু নেই, তাই নাল সঠিকভাবে পেরেক দিয়ে আটকালে ঘোড়া কোনো ব্যথা পাবে না। তবে সঠিকভাবে নাল না পরালে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। যদি নাল বা পেরেক ভুল জায়গায় লাগানো হয় বা ভুল আকারের নাল পরানো হয় তাহলে ঘোড়া ব্যথা পেতে পারে। আর খুর যদি আগেই ভুলভাবে কাটা হয় তাহলে নাল পরালেও লাভ নেই।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
১ দিন আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৫ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রথম জিনগতভাবে পরিবর্তিত ভেড়াটি সম্প্রতি এক বছর পূর্ণ করেছে। সে ভালোই আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভেড়াটির জন্ম হয়। এর নাম রাখা হয় তারমিম; আরবি ভাষায় যার অর্থ পরিবর্তন বা সম্পাদনা।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেড়াটিকে একটি আলাদা খাঁচায় রাখা হয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে তার জিনগতভাবে অপরিবর্তিত যমজ বোনটিও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভেড়াটি পরিবর্তনে তারা ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এটি ডিএনএ পরিবর্তনের একটি আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি।
সহজভাবে বললে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কাঁচির মতো ডিএনএর এমন অংশ কেটে ফেলতে পারেন, যেগুলো দুর্বলতা বা রোগ সৃষ্টি করে।
গবেষক ড. সুহাইল মাগরে বিবিসিকে বলেন, ‘গর্ভবতী ভেড়ার শরীর থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ভ্রূণ সংগ্রহ করি এবং একটি নির্দিষ্ট জিন–যাকে মায়োস্টাটিন জিন বলা হয়, সম্পাদনা করি। এই জিনটি পেশির বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।’
নিষিক্ত ডিম্বাণু বা ভ্রূণগুলোকে দুই থেকে তিন দিন ল্যাবরেটরির নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি স্ত্রী ভেড়ার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, যাকে ফস্টার রিসিপিয়েন্ট বলা হয়।
ড. সুহাইল মাগরে বলেন, ‘এরপর প্রকৃতি তার কাজ করেছে। প্রায় ১৫০ দিন পর বাচ্চা জন্ম নেয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভেড়ার পেশির পরিমাণ বাড়ানো। মায়োস্টাটিন জিন নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে আমরা তা সফলভাবে করতে পেরেছি।’
চলতি মাসের শুরুতে তারমিম এক বছর পূর্ণ করার পর প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ও অধ্যাপক রিয়াজ শাহ বিবিসিকে ভেড়াটির বর্তমান অবস্থা জানান।
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
অধ্যাপক শাহ বলেন, ভেড়াটির স্বাস্থ্য ও টিকে থাকার সক্ষমতা যাচাই করতে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কঠোর নজরদারির মধ্যে নিরাপদ পরিবেশে ভেড়াটিকে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, গবেষণার জন্য সরকারি অর্থায়ন পেতে তারা একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
গবেষণা ও চিকিৎসার লক্ষ্যে বহু দশক ধরে ভেড়ার জিনগত পরিবর্তন এবং জিন সম্পাদনা করা হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাজ্যের ট্রেসি নামের ভেড়াটি ছিল এর বড় উদাহরণ; যা তার দুধের মাধ্যমে বিশেষ প্রোটিন তৈরি করতে পারত। বর্তমানে ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেশির বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রজননক্ষমতার মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
তারমিমের জন্য ভারতের আট সদস্যের গবেষক দল টানা সাত বছর ধরে কাজ করছে।
অধ্যাপক শাহ বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু ব্যর্থতা ছিল। আমরা একাধিক কৌশল প্রয়োগ করেছি। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাফল্য আসে। আমরা সাতটি আইভিএফ প্রক্রিয়া চালাই। এর মধ্যে পাঁচটি জীবিত বাচ্চা জন্ম নেয় এবং দুটি গর্ভপাত ঘটে। জিন সম্পাদনা সফল হয়েছে কেবল একটির ক্ষেত্রে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। এখন পুরো প্রক্রিয়াটি মানসম্মতভাবে স্থির করা গেছে। ভবিষ্যতে সাফল্যের হার অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।’

ভারতের প্রথম জিনগতভাবে পরিবর্তিত ভেড়াটি সম্প্রতি এক বছর পূর্ণ করেছে। সে ভালোই আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভেড়াটির জন্ম হয়। এর নাম রাখা হয় তারমিম; আরবি ভাষায় যার অর্থ পরিবর্তন বা সম্পাদনা।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেড়াটিকে একটি আলাদা খাঁচায় রাখা হয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে তার জিনগতভাবে অপরিবর্তিত যমজ বোনটিও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভেড়াটি পরিবর্তনে তারা ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এটি ডিএনএ পরিবর্তনের একটি আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি।
সহজভাবে বললে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কাঁচির মতো ডিএনএর এমন অংশ কেটে ফেলতে পারেন, যেগুলো দুর্বলতা বা রোগ সৃষ্টি করে।
গবেষক ড. সুহাইল মাগরে বিবিসিকে বলেন, ‘গর্ভবতী ভেড়ার শরীর থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ভ্রূণ সংগ্রহ করি এবং একটি নির্দিষ্ট জিন–যাকে মায়োস্টাটিন জিন বলা হয়, সম্পাদনা করি। এই জিনটি পেশির বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।’
নিষিক্ত ডিম্বাণু বা ভ্রূণগুলোকে দুই থেকে তিন দিন ল্যাবরেটরির নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি স্ত্রী ভেড়ার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, যাকে ফস্টার রিসিপিয়েন্ট বলা হয়।
ড. সুহাইল মাগরে বলেন, ‘এরপর প্রকৃতি তার কাজ করেছে। প্রায় ১৫০ দিন পর বাচ্চা জন্ম নেয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভেড়ার পেশির পরিমাণ বাড়ানো। মায়োস্টাটিন জিন নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে আমরা তা সফলভাবে করতে পেরেছি।’
চলতি মাসের শুরুতে তারমিম এক বছর পূর্ণ করার পর প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ও অধ্যাপক রিয়াজ শাহ বিবিসিকে ভেড়াটির বর্তমান অবস্থা জানান।
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
অধ্যাপক শাহ বলেন, ভেড়াটির স্বাস্থ্য ও টিকে থাকার সক্ষমতা যাচাই করতে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কঠোর নজরদারির মধ্যে নিরাপদ পরিবেশে ভেড়াটিকে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, গবেষণার জন্য সরকারি অর্থায়ন পেতে তারা একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
গবেষণা ও চিকিৎসার লক্ষ্যে বহু দশক ধরে ভেড়ার জিনগত পরিবর্তন এবং জিন সম্পাদনা করা হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাজ্যের ট্রেসি নামের ভেড়াটি ছিল এর বড় উদাহরণ; যা তার দুধের মাধ্যমে বিশেষ প্রোটিন তৈরি করতে পারত। বর্তমানে ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেশির বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রজননক্ষমতার মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
তারমিমের জন্য ভারতের আট সদস্যের গবেষক দল টানা সাত বছর ধরে কাজ করছে।
অধ্যাপক শাহ বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু ব্যর্থতা ছিল। আমরা একাধিক কৌশল প্রয়োগ করেছি। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাফল্য আসে। আমরা সাতটি আইভিএফ প্রক্রিয়া চালাই। এর মধ্যে পাঁচটি জীবিত বাচ্চা জন্ম নেয় এবং দুটি গর্ভপাত ঘটে। জিন সম্পাদনা সফল হয়েছে কেবল একটির ক্ষেত্রে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। এখন পুরো প্রক্রিয়াটি মানসম্মতভাবে স্থির করা গেছে। ভবিষ্যতে সাফল্যের হার অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।’

শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
১০ জুন ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৫ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
১০ জুন ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
১ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
১০ জুন ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
১ দিন আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৫ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

শত শত বছর ধরে কৃষি ও যোগাযোগে ঘোড়া ব্যবহার চলে আসছে। প্রতি চার থেকে ছয় সপ্তাহে দ্রুত গতির এই প্রাণীর জন্য নতুন জুতার প্রয়োজন হয়। এই বিশেষ জুতাকে বলে ‘নাল’। একই কাজে গরু, মহিষ, গাধা, খচ্চর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এদের খুরে নাল পরাতে হয় না। তাহলে ঘোড়ার খুরে নাল পরাতে হয় কেন?
১০ জুন ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
১ দিন আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৫ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগে