অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিগত কয়েক দশক ধরে গবেষণা পরিচালনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই উত্তরের খোঁজে আরেক ধাপ এগোল মানবজাতি। নাসার জ্যোতির্বিদেরা দাবি করেছেন, পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে ‘কে২-১৮বি’ নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রাণের সম্ভাব্য রাসায়নিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই গ্রহে সমুদ্র থাকতে পারে, যেখানে অণুজীব রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষকেরা বলেন, নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) ব্যবহার করে তাঁরা গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে দুটি রাসায়নিক—ডাইমিথাইল সালফায়েড (ডিএমএস) ও ডাইমিথাইল ডিসালফায়েড শনাক্ত করেছেন। পৃথিবীতে দুটি উপাদান কেবল জীবিত প্রাণের মাধ্যমেই উৎপন্ন হয়, বিশেষ করে সাগরের ক্ষুদ্র প্রাণী ‘ফাইটোপ্ল্যাংকটন’ থেকে।
এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিক্কু মধুসূদন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যা দেখছি, তা সম্ভবত জীবনের ইঙ্গিত। এটা এ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হতে পারে।’
তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই তথ্য এখনো সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয়। কারণ আবিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ‘ফাইভ সিগমা’ স্তরের পরিসংখ্যানগত নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
কে২-১৮বি একটি ‘হাইসিয়ান’ গ্রহ, যা পৃথিবীর চেয়ে আকারে প্রায় আড়াই গুণ বড় এবং আট গুণ বেশি ভারী। এটি নিজের সূর্যের ‘গ্লোডিলকস’ অঞ্চলে ঘুরছে, অর্থাৎ এমন এক দূরত্বে, যেখানে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রহকে প্রাণের উপযোগী হিসেবে বিবেচনা করে আসছেন।
উল্লেখ্য, হাইসিয়ান গ্রহ হচ্ছে এমন এক ধরনের গ্রহ, যার উপরিভাগে বিশাল তরল পানির মহাসাগর থাকতে পারে এবং বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন-সমৃদ্ধ।
২০২৩ সালে এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে মিথেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড শনাক্ত করে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। আবার পর্যবেক্ষণের পর ডিএমএসের উপস্থিতির আরও শক্তিশালী ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
তবে বিষয়টি নিয়ে সব বিজ্ঞানী একমত নন। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে, উল্লিখিত রাসায়নিকগুলো জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন কোনো অজানা প্রক্রিয়ায় তৈরি হতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেমন্ড পিয়ারে হামবার্ট বলেন, এই গ্রহ এতটাই গরম হতে পারে যে, সেখানে পানি নয়, বরং লাভার মহাসাগর থাকতে পারে। আর এমআইটির অধ্যাপক সারা সিগার বলেন, ‘এ ধরনের দাবি আগেও এসেছে, কিন্তু পরে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।’
তাঁর মতে, আমাদের সৌরজগতের মঙ্গল, শুক্র কিংবা শনির উপগ্রহ এনসেলাডাসেই প্রাণের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তবে, মধুসূদনের মতে, আর মাত্র ১৬-২৪ ঘণ্টা জেমস ওয়েবের সময় পেলেই এই বিশ্লেষণ নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, হয়তো খুব শিগগিরই আমরা জানতে পারব—আমরাই কী একমাত্র, নাকি কোথাও কেউ আছে।
‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’ নামক বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: এএফপি, সায়েন্স অ্যালার্ট
পৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিগত কয়েক দশক ধরে গবেষণা পরিচালনা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই উত্তরের খোঁজে আরেক ধাপ এগোল মানবজাতি। নাসার জ্যোতির্বিদেরা দাবি করেছেন, পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে ‘কে২-১৮বি’ নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রাণের সম্ভাব্য রাসায়নিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই গ্রহে সমুদ্র থাকতে পারে, যেখানে অণুজীব রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষকেরা বলেন, নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) ব্যবহার করে তাঁরা গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে দুটি রাসায়নিক—ডাইমিথাইল সালফায়েড (ডিএমএস) ও ডাইমিথাইল ডিসালফায়েড শনাক্ত করেছেন। পৃথিবীতে দুটি উপাদান কেবল জীবিত প্রাণের মাধ্যমেই উৎপন্ন হয়, বিশেষ করে সাগরের ক্ষুদ্র প্রাণী ‘ফাইটোপ্ল্যাংকটন’ থেকে।
এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিক্কু মধুসূদন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যা দেখছি, তা সম্ভবত জীবনের ইঙ্গিত। এটা এ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হতে পারে।’
তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এই তথ্য এখনো সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয়। কারণ আবিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ‘ফাইভ সিগমা’ স্তরের পরিসংখ্যানগত নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
কে২-১৮বি একটি ‘হাইসিয়ান’ গ্রহ, যা পৃথিবীর চেয়ে আকারে প্রায় আড়াই গুণ বড় এবং আট গুণ বেশি ভারী। এটি নিজের সূর্যের ‘গ্লোডিলকস’ অঞ্চলে ঘুরছে, অর্থাৎ এমন এক দূরত্বে, যেখানে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রহকে প্রাণের উপযোগী হিসেবে বিবেচনা করে আসছেন।
উল্লেখ্য, হাইসিয়ান গ্রহ হচ্ছে এমন এক ধরনের গ্রহ, যার উপরিভাগে বিশাল তরল পানির মহাসাগর থাকতে পারে এবং বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন-সমৃদ্ধ।
২০২৩ সালে এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে মিথেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড শনাক্ত করে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। আবার পর্যবেক্ষণের পর ডিএমএসের উপস্থিতির আরও শক্তিশালী ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
তবে বিষয়টি নিয়ে সব বিজ্ঞানী একমত নন। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে, উল্লিখিত রাসায়নিকগুলো জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন কোনো অজানা প্রক্রিয়ায় তৈরি হতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেমন্ড পিয়ারে হামবার্ট বলেন, এই গ্রহ এতটাই গরম হতে পারে যে, সেখানে পানি নয়, বরং লাভার মহাসাগর থাকতে পারে। আর এমআইটির অধ্যাপক সারা সিগার বলেন, ‘এ ধরনের দাবি আগেও এসেছে, কিন্তু পরে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।’
তাঁর মতে, আমাদের সৌরজগতের মঙ্গল, শুক্র কিংবা শনির উপগ্রহ এনসেলাডাসেই প্রাণের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তবে, মধুসূদনের মতে, আর মাত্র ১৬-২৪ ঘণ্টা জেমস ওয়েবের সময় পেলেই এই বিশ্লেষণ নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, হয়তো খুব শিগগিরই আমরা জানতে পারব—আমরাই কী একমাত্র, নাকি কোথাও কেউ আছে।
‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’ নামক বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: এএফপি, সায়েন্স অ্যালার্ট
মানুষের সংবেদনশীল দাঁতের উৎপত্তি হয়েছিল প্রাচীন বিলুপ্ত মাছের ‘দেহবর্ম’ বা বর্মা কৃতি আবরণ থেকে। প্রায় ৪৬ কোটি ৫০ লাখ বছর আগের সেই মাছদের শরীরে থাকা এক ধরনের সংবেদনশীল টিস্যুই পরবর্তীতে বিবর্তিত হয়ে দাঁতে রূপ নেয়। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১ দিন আগে১২৪ বছরের বেশি সময় ধরে জ্বলছে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব। অবিশ্বাস্য মনে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফায়ার স্টেশনের ছাদে ঝুলে থাকা এই সাধারণ বাল্ব যেন সময়ের সাক্ষী হয়ে আজও আলো ছড়াচ্ছে।
২ দিন আগেপরিমাপের একক হিসেবে ‘মিটার’ ব্যবহার আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুদির দোকান থেকে আলু কেনা বা গাড়িতে পেট্রল ভরার মতো সাধারণ কাজেও এটি ব্যবহার হয়। তবে এ সুবিধার পেছনে রয়েছে ১৫০ বছর আগের এক ঐতিহাসিক ‘মেট্রিক চুক্তি’ বা ‘মিটার কনভেনশন’।
৩ দিন আগেচীনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশন থেকে সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণের সময় অজানা প্রজাতির এক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি পৃথিবীতে আগে কখনো দেখা যায়নি। ব্যতিক্রমধর্মী এই জীবাণুটি মহাকাশের চরম পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা দেখিয়েছে।
৩ দিন আগে