আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষক দলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
তাইওয়ান, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষক দল গত ৪০ বছর ধরে স্পেস প্রোব বা মহাকাশযান থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। তাঁরা মনে করেছেন, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকা একটি গ্রহ আমাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। ১৯৮৩ সালের ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্যাটেলাইট (আইআরএএস) ও ২০০৬-০৭ সালে মহাকাশ পর্যবেক্ষণকারী জাপানি উপগ্রহ একেএআরআইয়ের ডেটা বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই গ্রহের সন্ধান পান।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব থাকার সূত্র পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সে সময় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী সৌরজগতের নেপচুনের বহু দূরে এক অজানা বৃহৎ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অস্তিত্ব তুলে ধরেন, যা সম্ভবত একটি গ্রহ।
সেই সূত্র ধরে নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সম্ভাব্য ১৩টি বস্তু বিশ্লেষণ করে অবশেষে একটি বস্তু শনাক্ত করেছেন, যা সূর্যকে ধীরে ধীরে আবর্তন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূর্য থেকে বস্তুটি প্রায় ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ৬৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছে।
বোঝার সুবিধার জন্য বলা যায়, সৌরজগতের প্রান্তে অবস্থিত এই সম্ভাব্য নতুন গ্রহটি সূর্য থেকে প্লুটোর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি দূরে।
উল্লেখ্য, ‘নবম গ্রহ’ হিসেবে প্লুটো স্বীকৃতি হারায় ২০০৬ সালে। প্লুটো সূর্য থেকে মাত্র ৪ বিলিয়ন মাইলেরও কম দূরে অবস্থান করে।
এক্স প্ল্যানেট কুইপার বেল্টে রয়েছে। এটি নেপচুনের বাইরে অবস্থিত এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল, যা বরফে মোড়া বস্তু, ধূমকেতু এবং প্লুটোর মতো বামন গ্রহে পূর্ণ।
যেহেতু লুকানো গ্রহটি সূর্য থেকে অত্যন্ত দূরে অবস্থিত, তাই এটি সম্ভবত ইউরেনাস বা নেপচুনের মতো ও বরফ আচ্ছাদিত হতে পারে।
এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে যদি কোনোভাবে প্রাণের অস্তিত্ব থাকে, তবে তা একমাত্র ‘এক্সট্রিমোফাইল’ শ্রেণির জীব হতে পারে। এগুলো একধরনের অতি ক্ষুদ্র প্রাণী, যারা ভয়ানক প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকতে ও বংশবিস্তারে সক্ষম, যেখানে অধিকাংশ জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব।
এ ধরনের এক্সট্রিমোফাইল প্রাণীরা এমন পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি (জ্বালামুখ থেকে উঠে আসা ফুটন্ত পানির ঝরনা) বা অত্যন্ত কম (দক্ষিণ মেরুর বরফাচ্ছন্ন জলাধার)। তারা গভীর সমুদ্রের প্রচণ্ড চাপে, অত্যন্ত অম্লীয় পরিবেশে এমনকি উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে।

পৃথিবীতে এদের দেখা মেলে সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়গিরির গর্তের পাশে, দক্ষিণ মেরুর জমাট বরফে, এমনকি চিলির প্রাণহীন আতাকামা মরুভূমিতেও।
তবে প্ল্যানেট নাইনে পরিস্থিতি সম্ভবত আরও কঠিন। সূর্য থেকে এত দূরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে তাপমাত্রা হতে পারে মাইনাস ৩৬৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে মাইনাস ৪০৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে, যা প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাকে আরও সংকীর্ণ করে তোলে।
এই গ্রহের মাধ্যাকর্ষণশক্তির ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এর ভর পৃথিবীর চেয়ে ৭ থেকে ১৭ গুণ বেশি, অর্থাৎ আকারে এটি ইউরেনাস বা নেপচুনের কাছাকাছি হতে পারে।
সূর্যের আলোর শক্তি এত দূর পৌঁছায় না বলেই প্রাণের টিকে থাকার জন্য অন্য কোনো শক্তির উৎসের প্রয়োজন হবে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো গ্রহটির কক্ষপথ পুরোপুরি নির্ধারণ করতে পারেননি।
প্রথম ধাপের গবেষণায় মূল চাবিকাঠি ছিল আইআরএএস (১৯৮৩) এবং একেএআরআই (২০০৬-০৭) উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে ২৩ বছরের ব্যবধান।
এই দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্যবধান কাজে লাগিয়ে গবেষকেরা এমন একটি বস্তুর সন্ধানে ছিলেন, যা প্রতিবছর আকাশে মাত্র তিন ‘আর্কমিনিট’ করে সরছে। উল্লেখ্য, এক ডিগ্রিতে ৬০ আর্কমিনিট থাকে। পূর্ণ চাঁদ আকাশে প্রায় ৩০ আর্কমিনিট প্রশস্ত বলে মনে হয়।
এই হিসাবে ২৩ বছরে গ্রহটি আকাশে ৪২ থেকে ৬৯ দশমিক ৬ আর্কমিনিট পর্যন্ত সরেছে বলে ধারণা করা হয়। এই ছোট্ট গতিপথের ভিত্তিতেই তারা খুঁজে পেয়েছেন একটি বস্তু, যেটি কুইপার বেল্টের ওপর মাধ্যাকর্ষণ বল প্রয়োগ করে বস্তুগুলোর কক্ষপথে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
যদিও এই পর্যবেক্ষণে মাত্র দুটি স্যাটেলাইট ডিটেকশন পাওয়া গেছে, তা দিয়ে গ্রহটির পুরো কক্ষপথ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এর অস্তিত্ব নিশ্চিত হলে সৌরজগতের কিছু পুরোনো রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে।
নাসার মতে, যদি প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে আমাদের সৌরজগৎকে অনেকটাই ‘সাধারণ’ বলা যাবে। কারণ, ছায়াপথের অন্যান্য তারাঘেরা গ্রহব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ‘সুপার আর্থ’ নামের একধরনের গ্রহ, যেগুলো আকারে পৃথিবীর চেয়ে বড়, তবে নেপচুনের চেয়ে ছোট। অথচ এমন কোনো গ্রহ আমাদের সৌরজগতে নেই।
নাসা আরও বলছে, সৌরজগতের প্রান্তে একটি বৃহৎ গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেলে এটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করবে কেন কুইপার বেল্টের বস্তুগুলো সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথের তুলনায় প্রায় ২০ ডিগ্রি কোণে তির্যক অবস্থায় রয়েছে।
তবে এখনো প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও স্পষ্ট ও পরিমিত পর্যবেক্ষণের। তবু বিজ্ঞানীরা এই খোঁজকে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
নতুন এই গবেষণা এখনো পিয়ার রিভিউর অপেক্ষায় রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষক দলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
তাইওয়ান, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষক দল গত ৪০ বছর ধরে স্পেস প্রোব বা মহাকাশযান থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। তাঁরা মনে করেছেন, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকা একটি গ্রহ আমাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। ১৯৮৩ সালের ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্যাটেলাইট (আইআরএএস) ও ২০০৬-০৭ সালে মহাকাশ পর্যবেক্ষণকারী জাপানি উপগ্রহ একেএআরআইয়ের ডেটা বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই গ্রহের সন্ধান পান।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব থাকার সূত্র পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সে সময় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী সৌরজগতের নেপচুনের বহু দূরে এক অজানা বৃহৎ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অস্তিত্ব তুলে ধরেন, যা সম্ভবত একটি গ্রহ।
সেই সূত্র ধরে নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সম্ভাব্য ১৩টি বস্তু বিশ্লেষণ করে অবশেষে একটি বস্তু শনাক্ত করেছেন, যা সূর্যকে ধীরে ধীরে আবর্তন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূর্য থেকে বস্তুটি প্রায় ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ৬৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছে।
বোঝার সুবিধার জন্য বলা যায়, সৌরজগতের প্রান্তে অবস্থিত এই সম্ভাব্য নতুন গ্রহটি সূর্য থেকে প্লুটোর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি দূরে।
উল্লেখ্য, ‘নবম গ্রহ’ হিসেবে প্লুটো স্বীকৃতি হারায় ২০০৬ সালে। প্লুটো সূর্য থেকে মাত্র ৪ বিলিয়ন মাইলেরও কম দূরে অবস্থান করে।
এক্স প্ল্যানেট কুইপার বেল্টে রয়েছে। এটি নেপচুনের বাইরে অবস্থিত এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল, যা বরফে মোড়া বস্তু, ধূমকেতু এবং প্লুটোর মতো বামন গ্রহে পূর্ণ।
যেহেতু লুকানো গ্রহটি সূর্য থেকে অত্যন্ত দূরে অবস্থিত, তাই এটি সম্ভবত ইউরেনাস বা নেপচুনের মতো ও বরফ আচ্ছাদিত হতে পারে।
এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে যদি কোনোভাবে প্রাণের অস্তিত্ব থাকে, তবে তা একমাত্র ‘এক্সট্রিমোফাইল’ শ্রেণির জীব হতে পারে। এগুলো একধরনের অতি ক্ষুদ্র প্রাণী, যারা ভয়ানক প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকতে ও বংশবিস্তারে সক্ষম, যেখানে অধিকাংশ জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব।
এ ধরনের এক্সট্রিমোফাইল প্রাণীরা এমন পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি (জ্বালামুখ থেকে উঠে আসা ফুটন্ত পানির ঝরনা) বা অত্যন্ত কম (দক্ষিণ মেরুর বরফাচ্ছন্ন জলাধার)। তারা গভীর সমুদ্রের প্রচণ্ড চাপে, অত্যন্ত অম্লীয় পরিবেশে এমনকি উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে।

পৃথিবীতে এদের দেখা মেলে সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়গিরির গর্তের পাশে, দক্ষিণ মেরুর জমাট বরফে, এমনকি চিলির প্রাণহীন আতাকামা মরুভূমিতেও।
তবে প্ল্যানেট নাইনে পরিস্থিতি সম্ভবত আরও কঠিন। সূর্য থেকে এত দূরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে তাপমাত্রা হতে পারে মাইনাস ৩৬৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে মাইনাস ৪০৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে, যা প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাকে আরও সংকীর্ণ করে তোলে।
এই গ্রহের মাধ্যাকর্ষণশক্তির ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এর ভর পৃথিবীর চেয়ে ৭ থেকে ১৭ গুণ বেশি, অর্থাৎ আকারে এটি ইউরেনাস বা নেপচুনের কাছাকাছি হতে পারে।
সূর্যের আলোর শক্তি এত দূর পৌঁছায় না বলেই প্রাণের টিকে থাকার জন্য অন্য কোনো শক্তির উৎসের প্রয়োজন হবে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো গ্রহটির কক্ষপথ পুরোপুরি নির্ধারণ করতে পারেননি।
প্রথম ধাপের গবেষণায় মূল চাবিকাঠি ছিল আইআরএএস (১৯৮৩) এবং একেএআরআই (২০০৬-০৭) উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে ২৩ বছরের ব্যবধান।
এই দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্যবধান কাজে লাগিয়ে গবেষকেরা এমন একটি বস্তুর সন্ধানে ছিলেন, যা প্রতিবছর আকাশে মাত্র তিন ‘আর্কমিনিট’ করে সরছে। উল্লেখ্য, এক ডিগ্রিতে ৬০ আর্কমিনিট থাকে। পূর্ণ চাঁদ আকাশে প্রায় ৩০ আর্কমিনিট প্রশস্ত বলে মনে হয়।
এই হিসাবে ২৩ বছরে গ্রহটি আকাশে ৪২ থেকে ৬৯ দশমিক ৬ আর্কমিনিট পর্যন্ত সরেছে বলে ধারণা করা হয়। এই ছোট্ট গতিপথের ভিত্তিতেই তারা খুঁজে পেয়েছেন একটি বস্তু, যেটি কুইপার বেল্টের ওপর মাধ্যাকর্ষণ বল প্রয়োগ করে বস্তুগুলোর কক্ষপথে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
যদিও এই পর্যবেক্ষণে মাত্র দুটি স্যাটেলাইট ডিটেকশন পাওয়া গেছে, তা দিয়ে গ্রহটির পুরো কক্ষপথ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এর অস্তিত্ব নিশ্চিত হলে সৌরজগতের কিছু পুরোনো রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে।
নাসার মতে, যদি প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে আমাদের সৌরজগৎকে অনেকটাই ‘সাধারণ’ বলা যাবে। কারণ, ছায়াপথের অন্যান্য তারাঘেরা গ্রহব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ‘সুপার আর্থ’ নামের একধরনের গ্রহ, যেগুলো আকারে পৃথিবীর চেয়ে বড়, তবে নেপচুনের চেয়ে ছোট। অথচ এমন কোনো গ্রহ আমাদের সৌরজগতে নেই।
নাসা আরও বলছে, সৌরজগতের প্রান্তে একটি বৃহৎ গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেলে এটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করবে কেন কুইপার বেল্টের বস্তুগুলো সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথের তুলনায় প্রায় ২০ ডিগ্রি কোণে তির্যক অবস্থায় রয়েছে।
তবে এখনো প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও স্পষ্ট ও পরিমিত পর্যবেক্ষণের। তবু বিজ্ঞানীরা এই খোঁজকে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
নতুন এই গবেষণা এখনো পিয়ার রিভিউর অপেক্ষায় রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষক দলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
তাইওয়ান, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষক দল গত ৪০ বছর ধরে স্পেস প্রোব বা মহাকাশযান থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। তাঁরা মনে করেছেন, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকা একটি গ্রহ আমাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। ১৯৮৩ সালের ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্যাটেলাইট (আইআরএএস) ও ২০০৬-০৭ সালে মহাকাশ পর্যবেক্ষণকারী জাপানি উপগ্রহ একেএআরআইয়ের ডেটা বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই গ্রহের সন্ধান পান।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব থাকার সূত্র পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সে সময় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী সৌরজগতের নেপচুনের বহু দূরে এক অজানা বৃহৎ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অস্তিত্ব তুলে ধরেন, যা সম্ভবত একটি গ্রহ।
সেই সূত্র ধরে নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সম্ভাব্য ১৩টি বস্তু বিশ্লেষণ করে অবশেষে একটি বস্তু শনাক্ত করেছেন, যা সূর্যকে ধীরে ধীরে আবর্তন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূর্য থেকে বস্তুটি প্রায় ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ৬৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছে।
বোঝার সুবিধার জন্য বলা যায়, সৌরজগতের প্রান্তে অবস্থিত এই সম্ভাব্য নতুন গ্রহটি সূর্য থেকে প্লুটোর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি দূরে।
উল্লেখ্য, ‘নবম গ্রহ’ হিসেবে প্লুটো স্বীকৃতি হারায় ২০০৬ সালে। প্লুটো সূর্য থেকে মাত্র ৪ বিলিয়ন মাইলেরও কম দূরে অবস্থান করে।
এক্স প্ল্যানেট কুইপার বেল্টে রয়েছে। এটি নেপচুনের বাইরে অবস্থিত এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল, যা বরফে মোড়া বস্তু, ধূমকেতু এবং প্লুটোর মতো বামন গ্রহে পূর্ণ।
যেহেতু লুকানো গ্রহটি সূর্য থেকে অত্যন্ত দূরে অবস্থিত, তাই এটি সম্ভবত ইউরেনাস বা নেপচুনের মতো ও বরফ আচ্ছাদিত হতে পারে।
এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে যদি কোনোভাবে প্রাণের অস্তিত্ব থাকে, তবে তা একমাত্র ‘এক্সট্রিমোফাইল’ শ্রেণির জীব হতে পারে। এগুলো একধরনের অতি ক্ষুদ্র প্রাণী, যারা ভয়ানক প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকতে ও বংশবিস্তারে সক্ষম, যেখানে অধিকাংশ জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব।
এ ধরনের এক্সট্রিমোফাইল প্রাণীরা এমন পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি (জ্বালামুখ থেকে উঠে আসা ফুটন্ত পানির ঝরনা) বা অত্যন্ত কম (দক্ষিণ মেরুর বরফাচ্ছন্ন জলাধার)। তারা গভীর সমুদ্রের প্রচণ্ড চাপে, অত্যন্ত অম্লীয় পরিবেশে এমনকি উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে।

পৃথিবীতে এদের দেখা মেলে সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়গিরির গর্তের পাশে, দক্ষিণ মেরুর জমাট বরফে, এমনকি চিলির প্রাণহীন আতাকামা মরুভূমিতেও।
তবে প্ল্যানেট নাইনে পরিস্থিতি সম্ভবত আরও কঠিন। সূর্য থেকে এত দূরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে তাপমাত্রা হতে পারে মাইনাস ৩৬৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে মাইনাস ৪০৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে, যা প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাকে আরও সংকীর্ণ করে তোলে।
এই গ্রহের মাধ্যাকর্ষণশক্তির ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এর ভর পৃথিবীর চেয়ে ৭ থেকে ১৭ গুণ বেশি, অর্থাৎ আকারে এটি ইউরেনাস বা নেপচুনের কাছাকাছি হতে পারে।
সূর্যের আলোর শক্তি এত দূর পৌঁছায় না বলেই প্রাণের টিকে থাকার জন্য অন্য কোনো শক্তির উৎসের প্রয়োজন হবে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো গ্রহটির কক্ষপথ পুরোপুরি নির্ধারণ করতে পারেননি।
প্রথম ধাপের গবেষণায় মূল চাবিকাঠি ছিল আইআরএএস (১৯৮৩) এবং একেএআরআই (২০০৬-০৭) উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে ২৩ বছরের ব্যবধান।
এই দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্যবধান কাজে লাগিয়ে গবেষকেরা এমন একটি বস্তুর সন্ধানে ছিলেন, যা প্রতিবছর আকাশে মাত্র তিন ‘আর্কমিনিট’ করে সরছে। উল্লেখ্য, এক ডিগ্রিতে ৬০ আর্কমিনিট থাকে। পূর্ণ চাঁদ আকাশে প্রায় ৩০ আর্কমিনিট প্রশস্ত বলে মনে হয়।
এই হিসাবে ২৩ বছরে গ্রহটি আকাশে ৪২ থেকে ৬৯ দশমিক ৬ আর্কমিনিট পর্যন্ত সরেছে বলে ধারণা করা হয়। এই ছোট্ট গতিপথের ভিত্তিতেই তারা খুঁজে পেয়েছেন একটি বস্তু, যেটি কুইপার বেল্টের ওপর মাধ্যাকর্ষণ বল প্রয়োগ করে বস্তুগুলোর কক্ষপথে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
যদিও এই পর্যবেক্ষণে মাত্র দুটি স্যাটেলাইট ডিটেকশন পাওয়া গেছে, তা দিয়ে গ্রহটির পুরো কক্ষপথ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এর অস্তিত্ব নিশ্চিত হলে সৌরজগতের কিছু পুরোনো রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে।
নাসার মতে, যদি প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে আমাদের সৌরজগৎকে অনেকটাই ‘সাধারণ’ বলা যাবে। কারণ, ছায়াপথের অন্যান্য তারাঘেরা গ্রহব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ‘সুপার আর্থ’ নামের একধরনের গ্রহ, যেগুলো আকারে পৃথিবীর চেয়ে বড়, তবে নেপচুনের চেয়ে ছোট। অথচ এমন কোনো গ্রহ আমাদের সৌরজগতে নেই।
নাসা আরও বলছে, সৌরজগতের প্রান্তে একটি বৃহৎ গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেলে এটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করবে কেন কুইপার বেল্টের বস্তুগুলো সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথের তুলনায় প্রায় ২০ ডিগ্রি কোণে তির্যক অবস্থায় রয়েছে।
তবে এখনো প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও স্পষ্ট ও পরিমিত পর্যবেক্ষণের। তবু বিজ্ঞানীরা এই খোঁজকে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
নতুন এই গবেষণা এখনো পিয়ার রিভিউর অপেক্ষায় রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষক দলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
তাইওয়ান, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষক দল গত ৪০ বছর ধরে স্পেস প্রোব বা মহাকাশযান থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। তাঁরা মনে করেছেন, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে থাকা একটি গ্রহ আমাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। ১৯৮৩ সালের ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্যাটেলাইট (আইআরএএস) ও ২০০৬-০৭ সালে মহাকাশ পর্যবেক্ষণকারী জাপানি উপগ্রহ একেএআরআইয়ের ডেটা বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই গ্রহের সন্ধান পান।
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব থাকার সূত্র পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সে সময় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী সৌরজগতের নেপচুনের বহু দূরে এক অজানা বৃহৎ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অস্তিত্ব তুলে ধরেন, যা সম্ভবত একটি গ্রহ।
সেই সূত্র ধরে নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সম্ভাব্য ১৩টি বস্তু বিশ্লেষণ করে অবশেষে একটি বস্তু শনাক্ত করেছেন, যা সূর্যকে ধীরে ধীরে আবর্তন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূর্য থেকে বস্তুটি প্রায় ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ৬৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছে।
বোঝার সুবিধার জন্য বলা যায়, সৌরজগতের প্রান্তে অবস্থিত এই সম্ভাব্য নতুন গ্রহটি সূর্য থেকে প্লুটোর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি দূরে।
উল্লেখ্য, ‘নবম গ্রহ’ হিসেবে প্লুটো স্বীকৃতি হারায় ২০০৬ সালে। প্লুটো সূর্য থেকে মাত্র ৪ বিলিয়ন মাইলেরও কম দূরে অবস্থান করে।
এক্স প্ল্যানেট কুইপার বেল্টে রয়েছে। এটি নেপচুনের বাইরে অবস্থিত এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল, যা বরফে মোড়া বস্তু, ধূমকেতু এবং প্লুটোর মতো বামন গ্রহে পূর্ণ।
যেহেতু লুকানো গ্রহটি সূর্য থেকে অত্যন্ত দূরে অবস্থিত, তাই এটি সম্ভবত ইউরেনাস বা নেপচুনের মতো ও বরফ আচ্ছাদিত হতে পারে।
এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে যদি কোনোভাবে প্রাণের অস্তিত্ব থাকে, তবে তা একমাত্র ‘এক্সট্রিমোফাইল’ শ্রেণির জীব হতে পারে। এগুলো একধরনের অতি ক্ষুদ্র প্রাণী, যারা ভয়ানক প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকতে ও বংশবিস্তারে সক্ষম, যেখানে অধিকাংশ জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব।
এ ধরনের এক্সট্রিমোফাইল প্রাণীরা এমন পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি (জ্বালামুখ থেকে উঠে আসা ফুটন্ত পানির ঝরনা) বা অত্যন্ত কম (দক্ষিণ মেরুর বরফাচ্ছন্ন জলাধার)। তারা গভীর সমুদ্রের প্রচণ্ড চাপে, অত্যন্ত অম্লীয় পরিবেশে এমনকি উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার মধ্যেও বেঁচে থাকতে পারে।

পৃথিবীতে এদের দেখা মেলে সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়গিরির গর্তের পাশে, দক্ষিণ মেরুর জমাট বরফে, এমনকি চিলির প্রাণহীন আতাকামা মরুভূমিতেও।
তবে প্ল্যানেট নাইনে পরিস্থিতি সম্ভবত আরও কঠিন। সূর্য থেকে এত দূরে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে তাপমাত্রা হতে পারে মাইনাস ৩৬৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে মাইনাস ৪০৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে, যা প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাকে আরও সংকীর্ণ করে তোলে।
এই গ্রহের মাধ্যাকর্ষণশক্তির ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এর ভর পৃথিবীর চেয়ে ৭ থেকে ১৭ গুণ বেশি, অর্থাৎ আকারে এটি ইউরেনাস বা নেপচুনের কাছাকাছি হতে পারে।
সূর্যের আলোর শক্তি এত দূর পৌঁছায় না বলেই প্রাণের টিকে থাকার জন্য অন্য কোনো শক্তির উৎসের প্রয়োজন হবে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো গ্রহটির কক্ষপথ পুরোপুরি নির্ধারণ করতে পারেননি।
প্রথম ধাপের গবেষণায় মূল চাবিকাঠি ছিল আইআরএএস (১৯৮৩) এবং একেএআরআই (২০০৬-০৭) উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে ২৩ বছরের ব্যবধান।
এই দীর্ঘ ২৩ বছরের ব্যবধান কাজে লাগিয়ে গবেষকেরা এমন একটি বস্তুর সন্ধানে ছিলেন, যা প্রতিবছর আকাশে মাত্র তিন ‘আর্কমিনিট’ করে সরছে। উল্লেখ্য, এক ডিগ্রিতে ৬০ আর্কমিনিট থাকে। পূর্ণ চাঁদ আকাশে প্রায় ৩০ আর্কমিনিট প্রশস্ত বলে মনে হয়।
এই হিসাবে ২৩ বছরে গ্রহটি আকাশে ৪২ থেকে ৬৯ দশমিক ৬ আর্কমিনিট পর্যন্ত সরেছে বলে ধারণা করা হয়। এই ছোট্ট গতিপথের ভিত্তিতেই তারা খুঁজে পেয়েছেন একটি বস্তু, যেটি কুইপার বেল্টের ওপর মাধ্যাকর্ষণ বল প্রয়োগ করে বস্তুগুলোর কক্ষপথে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
যদিও এই পর্যবেক্ষণে মাত্র দুটি স্যাটেলাইট ডিটেকশন পাওয়া গেছে, তা দিয়ে গ্রহটির পুরো কক্ষপথ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এর অস্তিত্ব নিশ্চিত হলে সৌরজগতের কিছু পুরোনো রহস্যের সমাধান পাওয়া যাবে।
নাসার মতে, যদি প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে আমাদের সৌরজগৎকে অনেকটাই ‘সাধারণ’ বলা যাবে। কারণ, ছায়াপথের অন্যান্য তারাঘেরা গ্রহব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ‘সুপার আর্থ’ নামের একধরনের গ্রহ, যেগুলো আকারে পৃথিবীর চেয়ে বড়, তবে নেপচুনের চেয়ে ছোট। অথচ এমন কোনো গ্রহ আমাদের সৌরজগতে নেই।
নাসা আরও বলছে, সৌরজগতের প্রান্তে একটি বৃহৎ গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেলে এটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করবে কেন কুইপার বেল্টের বস্তুগুলো সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথের তুলনায় প্রায় ২০ ডিগ্রি কোণে তির্যক অবস্থায় রয়েছে।
তবে এখনো প্ল্যানেট নাইনের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও স্পষ্ট ও পরিমিত পর্যবেক্ষণের। তবু বিজ্ঞানীরা এই খোঁজকে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন।
নতুন এই গবেষণা এখনো পিয়ার রিভিউর অপেক্ষায় রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৩০ এপ্রিল ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে