প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

সকালে উঠেই ফ্রিজ খুলে এক বাটি ভাত দেখতে পেলে মন খুশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু বিরক্তও লাগে। কারণ ভাত দেখতে আগের মতো হলেও এর স্বাদ গত রাতের মতো নেই। খাওয়ার উপযোগী করতে একে গরম করতে হবে। সে সময় মনে হতে পারে, খাবারের স্বাদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কেন এতটা পার্থক্য তৈরি করে কেন! ঠান্ডা ভাত খেতে ভালো লাগে না কেন।
এর ছোট উত্তর হলো—মানব প্রজাতির বিবর্তনের ফলে গরম খাবারকে ঠান্ডা খাবারের তুলনায় বেশি পছন্দ করি আমরা। কারণ খাবার গরম করার ফলে মানুষের শরীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পায়। গরম খাবার খাওয়ার ফলে শরীর দ্রুত শক্তি ও পুষ্টি পায় এবং তা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। রাসায়নিকভাবে, গরম খাবার আমাদের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়। কারণ এটি আমাদের স্বাদ গ্রন্থিগুলোর আণুবীক্ষণিক চ্যানেলগুলোর কার্যকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
বিষয়টি নিয়ে আরও বিশ্লেষণ করা যাক।
কয়েক মিলিয়ন বছর আগে, মানুষ যখন আগুনের ব্যবহার আবিষ্কার করেনি, তখন পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর মতো শুধু ঠান্ডা খাবারই খেত মানুষ। খাবার কাঁচা খাওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু প্রায় ২ মিলিয়ন বা ২০ লাখ বছর আগে, হোমো ইরেক্টাস (আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ) আকস্মিকভাবে আগুন আবিষ্কার করে, যা মানুষের বিবর্তনের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। প্রাচীন মানুষেরা আগুন জ্বালিয়ে খাবার রান্না শিখল, শিকারি প্রাণীর থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারল, সম্পূর্ণ রাতের ঘুম নিশ্চিত হলো। এর ফলে মস্তিষ্কের উন্নতির প্রাথমিক পর্যায় ত্বরান্বিত হলো।
এভাবে প্রথমবারের মতো শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য মানুষ বাইরের সাহায্য নিল। ঠান্ডা খাবার চিবানো ও হজম করতে শরীরকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কারণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় শুধুমাত্র লালা ও পাকস্থলীর রস নিঃসরণের মাধ্যমে। তবে গরম খাবার এই হজমের প্রক্রিয়াটি সহজ করে দেয়। কারণ আগুনের তাপগতীয় প্রতিক্রিয়ায় খাবার আগেই কিছুটা নরম হয়। এ ছাড়া কাঁচা খাবার খেতে সময়ও বেশি লাগে।
তাপ দিলে মাংস, শস্য ও সবজির মৌলিক প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটে, ফলে এগুলো হজম করা অনেক সহজ হয়ে যায়। গরুর মতো তৃণভোজী প্রাণীর কথা ভাবুন, যেগুলোর একাধিক পাকস্থলী রয়েছে। এরা একবার চিবানোর পর গিলে ফেলা খাবার পাকস্থলী থেকে মুখে এনে আরেকবার চিবায়। এভাবে হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় ও শ্রম দুটোই ব্যয় করতে হয়।
এর বিপরীতে খাবার গরম করতে শেখার মাধ্যমে মানুষ মানসিক ও শারীরিক শক্তি অন্য বড় কাজের দিকে নিয়োজিত করতে পারল। এই দীর্ঘ বিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের শরীর এখন কাঁচা মাংস সহ্যই করতে পারে না। মানুষের পেটের অ্যাসিড এতটা শক্তিশালী নয়। গত ২০ লাখ বছরের মধ্যে পেটে এমন বিবর্তনীয় পরিবর্তন ঘটেছে।
খাবার গরম করার সুবিধা শুধু সহজে হজম হওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি খাদ্যবাহিত রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া গরম করার সময় খাবারের অণুগুলো আরও প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে এবং এসব অণু ঘ্রাণের আকারে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন, রান্নার ঘ্রাণ মানুষকে খাবারের প্রতি আকৃষ্ট করে, রুচি বাড়ায়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মানুষের ঘ্রাণশক্তি বিবর্তিত হয়েছে যাতে এমন খাবার খেতে উৎসাহিত হয়, যা তার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
স্বাদ ও গন্ধ সম্পর্কে অনেক গবেষণা হয়েছে। কারণ গ্রাহকেরা কোন স্বাদ ও গন্ধ পছন্দ করে সে সম্পর্কে সবকিছু বুঝতে চায় খাদ্য প্রস্তুতকারীরা। তারা আরও জানতে চায়, কীভাবে অপ্রিয় স্বাদগুলো দূর করা যায়।
স্বাদ মানুষের জিভের টেস্ট বাড বা স্বাদ কোরকের ওপর নির্ভর করে। মানুষের স্বাদ গ্রহণকারী কোরকের ছোট ছোট চ্যানেলগুলো নির্দিষ্ট স্বাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈদ্যুতিক সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়। এগুলো উচ্চ তাপমাত্রায় আরও কার্যকরভাবে কাজ করে। গরম খাবার ও পানীয়তে মুখে টক, মিষ্টি, তিতা ও অস্বস্তিকর স্বাদগুলো আরও তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এটি ভালো এবং খারাপ উভয় প্রকারের স্বাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে এই ক্ষেত্রে বড় ব্যতিক্রম হলো—তিক্ত বা তিতা স্বাদ। ঠান্ডা অবস্থায় এই স্বাদ আরও তীব্র হয়।
উদাহরণস্বরূপ, মানুষ গরম কফি পছন্দ করে, কারণ কফির তিতা স্বাদ গরম অবস্থায় তেমন একটা টের পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, আইসক্রিমের কথা চিন্তা করুন: মিষ্টি স্বাদটি তখনই অনুভূত হয় যখন আইসক্রিম আমাদের মুখে গলতে শুরু করে। তবে আইসক্রিমটি চাটলে এত তীব্রভাবে মিষ্টি অনুভূত হয় না। কারণ জিভের ছোট ছোট স্বাদগ্রাহক চ্যানেলগুলো ঠান্ডা হলে তেমন কার্যকরভাবে কাজ করে না।
মানুষের জিভে গড়ে ১০ হাজারেও বেশি স্বাদ কোরক থাকে। প্রতিটি কোরক ৫০ থেকে ১০০টি কোষ নিয়ে গঠিত। এগুলো সব ধরনের স্বাদ–নোনতা, টক, মিষ্টি, তিক্ত এবং উমামি চিহ্নিত করতে পারে। কিছু খাবার ঠান্ডা খেতেই ভালো লাগে যেমন–আইসক্রিম, জুস। আবার কিছু খাবার গরম খেতে ভালো লাগে, যেমন— চা, কফি।
তবে গরম খাবার মানেই ভালো সব সময় কিন্তু এমন নয়, বরং এটি কোনো নির্দিষ্ট স্বাদকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ক্র্যানবেরির রস (এক ধরনের বেরির জুস) স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তীব্র স্বাদের। এটি গরম করলে সেই স্বাদের তীব্রতা আরও বাড়ে।
এই সূক্ষ্ম ভারসাম্য এবং স্বাদ গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার মাধ্যমে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নকল করতে পারেন খাদ্য বিজ্ঞানীরা। এসব খাবারের স্বাদ নকল মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে আগ্রহী করে তুলতে পারে।
তাই বলা যায়, বিবর্তনের ইতিহাসের ধারাবাহিকতায়, মানুষের স্বাদগ্রাহক কোরকগুলো মূলত গরম খাবার পছন্দ করতে বিকশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স এবিসি

সকালে উঠেই ফ্রিজ খুলে এক বাটি ভাত দেখতে পেলে মন খুশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু বিরক্তও লাগে। কারণ ভাত দেখতে আগের মতো হলেও এর স্বাদ গত রাতের মতো নেই। খাওয়ার উপযোগী করতে একে গরম করতে হবে। সে সময় মনে হতে পারে, খাবারের স্বাদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কেন এতটা পার্থক্য তৈরি করে কেন! ঠান্ডা ভাত খেতে ভালো লাগে না কেন।
এর ছোট উত্তর হলো—মানব প্রজাতির বিবর্তনের ফলে গরম খাবারকে ঠান্ডা খাবারের তুলনায় বেশি পছন্দ করি আমরা। কারণ খাবার গরম করার ফলে মানুষের শরীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পায়। গরম খাবার খাওয়ার ফলে শরীর দ্রুত শক্তি ও পুষ্টি পায় এবং তা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। রাসায়নিকভাবে, গরম খাবার আমাদের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়। কারণ এটি আমাদের স্বাদ গ্রন্থিগুলোর আণুবীক্ষণিক চ্যানেলগুলোর কার্যকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
বিষয়টি নিয়ে আরও বিশ্লেষণ করা যাক।
কয়েক মিলিয়ন বছর আগে, মানুষ যখন আগুনের ব্যবহার আবিষ্কার করেনি, তখন পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীর মতো শুধু ঠান্ডা খাবারই খেত মানুষ। খাবার কাঁচা খাওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু প্রায় ২ মিলিয়ন বা ২০ লাখ বছর আগে, হোমো ইরেক্টাস (আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ) আকস্মিকভাবে আগুন আবিষ্কার করে, যা মানুষের বিবর্তনের গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। প্রাচীন মানুষেরা আগুন জ্বালিয়ে খাবার রান্না শিখল, শিকারি প্রাণীর থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারল, সম্পূর্ণ রাতের ঘুম নিশ্চিত হলো। এর ফলে মস্তিষ্কের উন্নতির প্রাথমিক পর্যায় ত্বরান্বিত হলো।
এভাবে প্রথমবারের মতো শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য মানুষ বাইরের সাহায্য নিল। ঠান্ডা খাবার চিবানো ও হজম করতে শরীরকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কারণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় শুধুমাত্র লালা ও পাকস্থলীর রস নিঃসরণের মাধ্যমে। তবে গরম খাবার এই হজমের প্রক্রিয়াটি সহজ করে দেয়। কারণ আগুনের তাপগতীয় প্রতিক্রিয়ায় খাবার আগেই কিছুটা নরম হয়। এ ছাড়া কাঁচা খাবার খেতে সময়ও বেশি লাগে।
তাপ দিলে মাংস, শস্য ও সবজির মৌলিক প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটে, ফলে এগুলো হজম করা অনেক সহজ হয়ে যায়। গরুর মতো তৃণভোজী প্রাণীর কথা ভাবুন, যেগুলোর একাধিক পাকস্থলী রয়েছে। এরা একবার চিবানোর পর গিলে ফেলা খাবার পাকস্থলী থেকে মুখে এনে আরেকবার চিবায়। এভাবে হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় ও শ্রম দুটোই ব্যয় করতে হয়।
এর বিপরীতে খাবার গরম করতে শেখার মাধ্যমে মানুষ মানসিক ও শারীরিক শক্তি অন্য বড় কাজের দিকে নিয়োজিত করতে পারল। এই দীর্ঘ বিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের শরীর এখন কাঁচা মাংস সহ্যই করতে পারে না। মানুষের পেটের অ্যাসিড এতটা শক্তিশালী নয়। গত ২০ লাখ বছরের মধ্যে পেটে এমন বিবর্তনীয় পরিবর্তন ঘটেছে।
খাবার গরম করার সুবিধা শুধু সহজে হজম হওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি খাদ্যবাহিত রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া গরম করার সময় খাবারের অণুগুলো আরও প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে এবং এসব অণু ঘ্রাণের আকারে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন, রান্নার ঘ্রাণ মানুষকে খাবারের প্রতি আকৃষ্ট করে, রুচি বাড়ায়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মানুষের ঘ্রাণশক্তি বিবর্তিত হয়েছে যাতে এমন খাবার খেতে উৎসাহিত হয়, যা তার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
স্বাদ ও গন্ধ সম্পর্কে অনেক গবেষণা হয়েছে। কারণ গ্রাহকেরা কোন স্বাদ ও গন্ধ পছন্দ করে সে সম্পর্কে সবকিছু বুঝতে চায় খাদ্য প্রস্তুতকারীরা। তারা আরও জানতে চায়, কীভাবে অপ্রিয় স্বাদগুলো দূর করা যায়।
স্বাদ মানুষের জিভের টেস্ট বাড বা স্বাদ কোরকের ওপর নির্ভর করে। মানুষের স্বাদ গ্রহণকারী কোরকের ছোট ছোট চ্যানেলগুলো নির্দিষ্ট স্বাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈদ্যুতিক সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়। এগুলো উচ্চ তাপমাত্রায় আরও কার্যকরভাবে কাজ করে। গরম খাবার ও পানীয়তে মুখে টক, মিষ্টি, তিতা ও অস্বস্তিকর স্বাদগুলো আরও তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এটি ভালো এবং খারাপ উভয় প্রকারের স্বাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে এই ক্ষেত্রে বড় ব্যতিক্রম হলো—তিক্ত বা তিতা স্বাদ। ঠান্ডা অবস্থায় এই স্বাদ আরও তীব্র হয়।
উদাহরণস্বরূপ, মানুষ গরম কফি পছন্দ করে, কারণ কফির তিতা স্বাদ গরম অবস্থায় তেমন একটা টের পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, আইসক্রিমের কথা চিন্তা করুন: মিষ্টি স্বাদটি তখনই অনুভূত হয় যখন আইসক্রিম আমাদের মুখে গলতে শুরু করে। তবে আইসক্রিমটি চাটলে এত তীব্রভাবে মিষ্টি অনুভূত হয় না। কারণ জিভের ছোট ছোট স্বাদগ্রাহক চ্যানেলগুলো ঠান্ডা হলে তেমন কার্যকরভাবে কাজ করে না।
মানুষের জিভে গড়ে ১০ হাজারেও বেশি স্বাদ কোরক থাকে। প্রতিটি কোরক ৫০ থেকে ১০০টি কোষ নিয়ে গঠিত। এগুলো সব ধরনের স্বাদ–নোনতা, টক, মিষ্টি, তিক্ত এবং উমামি চিহ্নিত করতে পারে। কিছু খাবার ঠান্ডা খেতেই ভালো লাগে যেমন–আইসক্রিম, জুস। আবার কিছু খাবার গরম খেতে ভালো লাগে, যেমন— চা, কফি।
তবে গরম খাবার মানেই ভালো সব সময় কিন্তু এমন নয়, বরং এটি কোনো নির্দিষ্ট স্বাদকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ক্র্যানবেরির রস (এক ধরনের বেরির জুস) স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তীব্র স্বাদের। এটি গরম করলে সেই স্বাদের তীব্রতা আরও বাড়ে।
এই সূক্ষ্ম ভারসাম্য এবং স্বাদ গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার মাধ্যমে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নকল করতে পারেন খাদ্য বিজ্ঞানীরা। এসব খাবারের স্বাদ নকল মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে আগ্রহী করে তুলতে পারে।
তাই বলা যায়, বিবর্তনের ইতিহাসের ধারাবাহিকতায়, মানুষের স্বাদগ্রাহক কোরকগুলো মূলত গরম খাবার পছন্দ করতে বিকশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স এবিসি

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

সকালে উঠেই ফ্রিজ খুলে এক বাটি ভাত দেখতে পেলে মন খুশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু বিরক্তও লাগে। কারণ ভাত দেখতে আগের মতো হলেও এর স্বাদ গত রাতের মতো নেই। খাওয়ার উপযোগী করতে একে গরম করতে হবে। সে সময় মনে হতে পারে, খাবারের স্বাদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কেন এতটা পার্থক্য তৈরি করে কেন! ঠান্ডা ভাত খেতে ভালো লাগে না
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

সকালে উঠেই ফ্রিজ খুলে এক বাটি ভাত দেখতে পেলে মন খুশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু বিরক্তও লাগে। কারণ ভাত দেখতে আগের মতো হলেও এর স্বাদ গত রাতের মতো নেই। খাওয়ার উপযোগী করতে একে গরম করতে হবে। সে সময় মনে হতে পারে, খাবারের স্বাদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কেন এতটা পার্থক্য তৈরি করে কেন! ঠান্ডা ভাত খেতে ভালো লাগে না
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

সকালে উঠেই ফ্রিজ খুলে এক বাটি ভাত দেখতে পেলে মন খুশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু বিরক্তও লাগে। কারণ ভাত দেখতে আগের মতো হলেও এর স্বাদ গত রাতের মতো নেই। খাওয়ার উপযোগী করতে একে গরম করতে হবে। সে সময় মনে হতে পারে, খাবারের স্বাদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কেন এতটা পার্থক্য তৈরি করে কেন! ঠান্ডা ভাত খেতে ভালো লাগে না
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

সকালে উঠেই ফ্রিজ খুলে এক বাটি ভাত দেখতে পেলে মন খুশি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু বিরক্তও লাগে। কারণ ভাত দেখতে আগের মতো হলেও এর স্বাদ গত রাতের মতো নেই। খাওয়ার উপযোগী করতে একে গরম করতে হবে। সে সময় মনে হতে পারে, খাবারের স্বাদের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কেন এতটা পার্থক্য তৈরি করে কেন! ঠান্ডা ভাত খেতে ভালো লাগে না
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে