নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা থাকে। তার পরও একই দিনে কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ফলে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’তে শান্তি বজায় থাকেনি। গতকাল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে দেশের অনেক স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় দলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে। তবে বিএনপি দাবি করেছে, অন্তত ৫০ জেলায় হামলা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন তিন শতাধিক নেতা-কর্মী। নিত্যপণ্য ও গ্যাসের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সারা দেশে ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা করে বিএনপি। অন্যদিকে পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে ‘নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ’ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
পদযাত্রার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল দুপুরে সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ওই সংঘর্ষে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগানের গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে পুলিশ ও বিএনপি। পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহর অভিযোগ, পুলিশ পদযাত্রায় উসকানিমূলকভাবে বাধা দিতে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে এবং টিয়ার গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়েছে।
অন্যদিকে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। রাস্তা ছাড়তে বললে উল্টো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং বেশ কিছু দোকানপাট ও বসতবাড়িতেও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি। শান্তি সমাবেশের জন্য সেখানে আগে থেকে অবস্থান নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির পদযাত্রা তাঁদের সামনে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে কক্সবাজারের টেকনাফেও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির কর্মীরা। গতকাল বিকেলে হ্নীলা বাজারে এই সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নরসিংদীর পলাশে পদযাত্রা পণ্ড করতে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, পদযাত্রা পণ্ড করতে শুরু থেকে পথ রোধ করে পুলিশ। তিনবার বাধা দিয়েও কাজ না হওয়ায় শেষে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে ও লাঠিপেটা করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে তারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় পদযাত্রা করতে দেওয়া হয়নি।
নাটোরে বিএনপির মঞ্চ দখল করে সমাবেশ করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে ছাতনী ইউনিয়নের দিয়াড় মাদ্রাসাঘাট বটতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করে এগোতে থাকলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চ দখল করেন। পরে সেখানে তাঁরা সমাবেশ করেন। খবর পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মঞ্চের দিকে ফিরে এলেও সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বরগুনার পাথরঘাটায় বিএনপির পদযাত্রার আগে লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হামলা চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সকালে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলায় দলটির সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান বলেও অভিযোগ করেছেন পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এরফান আহমেদ। ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ালিদ।
নেতা-কর্মীদের আটক
ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি বানচাল করতে নেতা-কর্মীদের আটক ও পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। গতকাল রাতে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত অন্তত ৯৬ জন নেতা-কর্মীকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বলেন, বিএনপির পদযাত্রা বানচাল করতে শুক্রবার রাতে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ভীতি ছড়িয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি তিন মাস আগের নাশকতার গায়েবি মামলায় সাত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পদযাত্রা বানচাল বা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা থাকায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বরগুনার বেতাগীতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পদযাত্রার প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহাম্মেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে আমার বাসায় হামলা চালান। আমার স্ত্রী ও মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার দিলে তাদের ঘরের ভেতর আটকে রাখেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাজী জালাল আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, এই অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানান বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা থাকে। তার পরও একই দিনে কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ফলে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’তে শান্তি বজায় থাকেনি। গতকাল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে দেশের অনেক স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় দলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে। তবে বিএনপি দাবি করেছে, অন্তত ৫০ জেলায় হামলা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন তিন শতাধিক নেতা-কর্মী। নিত্যপণ্য ও গ্যাসের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সারা দেশে ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা করে বিএনপি। অন্যদিকে পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে ‘নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ’ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
পদযাত্রার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল দুপুরে সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ওই সংঘর্ষে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগানের গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে পুলিশ ও বিএনপি। পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহর অভিযোগ, পুলিশ পদযাত্রায় উসকানিমূলকভাবে বাধা দিতে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে এবং টিয়ার গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়েছে।
অন্যদিকে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। রাস্তা ছাড়তে বললে উল্টো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং বেশ কিছু দোকানপাট ও বসতবাড়িতেও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি। শান্তি সমাবেশের জন্য সেখানে আগে থেকে অবস্থান নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির পদযাত্রা তাঁদের সামনে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে কক্সবাজারের টেকনাফেও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির কর্মীরা। গতকাল বিকেলে হ্নীলা বাজারে এই সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নরসিংদীর পলাশে পদযাত্রা পণ্ড করতে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, পদযাত্রা পণ্ড করতে শুরু থেকে পথ রোধ করে পুলিশ। তিনবার বাধা দিয়েও কাজ না হওয়ায় শেষে ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে ও লাঠিপেটা করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে তারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় পদযাত্রা করতে দেওয়া হয়নি।
নাটোরে বিএনপির মঞ্চ দখল করে সমাবেশ করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে ছাতনী ইউনিয়নের দিয়াড় মাদ্রাসাঘাট বটতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করে এগোতে থাকলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চ দখল করেন। পরে সেখানে তাঁরা সমাবেশ করেন। খবর পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মঞ্চের দিকে ফিরে এলেও সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বরগুনার পাথরঘাটায় বিএনপির পদযাত্রার আগে লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হামলা চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সকালে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলায় দলটির সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান বলেও অভিযোগ করেছেন পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এরফান আহমেদ। ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ালিদ।
নেতা-কর্মীদের আটক
ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি বানচাল করতে নেতা-কর্মীদের আটক ও পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। গতকাল রাতে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত অন্তত ৯৬ জন নেতা-কর্মীকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বলেন, বিএনপির পদযাত্রা বানচাল করতে শুক্রবার রাতে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ভীতি ছড়িয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি তিন মাস আগের নাশকতার গায়েবি মামলায় সাত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পদযাত্রা বানচাল বা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা থাকায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বরগুনার বেতাগীতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পদযাত্রার প্রস্তুতি সভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহাম্মেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে আমার বাসায় হামলা চালান। আমার স্ত্রী ও মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার দিলে তাদের ঘরের ভেতর আটকে রাখেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাজী জালাল আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, এই অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানান বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা থাকে। তারপরও একই দিনে কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ফলে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’তে শান্তি বজায় থাকেনি। গতকাল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে দেশের অনেক স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা থাকে। তারপরও একই দিনে কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ফলে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’তে শান্তি বজায় থাকেনি। গতকাল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে দেশের অনেক স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা থাকে। তারপরও একই দিনে কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ফলে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’তে শান্তি বজায় থাকেনি। গতকাল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে দেশের অনেক স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা থাকে। তারপরও একই দিনে কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ফলে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’তে শান্তি বজায় থাকেনি। গতকাল শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে দেশের অনেক স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে