Ajker Patrika

বিএনপির প্রার্থিতা: ৭ জেলায় বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

  • গৌরীপুরে সংঘর্ষের সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু।
  • লাকসামে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত নেত্রীসহ আহত ১৫।
  • গাইবান্ধার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ময়মনসিংহ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় চেয়ার-টেবিল। গতকাল গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় চেয়ার-টেবিল। গতকাল গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের কারণে গতকালও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০) নামের এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

এ ছাড়া কুমিল্লার লাকসামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত নেত্রী সামিরা আজিম দোলাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ময়মনসিংহে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন আটজন। গাইবান্ধার সাঘাটায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধে সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। বগুড়া-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ হয়েছে। রংপুর, শেরপুর ও চাঁদপুরেও বিক্ষোভ করেছে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিতদের অনুসারীরা।

গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরনের আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা চলছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের সমর্থকেরা সেখানে গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করে। পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠান। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় মারা যান তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০) নামের এক ছাত্রদল কর্মী।

গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তালুকদার আকাশ বলেন, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেনের সমাবেশের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবিদ। এ সময় তাঁকে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জ্ঞান ফিরে না আসায় দ্রুত সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্টফেল করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে কোনো আঘাতে আবিদ মারা যায়নি।

তানজিন আহমেদ আবিদ ময়মনসিংহের কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। তাঁর বাবা দক্ষিণ জেলা ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম দেওয়ান মো. আবুল হোসেন।

কুমিল্লার লাকসামে গতকাল বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত সামিরা আজিম দোলাও রয়েছেন। তিনি সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে।

গতকাল কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও এলাকায় গণসংযোগে যান সামিরা আজিম দোলা। এ সময় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মো. আবুল কালামের অনুসারীদের সঙ্গে তাঁর সমর্থকদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে এটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

সামিরা আজিম দোলা বলেন, ‘পূর্বঘোষিত গণসংযোগে যাওয়ার পথে আবুল কালামের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।’

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, ‘তাঁরা গণসংযোগের নামে এলাকায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে দুজনের মাথা ফেটে যায় এবং সাত-আটজন আহত হয়।’

এদিকে কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে গতকাল নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব চৌধুরীর স্ত্রী নাসরিন খানম।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের বদলে মনিরুল হক চৌধুরীকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ তিনি নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের কাছে অপেক্ষাকৃত ‘কম পরিচিত’। দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশেও তাঁকে দেখা যায়নি। ফলে প্রার্থিতা পরিবর্তন না করা হলে এ আসনে দলের বিজয় নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের ঘোষিত শোডাউনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় গতকাল জেলার সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এ-সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়, একই দিনে বিএনপির দুই পক্ষের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়কে গতকাল প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকতের অনুসারীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী শাহজাহান মিঞার বদলে শাহিন শওকতকে সম্ভাব্য প্রার্থী করার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু করে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। এ সময় তাঁরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এতে সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে নেতা-কর্মীদের একাংশ। গতকাল সন্ধ্যায় সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের এক সমাবেশে তাঁকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে গত শুক্রবার নির্বাচনী সমাবেশে দেওয়া কাজী রফিকুল ইসলামের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ধানের শীষের বিজয় মানে নৌকার বিজয়।’ তবে তাঁর দাবি, ওই ভিডিও সম্পাদিত।

যদিও সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির বলেন, সমাবেশে উপস্থিত লোকজন আমাকে বলেছেন, কাজী রফিকুল ইসলাম ‘ধানের শীষের বিজয় মানে নৌকার বিজয় বলেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি ১৭ বছর দলকে সংগঠিত করেছি। মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। তারপরেও এলাকা ছেড়ে যাইনি। বিশ্বাস ছিল মনোনয়ন পাব। তবে আমি এখনো হতাশ নই, আমার বিশ্বাস মনোনয়ন পরিবর্তন হবে।’

রংপুর-৩ (সদর) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত মাহফুজ উন নবী ডনের সমর্থনে নগরীতে গণমিছিল হয়েছে। জিলা স্কুল মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন রোড হয়ে বুদু বাবুর মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডলের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত তিন প্রার্থীর অনুসারীরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে এর আয়োজন করা হয়।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সম্ভাব্য প্রার্থিতাবঞ্চিত জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মাসুদের অনুসারীরা। গতকাল বিকেলে শহরের রঘুনাথ বাজারে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানকে সম্ভাব্য প্রার্থী করার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সন্ধ্যার পর ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হওয়া মিছিলটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। পরে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কে অগ্নিসংযোগ ও অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা।

[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা]

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।

এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতালে খালেদার শেষ দিনগুলো

  • গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ারে ভর্তি হন খালেদা জিয়া।
  • টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।

শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।

পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্‌যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেড় দশকের ছায়াসঙ্গী ফাতেমা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।

২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।

ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।

স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।

ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে খালেদা জিয়া যেমন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৬
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।

ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’

চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত