রংপুর প্রতিনিধি

সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের পল্লিনিবাসে শায়িত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন যাদের মাধ্যমে হবে তারাও সরকারের পক্ষে। সবকিছুই এখন সরকারদলীয় হয়ে গেছে। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না বরং পক্ষপাতিত্ব হয়। সরকারি কর্মকর্তারা, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরাসরি সরকারদলীয় হিসেবে কাজ করে। এ জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও সম্ভব নয়।
স্বাধীন দেশের নাগরিকদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একটা অনীহা দেখা দিয়েছে দাবি করে জিএম কাদের বলেন, ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। রাষ্ট্রীয় সকল কাজকর্ম জনগণের ইচ্ছেমতো হবে, এটাই আমাদের প্রজাতন্ত্র বা গণতন্ত্র। কিন্তু জনগণের প্রতিনিধি যেভাবে প্রতিনিধিত্ব করবে, তা এখন আর হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধি কথামতো না চললে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাঁকে পরিবর্তন করবে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ কারণে জনগণ এখন রাজনীতি ও নির্বাচনবিমুখ হয়েছে।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু যেভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে, তা দেশের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের যে মূল চেতনা, তা এখন সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কারণ, জনগণ এখন দেশের প্রকৃত মালিক নয়। সঠিক নির্বাচন যত দিন হবে না, তত দিন আমরা প্রজাতন্ত্রে বা গণতন্ত্রে আছি এটা বলা যাবে না।’
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের সংবিধান এবং ভারতের সংবিধানে মিল রয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারছি না। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এ কারণে এখন জবাবদিহিমূলক নির্বাচন হচ্ছে না। সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। সরকার সবকিছু নিজে কুক্ষিগত করে রেখেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এখন দেশের যে সার্বিক অবস্থা তা থেকে উত্তরণে সরকারকে আগে উদ্যোগ নিতে হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সবাইকে নিয়ে বসে এর সমাধানও বের করতে হবে। কারণ, এখন সরকারই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে সামনের দিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত। নির্বাচনের আগের পরিবেশপরিস্থিতি বুঝে জাতীয় পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে।’
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো সুযোগ নেওয়ার রাজনীতি করে না। আমরা দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করছি। মানুষ এখনো জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে। আর বিএনপি-আওয়ামী লীগ যেভাবে একে অপরকে কামড়াকামড়ি করছে, এ কারণে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কাকে ভোট দেবে। কাজেই আমরা যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রত্যাশার রাজনীতি করতে পারি, তাহলে ৮০ ভাগ মানুষের অনেকেই ভোট দেবে।’
এ সময় রংপুর জেলা ও মহানগর জাপার সভাপতি রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জেলার সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগরের সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের পল্লিনিবাসে শায়িত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন যাদের মাধ্যমে হবে তারাও সরকারের পক্ষে। সবকিছুই এখন সরকারদলীয় হয়ে গেছে। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না বরং পক্ষপাতিত্ব হয়। সরকারি কর্মকর্তারা, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরাসরি সরকারদলীয় হিসেবে কাজ করে। এ জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও সম্ভব নয়।
স্বাধীন দেশের নাগরিকদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে একটা অনীহা দেখা দিয়েছে দাবি করে জিএম কাদের বলেন, ‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। রাষ্ট্রীয় সকল কাজকর্ম জনগণের ইচ্ছেমতো হবে, এটাই আমাদের প্রজাতন্ত্র বা গণতন্ত্র। কিন্তু জনগণের প্রতিনিধি যেভাবে প্রতিনিধিত্ব করবে, তা এখন আর হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধি কথামতো না চললে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাঁকে পরিবর্তন করবে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ কারণে জনগণ এখন রাজনীতি ও নির্বাচনবিমুখ হয়েছে।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু যেভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে, তা দেশের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের যে মূল চেতনা, তা এখন সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কারণ, জনগণ এখন দেশের প্রকৃত মালিক নয়। সঠিক নির্বাচন যত দিন হবে না, তত দিন আমরা প্রজাতন্ত্রে বা গণতন্ত্রে আছি এটা বলা যাবে না।’
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের সংবিধান এবং ভারতের সংবিধানে মিল রয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারছি না। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এ কারণে এখন জবাবদিহিমূলক নির্বাচন হচ্ছে না। সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। সরকার সবকিছু নিজে কুক্ষিগত করে রেখেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু এখন দেশের যে সার্বিক অবস্থা তা থেকে উত্তরণে সরকারকে আগে উদ্যোগ নিতে হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সবাইকে নিয়ে বসে এর সমাধানও বের করতে হবে। কারণ, এখন সরকারই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারণে সামনের দিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত। নির্বাচনের আগের পরিবেশপরিস্থিতি বুঝে জাতীয় পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে।’
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো সুযোগ নেওয়ার রাজনীতি করে না। আমরা দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করছি। মানুষ এখনো জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে। আর বিএনপি-আওয়ামী লীগ যেভাবে একে অপরকে কামড়াকামড়ি করছে, এ কারণে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কাকে ভোট দেবে। কাজেই আমরা যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রত্যাশার রাজনীতি করতে পারি, তাহলে ৮০ ভাগ মানুষের অনেকেই ভোট দেবে।’
এ সময় রংপুর জেলা ও মহানগর জাপার সভাপতি রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জেলার সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগরের সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত প্রার্থীরা ৩১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভেতরে অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দলটির একাধিক নারী নেত্রী প্রকাশ্যেই আপত্তি তুলেছেন। কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কারাবন্দী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তাঁর হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। আর বর্তমান ও পূর্বতন পেশা হিসেবে চিকিৎসক উল্লেখ করলেও সেখান থেকে কোনো আয় দেখাননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত প্রার্থীরা ৩১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

জেএসডির প্রার্থীরা হলেন তানিয়া রব (লক্ষ্মীপুর-৪), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া (নোয়াখালী-৩), অ্যাডভোকেট কে এম জাবির (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী (নোয়াখালী-৩), অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন (ঢাকা-১০), আজিজুর রহমান (রংপুর-২), মো. ফজলুর ইসলাম খান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), ইলোরা খাতুন সোমা, (সিরাজগঞ্জ-৬), আবু মুসা (যশোর-৪), আব্দুল লতিফ খান (বাগেরহাট-৩), হাবিবুর রহমান মাস্টার (বাগেরহাট-২), খালেকুজ্জামান মোস্তফা (টাঙ্গাইল-৫), মোহাম্মদ আমির উদ্দিন (জামালপুর-৫), শিরীন আকতার (কুমিল্লা-৫), অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা শাহজাদ ভূঁইয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), ইউসুফ তালুকদার (চট্টগ্রাম-১), অ্যাডভোকেট আবদুল মবিন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯), মো. সোহরাব হোসেন (ঝালকাঠি-১), মাসুদ পারভেজ সোহেল (ঝালকাঠি-২), মোশারেফ হোসেন মন্টু (নোয়াখালী-২), আবদুল মোতালিব মাস্টার (নোয়াখালী-৬), ড. গিয়াস উদ্দিন (কুষ্টিয়া-১), অধ্যাপক রেহানা জিলানী (নোয়াখালী-১), হারুন উর রশিদ বাবুল (লক্ষ্মীপুর-৩), অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মজুমদার (ফেনী-৩), অ্যাডভোকেট প্রসেনজিৎ দত্ত (খুলনা-১), আব্দুল্লাহ আল ওয়াকিং (বগুড়া-৬), শাহানা সুলতানা (ঢাকা-৭), নুরুল আমিন (ঢাকা-১৪), আরিফা আক্তার বেবী (ফরিদপুর-৩) ও ওবায়দুল করিম মোহন (কুমিল্লা-৬)।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত প্রার্থীরা ৩১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

জেএসডির প্রার্থীরা হলেন তানিয়া রব (লক্ষ্মীপুর-৪), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া (নোয়াখালী-৩), অ্যাডভোকেট কে এম জাবির (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী (নোয়াখালী-৩), অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন (ঢাকা-১০), আজিজুর রহমান (রংপুর-২), মো. ফজলুর ইসলাম খান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), ইলোরা খাতুন সোমা, (সিরাজগঞ্জ-৬), আবু মুসা (যশোর-৪), আব্দুল লতিফ খান (বাগেরহাট-৩), হাবিবুর রহমান মাস্টার (বাগেরহাট-২), খালেকুজ্জামান মোস্তফা (টাঙ্গাইল-৫), মোহাম্মদ আমির উদ্দিন (জামালপুর-৫), শিরীন আকতার (কুমিল্লা-৫), অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা শাহজাদ ভূঁইয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), ইউসুফ তালুকদার (চট্টগ্রাম-১), অ্যাডভোকেট আবদুল মবিন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯), মো. সোহরাব হোসেন (ঝালকাঠি-১), মাসুদ পারভেজ সোহেল (ঝালকাঠি-২), মোশারেফ হোসেন মন্টু (নোয়াখালী-২), আবদুল মোতালিব মাস্টার (নোয়াখালী-৬), ড. গিয়াস উদ্দিন (কুষ্টিয়া-১), অধ্যাপক রেহানা জিলানী (নোয়াখালী-১), হারুন উর রশিদ বাবুল (লক্ষ্মীপুর-৩), অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মজুমদার (ফেনী-৩), অ্যাডভোকেট প্রসেনজিৎ দত্ত (খুলনা-১), আব্দুল্লাহ আল ওয়াকিং (বগুড়া-৬), শাহানা সুলতানা (ঢাকা-৭), নুরুল আমিন (ঢাকা-১৪), আরিফা আক্তার বেবী (ফরিদপুর-৩) ও ওবায়দুল করিম মোহন (কুমিল্লা-৬)।

সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন যাদের মাধ্যমে হবে তারাও সরকারের পক্ষে। সবকিছুই এখন সরকারদলীয় হয়ে গেছে। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না বরং পক্ষপাতিত্ব হয়। সরকারি কর্মকর্তারা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি সরকারদলীয় হিসেবে কাজ করে...
০২ মার্চ ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভেতরে অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দলটির একাধিক নারী নেত্রী প্রকাশ্যেই আপত্তি তুলেছেন। কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কারাবন্দী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তাঁর হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। আর বর্তমান ও পূর্বতন পেশা হিসেবে চিকিৎসক উল্লেখ করলেও সেখান থেকে কোনো আয় দেখাননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেঅর্চি হক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভেতরে অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দলটির একাধিক নারী নেত্রী প্রকাশ্যেই আপত্তি তুলেছেন। কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আবার কেউ নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় থাকার কথা জানিয়েছেন। এতে তরুণদের এই দলের সাংগঠনিক ঐক্য ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ ও মধ্যপন্থী রাজনীতির প্রত্যাশা নিয়ে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়। দলটি শুরুতে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই ঘোষণার ভিত্তিতেই সারা দেশে মনোনয়ন সংগ্রহ ও প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম চলে। কিন্তু হঠাৎ করেই জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আসে, যা দলের ভেতর বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
দুজনের পদত্যাগ
জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ ডিসেম্বর ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে এনসিপি। এর মধ্যে ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী হিসেবে তাসনিম জারা ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে তাজনূভা জাবীনের নাম ছিল।
জামায়াতের সঙ্গে এনসিপি নির্বাচনী সমঝোতার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগের কথা জানান এই দুই নেত্রী।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাসনিম জারা নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।
এরপর গতকাল রোববার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাজনূভা জাবীন। তিনি পোস্টে লেখেন, ‘ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশায় ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ।’
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুজন
দল থেকে পদত্যাগ না করলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এনসিপির আরও দুই নেত্রী। তাঁরা হলেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। মনিরা শারমিন নওগাঁ-৫ ও মনজিলা ঝুমা খাগড়াছড়ি থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
গতকাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে মনিরা শারমিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থী রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ–৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সাথে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের চেয়ে আমার গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এনসিপির এই নেত্রী আরও লেখেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
অন্য দিকে মনজিলা ঝুমা গতকাল রাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল। ২৪ তারিখে আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়ন উত্তোলন করেছে। আগামীকাল জমা দেওয়ার লাস্ট ডেইট। আজ প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তবে আমি বিশ্বাস করি তরুণরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’
মনজিলা ঝুমা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তিনি এর কারণ জানাননি। গত শনিবার তিনি ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলামের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছিলেন।
নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকবেন একাধিক নেত্রী
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম গতকাল রাতে ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে জানান, তিনি নির্বাচনকালে নিষ্ক্রিয় থাকবেন। নুসরাত কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে এনসিপি থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। তবে প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় তাঁর নাম ছিল না।
ফেসবুক পোস্টে নুসরাত লেখেন, ‘আজ ২৮ ডিসেম্বর ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামীসহ ১০–দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে জনাব আহ্বায়ক (নাহিদ ইসলাম) মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত, বিশেষ করে মনোনয়ন নেওয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি। এ সমস্ত ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সব কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনাক্রমে যেকোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করছি।’
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে সামান্তা লিখেছেন, ‘মধ্যমপন্থায় পৌঁছানো কোনো সহজ বা তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়া নয়। ভিন্ন মতাদর্শ ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আসা মানুষদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) মতভিন্নতা ও অভ্যন্তরীণ বিতর্ক স্বাভাবিক ও অনিবার্য। পার্টির মাত্র দশ মাসের পথচলায় সাংগঠনিক মধ্যমপন্থার চূড়ান্ত রূপ নির্ধারিত হয়ে যাবে—এমন প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত নয়। ফলত ‘‘ইনার পার্টি স্ট্রাগল’’ একটা অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা হয়ে উঠেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সমঝোতার প্রসঙ্গ টেনে সামান্তা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনী কৌশল, বিশেষত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোট ও আসন সমঝোতার প্রশ্নে পার্টির ভেতরে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। আমি এই বিষয়ে আমার ভিন্নমত প্রকাশ করেছি। প্রত্যেকে নিজ নিজ রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও বাস্তবতার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই অবস্থান নিয়েছে; কোনটি সঠিক, তা সময়ই নির্ধারণ করবে।’
অপর দিকে এনসিপির হয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী। আজ এক ফেসবুক পোস্টে দ্যুতি লেখেন, ‘নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না, সেটা আমার দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নয়। বরং আমার দলের সিদ্ধান্ত দলের বহু নেতা-কর্মীর স্বপ্নভঙ্গের কারণ বলে মনে করি।’
এ ছাড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা আপাতত পদত্যাগ করবেন না। তবে দলের নির্বাচনী কার্যক্রম ও প্রচারে তাঁরা অংশ নেবেন না।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন নেতা আপত্তি জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বরাবর স্মারকলিপি দেন। এই ৩০ জনের মধ্যে পাঁচজন নারী নেত্রী। তাঁরা হলেন—যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দা নীলিমা দোলা।
এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন আজকের পত্রিকাকে জানান, জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর তাঁরা ছয়জন নেত্রী দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দেখা করে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সেখানে মনিরা শারমিন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, তাজনূভা জাবীন, তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুম ও নাহিদা সারওয়ার নিভা। তাঁরা সেদিন নাহিদ ইসলামকে জানিয়েছিলেন, জামায়াতকে সঙ্গী করলে এই নারী নেত্রীরা নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
মনিরা শারমিন বলেন, নাহিদ ইসলাম এক মাস আগেও বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসের দায় রয়েছে। যাদের ইতিহাসের দায় রয়েছে, এনসিপি তাদের সঙ্গে জোটে যাবে না। অথচ এখন সেই জোটেই যাওয়া হলো। যদিও বলা হচ্ছে, এটা নির্বাচনী সমঝোতা, আদর্শিক জোট নয়। কিন্তু এই সমঝোতাও এনসিপির আদর্শের পরিপন্থী।
নারী নেত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, কেউ দলে থাকবে কি না বা নির্বাচন করবে কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
এনসিপির নারী নেত্রীদের একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোটের পক্ষে আস্থা রাখার কথা জানিয়েছে। গত শনিবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ১১৪ জন নেতা জোট বা সমঝোতার প্রতি আস্থা জানিয়ে নাহিদ ইসলামকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সাতজন নারী নেত্রী রয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটে যাওয়ায় দলে বিভাজনের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, যেকোনো মতামতের ক্ষেত্রে কারও ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, মতামত থাকতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি, সারা দেশের নেতা–কর্মীরা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা জোটের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত। তিনি বলেন, ‘যারা বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তাদের আরও বোঝানোর চেষ্টা করব। আশা করি, তারা এনসিপির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গেই থাকবে।’
একাধিক নেত্রীর পদত্যাগ, সরে দাঁড়ানো ও নিষ্ক্রিয় থাকার ঘোষণায় স্পষ্ট, জামায়াতের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত এনসিপির ভেতরে গভীর বিভাজন তৈরি করেছে। সামনে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, এই সংকট দলটির সাংগঠনিক শক্তি ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে কোন পথে নিয়ে যায়, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভেতরে অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দলটির একাধিক নারী নেত্রী প্রকাশ্যেই আপত্তি তুলেছেন। কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আবার কেউ নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় থাকার কথা জানিয়েছেন। এতে তরুণদের এই দলের সাংগঠনিক ঐক্য ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ ও মধ্যপন্থী রাজনীতির প্রত্যাশা নিয়ে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়। দলটি শুরুতে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই ঘোষণার ভিত্তিতেই সারা দেশে মনোনয়ন সংগ্রহ ও প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম চলে। কিন্তু হঠাৎ করেই জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আসে, যা দলের ভেতর বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
দুজনের পদত্যাগ
জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ ডিসেম্বর ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে এনসিপি। এর মধ্যে ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী হিসেবে তাসনিম জারা ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে তাজনূভা জাবীনের নাম ছিল।
জামায়াতের সঙ্গে এনসিপি নির্বাচনী সমঝোতার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগের কথা জানান এই দুই নেত্রী।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাসনিম জারা নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।
এরপর গতকাল রোববার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাজনূভা জাবীন। তিনি পোস্টে লেখেন, ‘ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশায় ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ।’
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুজন
দল থেকে পদত্যাগ না করলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এনসিপির আরও দুই নেত্রী। তাঁরা হলেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। মনিরা শারমিন নওগাঁ-৫ ও মনজিলা ঝুমা খাগড়াছড়ি থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
গতকাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে মনিরা শারমিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থী রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ–৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সাথে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের চেয়ে আমার গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এনসিপির এই নেত্রী আরও লেখেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
অন্য দিকে মনজিলা ঝুমা গতকাল রাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল। ২৪ তারিখে আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়ন উত্তোলন করেছে। আগামীকাল জমা দেওয়ার লাস্ট ডেইট। আজ প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তবে আমি বিশ্বাস করি তরুণরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’
মনজিলা ঝুমা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তিনি এর কারণ জানাননি। গত শনিবার তিনি ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলামের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছিলেন।
নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকবেন একাধিক নেত্রী
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম গতকাল রাতে ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে জানান, তিনি নির্বাচনকালে নিষ্ক্রিয় থাকবেন। নুসরাত কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে এনসিপি থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। তবে প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় তাঁর নাম ছিল না।
ফেসবুক পোস্টে নুসরাত লেখেন, ‘আজ ২৮ ডিসেম্বর ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামীসহ ১০–দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে জনাব আহ্বায়ক (নাহিদ ইসলাম) মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত, বিশেষ করে মনোনয়ন নেওয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি। এ সমস্ত ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সব কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনাক্রমে যেকোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করছি।’
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে সামান্তা লিখেছেন, ‘মধ্যমপন্থায় পৌঁছানো কোনো সহজ বা তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়া নয়। ভিন্ন মতাদর্শ ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আসা মানুষদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) মতভিন্নতা ও অভ্যন্তরীণ বিতর্ক স্বাভাবিক ও অনিবার্য। পার্টির মাত্র দশ মাসের পথচলায় সাংগঠনিক মধ্যমপন্থার চূড়ান্ত রূপ নির্ধারিত হয়ে যাবে—এমন প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত নয়। ফলত ‘‘ইনার পার্টি স্ট্রাগল’’ একটা অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা হয়ে উঠেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সমঝোতার প্রসঙ্গ টেনে সামান্তা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনী কৌশল, বিশেষত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোট ও আসন সমঝোতার প্রশ্নে পার্টির ভেতরে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। আমি এই বিষয়ে আমার ভিন্নমত প্রকাশ করেছি। প্রত্যেকে নিজ নিজ রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও বাস্তবতার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই অবস্থান নিয়েছে; কোনটি সঠিক, তা সময়ই নির্ধারণ করবে।’
অপর দিকে এনসিপির হয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী। আজ এক ফেসবুক পোস্টে দ্যুতি লেখেন, ‘নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না, সেটা আমার দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নয়। বরং আমার দলের সিদ্ধান্ত দলের বহু নেতা-কর্মীর স্বপ্নভঙ্গের কারণ বলে মনে করি।’
এ ছাড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা আপাতত পদত্যাগ করবেন না। তবে দলের নির্বাচনী কার্যক্রম ও প্রচারে তাঁরা অংশ নেবেন না।
জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন নেতা আপত্তি জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বরাবর স্মারকলিপি দেন। এই ৩০ জনের মধ্যে পাঁচজন নারী নেত্রী। তাঁরা হলেন—যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দা নীলিমা দোলা।
এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন আজকের পত্রিকাকে জানান, জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর তাঁরা ছয়জন নেত্রী দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দেখা করে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সেখানে মনিরা শারমিন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, তাজনূভা জাবীন, তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুম ও নাহিদা সারওয়ার নিভা। তাঁরা সেদিন নাহিদ ইসলামকে জানিয়েছিলেন, জামায়াতকে সঙ্গী করলে এই নারী নেত্রীরা নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
মনিরা শারমিন বলেন, নাহিদ ইসলাম এক মাস আগেও বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসের দায় রয়েছে। যাদের ইতিহাসের দায় রয়েছে, এনসিপি তাদের সঙ্গে জোটে যাবে না। অথচ এখন সেই জোটেই যাওয়া হলো। যদিও বলা হচ্ছে, এটা নির্বাচনী সমঝোতা, আদর্শিক জোট নয়। কিন্তু এই সমঝোতাও এনসিপির আদর্শের পরিপন্থী।
নারী নেত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, কেউ দলে থাকবে কি না বা নির্বাচন করবে কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
এনসিপির নারী নেত্রীদের একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোটের পক্ষে আস্থা রাখার কথা জানিয়েছে। গত শনিবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ১১৪ জন নেতা জোট বা সমঝোতার প্রতি আস্থা জানিয়ে নাহিদ ইসলামকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সাতজন নারী নেত্রী রয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটে যাওয়ায় দলে বিভাজনের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, যেকোনো মতামতের ক্ষেত্রে কারও ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, মতামত থাকতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি, সারা দেশের নেতা–কর্মীরা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা জোটের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত। তিনি বলেন, ‘যারা বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তাদের আরও বোঝানোর চেষ্টা করব। আশা করি, তারা এনসিপির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গেই থাকবে।’
একাধিক নেত্রীর পদত্যাগ, সরে দাঁড়ানো ও নিষ্ক্রিয় থাকার ঘোষণায় স্পষ্ট, জামায়াতের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত এনসিপির ভেতরে গভীর বিভাজন তৈরি করেছে। সামনে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, এই সংকট দলটির সাংগঠনিক শক্তি ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে কোন পথে নিয়ে যায়, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।

সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন যাদের মাধ্যমে হবে তারাও সরকারের পক্ষে। সবকিছুই এখন সরকারদলীয় হয়ে গেছে। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না বরং পক্ষপাতিত্ব হয়। সরকারি কর্মকর্তারা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি সরকারদলীয় হিসেবে কাজ করে...
০২ মার্চ ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত প্রার্থীরা ৩১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কারাবন্দী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তাঁর হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। আর বর্তমান ও পূর্বতন পেশা হিসেবে চিকিৎসক উল্লেখ করলেও সেখান থেকে কোনো আয় দেখাননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কারাবন্দী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাসদ অসাংবিধানিক গণভোট এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় ও একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্তর্বর্তী সরকার সুস্পষ্টভাবেই নিরপেক্ষ না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সরকার নিরপেক্ষ অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বদলে একটি অসাংবিধানিক গণভোট, একপক্ষীয় ও একতরফা সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেছে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা বাস্তবায়নে অসাংবিধানিক গণভোট, একপক্ষীয় ও একতরফা সংসদ নির্বাচনের প্রহসন করছে। তাই জাসদ অসাংবিধানিক গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় ও একতরফা নির্বাচন বর্জন করছে।
অন্যদিকে দিলীপ বড়ুয়া নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দলও আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভ্যুত্থান দমনের চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ইনুকে কয়েকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কারাবন্দী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাসদ অসাংবিধানিক গণভোট এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় ও একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্তর্বর্তী সরকার সুস্পষ্টভাবেই নিরপেক্ষ না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সরকার নিরপেক্ষ অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বদলে একটি অসাংবিধানিক গণভোট, একপক্ষীয় ও একতরফা সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেছে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা বাস্তবায়নে অসাংবিধানিক গণভোট, একপক্ষীয় ও একতরফা সংসদ নির্বাচনের প্রহসন করছে। তাই জাসদ অসাংবিধানিক গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় ও একতরফা নির্বাচন বর্জন করছে।
অন্যদিকে দিলীপ বড়ুয়া নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দলও আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভ্যুত্থান দমনের চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ইনুকে কয়েকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন যাদের মাধ্যমে হবে তারাও সরকারের পক্ষে। সবকিছুই এখন সরকারদলীয় হয়ে গেছে। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না বরং পক্ষপাতিত্ব হয়। সরকারি কর্মকর্তারা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি সরকারদলীয় হিসেবে কাজ করে...
০২ মার্চ ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত প্রার্থীরা ৩১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভেতরে অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দলটির একাধিক নারী নেত্রী প্রকাশ্যেই আপত্তি তুলেছেন। কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তাঁর হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। আর বর্তমান ও পূর্বতন পেশা হিসেবে চিকিৎসক উল্লেখ করলেও সেখান থেকে কোনো আয় দেখাননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তাঁর হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। আর বর্তমান ও পূর্বতন পেশা হিসেবে চিকিৎসক উল্লেখ করলেও সেখান থেকে কোনো আয় দেখাননি তিনি।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আমিরের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। ইসিতে জমা দেওয়া জামায়াত আমিরের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামায় আয়ের উৎস হিসেবে শফিকুর রহমান উল্লেখ করেছেন, কৃষি খাত থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৩ লাখ টাকা। দান থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন।
অস্থাবর সম্পদে জামায়াত আমির উল্লেখ করেছেন, হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থ ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৬৩ টাকা। বন্ড ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টাকার। বাস, ট্রাক, মোটরযান, মোটরসাইকেল ইত্যাদির মূল্য (অধিগ্রহণকালে) ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ ভরি সোনা—যার অধিগ্রহণকালে মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। ইলেকট্রনিক পণ্য—অধিগ্রহণকালে যার মূল্য ২ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র আছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার।
স্থাবর সম্পদে শফিকুর রহমান উল্লেখ করেছেন, কৃষিজমি আছে ২১৭ শতক; যার অর্জনকালীন মূল্য ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। অকৃষিজমি আছে ১৩ শতক; যার অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৪ টাকা। ১১ দশমিক ৭৭ শতক জমিতে ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে; যার অধিগ্রহণকালে মূল্য ২৭ লাখ টাকা।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তাঁর হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। আর বর্তমান ও পূর্বতন পেশা হিসেবে চিকিৎসক উল্লেখ করলেও সেখান থেকে কোনো আয় দেখাননি তিনি।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আমিরের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। ইসিতে জমা দেওয়া জামায়াত আমিরের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামায় আয়ের উৎস হিসেবে শফিকুর রহমান উল্লেখ করেছেন, কৃষি খাত থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৩ লাখ টাকা। দান থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন।
অস্থাবর সম্পদে জামায়াত আমির উল্লেখ করেছেন, হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থ ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৬৩ টাকা। বন্ড ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টাকার। বাস, ট্রাক, মোটরযান, মোটরসাইকেল ইত্যাদির মূল্য (অধিগ্রহণকালে) ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ ভরি সোনা—যার অধিগ্রহণকালে মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। ইলেকট্রনিক পণ্য—অধিগ্রহণকালে যার মূল্য ২ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র আছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার।
স্থাবর সম্পদে শফিকুর রহমান উল্লেখ করেছেন, কৃষিজমি আছে ২১৭ শতক; যার অর্জনকালীন মূল্য ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। অকৃষিজমি আছে ১৩ শতক; যার অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৪ টাকা। ১১ দশমিক ৭৭ শতক জমিতে ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে; যার অধিগ্রহণকালে মূল্য ২৭ লাখ টাকা।

সরকার এখন জনগণের প্রতিপক্ষ। নির্বাচন যাদের মাধ্যমে হবে তারাও সরকারের পক্ষে। সবকিছুই এখন সরকারদলীয় হয়ে গেছে। সরকার যখন পক্ষ হয় তখন অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর হয় না বরং পক্ষপাতিত্ব হয়। সরকারি কর্মকর্তারা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি সরকারদলীয় হিসেবে কাজ করে...
০২ মার্চ ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত প্রার্থীরা ৩১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভেতরে অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দলটির একাধিক নারী নেত্রী প্রকাশ্যেই আপত্তি তুলেছেন। কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কারাবন্দী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে