অনলাইন ডেস্ক
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো দল নিষিদ্ধ না করার পরামর্শের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব এমনটি জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী কোনো দল নিষিদ্ধ না করার পরামর্শের সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রের সকল নর্মস এবং কন্ডিশনের ওপর আস্থা রাখি, আমরা সেগুলো অতীতেও চর্চা করেছি। সেইভাবেই আমরা মনে করি, আমরা সিদ্ধান্ত নেব না—কোন পার্টি নিষিদ্ধ হবে, কোন পার্টি কাজ করবে, কোন পার্টি কাজ করবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোন পার্টি থাকবে কি থাকবে না, কোন পার্টি নির্বাচন করবে কি করবে না।’
বিএনপি নির্বাহী আদেশে কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে কি না—সে ব্যাপারে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘এই বিষয়টা তো পরিষ্কার করে বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা পক্ষে থাকা না থাকার বিষয় নয়। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় স্বস্তি ও সাধুবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সত্য যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো আজকে উদ্ঘাটন হয়েছে। একজন ব্যক্তি বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই সমস্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যে গণহত্যা হয়েছে, তার নির্দেশে হয়েছে এবং যত মানবাধিকার লঙ্ঘন যা কিছু হয়েছে, সব তার নির্দেশে এখানে হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া; আজকে সেটাই প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট এবং তিনি এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন, হত্যা করেছেন। ভারত সরকার তাঁকে ফেরত দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের হাতে দেবে এবং তাঁকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে—এটাই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা।’
এদিন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে মিয়া পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক।
জামায়াতের এই আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটাতে (আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন) আমরা একেবারেই একমত নই। রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন হবে, ততই রাজনীতি সহজ হবে, বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে আসবে।’
ইসির সঙ্গে সাক্ষাতে জামায়াতের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন বা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাওয়াও নাকচ করে দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আনুপাতিক ভোট পদ্ধতি, এটার আমরা পুরোপুরি বিরোধী, অত্যন্ত জোরালোভাবে বিরোধী। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাকে আমরা সমর্থন করব না, প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো দল নিষিদ্ধ না করার পরামর্শের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব এমনটি জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী কোনো দল নিষিদ্ধ না করার পরামর্শের সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রের সকল নর্মস এবং কন্ডিশনের ওপর আস্থা রাখি, আমরা সেগুলো অতীতেও চর্চা করেছি। সেইভাবেই আমরা মনে করি, আমরা সিদ্ধান্ত নেব না—কোন পার্টি নিষিদ্ধ হবে, কোন পার্টি কাজ করবে, কোন পার্টি কাজ করবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোন পার্টি থাকবে কি থাকবে না, কোন পার্টি নির্বাচন করবে কি করবে না।’
বিএনপি নির্বাহী আদেশে কোনো দল নিষিদ্ধের পক্ষে কি না—সে ব্যাপারে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘এই বিষয়টা তো পরিষ্কার করে বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা পক্ষে থাকা না থাকার বিষয় নয়। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় স্বস্তি ও সাধুবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সত্য যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো আজকে উদ্ঘাটন হয়েছে। একজন ব্যক্তি বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই সমস্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যে গণহত্যা হয়েছে, তার নির্দেশে হয়েছে এবং যত মানবাধিকার লঙ্ঘন যা কিছু হয়েছে, সব তার নির্দেশে এখানে হয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া; আজকে সেটাই প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট এবং তিনি এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন, হত্যা করেছেন। ভারত সরকার তাঁকে ফেরত দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের হাতে দেবে এবং তাঁকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে—এটাই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা।’
এদিন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে মিয়া পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক।
জামায়াতের এই আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটাতে (আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন) আমরা একেবারেই একমত নই। রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন হবে, ততই রাজনীতি সহজ হবে, বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে আসবে।’
ইসির সঙ্গে সাক্ষাতে জামায়াতের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন বা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাওয়াও নাকচ করে দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আনুপাতিক ভোট পদ্ধতি, এটার আমরা পুরোপুরি বিরোধী, অত্যন্ত জোরালোভাবে বিরোধী। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাকে আমরা সমর্থন করব না, প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিরুদ্ধে এক-এগারোর মতো ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অপপ্রচারের মাধ্যমে দলকে মিডিয়া ট্রায়ালের মুখে ফেলা হচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগেবিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
১২ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৮ বিষয়ে একমত, ৩২ বিষয়ে দ্বিমত এবং ২৬ বিষয়ে আংশিক একমত পোষণ করে লিখিত মতামত জমা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন বানচাল হলে মানুষ দুর্ভোগে পড়বেন বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৯ ঘণ্টা আগে