নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে একটি আইনি কাঠামোর (লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক) মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন।
আজ মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের ২১ দিনের সংলাপের বিরতিতে এ কথা বলেন তিনি।
জাবেদ রাসিন বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা নির্বাচনের আগেই আইনগত ভিত্তি পেতে হবে এবং সেই ভিত্তিতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হতে হবে।’
তিনি জানান, এনসিপি মৌখিকভাবে এই অবস্থান জানিয়েছে এবং প্রয়োজনে লিখিতভাবে জানানো হবে।
জাবেদ রাসিন অভিযোগ করে বলেন, কমিশন ছয়টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতির কথা বললেও তা নিয়ে আলোচনা না করে হঠাৎ করে জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ করেছে, যা তাঁরা ‘সঠিক কাজ’ মনে করছেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটির তীব্র বিরোধিতা করছি। আলোচনার পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা হয়নি, অথচ তারা খসড়া প্রকাশ করেছে। এটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রশ্নে আলোচনায় ‘র্যাংক চয়েস’ পদ্ধতি নিয়ে কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছিল বলে জানান জাবেদ। এই পদ্ধতি অনুযায়ী আজ বিচার বিভাগ থেকে আরও দুই সদস্য যুক্ত করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যাঁরা ভোট দেবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রস্তাবে একমত হয়েছি। আমাদের সঙ্গে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে, কেবল বিএনপি ও কিছু সহযোগী দল ছাড়া।’
এনসিপির এই নেতা জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব মৌলিক সংস্কার ছাড়া ‘ফ্যাসিবাদী কাঠামো দূর করা সম্ভব নয়’, সেগুলো যদি বাস্তবায়ন না হয়, তবে জুলাই সনদে সই করা হবে কি না, তা দলের ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাবেদ রাসিন আরও বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট অবস্থান, আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একতরফাভাবে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে তা আমরা মানি না।’
বৈঠক চলাকালীন সময়ে জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, এটি এখনো একটি খসড়া এবং দলীয়ভাবে তাঁরা তা পর্যালোচনা করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই খসড়ায় আমরা মৌলিক সংস্কারের প্রতিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাই। যদি তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সই করব কি না।’
তিনি আরও জানান, আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে তাঁরা ‘লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার’ (এলএফও) করার প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে, যে সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে মেনে নিচ্ছে, তা যেন পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসা কোনো দল উপেক্ষা করতে না পারে এই নিশ্চয়তাও চান তাঁরা।
সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবও আসে তাঁর বক্তব্যে। আখতার বলেন, ‘যদি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন করা যায়, তাহলে সেগুলো সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। আর এই সংস্কারগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন যেন ভবিষ্যতে প্রণীত না হয় সে নিশ্চয়তার বিধান রাখার প্রস্তাবও দিয়েছি।’
সংলাপের শেষ দিকে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব এই সনদ বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হোক। দীর্ঘমেয়াদি বিতর্ক বা জটিলতায় আমরা যেতে চাই না।’
আখতার হোসেন জানান, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে খুব শিগগিরই জুলাই সনদ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য কমিশনে জমা দেওয়া হবে এবং পরে তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হবে।
আগের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় সাবেক বিচারপতিকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাখার বিধান ছিল, যা বর্তমান প্রস্তাবে বাতিল করা হয়েছে। এবার একটি রাজনৈতিক বাছাই কমিটি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি মিলে প্রার্থী বাছাই করবেন।
যদি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তাহলে ‘র্যাংক চয়েস ভোটিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান থাকছে। এ প্রক্রিয়ায় উপরের পাঁচজনের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের একজন করে বিচারপতি যুক্ত হয়ে মোট সাতজন সদস্য ভোটে অংশ নেবেন। এই বিচারপতিরা নিজে থেকে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবেন না। তাঁরা শুধু ভোট দেবেন।
আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই পদ্ধতি সংসদে সরাসরি পাঠানোর চেয়ে কার্যকর। কারণ সেখানে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন হবে।’
বিএনপির প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি আরও জানান, তারা বলেছে বাছাই কমিটি একমত না হলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো যেতে পারে। তবে আখতার হোসেন বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি এই ফোরামেই সম্পূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। তা না হলে বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তার দিকে যাবে।’
আরও খবর পড়ুন:

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে একটি আইনি কাঠামোর (লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক) মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন।
আজ মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের ২১ দিনের সংলাপের বিরতিতে এ কথা বলেন তিনি।
জাবেদ রাসিন বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা নির্বাচনের আগেই আইনগত ভিত্তি পেতে হবে এবং সেই ভিত্তিতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হতে হবে।’
তিনি জানান, এনসিপি মৌখিকভাবে এই অবস্থান জানিয়েছে এবং প্রয়োজনে লিখিতভাবে জানানো হবে।
জাবেদ রাসিন অভিযোগ করে বলেন, কমিশন ছয়টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতির কথা বললেও তা নিয়ে আলোচনা না করে হঠাৎ করে জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ করেছে, যা তাঁরা ‘সঠিক কাজ’ মনে করছেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটির তীব্র বিরোধিতা করছি। আলোচনার পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা হয়নি, অথচ তারা খসড়া প্রকাশ করেছে। এটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রশ্নে আলোচনায় ‘র্যাংক চয়েস’ পদ্ধতি নিয়ে কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছিল বলে জানান জাবেদ। এই পদ্ধতি অনুযায়ী আজ বিচার বিভাগ থেকে আরও দুই সদস্য যুক্ত করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যাঁরা ভোট দেবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রস্তাবে একমত হয়েছি। আমাদের সঙ্গে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে, কেবল বিএনপি ও কিছু সহযোগী দল ছাড়া।’
এনসিপির এই নেতা জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব মৌলিক সংস্কার ছাড়া ‘ফ্যাসিবাদী কাঠামো দূর করা সম্ভব নয়’, সেগুলো যদি বাস্তবায়ন না হয়, তবে জুলাই সনদে সই করা হবে কি না, তা দলের ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাবেদ রাসিন আরও বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট অবস্থান, আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একতরফাভাবে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে তা আমরা মানি না।’
বৈঠক চলাকালীন সময়ে জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, এটি এখনো একটি খসড়া এবং দলীয়ভাবে তাঁরা তা পর্যালোচনা করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই খসড়ায় আমরা মৌলিক সংস্কারের প্রতিটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাই। যদি তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সই করব কি না।’
তিনি আরও জানান, আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে তাঁরা ‘লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার’ (এলএফও) করার প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে, যে সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে মেনে নিচ্ছে, তা যেন পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসা কোনো দল উপেক্ষা করতে না পারে এই নিশ্চয়তাও চান তাঁরা।
সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবও আসে তাঁর বক্তব্যে। আখতার বলেন, ‘যদি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন করা যায়, তাহলে সেগুলো সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। আর এই সংস্কারগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন যেন ভবিষ্যতে প্রণীত না হয় সে নিশ্চয়তার বিধান রাখার প্রস্তাবও দিয়েছি।’
সংলাপের শেষ দিকে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব এই সনদ বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হোক। দীর্ঘমেয়াদি বিতর্ক বা জটিলতায় আমরা যেতে চাই না।’
আখতার হোসেন জানান, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে খুব শিগগিরই জুলাই সনদ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য কমিশনে জমা দেওয়া হবে এবং পরে তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হবে।
আগের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় সাবেক বিচারপতিকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রাখার বিধান ছিল, যা বর্তমান প্রস্তাবে বাতিল করা হয়েছে। এবার একটি রাজনৈতিক বাছাই কমিটি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি মিলে প্রার্থী বাছাই করবেন।
যদি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তাহলে ‘র্যাংক চয়েস ভোটিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান থাকছে। এ প্রক্রিয়ায় উপরের পাঁচজনের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের একজন করে বিচারপতি যুক্ত হয়ে মোট সাতজন সদস্য ভোটে অংশ নেবেন। এই বিচারপতিরা নিজে থেকে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবেন না। তাঁরা শুধু ভোট দেবেন।
আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই পদ্ধতি সংসদে সরাসরি পাঠানোর চেয়ে কার্যকর। কারণ সেখানে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন হবে।’
বিএনপির প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি আরও জানান, তারা বলেছে বাছাই কমিটি একমত না হলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো যেতে পারে। তবে আখতার হোসেন বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি এই ফোরামেই সম্পূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। তা না হলে বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তার দিকে যাবে।’
আরও খবর পড়ুন:

বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের একটি চক্রান্ত ও
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্রের কার্যালয়ে যে হামলা হয়েছে, এর মাধ্যমে শুধু গণমাধ্যম নয়, গণতন্ত্র, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপরও আঘাত এসেছে। এই হামলার ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ছিল ভয়ংকর। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ‘মব সন্ত্রাসকে’ রুখে দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।
আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠানে আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। তিনটি পুনঃপ্রকাশনার বই হলো—‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন উদ্যোগ’ ও ‘ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’।
ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, পূর্বে বিএনপি যখন সরকারে ছিল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন, অনেক অগ্রযাত্রার ভেতরে সবচেয়ে বড় যে সোপান, সেটা হচ্ছে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে, সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অধিকার ও স্বাধীনতার সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়। আমরা দেখলাম, বাকশালে বন্ধ হওয়া চারটির বাইরে বাকি যত পত্রিকা ছিল, সবগুলো খুলে দিয়েছিলেন। যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ধীরে ধীরে দেশের দায়িত্ব নিলেন, প্রতিটি গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও যতবার রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেছেন, প্রতিটা সংবাদপত্রে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ছিল।’
তারেক রহমানের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, উনার বিরুদ্ধে এবং আমাদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার হয়েছে, যার শুরুটা বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখনই করা হয়েছে। তারপর একটি বারের জন্য কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা, কোনো সম্পাদককে মামলা দেওয়া হয়নি। কাউকে হেনস্তা করা হয়নি, গোয়েন্দা বাহিনী থেকে ফোন দিয়ে কোনো নিউজ নামানো হয়নি। এই বাক্স্বাধীনতাই বিএনপির রাজনীতির একটি অন্যতম মৌলিকত্ব।’
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাসবিদ ড. আহমেদ কামাল, দৈনিক দিনকাল ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক এহ্সান মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ।

বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।
আজ সোমবার সকালে পিআইবি মিলনায়তনে ‘প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠানে আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। তিনটি পুনঃপ্রকাশনার বই হলো—‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন উদ্যোগ’ ও ‘ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’।
ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, পূর্বে বিএনপি যখন সরকারে ছিল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন, অনেক অগ্রযাত্রার ভেতরে সবচেয়ে বড় যে সোপান, সেটা হচ্ছে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে, সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অধিকার ও স্বাধীনতার সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়। আমরা দেখলাম, বাকশালে বন্ধ হওয়া চারটির বাইরে বাকি যত পত্রিকা ছিল, সবগুলো খুলে দিয়েছিলেন। যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ধীরে ধীরে দেশের দায়িত্ব নিলেন, প্রতিটি গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও যতবার রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেছেন, প্রতিটা সংবাদপত্রে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ছিল।’
তারেক রহমানের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, উনার বিরুদ্ধে এবং আমাদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার হয়েছে, যার শুরুটা বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখনই করা হয়েছে। তারপর একটি বারের জন্য কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা, কোনো সম্পাদককে মামলা দেওয়া হয়নি। কাউকে হেনস্তা করা হয়নি, গোয়েন্দা বাহিনী থেকে ফোন দিয়ে কোনো নিউজ নামানো হয়নি। এই বাক্স্বাধীনতাই বিএনপির রাজনীতির একটি অন্যতম মৌলিকত্ব।’
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাসবিদ ড. আহমেদ কামাল, দৈনিক দিনকাল ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক এহ্সান মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপ্রধান ছিলেন শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ।

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে একটি আইনি কাঠামোর (লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক) মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন।
২৯ জুলাই ২০২৫
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের একটি চক্রান্ত ও
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্রের কার্যালয়ে যে হামলা হয়েছে, এর মাধ্যমে শুধু গণমাধ্যম নয়, গণতন্ত্র, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপরও আঘাত এসেছে। এই হামলার ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ছিল ভয়ংকর। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ‘মব সন্ত্রাসকে’ রুখে দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের একটি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়া এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানাতে এসে এসব কথা বলেন জামায়াতের এ নেতা।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব)।
এই প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা; পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক সংগঠন; নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি জানাতে আসেন। প্রতিবাদ সভা শেষে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের পাশের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ আমাদের প্রত্যেকের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। কোনো অবস্থায় এটার ওপর হামলা কেউ গ্রহণ করবেন না। আমরা কেউ এটা মেনে নিতে পারি না। এটাই যাতে ফুলস্টপ হয়।’
বিগত সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি, তারা সে দায়িত্বটি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা মনে করি, এখানে অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী করেছে, সেটা খতিয়ে দেখা।’ পতিত স্বৈরাচার তার সব শক্তি নিয়ে এখনো সক্রিয় আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘এই কাজের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য—এটি চিহ্নিত হওয়া উচিত। তাদের আইনের মুখোমুখি করা উচিত। ...এটি কোনো রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করলে, শুধু আলোচনা করলেই হবে না।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো। প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম আলোর কার্যালয় পুড়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। সংহতি জানাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে গেলে একই রাতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এ ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হামলার ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের একটি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়া এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তার প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানাতে এসে এসব কথা বলেন জামায়াতের এ নেতা।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব)।
এই প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা; পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক সংগঠন; নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি জানাতে আসেন। প্রতিবাদ সভা শেষে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের পাশের রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ আমাদের প্রত্যেকের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। কোনো অবস্থায় এটার ওপর হামলা কেউ গ্রহণ করবেন না। আমরা কেউ এটা মেনে নিতে পারি না। এটাই যাতে ফুলস্টপ হয়।’
বিগত সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি, তারা সে দায়িত্বটি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা মনে করি, এখানে অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কী করেছে, সেটা খতিয়ে দেখা।’ পতিত স্বৈরাচার তার সব শক্তি নিয়ে এখনো সক্রিয় আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘এই কাজের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য—এটি চিহ্নিত হওয়া উচিত। তাদের আইনের মুখোমুখি করা উচিত। ...এটি কোনো রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করলে, শুধু আলোচনা করলেই হবে না।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো। প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম আলোর কার্যালয় পুড়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। সংহতি জানাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে গেলে একই রাতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এ ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হামলার ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল।

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে একটি আইনি কাঠামোর (লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক) মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন।
২৯ জুলাই ২০২৫
বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।
১ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্রের কার্যালয়ে যে হামলা হয়েছে, এর মাধ্যমে শুধু গণমাধ্যম নয়, গণতন্ত্র, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপরও আঘাত এসেছে। এই হামলার ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ছিল ভয়ংকর। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ‘মব সন্ত্রাসকে’ রুখে দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্রের কার্যালয়ে যে হামলা হয়েছে, এর মাধ্যমে শুধু গণমাধ্যম নয়, গণতন্ত্র, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপরও আঘাত এসেছে। এই হামলার ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ছিল ভয়ংকর। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ‘মব সন্ত্রাসকে’ রুখে দিতে হবে।
দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব)।
সভায় সূচনা বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতি থাকে, সে নীতি পছন্দ না হলে গণমাধ্যমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া কোনো গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। তারা (হামলাকারীরা) মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। যখন অফিসে সবাই কাজ করছে, তখন চারপাশ থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আসার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে গোষ্ঠীটি চেয়েছে—মধ্যযুগীয় কায়দায় আগুন চারপাশ থেকে লাগিয়ে যাদের সঙ্গে তাদের মতান্তর, তাদের পুড়িয়ে মারতে।
সভায় দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই দিন ২৬-২৭ জন স্টাফ ভবনের ভেতরে আটকে ছিল, ফায়ার সার্ভিসকে যেতে দেওয়া হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য শুধু ভবনে আগুন দেওয়া ছিল না, হত্যা করাও ছিল।
নোয়াবের সভাপতি দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রথম আলোতে প্রথম আগুন দেওয়া হয়। তখনই ডেইলি স্টার সম্পাদক আশঙ্কা করেছিলেন—এর পরে হামলাকারীরা ডেইলি স্টারে যাবে। তখন তিনি সরকারের এমন কোনো সংস্থা নেই, এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যাকে অনুরোধ, অনুনয়-বিনয় করেননি যে—আপনারা ডেইলি স্টারের সামনে প্রটেকশন দিন। কিন্তু তিনি কোনো সাহায্য বা সাড়া পাননি। পুড়ে যাওয়ার পরে পেয়েছেন।

এ কে আজাদ সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরও বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক যখন অসহায়ের মতো নিচে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর সামনে দিয়ে লুটকারীরা কম্পিউটার ও চেয়ার মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে তখন সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল, কিন্তু বাহিনীগুলোর কেউ একটা প্রতিবাদ করেনি।
প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানাতে এসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অত্যন্ত পরিষ্কার, এখানে বলার কিছু নেই। আজকে ডেইলি স্টার নয়, প্রথম আলো নয়, আজকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। আমার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, আমার কথা বলার যে অধিকার, তার ওপর আবার আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে। কারণ, জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। আজকে সেই জায়গায় আঘাত এসেছে। তাই আমার অনুরোধ, কোনো রাজনৈতিক দল-সংগঠন নয়, সব গণতন্ত্রকামী মানুষের এখন এক হওয়ার সময় এসে গেছে। আমরা যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চাই, আমরা যারা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতন্ত্রী দেখতে চাই, আজকে তাদের শুধু সচেতন নয়, রুখে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে। আমি আহ্বান জানাব, শুধু একাত্মতা ও সংহতি নয়, সর্বশক্তি দিয়ে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন, এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।’
হামলার পর সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ভয়ংকর ছিল বলে উল্লেখ করেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, মানুষ এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, তাঁরা সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার কথা জানাচ্ছেন।
গণমাধ্যমে যে হামলা হয়েছে, এর সঙ্গে সরকারের ভেতরের একটি অংশের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা শব্দটা ব্যবহার করছি মব ভায়োলেন্স। এই শব্দের সঙ্গে প্রথম দিকে একমত হতাম না বা আমরা এটার বিরোধিতা করতাম। কারণ, আমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, তাদের পক্ষ থেকেই পুরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে প্রথম থেকে বলা হয়েছে মব। ফলে আমরা বলেছি যে, এটা মবোক্রেসি নয়।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে ‘মব ভায়োলেন্সের’ বিরুদ্ধে তাঁদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ প্রমুখ।
সভা শেষে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের সদস্যরা।

সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্রের কার্যালয়ে যে হামলা হয়েছে, এর মাধ্যমে শুধু গণমাধ্যম নয়, গণতন্ত্র, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপরও আঘাত এসেছে। এই হামলার ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ছিল ভয়ংকর। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ‘মব সন্ত্রাসকে’ রুখে দিতে হবে।
দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব)।
সভায় সূচনা বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতি থাকে, সে নীতি পছন্দ না হলে গণমাধ্যমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া কোনো গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। তারা (হামলাকারীরা) মধ্যযুগীয় কায়দায় পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। যখন অফিসে সবাই কাজ করছে, তখন চারপাশ থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আসার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে গোষ্ঠীটি চেয়েছে—মধ্যযুগীয় কায়দায় আগুন চারপাশ থেকে লাগিয়ে যাদের সঙ্গে তাদের মতান্তর, তাদের পুড়িয়ে মারতে।
সভায় দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই দিন ২৬-২৭ জন স্টাফ ভবনের ভেতরে আটকে ছিল, ফায়ার সার্ভিসকে যেতে দেওয়া হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য শুধু ভবনে আগুন দেওয়া ছিল না, হত্যা করাও ছিল।
নোয়াবের সভাপতি দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রথম আলোতে প্রথম আগুন দেওয়া হয়। তখনই ডেইলি স্টার সম্পাদক আশঙ্কা করেছিলেন—এর পরে হামলাকারীরা ডেইলি স্টারে যাবে। তখন তিনি সরকারের এমন কোনো সংস্থা নেই, এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যাকে অনুরোধ, অনুনয়-বিনয় করেননি যে—আপনারা ডেইলি স্টারের সামনে প্রটেকশন দিন। কিন্তু তিনি কোনো সাহায্য বা সাড়া পাননি। পুড়ে যাওয়ার পরে পেয়েছেন।

এ কে আজাদ সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরও বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক যখন অসহায়ের মতো নিচে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর সামনে দিয়ে লুটকারীরা কম্পিউটার ও চেয়ার মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে তখন সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল, কিন্তু বাহিনীগুলোর কেউ একটা প্রতিবাদ করেনি।
প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানাতে এসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অত্যন্ত পরিষ্কার, এখানে বলার কিছু নেই। আজকে ডেইলি স্টার নয়, প্রথম আলো নয়, আজকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। আমার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, আমার কথা বলার যে অধিকার, তার ওপর আবার আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে। কারণ, জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। আজকে সেই জায়গায় আঘাত এসেছে। তাই আমার অনুরোধ, কোনো রাজনৈতিক দল-সংগঠন নয়, সব গণতন্ত্রকামী মানুষের এখন এক হওয়ার সময় এসে গেছে। আমরা যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চাই, আমরা যারা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতন্ত্রী দেখতে চাই, আজকে তাদের শুধু সচেতন নয়, রুখে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে। আমি আহ্বান জানাব, শুধু একাত্মতা ও সংহতি নয়, সর্বশক্তি দিয়ে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন, এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।’
হামলার পর সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ভয়ংকর ছিল বলে উল্লেখ করেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, মানুষ এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, তাঁরা সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার কথা জানাচ্ছেন।
গণমাধ্যমে যে হামলা হয়েছে, এর সঙ্গে সরকারের ভেতরের একটি অংশের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা শব্দটা ব্যবহার করছি মব ভায়োলেন্স। এই শব্দের সঙ্গে প্রথম দিকে একমত হতাম না বা আমরা এটার বিরোধিতা করতাম। কারণ, আমরা যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, তাদের পক্ষ থেকেই পুরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে প্রথম থেকে বলা হয়েছে মব। ফলে আমরা বলেছি যে, এটা মবোক্রেসি নয়।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে ‘মব ভায়োলেন্সের’ বিরুদ্ধে তাঁদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ প্রমুখ।
সভা শেষে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের সদস্যরা।

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে একটি আইনি কাঠামোর (লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক) মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন।
২৯ জুলাই ২০২৫
বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের একটি চক্রান্ত ও
২ ঘণ্টা আগে
নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন সৈয়দ এহসানুল হুদা।
নবাগতদের অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজকে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হলেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে এবং একইসঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি এবং চেয়ারপাসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থা রেখে তারা বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন। আমরা আশা করছি, তাদের এই যোগদান বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে।’
বিএনপিতে যোগ দিয়ে সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী দল। আমরা এই মুহুর্তে দেশের এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্রের পথে বিএনপিতে যোগ দিলাম।’
এহসানুল হুদা আরও বলেন, ‘আজকে নির্বাচন বানচালের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই মুহুর্তে আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমি আজকে আমার দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করছি। আশা করছি, অতীতে যেভাবে রাজপথে সংগ্রাম করেছি, একটি সুন্দর বাংলাদেশ ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারব।’
যোগদানের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে হুদা যোগ দেন। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন সৈয়দ এহসানুল হুদা।
নবাগতদের অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজকে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হলেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে এবং একইসঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি এবং চেয়ারপাসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থা রেখে তারা বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন। আমরা আশা করছি, তাদের এই যোগদান বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে।’
বিএনপিতে যোগ দিয়ে সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী দল। আমরা এই মুহুর্তে দেশের এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্রের পথে বিএনপিতে যোগ দিলাম।’
এহসানুল হুদা আরও বলেন, ‘আজকে নির্বাচন বানচালের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই মুহুর্তে আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমি আজকে আমার দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করছি। আশা করছি, অতীতে যেভাবে রাজপথে সংগ্রাম করেছি, একটি সুন্দর বাংলাদেশ ৩১ দফার আলোকে বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারব।’
যোগদানের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে একটি আইনি কাঠামোর (লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক) মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন।
২৯ জুলাই ২০২৫
বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ ধরনের একটি চক্রান্ত ও
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্রের কার্যালয়ে যে হামলা হয়েছে, এর মাধ্যমে শুধু গণমাধ্যম নয়, গণতন্ত্র, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপরও আঘাত এসেছে। এই হামলার ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ছিল ভয়ংকর। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ‘মব সন্ত্রাসকে’ রুখে দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে