Ajker Patrika

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি

টেলিগ্রামে সংগঠিত হচ্ছে আ.লীগ, হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে টাকা নিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৬: ১৯
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

আর কদিন পরেই ৫ আগস্ট। এই দিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হবে। তাঁর দল আওয়ামী লীগ বর্তমানে নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত বলে নিউজ১৮-কে জানিয়েছে দলটির ভেতরের কিছু সূত্র। যদিও দল নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল না, তবে দলের নেতা-কর্মীদের টেলিগ্রাম গ্রুপে অর্থ সংগ্রহ এবং সেসব গ্রুপে গোয়েন্দা সংস্থার অনুপ্রবেশ নিয়ে তারা রীতিমতো অবাক।

এক বছর ধরে শেখ হাসিনার দলের নেতা–কর্মীদের যোগাযোগের মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে টেলিগ্রাম। এসব গ্রুপের কোনো কোনোটিতে ২০ থেকে ৩০ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছেন। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব গ্রুপে মিটিং চলে। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।

তবে আওয়ামী লীগের কিছু সূত্র নিউজ১৮-কে জানিয়েছে, শেখ হাসিনা এসব আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হলে কে কথা বলবেন, তা নির্ধারণে অর্থ লেনদেন হয়। এই অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সূত্র বলছে, টেলিগ্রামকে নিজের প্রধান রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়ে রেখেছেন কাদের। সেখানে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে ঢাকা ঘেরাওয়ের ডাক দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর কথায় কোনো পরিষ্কার পরিকল্পনা বা বাস্তব পদক্ষেপ থাকে না বলে অভিযোগ সূত্রগুলোর।

সূত্রগুলো আরও দাবি করেছে, ওবায়দুল কাদের এখন নিজেই বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে তাঁর প্রতিদিনের কথা বলার সময় ঠিক করেন। অনেকে এটাকে তাঁর রাজনৈতিক কৌশল না বলে হতাশা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজ১৮-কে বলেছেন, দলের কর্মীরা ওবায়দুল কাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি নিজের গুরুত্ব ধরে রাখার জন্য অসংখ্য টেলিগ্রাম গ্রুপ তৈরি করেছেন, যা দলের ভালোর জন্য নয়, বরং একধরনের আর্থিক প্রতারণা চালানোর জন্য।

ওই নেতা আরও জানান, শীর্ষ নেতৃত্ব জানতে পেরেছে, তিনি টেলিগ্রামের মাধ্যমে হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের ব্যবস্থা করে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন।

তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব—যেমন সজীব ওয়াজেদ জয়, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল—এমনকি শেখ হাসিনার জন্যও বড় একটি উদ্বেগের বিষয় হলো, ড. ইউনূসের সমর্থক ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা এসব গ্রুপের অনেকগুলোতে ঢুকে পড়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতা-কমীরা।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের অনুপ্রবেশের সঙ্গে লড়াই করলেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অনুগত গোয়েন্দা সদস্যদের অনুপ্রবেশ এটাই প্রথম। এই অনুপ্রবেশকারীরা নাকি গ্রুপগুলোর কথোপকথন রেকর্ড করে, যা পরে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে ব্যবহার করা হয়। দলটির ভেতরের খবর অনুযায়ী, গ্রুপে আলোচনার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার শুরু হয়ে গেছে।

প্রথম কখন এই সন্দেহ দেখা দেয়া—এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেখুন, মাঝেমধ্যে অপ্রীতিকর মন্তব্য আসছিল। কিন্তু ধানমন্ডি ৩২-এর মতো পরিচিত গ্রুপগুলোতেও (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনের নামে নামকরণ করা) কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে খোলাখুলি অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে, যা আমরা লক্ষ করেছিলাম। কিন্তু যখন প্রতিরোধ গড়ার আলোচনার ভিত্তিতে আমাদের কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া শুরু হলো, তখন আমরা বুঝলাম, ব্যাপারটা যতটা দেখা যাচ্ছে, তারচেয়েও গভীর।’

এই সমস্যা সমাধানের জন্য শেখ হাসিনা কী চান—নিউজ১৮ জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেতৃত্বে আমূল পরিবর্তন চান। তিনি চান না, কর্মীরা শুধু ‘কি–বোর্ড যোদ্ধা’ হয়ে থাকুক। নিউজ১৮ আরও জানতে পেরেছে, ডেটা কালোবাজারে ও ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হওয়া খবরের পর আওয়ামী লীগের সব টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীকে ভিপিএন ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২৬ সালে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে আওয়ামী লীগ এখনো নিষিদ্ধ। এই প্রেক্ষাপটে দলটি মনে করছে, তারা দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে প্রস্তুত—এবার টেলিগ্রাম নয়, সরাসরি রাস্তায় নামার ‘পর্ব’।

দলের এক নেতা বলেন, এক বছর হয়ে গেল। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য লড়তে চায়। তাই প্রতিটি জেলা ও মহানগর এলাকায় বিভাগীয় সংগঠক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে খুব শিগগির প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি: আরিফ সোহেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শুক্রবার রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরিফ সোহেল বলেন, ‘১৮৫৭ থেকে ৭১, ৭৫ এমনকি ২৪-এও আমরা সিপাহি-জনতার একটি বিপ্লবী ঐক্য দেখতে পাই; কিন্তু বিদ্যমান কলোনিয়াল শাসন ও শোষণকাঠামোকে পুরোপুরি উৎখাত না করায় এই ঐক্য অভ্যুত্থান থেকে বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি। ৭ নভেম্বরে হাজির হওয়া সিপাহি-জনতার লড়াইকে সত্যিকার বিপ্লবে রূপ দিতে হলে রাজনৈতিক সচেতনতা নির্মাণ জরুরি।’

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কবি, চিন্তক ও অ্যাকটিভিস্ট সাঈদ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে রাষ্ট্রীয় স্থিতির প্রতীক হিসেবে দেখানো হলেও বাস্তবে এটি জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছে। প্রতিটি গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে এই ধারাবাহিকতার নামে শাসকগোষ্ঠী পুরোনো রাষ্ট্রকাঠামোই টিকিয়ে রেখেছে। ফলে রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন না হয়ে কেবল মুখোশ পাল্টেছে, গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ আটকে গেছে।

সভায় জুলাই যোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে ঐক্যে ফাটল ধরাবেন না: জামায়াতের উদ্দেশে এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে জেলা শ্রমিক দলের পরিচিত সভায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরে জেলা শ্রমিক দলের পরিচিত সভায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, পক্ষে-বিপক্ষে কঠিন বক্তব্য দিয়ে ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাবেন না। এই মুহূর্তে ঐক্যে ফাটল ধরলে দেশের জন্য ও নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এই সুযোগ পাবে ফ্যাসিবাদেরা। তাদের এই সুযোগ দেওয়া হবে না, দেওয়া যাবে না।

আজ শুক্রবার শহরের নিজ বাসভবনে জেলা শ্রমিক দলের পরিচিত সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সুযোগ জাতীয় রাজনীতিতে রয়েছে। সবাই মিলে সে সুযোগ নিয়ে কাজ করি। আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। যেন দেশে নির্বাচন না হয়, সে জন্য হাসিনা ও তার দল দেশে-বিদেশে বসে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। চক্রান্ত করছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত কাজে আসবে না। সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

এ্যানি আরও বলেন, হাসিনা রাজনীতি করেননি, করেছেন দুর্নীতি ও লুটপাট। তাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুঃশাসনে জড়িত ছিলেন।

দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন, গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হাসিনা দেশের মানুষকে জিম্মি করে নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। এ কারণে দলের শত্রু, জনশত্রু ও গণশত্রুতে পরিণত হতে হয়েছে তাঁদের। এত কিছুর পরও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে শ্রমিকেরাও নির্যাতন, গুম ও খুন থেকে বাঁচতে পারেননি। তাঁদের ওপর কঠিন নির্যাতন করা হয়েছে। নতুন একটা বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমান নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ দেশে আওয়ামী লীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না। কারণ, তাদের রাজনীতি এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

এ্যানি আরও বলেন, ‘ইদানীং বিভিন্ন স্থানে দুই-চারজন মিলে হঠাৎ একটি মিছিল বের করে। আবার মিনিটের মধ্যে উধাও। এটা সাময়িক, এটা হবে না। এদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে না পারে। সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ আগামী নির্বাচনে সবাইকে মিলে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে আহ্বান জানান তিনি।

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, বিএনপি নেতা ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী হ্যাপী, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, জজকোর্টের প্রসিকিউটর আহমদ ফেরদৌস মানিক, শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম, জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সোহেল হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ মাহমুদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ২১
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শুক্রবার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শুক্রবার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনো ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, ‘২০ কোটি টাকা না থাকলে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। মানে বাংলাদেশের যে বর্তমান বাস্তবতা, এই বাস্তবতায় অন্তত ১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে কারোর আসলে নির্বাচন করা কঠিন।’

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ শুক্রবার বিকেলে ‘নভেম্বর থেকে জুলাই: বিপ্লব থেকে বিপ্লবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। আপনি কারও থেকে টাকা নিয়ে যে নির্বাচন করবেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকে যদি কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বা অন্য কারোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনি ইলেকশন করেন, তাহলে আপনাকে তার স্বার্থ দেখতে হবে।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদেরও বারবার চিন্তা করতে হয় যে ইলেকশন করব নাকি করব না। করলে কীভাবে করব; মানুষ কি টাকা ছাড়া ভোট দিবে বা বিদ্যমান যে কাঠামো, এই কাঠামোতে ইলেকশন করা আমাদের জন্য আসলে কতটুকু বাস্তবসম্মত। অনেকে জোহরান মামদানির কথা তুলে বলেন যে এমনটা সম্ভব। কিন্তু এটা এক্সেপশনাল কেস। এক্সেপশনাল কেস তো ৩০০ আসনে ঘটা সম্ভব না।’

আলোচনা সভায় কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নেই। নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে গণ-অভ্যুত্থানের পরে গণসার্বভৌমত্বের প্রয়োজন পড়ে; যার মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমরা ভাঙার কাজটা করেছি, গড়ার কাজটা করতে পারিনি: নাহিদ ইসলাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভাঙার কাজটি করলেও গড়ার কাজটি করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ কাজে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলনকক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ দূর করতে পেরেছি বা পরাজিত করতে পেরেছি ৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে। এরপর আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্যে ঢুকেছি। কিন্তু ব্যক্তি ও সমাজের পরিবর্তন ছাড়া আপনি রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদ দূর করতে পারবেন না বা দূর করলেও সেটা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।’

এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘ব্যক্তির চিন্তার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের ওপর রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে। সামাজিক ফ্যাসিবাদ ও ব্যক্তির চিন্তার ভেতরেও যে ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে, সেটা ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক চর্চা। এই লড়াইটা, এই কার্যক্রমটা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি। আমরা ভাঙার কাজটা করেছি, আমরা গড়ার কাজটা করতে পারিনি। এখন আমাদের এই গড়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে শিক্ষকদের।’

জুলাই সনদের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না। যা ঐকমত্য হয়েছে, তার বাকিটা ঠিক করবে জনগণ। জনগণ যদি বলে, তাহলে সেগুলো বাস্তবায়িত হবে।

খুব দ্রুত সময়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, সেই সংসদ নতুন সংবিধানের জন্য কাজ করবে। যাঁরা শিক্ষক আছেন, অবশ্যই তাঁদের সেখানে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এনসিপির পক্ষ থেকে তাঁরা সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।

জুলাই সনদের আদেশ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, আগামী দিনের যে সংসদ ও সংবিধান সংস্কার পরিষদ, সেখানে তরুণ, শিক্ষক, আলেম, নারী, সংখ্যালঘুসহ সমাজের নানা পেশাজীবীসহ সবাই মিলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে। এর আগে অবশ্যই তাঁদের এখনকার দাবি গণভোট। জুলাই সনদের আদেশ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ইউটিএফের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জুলাই চেতনায় অনুপ্রাণিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে এই ফোরাম গঠন করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ইউটিএফের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম। সদস্যসচিব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শামীম হামিদী। অনুষ্ঠানে ইউটিএফের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

উচ্চতা ‘কম’ বলে ডেটিং অ্যাপে মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এখন আফসোস হচ্ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত