Ajker Patrika

আমেরিকার স্যাংশনে সরকারের হাঁটু কাঁপছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩, ২০: ০১
আমেরিকার স্যাংশনে সরকারের হাঁটু কাঁপছে: ফখরুল

আমেরিকার স্যাংশনে সরকারের হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার নগরের কাজির দেউড়িতে ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিভাগের বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লজ্জায় আমরা মুখ দেখাতে পারি না। স্যাংশন দিয়েছে। আমেরিকা থেকে স্যাংশন। কেন? র‍্যাবকে কারা ব্যবহার করেছে। র‍্যাবকে কারা বলেছে, আমাদের ভাইদের তুলে নিয়ে গুম করতে। সেই সরকার।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তাঁরা বলে আমরা ভয় পাই না। ভয় পাই না। এমন ভয় পেয়েছে হাঁটু কাঁপতে শুরু করেছে। কারণ, তাঁদের সব কিছু তো বিদেশে। টাকা পাচার করেছে বিদেশে। এইবার যদি তুমি ভোটে আবার কারচুপি করতে যাও, এবার যদি দিনের ভোট রাতে করো। অথবা ওই কুত্তা মার্কা নির্বাচন করো, তাহলে তোমার রেহাই নাই। এইবার রেহাই নাই। আর রেহাই দেওয়া যাবে না।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সমানে বলে—এ দেশে নাকি গণতন্ত্র আছে। এ দেশে নাকি সুস্থ ভোট হয়। অনেক হয়েছে, আপনি আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছেন। আমাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। আমরা কোর্টে যেতে পারি না। কোর্টে গেলে, সরাসরি জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। মিথ্যা আর গায়েবি মামলা দিয়ে হাজির করা হয়। এরপর হাইকোর্টে যাই, আগাম জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে গেলে আবার জেলে পাঠানো হয়। সেটাই শেষ না, জামিন নিয়ে বের হলে আবার মামলা দেওয়া হয়।’ 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতায় কীভাবে যাবা? ওই পুলিশ, ওই বিডিআর, অস্ত্র যন্ত্র দিয়ে? আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা জনগণকে ক্ষমতায় আনতে চাই। আমরা ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’ 

সাংবাদিকেরা লিখতে পারে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘সাংবাদিকেরা লিখলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল আইনে মামলা করা হচ্ছে। রোজিনা ইসলামকে আবার মামলা দেওয়া হচ্ছে। ফটোগ্রাফার শহিদুল ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সাংবাদিক সাগর-রুনিকে বাড়ির মধ্যে নির্মমভাবে হত্যার এখনো বিচার হয়নি।’

ফখরুল বলেন, ‘জনগণের টাকা দিয়ে নিজের উন্নয়ন করছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আর কেউ লাভবান হচ্ছে না। আজকে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আদালতে গিয়ে যে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সেই ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পার্লামেন্টকে শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে। এই যে মেয়র নির্বাচন হয়েছে। বরিশাল, খুলনায় নির্বাচন হয়েছে। গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের মায়ের কাছে হেরে গেছে।’ 

বরিশালের পীর সাহেব একজন আলেম মানুষ। তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে। শেষ পর্যন্ত তাঁকেও মেরে রক্তপাত ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফখরুল। 

বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে সন্দেহ করে ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছে। শুধু আটক করে রাখেনি, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তাঁকে কারাগারে অনেক দিন আটক করে রাখা হয়েছিল। বারবার বলেছি, তাঁকে মুক্তি দিন। আমরা জানি না, তাঁকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কি না। কারণ, তিনি এখন যে অসুস্থ হয়েছেন, এতটা অসুস্থ হওয়ার কথা নয়। তাঁকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে। যারা জোর করে প্রতারণা করে, জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে। এই সরকারপ্রধান বলেছিলেন, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। কিন্তু কই? যুবক ভাইয়েরা বাজারে যেতে পারে না। লবণের দাম বেড়েছে, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তারা বলে, বাংলাদেশ নাকি ভালো আছে। হুম, তারা ভালো আছে। তারা টাকাপয়সা বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এমনকি তাদের সন্তানদেরও বিদেশে পাঠিয়েছে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই দেশের মানুষই ছিল তাঁর পরিবার, তাঁর সত্তা, তাঁর অস্তিত্ব: তারেক রহমানের পোস্ট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩ মিনিটে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টটি দেন। এই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য।’

তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

তিনি লিখেছেন, ‘অনেকের কাছে তিনি ছিলেন দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী; অনেকের কাছে গণতন্ত্রের মা, বাংলাদেশের মা। আজ দেশ গভীরভাবে শোকাহত এমন একজন পথপ্রদর্শককে হারিয়ে, যিনি দেশের গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় অনিঃশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

একজন মমতাময়ী মা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে খালেদা জিয়ার অবস্থান তুলে ধরে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার কাছে খালেদা জিয়া একজন মমতাময়ী মা, যিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য। আজীবন লড়েছেন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে; নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। ত্যাগ ও সংগ্রামে ভাস্বর হয়েও, তিনি ছিলেন পরিবারের সত্যিকারের অভিভাবক; এমন একজন আলোকবর্তিকা যাঁর অপরিসীম ভালোবাসা আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়েও শক্তি ও প্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সর্বোচ্চ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবুও যন্ত্রণা, একাকিত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকেও তিনি অদম্য সাহস, সহানুভূতি ও দেশপ্রেম সঞ্চার করেছিলেন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মাঝে।’

খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দেশের জন্য তিনি হারিয়েছেন স্বামী, হারিয়েছেন সন্তান। তাই এই দেশ, এই দেশের মানুষই ছিল তাঁর পরিবার, তাঁর সত্তা, তাঁর অস্তিত্ব। তিনি রেখে গেছেন জনসেবা, ত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিক্রমায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আপনারা সবাই আমার মা’র জন্য দোয়া করবেন। তাঁর প্রতি দেশবাসীর আবেগ, ভালোবাসা ও বৈশ্বিক শ্রদ্ধায় আমি ও আমার পরিবার চিরকৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করেছেন: মঈন খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৪
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঈন খান এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য।

মঈন খান আরও বলেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত খালেদা জিয়া স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই দেশে নারী শিক্ষার জন্য সবার আগে কথা বলেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে চিরদিন মনে রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জরুরি বৈঠকে বিএনপি, এভারকেয়ার থেকে যোগ দিলেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জরুরি বৈঠকে বিএনপি, এভারকেয়ার থেকে যোগ দিলেন তারেক রহমান

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক চলছে। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সেখানে যুক্ত হয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দুপুর ১টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে পৌঁছান তিনি। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে শেষবারের মতো এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির দুই অংশের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির দুই অংশের শোক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির দুই অংশের নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের পাঠানো শোকবার্তায় দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধি ছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা ও বহুদলীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন প্রবীণ ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারাল, যা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পৃথক আরেক শোকবার্তায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির আপসহীন নেত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। রাজনীতির যে সাহসী শিক্ষা ও আদর্শ তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন, তা ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের জন্য তাঁর ত্যাগ ও আত্মনিবেদন জাতি চিরদিন স্মরণে রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত