Ajker Patrika

মাঠে বিএনপির তরুণেরা

  • বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
  • লক্ষ্য নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে জনমত গঠনের জন্য নাগরিক সমাজ ও তরুণদের কাছে যাওয়া।
  • কোনো ‘মহামানব’ তৈরির জন্য নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছে মানুষ: আমীর খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮: ৪১
মাঠে বিএনপির তরুণেরা

রাষ্ট্র সংস্কারে সংবিধান সংস্কার কমিশনের করা বেশ কিছু মৌলিক প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নয় বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার কথা বললেও বিএনপি অনড় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটের দাবিতে। কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি আদায়ে সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে দলটি। এ জন্য মাঠে নামানো হচ্ছে নেতা-কর্মীদের। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ও চলমান নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় আগামী নির্বাচনে তরুণ প্রজন্ম ও নতুন ভোটারদের সক্রিয় ভূমিকা থাকার সম্ভাবনা দেখছে বিএনপি। এ কারণে নাগরিকদের মধ্যে তরুণসমাজের কাছে আগে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে দলটি।

গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিন অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

যুবদল সভাপতি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ, সৃজনশীলতার বিকাশ ও তৃণমূল পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বাস্তবসম্মত মডেল গড়ে তুলতে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম দিন একটি করে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যার শিরোনাম হবে ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’। রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে নানা শ্রেণি-পেশার তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, উদীয়মান চিন্তাবিদ, তরুণ বক্তা ও উদ্যোক্তারা এতে অংশ নেবেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, নগরায়ণ, প্রযুক্তি, রাজনৈতিক অধিকার ও তারুণ্যের ক্ষমতায়নের জন্য একটি আধুনিক, মানবিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ নির্মাণে কী করা যেতে পারে, সে বিষয়গুলো সেমিনারের আলোচনায় আসবে। বিএনপি ও মিত্র দলগুলোর ৩১ দফা রূপরেখা নিয়েও সেখানে কথা হবে।

কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন প্রতিটি বিভাগে ‘তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মহাসমাবেশ’ শীর্ষক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর উদ্দেশ্য হলো, দেশের তরুণসমাজের ঐক্য, দৃঢ়প্রত্যয় ও প্রত্যাশাকে প্রাণবন্ত পরিবেশে উপস্থাপন করা।

দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে চারটি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম কর্মসূচি হবে আগামী ৯-১০ মে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগে। দ্বিতীয় কর্মসূচি ১৬-১৭ মে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে। তৃতীয় কর্মসূচি ২৩ মে বগুড়ায় এবং ২৪ মে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে। চতুর্থ কর্মসূচি ২৭-২৮ মে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে।

নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন ইস্যুতে জনমত গঠনের জন্যও নাগরিক সমাজ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখছে বিএনপি। মূলত এ কারণেই কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে দলের তিন অঙ্গসংগঠন।

এ বিষয়ে দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি সংস্কার চায় না, এমন প্রচার রয়েছে। বিএনপি আসলে কী চায়, তা জানানোর পাশাপাশি সংস্কারের বিষয়ে দলের কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাও প্রয়োজন।

রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থায় অন্তত কিছু পরিবর্তন আনতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বড় দলগুলোর একটি বিএনপি চায়, যেসব পরিবর্তন আনতে দলগুলো একমত পোষণ করছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট হোক। তার আগে কখন কী করা হবে, সে বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট পথরেখা চায় দলটি। অন্যদিকে বিএনপি সংস্কার ছাড়াই ক্ষমতার জন্য ভোট চায়, এমন প্রচারণা রয়েছে। এমন অবস্থায় নিজ দাবিগুলোকে সামনে নিয়ে নাগরিকদের কাছে যাচ্ছে বিএনপি।

এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে ডিসেম্বরে নির্বাচন করা যায়। এর বাইরে এখন সংস্কার করার সুযোগ নেই। ঐকমত্যের বাইরে কিছু করতে হলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে।

বিএনপির নেতারা ডিসেম্বরের ভোটের জন্য পথনকশা চেয়ে কয়েক দফা দেখা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো পথনকশা দেওয়া হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, আগামী জুনের মধ্যে ভোট করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

গত সপ্তাহে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরাকে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে জনগণ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তী সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি।’

ইউনূসের এ মন্তব্যের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মন্তব্য, এখানে ব্যক্তিবিশেষের বিষয় নয়। কোনো ‘মহামানব’ তৈরির জন্য মানুষ জীবন দেয়নি; দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছে। গতকাল ঢাকায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, অতীতেও অনেক মহামানব তৈরি করা হয়েছে, তার ফলাফল কী হয়েছে, তা দেশের মানুষ দেখতে পেয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাহিদ শিক্ষকতা ও পরামর্শ দিয়ে বছরে আয় করেন ১৬ লাখ টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৫
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর হলফনামায় বর্তমান পেশা হিসেবে পরামর্শক ও আগের পেশা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন। আর তিনি শিক্ষকতা ও পরামর্শ দিয়ে বছরে আয় করেন ১৬ লাখ টাকা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১১ আসনে প্রার্থী হিসেবে হলফনামায় এমন তথ্য দিয়েছেন তিনি।

শিক্ষাগত যোগ্যতায় উল্লেখ করেছেন স্নাতক। তাঁর স্ত্রী ফাতিমাতুজ জোহরা পেশায় গৃহিণী।

অস্থাবর সম্পদে নাহিদ উল্লেখ করেছেন, নগদ অর্থ আছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর কাছে আছে ২ লাখ টাকা। ব্যাংকে আছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬৩ টাকা ৫৭ পয়সা। নিজের কাছে অর্জনকালীন পৌনে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার গয়না আছে। স্ত্রীর কাছে আছে অর্জনকালীন ১০ লাখ টাকা মূল্যের গয়না। এ ছাড়া ১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক পণ্য আছে এবং আসবাবপত্র আছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার।

আয়কর রিটার্নে নাহিদ ৩২ লাখ ১৬ হাজার ১২২ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। আয়কর দিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ টাকা।

স্থাবর সম্পদে তিনি কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। সব ঘরে প্রযোজ্য নয় লিখেছেন। ঋণের তথ্যে তিনি উল্লেখ করেছেন, নির্ভরশীল ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ (স্ত্রী) ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের রামপুরা শাখা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের বাড়ি-গাড়ি নেই, আছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৬
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নগদ ও ব্যাংকে জমা আছে ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা। স্ত্রী জুবাইদা রহমানের আছে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের তিনি এমন হিসাব দিয়েছেন।

হলফনামায় পেশা হিসেবে তারেক রহমান রাজনীতি উল্লেখ করেছেন। স্ত্রী জুবাইদা রহমান পেশায় চিকিৎসক। মেয়ে জাইমা জারনাজ রহমান ছাত্রী।

হলফনামা অনুযায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। আর আয়কর দিয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৩ টাকা।

দেশে-বিদেশে আয়ের উৎসে দেখিয়েছেন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক স্থান নেই। শেয়ার, বন্ড/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় করেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ টাকা।

অস্থাবর সম্পদে তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেছেন, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির অর্জনকালীন সময়ে শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকার, কোম্পানির শেয়ার ৪৫ লাখ টাকার, কোম্পানি আছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার।

তারেক রহমানের ব্যাংকে নিজ নামে ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত ২০ হাজার ও অন্যান্য আমানত আছে ১ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর, সঞ্চয়ী আমানত আছে ১৫ হাজার ২৬০ টাকার।

অর্জনকালীন ২ হাজার ৯৫০ টাকা মূল্যের গয়না ও ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র আছে।

স্থাবর সম্পদে উল্লেখ করেছেন, নিজের কোনো কৃষিজমি নেই। ২ দশমিক ০১ একর ও ১ দশমিক ৪ শতাংশ অকৃষিজমি আছে; যার অর্জনকালীন মূল্য ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। উপহারের আবাসস্থলের জমি আছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ ৷ স্ত্রীর আছে যৌথ মালিকানার ১১১ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি ও ৮০০ বর্গফুট দোতলা ভবন; যার মূল্য অজানা।

তারেক রহমান তাঁর হলফনামায় আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি দ্বৈত নাগরিক নন। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক। বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। ২০০৭ সাল থেকে তাঁর নামে ৭৭টি মামলা করা হয়েছিল, যার কোনোটি থেকে খালাস, কোনোটি প্রত্যাহার, কোনোটি খারিজ, কোনোটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। বাছাই চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর একই সঙ্গে সংসদ ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসনাতের বছরে আয় সাড়ে ১২ লাখ টাকা, ব্যাংকে ২৬ লাখ টাকার সোনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর বছরে আয় ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ টাকা। তাঁর পেশা ব্যবসা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেন তিনি।

হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ। তিনি উল্লেখ করেছেন স্ত্রী সাবরিনা জাহান নুসরাত পেশায় গৃহিণী। হাম্মাম আব্দুল্লাহ হামজা নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে।

অস্থাবর সম্পদে হাসনাত উল্লেখ করেছেন, নগদ আছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংকে আছে ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। গয়না আছে ২৬ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিক পণ্য আছে ৬৫ হাজার টাকার। আসবাব আছে ১ লাখ টাকার।

স্থাবর সম্পদে তিনি কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। লিখেছেন, ‘প্রযোজ্য নয়’।

আয়কর রিটার্নে তিনি ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। আয়কর দিয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩১ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার প্রয়াণে ছায়ানট ও উদীচীর শোক প্রকাশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার প্রয়াণে ছায়ানট ও উদীচীর শোক প্রকাশ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ছায়ানট জানায়, দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সংগঠনটি কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁকে স্মরণ করছে। শোকবার্তায় ছায়ানটের সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণ জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

এদিকে, এক পৃথক শোকবার্তায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি বর্ণিল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে।

শোকবার্তায় উদীচীর নেতারা উল্লেখ করেন, ১৯৮০–এর দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া অনন্য ভূমিকা পালন করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তিনি বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সক্রিয় হন। ধারাবাহিক গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও তাঁর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত