নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় অনুগত সব বিচারপতির অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। এর পাশাপাশি সংবিধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নাম করার দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—
১. স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রণীত সব আইনকানুন বিধিবিধানের আমূল সংস্কার করে স্বদেশ ও স্বাধীন মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী আইন সংস্কার কমিশন গঠন করে কল্যাণ রাষ্ট্রের সংবিধান সংশোধনসহ আইন বিধিমালা তৈরি করতে হবে।
২. স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন দুদক, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন, আইন কমিশন, স্বাধীন দেশে নাগরিক কল্যাণে পুলিশ কমিশন গঠনসহ ন্যায়পাল কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. পতিত সরকারের নিয়োগকৃত পদলেহনকারী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণ করতে হবে।
৪. পতিত সরকার কর্তৃক উচ্চ আদালতে নিয়োগকৃত দলীয় ও অনুগত সব বিচারপতিকে অপসারণ করতে হবে।
৫. ছাত্র-জনতাকে মানবতাবিরোধী গণহত্যা ও গণগুমের ন্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. এক ব্যক্তি দুবারের অধিক প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না মর্মে বিধিবদ্ধ আইন প্রণয়নসহ একই ব্যক্তি একই মেয়াদকালে সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না।
৭. স্বাধীন ও মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে এবং সম্প্রতি সংগঠিত ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের প্রত্যাশিত আদর্শিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থার জন্য শিক্ষানীতি নিশ্চিত করতে হবে।
৮. যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশ রাজা-শাসকদের রাজ্য কিংবা রাষ্ট্র নয়, সুতরাং সাংবিধানিকভাবে আমাদের রাষ্ট্রটির নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের’ স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নামকরণ করতে হবে।
৯. হত্যাকাণ্ড যেমন অমানবিক ও গর্হিত অপরাধ, সে কারণে হত্যাকরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই যথার্থ, ঠিক তেমনি দুর্নীতি নামক দুষ্ট ক্ষত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড আইন প্রণয়ন করতে হবে।
১০. দেশের নিম্ন আদালতসহ উচ্চ আদালতে সব ধরনের আইনি কার্যক্রম ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে বাংলায় চালু বাধ্যতামূলকসহ এর সব সঠিক ব্যবহারবিধি চালুর লক্ষ্যে আইন গ্রন্থসমূহ বাংলায় রচনা করতে হবে।
১১. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা বাতিলপূর্বক তাদের শাস্তির আওতায় আনাতে হবে।
১২. দেশের সব নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই পেনশন স্কিম পদ্ধতি চালুর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. উচ্চ আদালতসহ দেশের নিম্ন আদালতসমূহের বিচার বিভাগের কর্মচারী যথা বেঞ্চ অফিসার, সেরেস্তাদার, পেশাকারদের রেওয়াজি থোক (ঘুষ) আদান-প্রদানের ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশের সব আইনজীবী কর্তৃক ঘুষের রেওয়াজ বন্ধে আন্তরিক হতে হবে।
১৪. রাজধানী ঢাকার অসহনীয় যানজট নিরসনে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে অধিক করারোপসহ পর্যাপ্তসংখ্যক আরামপ্রদ গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক ভিত্তিতে আয়-রোজগারসহ ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব বিবরণী জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১৬. বাংলাদেশে দলিল রেজি. সম্পাদনকারী সাবরেজিস্ট্রার অফিসের রেওয়াজি (১) ঘুষ ও অনৈতিক অর্থ লেনদেন বন্ধ করার লক্ষ্যে রেজিস্ট্রার/সাবরেজিস্ট্রার ও তাদের সহকর্মীদের গোয়েন্দা তদারকির মাধ্যমে তাদের নিত্যকার লক্ষ-কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৭. অনৈতিক ব্যবসায় ও ঘুষ লেদদেনসহ অবৈধ অর্থ সংগ্রহকারী গোষ্ঠীটির বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনাসহ অর্থ পাচারকারীদের অর্থবিত্ত ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেশে ফেরত আনার কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের সভাপতি মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, মেজর (অব.) হামিদুল ইসলাম বীর বিক্রম প্রমুখ।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় অনুগত সব বিচারপতির অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। এর পাশাপাশি সংবিধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নাম করার দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—
১. স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রণীত সব আইনকানুন বিধিবিধানের আমূল সংস্কার করে স্বদেশ ও স্বাধীন মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী আইন সংস্কার কমিশন গঠন করে কল্যাণ রাষ্ট্রের সংবিধান সংশোধনসহ আইন বিধিমালা তৈরি করতে হবে।
২. স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন দুদক, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন, আইন কমিশন, স্বাধীন দেশে নাগরিক কল্যাণে পুলিশ কমিশন গঠনসহ ন্যায়পাল কমিশন গঠন করতে হবে।
৩. পতিত সরকারের নিয়োগকৃত পদলেহনকারী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণ করতে হবে।
৪. পতিত সরকার কর্তৃক উচ্চ আদালতে নিয়োগকৃত দলীয় ও অনুগত সব বিচারপতিকে অপসারণ করতে হবে।
৫. ছাত্র-জনতাকে মানবতাবিরোধী গণহত্যা ও গণগুমের ন্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. এক ব্যক্তি দুবারের অধিক প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না মর্মে বিধিবদ্ধ আইন প্রণয়নসহ একই ব্যক্তি একই মেয়াদকালে সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না।
৭. স্বাধীন ও মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে এবং সম্প্রতি সংগঠিত ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের প্রত্যাশিত আদর্শিক বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থার জন্য শিক্ষানীতি নিশ্চিত করতে হবে।
৮. যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশ রাজা-শাসকদের রাজ্য কিংবা রাষ্ট্র নয়, সুতরাং সাংবিধানিকভাবে আমাদের রাষ্ট্রটির নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের’ স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নামকরণ করতে হবে।
৯. হত্যাকাণ্ড যেমন অমানবিক ও গর্হিত অপরাধ, সে কারণে হত্যাকরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই যথার্থ, ঠিক তেমনি দুর্নীতি নামক দুষ্ট ক্ষত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড আইন প্রণয়ন করতে হবে।
১০. দেশের নিম্ন আদালতসহ উচ্চ আদালতে সব ধরনের আইনি কার্যক্রম ইংরেজি ভাষার পরিবর্তে বাংলায় চালু বাধ্যতামূলকসহ এর সব সঠিক ব্যবহারবিধি চালুর লক্ষ্যে আইন গ্রন্থসমূহ বাংলায় রচনা করতে হবে।
১১. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা বাতিলপূর্বক তাদের শাস্তির আওতায় আনাতে হবে।
১২. দেশের সব নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই পেনশন স্কিম পদ্ধতি চালুর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. উচ্চ আদালতসহ দেশের নিম্ন আদালতসমূহের বিচার বিভাগের কর্মচারী যথা বেঞ্চ অফিসার, সেরেস্তাদার, পেশাকারদের রেওয়াজি থোক (ঘুষ) আদান-প্রদানের ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশের সব আইনজীবী কর্তৃক ঘুষের রেওয়াজ বন্ধে আন্তরিক হতে হবে।
১৪. রাজধানী ঢাকার অসহনীয় যানজট নিরসনে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে অধিক করারোপসহ পর্যাপ্তসংখ্যক আরামপ্রদ গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক ভিত্তিতে আয়-রোজগারসহ ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব বিবরণী জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১৬. বাংলাদেশে দলিল রেজি. সম্পাদনকারী সাবরেজিস্ট্রার অফিসের রেওয়াজি (১) ঘুষ ও অনৈতিক অর্থ লেনদেন বন্ধ করার লক্ষ্যে রেজিস্ট্রার/সাবরেজিস্ট্রার ও তাদের সহকর্মীদের গোয়েন্দা তদারকির মাধ্যমে তাদের নিত্যকার লক্ষ-কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৭. অনৈতিক ব্যবসায় ও ঘুষ লেদদেনসহ অবৈধ অর্থ সংগ্রহকারী গোষ্ঠীটির বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনাসহ অর্থ পাচারকারীদের অর্থবিত্ত ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেশে ফেরত আনার কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের সভাপতি মেজর (অব.) মো. মফিজুল হক সরকার, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, মেজর (অব.) হামিদুল ইসলাম বীর বিক্রম প্রমুখ।

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
৩০ মিনিট আগে
ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে
৩৭ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির চ্যালেঞ্জ: রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এ সময় মাফিয়াদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির পরিবর্তে দেশ বদলের নির্বাচনে পরিণত করার কথাও জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অতিকথন, বাড়াবাড়ি, ভুল ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন যে, যাঁরা নির্বাচন করতে চান, তাঁদের অস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা দেওয়া হবে। সাধারণত নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং বৈধ অস্ত্রও থানায় জমা দিতে বলা হয়। প্রার্থী ও নেতাদের সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাব করে তিনি বলেন, ‘নতুন করে ১০-১৫ বা ২০ হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হলে প্রার্থীরা বন্দুক ঘাড়ে করে নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হবেন, যা খুবই ভয়াবহ চিন্তা ও আফ্রিকায় যেভাবে যুদ্ধ চলে, তারই নামান্তর। এই খবরটাও আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে। এটি দেশে প্রায় ‘‘আফ্রিকান সিনড্রোম’’ বা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘যেখানে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেখানে আমরাই, যাঁরা রাজনৈতিক নেতা, প্রার্থী হবেন, তাঁদের বন্দুক ঘাড়ে করে নিয়ে দেশব্যাপী তাঁদেরকে এখন যোগাযোগ করতে হবে, গণসংযোগ করতে হবে, নির্বাচনে তাদেরকে পাহারা বসাতে হবে তাদের নিরাপত্তা বা ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য; এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি আজকে দাবি করতে চাই, অবিলম্বে এই হঠকারী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আপনি প্রত্যাহার করুন। বরং সরকারের উচিত হবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কার্যকর, দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘একদিকে সেনাবাহিনী ভোটকেন্দ্রের মধ্যে পাহারা দিচ্ছে, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এক লাখ সেনাবাহিনী-পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থারা আর অন্যদিকে প্রার্থীরা বন্দুকবাজ, তাঁরা সশস্ত্র প্রহরা নিয়ে দেশব্যাপী ঘুরবেন। তার মানে এটা প্রায় একটা আফ্রিকান সিনড্রোম হওয়ার জায়গা। আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে আমরা এই ধরনের একটা জিনিস দেখি। যেখানে পদে পদে মৃত্যু, পদে পদে সংঘাত, পদে পদে সেখানে বন্দুকের লড়াই। আপনারা (সরকার) কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন, চিন্তা করুন।’
কোনোভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঝুঁকির মধ্যে নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘কোনোভাবেই আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনস্তাত্ত্বিকভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা করা মানে হচ্ছে, ভোটারদের পরোক্ষভাবে অনুৎসাহিত করা। ভোটাররা এ রকম একটা আধা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহ বোধ করবে না। তখন ইতিহাসের সেরা নির্বাচন দূরের কথা, একটা সাধারণ ভালো নির্বাচন করা যাবে কি না, সেটাও সন্দেহ। সুতরাং, নতুন একটা তাৎপর্যে বাংলাদেশ হাজির হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে কোনোভাবেই ঝুঁকির মধ্যে নেওয়া যাবে না। আপনাদের অতিকথন, বাড়াবাড়ি, ভুল পদক্ষেপ, আত্মঘাতী পদক্ষেপের জন্য অনেকগুলো বড় সংকট তৈরি হতে পারে। সে জন্য বলব—চলেন, আমরা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিই।’

প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অভ্যুত্থান উত্তর বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির চ্যালেঞ্জ: রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এ সময় মাফিয়াদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির পরিবর্তে দেশ বদলের নির্বাচনে পরিণত করার কথাও জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অতিকথন, বাড়াবাড়ি, ভুল ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন যে, যাঁরা নির্বাচন করতে চান, তাঁদের অস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা দেওয়া হবে। সাধারণত নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং বৈধ অস্ত্রও থানায় জমা দিতে বলা হয়। প্রার্থী ও নেতাদের সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাব করে তিনি বলেন, ‘নতুন করে ১০-১৫ বা ২০ হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হলে প্রার্থীরা বন্দুক ঘাড়ে করে নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হবেন, যা খুবই ভয়াবহ চিন্তা ও আফ্রিকায় যেভাবে যুদ্ধ চলে, তারই নামান্তর। এই খবরটাও আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে। এটি দেশে প্রায় ‘‘আফ্রিকান সিনড্রোম’’ বা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘যেখানে আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেখানে আমরাই, যাঁরা রাজনৈতিক নেতা, প্রার্থী হবেন, তাঁদের বন্দুক ঘাড়ে করে নিয়ে দেশব্যাপী তাঁদেরকে এখন যোগাযোগ করতে হবে, গণসংযোগ করতে হবে, নির্বাচনে তাদেরকে পাহারা বসাতে হবে তাদের নিরাপত্তা বা ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য; এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি আজকে দাবি করতে চাই, অবিলম্বে এই হঠকারী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আপনি প্রত্যাহার করুন। বরং সরকারের উচিত হবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কার্যকর, দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘একদিকে সেনাবাহিনী ভোটকেন্দ্রের মধ্যে পাহারা দিচ্ছে, বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এক লাখ সেনাবাহিনী-পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থারা আর অন্যদিকে প্রার্থীরা বন্দুকবাজ, তাঁরা সশস্ত্র প্রহরা নিয়ে দেশব্যাপী ঘুরবেন। তার মানে এটা প্রায় একটা আফ্রিকান সিনড্রোম হওয়ার জায়গা। আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে আমরা এই ধরনের একটা জিনিস দেখি। যেখানে পদে পদে মৃত্যু, পদে পদে সংঘাত, পদে পদে সেখানে বন্দুকের লড়াই। আপনারা (সরকার) কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন, চিন্তা করুন।’
কোনোভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঝুঁকির মধ্যে নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘কোনোভাবেই আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনস্তাত্ত্বিকভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা করা মানে হচ্ছে, ভোটারদের পরোক্ষভাবে অনুৎসাহিত করা। ভোটাররা এ রকম একটা আধা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহ বোধ করবে না। তখন ইতিহাসের সেরা নির্বাচন দূরের কথা, একটা সাধারণ ভালো নির্বাচন করা যাবে কি না, সেটাও সন্দেহ। সুতরাং, নতুন একটা তাৎপর্যে বাংলাদেশ হাজির হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে কোনোভাবেই ঝুঁকির মধ্যে নেওয়া যাবে না। আপনাদের অতিকথন, বাড়াবাড়ি, ভুল পদক্ষেপ, আত্মঘাতী পদক্ষেপের জন্য অনেকগুলো বড় সংকট তৈরি হতে পারে। সে জন্য বলব—চলেন, আমরা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিই।’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় অনুগত সব বিচারপতিদের অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। এর পাশাপাশি সংবিধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নাম করার দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে
৩৭ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে তাদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে। আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জনগণের ভোটে আমরা যদি নির্বাচিত হয়ে আসি, তাহলে আমরা নিশ্চিত করব যে, জুলাই যোদ্ধা সবাইকে আমরা নিরাপত্তা দেব।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আসন্ন নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আমাদের সেই নির্বাচন, যে নির্বাচনে উদার গণতান্ত্রিক একটা বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করব নাকি একটা পশ্চাৎপদ বাংলাদেশের দিকে ফিরে যাব—এই নির্বাচনে সেই সিদ্ধান্ত হবে।’
একটি রাজনৈতিক দলের দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে দলটি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজকে নতুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে চায়, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিতে চায়।
বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিভিন্ন রকম ধোঁয়া তুলে, মিথ্যা কথা বলে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের বন্ধু, আমাদের সহকর্মী, আমাদের সন্তান হাদির ওপরে আক্রমণ হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। আক্রমণকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেখা গেছে, সে আওয়ামী লীগের একজন সন্ত্রাসী। আজকে কেন স্লোগান দেয় তারা যে—বিএনপিকে জবাব দিতে হবে। উদ্দেশ্য একটাই, বিএনপিকে তারা একটা হীন উদ্দেশ্যে চিহ্নিত করতে চায়।’
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে সামনে রেখে জেগে ওঠারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘২৫ তারিখে আমাদের নেতা আসছেন। সেদিন সমগ্র বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে জাতীয়তাবাদের পতাকে তুলে ধরব। তারেক রহমান দেশে আসছেন। আসুন, আমরা সবাই জেগে উঠি দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে তাদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে। আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জনগণের ভোটে আমরা যদি নির্বাচিত হয়ে আসি, তাহলে আমরা নিশ্চিত করব যে, জুলাই যোদ্ধা সবাইকে আমরা নিরাপত্তা দেব।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আসন্ন নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আমাদের সেই নির্বাচন, যে নির্বাচনে উদার গণতান্ত্রিক একটা বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করব নাকি একটা পশ্চাৎপদ বাংলাদেশের দিকে ফিরে যাব—এই নির্বাচনে সেই সিদ্ধান্ত হবে।’
একটি রাজনৈতিক দলের দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে দলটি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজকে নতুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে চায়, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিতে চায়।
বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিভিন্ন রকম ধোঁয়া তুলে, মিথ্যা কথা বলে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের বন্ধু, আমাদের সহকর্মী, আমাদের সন্তান হাদির ওপরে আক্রমণ হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। আক্রমণকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেখা গেছে, সে আওয়ামী লীগের একজন সন্ত্রাসী। আজকে কেন স্লোগান দেয় তারা যে—বিএনপিকে জবাব দিতে হবে। উদ্দেশ্য একটাই, বিএনপিকে তারা একটা হীন উদ্দেশ্যে চিহ্নিত করতে চায়।’
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে সামনে রেখে জেগে ওঠারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘২৫ তারিখে আমাদের নেতা আসছেন। সেদিন সমগ্র বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে জাতীয়তাবাদের পতাকে তুলে ধরব। তারেক রহমান দেশে আসছেন। আসুন, আমরা সবাই জেগে উঠি দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় অনুগত সব বিচারপতিদের অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। এর পাশাপাশি সংবিধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নাম করার দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
৩০ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় অনুগত সব বিচারপতিদের অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। এর পাশাপাশি সংবিধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নাম করার দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
৩০ মিনিট আগে
ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে
৩৭ মিনিট আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও উচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া দলীয় অনুগত সব বিচারপতিদের অপসারণসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। এর পাশাপাশি সংবিধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থলে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নাম করার দাবি করেন সংগঠনের নেতারা।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রার্থীদের হাতে বন্দুক বা বন্দুকের লাইসেন্স দিলে আফ্রিকান সিনড্রোম বা আফ্রিকার মতো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক।
৩০ মিনিট আগে
ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চব্বিশের জুলাই যোদ্ধা যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যেই শঙ্কা আছে—এই অন্তর্বর্তী সরকারের পরে নতুন সরকার আসলে
৩৭ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে