সম্পাদকীয়
এ খবর নতুন নয় যে গত বছর ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান ও আওয়ামী শাসনের অবসানের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মামলা হচ্ছে ব্যক্তিগত বিরোধ বা আক্রোশ থেকেও—এমন নয় যে তাঁরা সবাই রাজনৈতিক পদধারী কেউ কিংবা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ আছে। এ নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছে না। কিন্তু সমালোচনার তোয়াক্কা না করে মামলা করার এমন প্রতিযোগিতা যেন বন্ধই হচ্ছে না।
চট্টগ্রামে গৃহীত ৪৯টি মামলার ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব মামলার ২০ হাজার অভিযুক্তের অনেকে নিরীহ, অকারণে ভুক্তভোগী তাঁরা। এই ঘটনা রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা ও আইনি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের প্রশাসনিক অপব্যবস্থার বিষয়টি গভীর উদ্বেগের।
মামলাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বহু নিরপরাধ নাগরিক, যাঁরা কোনো ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন, তাঁদের নাম এজাহারে যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি অনেক বাদী যেমন মামলার ব্যাপারে জানেন না, তেমনি অভিযুক্তদেরও চেনেন না। এটি শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক নয়, সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত রূপও। যাঁরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন, তাঁরা যখন নিজেরাই অন্যায়ের শিকার হন, তখন রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং জনগণের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী নাসিরুল আলম জানেন না তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। সরকারি কর্মচারী মোহাম্মদ এয়াকুব প্রমাণ দেখাচ্ছেন যে মামলায় তাঁর নাম রয়েছে, সেই ঘটনার সময় তিনি দেশেই ছিলেন না। এমন উদাহরণগুলো প্রশাসনিক ত্রুটি, পক্ষপাতিত্ব এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে আইনের অপব্যবহারের স্পষ্ট নিদর্শন নয় কি?
যদিও পুলিশ বলছে, এই মামলাগুলোর এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে কারা প্রকৃতপক্ষে জড়িত, তা যাচাই করা হচ্ছে। কিন্তু এমন কথা দেওয়া-নেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সমস্যা থেকে যাচ্ছে। যথাযথ প্রমাণ ছাড়া অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাবকে প্রতিফলিত করে।
বিচারব্যবস্থা বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের ওপর জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন করার কথা। সেই প্রমাণ কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে। যাঁদের সত্যিকারের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত; কিন্তু মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া মানুষকে দ্রুত রেহাই দেওয়া জরুরি।
যাঁরা অযথা মামলা করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি করছেন, এটা যে অন্যায়, এই বোধোদয় তাঁদের হতে হবে। নইলে প্রশাসনের উচিত তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া। নয়তো রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত বিরোধ মেটাতে বিচারব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা দীর্ঘ মেয়াদে গণতন্ত্র ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনে এ ধরনের অনাচার যেন না ঘটে, তা অগ্রাধিকার দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকেই। অন্তর্বর্তী সরকার এই অনাচার দূর করুক।
এ খবর নতুন নয় যে গত বছর ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান ও আওয়ামী শাসনের অবসানের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মামলা হচ্ছে ব্যক্তিগত বিরোধ বা আক্রোশ থেকেও—এমন নয় যে তাঁরা সবাই রাজনৈতিক পদধারী কেউ কিংবা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ আছে। এ নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছে না। কিন্তু সমালোচনার তোয়াক্কা না করে মামলা করার এমন প্রতিযোগিতা যেন বন্ধই হচ্ছে না।
চট্টগ্রামে গৃহীত ৪৯টি মামলার ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এসব মামলার ২০ হাজার অভিযুক্তের অনেকে নিরীহ, অকারণে ভুক্তভোগী তাঁরা। এই ঘটনা রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা ও আইনি প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের প্রশাসনিক অপব্যবস্থার বিষয়টি গভীর উদ্বেগের।
মামলাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বহু নিরপরাধ নাগরিক, যাঁরা কোনো ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন, তাঁদের নাম এজাহারে যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি অনেক বাদী যেমন মামলার ব্যাপারে জানেন না, তেমনি অভিযুক্তদেরও চেনেন না। এটি শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক নয়, সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত রূপও। যাঁরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন, তাঁরা যখন নিজেরাই অন্যায়ের শিকার হন, তখন রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং জনগণের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী নাসিরুল আলম জানেন না তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। সরকারি কর্মচারী মোহাম্মদ এয়াকুব প্রমাণ দেখাচ্ছেন যে মামলায় তাঁর নাম রয়েছে, সেই ঘটনার সময় তিনি দেশেই ছিলেন না। এমন উদাহরণগুলো প্রশাসনিক ত্রুটি, পক্ষপাতিত্ব এবং রাজনৈতিক প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে আইনের অপব্যবহারের স্পষ্ট নিদর্শন নয় কি?
যদিও পুলিশ বলছে, এই মামলাগুলোর এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে কারা প্রকৃতপক্ষে জড়িত, তা যাচাই করা হচ্ছে। কিন্তু এমন কথা দেওয়া-নেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সমস্যা থেকে যাচ্ছে। যথাযথ প্রমাণ ছাড়া অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাবকে প্রতিফলিত করে।
বিচারব্যবস্থা বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের ওপর জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন করার কথা। সেই প্রমাণ কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে। যাঁদের সত্যিকারের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত; কিন্তু মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া মানুষকে দ্রুত রেহাই দেওয়া জরুরি।
যাঁরা অযথা মামলা করে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি করছেন, এটা যে অন্যায়, এই বোধোদয় তাঁদের হতে হবে। নইলে প্রশাসনের উচিত তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া। নয়তো রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত বিরোধ মেটাতে বিচারব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা দীর্ঘ মেয়াদে গণতন্ত্র ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনে এ ধরনের অনাচার যেন না ঘটে, তা অগ্রাধিকার দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকেই। অন্তর্বর্তী সরকার এই অনাচার দূর করুক।
কয়েক দিন আগে অর্থ আত্মসাতের একটি খবর পাঠ করলাম। অবশ্য তা আমাদের দেশের নয়। দেশের অর্থ আত্মসাতের খবর প্রতিদিন কাগজে ছাপা হয়, পড়ি আর বিস্মিত হই। ক্ষুব্ধ হই। অসহায়ত্ব প্রকাশ করি। এই প্রেক্ষাপটে যখন ভিন্ন দেশের খবর পড়ি, তখনো কিছুটা অবাকই হই।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা আমেরিকার প্রভাবশালী দ্বিদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থার বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও অনেকেই ভেবেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দফার জয় একটি বিচ্যুতি। তারপর অবশ্য ট্রাম্পের দ্বিতীয় বিজয় বা যাকে ট্রাম্প-২.০ বলা হচ্ছে, সেই নির্বাচন একটি বিষয় নিশ
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বাম আন্দোলনের বিকাশ ও ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল কিন্তু তাকে কাজে লাগানো যায়নি। এই সংকট নিয়ে অনেক আলোচনা-বিশ্লেষণ হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সংকট না কমে বরং বেড়েছে। বাম দলগুলোও আরও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রভাব ও আকৃতির দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও যা আছে তা নিয়ে এভাবে নিজেদে
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্তক্যাডার বৈষম্য নিয়ে দ্বন্দ্ব ৫ আগস্টের পর ব্যাপকভাবে প্রকাশ্যে আসা শুরু করে। বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা সরকারের ২৬টি ক্যাডারে সবাই একই পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রবেশ করলেও ধীরে ধীরে ক্যাডারভেদে বৈষম্য প্রকট হয়ে ওঠে।
২ ঘণ্টা আগে