নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খুব বেশি আমল দেয়নি ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। ফলে বাংলাদেশ এখন তাঁকে আরও জোর দিয়ে চাইতে পারবে। তার ওপর দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি থাকায় শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া নিয়ে চাপে পড়বে ভারত।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত সোমবার শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও ওই দিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত সর্বদা সেই লক্ষ্যে সকল অংশীদারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছুই বলেনি দিল্লি।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে চিঠি চালাচালি শুরু হবে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন তো পরিস্থিতির কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আগে ছিল অভিযুক্ত (শেখ হাসিনা), এখন তাঁর বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এখন নতুন করে আবার চাইতে হবে। বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে চাইতে পারি। তবে আমাদের হাতে এমন কোনো অস্ত্র নেই যে ভারতকে বাধ্য করতে পারি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ দলটির অনেক নেতা-কর্মী দেশটিতে আশ্রয়ে আছেন। মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলার বিচারকাজ শুরু হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে তাতে সাড়া মেলেনি। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে আরও বেশি দাবি উঠেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সই হয়, যা ২০১৬ সালে সংশোধিত হয়েছে। এ চুক্তি দুই দেশের মধ্যে পলাতক আসামিদের দ্রুত এবং সহজে বিনিময়ের জন্য করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বা ফেরার আসামি এবং বন্দীদের একে অপরের কাছে হস্তান্তর করবে ভারত ও বাংলাদেশ।
এই চুক্তির কথা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, যেকোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি কতটা কার্যকর হবে, সেটা নির্ভর করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কী রকম, তার ওপর। কোনো চুক্তিই চূড়ান্ত হয় না, এটাই বাস্তবতা। যেহেতু আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে। গত বছর থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করা হলেও ভারতের দিক থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। অনুমান করা যায়, এবারও সাড়া দেবে না।
ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দেশটি থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত নেওয়া সহজ হবে না। দেশটির ওপি জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত সোমবার দিল্লিতে জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ অনেক দিন ধরে ফেরত চাইছে। ভারত দিচ্ছে না। এখন রায়ের পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ভারত তার অবস্থান বদলাবে, এটা মনে হয় না।
ভারতের দিক থেকে ‘না’ বলার অনেক উপায় আছে মন্তব্য করে শ্রীরাধা দত্ত বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বন্দী প্রত্যর্পণের জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি থাকলেও তাতে অনেক ফাঁকফোকর আছে। ভারত সরকারের আইন বিশেষজ্ঞরা তা নিশ্চয় খতিয়ে দেখবেন।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সেখানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে খলিলুর রহমানের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র বলছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি (খলিলুর রহমান) ভারতের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বা বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারেন। সেখান থেকে হয়তো আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে। কিন্তু বিষয়টি কঠিন। সহজে সমাধান হবে বলে মনে করি না।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন বাংলাদেশের দিক থেকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে সুবিচার হয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে পাওয়া যেতে পারে। সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘রায়ে সুবিচার হয়েছে, এটি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তা হলে ভারত একটা চাপের মধ্যে পড়তে পারে।’
ইন্টারপোলে নোটিশ জারির প্রক্রিয়া শুরু: প্রসিকিউটর
সাজা পরোয়ানা মূলে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারির জন্য আবেদনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটা ইন্টারপোলে যাবে।
গাজী তামিম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করলে আপিলের সুযোগ থাকবে না। যদি তাঁরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তাঁরা গ্রেপ্তার হলে রায় কার্যকর হবে। যেসব আইনে আপিলের সময়সীমা বর্ণনা করা নেই, সেসব আইনের আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হয় তামাদি আইন অনুযায়ী। তামাদি আইন অনুযায়ী আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হলে সময় পার হলেও বিলম্ব মার্জনার সুযোগ আছে। কিন্তু বিশেষ আইনগুলোতে যেখানে তামাদির সময় বলা আছে, ওই সময় পার হলে বিলম্ব মার্জনার কোনো সুযোগ নেই।
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই রায়ের একটি সার্টিফায়েড কপি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পাবে এবং একটি সার্টিফায়েড কপি এই মামলায় যে আসামি উপস্থিত ছিলেন তিনি পাবেন। যে আসামিরা পলাতক আছেন, তাঁরা যদি ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেন অথবা গ্রেপ্তার হন, তাহলে তাঁরাও পাবেন। এ ছাড়া রায়ের আরেকটি কপি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মানে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে কার্যকর করার জন্য।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খুব বেশি আমল দেয়নি ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। ফলে বাংলাদেশ এখন তাঁকে আরও জোর দিয়ে চাইতে পারবে। তার ওপর দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি থাকায় শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া নিয়ে চাপে পড়বে ভারত।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত সোমবার শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও ওই দিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত সর্বদা সেই লক্ষ্যে সকল অংশীদারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছুই বলেনি দিল্লি।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে চিঠি চালাচালি শুরু হবে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন তো পরিস্থিতির কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আগে ছিল অভিযুক্ত (শেখ হাসিনা), এখন তাঁর বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এখন নতুন করে আবার চাইতে হবে। বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে চাইতে পারি। তবে আমাদের হাতে এমন কোনো অস্ত্র নেই যে ভারতকে বাধ্য করতে পারি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ দলটির অনেক নেতা-কর্মী দেশটিতে আশ্রয়ে আছেন। মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলার বিচারকাজ শুরু হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে তাতে সাড়া মেলেনি। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে আরও বেশি দাবি উঠেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সই হয়, যা ২০১৬ সালে সংশোধিত হয়েছে। এ চুক্তি দুই দেশের মধ্যে পলাতক আসামিদের দ্রুত এবং সহজে বিনিময়ের জন্য করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বা ফেরার আসামি এবং বন্দীদের একে অপরের কাছে হস্তান্তর করবে ভারত ও বাংলাদেশ।
এই চুক্তির কথা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, যেকোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি কতটা কার্যকর হবে, সেটা নির্ভর করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কী রকম, তার ওপর। কোনো চুক্তিই চূড়ান্ত হয় না, এটাই বাস্তবতা। যেহেতু আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে। গত বছর থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করা হলেও ভারতের দিক থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। অনুমান করা যায়, এবারও সাড়া দেবে না।
ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দেশটি থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত নেওয়া সহজ হবে না। দেশটির ওপি জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত সোমবার দিল্লিতে জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ অনেক দিন ধরে ফেরত চাইছে। ভারত দিচ্ছে না। এখন রায়ের পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ভারত তার অবস্থান বদলাবে, এটা মনে হয় না।
ভারতের দিক থেকে ‘না’ বলার অনেক উপায় আছে মন্তব্য করে শ্রীরাধা দত্ত বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বন্দী প্রত্যর্পণের জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি থাকলেও তাতে অনেক ফাঁকফোকর আছে। ভারত সরকারের আইন বিশেষজ্ঞরা তা নিশ্চয় খতিয়ে দেখবেন।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সেখানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে খলিলুর রহমানের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র বলছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি (খলিলুর রহমান) ভারতের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বা বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারেন। সেখান থেকে হয়তো আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে। কিন্তু বিষয়টি কঠিন। সহজে সমাধান হবে বলে মনে করি না।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন বাংলাদেশের দিক থেকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে সুবিচার হয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে পাওয়া যেতে পারে। সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘রায়ে সুবিচার হয়েছে, এটি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তা হলে ভারত একটা চাপের মধ্যে পড়তে পারে।’
ইন্টারপোলে নোটিশ জারির প্রক্রিয়া শুরু: প্রসিকিউটর
সাজা পরোয়ানা মূলে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারির জন্য আবেদনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটা ইন্টারপোলে যাবে।
গাজী তামিম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করলে আপিলের সুযোগ থাকবে না। যদি তাঁরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তাঁরা গ্রেপ্তার হলে রায় কার্যকর হবে। যেসব আইনে আপিলের সময়সীমা বর্ণনা করা নেই, সেসব আইনের আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হয় তামাদি আইন অনুযায়ী। তামাদি আইন অনুযায়ী আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হলে সময় পার হলেও বিলম্ব মার্জনার সুযোগ আছে। কিন্তু বিশেষ আইনগুলোতে যেখানে তামাদির সময় বলা আছে, ওই সময় পার হলে বিলম্ব মার্জনার কোনো সুযোগ নেই।
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই রায়ের একটি সার্টিফায়েড কপি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পাবে এবং একটি সার্টিফায়েড কপি এই মামলায় যে আসামি উপস্থিত ছিলেন তিনি পাবেন। যে আসামিরা পলাতক আছেন, তাঁরা যদি ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেন অথবা গ্রেপ্তার হন, তাহলে তাঁরাও পাবেন। এ ছাড়া রায়ের আরেকটি কপি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মানে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে কার্যকর করার জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খুব বেশি আমল দেয়নি ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। ফলে বাংলাদেশ এখন তাঁকে আরও জোর দিয়ে চাইতে পারবে। তার ওপর দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি থাকায় শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া নিয়ে চাপে পড়বে ভারত।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত সোমবার শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও ওই দিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত সর্বদা সেই লক্ষ্যে সকল অংশীদারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছুই বলেনি দিল্লি।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে চিঠি চালাচালি শুরু হবে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন তো পরিস্থিতির কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আগে ছিল অভিযুক্ত (শেখ হাসিনা), এখন তাঁর বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এখন নতুন করে আবার চাইতে হবে। বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে চাইতে পারি। তবে আমাদের হাতে এমন কোনো অস্ত্র নেই যে ভারতকে বাধ্য করতে পারি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ দলটির অনেক নেতা-কর্মী দেশটিতে আশ্রয়ে আছেন। মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলার বিচারকাজ শুরু হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে তাতে সাড়া মেলেনি। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে আরও বেশি দাবি উঠেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সই হয়, যা ২০১৬ সালে সংশোধিত হয়েছে। এ চুক্তি দুই দেশের মধ্যে পলাতক আসামিদের দ্রুত এবং সহজে বিনিময়ের জন্য করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বা ফেরার আসামি এবং বন্দীদের একে অপরের কাছে হস্তান্তর করবে ভারত ও বাংলাদেশ।
এই চুক্তির কথা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, যেকোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি কতটা কার্যকর হবে, সেটা নির্ভর করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কী রকম, তার ওপর। কোনো চুক্তিই চূড়ান্ত হয় না, এটাই বাস্তবতা। যেহেতু আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে। গত বছর থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করা হলেও ভারতের দিক থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। অনুমান করা যায়, এবারও সাড়া দেবে না।
ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দেশটি থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত নেওয়া সহজ হবে না। দেশটির ওপি জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত সোমবার দিল্লিতে জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ অনেক দিন ধরে ফেরত চাইছে। ভারত দিচ্ছে না। এখন রায়ের পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ভারত তার অবস্থান বদলাবে, এটা মনে হয় না।
ভারতের দিক থেকে ‘না’ বলার অনেক উপায় আছে মন্তব্য করে শ্রীরাধা দত্ত বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বন্দী প্রত্যর্পণের জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি থাকলেও তাতে অনেক ফাঁকফোকর আছে। ভারত সরকারের আইন বিশেষজ্ঞরা তা নিশ্চয় খতিয়ে দেখবেন।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সেখানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে খলিলুর রহমানের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র বলছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি (খলিলুর রহমান) ভারতের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বা বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারেন। সেখান থেকে হয়তো আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে। কিন্তু বিষয়টি কঠিন। সহজে সমাধান হবে বলে মনে করি না।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন বাংলাদেশের দিক থেকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে সুবিচার হয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে পাওয়া যেতে পারে। সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘রায়ে সুবিচার হয়েছে, এটি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তা হলে ভারত একটা চাপের মধ্যে পড়তে পারে।’
ইন্টারপোলে নোটিশ জারির প্রক্রিয়া শুরু: প্রসিকিউটর
সাজা পরোয়ানা মূলে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারির জন্য আবেদনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটা ইন্টারপোলে যাবে।
গাজী তামিম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করলে আপিলের সুযোগ থাকবে না। যদি তাঁরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তাঁরা গ্রেপ্তার হলে রায় কার্যকর হবে। যেসব আইনে আপিলের সময়সীমা বর্ণনা করা নেই, সেসব আইনের আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হয় তামাদি আইন অনুযায়ী। তামাদি আইন অনুযায়ী আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হলে সময় পার হলেও বিলম্ব মার্জনার সুযোগ আছে। কিন্তু বিশেষ আইনগুলোতে যেখানে তামাদির সময় বলা আছে, ওই সময় পার হলে বিলম্ব মার্জনার কোনো সুযোগ নেই।
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই রায়ের একটি সার্টিফায়েড কপি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পাবে এবং একটি সার্টিফায়েড কপি এই মামলায় যে আসামি উপস্থিত ছিলেন তিনি পাবেন। যে আসামিরা পলাতক আছেন, তাঁরা যদি ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেন অথবা গ্রেপ্তার হন, তাহলে তাঁরাও পাবেন। এ ছাড়া রায়ের আরেকটি কপি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মানে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে কার্যকর করার জন্য।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খুব বেশি আমল দেয়নি ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। ফলে বাংলাদেশ এখন তাঁকে আরও জোর দিয়ে চাইতে পারবে। তার ওপর দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি থাকায় শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া নিয়ে চাপে পড়বে ভারত।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত সোমবার শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও ওই দিন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত সর্বদা সেই লক্ষ্যে সকল অংশীদারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত থাকবে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছুই বলেনি দিল্লি।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে চিঠি চালাচালি শুরু হবে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন তো পরিস্থিতির কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আগে ছিল অভিযুক্ত (শেখ হাসিনা), এখন তাঁর বিরুদ্ধে রায় হয়েছে। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এখন নতুন করে আবার চাইতে হবে। বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে চাইতে পারি। তবে আমাদের হাতে এমন কোনো অস্ত্র নেই যে ভারতকে বাধ্য করতে পারি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ দলটির অনেক নেতা-কর্মী দেশটিতে আশ্রয়ে আছেন। মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলার বিচারকাজ শুরু হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে তাতে সাড়া মেলেনি। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে আরও বেশি দাবি উঠেছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সই হয়, যা ২০১৬ সালে সংশোধিত হয়েছে। এ চুক্তি দুই দেশের মধ্যে পলাতক আসামিদের দ্রুত এবং সহজে বিনিময়ের জন্য করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বা ফেরার আসামি এবং বন্দীদের একে অপরের কাছে হস্তান্তর করবে ভারত ও বাংলাদেশ।
এই চুক্তির কথা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, যেকোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি কতটা কার্যকর হবে, সেটা নির্ভর করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কী রকম, তার ওপর। কোনো চুক্তিই চূড়ান্ত হয় না, এটাই বাস্তবতা। যেহেতু আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে। গত বছর থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করা হলেও ভারতের দিক থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। অনুমান করা যায়, এবারও সাড়া দেবে না।
ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, দেশটি থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত নেওয়া সহজ হবে না। দেশটির ওপি জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত সোমবার দিল্লিতে জার্মানির গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ অনেক দিন ধরে ফেরত চাইছে। ভারত দিচ্ছে না। এখন রায়ের পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে ভারত তার অবস্থান বদলাবে, এটা মনে হয় না।
ভারতের দিক থেকে ‘না’ বলার অনেক উপায় আছে মন্তব্য করে শ্রীরাধা দত্ত বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বন্দী প্রত্যর্পণের জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি থাকলেও তাতে অনেক ফাঁকফোকর আছে। ভারত সরকারের আইন বিশেষজ্ঞরা তা নিশ্চয় খতিয়ে দেখবেন।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সেখানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে খলিলুর রহমানের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র বলছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি (খলিলুর রহমান) ভারতের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বা বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারেন। সেখান থেকে হয়তো আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে। কিন্তু বিষয়টি কঠিন। সহজে সমাধান হবে বলে মনে করি না।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন বাংলাদেশের দিক থেকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে সুবিচার হয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে পাওয়া যেতে পারে। সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘রায়ে সুবিচার হয়েছে, এটি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তা হলে ভারত একটা চাপের মধ্যে পড়তে পারে।’
ইন্টারপোলে নোটিশ জারির প্রক্রিয়া শুরু: প্রসিকিউটর
সাজা পরোয়ানা মূলে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে নোটিশ জারির জন্য আবেদনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটা ইন্টারপোলে যাবে।
গাজী তামিম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করলে আপিলের সুযোগ থাকবে না। যদি তাঁরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তাঁরা গ্রেপ্তার হলে রায় কার্যকর হবে। যেসব আইনে আপিলের সময়সীমা বর্ণনা করা নেই, সেসব আইনের আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হয় তামাদি আইন অনুযায়ী। তামাদি আইন অনুযায়ী আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হলে সময় পার হলেও বিলম্ব মার্জনার সুযোগ আছে। কিন্তু বিশেষ আইনগুলোতে যেখানে তামাদির সময় বলা আছে, ওই সময় পার হলে বিলম্ব মার্জনার কোনো সুযোগ নেই।
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এই রায়ের একটি সার্টিফায়েড কপি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পাবে এবং একটি সার্টিফায়েড কপি এই মামলায় যে আসামি উপস্থিত ছিলেন তিনি পাবেন। যে আসামিরা পলাতক আছেন, তাঁরা যদি ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেন অথবা গ্রেপ্তার হন, তাহলে তাঁরাও পাবেন। এ ছাড়া রায়ের আরেকটি কপি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মানে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে কার্যকর করার জন্য।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
১ ঘণ্টা আগে
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় সরকার এর ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকা উচিত। দেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা...
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়ে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এর পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খুব বেশি আমল দেয়নি ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
১ ঘণ্টা আগে
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় সরকার এর ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকা উচিত। দেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা...
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়ে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এর পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সব ধরনের সাইবার অপরাধকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, সরকার সব ধরনের নাগরিক সেবাকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে অনেক সেবা দেশে ও বিদেশে অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এসব সেবাকে সুরক্ষিত ও নির্বিঘ্ন রাখতে হলে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। নাগরিক সেবার খাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস আরও বলেন, সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবে, তাদের নিয়মিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি এসব ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত জনবলকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট জনবলকে একটি রেটিং পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাইবার সুরক্ষাসহ প্রকৃত মূল্যায়ন সহজ হয়। ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে কোনো অপরাধ করে যেন কেউ পার পেয়ে না যায়—সে বিষয়েও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে বিচার বিভাগের পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইতিমধ্যে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশনসহ অন্যান্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এবং বিটিআরসির মধ্যকার সমন্বয়সাধনের বিষয়ে জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের সাইবার নিরাপত্তা আরও দৃঢ় করতে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সেক্টরাল সার্ট (সিইআরটি) গঠনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্যসচিব ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ড. মো. তৈয়বুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এজেন্সির কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ সাইবার পরিমণ্ডলে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রণীত ‘সাইবার ইনসিডেন্ট রিপোর্টিং অ্যান্ড রেস্পনস সিস্টেম’-এর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
২১ মে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের পর এই সংশোধিত অধ্যাদেশের অধীনে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৬ আগস্ট জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠিত হয়। ২৫ সদস্যের এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সব ধরনের সাইবার অপরাধকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, সরকার সব ধরনের নাগরিক সেবাকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে অনেক সেবা দেশে ও বিদেশে অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এসব সেবাকে সুরক্ষিত ও নির্বিঘ্ন রাখতে হলে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। নাগরিক সেবার খাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস আরও বলেন, সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা নেবে, তাদের নিয়মিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি এসব ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত জনবলকে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট জনবলকে একটি রেটিং পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাইবার সুরক্ষাসহ প্রকৃত মূল্যায়ন সহজ হয়। ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে কোনো অপরাধ করে যেন কেউ পার পেয়ে না যায়—সে বিষয়েও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে বিচার বিভাগের পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইতিমধ্যে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব, মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশনসহ অন্যান্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি এবং বিটিআরসির মধ্যকার সমন্বয়সাধনের বিষয়ে জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের সাইবার নিরাপত্তা আরও দৃঢ় করতে ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সেক্টরাল সার্ট (সিইআরটি) গঠনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্যসচিব ও জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক ড. মো. তৈয়বুর রহমান পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এজেন্সির কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ সাইবার পরিমণ্ডলে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রণীত ‘সাইবার ইনসিডেন্ট রিপোর্টিং অ্যান্ড রেস্পনস সিস্টেম’-এর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
২১ মে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের পর এই সংশোধিত অধ্যাদেশের অধীনে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৬ আগস্ট জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠিত হয়। ২৫ সদস্যের এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খুব বেশি আমল দেয়নি ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় সরকার এর ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকা উচিত। দেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা...
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়ে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এর পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় আজ রোববার পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তিনি বলেছেন, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের উপদেষ্টা সম্পাদক কামাল আহমেদ, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা।
প্রতিষ্ঠান দুটির ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, পক্ষে-বিপক্ষে মতভেদ থাকাটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে সহিংসতা ও হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় সরকার এর ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকা উচিত। দেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, পত্রিকা প্রকাশের সক্ষমতা বড় সাহসিকতা ও পেশাদারত্বের পরিচয়। মিডিয়া সত্য তুলে ধরবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
এ সময় ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃঢ়তার প্রশংসা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, গণমাধ্যম ঘুরে দাঁড়াবে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় থাকবে।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় আজ রোববার পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তিনি বলেছেন, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের উপদেষ্টা সম্পাদক কামাল আহমেদ, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা।
প্রতিষ্ঠান দুটির ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, পক্ষে-বিপক্ষে মতভেদ থাকাটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে সহিংসতা ও হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় সরকার এর ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকা উচিত। দেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, পত্রিকা প্রকাশের সক্ষমতা বড় সাহসিকতা ও পেশাদারত্বের পরিচয়। মিডিয়া সত্য তুলে ধরবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
এ সময় ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃঢ়তার প্রশংসা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, গণমাধ্যম ঘুরে দাঁড়াবে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় থাকবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খুব বেশি আমল দেয়নি ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়ে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এর পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়ে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এর পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আরপিওতে না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রে সন্তানেরও আয়ের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি রাখা হয়েছে। যেটা নিয়ে সব জায়গায় একটা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ অনেকের সন্তানেরা নিজেরাই উপার্জনক্ষম এবং তাঁরা নির্ভরশীল নন। অনেকেই দেশের বাইরে থাকেন। অনেকেই নিজেরা আলাদাভাবেই ট্যাক্স দেন। এই বিষয়টা নিয়ে একটা জটিলতা হয়ে গেছে। যার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি এবং কথা বললাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন নির্ভরশীল সন্তানদের বুঝিয়েছেন। তাঁরা এর ব্যাখ্যা দেবেন যে, এই ‘সন্তান’ শব্দটার অর্থ হলো ‘নির্ভরশীল সন্তান’।
সিইসির সঙ্গে বিএনপির এই বৈঠকের পর বিষয়টি স্পষ্ট করে বিকেলে সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, হলফনামার ক্রম ১০-এ আয়কর সংক্রান্ত তথ্যে সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন জমার বিবরণ অংশে প্রদত্ত ছকের ক্রমিক ২,৩ ও ৪ এ উল্লিখিত যথাক্রমে স্বামী/স্ত্রী, সন্তান ও নির্ভরশীলদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া ঐচ্ছিক মর্মে বিবেচিত হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়ে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এর পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আরপিওতে না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রে সন্তানেরও আয়ের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি রাখা হয়েছে। যেটা নিয়ে সব জায়গায় একটা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ অনেকের সন্তানেরা নিজেরাই উপার্জনক্ষম এবং তাঁরা নির্ভরশীল নন। অনেকেই দেশের বাইরে থাকেন। অনেকেই নিজেরা আলাদাভাবেই ট্যাক্স দেন। এই বিষয়টা নিয়ে একটা জটিলতা হয়ে গেছে। যার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি এবং কথা বললাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন নির্ভরশীল সন্তানদের বুঝিয়েছেন। তাঁরা এর ব্যাখ্যা দেবেন যে, এই ‘সন্তান’ শব্দটার অর্থ হলো ‘নির্ভরশীল সন্তান’।
সিইসির সঙ্গে বিএনপির এই বৈঠকের পর বিষয়টি স্পষ্ট করে বিকেলে সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, হলফনামার ক্রম ১০-এ আয়কর সংক্রান্ত তথ্যে সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন জমার বিবরণ অংশে প্রদত্ত ছকের ক্রমিক ২,৩ ও ৪ এ উল্লিখিত যথাক্রমে স্বামী/স্ত্রী, সন্তান ও নির্ভরশীলদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া ঐচ্ছিক মর্মে বিবেচিত হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকে তাঁকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খুব বেশি আমল দেয়নি ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাইবার
১ ঘণ্টা আগে
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায় সরকার এর ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকা উচিত। দেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা...
২ ঘণ্টা আগে