নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আইন এমনভাবে রয়েছে যে দলীয় প্রতীকে বা নির্দলীয় প্রতীকে ভোট করার সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেবেন সেটাও করতে পারে। আবার দলীয় প্রতীক না দিয়েও নির্বাচন করতে পারে। আওয়ামী লীগ এখন মনে করছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেবে না। অন্য রাজনৈতিক দল চাইলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছে। সুতরাং, নির্দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র থাকার কারণে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে মানুষ বিতর্ক করতে পারছে। আমি দলীয় প্রতীকের পক্ষে কিংবা দলীয় প্রতীকহীন নির্বাচন—এ দুই পদ্ধতির কোনোটির পক্ষে বা বিপক্ষে নই।’
সেমিনারে বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এর অন্যতম কারণ নির্বাচনের ওপর মানুষের আস্থাহীনতা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন আনতে হবে। উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ওপর সংসদ সদস্যদের প্রভাব দূর করা এবং স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনেরও পরামর্শ দেন বিশিষ্টজনেরা।
ঢাকা-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা শহরে জনগণকে সেবা দিতে হলে নগর সরকারের বিকল্প নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের সময়ে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ওই প্রেক্ষাপট টেনে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার কথা ছিল না। রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা রাখতে নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়। দলীয় প্রতীক দেওয়ার অর্থ হচ্ছে যাকে মনোনয়ন দেব, তাকে ভোট দেবেন।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখন পুরো নির্বাচনব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। একটি দলের সুবিধা-অসুবিধার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক আনা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রয়োজন নেই। আগে যেভাবে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হতো, সেভাবেই হওয়া ভালো।
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের পরামর্শ দেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম। তিনি বলেন, আইনের অস্পষ্টতা ও অসংগতি উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করার জন্য দায়ী।
কবিতা খানম বলেন, নির্দলীয় বা দলীয় প্রতীক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ফ্যাক্টর নয়। রাজনৈতিক শিষ্টাচারই বড় কথা।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুই কারণে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দুর্বল হয়। এক, সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ এবং দ্বিতীয়ত, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
সংসদ সদস্যদের ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বদিউল আলম বলেন, স্থানীয় উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের যুক্ত করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে করা উচিত।
নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থাহীনতা বিরাজ করছে মন্তব্য করে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আব্দুল আলীম বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সব দল অংশ নেয়নি। ভোটার উপস্থিতি ৪০ শতাংশের কম। নির্বাচনী প্রতিযোগিতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার। এ জন্য রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে মূল প্রবন্ধে ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জন্য পৃথক পৃথক আইন রয়েছে। এসব আইন একীভূত করে একটি আইন করা দরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক বিধিমালা করা যেতে পারে। একক তফসিলে একই দিনে ভোট করা সম্ভব। এতে নির্বাচনী খরচ কমবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে। যারা নির্বাচন করেন তাঁরা নিরপেক্ষ নন।’
রাজনীতি দুর্বৃত্তদের দখলে চলে গেছে মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সমস্যা প্রতীকে নয় ৷ সমস্যা আসলে রাজনীতিতে।’
আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর। সেমিনারে বাংলাদেশ উপজেলা জেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আইন এমনভাবে রয়েছে যে দলীয় প্রতীকে বা নির্দলীয় প্রতীকে ভোট করার সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেবেন সেটাও করতে পারে। আবার দলীয় প্রতীক না দিয়েও নির্বাচন করতে পারে। আওয়ামী লীগ এখন মনে করছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেবে না। অন্য রাজনৈতিক দল চাইলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছে। সুতরাং, নির্দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র থাকার কারণে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে মানুষ বিতর্ক করতে পারছে। আমি দলীয় প্রতীকের পক্ষে কিংবা দলীয় প্রতীকহীন নির্বাচন—এ দুই পদ্ধতির কোনোটির পক্ষে বা বিপক্ষে নই।’
সেমিনারে বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এর অন্যতম কারণ নির্বাচনের ওপর মানুষের আস্থাহীনতা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন আনতে হবে। উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ওপর সংসদ সদস্যদের প্রভাব দূর করা এবং স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনেরও পরামর্শ দেন বিশিষ্টজনেরা।
ঢাকা-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা শহরে জনগণকে সেবা দিতে হলে নগর সরকারের বিকল্প নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের সময়ে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ওই প্রেক্ষাপট টেনে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার কথা ছিল না। রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা রাখতে নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়। দলীয় প্রতীক দেওয়ার অর্থ হচ্ছে যাকে মনোনয়ন দেব, তাকে ভোট দেবেন।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখন পুরো নির্বাচনব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। একটি দলের সুবিধা-অসুবিধার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক আনা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রয়োজন নেই। আগে যেভাবে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হতো, সেভাবেই হওয়া ভালো।
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের পরামর্শ দেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম। তিনি বলেন, আইনের অস্পষ্টতা ও অসংগতি উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করার জন্য দায়ী।
কবিতা খানম বলেন, নির্দলীয় বা দলীয় প্রতীক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ফ্যাক্টর নয়। রাজনৈতিক শিষ্টাচারই বড় কথা।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুই কারণে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দুর্বল হয়। এক, সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ এবং দ্বিতীয়ত, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
সংসদ সদস্যদের ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বদিউল আলম বলেন, স্থানীয় উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের যুক্ত করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে করা উচিত।
নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থাহীনতা বিরাজ করছে মন্তব্য করে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আব্দুল আলীম বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সব দল অংশ নেয়নি। ভোটার উপস্থিতি ৪০ শতাংশের কম। নির্বাচনী প্রতিযোগিতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার। এ জন্য রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে মূল প্রবন্ধে ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জন্য পৃথক পৃথক আইন রয়েছে। এসব আইন একীভূত করে একটি আইন করা দরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক বিধিমালা করা যেতে পারে। একক তফসিলে একই দিনে ভোট করা সম্ভব। এতে নির্বাচনী খরচ কমবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে। যারা নির্বাচন করেন তাঁরা নিরপেক্ষ নন।’
রাজনীতি দুর্বৃত্তদের দখলে চলে গেছে মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সমস্যা প্রতীকে নয় ৷ সমস্যা আসলে রাজনীতিতে।’
আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর। সেমিনারে বাংলাদেশ উপজেলা জেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আইন এমনভাবে রয়েছে যে দলীয় প্রতীকে বা নির্দলীয় প্রতীকে ভোট করার সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেবেন সেটাও করতে পারে। আবার দলীয় প্রতীক না দিয়েও নির্বাচন করতে পারে। আওয়ামী লীগ এখন মনে করছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেবে না। অন্য রাজনৈতিক দল চাইলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছে। সুতরাং, নির্দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র থাকার কারণে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে মানুষ বিতর্ক করতে পারছে। আমি দলীয় প্রতীকের পক্ষে কিংবা দলীয় প্রতীকহীন নির্বাচন—এ দুই পদ্ধতির কোনোটির পক্ষে বা বিপক্ষে নই।’
সেমিনারে বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এর অন্যতম কারণ নির্বাচনের ওপর মানুষের আস্থাহীনতা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন আনতে হবে। উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ওপর সংসদ সদস্যদের প্রভাব দূর করা এবং স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনেরও পরামর্শ দেন বিশিষ্টজনেরা।
ঢাকা-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা শহরে জনগণকে সেবা দিতে হলে নগর সরকারের বিকল্প নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের সময়ে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ওই প্রেক্ষাপট টেনে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার কথা ছিল না। রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা রাখতে নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়। দলীয় প্রতীক দেওয়ার অর্থ হচ্ছে যাকে মনোনয়ন দেব, তাকে ভোট দেবেন।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখন পুরো নির্বাচনব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। একটি দলের সুবিধা-অসুবিধার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক আনা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রয়োজন নেই। আগে যেভাবে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হতো, সেভাবেই হওয়া ভালো।
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের পরামর্শ দেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম। তিনি বলেন, আইনের অস্পষ্টতা ও অসংগতি উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করার জন্য দায়ী।
কবিতা খানম বলেন, নির্দলীয় বা দলীয় প্রতীক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ফ্যাক্টর নয়। রাজনৈতিক শিষ্টাচারই বড় কথা।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুই কারণে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দুর্বল হয়। এক, সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ এবং দ্বিতীয়ত, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
সংসদ সদস্যদের ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বদিউল আলম বলেন, স্থানীয় উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের যুক্ত করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে করা উচিত।
নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থাহীনতা বিরাজ করছে মন্তব্য করে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আব্দুল আলীম বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সব দল অংশ নেয়নি। ভোটার উপস্থিতি ৪০ শতাংশের কম। নির্বাচনী প্রতিযোগিতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার। এ জন্য রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে মূল প্রবন্ধে ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জন্য পৃথক পৃথক আইন রয়েছে। এসব আইন একীভূত করে একটি আইন করা দরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক বিধিমালা করা যেতে পারে। একক তফসিলে একই দিনে ভোট করা সম্ভব। এতে নির্বাচনী খরচ কমবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে। যারা নির্বাচন করেন তাঁরা নিরপেক্ষ নন।’
রাজনীতি দুর্বৃত্তদের দখলে চলে গেছে মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সমস্যা প্রতীকে নয় ৷ সমস্যা আসলে রাজনীতিতে।’
আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর। সেমিনারে বাংলাদেশ উপজেলা জেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আইন এমনভাবে রয়েছে যে দলীয় প্রতীকে বা নির্দলীয় প্রতীকে ভোট করার সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেবেন সেটাও করতে পারে। আবার দলীয় প্রতীক না দিয়েও নির্বাচন করতে পারে। আওয়ামী লীগ এখন মনে করছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেবে না। অন্য রাজনৈতিক দল চাইলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছে। সুতরাং, নির্দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র থাকার কারণে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে মানুষ বিতর্ক করতে পারছে। আমি দলীয় প্রতীকের পক্ষে কিংবা দলীয় প্রতীকহীন নির্বাচন—এ দুই পদ্ধতির কোনোটির পক্ষে বা বিপক্ষে নই।’
সেমিনারে বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এর অন্যতম কারণ নির্বাচনের ওপর মানুষের আস্থাহীনতা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন আনতে হবে। উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ওপর সংসদ সদস্যদের প্রভাব দূর করা এবং স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনেরও পরামর্শ দেন বিশিষ্টজনেরা।
ঢাকা-৬ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা শহরে জনগণকে সেবা দিতে হলে নগর সরকারের বিকল্প নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের সময়ে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ওই প্রেক্ষাপট টেনে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার কথা ছিল না। রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রের হাতে ক্ষমতা রাখতে নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়। দলীয় প্রতীক দেওয়ার অর্থ হচ্ছে যাকে মনোনয়ন দেব, তাকে ভোট দেবেন।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখন পুরো নির্বাচনব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। একটি দলের সুবিধা-অসুবিধার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক আনা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রয়োজন নেই। আগে যেভাবে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হতো, সেভাবেই হওয়া ভালো।
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের পরামর্শ দেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম। তিনি বলেন, আইনের অস্পষ্টতা ও অসংগতি উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করার জন্য দায়ী।
কবিতা খানম বলেন, নির্দলীয় বা দলীয় প্রতীক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ফ্যাক্টর নয়। রাজনৈতিক শিষ্টাচারই বড় কথা।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুই কারণে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দুর্বল হয়। এক, সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ এবং দ্বিতীয়ত, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
সংসদ সদস্যদের ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বদিউল আলম বলেন, স্থানীয় উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের যুক্ত করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে করা উচিত।
নির্বাচনব্যবস্থায় আস্থাহীনতা বিরাজ করছে মন্তব্য করে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আব্দুল আলীম বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সব দল অংশ নেয়নি। ভোটার উপস্থিতি ৪০ শতাংশের কম। নির্বাচনী প্রতিযোগিতামূলক করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার। এ জন্য রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে মূল প্রবন্ধে ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জন্য পৃথক পৃথক আইন রয়েছে। এসব আইন একীভূত করে একটি আইন করা দরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক বিধিমালা করা যেতে পারে। একক তফসিলে একই দিনে ভোট করা সম্ভব। এতে নির্বাচনী খরচ কমবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে। যারা নির্বাচন করেন তাঁরা নিরপেক্ষ নন।’
রাজনীতি দুর্বৃত্তদের দখলে চলে গেছে মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সমস্যা প্রতীকে নয় ৷ সমস্যা আসলে রাজনীতিতে।’
আরএফইডির সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনার সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর। সেমিনারে বাংলাদেশ উপজেলা জেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।

উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
০৮ জুন ২০২৪
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
০৮ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
০৮ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
০৮ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগে