এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
২ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
৪ ঘণ্টা আগে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান সম্পাদকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। এটি ৪ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নীতিমালায় একাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তির জন্য আলাদা সূচক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়।
সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করা শিক্ষকেরা এ সুবিধা পেতেন। এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করলেও শিক্ষকেরা বিএড স্কেল পাবেন, তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউজিসি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি থাকতে হবে এবং ইউজিসি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অধিভুক্তির ঘোষণা প্রকাশ থাকতে পারবে।
বেসরকারি কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ গত অক্টোবরেই বিলুপ্ত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নতুন নীতিমালায় সে বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা বলে জানান এ কর্মকর্তা।
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ নতুন নীতিমালায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দিয়ে তাঁদের প্যাটার্নভুক্ত করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত যে কলেজগুলো অনার্স পড়ায়, তারা আগেই ডিগ্রি স্তরে এমপিও পেত, তারা অনার্স স্তরে এখন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জারি করা আগের নীতিমালার সংশোধনী ও স্পষ্টীকরণগুলো নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। এটি ৪ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নীতিমালায় একাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তির জন্য আলাদা সূচক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়।
সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করা শিক্ষকেরা এ সুবিধা পেতেন। এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করলেও শিক্ষকেরা বিএড স্কেল পাবেন, তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউজিসি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি থাকতে হবে এবং ইউজিসি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অধিভুক্তির ঘোষণা প্রকাশ থাকতে পারবে।
বেসরকারি কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ গত অক্টোবরেই বিলুপ্ত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নতুন নীতিমালায় সে বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা বলে জানান এ কর্মকর্তা।
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ নতুন নীতিমালায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দিয়ে তাঁদের প্যাটার্নভুক্ত করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত যে কলেজগুলো অনার্স পড়ায়, তারা আগেই ডিগ্রি স্তরে এমপিও পেত, তারা অনার্স স্তরে এখন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জারি করা আগের নীতিমালার সংশোধনী ও স্পষ্টীকরণগুলো নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
৪ ঘণ্টা আগে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান সম্পাদকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ওষুধ, চিংড়ি, ফার্নিচার ও পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। এ ধরনের বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্য লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সমুদ্রপথ ও নৌপরিবহনের মাধ্যমে লজিস্টিক সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করবে।
থাই রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি দেশটির রানং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু করার পাশাপাশি থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের রানং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হলে উভয় দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ব্যয় ও সময় হ্রাস করবে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ ধরনের অবকাঠামোগত সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি আরও বলেন, বিদ্যমান নৌপরিবহন ব্যবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের নৌরুট ব্যবহার করলে পণ্য ৪-৭ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ থাইল্যান্ডসহ পাশের দেশগুলোর বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ওষুধ, চিংড়ি, ফার্নিচার ও পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। এ ধরনের বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্য লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সমুদ্রপথ ও নৌপরিবহনের মাধ্যমে লজিস্টিক সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করবে।
থাই রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি দেশটির রানং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু করার পাশাপাশি থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের রানং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হলে উভয় দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ব্যয় ও সময় হ্রাস করবে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ ধরনের অবকাঠামোগত সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি আরও বলেন, বিদ্যমান নৌপরিবহন ব্যবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের নৌরুট ব্যবহার করলে পণ্য ৪-৭ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ থাইল্যান্ডসহ পাশের দেশগুলোর বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
৪ ঘণ্টা আগে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান সম্পাদকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে নাগরিকেরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার। তিনি বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি।’
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে নাগরিকেরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার। তিনি বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি।’
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
২ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৩ ঘণ্টা আগে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান সম্পাদকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা করিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির’ অভিযোগ তুলেছেন চাঁদাবাজি মামলার আসামি নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানী। তিনি বলেছেন, লিয়াকত আলী মোল্লা চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা জজ থাকাকালে হেরোইনের বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিন দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ছেপেছিলেন দুররানী। ফলে বদলি হতে হয় তাঁকে। এর প্রতিক্রিয়ায় লিয়াকত আলী ও উপসচিব (প্রশাসন) গোলজার রহমান তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করিয়েছেন।
চাঁদাবাজির ওই মামলায় আজ রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এসব অভিযোগ করেন নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান সম্পাদকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১২ নভেম্বর রাজিবুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার শামসুল হক দুররানীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জামালপুরের মেলান্দহ থানার উপজেলা বীজ অফিসে রাজিবুল ইসলামের ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩২ টাকার একটি কাজ চলমান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সাইটে অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত ৭ নভেম্বর রাজিবুল ইসলামকে এক ব্যক্তি ফোন করে সাভার বাসস্ট্যান্ডে দেখা করতে বলেন। জামালপুরে সাইটের কাজে যে ঝামেলা চলছে, তা সমাধান করে দেবেন বলে জানান তিনি। রাজিবুল ইসলাম সেখানে গেলে ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, জামালপুরের সাইটের কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে হলে শামসুল হক দুররানীকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।
এ মামলায় আজ জামিনের আবেদন নাকচ হলে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন দুররানী।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লা চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা জজ থাকাকালে হেরোইনের বিভিন্ন মামলা, এমনকি বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের মামলায় আসামিদের জামিন দেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে নিউজ করি। এ কারণে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে বদলি করা হয়। লিয়াকত আলী ও উপসচিব (প্রশাসন) গোলজার রহমান এজন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার ব্যবস্থা করেছেন।’
এ সময় আইনসচিবের দিকে ইঙ্গিত করে নওরোজ সম্পাদক বলেন, ‘বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না? কিছু লেখা যাবে না?’
আইনসচিবই মামলা করিয়েছেন কীভাবে বুঝলে—সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দুররানী বলেন, ‘এটা পুলিশ আমাকে বলেছে। তাঁর নাম আমি বলব না।’

আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা করিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির’ অভিযোগ তুলেছেন চাঁদাবাজি মামলার আসামি নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানী। তিনি বলেছেন, লিয়াকত আলী মোল্লা চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা জজ থাকাকালে হেরোইনের বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিন দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ছেপেছিলেন দুররানী। ফলে বদলি হতে হয় তাঁকে। এর প্রতিক্রিয়ায় লিয়াকত আলী ও উপসচিব (প্রশাসন) গোলজার রহমান তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করিয়েছেন।
চাঁদাবাজির ওই মামলায় আজ রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এসব অভিযোগ করেন নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান সম্পাদকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১২ নভেম্বর রাজিবুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার শামসুল হক দুররানীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জামালপুরের মেলান্দহ থানার উপজেলা বীজ অফিসে রাজিবুল ইসলামের ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩২ টাকার একটি কাজ চলমান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সাইটে অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত ৭ নভেম্বর রাজিবুল ইসলামকে এক ব্যক্তি ফোন করে সাভার বাসস্ট্যান্ডে দেখা করতে বলেন। জামালপুরে সাইটের কাজে যে ঝামেলা চলছে, তা সমাধান করে দেবেন বলে জানান তিনি। রাজিবুল ইসলাম সেখানে গেলে ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, জামালপুরের সাইটের কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে হলে শামসুল হক দুররানীকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।
এ মামলায় আজ জামিনের আবেদন নাকচ হলে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন দুররানী।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লা চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা জজ থাকাকালে হেরোইনের বিভিন্ন মামলা, এমনকি বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের মামলায় আসামিদের জামিন দেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে নিউজ করি। এ কারণে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে বদলি করা হয়। লিয়াকত আলী ও উপসচিব (প্রশাসন) গোলজার রহমান এজন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার ব্যবস্থা করেছেন।’
এ সময় আইনসচিবের দিকে ইঙ্গিত করে নওরোজ সম্পাদক বলেন, ‘বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না? কিছু লেখা যাবে না?’
আইনসচিবই মামলা করিয়েছেন কীভাবে বুঝলে—সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দুররানী বলেন, ‘এটা পুলিশ আমাকে বলেছে। তাঁর নাম আমি বলব না।’

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
২ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
৪ ঘণ্টা আগে