এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ ও পদোন্নতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সংস্কার কমিশন বলছে, অ্যাটর্নি সার্ভিসের মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিলে মামলায় প্রকৃত আসামিদের সাজার হার বাড়বে। দেওয়ানি মামলায় রাষ্ট্র লাভবান হবে।
সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে সব ধরনের মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্তত একজন আইনজীবী থাকেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে এই আইনজীবীদের নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, সব সরকারের আমলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে। এ কারণে অতীতে যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক আইনজীবী এই নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অভাবে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যাওয়ার অনেক নজিরও রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অধস্তন আদালতে পিপি, এপিপি, জিপি, এজিপি এবং উচ্চ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) হিসেবে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন আইনজীবীরা। তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোনো সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করেছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আইনজীবীদের দাবিকে আমলে নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করা হয়। এতে আইনজীবী নিয়োগ, পদোন্নতির রূপরেখাও তুলে ধরা হয়েছে। বেতনকাঠামো, নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ মামলা পরিচালনায় প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেনি। স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মামলা নিষ্পত্তির হারের সঙ্গে গুণগত মানও বাড়বে। এখন মামলায় সাজার হার মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে অনেকে থাকে নির্দোষ। এতে করে প্রসিকিউশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। এখন প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত থাকবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সব স্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অপ্রতুল আইনি কাঠামোর আওতায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে। এমন অ্যাটর্নি সার্ভিস বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা উচিত। দলীয় সরকার নিয়োগ দেওয়ায় দলের প্রতি দুর্বলতা থাকে। তাই দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বিচারক নিয়োগ যেভাবে হয়, সেভাবেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ হতে হবে। তাহলে বিচারকের মতো প্রসিকিউটরও নিরপেক্ষ থাকবেন। তিনি দলের প্রসিকিউটর হবেন না। এতে বিচারপ্রার্থীদের উপকার হবে, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে স্থায়ী পেনশনযোগ্য সরকারি চাকরি। এই সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট ও জেলা ইউনিট থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে থাকবেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল। জেলা ইউনিটে থাকবেন সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি, যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি ও জেলা অ্যাটর্নি। জেলা ইউনিটের কর্মকর্তাদের আন্তজেলায় বদলি, জেলা ইউনিট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটে বদলি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন অ্যাটর্নি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করতে পারবেন। অ্যাটর্নি সার্ভিসের প্রশাসনিক, আর্থিক, অবকাঠামো, সহায়ক জনবলসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের দায়িত্ব থাকবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একটি পৃথক ইউনিটের ওপর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৪৪ বছর। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের অবসরের বয়সসীমা হবে ৬৫ বছর। সহকারী জেলা অ্যাটর্নি নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি পদে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। সিনিয়র সহকারী জেলা অ্যাটর্নি থেকে যুগ্ম জেলা অ্যাটর্নি হতে ৪ বছর, অতিরিক্ত জেলা অ্যাটর্নি হতে পূর্ববর্তী পদে ৩ বছর এবং সেখান থেকে জেলা অ্যাটর্নি হিসেবে পদোন্নতি পেতে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। জেলা অ্যাটর্নির অবসরের বয়সসীমাও হবে ৬৫ বছর।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের সুপারিশ অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া অবশ্যই স্বচ্ছ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে। এ জন্য অ্যাটর্নি সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে বিচার বিভাগ সচিবালয়ের হাতে।

উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রবাসীরা জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় অর্জনে প্রবাসীদের সমর্থন ও ত্যাগ অতুলনীয়। তাঁদের কল্যাণে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্সের সর্বোত্তম ব্যবহারবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিভিসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে সাধারণ কর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী নিয়োগ বাড়বে এবং কর্মী ও নিয়োগকর্তার অধিকার ও স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো শুরু করেছি। দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জর্ডানে নারী শ্রমিকদের বিনা ফি-তে ও জরিমানা ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে আসার সময় আগে একটি মোবাইল ফোন আনতে পারতেন। আমরা এটি বাড়িয়ে দুটি আনতে পারার সুযোগ করেছি। এ ছাড়া বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে এবং আংশিক মালিকানায় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত থাকলে প্রবাসীদের কল্যাণে মাইলফলক অগ্রগতি অর্জিত হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আই আর ভ্যালেন্টাইন।

প্রবাসীরা জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় অর্জনে প্রবাসীদের সমর্থন ও ত্যাগ অতুলনীয়। তাঁদের কল্যাণে সরকার বদ্ধপরিকর।
আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্সের সর্বোত্তম ব্যবহারবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিভিসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে সাধারণ কর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী নিয়োগ বাড়বে এবং কর্মী ও নিয়োগকর্তার অধিকার ও স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো শুরু করেছি। দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জর্ডানে নারী শ্রমিকদের বিনা ফি-তে ও জরিমানা ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে আসার সময় আগে একটি মোবাইল ফোন আনতে পারতেন। আমরা এটি বাড়িয়ে দুটি আনতে পারার সুযোগ করেছি। এ ছাড়া বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে এবং আংশিক মালিকানায় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত থাকলে প্রবাসীদের কল্যাণে মাইলফলক অগ্রগতি অর্জিত হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আই আর ভ্যালেন্টাইন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়িকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যও থাকবেন।
প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। আপসহীন নেত্রী। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। দেশের জন্য তিনি যা করেছেন, এটা অতুলনীয়। এভারকেয়ার থেকে খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়ি সংসদে ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসা পর্যন্ত জানাজা এবং দাফন—সবকিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর জানাজা, দাফনসহ প্রতিটি অনুষ্ঠান সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সরকার। এ জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন, সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্বে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ডিএমপির ১০ হাজারের বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনা থাকবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, পুলিশ, নিরাপত্তা সংস্থার তরফ থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে। ফলে পুলিশের এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল, এখন আরও বড় আকারে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।
শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সকালে তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে। নেওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হবে। তবে কখন লাশ সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাঁকে নিয়ে আসা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকেরা উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে সংসদ ভবন এলাকায় বড় একটি জানাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আরও বড় আকারে হবে। সে আলোকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী ছিলেন না, তিনি জাতীয় নেত্রী ছিলেন। বিএনপির দলীয় অবস্থান থেকে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশ যখন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা নেওয়া হবে, তখন রাস্তার দুপাশে জনসাধারণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়িকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যও থাকবেন।
প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। আপসহীন নেত্রী। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। দেশের জন্য তিনি যা করেছেন, এটা অতুলনীয়। এভারকেয়ার থেকে খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়ি সংসদে ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসা পর্যন্ত জানাজা এবং দাফন—সবকিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর জানাজা, দাফনসহ প্রতিটি অনুষ্ঠান সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সরকার। এ জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন, সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্বে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ডিএমপির ১০ হাজারের বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনা থাকবে।
নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, পুলিশ, নিরাপত্তা সংস্থার তরফ থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে। ফলে পুলিশের এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল, এখন আরও বড় আকারে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।
শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সকালে তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে। নেওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হবে। তবে কখন লাশ সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাঁকে নিয়ে আসা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকেরা উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে সংসদ ভবন এলাকায় বড় একটি জানাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আরও বড় আকারে হবে। সে আলোকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী ছিলেন না, তিনি জাতীয় নেত্রী ছিলেন। বিএনপির দলীয় অবস্থান থেকে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশ যখন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা নেওয়া হবে, তখন রাস্তার দুপাশে জনসাধারণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগামীকাল বুধবার ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন। হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক দার আগামীকাল বুধবার ঢাকায় এসে সরাসরি জানাজায় অংশ নেবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, একাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান ও দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এদিকে, জানাজা ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও জানাজা এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক জনসমাগমের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে দেশজুড়ে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগামীকাল বুধবার ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন। হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক দার আগামীকাল বুধবার ঢাকায় এসে সরাসরি জানাজায় অংশ নেবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, একাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান ও দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এদিকে, জানাজা ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও জানাজা এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক জনসমাগমের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে দেশজুড়ে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা
২ ঘণ্টা আগে
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

সারা দেশের জেলা আদালত ও উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য স্থায়ী আইনজীবী নিয়োগ দিতে পৃথক অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে করা সুপারিশে এ বিষয়ে প্রস্তাব করেছে। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন, রাষ্ট্রপক্ষের স্থায়ী...
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে