তানিম আহমেদ, ঢাকা

ক্ষমতা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আস্থা ভোটের বিধান চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকায় দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায় না। দলে জবাবদিহি তৈরি হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি হতো না।
সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে আস্থা ভোটের বিধান রাখার এই সুপারিশ করেছে। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনেরও সুপারিশ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী, আইনসভার নিম্নকক্ষে অর্থ বিল ছাড়া বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। বিদ্যমান সংবিধানে সংসদ সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারেন না।
তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এমন ব্যবস্থা করা হলে কিছুদিন পরপর সরকার পরিবর্তনের অবস্থা তৈরি হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। এই কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে ও তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনতে একাধিক সুপারিশ করেছে কমিশন। বিস্তারিত সুপারিশ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারের কাছে উপস্থাপন করার কথা।

কমিশনের প্রতিবেদনে সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে, আইনসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে যদি কখনো প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন অর্জন করতে পারছেন না, তবেই রাষ্ট্রপতি আইনসভা ভেঙে দেবেন।
বিদ্যমান সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারালে পদত্যাগ করবেন কিংবা সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবেন। রাষ্ট্রপতি অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন—এ মর্মে সন্তুষ্ট হলে সংসদ ভেঙে দেবেন। তবে উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজ পদে বহাল থাকবেন।
১৯৭২ সালে সংবিধান নিয়ে গণপরিষদে ৫৭ অনুচ্ছেদের ওপর আলোচনায় এর সমালোচনা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে তিনি যদি মনে করেন এবং প্রেসিডেন্টকে বলেন, তাহলে তিনি সংসদ ভেঙে দিতে পারেন, তা না হলে নয়। বিষয়টি গণতন্ত্র হবে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘সংবিধানের দুর্বল দিকের একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা রেখে দেওয়া হয়েছে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের লেখা ‘সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২, গণপরিষদের রাষ্ট্রভাবনা’ বইয়ে এসব উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা আস্থা ভোটে পরাজিত হলেও সংসদ ভাঙার বিধান সংবিধানে না রাখার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিরাও ভোট দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংসদ থেকে অন্য যে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। মেয়াদ শেষের আগে সংসদ ভাঙতে হলে আইনসভার দুই কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠদের অনুমোদন লাগবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, যুক্তরাজ্যে একই সরকারের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী বদলের নজির রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির সরকারের সময়ে তিনজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁরা হলেন বরিস জনসন, লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক। দলের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরে যাওয়ার দাবি উঠেছিল, দলের বিরুদ্ধে নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও দল ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করেছে। দলে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি তৈরি করা গেলে গণতন্ত্রের চর্চা সুন্দর হবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দেশটির সংসদে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দলের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কেউ বলেনি, লেবার পার্টির ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। তাঁরা নেতার প্রতি অনাস্থা জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে এই সুযোগ রাখা হয়নি। সেখানে বড় বাধা হচ্ছে ৭০ অনুচ্ছেদ। ওই অনুচ্ছেদ শিথিল করতে হবে।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের ভোটের ব্যবস্থার প্রস্তাব সমর্থন করছেন না আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, এমন কিছু পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। সংবিধানে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল পাকিস্তান আমলের অভিজ্ঞতার আলোকে। সর্বশেষ পাকিস্তানে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। সেখানে এমপিদের টাকা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এমন যদি বাংলাদেশে হয়, তাহলে দুই দিন পরপর সরকার বদল হবে। টাকার লোভ অনেকে সামলাতে পারবেন না।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থ বিল ছাড়া নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে। বর্তমান সংবিধানে সংসদে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিলে এমপি পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার নিয়ম তুলে দিতে সুপারিশ করেছে কমিশন।
বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে জাতীয় সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও সমালোচনা আছে।
৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ১৯৭২ সাল থেকেই বিতর্ক আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সে সময় সংবিধান প্রণয়ন কমিটি এবং গণপরিষদে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সংশোধন ও সংযোজন হয়েছিল। ৭০ অনুচ্ছেদের বর্তমান কাঠামোতে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন না। জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে চাইলে তো সংবিধানে ব্যবস্থাটা রাখতে হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা যে বিষয়গুলোকে দুর্বলতা হিসেবে শনাক্ত করেছি; সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিবর্জন, পুনর্লিখন—যা করার কথা আমরা বলছি; ওই উদ্দেশ্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যবস্থা করতে হবে। জবাবদিহির জায়গা সীমিত করে জবাবদিহির কথা বলে লাভ নেই।’
আলী রীয়াজ বলেন, ফ্লোর ক্রসিংয়ের বিপদ এড়াতে যা করা হয়েছে, তা আরও বড় বিপদ ডেকে এনেছে। সংসদীয় দলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য হুইপের ব্যবস্থা আছে। দল আদর্শিক জায়গা থেকে কাজ করলে এমপিদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
অবশ্য আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মনে করেন, ৭০ অনুচ্ছেদে দুটি বিষয় সংরক্ষণ থাকা উচিত। তিনি বলেন, এগুলো হলো সরকার পরিবর্তন ও অর্থ বিলের ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না। অন্য বিষয়গুলো উন্মুক্ত করা উচিত। সরকারের সমালোচনা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা সদস্যদের থাকবে। ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না। কিন্তু এ দেশে সংসদ সদস্যরা সরকারের পলিসি নিয়ে কথাই বলেননি। এগুলো হলো চরিত্র পরিবর্তনের বিষয়। বাস্তবতার আলোকে স্বচ্ছতা আনতে হবে। চিন্তা-চেতনায় উন্নত হতে হবে। এখানে আইন করে কোনো কিছু করা যাবে না।

ক্ষমতা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আস্থা ভোটের বিধান চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকায় দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায় না। দলে জবাবদিহি তৈরি হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি হতো না।
সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে আস্থা ভোটের বিধান রাখার এই সুপারিশ করেছে। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনেরও সুপারিশ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী, আইনসভার নিম্নকক্ষে অর্থ বিল ছাড়া বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। বিদ্যমান সংবিধানে সংসদ সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারেন না।
তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এমন ব্যবস্থা করা হলে কিছুদিন পরপর সরকার পরিবর্তনের অবস্থা তৈরি হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। এই কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে ও তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনতে একাধিক সুপারিশ করেছে কমিশন। বিস্তারিত সুপারিশ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারের কাছে উপস্থাপন করার কথা।

কমিশনের প্রতিবেদনে সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে, আইনসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে যদি কখনো প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন অর্জন করতে পারছেন না, তবেই রাষ্ট্রপতি আইনসভা ভেঙে দেবেন।
বিদ্যমান সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারালে পদত্যাগ করবেন কিংবা সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবেন। রাষ্ট্রপতি অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন—এ মর্মে সন্তুষ্ট হলে সংসদ ভেঙে দেবেন। তবে উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজ পদে বহাল থাকবেন।
১৯৭২ সালে সংবিধান নিয়ে গণপরিষদে ৫৭ অনুচ্ছেদের ওপর আলোচনায় এর সমালোচনা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে তিনি যদি মনে করেন এবং প্রেসিডেন্টকে বলেন, তাহলে তিনি সংসদ ভেঙে দিতে পারেন, তা না হলে নয়। বিষয়টি গণতন্ত্র হবে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘সংবিধানের দুর্বল দিকের একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা রেখে দেওয়া হয়েছে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের লেখা ‘সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২, গণপরিষদের রাষ্ট্রভাবনা’ বইয়ে এসব উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা আস্থা ভোটে পরাজিত হলেও সংসদ ভাঙার বিধান সংবিধানে না রাখার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিরাও ভোট দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংসদ থেকে অন্য যে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। মেয়াদ শেষের আগে সংসদ ভাঙতে হলে আইনসভার দুই কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠদের অনুমোদন লাগবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, যুক্তরাজ্যে একই সরকারের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী বদলের নজির রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির সরকারের সময়ে তিনজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁরা হলেন বরিস জনসন, লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক। দলের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরে যাওয়ার দাবি উঠেছিল, দলের বিরুদ্ধে নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও দল ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করেছে। দলে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি তৈরি করা গেলে গণতন্ত্রের চর্চা সুন্দর হবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দেশটির সংসদে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দলের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কেউ বলেনি, লেবার পার্টির ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। তাঁরা নেতার প্রতি অনাস্থা জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে এই সুযোগ রাখা হয়নি। সেখানে বড় বাধা হচ্ছে ৭০ অনুচ্ছেদ। ওই অনুচ্ছেদ শিথিল করতে হবে।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের ভোটের ব্যবস্থার প্রস্তাব সমর্থন করছেন না আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, এমন কিছু পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। সংবিধানে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল পাকিস্তান আমলের অভিজ্ঞতার আলোকে। সর্বশেষ পাকিস্তানে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। সেখানে এমপিদের টাকা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এমন যদি বাংলাদেশে হয়, তাহলে দুই দিন পরপর সরকার বদল হবে। টাকার লোভ অনেকে সামলাতে পারবেন না।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থ বিল ছাড়া নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে। বর্তমান সংবিধানে সংসদে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিলে এমপি পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার নিয়ম তুলে দিতে সুপারিশ করেছে কমিশন।
বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে জাতীয় সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও সমালোচনা আছে।
৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ১৯৭২ সাল থেকেই বিতর্ক আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সে সময় সংবিধান প্রণয়ন কমিটি এবং গণপরিষদে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সংশোধন ও সংযোজন হয়েছিল। ৭০ অনুচ্ছেদের বর্তমান কাঠামোতে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন না। জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে চাইলে তো সংবিধানে ব্যবস্থাটা রাখতে হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা যে বিষয়গুলোকে দুর্বলতা হিসেবে শনাক্ত করেছি; সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিবর্জন, পুনর্লিখন—যা করার কথা আমরা বলছি; ওই উদ্দেশ্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যবস্থা করতে হবে। জবাবদিহির জায়গা সীমিত করে জবাবদিহির কথা বলে লাভ নেই।’
আলী রীয়াজ বলেন, ফ্লোর ক্রসিংয়ের বিপদ এড়াতে যা করা হয়েছে, তা আরও বড় বিপদ ডেকে এনেছে। সংসদীয় দলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য হুইপের ব্যবস্থা আছে। দল আদর্শিক জায়গা থেকে কাজ করলে এমপিদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
অবশ্য আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মনে করেন, ৭০ অনুচ্ছেদে দুটি বিষয় সংরক্ষণ থাকা উচিত। তিনি বলেন, এগুলো হলো সরকার পরিবর্তন ও অর্থ বিলের ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না। অন্য বিষয়গুলো উন্মুক্ত করা উচিত। সরকারের সমালোচনা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা সদস্যদের থাকবে। ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না। কিন্তু এ দেশে সংসদ সদস্যরা সরকারের পলিসি নিয়ে কথাই বলেননি। এগুলো হলো চরিত্র পরিবর্তনের বিষয়। বাস্তবতার আলোকে স্বচ্ছতা আনতে হবে। চিন্তা-চেতনায় উন্নত হতে হবে। এখানে আইন করে কোনো কিছু করা যাবে না।
তানিম আহমেদ, ঢাকা

ক্ষমতা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আস্থা ভোটের বিধান চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকায় দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায় না। দলে জবাবদিহি তৈরি হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি হতো না।
সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে আস্থা ভোটের বিধান রাখার এই সুপারিশ করেছে। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনেরও সুপারিশ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী, আইনসভার নিম্নকক্ষে অর্থ বিল ছাড়া বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। বিদ্যমান সংবিধানে সংসদ সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারেন না।
তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এমন ব্যবস্থা করা হলে কিছুদিন পরপর সরকার পরিবর্তনের অবস্থা তৈরি হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। এই কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে ও তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনতে একাধিক সুপারিশ করেছে কমিশন। বিস্তারিত সুপারিশ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারের কাছে উপস্থাপন করার কথা।

কমিশনের প্রতিবেদনে সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে, আইনসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে যদি কখনো প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন অর্জন করতে পারছেন না, তবেই রাষ্ট্রপতি আইনসভা ভেঙে দেবেন।
বিদ্যমান সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারালে পদত্যাগ করবেন কিংবা সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবেন। রাষ্ট্রপতি অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন—এ মর্মে সন্তুষ্ট হলে সংসদ ভেঙে দেবেন। তবে উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজ পদে বহাল থাকবেন।
১৯৭২ সালে সংবিধান নিয়ে গণপরিষদে ৫৭ অনুচ্ছেদের ওপর আলোচনায় এর সমালোচনা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে তিনি যদি মনে করেন এবং প্রেসিডেন্টকে বলেন, তাহলে তিনি সংসদ ভেঙে দিতে পারেন, তা না হলে নয়। বিষয়টি গণতন্ত্র হবে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘সংবিধানের দুর্বল দিকের একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা রেখে দেওয়া হয়েছে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের লেখা ‘সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২, গণপরিষদের রাষ্ট্রভাবনা’ বইয়ে এসব উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা আস্থা ভোটে পরাজিত হলেও সংসদ ভাঙার বিধান সংবিধানে না রাখার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিরাও ভোট দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংসদ থেকে অন্য যে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। মেয়াদ শেষের আগে সংসদ ভাঙতে হলে আইনসভার দুই কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠদের অনুমোদন লাগবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, যুক্তরাজ্যে একই সরকারের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী বদলের নজির রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির সরকারের সময়ে তিনজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁরা হলেন বরিস জনসন, লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক। দলের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরে যাওয়ার দাবি উঠেছিল, দলের বিরুদ্ধে নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও দল ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করেছে। দলে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি তৈরি করা গেলে গণতন্ত্রের চর্চা সুন্দর হবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দেশটির সংসদে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দলের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কেউ বলেনি, লেবার পার্টির ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। তাঁরা নেতার প্রতি অনাস্থা জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে এই সুযোগ রাখা হয়নি। সেখানে বড় বাধা হচ্ছে ৭০ অনুচ্ছেদ। ওই অনুচ্ছেদ শিথিল করতে হবে।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের ভোটের ব্যবস্থার প্রস্তাব সমর্থন করছেন না আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, এমন কিছু পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। সংবিধানে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল পাকিস্তান আমলের অভিজ্ঞতার আলোকে। সর্বশেষ পাকিস্তানে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। সেখানে এমপিদের টাকা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এমন যদি বাংলাদেশে হয়, তাহলে দুই দিন পরপর সরকার বদল হবে। টাকার লোভ অনেকে সামলাতে পারবেন না।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থ বিল ছাড়া নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে। বর্তমান সংবিধানে সংসদে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিলে এমপি পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার নিয়ম তুলে দিতে সুপারিশ করেছে কমিশন।
বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে জাতীয় সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও সমালোচনা আছে।
৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ১৯৭২ সাল থেকেই বিতর্ক আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সে সময় সংবিধান প্রণয়ন কমিটি এবং গণপরিষদে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সংশোধন ও সংযোজন হয়েছিল। ৭০ অনুচ্ছেদের বর্তমান কাঠামোতে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন না। জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে চাইলে তো সংবিধানে ব্যবস্থাটা রাখতে হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা যে বিষয়গুলোকে দুর্বলতা হিসেবে শনাক্ত করেছি; সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিবর্জন, পুনর্লিখন—যা করার কথা আমরা বলছি; ওই উদ্দেশ্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যবস্থা করতে হবে। জবাবদিহির জায়গা সীমিত করে জবাবদিহির কথা বলে লাভ নেই।’
আলী রীয়াজ বলেন, ফ্লোর ক্রসিংয়ের বিপদ এড়াতে যা করা হয়েছে, তা আরও বড় বিপদ ডেকে এনেছে। সংসদীয় দলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য হুইপের ব্যবস্থা আছে। দল আদর্শিক জায়গা থেকে কাজ করলে এমপিদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
অবশ্য আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মনে করেন, ৭০ অনুচ্ছেদে দুটি বিষয় সংরক্ষণ থাকা উচিত। তিনি বলেন, এগুলো হলো সরকার পরিবর্তন ও অর্থ বিলের ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না। অন্য বিষয়গুলো উন্মুক্ত করা উচিত। সরকারের সমালোচনা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা সদস্যদের থাকবে। ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না। কিন্তু এ দেশে সংসদ সদস্যরা সরকারের পলিসি নিয়ে কথাই বলেননি। এগুলো হলো চরিত্র পরিবর্তনের বিষয়। বাস্তবতার আলোকে স্বচ্ছতা আনতে হবে। চিন্তা-চেতনায় উন্নত হতে হবে। এখানে আইন করে কোনো কিছু করা যাবে না।

ক্ষমতা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আস্থা ভোটের বিধান চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকায় দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায় না। দলে জবাবদিহি তৈরি হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি হতো না।
সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে আস্থা ভোটের বিধান রাখার এই সুপারিশ করেছে। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনেরও সুপারিশ করেছে। সুপারিশ অনুযায়ী, আইনসভার নিম্নকক্ষে অর্থ বিল ছাড়া বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন। বিদ্যমান সংবিধানে সংসদ সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দিতে পারেন না।
তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এমন ব্যবস্থা করা হলে কিছুদিন পরপর সরকার পরিবর্তনের অবস্থা তৈরি হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। এই কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে ও তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনতে একাধিক সুপারিশ করেছে কমিশন। বিস্তারিত সুপারিশ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারের কাছে উপস্থাপন করার কথা।

কমিশনের প্রতিবেদনে সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে, আইনসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে যদি কখনো প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে স্পষ্ট হয়, নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন অর্জন করতে পারছেন না, তবেই রাষ্ট্রপতি আইনসভা ভেঙে দেবেন।
বিদ্যমান সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারালে পদত্যাগ করবেন কিংবা সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবেন। রাষ্ট্রপতি অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন—এ মর্মে সন্তুষ্ট হলে সংসদ ভেঙে দেবেন। তবে উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজ পদে বহাল থাকবেন।
১৯৭২ সালে সংবিধান নিয়ে গণপরিষদে ৫৭ অনুচ্ছেদের ওপর আলোচনায় এর সমালোচনা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে তিনি যদি মনে করেন এবং প্রেসিডেন্টকে বলেন, তাহলে তিনি সংসদ ভেঙে দিতে পারেন, তা না হলে নয়। বিষয়টি গণতন্ত্র হবে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘সংবিধানের দুর্বল দিকের একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা রেখে দেওয়া হয়েছে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের লেখা ‘সংবিধান বিতর্ক ১৯৭২, গণপরিষদের রাষ্ট্রভাবনা’ বইয়ে এসব উল্লেখ রয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা আস্থা ভোটে পরাজিত হলেও সংসদ ভাঙার বিধান সংবিধানে না রাখার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিরাও ভোট দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংসদ থেকে অন্য যে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। মেয়াদ শেষের আগে সংসদ ভাঙতে হলে আইনসভার দুই কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠদের অনুমোদন লাগবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, যুক্তরাজ্যে একই সরকারের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী বদলের নজির রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির সরকারের সময়ে তিনজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁরা হলেন বরিস জনসন, লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাক। দলের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরে যাওয়ার দাবি উঠেছিল, দলের বিরুদ্ধে নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী বদল হলেও দল ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করেছে। দলে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি তৈরি করা গেলে গণতন্ত্রের চর্চা সুন্দর হবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর দেশটির সংসদে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দলের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কেউ বলেনি, লেবার পার্টির ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। তাঁরা নেতার প্রতি অনাস্থা জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে এই সুযোগ রাখা হয়নি। সেখানে বড় বাধা হচ্ছে ৭০ অনুচ্ছেদ। ওই অনুচ্ছেদ শিথিল করতে হবে।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের ভোটের ব্যবস্থার প্রস্তাব সমর্থন করছেন না আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, এমন কিছু পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। সংবিধানে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল পাকিস্তান আমলের অভিজ্ঞতার আলোকে। সর্বশেষ পাকিস্তানে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। সেখানে এমপিদের টাকা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এমন যদি বাংলাদেশে হয়, তাহলে দুই দিন পরপর সরকার বদল হবে। টাকার লোভ অনেকে সামলাতে পারবেন না।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থ বিল ছাড়া নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে। বর্তমান সংবিধানে সংসদে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিলে এমপি পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার নিয়ম তুলে দিতে সুপারিশ করেছে কমিশন।
বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে জাতীয় সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও সমালোচনা আছে।
৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ১৯৭২ সাল থেকেই বিতর্ক আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সে সময় সংবিধান প্রণয়ন কমিটি এবং গণপরিষদে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সংশোধন ও সংযোজন হয়েছিল। ৭০ অনুচ্ছেদের বর্তমান কাঠামোতে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন না। জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে চাইলে তো সংবিধানে ব্যবস্থাটা রাখতে হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা যে বিষয়গুলোকে দুর্বলতা হিসেবে শনাক্ত করেছি; সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিবর্জন, পুনর্লিখন—যা করার কথা আমরা বলছি; ওই উদ্দেশ্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ৭০ অনুচ্ছেদের ব্যবস্থা করতে হবে। জবাবদিহির জায়গা সীমিত করে জবাবদিহির কথা বলে লাভ নেই।’
আলী রীয়াজ বলেন, ফ্লোর ক্রসিংয়ের বিপদ এড়াতে যা করা হয়েছে, তা আরও বড় বিপদ ডেকে এনেছে। সংসদীয় দলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য হুইপের ব্যবস্থা আছে। দল আদর্শিক জায়গা থেকে কাজ করলে এমপিদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
অবশ্য আইনজীবী মনজিল মোরসেদ মনে করেন, ৭০ অনুচ্ছেদে দুটি বিষয় সংরক্ষণ থাকা উচিত। তিনি বলেন, এগুলো হলো সরকার পরিবর্তন ও অর্থ বিলের ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না। অন্য বিষয়গুলো উন্মুক্ত করা উচিত। সরকারের সমালোচনা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা সদস্যদের থাকবে। ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না। কিন্তু এ দেশে সংসদ সদস্যরা সরকারের পলিসি নিয়ে কথাই বলেননি। এগুলো হলো চরিত্র পরিবর্তনের বিষয়। বাস্তবতার আলোকে স্বচ্ছতা আনতে হবে। চিন্তা-চেতনায় উন্নত হতে হবে। এখানে আইন করে কোনো কিছু করা যাবে না।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩৩ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ক্ষমতা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আস্থা ভোটের বিধান চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকায় দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায় না। দলে জবাবদিহি তৈরি হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি...
৩১ জানুয়ারি ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ক্ষমতা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আস্থা ভোটের বিধান চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকায় দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায় না। দলে জবাবদিহি তৈরি হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি...
৩১ জানুয়ারি ২০২৫
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩৩ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্ষমতা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আস্থা ভোটের বিধান চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকায় দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায় না। দলে জবাবদিহি তৈরি হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি...
৩১ জানুয়ারি ২০২৫
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩৩ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

ক্ষমতা কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আস্থা ভোটের বিধান চায় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, বিদ্যমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকায় দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা যায় না। দলে জবাবদিহি তৈরি হলে দেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি...
৩১ জানুয়ারি ২০২৫
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩৩ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে