আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজধানীর একটি শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। চটকদার বিজ্ঞাপন, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির দাবি আর একঝাঁক ‘ভালো খবরের’ গল্প—সব মিলিয়ে ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছিল বিশ্বাসের এমন এক আবরণ, যার আড়ালে চলত সুপরিকল্পিত প্রতারণা। আর এর নেপথ্যে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার। তিনি এখন সপরিবারে উধাও।
১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করার অভিযোগে বাশার, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ৪ মে ডিএমপির গুলশান থানায় অর্থ পাচার মামলা করেছে সিআইডি। বাশারের এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে গত ডিসেম্বরেই অর্থ পাচারের প্রমাণ পায় সিআইডি। এরপর মামলা হয়। এ ছাড়া ৭০০ ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে সিআইডির কাছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ৮৫০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক উচ্চশিক্ষা, বৃত্তিসহ দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাঠানোর বিজ্ঞাপন দিত। চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে সেখানে যেত। সবার কাছ থেকে তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিত। এরপর মাসের পর মাস ঘোরাত। বিদেশেও পাঠাতে পারত না, টাকাও ফেরত দিত না। এ রকম প্রায় সাড়ে ৮০০ শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা সিআইডির কাছে অভিযোগ করেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪১ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পায় সিআইডি। তাঁদের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা নিয়েছেন বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠান। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। সব টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এমনকি তাঁকেও দেশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের তদন্তে উঠে এসেছে, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার, তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন এবং ছেলে আরশ ইবনে বাশার দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। পরে সেই অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের এসআই উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন মামলায় অভিযোগ করেছেন, বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠানটি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছয় লাখ থেকে শুরু করে ৩০ লাখ টাকার বেশি পর্যন্ত অর্থ নিয়েছেন। তদন্তে অন্তত ৭৮ জন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারও কারও দাবি অনুযায়ী, তাঁরা শেষ পর্যন্ত কোনো ভিসাই পাননি, আবার কেউ কেউ টাকা দিয়েও বিদেশে যেতে পারেননি।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাহমুদুল করিম নামের এক ব্যক্তি দিয়েছেন ৯৪ লাখ, লিমা আক্তার ১৫ লাখ, তামান্না আক্তার ২২ লাখ, রাসেল আমান্ডা মণ্ডল ১৭ লাখ ২৭ হাজার, সাদমান সাইফ ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ও এম এ কাশেম ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা দেন।
তাঁদের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ঘোরাতে থাকে। কখনো বলে, ‘আপনার ফাইল হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে’, কখনো বলে ‘ভিসার প্রক্রিয়া চলছে’। একপর্যায়ে অনেকে বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। কেউ টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি আইনি জটিলতায় ফেলার ভয়ও দেখানো হয়।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় পুনরায় লাইসেন্স নবায়ন করে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহার ‘বুশরা-সেলিমা-বাশার ফাউন্ডেশন’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থারও সভাপতি। সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন তাঁর স্ত্রী সেলিমা রওশন।
সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক লেনদেনের জন্য একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে। বেশির ভাগ চেক ইস্যু করা হয়েছে ব্যক্তিগত নামে, যাতে প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা থেকে যায়। এরপর সেই অর্থ নানা পথে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মামলায় খায়রুল বাশার বাহার, তাঁর ছেলে আরশ ইবনে বাশার এবং স্ত্রী খন্দকার সেলিনা রওশন ছাড়াও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে সিআইডি জানিয়েছে, আসামিরা কেউ দেশে নেই। তাঁরা দেশ থেকে গোপনে পালিয়েছেন। তাঁদের অন্য দেশের পাসপোর্ট ছিল। তাঁরা সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে গোপনে দেশ ছেড়েছেন।
এ বিষয়ে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিএসবির কর্ণধারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ১৪১ জন ভুক্তভোগীর বিষয়টি মামলায় এসেছে। বাকি ৭০০ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজধানীর একটি শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। চটকদার বিজ্ঞাপন, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির দাবি আর একঝাঁক ‘ভালো খবরের’ গল্প—সব মিলিয়ে ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছিল বিশ্বাসের এমন এক আবরণ, যার আড়ালে চলত সুপরিকল্পিত প্রতারণা। আর এর নেপথ্যে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার। তিনি এখন সপরিবারে উধাও।
১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করার অভিযোগে বাশার, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ৪ মে ডিএমপির গুলশান থানায় অর্থ পাচার মামলা করেছে সিআইডি। বাশারের এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে গত ডিসেম্বরেই অর্থ পাচারের প্রমাণ পায় সিআইডি। এরপর মামলা হয়। এ ছাড়া ৭০০ ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে সিআইডির কাছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ৮৫০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক উচ্চশিক্ষা, বৃত্তিসহ দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাঠানোর বিজ্ঞাপন দিত। চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে সেখানে যেত। সবার কাছ থেকে তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিত। এরপর মাসের পর মাস ঘোরাত। বিদেশেও পাঠাতে পারত না, টাকাও ফেরত দিত না। এ রকম প্রায় সাড়ে ৮০০ শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা সিআইডির কাছে অভিযোগ করেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪১ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পায় সিআইডি। তাঁদের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা নিয়েছেন বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠান। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। সব টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এমনকি তাঁকেও দেশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের তদন্তে উঠে এসেছে, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার, তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন এবং ছেলে আরশ ইবনে বাশার দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। পরে সেই অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের এসআই উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন মামলায় অভিযোগ করেছেন, বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠানটি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছয় লাখ থেকে শুরু করে ৩০ লাখ টাকার বেশি পর্যন্ত অর্থ নিয়েছেন। তদন্তে অন্তত ৭৮ জন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারও কারও দাবি অনুযায়ী, তাঁরা শেষ পর্যন্ত কোনো ভিসাই পাননি, আবার কেউ কেউ টাকা দিয়েও বিদেশে যেতে পারেননি।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাহমুদুল করিম নামের এক ব্যক্তি দিয়েছেন ৯৪ লাখ, লিমা আক্তার ১৫ লাখ, তামান্না আক্তার ২২ লাখ, রাসেল আমান্ডা মণ্ডল ১৭ লাখ ২৭ হাজার, সাদমান সাইফ ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ও এম এ কাশেম ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা দেন।
তাঁদের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ঘোরাতে থাকে। কখনো বলে, ‘আপনার ফাইল হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে’, কখনো বলে ‘ভিসার প্রক্রিয়া চলছে’। একপর্যায়ে অনেকে বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। কেউ টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি আইনি জটিলতায় ফেলার ভয়ও দেখানো হয়।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় পুনরায় লাইসেন্স নবায়ন করে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহার ‘বুশরা-সেলিমা-বাশার ফাউন্ডেশন’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থারও সভাপতি। সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন তাঁর স্ত্রী সেলিমা রওশন।
সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক লেনদেনের জন্য একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে। বেশির ভাগ চেক ইস্যু করা হয়েছে ব্যক্তিগত নামে, যাতে প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা থেকে যায়। এরপর সেই অর্থ নানা পথে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মামলায় খায়রুল বাশার বাহার, তাঁর ছেলে আরশ ইবনে বাশার এবং স্ত্রী খন্দকার সেলিনা রওশন ছাড়াও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে সিআইডি জানিয়েছে, আসামিরা কেউ দেশে নেই। তাঁরা দেশ থেকে গোপনে পালিয়েছেন। তাঁদের অন্য দেশের পাসপোর্ট ছিল। তাঁরা সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে গোপনে দেশ ছেড়েছেন।
এ বিষয়ে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিএসবির কর্ণধারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ১৪১ জন ভুক্তভোগীর বিষয়টি মামলায় এসেছে। বাকি ৭০০ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজধানীর একটি শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। চটকদার বিজ্ঞাপন, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির দাবি আর একঝাঁক ‘ভালো খবরের’ গল্প—সব মিলিয়ে ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছিল বিশ্বাসের এমন এক আবরণ, যার আড়ালে চলত সুপরিকল্পিত প্রতারণা। আর এর নেপথ্যে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার। তিনি এখন সপরিবারে উধাও।
১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করার অভিযোগে বাশার, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ৪ মে ডিএমপির গুলশান থানায় অর্থ পাচার মামলা করেছে সিআইডি। বাশারের এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে গত ডিসেম্বরেই অর্থ পাচারের প্রমাণ পায় সিআইডি। এরপর মামলা হয়। এ ছাড়া ৭০০ ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে সিআইডির কাছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ৮৫০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক উচ্চশিক্ষা, বৃত্তিসহ দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাঠানোর বিজ্ঞাপন দিত। চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে সেখানে যেত। সবার কাছ থেকে তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিত। এরপর মাসের পর মাস ঘোরাত। বিদেশেও পাঠাতে পারত না, টাকাও ফেরত দিত না। এ রকম প্রায় সাড়ে ৮০০ শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা সিআইডির কাছে অভিযোগ করেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪১ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পায় সিআইডি। তাঁদের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা নিয়েছেন বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠান। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। সব টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এমনকি তাঁকেও দেশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের তদন্তে উঠে এসেছে, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার, তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন এবং ছেলে আরশ ইবনে বাশার দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। পরে সেই অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের এসআই উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন মামলায় অভিযোগ করেছেন, বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠানটি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছয় লাখ থেকে শুরু করে ৩০ লাখ টাকার বেশি পর্যন্ত অর্থ নিয়েছেন। তদন্তে অন্তত ৭৮ জন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারও কারও দাবি অনুযায়ী, তাঁরা শেষ পর্যন্ত কোনো ভিসাই পাননি, আবার কেউ কেউ টাকা দিয়েও বিদেশে যেতে পারেননি।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাহমুদুল করিম নামের এক ব্যক্তি দিয়েছেন ৯৪ লাখ, লিমা আক্তার ১৫ লাখ, তামান্না আক্তার ২২ লাখ, রাসেল আমান্ডা মণ্ডল ১৭ লাখ ২৭ হাজার, সাদমান সাইফ ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ও এম এ কাশেম ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা দেন।
তাঁদের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ঘোরাতে থাকে। কখনো বলে, ‘আপনার ফাইল হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে’, কখনো বলে ‘ভিসার প্রক্রিয়া চলছে’। একপর্যায়ে অনেকে বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। কেউ টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি আইনি জটিলতায় ফেলার ভয়ও দেখানো হয়।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় পুনরায় লাইসেন্স নবায়ন করে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহার ‘বুশরা-সেলিমা-বাশার ফাউন্ডেশন’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থারও সভাপতি। সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন তাঁর স্ত্রী সেলিমা রওশন।
সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক লেনদেনের জন্য একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে। বেশির ভাগ চেক ইস্যু করা হয়েছে ব্যক্তিগত নামে, যাতে প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা থেকে যায়। এরপর সেই অর্থ নানা পথে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মামলায় খায়রুল বাশার বাহার, তাঁর ছেলে আরশ ইবনে বাশার এবং স্ত্রী খন্দকার সেলিনা রওশন ছাড়াও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে সিআইডি জানিয়েছে, আসামিরা কেউ দেশে নেই। তাঁরা দেশ থেকে গোপনে পালিয়েছেন। তাঁদের অন্য দেশের পাসপোর্ট ছিল। তাঁরা সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে গোপনে দেশ ছেড়েছেন।
এ বিষয়ে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিএসবির কর্ণধারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ১৪১ জন ভুক্তভোগীর বিষয়টি মামলায় এসেছে। বাকি ৭০০ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রাজধানীর একটি শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। চটকদার বিজ্ঞাপন, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির দাবি আর একঝাঁক ‘ভালো খবরের’ গল্প—সব মিলিয়ে ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছিল বিশ্বাসের এমন এক আবরণ, যার আড়ালে চলত সুপরিকল্পিত প্রতারণা। আর এর নেপথ্যে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার। তিনি এখন সপরিবারে উধাও।
১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করার অভিযোগে বাশার, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ৪ মে ডিএমপির গুলশান থানায় অর্থ পাচার মামলা করেছে সিআইডি। বাশারের এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে গত ডিসেম্বরেই অর্থ পাচারের প্রমাণ পায় সিআইডি। এরপর মামলা হয়। এ ছাড়া ৭০০ ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে সিআইডির কাছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ৮৫০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক উচ্চশিক্ষা, বৃত্তিসহ দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে পাঠানোর বিজ্ঞাপন দিত। চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে সেখানে যেত। সবার কাছ থেকে তারা মোটা অঙ্কের টাকা নিত। এরপর মাসের পর মাস ঘোরাত। বিদেশেও পাঠাতে পারত না, টাকাও ফেরত দিত না। এ রকম প্রায় সাড়ে ৮০০ শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা সিআইডির কাছে অভিযোগ করেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪১ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পায় সিআইডি। তাঁদের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা নিয়েছেন বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠান। তবে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। সব টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এমনকি তাঁকেও দেশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের তদন্তে উঠে এসেছে, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার, তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন এবং ছেলে আরশ ইবনে বাশার দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। পরে সেই অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের এসআই উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন মামলায় অভিযোগ করেছেন, বাশার ও তাঁর প্রতিষ্ঠানটি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছয় লাখ থেকে শুরু করে ৩০ লাখ টাকার বেশি পর্যন্ত অর্থ নিয়েছেন। তদন্তে অন্তত ৭৮ জন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কারও কারও দাবি অনুযায়ী, তাঁরা শেষ পর্যন্ত কোনো ভিসাই পাননি, আবার কেউ কেউ টাকা দিয়েও বিদেশে যেতে পারেননি।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাহমুদুল করিম নামের এক ব্যক্তি দিয়েছেন ৯৪ লাখ, লিমা আক্তার ১৫ লাখ, তামান্না আক্তার ২২ লাখ, রাসেল আমান্ডা মণ্ডল ১৭ লাখ ২৭ হাজার, সাদমান সাইফ ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ও এম এ কাশেম ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা দেন।
তাঁদের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ঘোরাতে থাকে। কখনো বলে, ‘আপনার ফাইল হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে’, কখনো বলে ‘ভিসার প্রক্রিয়া চলছে’। একপর্যায়ে অনেকে বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। কেউ টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি আইনি জটিলতায় ফেলার ভয়ও দেখানো হয়।

তদন্তে আরও জানা গেছে, ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় পুনরায় লাইসেন্স নবায়ন করে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহার ‘বুশরা-সেলিমা-বাশার ফাউন্ডেশন’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থারও সভাপতি। সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন তাঁর স্ত্রী সেলিমা রওশন।
সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক লেনদেনের জন্য একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে। বেশির ভাগ চেক ইস্যু করা হয়েছে ব্যক্তিগত নামে, যাতে প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা থেকে যায়। এরপর সেই অর্থ নানা পথে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মামলায় খায়রুল বাশার বাহার, তাঁর ছেলে আরশ ইবনে বাশার এবং স্ত্রী খন্দকার সেলিনা রওশন ছাড়াও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে সিআইডি জানিয়েছে, আসামিরা কেউ দেশে নেই। তাঁরা দেশ থেকে গোপনে পালিয়েছেন। তাঁদের অন্য দেশের পাসপোর্ট ছিল। তাঁরা সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে গোপনে দেশ ছেড়েছেন।
এ বিষয়ে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিএসবির কর্ণধারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ১৪১ জন ভুক্তভোগীর বিষয়টি মামলায় এসেছে। বাকি ৭০০ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঢাকার শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ’বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার বিদেশে উচ্চশিক্ষার লোভ দেখিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে ১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাশার সপরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
০৬ মে ২০২৫
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

ঢাকার শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ’বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার বিদেশে উচ্চশিক্ষার লোভ দেখিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে ১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাশার সপরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
০৬ মে ২০২৫
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকার শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ’বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার বিদেশে উচ্চশিক্ষার লোভ দেখিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে ১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাশার সপরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
০৬ মে ২০২৫
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৮ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ঢাকার শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ’বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার বিদেশে উচ্চশিক্ষার লোভ দেখিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে ১৪১ জনের কাছ থেকে ১৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাশার সপরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
০৬ মে ২০২৫
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৮ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে