নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলেও তা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। বিরোধীদের কর্মকাণ্ডসহ দলের ভেতরে-বাইরে সহিংসতার শঙ্কাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে।
এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে দুই পক্ষকেই ছাড় দিয়ে সংলাপে বসতে হবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রতিবেদনে এসব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।
ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক স্বাধীন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসিজি আজ বৃহস্পতিবার ‘বিয়ন্ড দ্য ইলেকশন: ব্রেকিং বাংলাদেশ’স পলিটিক্যাল ডেডলক’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে উপনীত। নিখুঁত না হলেও একদা প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক এই দেশ ক্ষমতাসীন সরকারের বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প না থাকলেও শিগগিরই তৃতীয় নির্বাচনে যাচ্ছে। নিজের শর্ত অনুযায়ী শেখ হাসিনার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সংকল্প ভোটের আগে ও পরে সহিংসতার ঝুঁকি বাড়াবে। অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির পাশাপাশি দলটি যে অভ্যন্তরীণ বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে, সে কারণে আওয়ামী লীগের দিক থেকে সমঝোতা চাওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে।’
আইসিজি বলেছে, ‘শেখ হাসিনার দল স্বল্পমেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে এবং বিরোধী দলগুলোও নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিতে পারে। আর সম্ভাব্য সহিংস প্রতিক্রিয়াসহ আওয়ামী লীগের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে। এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে দুই পক্ষকে সংলাপে বসতে হবে। প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ এবং বাংলাদেশকে গণতন্ত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনতে আলোচনার জন্য উভয়পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা প্রয়োজন। বিদেশি অংশীদারদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উচিত দুপক্ষকে সেই পথে যেতে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করা।’
বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে বিরোধীদের সঙ্গে ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের ভেতরের নানা পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠান। এই মুহূর্তে ভোটগ্রহণ স্থগিত সম্ভব না হলেও নির্বাচনের পরের বিপর্যয়ের কথা মাথা রেখে সরকারকে সংলাপের পথ খোলার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদের দমিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রশাসনে পরিণত হয়েছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে পাওয়া উত্তরাধিকার ও শক্তিশালী দলীয় কাঠামোর কারণে তিনি ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ব্যাপক সাফল্য গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর সরকার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
কিন্তু যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকার আওয়ামী লীগের সংকল্পের কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে অবক্ষয় করছে উল্লেখ করে আইসিজির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা সংস্থা ও নির্বাচনী কর্তৃপক্ষসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ধরেছেন শেখ হাসিনা। এসব জায়গায় অনুগতদের বসিয়েছেন। তাঁর সরকার বিরোধী কর্মী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকদের ওপরও নিপীড়ন চালিয়ে আসছে।
শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলের ক্ষেত্রে ২০১১ সালের সংবিধান সংশোধনীকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথ বন্ধ হয়। এ কারণে বিরোধী দল ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে এবং ২০১৮ সালের ভোটে অংশ নেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষের হাতে ক্রমাগত দমন-পীড়নের সম্মুখীন হয়। এ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ভরার ব্যাপক অভিযোগের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ৯৬ শতাংশ আসনে জয়ী হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে নির্বাচনের পর থেকেই দেশে-বিদেশে অসন্তোষ বেড়েছে। অনেক বাংলাদেশির অভিযোগ, ১৫ বছর ধরে তারা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। এসব ঘটনা দুই পক্ষের মধ্যেকার বৈরিতা আরও তীব্র করেছে। বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ নাকচ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এদিকে বিএনপি ও তার মিত্ররা অর্থনীতিকে ব্যাহত করতে এবং সরকারকে তাদের নির্বাচনী দাবিতে রাজি হতে বাধ্য করতে হরতাল ও অববোধের ডাক দিয়েছে।
আইজিসি বলছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে তারা বিরোধীদের দমনে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। বিপরীতে ক্ষমতাসীন দলকে ‘বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন’ আয়োজনে বাধ্য করতে বদ্ধপরিকর বিএনপি। তেমনটা করা হলে জেতারও আশা করছে দলটি।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। কর্তৃত্ববাদ ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান জন অসন্তোষের মধ্যে বিরোধীদের অনেকটাই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আইসিজির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নিজ তত্ত্বাবধানে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট, বৈদেশিক সম্পর্কের পালাবদল এবং নতুন করে উজ্জীবিত বিরোধী দল আওয়ামী লীগের জন্য আরেকটি একতরফা নির্বাচন করা কঠিন করে তুলেছে।
ব্রাসেলসভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিরোধীরা নির্বাচন বর্জন করায় ভোটার উপস্থিতি সম্ভবত কম হতে যাচ্ছে। ব্যালটে তেমন বিশ্বাসযোগ্য কোনো বিকল্প না থাকায় অসন্তুষ্ট বাংলাদেশিরা রাজপথে নামছে ফলে রাজনৈতিক সহিংসতার ঝুঁকিও বাড়ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর মধ্যেও দাঙ্গা-হাঙ্গামা দেখা দিতে পারে।
এ অবস্থায় করণীয় হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উচিত ভোটের পর উভয় পক্ষ থেকে ছাড় দিয়ে মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশি অংশীদারদের উচিত প্রধান দুই দলকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করা।

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলেও তা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। বিরোধীদের কর্মকাণ্ডসহ দলের ভেতরে-বাইরে সহিংসতার শঙ্কাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে।
এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে দুই পক্ষকেই ছাড় দিয়ে সংলাপে বসতে হবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রতিবেদনে এসব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।
ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক স্বাধীন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসিজি আজ বৃহস্পতিবার ‘বিয়ন্ড দ্য ইলেকশন: ব্রেকিং বাংলাদেশ’স পলিটিক্যাল ডেডলক’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে উপনীত। নিখুঁত না হলেও একদা প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক এই দেশ ক্ষমতাসীন সরকারের বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প না থাকলেও শিগগিরই তৃতীয় নির্বাচনে যাচ্ছে। নিজের শর্ত অনুযায়ী শেখ হাসিনার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সংকল্প ভোটের আগে ও পরে সহিংসতার ঝুঁকি বাড়াবে। অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির পাশাপাশি দলটি যে অভ্যন্তরীণ বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে, সে কারণে আওয়ামী লীগের দিক থেকে সমঝোতা চাওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে।’
আইসিজি বলেছে, ‘শেখ হাসিনার দল স্বল্পমেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে এবং বিরোধী দলগুলোও নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিতে পারে। আর সম্ভাব্য সহিংস প্রতিক্রিয়াসহ আওয়ামী লীগের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে। এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে দুই পক্ষকে সংলাপে বসতে হবে। প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ এবং বাংলাদেশকে গণতন্ত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনতে আলোচনার জন্য উভয়পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা প্রয়োজন। বিদেশি অংশীদারদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উচিত দুপক্ষকে সেই পথে যেতে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করা।’
বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে বিরোধীদের সঙ্গে ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের ভেতরের নানা পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠান। এই মুহূর্তে ভোটগ্রহণ স্থগিত সম্ভব না হলেও নির্বাচনের পরের বিপর্যয়ের কথা মাথা রেখে সরকারকে সংলাপের পথ খোলার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদের দমিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রশাসনে পরিণত হয়েছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে পাওয়া উত্তরাধিকার ও শক্তিশালী দলীয় কাঠামোর কারণে তিনি ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ব্যাপক সাফল্য গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর সরকার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
কিন্তু যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকার আওয়ামী লীগের সংকল্পের কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে অবক্ষয় করছে উল্লেখ করে আইসিজির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক দশকে আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা সংস্থা ও নির্বাচনী কর্তৃপক্ষসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ধরেছেন শেখ হাসিনা। এসব জায়গায় অনুগতদের বসিয়েছেন। তাঁর সরকার বিরোধী কর্মী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকদের ওপরও নিপীড়ন চালিয়ে আসছে।
শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলের ক্ষেত্রে ২০১১ সালের সংবিধান সংশোধনীকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথ বন্ধ হয়। এ কারণে বিরোধী দল ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে এবং ২০১৮ সালের ভোটে অংশ নেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষের হাতে ক্রমাগত দমন-পীড়নের সম্মুখীন হয়। এ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ভরার ব্যাপক অভিযোগের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ৯৬ শতাংশ আসনে জয়ী হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে নির্বাচনের পর থেকেই দেশে-বিদেশে অসন্তোষ বেড়েছে। অনেক বাংলাদেশির অভিযোগ, ১৫ বছর ধরে তারা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। এসব ঘটনা দুই পক্ষের মধ্যেকার বৈরিতা আরও তীব্র করেছে। বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপ নাকচ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এদিকে বিএনপি ও তার মিত্ররা অর্থনীতিকে ব্যাহত করতে এবং সরকারকে তাদের নির্বাচনী দাবিতে রাজি হতে বাধ্য করতে হরতাল ও অববোধের ডাক দিয়েছে।
আইজিসি বলছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে তারা বিরোধীদের দমনে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। বিপরীতে ক্ষমতাসীন দলকে ‘বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন’ আয়োজনে বাধ্য করতে বদ্ধপরিকর বিএনপি। তেমনটা করা হলে জেতারও আশা করছে দলটি।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। কর্তৃত্ববাদ ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান জন অসন্তোষের মধ্যে বিরোধীদের অনেকটাই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আইসিজির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নিজ তত্ত্বাবধানে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট, বৈদেশিক সম্পর্কের পালাবদল এবং নতুন করে উজ্জীবিত বিরোধী দল আওয়ামী লীগের জন্য আরেকটি একতরফা নির্বাচন করা কঠিন করে তুলেছে।
ব্রাসেলসভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিরোধীরা নির্বাচন বর্জন করায় ভোটার উপস্থিতি সম্ভবত কম হতে যাচ্ছে। ব্যালটে তেমন বিশ্বাসযোগ্য কোনো বিকল্প না থাকায় অসন্তুষ্ট বাংলাদেশিরা রাজপথে নামছে ফলে রাজনৈতিক সহিংসতার ঝুঁকিও বাড়ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর মধ্যেও দাঙ্গা-হাঙ্গামা দেখা দিতে পারে।
এ অবস্থায় করণীয় হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উচিত ভোটের পর উভয় পক্ষ থেকে ছাড় দিয়ে মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশি অংশীদারদের উচিত প্রধান দুই দলকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করা।

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগে
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, জাতীয় চার্চ পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি খ্রিস্টোফার অধিকারীসহ দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খ্রিষ্টধর্মের নেতারা তাঁদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুনাম এবং দেশের অর্থনীতি ও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজিত হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।

আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে যিশুখ্রিষ্টকে সর্বজনীন উল্লেখ করে বলেন, যিশুখ্রিষ্টের ক্ষমা ও মানবসেবার মহান আদর্শ সামনে রেখে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও এ বছর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপন করছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা রেখেছিল। আপনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমরা প্রার্থনা করি, একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনার প্রচেষ্টা সফল হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে বড়দিন ও আসন্ন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারাই সমাজের প্রতিবিম্ব। আপনাদের দেখলে বুঝতে পারি, সবকিছু ঠিক আছে কি না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে চাই। সে জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে জুলাই সনদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সনদের ওপর গণভোটের মাধ্যমে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে জনগণ যে রায় দেবে, পরবর্তী সময়ে সংসদ সেভাবেই সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ। দেশব্যাপী ৮০০টি চার্চের মধ্যে তিন ধাপে এই অনুদান বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
পরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন প্রধান উপদেষ্টা।

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, জাতীয় চার্চ পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি খ্রিস্টোফার অধিকারীসহ দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খ্রিষ্টধর্মের নেতারা তাঁদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুনাম এবং দেশের অর্থনীতি ও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজিত হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।

আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে যিশুখ্রিষ্টকে সর্বজনীন উল্লেখ করে বলেন, যিশুখ্রিষ্টের ক্ষমা ও মানবসেবার মহান আদর্শ সামনে রেখে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও এ বছর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপন করছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা রেখেছিল। আপনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমরা প্রার্থনা করি, একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনার প্রচেষ্টা সফল হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে বড়দিন ও আসন্ন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারাই সমাজের প্রতিবিম্ব। আপনাদের দেখলে বুঝতে পারি, সবকিছু ঠিক আছে কি না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে চাই। সে জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে জুলাই সনদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সনদের ওপর গণভোটের মাধ্যমে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে জনগণ যে রায় দেবে, পরবর্তী সময়ে সংসদ সেভাবেই সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ। দেশব্যাপী ৮০০টি চার্চের মধ্যে তিন ধাপে এই অনুদান বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
পরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন প্রধান উপদেষ্টা।

আইসিজি বলছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলেও তা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। দলের বাইরে-ভেতরে সহিংসতার শঙ্কাসহ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে। অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে দুই পক্ষকে ছাড় দিয়ে সংলাপে বসতে হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
প্রেস সচিব আরও জানান, সরকার তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি বিএনপির সঙ্গে পরামর্শ করছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাচ্ছি এবং ঘটনার তদন্তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার হত্যাকাণ্ডকে নিন্দা জানিয়েছে। ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আজ উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছেন, দীপু হত্যার বিচার দ্রুত বিচার আইনের আওতায় সম্পন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। সব দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
প্রেস সচিব আরও জানান, সরকার তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি বিএনপির সঙ্গে পরামর্শ করছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাচ্ছি এবং ঘটনার তদন্তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার হত্যাকাণ্ডকে নিন্দা জানিয়েছে। ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আজ উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছেন, দীপু হত্যার বিচার দ্রুত বিচার আইনের আওতায় সম্পন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। সব দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

আইসিজি বলছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলেও তা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। দলের বাইরে-ভেতরে সহিংসতার শঙ্কাসহ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে। অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে দুই পক্ষকে ছাড় দিয়ে সংলাপে বসতে হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগে
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে রাষ্ট্রের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন এই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিক অধিকার রক্ষা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো—কোনো পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করতে পারবে না।
নজরদারির বিতর্কিত সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি সহায়তার জন্য ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট (সিআইএস)’ গঠন করা হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত হবে।
সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা হয়রানি করা এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেবল জাতীয় নিরাপত্তা বা সুনির্দিষ্ট বিচারিক প্রয়োজনে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারসেপশন করা যাবে।
লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বিটিআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স বাদে বাকি সব লাইসেন্স বিটিআরসি নিজেই ইস্যু করতে পারবে।
টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জবাবদিহিতা কমিটি—ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণশুনানি—বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আধা-বিচারিক কাউন্সিল—আইনানুগ ইন্টারসেপশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইনমন্ত্রী, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ করা যাবে।
সংশোধিত আইনে পূর্বের উচ্চ জরিমানা ও রিকারিং (পুনঃপুন) জরিমানার হার কমানো হয়েছে, যা এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া, ‘স্পিচ অফেন্স’ বা কথা বলার অপরাধ সংক্রান্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশটি গত ২০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে আজ এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। সরকার জানিয়েছে, এই পুরো ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ এবং আইটিইউ-এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে রাষ্ট্রের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ধরনে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন এই সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিক অধিকার রক্ষা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলো হলো—কোনো পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্র বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করতে পারবে না।
নজরদারির বিতর্কিত সংস্থা এনটিএমসি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি সহায়তার জন্য ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট (সিআইএস)’ গঠন করা হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ মেনে পরিচালিত হবে।
সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা হয়রানি করা এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কেবল জাতীয় নিরাপত্তা বা সুনির্দিষ্ট বিচারিক প্রয়োজনে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারসেপশন করা যাবে।
লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা বিটিআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স বাদে বাকি সব লাইসেন্স বিটিআরসি নিজেই ইস্যু করতে পারবে।
টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নতুন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। জবাবদিহিতা কমিটি—ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণশুনানি—বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি করতে হবে এবং তার ফলোআপ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আধা-বিচারিক কাউন্সিল—আইনানুগ ইন্টারসেপশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইনমন্ত্রী, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। বেআইনি নজরদারির বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ করা যাবে।
সংশোধিত আইনে পূর্বের উচ্চ জরিমানা ও রিকারিং (পুনঃপুন) জরিমানার হার কমানো হয়েছে, যা এই খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া, ‘স্পিচ অফেন্স’ বা কথা বলার অপরাধ সংক্রান্ত নিবর্তনমূলক ধারাগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশটি গত ২০ নভেম্বর নীতিগত অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে আজ এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। সরকার জানিয়েছে, এই পুরো ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ এবং আইটিইউ-এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

আইসিজি বলছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলেও তা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। দলের বাইরে-ভেতরে সহিংসতার শঙ্কাসহ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে। অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে দুই পক্ষকে ছাড় দিয়ে সংলাপে বসতে হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগে
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন সংশোধিত বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত দুটি বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা ছিল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন। পাশাপাশি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংশোধিত বাজেট কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে এবং শীতকালে সবজির মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে যাওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি নামার আশা করা হচ্ছে।
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মোট সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পূরণ করা হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাজেটে স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক ও যুববান্ধব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট অবকাঠামোকে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করা হবে। অধ্যাদেশে বিটিআরসির ক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহি সুসংহত করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা এবং প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নতুন সংশোধিত বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত দুটি বৈঠকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা ছিল সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন। পাশাপাশি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংশোধিত বাজেট কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, নতুন সংশোধিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে এবং শীতকালে সবজির মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে যাওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের কাছাকাছি নামার আশা করা হচ্ছে।
প্রেস সচিবের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। সে অনুযায়ী সংশোধিত বাজেটে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মোট সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পূরণ করা হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাজেটে স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, তরুণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উৎপাদন এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিক ও যুববান্ধব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট অবকাঠামোকে আরও স্থিতিশীল ও নিরাপদ করা হবে। অধ্যাদেশে বিটিআরসির ক্ষমতা, কার্যকারিতা ও জবাবদিহি সুসংহত করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা এবং প্রতারণা ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

আইসিজি বলছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এলেও তা স্বল্পমেয়াদী হতে পারে। দলের বাইরে-ভেতরে সহিংসতার শঙ্কাসহ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক চাপ বাড়তে পারে। অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে দুই পক্ষকে ছাড় দিয়ে সংলাপে বসতে হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগে
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে আর কখনোই ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না। একই সঙ্গে বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্ত করে একটি জবাবদিহিমূলক কাঠামো গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় রেখে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর
২ ঘণ্টা আগে