রেজা করিম, তানিম আহমেদ ও সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ভোটের তফসিল দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরে বইতে শুরু করায় দলগুলো এখন সম্ভাব্য জোটের জন্য আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের দলের একজন নেতা ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না’ এমন আওয়াজ তুললেও সরকারের দুজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা ভোট না হওয়ার বিষয়টি জোরের সঙ্গে নাকচ করে দিয়েছেন।
সংস্কার, জুলাই সনদ তৈরি, বাস্তবায়নসহ নানা বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনার পাশাপাশি প্রায় সব রাজনৈতিক দল নেপথ্যে ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ভোটের সময় ক্রমেই এগিয়ে আসায় তারা নিজ নিজ কৌশল নির্ধারণে সক্রিয়। পাশাপাশি নেতারা ব্যস্ত নিজ নিজ মনোনয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টায়। এবার জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নামে দুটি আলাদা কক্ষ প্রবর্তনের সম্ভাবনা জোরালো। অন্তত উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে ভোট হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক মতৈক্য হয়েছে। এমন নতুন রাজনৈতিক আবহে দলগুলোকে এবারকার নির্বাচনী কৌশলও একটু রয়েসয়ে ঠিক করতে হচ্ছে।
ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ দল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জোট ভিত্তিতে ভোটে যাওয়ার লক্ষ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। মাঠে সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী তৎপরতার ওপরই নজর সবার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনীর প্রস্তাবে জোটের ভোটেও দলীয় প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় লড়তে হবে, এমন বিধান যুক্ত করেছে। এ বিষয়টি জোটভিত্তিক কৌশল প্রণয়নের ওপর প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনের সময় অথবা আসনভেদে বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ কী কৌশল নেবে, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি আসন সমঝোতার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে একসঙ্গে নির্বাচনের কথা বলছে। ইসলামপন্থী অন্য দলগুলোকে নিয়ে একই চিন্তা করছে জামায়াতে ইসলামী। আর তরুণদের দল এনসিপির বড় একটি অংশ বিএনপি ও জামায়াত—উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে।
সম্ভাব্য জোটের শরিকেরা সংসদে নিজেদের অবস্থান যতটা সম্ভব শক্ত করতে সক্রিয় থাকবে। এ বাস্তবতায় রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ভোটের জোটগুলো স্পষ্ট রূপ পেতে পারে। বড় দলের কাছে সম্ভাব্য শরিকদের অনেকের দাবি, শুধু আসন ছাড়লেই হবে না, বিদ্রোহী প্রার্থীরা যাতে বাগড়া দিতে না পারেন, সেই নিশ্চয়তাও চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছে, তাতেই আগামী দিনের নির্বাচনী রূপরেখা আছে। বিএনপি সমমনাদের সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করবে।’
বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা ৪০ থেকে ৫০টি আসনে ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে এরই মধ্যে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এনডিএম, জন অধিকার, পিপলস পার্টি, ন্যাপ ভাসানী ও আমজনতা দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী অবশ্য আজকের পত্রিকা'কে গতকাল বলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তারপর নির্বাচনী জোট নিয়ে আলোচনা করব।’
বিএনপির ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, তারা জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের কথা ভাবছে না। এ বিষয়ে বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘যারা একাত্তর মানে না, স্বাধীনতাবিরোধী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মানে না, তাদের সঙ্গে বিএনপি জোটবদ্ধ হবে না, একসঙ্গে চলবে না।’
তবে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিএনপি ভোটের বিষয়ে এনসিপির সঙ্গে কথা বলবে, এমন সম্ভাবনার কথা বলছেন দুই দলের নেতারাই।
এবারের ভোটে নিজেদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ঘরানার ইসলামপন্থী দলগুলোর ভোট ‘এক বাক্সে’ আনার কথা বলে আসছে। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম মিলে মোর্চা গঠনের চেষ্টা চলছে। তবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়ায় মোর্চা গঠনে দেরি হচ্ছে।
জামায়াত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বললেও সবার আগে প্রায় ২৯০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে ১০০টির বেশি আসন শরিকদের ছাড় দিতে রাজি তারা। তফসিল ঘোষণার পরেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কৌশল নিয়েছে দলটি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘ভোট তো আগে হতে হবে। ভোটের যদি পরিবেশ তৈরি হয়, তখন আমরা জোটের প্রক্রিয়া শুরু করব।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, জোট গঠনের প্রাথমিক আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে এনসিপি নেতাদের দাবি, জোট গঠনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা তাঁরা এখনো শুরু করেননি। তবে কর্মসূচিগত মিলের জায়গা থেকে জোট হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে সে সম্ভাবনা নাকচ করছেন না তাঁরা। ‘দেশের স্বার্থ ও বাস্তব পরিস্থিতি’ও বিবেচনায় নেবেন তাঁরা।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জোট বা আসনকেন্দ্রিক কোনো আলোচনা এখন পর্যন্ত আমরা করি নাই। আমরা এখন আসলে নির্বাচনের প্রস্তুতির চেয়েও জুলাই সনদ কার্যকর করার বিষয়টাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা এবং বাংলাদেশ জাসদ মিলে বৃহত্তর বাম জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাসদ মার্ক্সবাদী সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা সব সময় বামপন্থী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চাই এবং তা করছিও।’ এর অংশ হিসেবে বাম দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানান মাসুদ রানা। তবে বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট করার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের একক ঘোষণায়’ নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব নয়। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করে বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হবে এবং সুষ্ঠু হবে।’
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা সরকারের অঙ্গীকার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’র সঙ্গে টক শোতে এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকার অনুযায়ী সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারির পর এ সরকারে থাকার ইচ্ছা (উপদেষ্টাদের) কারও মধ্যে তিনি দেখেননি।
মঙ্গলবার ঢাকায় দলের যুব সংগঠনের সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সংস্কার ও জুলাই (জাতীয়) সনদ না হওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।
নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সংশয়ের দোলাচলের মধ্যে তাঁর এ কথা নানা গুঞ্জনের জন্ম দেয়। ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দুই উপদেষ্টার সুস্পষ্ট বক্তব্য অন্তত এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করল।

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ভোটের তফসিল দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরে বইতে শুরু করায় দলগুলো এখন সম্ভাব্য জোটের জন্য আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের দলের একজন নেতা ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না’ এমন আওয়াজ তুললেও সরকারের দুজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা ভোট না হওয়ার বিষয়টি জোরের সঙ্গে নাকচ করে দিয়েছেন।
সংস্কার, জুলাই সনদ তৈরি, বাস্তবায়নসহ নানা বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনার পাশাপাশি প্রায় সব রাজনৈতিক দল নেপথ্যে ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ভোটের সময় ক্রমেই এগিয়ে আসায় তারা নিজ নিজ কৌশল নির্ধারণে সক্রিয়। পাশাপাশি নেতারা ব্যস্ত নিজ নিজ মনোনয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টায়। এবার জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নামে দুটি আলাদা কক্ষ প্রবর্তনের সম্ভাবনা জোরালো। অন্তত উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে ভোট হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক মতৈক্য হয়েছে। এমন নতুন রাজনৈতিক আবহে দলগুলোকে এবারকার নির্বাচনী কৌশলও একটু রয়েসয়ে ঠিক করতে হচ্ছে।
ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ দল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জোট ভিত্তিতে ভোটে যাওয়ার লক্ষ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। মাঠে সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী তৎপরতার ওপরই নজর সবার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনীর প্রস্তাবে জোটের ভোটেও দলীয় প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় লড়তে হবে, এমন বিধান যুক্ত করেছে। এ বিষয়টি জোটভিত্তিক কৌশল প্রণয়নের ওপর প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনের সময় অথবা আসনভেদে বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ কী কৌশল নেবে, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি আসন সমঝোতার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে একসঙ্গে নির্বাচনের কথা বলছে। ইসলামপন্থী অন্য দলগুলোকে নিয়ে একই চিন্তা করছে জামায়াতে ইসলামী। আর তরুণদের দল এনসিপির বড় একটি অংশ বিএনপি ও জামায়াত—উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে।
সম্ভাব্য জোটের শরিকেরা সংসদে নিজেদের অবস্থান যতটা সম্ভব শক্ত করতে সক্রিয় থাকবে। এ বাস্তবতায় রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ভোটের জোটগুলো স্পষ্ট রূপ পেতে পারে। বড় দলের কাছে সম্ভাব্য শরিকদের অনেকের দাবি, শুধু আসন ছাড়লেই হবে না, বিদ্রোহী প্রার্থীরা যাতে বাগড়া দিতে না পারেন, সেই নিশ্চয়তাও চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছে, তাতেই আগামী দিনের নির্বাচনী রূপরেখা আছে। বিএনপি সমমনাদের সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করবে।’
বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা ৪০ থেকে ৫০টি আসনে ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে এরই মধ্যে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এনডিএম, জন অধিকার, পিপলস পার্টি, ন্যাপ ভাসানী ও আমজনতা দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী অবশ্য আজকের পত্রিকা'কে গতকাল বলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তারপর নির্বাচনী জোট নিয়ে আলোচনা করব।’
বিএনপির ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, তারা জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের কথা ভাবছে না। এ বিষয়ে বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘যারা একাত্তর মানে না, স্বাধীনতাবিরোধী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মানে না, তাদের সঙ্গে বিএনপি জোটবদ্ধ হবে না, একসঙ্গে চলবে না।’
তবে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিএনপি ভোটের বিষয়ে এনসিপির সঙ্গে কথা বলবে, এমন সম্ভাবনার কথা বলছেন দুই দলের নেতারাই।
এবারের ভোটে নিজেদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ঘরানার ইসলামপন্থী দলগুলোর ভোট ‘এক বাক্সে’ আনার কথা বলে আসছে। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম মিলে মোর্চা গঠনের চেষ্টা চলছে। তবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়ায় মোর্চা গঠনে দেরি হচ্ছে।
জামায়াত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বললেও সবার আগে প্রায় ২৯০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে ১০০টির বেশি আসন শরিকদের ছাড় দিতে রাজি তারা। তফসিল ঘোষণার পরেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কৌশল নিয়েছে দলটি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘ভোট তো আগে হতে হবে। ভোটের যদি পরিবেশ তৈরি হয়, তখন আমরা জোটের প্রক্রিয়া শুরু করব।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, জোট গঠনের প্রাথমিক আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে এনসিপি নেতাদের দাবি, জোট গঠনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা তাঁরা এখনো শুরু করেননি। তবে কর্মসূচিগত মিলের জায়গা থেকে জোট হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে সে সম্ভাবনা নাকচ করছেন না তাঁরা। ‘দেশের স্বার্থ ও বাস্তব পরিস্থিতি’ও বিবেচনায় নেবেন তাঁরা।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জোট বা আসনকেন্দ্রিক কোনো আলোচনা এখন পর্যন্ত আমরা করি নাই। আমরা এখন আসলে নির্বাচনের প্রস্তুতির চেয়েও জুলাই সনদ কার্যকর করার বিষয়টাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা এবং বাংলাদেশ জাসদ মিলে বৃহত্তর বাম জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাসদ মার্ক্সবাদী সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা সব সময় বামপন্থী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চাই এবং তা করছিও।’ এর অংশ হিসেবে বাম দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানান মাসুদ রানা। তবে বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট করার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের একক ঘোষণায়’ নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব নয়। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করে বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হবে এবং সুষ্ঠু হবে।’
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা সরকারের অঙ্গীকার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’র সঙ্গে টক শোতে এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকার অনুযায়ী সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারির পর এ সরকারে থাকার ইচ্ছা (উপদেষ্টাদের) কারও মধ্যে তিনি দেখেননি।
মঙ্গলবার ঢাকায় দলের যুব সংগঠনের সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সংস্কার ও জুলাই (জাতীয়) সনদ না হওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।
নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সংশয়ের দোলাচলের মধ্যে তাঁর এ কথা নানা গুঞ্জনের জন্ম দেয়। ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দুই উপদেষ্টার সুস্পষ্ট বক্তব্য অন্তত এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করল।
রেজা করিম, তানিম আহমেদ ও সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ভোটের তফসিল দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরে বইতে শুরু করায় দলগুলো এখন সম্ভাব্য জোটের জন্য আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের দলের একজন নেতা ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না’ এমন আওয়াজ তুললেও সরকারের দুজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা ভোট না হওয়ার বিষয়টি জোরের সঙ্গে নাকচ করে দিয়েছেন।
সংস্কার, জুলাই সনদ তৈরি, বাস্তবায়নসহ নানা বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনার পাশাপাশি প্রায় সব রাজনৈতিক দল নেপথ্যে ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ভোটের সময় ক্রমেই এগিয়ে আসায় তারা নিজ নিজ কৌশল নির্ধারণে সক্রিয়। পাশাপাশি নেতারা ব্যস্ত নিজ নিজ মনোনয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টায়। এবার জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নামে দুটি আলাদা কক্ষ প্রবর্তনের সম্ভাবনা জোরালো। অন্তত উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে ভোট হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক মতৈক্য হয়েছে। এমন নতুন রাজনৈতিক আবহে দলগুলোকে এবারকার নির্বাচনী কৌশলও একটু রয়েসয়ে ঠিক করতে হচ্ছে।
ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ দল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জোট ভিত্তিতে ভোটে যাওয়ার লক্ষ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। মাঠে সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী তৎপরতার ওপরই নজর সবার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনীর প্রস্তাবে জোটের ভোটেও দলীয় প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় লড়তে হবে, এমন বিধান যুক্ত করেছে। এ বিষয়টি জোটভিত্তিক কৌশল প্রণয়নের ওপর প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনের সময় অথবা আসনভেদে বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ কী কৌশল নেবে, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি আসন সমঝোতার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে একসঙ্গে নির্বাচনের কথা বলছে। ইসলামপন্থী অন্য দলগুলোকে নিয়ে একই চিন্তা করছে জামায়াতে ইসলামী। আর তরুণদের দল এনসিপির বড় একটি অংশ বিএনপি ও জামায়াত—উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে।
সম্ভাব্য জোটের শরিকেরা সংসদে নিজেদের অবস্থান যতটা সম্ভব শক্ত করতে সক্রিয় থাকবে। এ বাস্তবতায় রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ভোটের জোটগুলো স্পষ্ট রূপ পেতে পারে। বড় দলের কাছে সম্ভাব্য শরিকদের অনেকের দাবি, শুধু আসন ছাড়লেই হবে না, বিদ্রোহী প্রার্থীরা যাতে বাগড়া দিতে না পারেন, সেই নিশ্চয়তাও চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছে, তাতেই আগামী দিনের নির্বাচনী রূপরেখা আছে। বিএনপি সমমনাদের সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করবে।’
বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা ৪০ থেকে ৫০টি আসনে ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে এরই মধ্যে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এনডিএম, জন অধিকার, পিপলস পার্টি, ন্যাপ ভাসানী ও আমজনতা দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী অবশ্য আজকের পত্রিকা'কে গতকাল বলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তারপর নির্বাচনী জোট নিয়ে আলোচনা করব।’
বিএনপির ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, তারা জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের কথা ভাবছে না। এ বিষয়ে বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘যারা একাত্তর মানে না, স্বাধীনতাবিরোধী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মানে না, তাদের সঙ্গে বিএনপি জোটবদ্ধ হবে না, একসঙ্গে চলবে না।’
তবে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিএনপি ভোটের বিষয়ে এনসিপির সঙ্গে কথা বলবে, এমন সম্ভাবনার কথা বলছেন দুই দলের নেতারাই।
এবারের ভোটে নিজেদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ঘরানার ইসলামপন্থী দলগুলোর ভোট ‘এক বাক্সে’ আনার কথা বলে আসছে। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম মিলে মোর্চা গঠনের চেষ্টা চলছে। তবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়ায় মোর্চা গঠনে দেরি হচ্ছে।
জামায়াত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বললেও সবার আগে প্রায় ২৯০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে ১০০টির বেশি আসন শরিকদের ছাড় দিতে রাজি তারা। তফসিল ঘোষণার পরেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কৌশল নিয়েছে দলটি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘ভোট তো আগে হতে হবে। ভোটের যদি পরিবেশ তৈরি হয়, তখন আমরা জোটের প্রক্রিয়া শুরু করব।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, জোট গঠনের প্রাথমিক আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে এনসিপি নেতাদের দাবি, জোট গঠনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা তাঁরা এখনো শুরু করেননি। তবে কর্মসূচিগত মিলের জায়গা থেকে জোট হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে সে সম্ভাবনা নাকচ করছেন না তাঁরা। ‘দেশের স্বার্থ ও বাস্তব পরিস্থিতি’ও বিবেচনায় নেবেন তাঁরা।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জোট বা আসনকেন্দ্রিক কোনো আলোচনা এখন পর্যন্ত আমরা করি নাই। আমরা এখন আসলে নির্বাচনের প্রস্তুতির চেয়েও জুলাই সনদ কার্যকর করার বিষয়টাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা এবং বাংলাদেশ জাসদ মিলে বৃহত্তর বাম জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাসদ মার্ক্সবাদী সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা সব সময় বামপন্থী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চাই এবং তা করছিও।’ এর অংশ হিসেবে বাম দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানান মাসুদ রানা। তবে বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট করার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের একক ঘোষণায়’ নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব নয়। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করে বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হবে এবং সুষ্ঠু হবে।’
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা সরকারের অঙ্গীকার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’র সঙ্গে টক শোতে এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকার অনুযায়ী সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারির পর এ সরকারে থাকার ইচ্ছা (উপদেষ্টাদের) কারও মধ্যে তিনি দেখেননি।
মঙ্গলবার ঢাকায় দলের যুব সংগঠনের সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সংস্কার ও জুলাই (জাতীয়) সনদ না হওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।
নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সংশয়ের দোলাচলের মধ্যে তাঁর এ কথা নানা গুঞ্জনের জন্ম দেয়। ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দুই উপদেষ্টার সুস্পষ্ট বক্তব্য অন্তত এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করল।

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ভোটের তফসিল দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরে বইতে শুরু করায় দলগুলো এখন সম্ভাব্য জোটের জন্য আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের দলের একজন নেতা ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না’ এমন আওয়াজ তুললেও সরকারের দুজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা ভোট না হওয়ার বিষয়টি জোরের সঙ্গে নাকচ করে দিয়েছেন।
সংস্কার, জুলাই সনদ তৈরি, বাস্তবায়নসহ নানা বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনার পাশাপাশি প্রায় সব রাজনৈতিক দল নেপথ্যে ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ভোটের সময় ক্রমেই এগিয়ে আসায় তারা নিজ নিজ কৌশল নির্ধারণে সক্রিয়। পাশাপাশি নেতারা ব্যস্ত নিজ নিজ মনোনয়ন নিশ্চিত করার চেষ্টায়। এবার জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নামে দুটি আলাদা কক্ষ প্রবর্তনের সম্ভাবনা জোরালো। অন্তত উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে ভোট হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপক মতৈক্য হয়েছে। এমন নতুন রাজনৈতিক আবহে দলগুলোকে এবারকার নির্বাচনী কৌশলও একটু রয়েসয়ে ঠিক করতে হচ্ছে।
ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ দল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জোট ভিত্তিতে ভোটে যাওয়ার লক্ষ্যে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে। মাঠে সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী তৎপরতার ওপরই নজর সবার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনীর প্রস্তাবে জোটের ভোটেও দলীয় প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় লড়তে হবে, এমন বিধান যুক্ত করেছে। এ বিষয়টি জোটভিত্তিক কৌশল প্রণয়নের ওপর প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনের সময় অথবা আসনভেদে বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ কী কৌশল নেবে, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি আসন সমঝোতার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে একসঙ্গে নির্বাচনের কথা বলছে। ইসলামপন্থী অন্য দলগুলোকে নিয়ে একই চিন্তা করছে জামায়াতে ইসলামী। আর তরুণদের দল এনসিপির বড় একটি অংশ বিএনপি ও জামায়াত—উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে।
সম্ভাব্য জোটের শরিকেরা সংসদে নিজেদের অবস্থান যতটা সম্ভব শক্ত করতে সক্রিয় থাকবে। এ বাস্তবতায় রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ভোটের জোটগুলো স্পষ্ট রূপ পেতে পারে। বড় দলের কাছে সম্ভাব্য শরিকদের অনেকের দাবি, শুধু আসন ছাড়লেই হবে না, বিদ্রোহী প্রার্থীরা যাতে বাগড়া দিতে না পারেন, সেই নিশ্চয়তাও চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফা দেওয়া হয়েছে, তাতেই আগামী দিনের নির্বাচনী রূপরেখা আছে। বিএনপি সমমনাদের সঙ্গে নিয়েই নির্বাচন করবে।’
বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা ৪০ থেকে ৫০টি আসনে ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে এরই মধ্যে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এনডিএম, জন অধিকার, পিপলস পার্টি, ন্যাপ ভাসানী ও আমজনতা দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী অবশ্য আজকের পত্রিকা'কে গতকাল বলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তারপর নির্বাচনী জোট নিয়ে আলোচনা করব।’
বিএনপির ভেতরকার তথ্য অনুযায়ী, তারা জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের কথা ভাবছে না। এ বিষয়ে বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘যারা একাত্তর মানে না, স্বাধীনতাবিরোধী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মানে না, তাদের সঙ্গে বিএনপি জোটবদ্ধ হবে না, একসঙ্গে চলবে না।’
তবে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিএনপি ভোটের বিষয়ে এনসিপির সঙ্গে কথা বলবে, এমন সম্ভাবনার কথা বলছেন দুই দলের নেতারাই।
এবারের ভোটে নিজেদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ঘরানার ইসলামপন্থী দলগুলোর ভোট ‘এক বাক্সে’ আনার কথা বলে আসছে। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম মিলে মোর্চা গঠনের চেষ্টা চলছে। তবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়ায় মোর্চা গঠনে দেরি হচ্ছে।
জামায়াত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বললেও সবার আগে প্রায় ২৯০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে ১০০টির বেশি আসন শরিকদের ছাড় দিতে রাজি তারা। তফসিল ঘোষণার পরেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কৌশল নিয়েছে দলটি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘ভোট তো আগে হতে হবে। ভোটের যদি পরিবেশ তৈরি হয়, তখন আমরা জোটের প্রক্রিয়া শুরু করব।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, জোট গঠনের প্রাথমিক আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে এনসিপি নেতাদের দাবি, জোট গঠনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা তাঁরা এখনো শুরু করেননি। তবে কর্মসূচিগত মিলের জায়গা থেকে জোট হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে সে সম্ভাবনা নাকচ করছেন না তাঁরা। ‘দেশের স্বার্থ ও বাস্তব পরিস্থিতি’ও বিবেচনায় নেবেন তাঁরা।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জোট বা আসনকেন্দ্রিক কোনো আলোচনা এখন পর্যন্ত আমরা করি নাই। আমরা এখন আসলে নির্বাচনের প্রস্তুতির চেয়েও জুলাই সনদ কার্যকর করার বিষয়টাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা এবং বাংলাদেশ জাসদ মিলে বৃহত্তর বাম জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাসদ মার্ক্সবাদী সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা সব সময় বামপন্থী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চাই এবং তা করছিও।’ এর অংশ হিসেবে বাম দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানান মাসুদ রানা। তবে বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট করার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল বুধবার বলেছেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের একক ঘোষণায়’ নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব নয়। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করে বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হবে এবং সুষ্ঠু হবে।’
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা সরকারের অঙ্গীকার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’র সঙ্গে টক শোতে এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকার অনুযায়ী সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারির পর এ সরকারে থাকার ইচ্ছা (উপদেষ্টাদের) কারও মধ্যে তিনি দেখেননি।
মঙ্গলবার ঢাকায় দলের যুব সংগঠনের সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সংস্কার ও জুলাই (জাতীয়) সনদ না হওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।
নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সংশয়ের দোলাচলের মধ্যে তাঁর এ কথা নানা গুঞ্জনের জন্ম দেয়। ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দুই উপদেষ্টার সুস্পষ্ট বক্তব্য অন্তত এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করল।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৪ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৭ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ভোটের তফসিল দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরে বইতে শুরু করায় দলগুলো এখন সম্ভাব্য জোটের জন্য আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে।
১৪ আগস্ট ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৪ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ভোটের তফসিল দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরে বইতে শুরু করায় দলগুলো এখন সম্ভাব্য জোটের জন্য আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে।
১৪ আগস্ট ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৪ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ভোটের তফসিল দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরে বইতে শুরু করায় দলগুলো এখন সম্ভাব্য জোটের জন্য আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে।
১৪ আগস্ট ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শুরুতে ভোটের তফসিল দেওয়ার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী হাওয়া জোরেশোরে বইতে শুরু করায় দলগুলো এখন সম্ভাব্য জোটের জন্য আসন ভাগাভাগির আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে।
১৪ আগস্ট ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৪ ঘণ্টা আগে