সুলতান মাহমুদ

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছিলেন নগর বাউল জেমস এবং মাইলসের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে পৃথক দুটি মামলায় পৃথক আবেদন করে বাদী মামলা প্রত্যাহার করতে চান। বিচারক শুনানি শেষে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বাংলালিংকের চার কর্মচারীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
জেমস এই মামলা করেন ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর। প্রায় একই সময় অপর দুজন পৃথক একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেমসের অসংখ্য জনপ্রিয় গান আছে। কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই জেমসের গান বাংলালিংক তাদের ওয়েলকাম টিউন, বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করে আসছে। বাংলালিংকের এই কর্মকাণ্ড কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের শামিল। জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলসের কম্পোজার, গায়ক হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদও একই অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওপরের দৃষ্টান্ত থেকে স্পষ্ট যে বাদী চাইলে মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। তবে মামলা ভেদে এই প্রক্রিয়া আলাদা।
ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার
মামলা প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়া। একটি মামলা থানা বা আদালতে করার পর পরবর্তী সময় সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া যায়। একটি মামলা কখন ও কীভাবে প্রত্যাহার করা যায় সে সম্পর্কে জানতে হলে আগে জানতে হবে বিভিন্ন মামলার শ্রেণি সম্পর্কে।
ফৌজদারি মামলা সাধারণত দুই ধরনের: এক. কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার (সিআর)। দুই. জেনারেল রেজিস্ট্রার (জিআর) মামলা
জিআর মামলা সাধারণত থানায় করা হয়। আর সিআর মামলা করতে হয় ফৌজদারি আদালতে।
জিআর মামলায় বাদীর পক্ষে রাষ্ট্র নিজেই আইনজীবী নিযুক্ত করে, যাদের বলা হয় হয় পাবলিক প্রসিকিউটর তথা রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি)। আর সিআর মামলাগুলোয় নালিশকারীকেই ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে হয়।
কোনো মামলায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাব বা পক্ষদের মধ্যে সমঝোতার কারণে বাদী মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধিতে দুই ধরনের বিধান রাখা আছে। যেমন:
যেসব জিআর মামলা রাষ্ট্র নিজেই পক্ষ (অনেকে বলেন সরকার-বাদী মামলা), সেসব মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা যায়।
আর সিআর মামলায় নালিশকারী বা তাঁর পক্ষ থেকে নিযুক্ত আইনজীবী আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারেন ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারার অধীনে।
সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা মামলায় বিচারাধীন এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে মোকদ্দমা পরিচালনা থেকে সরে যেতে পারেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি)। তবে এর জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
অভিযোগ গঠনের আগে সরে গেলে ওই এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে আসামি অব্যাহতি পাবেন। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ সরে গেলে অথবা এই আইন অনুসারে কোনো অভিযোগ গঠন করার প্রয়োজন না হলে, ওই এক বা একাধিক অপরাধ থেকে আসামিকে খালাস দিতে হবে।
মামলা পরিচালনা থেকে সরে যাওয়ার উপযুক্ত কারণ সম্পর্কে পিপির বক্তব্যে আদালত সন্তুষ্ট হতে হবে। কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার অধীনে মামলা প্রত্যাহারে বেশ কিছু বিষয় আদালতের পর্যবেক্ষণে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। যেমন:
প্রথমত, মামলা প্রত্যাহারের আবেদন কেবল পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) তরফ থেকেই হতে হবে। এজাহারকারী কিংবা আসামির আবেদন কিংবা সরকারের কোনো আদেশের বলে মামলা প্রত্যাহার করা যাবে না।
দ্বিতীয়ত, মামলা প্রত্যাহারের যুক্তিযুক্ত কারণ কৌঁসুলির পক্ষ থেকে আদালতের সামনে ব্যাখ্যা করতে হবে। কেবল সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে আদালত মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেবেন না। মামলা প্রত্যাহার সম্পর্কে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সুতরাং, আদালত যদি মামলা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হন, সে ক্ষেত্রে প্রত্যাহারের অনুমতি না দিয়ে মামলা এগিয়ে নেওয়ার আদেশ দেবেন। মামলায় ভুক্তভোগী বা এজাহারকারী যদি মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষ অহেতুক তাঁদের মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে দায়রা জজ আদালত কিংবা হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন আবেদন করতে পারবেন।
নালিশকারীর পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো মামলার চূড়ান্ত আদেশ হওয়ার আগে পর্যন্ত বিচারপ্রার্থী যদি ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তোষ অর্জন করতে পারেন যে তাঁকে নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়ার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে সেই নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দেবেন এবং আসামিকে খালাস দেবেন।
উল্লেখ্য, এই ধারাটি শুধু নিষ্পত্তিযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে, যা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। সে জন্য অভিযোগকারী এই ধারা অনুসারে নালিশ প্রত্যাহার করতে পারেন।
দেওয়ানি মামলা প্রত্যাহার
দেওয়ানি কার্যবিধির ২৩ আদেশের ১ নিয়ম অনুসারে, দেওয়ানি মামলা হওয়ার পর যেকোনো সময়ে বাদী সব বা যেকোনো বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে বা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করতে পারেন।
কোনো পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে মামলাটি ব্যর্থ হতে বাধ্য; মামলার বিষয়বস্তুর কারণে কিংবা কোনো দাবির অংশের জন্য নতুনভাবে মামলা করার জন্য বাদীকে অনুমতি দেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে—মর্মে আদালত সম্মত হলে উপযুক্ত শর্তে বাদীকে মামলা প্রত্যাহার অথবা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করার অনুমতি দিতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে ওই মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বা ওই রকম আংশিক দাবি সম্পর্কে আবার মামলা করার অনুমতি মঞ্জুর করতে পারেন আদালত।
আদালতের অনুমতি ছাড়া বাদী মামলা প্রত্যাহার করলে অথবা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করলে, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে সেই বাদী মামলার খরচে জন্য দায়ী থাকবেন। এ ছাড়া ওই বিষয়বস্তু বা আংশিক দাবি সম্পর্কে নতুনভাবে কোনো মামলা করার অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন।
এই নিয়মের কোনো বিধান বলে আদালত কয়েকজন বাদীর মধ্যে একজনকে অন্যান্য বাদীর সম্মতি ছাড়া মামলা প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে পারেন না।
প্রত্যাহারের পর একই বিষয়ে মামলা করা যায় কি
নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা প্রত্যাহার করা হলে একই বিষয়ে আবার মামলা করা যায় না। দেওয়ানি মামলার ‘রেস-জুডিকাটা’ বা দোবারানীতি এবং ফৌজদারি মামলার দোবারা সাজা বা ‘ডাবল জিওপারডি’ নীতির আলোকে এ ধরনের মামলা করায় বাধা দেওয়া হয়। তবে উচ্চতর আদালতে রিভিশন আবেদন করে আদালতকে যদি সন্তুষ্ট করা যায়, সে ক্ষেত্রে পুনর্বিচার কিংবা পুনর্তদন্তের নির্দেশ ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত দিতে পারেন। হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতার অধীনে এ ধরনের আদেশ দেওয়ার সুযোগ আছে।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছিলেন নগর বাউল জেমস এবং মাইলসের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে পৃথক দুটি মামলায় পৃথক আবেদন করে বাদী মামলা প্রত্যাহার করতে চান। বিচারক শুনানি শেষে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বাংলালিংকের চার কর্মচারীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
জেমস এই মামলা করেন ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর। প্রায় একই সময় অপর দুজন পৃথক একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেমসের অসংখ্য জনপ্রিয় গান আছে। কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই জেমসের গান বাংলালিংক তাদের ওয়েলকাম টিউন, বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করে আসছে। বাংলালিংকের এই কর্মকাণ্ড কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের শামিল। জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলসের কম্পোজার, গায়ক হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদও একই অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওপরের দৃষ্টান্ত থেকে স্পষ্ট যে বাদী চাইলে মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। তবে মামলা ভেদে এই প্রক্রিয়া আলাদা।
ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার
মামলা প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়া। একটি মামলা থানা বা আদালতে করার পর পরবর্তী সময় সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া যায়। একটি মামলা কখন ও কীভাবে প্রত্যাহার করা যায় সে সম্পর্কে জানতে হলে আগে জানতে হবে বিভিন্ন মামলার শ্রেণি সম্পর্কে।
ফৌজদারি মামলা সাধারণত দুই ধরনের: এক. কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার (সিআর)। দুই. জেনারেল রেজিস্ট্রার (জিআর) মামলা
জিআর মামলা সাধারণত থানায় করা হয়। আর সিআর মামলা করতে হয় ফৌজদারি আদালতে।
জিআর মামলায় বাদীর পক্ষে রাষ্ট্র নিজেই আইনজীবী নিযুক্ত করে, যাদের বলা হয় হয় পাবলিক প্রসিকিউটর তথা রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি)। আর সিআর মামলাগুলোয় নালিশকারীকেই ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে হয়।
কোনো মামলায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাব বা পক্ষদের মধ্যে সমঝোতার কারণে বাদী মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধিতে দুই ধরনের বিধান রাখা আছে। যেমন:
যেসব জিআর মামলা রাষ্ট্র নিজেই পক্ষ (অনেকে বলেন সরকার-বাদী মামলা), সেসব মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা যায়।
আর সিআর মামলায় নালিশকারী বা তাঁর পক্ষ থেকে নিযুক্ত আইনজীবী আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারেন ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারার অধীনে।
সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা মামলায় বিচারাধীন এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে মোকদ্দমা পরিচালনা থেকে সরে যেতে পারেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি)। তবে এর জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
অভিযোগ গঠনের আগে সরে গেলে ওই এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে আসামি অব্যাহতি পাবেন। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ সরে গেলে অথবা এই আইন অনুসারে কোনো অভিযোগ গঠন করার প্রয়োজন না হলে, ওই এক বা একাধিক অপরাধ থেকে আসামিকে খালাস দিতে হবে।
মামলা পরিচালনা থেকে সরে যাওয়ার উপযুক্ত কারণ সম্পর্কে পিপির বক্তব্যে আদালত সন্তুষ্ট হতে হবে। কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার অধীনে মামলা প্রত্যাহারে বেশ কিছু বিষয় আদালতের পর্যবেক্ষণে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। যেমন:
প্রথমত, মামলা প্রত্যাহারের আবেদন কেবল পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) তরফ থেকেই হতে হবে। এজাহারকারী কিংবা আসামির আবেদন কিংবা সরকারের কোনো আদেশের বলে মামলা প্রত্যাহার করা যাবে না।
দ্বিতীয়ত, মামলা প্রত্যাহারের যুক্তিযুক্ত কারণ কৌঁসুলির পক্ষ থেকে আদালতের সামনে ব্যাখ্যা করতে হবে। কেবল সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে আদালত মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেবেন না। মামলা প্রত্যাহার সম্পর্কে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সুতরাং, আদালত যদি মামলা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হন, সে ক্ষেত্রে প্রত্যাহারের অনুমতি না দিয়ে মামলা এগিয়ে নেওয়ার আদেশ দেবেন। মামলায় ভুক্তভোগী বা এজাহারকারী যদি মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষ অহেতুক তাঁদের মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে দায়রা জজ আদালত কিংবা হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন আবেদন করতে পারবেন।
নালিশকারীর পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো মামলার চূড়ান্ত আদেশ হওয়ার আগে পর্যন্ত বিচারপ্রার্থী যদি ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তোষ অর্জন করতে পারেন যে তাঁকে নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়ার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে সেই নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দেবেন এবং আসামিকে খালাস দেবেন।
উল্লেখ্য, এই ধারাটি শুধু নিষ্পত্তিযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে, যা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। সে জন্য অভিযোগকারী এই ধারা অনুসারে নালিশ প্রত্যাহার করতে পারেন।
দেওয়ানি মামলা প্রত্যাহার
দেওয়ানি কার্যবিধির ২৩ আদেশের ১ নিয়ম অনুসারে, দেওয়ানি মামলা হওয়ার পর যেকোনো সময়ে বাদী সব বা যেকোনো বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে বা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করতে পারেন।
কোনো পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে মামলাটি ব্যর্থ হতে বাধ্য; মামলার বিষয়বস্তুর কারণে কিংবা কোনো দাবির অংশের জন্য নতুনভাবে মামলা করার জন্য বাদীকে অনুমতি দেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে—মর্মে আদালত সম্মত হলে উপযুক্ত শর্তে বাদীকে মামলা প্রত্যাহার অথবা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করার অনুমতি দিতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে ওই মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বা ওই রকম আংশিক দাবি সম্পর্কে আবার মামলা করার অনুমতি মঞ্জুর করতে পারেন আদালত।
আদালতের অনুমতি ছাড়া বাদী মামলা প্রত্যাহার করলে অথবা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করলে, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে সেই বাদী মামলার খরচে জন্য দায়ী থাকবেন। এ ছাড়া ওই বিষয়বস্তু বা আংশিক দাবি সম্পর্কে নতুনভাবে কোনো মামলা করার অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন।
এই নিয়মের কোনো বিধান বলে আদালত কয়েকজন বাদীর মধ্যে একজনকে অন্যান্য বাদীর সম্মতি ছাড়া মামলা প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে পারেন না।
প্রত্যাহারের পর একই বিষয়ে মামলা করা যায় কি
নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা প্রত্যাহার করা হলে একই বিষয়ে আবার মামলা করা যায় না। দেওয়ানি মামলার ‘রেস-জুডিকাটা’ বা দোবারানীতি এবং ফৌজদারি মামলার দোবারা সাজা বা ‘ডাবল জিওপারডি’ নীতির আলোকে এ ধরনের মামলা করায় বাধা দেওয়া হয়। তবে উচ্চতর আদালতে রিভিশন আবেদন করে আদালতকে যদি সন্তুষ্ট করা যায়, সে ক্ষেত্রে পুনর্বিচার কিংবা পুনর্তদন্তের নির্দেশ ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত দিতে পারেন। হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতার অধীনে এ ধরনের আদেশ দেওয়ার সুযোগ আছে।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
সুলতান মাহমুদ

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছিলেন নগর বাউল জেমস এবং মাইলসের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে পৃথক দুটি মামলায় পৃথক আবেদন করে বাদী মামলা প্রত্যাহার করতে চান। বিচারক শুনানি শেষে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বাংলালিংকের চার কর্মচারীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
জেমস এই মামলা করেন ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর। প্রায় একই সময় অপর দুজন পৃথক একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেমসের অসংখ্য জনপ্রিয় গান আছে। কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই জেমসের গান বাংলালিংক তাদের ওয়েলকাম টিউন, বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করে আসছে। বাংলালিংকের এই কর্মকাণ্ড কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের শামিল। জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলসের কম্পোজার, গায়ক হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদও একই অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওপরের দৃষ্টান্ত থেকে স্পষ্ট যে বাদী চাইলে মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। তবে মামলা ভেদে এই প্রক্রিয়া আলাদা।
ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার
মামলা প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়া। একটি মামলা থানা বা আদালতে করার পর পরবর্তী সময় সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া যায়। একটি মামলা কখন ও কীভাবে প্রত্যাহার করা যায় সে সম্পর্কে জানতে হলে আগে জানতে হবে বিভিন্ন মামলার শ্রেণি সম্পর্কে।
ফৌজদারি মামলা সাধারণত দুই ধরনের: এক. কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার (সিআর)। দুই. জেনারেল রেজিস্ট্রার (জিআর) মামলা
জিআর মামলা সাধারণত থানায় করা হয়। আর সিআর মামলা করতে হয় ফৌজদারি আদালতে।
জিআর মামলায় বাদীর পক্ষে রাষ্ট্র নিজেই আইনজীবী নিযুক্ত করে, যাদের বলা হয় হয় পাবলিক প্রসিকিউটর তথা রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি)। আর সিআর মামলাগুলোয় নালিশকারীকেই ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে হয়।
কোনো মামলায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাব বা পক্ষদের মধ্যে সমঝোতার কারণে বাদী মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধিতে দুই ধরনের বিধান রাখা আছে। যেমন:
যেসব জিআর মামলা রাষ্ট্র নিজেই পক্ষ (অনেকে বলেন সরকার-বাদী মামলা), সেসব মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা যায়।
আর সিআর মামলায় নালিশকারী বা তাঁর পক্ষ থেকে নিযুক্ত আইনজীবী আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারেন ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারার অধীনে।
সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা মামলায় বিচারাধীন এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে মোকদ্দমা পরিচালনা থেকে সরে যেতে পারেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি)। তবে এর জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
অভিযোগ গঠনের আগে সরে গেলে ওই এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে আসামি অব্যাহতি পাবেন। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ সরে গেলে অথবা এই আইন অনুসারে কোনো অভিযোগ গঠন করার প্রয়োজন না হলে, ওই এক বা একাধিক অপরাধ থেকে আসামিকে খালাস দিতে হবে।
মামলা পরিচালনা থেকে সরে যাওয়ার উপযুক্ত কারণ সম্পর্কে পিপির বক্তব্যে আদালত সন্তুষ্ট হতে হবে। কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার অধীনে মামলা প্রত্যাহারে বেশ কিছু বিষয় আদালতের পর্যবেক্ষণে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। যেমন:
প্রথমত, মামলা প্রত্যাহারের আবেদন কেবল পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) তরফ থেকেই হতে হবে। এজাহারকারী কিংবা আসামির আবেদন কিংবা সরকারের কোনো আদেশের বলে মামলা প্রত্যাহার করা যাবে না।
দ্বিতীয়ত, মামলা প্রত্যাহারের যুক্তিযুক্ত কারণ কৌঁসুলির পক্ষ থেকে আদালতের সামনে ব্যাখ্যা করতে হবে। কেবল সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে আদালত মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেবেন না। মামলা প্রত্যাহার সম্পর্কে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সুতরাং, আদালত যদি মামলা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হন, সে ক্ষেত্রে প্রত্যাহারের অনুমতি না দিয়ে মামলা এগিয়ে নেওয়ার আদেশ দেবেন। মামলায় ভুক্তভোগী বা এজাহারকারী যদি মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষ অহেতুক তাঁদের মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে দায়রা জজ আদালত কিংবা হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন আবেদন করতে পারবেন।
নালিশকারীর পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো মামলার চূড়ান্ত আদেশ হওয়ার আগে পর্যন্ত বিচারপ্রার্থী যদি ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তোষ অর্জন করতে পারেন যে তাঁকে নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়ার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে সেই নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দেবেন এবং আসামিকে খালাস দেবেন।
উল্লেখ্য, এই ধারাটি শুধু নিষ্পত্তিযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে, যা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। সে জন্য অভিযোগকারী এই ধারা অনুসারে নালিশ প্রত্যাহার করতে পারেন।
দেওয়ানি মামলা প্রত্যাহার
দেওয়ানি কার্যবিধির ২৩ আদেশের ১ নিয়ম অনুসারে, দেওয়ানি মামলা হওয়ার পর যেকোনো সময়ে বাদী সব বা যেকোনো বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে বা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করতে পারেন।
কোনো পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে মামলাটি ব্যর্থ হতে বাধ্য; মামলার বিষয়বস্তুর কারণে কিংবা কোনো দাবির অংশের জন্য নতুনভাবে মামলা করার জন্য বাদীকে অনুমতি দেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে—মর্মে আদালত সম্মত হলে উপযুক্ত শর্তে বাদীকে মামলা প্রত্যাহার অথবা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করার অনুমতি দিতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে ওই মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বা ওই রকম আংশিক দাবি সম্পর্কে আবার মামলা করার অনুমতি মঞ্জুর করতে পারেন আদালত।
আদালতের অনুমতি ছাড়া বাদী মামলা প্রত্যাহার করলে অথবা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করলে, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে সেই বাদী মামলার খরচে জন্য দায়ী থাকবেন। এ ছাড়া ওই বিষয়বস্তু বা আংশিক দাবি সম্পর্কে নতুনভাবে কোনো মামলা করার অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন।
এই নিয়মের কোনো বিধান বলে আদালত কয়েকজন বাদীর মধ্যে একজনকে অন্যান্য বাদীর সম্মতি ছাড়া মামলা প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে পারেন না।
প্রত্যাহারের পর একই বিষয়ে মামলা করা যায় কি
নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা প্রত্যাহার করা হলে একই বিষয়ে আবার মামলা করা যায় না। দেওয়ানি মামলার ‘রেস-জুডিকাটা’ বা দোবারানীতি এবং ফৌজদারি মামলার দোবারা সাজা বা ‘ডাবল জিওপারডি’ নীতির আলোকে এ ধরনের মামলা করায় বাধা দেওয়া হয়। তবে উচ্চতর আদালতে রিভিশন আবেদন করে আদালতকে যদি সন্তুষ্ট করা যায়, সে ক্ষেত্রে পুনর্বিচার কিংবা পুনর্তদন্তের নির্দেশ ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত দিতে পারেন। হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতার অধীনে এ ধরনের আদেশ দেওয়ার সুযোগ আছে।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছিলেন নগর বাউল জেমস এবং মাইলসের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে পৃথক দুটি মামলায় পৃথক আবেদন করে বাদী মামলা প্রত্যাহার করতে চান। বিচারক শুনানি শেষে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বাংলালিংকের চার কর্মচারীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
জেমস এই মামলা করেন ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর। প্রায় একই সময় অপর দুজন পৃথক একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেমসের অসংখ্য জনপ্রিয় গান আছে। কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়েই জেমসের গান বাংলালিংক তাদের ওয়েলকাম টিউন, বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করে আসছে। বাংলালিংকের এই কর্মকাণ্ড কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের শামিল। জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলসের কম্পোজার, গায়ক হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদও একই অভিযোগে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওপরের দৃষ্টান্ত থেকে স্পষ্ট যে বাদী চাইলে মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। তবে মামলা ভেদে এই প্রক্রিয়া আলাদা।
ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার
মামলা প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়া। একটি মামলা থানা বা আদালতে করার পর পরবর্তী সময় সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া যায়। একটি মামলা কখন ও কীভাবে প্রত্যাহার করা যায় সে সম্পর্কে জানতে হলে আগে জানতে হবে বিভিন্ন মামলার শ্রেণি সম্পর্কে।
ফৌজদারি মামলা সাধারণত দুই ধরনের: এক. কমপ্লেইন্ট রেজিস্ট্রার (সিআর)। দুই. জেনারেল রেজিস্ট্রার (জিআর) মামলা
জিআর মামলা সাধারণত থানায় করা হয়। আর সিআর মামলা করতে হয় ফৌজদারি আদালতে।
জিআর মামলায় বাদীর পক্ষে রাষ্ট্র নিজেই আইনজীবী নিযুক্ত করে, যাদের বলা হয় হয় পাবলিক প্রসিকিউটর তথা রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি)। আর সিআর মামলাগুলোয় নালিশকারীকেই ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে হয়।
কোনো মামলায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাব বা পক্ষদের মধ্যে সমঝোতার কারণে বাদী মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধিতে দুই ধরনের বিধান রাখা আছে। যেমন:
যেসব জিআর মামলা রাষ্ট্র নিজেই পক্ষ (অনেকে বলেন সরকার-বাদী মামলা), সেসব মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা যায়।
আর সিআর মামলায় নালিশকারী বা তাঁর পক্ষ থেকে নিযুক্ত আইনজীবী আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারেন ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারার অধীনে।
সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা মামলায় বিচারাধীন এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে মোকদ্দমা পরিচালনা থেকে সরে যেতে পারেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি)। তবে এর জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
অভিযোগ গঠনের আগে সরে গেলে ওই এক বা একাধিক অপরাধ সম্পর্কে আসামি অব্যাহতি পাবেন। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ সরে গেলে অথবা এই আইন অনুসারে কোনো অভিযোগ গঠন করার প্রয়োজন না হলে, ওই এক বা একাধিক অপরাধ থেকে আসামিকে খালাস দিতে হবে।
মামলা পরিচালনা থেকে সরে যাওয়ার উপযুক্ত কারণ সম্পর্কে পিপির বক্তব্যে আদালত সন্তুষ্ট হতে হবে। কার্যবিধির ৪৯৪ ধারার অধীনে মামলা প্রত্যাহারে বেশ কিছু বিষয় আদালতের পর্যবেক্ষণে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। যেমন:
প্রথমত, মামলা প্রত্যাহারের আবেদন কেবল পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) তরফ থেকেই হতে হবে। এজাহারকারী কিংবা আসামির আবেদন কিংবা সরকারের কোনো আদেশের বলে মামলা প্রত্যাহার করা যাবে না।
দ্বিতীয়ত, মামলা প্রত্যাহারের যুক্তিযুক্ত কারণ কৌঁসুলির পক্ষ থেকে আদালতের সামনে ব্যাখ্যা করতে হবে। কেবল সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে আদালত মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেবেন না। মামলা প্রত্যাহার সম্পর্কে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সুতরাং, আদালত যদি মামলা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হন, সে ক্ষেত্রে প্রত্যাহারের অনুমতি না দিয়ে মামলা এগিয়ে নেওয়ার আদেশ দেবেন। মামলায় ভুক্তভোগী বা এজাহারকারী যদি মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষ অহেতুক তাঁদের মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে দায়রা জজ আদালত কিংবা হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন আবেদন করতে পারবেন।
নালিশকারীর পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো মামলার চূড়ান্ত আদেশ হওয়ার আগে পর্যন্ত বিচারপ্রার্থী যদি ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তোষ অর্জন করতে পারেন যে তাঁকে নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়ার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে সেই নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দেবেন এবং আসামিকে খালাস দেবেন।
উল্লেখ্য, এই ধারাটি শুধু নিষ্পত্তিযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে, যা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। সে জন্য অভিযোগকারী এই ধারা অনুসারে নালিশ প্রত্যাহার করতে পারেন।
দেওয়ানি মামলা প্রত্যাহার
দেওয়ানি কার্যবিধির ২৩ আদেশের ১ নিয়ম অনুসারে, দেওয়ানি মামলা হওয়ার পর যেকোনো সময়ে বাদী সব বা যেকোনো বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে বা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করতে পারেন।
কোনো পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে মামলাটি ব্যর্থ হতে বাধ্য; মামলার বিষয়বস্তুর কারণে কিংবা কোনো দাবির অংশের জন্য নতুনভাবে মামলা করার জন্য বাদীকে অনুমতি দেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে—মর্মে আদালত সম্মত হলে উপযুক্ত শর্তে বাদীকে মামলা প্রত্যাহার অথবা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করার অনুমতি দিতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে ওই মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বা ওই রকম আংশিক দাবি সম্পর্কে আবার মামলা করার অনুমতি মঞ্জুর করতে পারেন আদালত।
আদালতের অনুমতি ছাড়া বাদী মামলা প্রত্যাহার করলে অথবা আংশিক দাবি পরিত্যাগ করলে, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে সেই বাদী মামলার খরচে জন্য দায়ী থাকবেন। এ ছাড়া ওই বিষয়বস্তু বা আংশিক দাবি সম্পর্কে নতুনভাবে কোনো মামলা করার অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন।
এই নিয়মের কোনো বিধান বলে আদালত কয়েকজন বাদীর মধ্যে একজনকে অন্যান্য বাদীর সম্মতি ছাড়া মামলা প্রত্যাহার করার অনুমতি দিতে পারেন না।
প্রত্যাহারের পর একই বিষয়ে মামলা করা যায় কি
নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা প্রত্যাহার করা হলে একই বিষয়ে আবার মামলা করা যায় না। দেওয়ানি মামলার ‘রেস-জুডিকাটা’ বা দোবারানীতি এবং ফৌজদারি মামলার দোবারা সাজা বা ‘ডাবল জিওপারডি’ নীতির আলোকে এ ধরনের মামলা করায় বাধা দেওয়া হয়। তবে উচ্চতর আদালতে রিভিশন আবেদন করে আদালতকে যদি সন্তুষ্ট করা যায়, সে ক্ষেত্রে পুনর্বিচার কিংবা পুনর্তদন্তের নির্দেশ ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত দিতে পারেন। হাইকোর্ট বিভাগের সহজাত ক্ষমতার অধীনে এ ধরনের আদেশ দেওয়ার সুযোগ আছে।
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৫ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছিলেন নগর বাউল জেমস এবং মাইলসের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করেন।
০৪ আগস্ট ২০২৩
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছিলেন নগর বাউল জেমস এবং মাইলসের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করেন।
০৪ আগস্ট ২০২৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৫ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছিলেন নগর বাউল জেমস এবং মাইলসের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করেন।
০৪ আগস্ট ২০২৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৫ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছিলেন নগর বাউল জেমস এবং মাইলসের হামিদ আহমেদ ও মানাম আহমেদ। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপস-মীমাংসা হওয়ায় তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করেন।
০৪ আগস্ট ২০২৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৫ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে