কামরুল হাসান

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
এই সড়কগুলোর যেকোনো একটি বাড়ির খোঁজে সকাল থেকে আমরা ২-৩টা করে চক্কর দিয়েছি, কিন্তু খোঁজ মেলেনি। আমরা মানে, আমি আর আমার মোটরবাইকের পেছনে বসা পারভেজ খান, একটি জাতীয় দৈনিকের ক্রাইম রিপোর্টার।
আমাদের কাছে খবর ছিল, নিকুঞ্জ এলাকার কোনো একটি বাড়িতে সে সময়ে ঢাকার নামকরা এক সন্ত্রাসী তাঁর বান্ধবীসহ মারা গেছেন অথবা তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। বান্ধবীর মৃত্যু ঢাকা মেডিকেলে হওয়ায় আমরা তাঁর নাম জানতে পেরেছি, কিন্তু সেই সন্ত্রাসীর নাম বা তিনি কোথায় মারা গেছেন, তা কেউ বলতে পারছে না। প্রথমে আমাদের ধারণা ছিল, সেই নারীর পরিবারকে ধরে সন্ত্রাসীর নাম-ঠিকানা বের করব। কিন্তু হাসপাতালের কাগজে নাম ছাড়া নারীর কোনো ঠিকানা নেই। মারা যাওয়ার পর কেউ তাঁর লাশও নিতে আসেনি। দুদিন ধরে মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। পারভেজ খানের শক্ত সোর্স, সেই সোর্স বলেছেন, নিকুঞ্জের একটি বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটেছে। সেই ভরসায় আমরা গলদঘর্ম হচ্ছি। এটা ১৯৯৯ সালের ১৮ মের ঘটনা।
ঘণ্টা দুয়েক ঘুরে ক্লান্ত হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসার পরই মনে হলো, কৌটায় লুকানো ভ্রমরের খোঁজ পেয়ে গেছি। সেই দোকানি একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ওই বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। কীসের চা খাওয়া—গেলাম সেই বাড়িতে। ৫ নম্বর সড়কের চারতলা বাড়িটির উত্তর দিকে একটি ফ্ল্যাটে সেই ঘটনা। তিনতলায় বাড়িওয়ালা থাকেন, কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না। পাশের এক ভাড়াটে বললেন, দুদিন আগে এক তরুণী এবং এক পুরুষ মদ পান করে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁদের নাম জানেন না। কোন হাসপাতালে গেলেন—প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, যাওয়ার সময় তাঁরা বেবিট্যাক্সিচালককে মহাখালীর মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারের নাম বলেছিলেন।
এই তথ্যটুকু আমাদের খুব কাজে দিল। এলাম মহাখালী বাস টার্মিনালের উল্টো দিকে মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে। ভাড়াটের দেওয়া বিবরণ মিলে গেল। দুদিন আগে নারী-পুরুষ এসেছিলেন। তাঁদের একজনের নাম জেসমিন আক্তার, আরেকজনের ছালাউদ্দিন। হাসপাতালে আসার পর পুরুষটি মারা গেছে, নারীকে তাঁরা ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। ঠিকানা বলতে, খাতায় লেখা আছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল।
ছালাউদ্দিন নামটি আমাদের পরিচিত নয়। এই নামে কোনো সন্ত্রাসী ঢাকায় আছে, মনে করতে পারছি না। তবু মনে হলো, টানেলে আলোর রেখা দেখা দিয়েছে। আমরা একটু একটু করে তথ্যের মালা গাঁথতে শুরু করেছি।
পারভেজ খান আমাকে বললেন, বন্ধু, এবার চলো সায়েদাবাদে, দেখি কে মারা গেছে। এলাম সায়েদাবাদ টার্মিনালে। এখানে সবকিছুই স্বাভাবিক। কিছু হয়েছে, তা কেউ বলছেন না। এক পরিবহননেতাকে আড়ালে ডেকে পারভেজ খান অনেকক্ষণ কথা বললেন, তিনি টার্মিনালের পাশে একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ওই বাড়িতে গেলেই সব জানতে পারবেন। গেলাম ১০/২ নম্বর বাড়িতে। বাড়িটি চারতলা। নিচতলায় এক লোককে পেয়ে জানতে চাইলাম, দোতলায় কে থাকেন। তিনি যাঁর নাম বললেন, তা শুনে আমরা চমকে গেলাম। বললেন, এই বাড়িতে থাকতেন সায়েদাবাদের সে সময়ের ত্রাস নাজিম উদ্দিন নাজিম। দুদিন আগে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী-সন্তান আছে। নাজিমের নাম শুনেই বড় খবরের গন্ধ পেয়ে গেলাম। এতক্ষণের পরিশ্রমের মাশুল মিলল।
দোতলার উঠে দেখি বাড়িতে অনেক লোক, বেশির ভাগের চেহারা সন্ত্রাসীর মতো। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাঁরা আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেন। বসতে দিলেন। আমরা নাজিমের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলাম। তিনি ভেতরে আছেন, অপেক্ষা করতে বললেন।
এবার নাজিমের কথা বলি। তখন এরশাদ ক্ষমতায়। রোজই হরতাল, অবরোধ হচ্ছে। এরশাদের পক্ষে একশ্রেণির পরিবহননেতা হরতাল উপেক্ষা করে রাস্তায় গাড়ি চালাতে চাইলেন। তাঁরা পরিবহনশ্রমিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন, যাতে কেউ বাধা দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এরশাদের পক্ষে সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দুই যুবককে বাছাই করা হলো। একজনের নাম নাজিম উদ্দিন, আরেকজন মুন্না। এসব করে এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে থাকতেই তাঁরা বিপুল অর্থের মালিক হয়ে গেলেন।
এরশাদের পতনের পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁরা পরিবহননেতা বনে গেলেন। বাসের হেলপার থেকে ঢাকা-সিলেট রুটের এনপি পরিবহনের অংশীদার হয়ে গেলেন নাজিম। কিন্তু স্বভাব গেল না। শুরু করলেন চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাস। প্রথমে নাজিম আর মুন্না একসঙ্গে, পরে দুজন প্রতিপক্ষ হয়ে গেলেন। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা দিলেন কয়েকজন পরিবহননেতা। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি আর বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ছিল নিত্যদিনের। পুলিশের তালিকায় দুজনই হয়ে গেলেন সন্ত্রাসী।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর মির্জা আব্বাসের লোকজন সায়েদাবাদে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। প্রথম দফা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গ্রেপ্তার হন নাজিম। কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে এসে সায়েদাবাদের পরিবহন সন্ত্রাসীদের এক জোট করলেন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিকুঞ্জ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিলেন। আমরা যে বাসার খোঁজ করছিলাম, সেটাই ছিল নাজিমের গোপন আস্তানা।
নাজিমের স্ত্রীর নাম নাসিমা আক্তার পপি। তাঁর এক সন্তান নাঈম। খুবই সাধারণ গৃহবধূ। তিনি কোনো রাখঢাক না করেই সব বলতে শুরু করলেন। ৫-৬ জন তাঁকে ঘিরে আছে।
আমরা যেদিন তাঁর বাড়িতে যাই, সেটা ছিল ১৯৯৯ সালের ১৮ মে, মঙ্গলবার। নাসিমা বললেন, এর দুদিন আগে ১৬ মে দুপুরের দিকে নিজের গাড়িচালক স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে বের হন নাজিম। যাওয়ার সময় ম্যানেজার সেলিম, বন্ধু শামীম, কর্মচারী আজিজুল এবং শ্যালক ওমর ফারুক সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা নিকুঞ্জে যাচ্ছিলেন। মালিবাগে যাওয়ার পর সেই গাড়িতে ওঠেন জেসমিন নামের এক তরুণী। জেসমিন আগে থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের নিকুঞ্জে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি চলে আসে। নাসিমার কথা বলার সময় শ্যালক ওমর ফারুক পাশে ছিলেন। বাকিটা বললেন তিনি।
ওমর ফারুক বললেন, রাতের বেলা তাঁরা বাসায় মদ পান করছিলেন। এক দফা মদ ফুরিয়ে গেলে গভীর রাতে উত্তরার একটি বাড়িতে গিয়ে আবার মদ নিয়ে আসেন। সেটা খেয়ে নাজিম, জেসমিন ও আজিজুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাঁদের মহাখালীর মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নাজিমের নাম বলা হয় ছালাউদ্দিন। পরে নাজিম মারা যান। জেসমিন ও আজিজুলকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। পরে তাঁরাও মারা যান। এরপর তাঁরা নাজিমের লাশ গোপনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরে নাজিমের গাড়িচালককে দিয়ে পুলিশ একটি অভিযোগ লিখিয়ে মদপানে মৃত্যুর মামলা করে।
নাসিমার কাছে জানতে চাইলাম, জেসমিনকে চেনেন? তিনি মাথা নাড়লেন, কিছু বললেন না। বোঝা গেল, স্বামীর এ কর্মকাণ্ডে তিনি খুবই বিরক্ত। বললেন, জেসমিনের বাবার নাম আওলাদ হোসেন। সিপাহিবাগে বাসা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়েছে। তাঁর সঙ্গে নাজিমের বৈবাহিক কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু দুজন একসঙ্গে থাকেন। এটা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তিনি খুব বিরক্তি নিয়ে বললেন, ‘লেখাপড়া জানা একটি মেয়ে আমার স্বামীর রক্ষিতা।’ নাসিমার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, তিনি গোপন কিছু বলতে চান, কিন্তু পারছেন না। আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি আলাদা কিছু বলতে চান? তিনি মাথা নাড়লেন, আমি সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতেই তাঁরা সরে গেলেন। নাসিমা এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললেন, মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁদের মেরে ফেলা হয়েছে। এটুকু বলতেই লোকজন চলে এলেন। তিনি কথা বন্ধ করলেন।
আমাদের কথা শেষ। পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পূর্ব দিকের এক রেস্তোরাঁয় ডাল, মাংস আর রুটি খেয়ে আমরা যখন বের হলাম, তখন বিকেল হয়ে গেছে। পরের দিন সেই খবর ফলাও করে ছাপা হলো।
আজকের ‘আষাঢ়ে নয়’ লেখার আগে ফোন দিলাম পরিবহননেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহকে। নাজিমের কথা উঠতেই বললেন, নাজিম মারা যাওয়ার কিছুদিন পর মুন্নাও অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে সেও মারা যায়। দুই সন্ত্রাসীর মৃত্যুর পরই সায়েদাবাদ টার্মিনাল শান্ত হয়। আজকের সায়েদাবাদ টার্মিনাল দেখলে বোঝাই যায় না, একটা সময় এখানে বন্দুকযুদ্ধ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।
মনে পড়ে গেল সেই পুলিশ কর্মকর্তার কথা, আসলেই সন্ত্রাসীদের চুল পাকে না। তার আগেই প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ যায়।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
এই সড়কগুলোর যেকোনো একটি বাড়ির খোঁজে সকাল থেকে আমরা ২-৩টা করে চক্কর দিয়েছি, কিন্তু খোঁজ মেলেনি। আমরা মানে, আমি আর আমার মোটরবাইকের পেছনে বসা পারভেজ খান, একটি জাতীয় দৈনিকের ক্রাইম রিপোর্টার।
আমাদের কাছে খবর ছিল, নিকুঞ্জ এলাকার কোনো একটি বাড়িতে সে সময়ে ঢাকার নামকরা এক সন্ত্রাসী তাঁর বান্ধবীসহ মারা গেছেন অথবা তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। বান্ধবীর মৃত্যু ঢাকা মেডিকেলে হওয়ায় আমরা তাঁর নাম জানতে পেরেছি, কিন্তু সেই সন্ত্রাসীর নাম বা তিনি কোথায় মারা গেছেন, তা কেউ বলতে পারছে না। প্রথমে আমাদের ধারণা ছিল, সেই নারীর পরিবারকে ধরে সন্ত্রাসীর নাম-ঠিকানা বের করব। কিন্তু হাসপাতালের কাগজে নাম ছাড়া নারীর কোনো ঠিকানা নেই। মারা যাওয়ার পর কেউ তাঁর লাশও নিতে আসেনি। দুদিন ধরে মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। পারভেজ খানের শক্ত সোর্স, সেই সোর্স বলেছেন, নিকুঞ্জের একটি বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটেছে। সেই ভরসায় আমরা গলদঘর্ম হচ্ছি। এটা ১৯৯৯ সালের ১৮ মের ঘটনা।
ঘণ্টা দুয়েক ঘুরে ক্লান্ত হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসার পরই মনে হলো, কৌটায় লুকানো ভ্রমরের খোঁজ পেয়ে গেছি। সেই দোকানি একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ওই বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। কীসের চা খাওয়া—গেলাম সেই বাড়িতে। ৫ নম্বর সড়কের চারতলা বাড়িটির উত্তর দিকে একটি ফ্ল্যাটে সেই ঘটনা। তিনতলায় বাড়িওয়ালা থাকেন, কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না। পাশের এক ভাড়াটে বললেন, দুদিন আগে এক তরুণী এবং এক পুরুষ মদ পান করে অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁদের নাম জানেন না। কোন হাসপাতালে গেলেন—প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, যাওয়ার সময় তাঁরা বেবিট্যাক্সিচালককে মহাখালীর মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারের নাম বলেছিলেন।
এই তথ্যটুকু আমাদের খুব কাজে দিল। এলাম মহাখালী বাস টার্মিনালের উল্টো দিকে মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে। ভাড়াটের দেওয়া বিবরণ মিলে গেল। দুদিন আগে নারী-পুরুষ এসেছিলেন। তাঁদের একজনের নাম জেসমিন আক্তার, আরেকজনের ছালাউদ্দিন। হাসপাতালে আসার পর পুরুষটি মারা গেছে, নারীকে তাঁরা ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। ঠিকানা বলতে, খাতায় লেখা আছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল।
ছালাউদ্দিন নামটি আমাদের পরিচিত নয়। এই নামে কোনো সন্ত্রাসী ঢাকায় আছে, মনে করতে পারছি না। তবু মনে হলো, টানেলে আলোর রেখা দেখা দিয়েছে। আমরা একটু একটু করে তথ্যের মালা গাঁথতে শুরু করেছি।
পারভেজ খান আমাকে বললেন, বন্ধু, এবার চলো সায়েদাবাদে, দেখি কে মারা গেছে। এলাম সায়েদাবাদ টার্মিনালে। এখানে সবকিছুই স্বাভাবিক। কিছু হয়েছে, তা কেউ বলছেন না। এক পরিবহননেতাকে আড়ালে ডেকে পারভেজ খান অনেকক্ষণ কথা বললেন, তিনি টার্মিনালের পাশে একটি বাড়ি দেখিয়ে বললেন, ওই বাড়িতে গেলেই সব জানতে পারবেন। গেলাম ১০/২ নম্বর বাড়িতে। বাড়িটি চারতলা। নিচতলায় এক লোককে পেয়ে জানতে চাইলাম, দোতলায় কে থাকেন। তিনি যাঁর নাম বললেন, তা শুনে আমরা চমকে গেলাম। বললেন, এই বাড়িতে থাকতেন সায়েদাবাদের সে সময়ের ত্রাস নাজিম উদ্দিন নাজিম। দুদিন আগে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী-সন্তান আছে। নাজিমের নাম শুনেই বড় খবরের গন্ধ পেয়ে গেলাম। এতক্ষণের পরিশ্রমের মাশুল মিলল।
দোতলার উঠে দেখি বাড়িতে অনেক লোক, বেশির ভাগের চেহারা সন্ত্রাসীর মতো। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাঁরা আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেন। বসতে দিলেন। আমরা নাজিমের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলাম। তিনি ভেতরে আছেন, অপেক্ষা করতে বললেন।
এবার নাজিমের কথা বলি। তখন এরশাদ ক্ষমতায়। রোজই হরতাল, অবরোধ হচ্ছে। এরশাদের পক্ষে একশ্রেণির পরিবহননেতা হরতাল উপেক্ষা করে রাস্তায় গাড়ি চালাতে চাইলেন। তাঁরা পরিবহনশ্রমিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন, যাতে কেউ বাধা দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এরশাদের পক্ষে সন্ত্রাসী দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দুই যুবককে বাছাই করা হলো। একজনের নাম নাজিম উদ্দিন, আরেকজন মুন্না। এসব করে এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে থাকতেই তাঁরা বিপুল অর্থের মালিক হয়ে গেলেন।
এরশাদের পতনের পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁরা পরিবহননেতা বনে গেলেন। বাসের হেলপার থেকে ঢাকা-সিলেট রুটের এনপি পরিবহনের অংশীদার হয়ে গেলেন নাজিম। কিন্তু স্বভাব গেল না। শুরু করলেন চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাস। প্রথমে নাজিম আর মুন্না একসঙ্গে, পরে দুজন প্রতিপক্ষ হয়ে গেলেন। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা দিলেন কয়েকজন পরিবহননেতা। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি আর বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ছিল নিত্যদিনের। পুলিশের তালিকায় দুজনই হয়ে গেলেন সন্ত্রাসী।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর মির্জা আব্বাসের লোকজন সায়েদাবাদে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো। প্রথম দফা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গ্রেপ্তার হন নাজিম। কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে এসে সায়েদাবাদের পরিবহন সন্ত্রাসীদের এক জোট করলেন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নিকুঞ্জ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিলেন। আমরা যে বাসার খোঁজ করছিলাম, সেটাই ছিল নাজিমের গোপন আস্তানা।
নাজিমের স্ত্রীর নাম নাসিমা আক্তার পপি। তাঁর এক সন্তান নাঈম। খুবই সাধারণ গৃহবধূ। তিনি কোনো রাখঢাক না করেই সব বলতে শুরু করলেন। ৫-৬ জন তাঁকে ঘিরে আছে।
আমরা যেদিন তাঁর বাড়িতে যাই, সেটা ছিল ১৯৯৯ সালের ১৮ মে, মঙ্গলবার। নাসিমা বললেন, এর দুদিন আগে ১৬ মে দুপুরের দিকে নিজের গাড়িচালক স্বপনকে সঙ্গে নিয়ে বের হন নাজিম। যাওয়ার সময় ম্যানেজার সেলিম, বন্ধু শামীম, কর্মচারী আজিজুল এবং শ্যালক ওমর ফারুক সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা নিকুঞ্জে যাচ্ছিলেন। মালিবাগে যাওয়ার পর সেই গাড়িতে ওঠেন জেসমিন নামের এক তরুণী। জেসমিন আগে থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের নিকুঞ্জে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি চলে আসে। নাসিমার কথা বলার সময় শ্যালক ওমর ফারুক পাশে ছিলেন। বাকিটা বললেন তিনি।
ওমর ফারুক বললেন, রাতের বেলা তাঁরা বাসায় মদ পান করছিলেন। এক দফা মদ ফুরিয়ে গেলে গভীর রাতে উত্তরার একটি বাড়িতে গিয়ে আবার মদ নিয়ে আসেন। সেটা খেয়ে নাজিম, জেসমিন ও আজিজুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাঁদের মহাখালীর মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নাজিমের নাম বলা হয় ছালাউদ্দিন। পরে নাজিম মারা যান। জেসমিন ও আজিজুলকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। পরে তাঁরাও মারা যান। এরপর তাঁরা নাজিমের লাশ গোপনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরে নাজিমের গাড়িচালককে দিয়ে পুলিশ একটি অভিযোগ লিখিয়ে মদপানে মৃত্যুর মামলা করে।
নাসিমার কাছে জানতে চাইলাম, জেসমিনকে চেনেন? তিনি মাথা নাড়লেন, কিছু বললেন না। বোঝা গেল, স্বামীর এ কর্মকাণ্ডে তিনি খুবই বিরক্ত। বললেন, জেসমিনের বাবার নাম আওলাদ হোসেন। সিপাহিবাগে বাসা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পড়েছে। তাঁর সঙ্গে নাজিমের বৈবাহিক কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু দুজন একসঙ্গে থাকেন। এটা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তিনি খুব বিরক্তি নিয়ে বললেন, ‘লেখাপড়া জানা একটি মেয়ে আমার স্বামীর রক্ষিতা।’ নাসিমার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, তিনি গোপন কিছু বলতে চান, কিন্তু পারছেন না। আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি আলাদা কিছু বলতে চান? তিনি মাথা নাড়লেন, আমি সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতেই তাঁরা সরে গেলেন। নাসিমা এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললেন, মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাঁদের মেরে ফেলা হয়েছে। এটুকু বলতেই লোকজন চলে এলেন। তিনি কথা বন্ধ করলেন।
আমাদের কথা শেষ। পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পূর্ব দিকের এক রেস্তোরাঁয় ডাল, মাংস আর রুটি খেয়ে আমরা যখন বের হলাম, তখন বিকেল হয়ে গেছে। পরের দিন সেই খবর ফলাও করে ছাপা হলো।
আজকের ‘আষাঢ়ে নয়’ লেখার আগে ফোন দিলাম পরিবহননেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহকে। নাজিমের কথা উঠতেই বললেন, নাজিম মারা যাওয়ার কিছুদিন পর মুন্নাও অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে সেও মারা যায়। দুই সন্ত্রাসীর মৃত্যুর পরই সায়েদাবাদ টার্মিনাল শান্ত হয়। আজকের সায়েদাবাদ টার্মিনাল দেখলে বোঝাই যায় না, একটা সময় এখানে বন্দুকযুদ্ধ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।
মনে পড়ে গেল সেই পুলিশ কর্মকর্তার কথা, আসলেই সন্ত্রাসীদের চুল পাকে না। তার আগেই প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ যায়।

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
৩০ এপ্রিল ২০২২
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’
কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’
যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।
সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
৩০ এপ্রিল ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।
প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।
কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।
তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
৩০ এপ্রিল ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
২৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় তখনো সেভাবে বসবাস শুরু হয়নি। এখন যেখানে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল, সেখান থেকে পেছনের দিকে ৮-১০টি সড়কে কেবল বাড়িঘর উঠেছে। নাগরিক টেলিভিশন ভবনের সামনের সড়কটি তখন ছিল বসতির শেষ মাথা। তারপরে খোলা মাঠ, সেখানে দাঁড়ালে দূর থেকে উড়োজাহাজের ওঠানামা দেখা যেত।
৩০ এপ্রিল ২০২২
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
১৫ দিন আগে
গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’
১৫ দিন আগে
প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। এর পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন।
১৫ দিন আগে