
‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না। ধারদেনায় জর্জরিত সংসার। সেই এমপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের প্রশ্ন, ‘আপনি বাক্সভরে মানুষকে ইলিশ দিতে পারবেন, আরেকটা মানুষ কেন মাছ-ভাতের জন্য কাঁদবে?’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জেলা থেকে সংলাপে অংশ নেন মৎস্যজীবী ও পরিবেশবাদী সংগঠকেরা। মোংলা, পটুয়াখালী, খুলনার বিভিন্ন নদী ও সাগরে ইলিশ আহরণকারী মানুষ জানান তাঁদের অবস্থার কথা। নদীতে ইলিশ না থাকায় জীবিকায় টান পড়েছে তাঁদের বেশির ভাগেরই। পাশাপাশি অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, প্রশাসনের নানা বিষয় তুলে ধরেন জেলেরা। প্রজনন মৌসুমে সরকারের দেওয়া অপ্রতুল সহায়তা এবং তা বণ্টন নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতির বিষয়গুলোও আসে সংগঠক এবং গবেষকদের আলোচনায়।
মৎস্য অধিদপ্তরের (ইলিশ ব্যবস্থাপনা) উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর পদক্ষেপ না নিলে বইপুস্তকে চলে যেত ইলিশ। বিএনপি সরকারের আমলে ইলিশের উৎপাদন একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসে জানিয়ে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মমি বলেন, ‘ইলিশ নাই কথাটা ঠিক না। এখন উৎপাদন ৫ লাখ ৬৭ হাজার টন। ২০০৯ সালে জাটকা নিধন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং গবেষণা প্রকল্প চালু হয়। ইলিশের যে উন্নয়ন সেটা—এই সরকারের সময়ে হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাও গবেষণায় সহায়তা করেছে। ২০১৫ সালে তা শেষ হওয়ার পর মাছ উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু ইলিশের কন্ট্রিবিউশন হয়তো কম। বর্তমানে দেশের ২৯ জেলার ১৩৬টি উপজেলায় ২৪৬ কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
মাছ ধরা বন্ধের মৌসুমে মাসে ৪০ কেজি ভিজিএফ চাল দেওয়ার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান বলেন, ‘২০০৭-০৮ অর্থবছরে ১ লাখ ৪৬ হাজার জেলেকে দেওয়া হতো। এই সরকার যখন আসল, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় ১০ থেকে ৪০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। আমি মনে করি, এটাও জেলেদের জন্য শেখ হাসিনার সানুগ্রহ সহায়তা। এখন সাত লাখ জেলে সরাসরি ইলিশ আহরণের সঙ্গে জড়িত। ইলিশের উৎপাদন কমছে না। ধরার মানুষ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে একজন মানুষ ১০টা ইলিশ পেত, এখন যদি সেখানে ১০ জন মানুষ যায়, কয়টা ইলিশ পাবে? এক নদীতে। আপনাদের বুঝতে হবে।’
ইলিশসহ অন্য মাছ রক্ষায় সরকারে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মমি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংলাপে অংশ নেন উপকূলীয় দুই জেলার সংসদ সদস্য। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘ইলিশ এখন কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার বিষয় হয়ে গেছে। তরমুজের চাষ বাড়ার কারণে ইলিশ কমে যাচ্ছে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তরমুজ খেতে নানা ধরনের সার ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেসব আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। তাই ইলিশ তাদের আবাসস্থল আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ায় জেলেরা হয়তো মাছ পাচ্ছেন না। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সরকারের নানা পদক্ষেপে সব ধরনের মাছ উৎপাদনই বেড়েছে।’
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা ইলিশ কিনতাম আধা কেজির আশপাশের আকারের। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে ভোলা থেকে মাছ এনেছি। একেকটির ওজন সর্বনিম্ন ২ কেজি, সর্বোচ্চ ২ কেজি ৮০০ গ্রাম। বন্ধুবান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী অনেকেই তা দিয়েছি। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকায় আসার আগে খেয়ে এসেছি। সত্যি কথা বলি, ১৫ মিনিট পরে হাত ও মুখ থেকে গন্ধ (ইলিশের) আসছে। পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে, দাঁত ব্রাশ করেছি। ৬৫ দিন বন্ধ রাখার কারণে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।’
আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘পলি বাড়ায় নদীর উপকূলে ইলিশের দেখা মিলছে না। নদী খননে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে। আমাদের গবেষণা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটি কথা, ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। আমরা কাছ থেকে দেখেছি, দেশের প্রতি তাঁর যে মমত্ব-মায়া, এটি আমাদের অনেকের ভেতরে থাকলেও তাঁর ভেতরে যেটি আছে, এটি অনন্য। আমরা আজকে যা ভাবছি, উনি অনেক আগে ভেবে রাখেন। এই হচ্ছেন জননেত্রী।’
জেলে কার্ড বেহাত হওয়ার বিষয়ে মৎস্যজীবীদের অভিযোগের বিষয়ে এমপি বাবু বলেন, ‘জেলেদের কার্ড সাহেবদের নামে আপনি-আমিই কিন্তু দিয়েছি। আমার পাশে যে কয়টা বাটপার থাকে, তাদের নাম না দিলে ওরা আবার ফেসবুকে লিখে। আমরা কিন্তু ঠিক না। অন্যের দোষ দিয়ে যাই। মৎস্য কর্মকর্তা, জেলে কর্মকর্তা কী করবেন? ওনার তো দিতেই হবে ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সুপারিশ করেছেন। তাঁদের দোষ না। দোষী আমরা সবাই।
‘আজকে আড়াই-তিন কেজি ইলিশ পাওয়া যায়। ভোলায়, আমাকে যদি কেউ এখন বলেন আমি কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনে দিতে পারি। ভোলায় একজন লোক পাঠাব আপনাকে আড়াই কেজি, তিন কেজি ইলিশ এনে দেব। দুই কেজি তো অহরহ। কিছুদিন আগে ছিল না। আমরা যা-ই বলি, নাই নাই নাই। লোক কিন্তু বাড়তেছে। …’
সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই সুলতানা কামাল, দেশের প্রচলিত নিয়ম মেনে সবাইকে মৎস্য আহরণের অনুরোধ করেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমির উদ্দেশে সুলতানা বলেন, ‘তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনার যা বলছেন, তার সুফলটা জেলেদের কাছ থেকে শুনি না কেন? যারা মাছ ধরছেন, তাঁরা শোনেন না কেন? আগে আমরা যারা ভোক্তা প্রতিদিন ইলিশ খেয়েছি, এখন কেন খেতে পারি না। যদি ইলিশের উৎপাদন এতই বেড়ে থাকে, বাবু ভাইয়ের (আখতারুজ্জামান বাবু) যে অবস্থান আছে উনি ইচ্ছে করলে ২৪ ঘণ্টাই ইলিশ খেতে পারেন, কিন্তু আমি সুলতানা কামাল, সাধারণ নাগরিক আমি কিন্তু পারি না। সম্ভব না। আমাকে কেউ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই কেজির ইলিশ সাপ্লাই (সরবরাহ) দেবে না। আমাকে কিনতে হলে কয়েক হাজার টাকা হাতে নিয়ে বাজারে যেত হবে। তা-ও যদি পাই। এই যে একটা তফাত রয়ে গেছে। এটাই আইনপ্রণেতাদের বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নাই। তিনি সব সময় দেশের মানুষের ভালো চান। তাঁর আন্তরিকতা নিয়ে কেউ আমরা প্রশ্ন তুলি না। কিন্তু সেই কাজগুলো হয় না কেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘সেদিন এক মন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাতের জন্য কাঁদে না, মাছ-ভাতের জন্য কাঁদে। বাবু ভাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০০টা ইলিশ মাছ পান, কিন্তু ওই মানুষটা মাছের জন্য কাঁদে কেন? মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এটাই আমার প্রশ্ন? আপনি (আখতারুজ্জামান বাবু) বাক্সভরে মানুষকে ইলিশ দিতে পারবেন, আরেকটা মানুষ কেন মাছ-ভাতের জন্য কাঁদবে? তা নিশ্চিতের দায়িত্ব আপনাদের। আপনি পারেন আমি পারি না। এই যে আপনার পারা এবং আমার না পারার মধ্যে এত পার্থক্য হবে কেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু সেই সুফল সবাই পাচ্ছে না। … মমি হিসেবে না, আপনারা রাষ্ট্র, বুঝতে হবে কেন বলছেন ওনারা (জেলেরা) দেশকে ভালোবাসে না তাই এসব কথা বলছে? ওরা কি দেশের শত্রু? শুধু আমি একাই দেশকে ভালোবাসি। এই ঔদ্ধত্য আমি দেখাতে পারি? একমাত্র আমি দেশকে ভালোবাসি, আর কেউ না। এই ঔদ্ধত্য থাকা উচিত না। চিন্তা করতে হবে, কেন জেলেরা বলছেন তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই সংসদ সদস্যের উদ্দেশে সুলতানা কামাল বলেন, ‘আপনারা অবকাঠামোগত উন্নয়নে যতটা নজর দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে মনোযোগী হন নাই। এটা আমার অভিযোগ। এ কারণেই জেলেদের ধরতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়গুলো হচ্ছে। একটা ডিসকানেক্ট (বিচ্ছিন্নতা) রয়ে গেছে। কানেকশনটা (সংযোগ) হয় নাই।’
মমিকে (মাসুদ আরা মমি) আরেকটা কথা বলব, ‘আপনারা সরকারি চাকরি করছেন। বাবু, শাহজাদা ভাইয়েরা কোনো একটা কারণে আইনপ্রণেতার জায়গায় গেছেন। আপনারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহে। কেন সানুগ্রহ হবে? আমার করের পয়সায় এই টাকা আসছে, করের পয়সা প্রধানমন্ত্রী কাস্টডিয়ান (দেখভাল করেন)। তিনি একা না, সরকার কাস্টডিয়ান। সেই টাকা হয়তো, জেলে ভাইদের কাছে আসছে। এটা সানুগ্রহের কী আছে? আপনারা কি কখনো চিন্তা করেন একটা মানুষের পাঁচজনের সংসারে ৪০ কেজি চালে মাস চলে কি না। তারপর কারেন্ট জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়, আর বলেন আইন ভাঙছে। কোন বিবেকে বলেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘দুর্নীতির কথা ধরলামই না। আপনি খুব সৎভাবে ১০টা কার্ড (জেলে) দিতে চান। কোন দশজনকে দেবেন? এখানে পরিকল্পনার ব্যাপার আছে। খালি সানুগ্রহ বললে হবে না। আমরা দয়ার পাত্র হব কেন কারও? আমরা এ দেশের নাগরিক, সম্মানিত নাগরিক। আমি কর দিই। আমি আমার নাগরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করতে চাই। আমি কারও অনুগ্রহ চাই না। দয়া করে আপনারা অনুগ্রহের কথা বলবেন না আমাদের। আমার খুব মনঃকষ্ট হয়।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা এক শ বার বিশ্বাস করি। আপনাদের চেয়ে বেশি দিন ধরে তাঁকে চিনি। জানি তিনি চান বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু অনুগ্রহ করে আমাদের অনুগ্রহের কথা বলবেন না। কেউ বাংলাদেশে এমন নাই যে নাগরিকদের অনুগ্রহ করতে পারে। তিনি (শেখ হাসিনা) তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। সদিচ্ছার সঙ্গে করছেন, প্রশংসার সঙ্গে করছেন—এটা বলতে পারি। নিশ্চয়ই তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। কিন্তু আমাকে কেউ অনুগ্রহ করে, সেটা গ্রহণে রাজি নই।’

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না। ধারদেনায় জর্জরিত সংসার। সেই এমপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের প্রশ্ন, ‘আপনি বাক্সভরে মানুষকে ইলিশ দিতে পারবেন, আরেকটা মানুষ কেন মাছ-ভাতের জন্য কাঁদবে?’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জেলা থেকে সংলাপে অংশ নেন মৎস্যজীবী ও পরিবেশবাদী সংগঠকেরা। মোংলা, পটুয়াখালী, খুলনার বিভিন্ন নদী ও সাগরে ইলিশ আহরণকারী মানুষ জানান তাঁদের অবস্থার কথা। নদীতে ইলিশ না থাকায় জীবিকায় টান পড়েছে তাঁদের বেশির ভাগেরই। পাশাপাশি অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, প্রশাসনের নানা বিষয় তুলে ধরেন জেলেরা। প্রজনন মৌসুমে সরকারের দেওয়া অপ্রতুল সহায়তা এবং তা বণ্টন নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতির বিষয়গুলোও আসে সংগঠক এবং গবেষকদের আলোচনায়।
মৎস্য অধিদপ্তরের (ইলিশ ব্যবস্থাপনা) উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর পদক্ষেপ না নিলে বইপুস্তকে চলে যেত ইলিশ। বিএনপি সরকারের আমলে ইলিশের উৎপাদন একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসে জানিয়ে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মমি বলেন, ‘ইলিশ নাই কথাটা ঠিক না। এখন উৎপাদন ৫ লাখ ৬৭ হাজার টন। ২০০৯ সালে জাটকা নিধন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং গবেষণা প্রকল্প চালু হয়। ইলিশের যে উন্নয়ন সেটা—এই সরকারের সময়ে হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাও গবেষণায় সহায়তা করেছে। ২০১৫ সালে তা শেষ হওয়ার পর মাছ উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু ইলিশের কন্ট্রিবিউশন হয়তো কম। বর্তমানে দেশের ২৯ জেলার ১৩৬টি উপজেলায় ২৪৬ কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
মাছ ধরা বন্ধের মৌসুমে মাসে ৪০ কেজি ভিজিএফ চাল দেওয়ার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান বলেন, ‘২০০৭-০৮ অর্থবছরে ১ লাখ ৪৬ হাজার জেলেকে দেওয়া হতো। এই সরকার যখন আসল, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় ১০ থেকে ৪০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। আমি মনে করি, এটাও জেলেদের জন্য শেখ হাসিনার সানুগ্রহ সহায়তা। এখন সাত লাখ জেলে সরাসরি ইলিশ আহরণের সঙ্গে জড়িত। ইলিশের উৎপাদন কমছে না। ধরার মানুষ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে একজন মানুষ ১০টা ইলিশ পেত, এখন যদি সেখানে ১০ জন মানুষ যায়, কয়টা ইলিশ পাবে? এক নদীতে। আপনাদের বুঝতে হবে।’
ইলিশসহ অন্য মাছ রক্ষায় সরকারে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মমি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংলাপে অংশ নেন উপকূলীয় দুই জেলার সংসদ সদস্য। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘ইলিশ এখন কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার বিষয় হয়ে গেছে। তরমুজের চাষ বাড়ার কারণে ইলিশ কমে যাচ্ছে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তরমুজ খেতে নানা ধরনের সার ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেসব আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। তাই ইলিশ তাদের আবাসস্থল আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ায় জেলেরা হয়তো মাছ পাচ্ছেন না। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সরকারের নানা পদক্ষেপে সব ধরনের মাছ উৎপাদনই বেড়েছে।’
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা ইলিশ কিনতাম আধা কেজির আশপাশের আকারের। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে ভোলা থেকে মাছ এনেছি। একেকটির ওজন সর্বনিম্ন ২ কেজি, সর্বোচ্চ ২ কেজি ৮০০ গ্রাম। বন্ধুবান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী অনেকেই তা দিয়েছি। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকায় আসার আগে খেয়ে এসেছি। সত্যি কথা বলি, ১৫ মিনিট পরে হাত ও মুখ থেকে গন্ধ (ইলিশের) আসছে। পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে, দাঁত ব্রাশ করেছি। ৬৫ দিন বন্ধ রাখার কারণে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।’
আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘পলি বাড়ায় নদীর উপকূলে ইলিশের দেখা মিলছে না। নদী খননে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে। আমাদের গবেষণা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটি কথা, ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। আমরা কাছ থেকে দেখেছি, দেশের প্রতি তাঁর যে মমত্ব-মায়া, এটি আমাদের অনেকের ভেতরে থাকলেও তাঁর ভেতরে যেটি আছে, এটি অনন্য। আমরা আজকে যা ভাবছি, উনি অনেক আগে ভেবে রাখেন। এই হচ্ছেন জননেত্রী।’
জেলে কার্ড বেহাত হওয়ার বিষয়ে মৎস্যজীবীদের অভিযোগের বিষয়ে এমপি বাবু বলেন, ‘জেলেদের কার্ড সাহেবদের নামে আপনি-আমিই কিন্তু দিয়েছি। আমার পাশে যে কয়টা বাটপার থাকে, তাদের নাম না দিলে ওরা আবার ফেসবুকে লিখে। আমরা কিন্তু ঠিক না। অন্যের দোষ দিয়ে যাই। মৎস্য কর্মকর্তা, জেলে কর্মকর্তা কী করবেন? ওনার তো দিতেই হবে ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সুপারিশ করেছেন। তাঁদের দোষ না। দোষী আমরা সবাই।
‘আজকে আড়াই-তিন কেজি ইলিশ পাওয়া যায়। ভোলায়, আমাকে যদি কেউ এখন বলেন আমি কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনে দিতে পারি। ভোলায় একজন লোক পাঠাব আপনাকে আড়াই কেজি, তিন কেজি ইলিশ এনে দেব। দুই কেজি তো অহরহ। কিছুদিন আগে ছিল না। আমরা যা-ই বলি, নাই নাই নাই। লোক কিন্তু বাড়তেছে। …’
সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই সুলতানা কামাল, দেশের প্রচলিত নিয়ম মেনে সবাইকে মৎস্য আহরণের অনুরোধ করেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমির উদ্দেশে সুলতানা বলেন, ‘তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনার যা বলছেন, তার সুফলটা জেলেদের কাছ থেকে শুনি না কেন? যারা মাছ ধরছেন, তাঁরা শোনেন না কেন? আগে আমরা যারা ভোক্তা প্রতিদিন ইলিশ খেয়েছি, এখন কেন খেতে পারি না। যদি ইলিশের উৎপাদন এতই বেড়ে থাকে, বাবু ভাইয়ের (আখতারুজ্জামান বাবু) যে অবস্থান আছে উনি ইচ্ছে করলে ২৪ ঘণ্টাই ইলিশ খেতে পারেন, কিন্তু আমি সুলতানা কামাল, সাধারণ নাগরিক আমি কিন্তু পারি না। সম্ভব না। আমাকে কেউ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই কেজির ইলিশ সাপ্লাই (সরবরাহ) দেবে না। আমাকে কিনতে হলে কয়েক হাজার টাকা হাতে নিয়ে বাজারে যেত হবে। তা-ও যদি পাই। এই যে একটা তফাত রয়ে গেছে। এটাই আইনপ্রণেতাদের বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নাই। তিনি সব সময় দেশের মানুষের ভালো চান। তাঁর আন্তরিকতা নিয়ে কেউ আমরা প্রশ্ন তুলি না। কিন্তু সেই কাজগুলো হয় না কেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘সেদিন এক মন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাতের জন্য কাঁদে না, মাছ-ভাতের জন্য কাঁদে। বাবু ভাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০০টা ইলিশ মাছ পান, কিন্তু ওই মানুষটা মাছের জন্য কাঁদে কেন? মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এটাই আমার প্রশ্ন? আপনি (আখতারুজ্জামান বাবু) বাক্সভরে মানুষকে ইলিশ দিতে পারবেন, আরেকটা মানুষ কেন মাছ-ভাতের জন্য কাঁদবে? তা নিশ্চিতের দায়িত্ব আপনাদের। আপনি পারেন আমি পারি না। এই যে আপনার পারা এবং আমার না পারার মধ্যে এত পার্থক্য হবে কেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু সেই সুফল সবাই পাচ্ছে না। … মমি হিসেবে না, আপনারা রাষ্ট্র, বুঝতে হবে কেন বলছেন ওনারা (জেলেরা) দেশকে ভালোবাসে না তাই এসব কথা বলছে? ওরা কি দেশের শত্রু? শুধু আমি একাই দেশকে ভালোবাসি। এই ঔদ্ধত্য আমি দেখাতে পারি? একমাত্র আমি দেশকে ভালোবাসি, আর কেউ না। এই ঔদ্ধত্য থাকা উচিত না। চিন্তা করতে হবে, কেন জেলেরা বলছেন তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই সংসদ সদস্যের উদ্দেশে সুলতানা কামাল বলেন, ‘আপনারা অবকাঠামোগত উন্নয়নে যতটা নজর দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে মনোযোগী হন নাই। এটা আমার অভিযোগ। এ কারণেই জেলেদের ধরতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়গুলো হচ্ছে। একটা ডিসকানেক্ট (বিচ্ছিন্নতা) রয়ে গেছে। কানেকশনটা (সংযোগ) হয় নাই।’
মমিকে (মাসুদ আরা মমি) আরেকটা কথা বলব, ‘আপনারা সরকারি চাকরি করছেন। বাবু, শাহজাদা ভাইয়েরা কোনো একটা কারণে আইনপ্রণেতার জায়গায় গেছেন। আপনারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহে। কেন সানুগ্রহ হবে? আমার করের পয়সায় এই টাকা আসছে, করের পয়সা প্রধানমন্ত্রী কাস্টডিয়ান (দেখভাল করেন)। তিনি একা না, সরকার কাস্টডিয়ান। সেই টাকা হয়তো, জেলে ভাইদের কাছে আসছে। এটা সানুগ্রহের কী আছে? আপনারা কি কখনো চিন্তা করেন একটা মানুষের পাঁচজনের সংসারে ৪০ কেজি চালে মাস চলে কি না। তারপর কারেন্ট জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়, আর বলেন আইন ভাঙছে। কোন বিবেকে বলেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘দুর্নীতির কথা ধরলামই না। আপনি খুব সৎভাবে ১০টা কার্ড (জেলে) দিতে চান। কোন দশজনকে দেবেন? এখানে পরিকল্পনার ব্যাপার আছে। খালি সানুগ্রহ বললে হবে না। আমরা দয়ার পাত্র হব কেন কারও? আমরা এ দেশের নাগরিক, সম্মানিত নাগরিক। আমি কর দিই। আমি আমার নাগরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করতে চাই। আমি কারও অনুগ্রহ চাই না। দয়া করে আপনারা অনুগ্রহের কথা বলবেন না আমাদের। আমার খুব মনঃকষ্ট হয়।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা এক শ বার বিশ্বাস করি। আপনাদের চেয়ে বেশি দিন ধরে তাঁকে চিনি। জানি তিনি চান বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু অনুগ্রহ করে আমাদের অনুগ্রহের কথা বলবেন না। কেউ বাংলাদেশে এমন নাই যে নাগরিকদের অনুগ্রহ করতে পারে। তিনি (শেখ হাসিনা) তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। সদিচ্ছার সঙ্গে করছেন, প্রশংসার সঙ্গে করছেন—এটা বলতে পারি। নিশ্চয়ই তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। কিন্তু আমাকে কেউ অনুগ্রহ করে, সেটা গ্রহণে রাজি নই।’

বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাজনীতির ‘আপসহীন’ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
১১ মিনিট আগে
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
১৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
২১ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাজনীতির ‘আপসহীন’ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বর্ষীয়ান এই নেত্রীর প্রয়াণে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাফন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে তাঁর স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে হতে পারে। এটি দল ও পরিবারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত।
এ ছাড়া আগামীকাল বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা ও দাফন প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বিএনপি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করছে।
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসা শেষে ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। সে সময় স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতিও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের শারীরিক জটিলতা এবং মানসিক ধকলের কারণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
গত ২৩ নভেম্বর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পুনরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ ভোরে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং চিরবিদায় নেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নেতৃত্ব দেওয়া খালেদা জিয়া ‘দেশনেত্রী’ হিসেবে জনগণের কাছে সমাদৃত ছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর অটল ভূমিকার কারণে তাঁকে ‘আপসহীন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান ঘটল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তাঁর মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি বিস্তারিতভাবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাজনীতির ‘আপসহীন’ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বর্ষীয়ান এই নেত্রীর প্রয়াণে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাফন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে তাঁর স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে হতে পারে। এটি দল ও পরিবারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত।
এ ছাড়া আগামীকাল বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা ও দাফন প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বিএনপি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করছে।
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসা শেষে ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। সে সময় স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতিও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনের শারীরিক জটিলতা এবং মানসিক ধকলের কারণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
গত ২৩ নভেম্বর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পুনরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ ভোরে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং চিরবিদায় নেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নেতৃত্ব দেওয়া খালেদা জিয়া ‘দেশনেত্রী’ হিসেবে জনগণের কাছে সমাদৃত ছিলেন। সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর অটল ভূমিকার কারণে তাঁকে ‘আপসহীন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান ঘটল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তাঁর মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি বিস্তারিতভাবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে।

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।
১৭ মে ২০২৩
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
১৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
২১ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আরও দুই দফা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেও সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আপসহীন ভূমিকা পালন করেন।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
নির্বাচন কমিশন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আরও দুই দফা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেও সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আপসহীন ভূমিকা পালন করেন।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
নির্বাচন কমিশন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।
১৭ মে ২০২৩
বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাজনীতির ‘আপসহীন’ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
১১ মিনিট আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
২১ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বেগম জিয়ার মৃত্যুতে দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুপরবর্তী রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও শোক পালনের রূপরেখা নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বিশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত আছেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বেলা ১২টার পর প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এই ভাষণেই রাষ্ট্রীয় শোক এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শেষ বিদায়ের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, দলের চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে পরবর্তী করণীয় ও জানাজার সময়সূচি নির্ধারণে স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা ডেকেছে বিএনপি। দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন জুলাই সনদের বিষয়ে প্রস্তাবিত গণভোটের সরকারি প্রচার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। তিন মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেত্রী মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২৪ সালের আগস্ট বিপ্লবের পর তিনি পূর্ণ মুক্তি পেলেও শারীরিক জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন হাসপাতালেই কাটছিল তাঁর সময়।
তাঁর মৃত্যুতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করছেন। হাসপাতালের সামনে এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন হাজার হাজার শোকাতুর নেতা-কর্মী।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বেগম জিয়ার মৃত্যুতে দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুপরবর্তী রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ও শোক পালনের রূপরেখা নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বিশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত আছেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বেলা ১২টার পর প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এই ভাষণেই রাষ্ট্রীয় শোক এবং সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শেষ বিদায়ের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, দলের চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে পরবর্তী করণীয় ও জানাজার সময়সূচি নির্ধারণে স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা ডেকেছে বিএনপি। দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন জুলাই সনদের বিষয়ে প্রস্তাবিত গণভোটের সরকারি প্রচার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। তিন মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেত্রী মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০২৪ সালের আগস্ট বিপ্লবের পর তিনি পূর্ণ মুক্তি পেলেও শারীরিক জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন হাসপাতালেই কাটছিল তাঁর সময়।
তাঁর মৃত্যুতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করছেন। হাসপাতালের সামনে এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন হাজার হাজার শোকাতুর নেতা-কর্মী।

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।
১৭ মে ২০২৩
বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাজনীতির ‘আপসহীন’ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
১১ মিনিট আগে
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
১৪ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানিয়েছেন গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের সমস্ত রকম প্রচার বন্ধ থাকবে।’
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন গণভোট দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সারা দেশে প্রচার করছে সরকার। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ ১৯টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এই প্রচার চলছে।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঠিক করতে উপদেষ্টা পরিষদ বিশেষ বৈঠকে বসেছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ১২টার পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা।

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে সরকারি প্রচার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানিয়েছেন গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের সমস্ত রকম প্রচার বন্ধ থাকবে।’
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন গণভোট দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সারা দেশে প্রচার করছে সরকার। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ ১৯টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এই প্রচার চলছে।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি ঠিক করতে উপদেষ্টা পরিষদ বিশেষ বৈঠকে বসেছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ১২টার পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা।

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।
১৭ মে ২০২৩
বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশের রাজনীতির ‘আপসহীন’ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
১১ মিনিট আগে
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।
১৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে চিরবিদায় নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
২১ মিনিট আগে