
দেশের মানুষের ব্যক্তিগত গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য কেনাবেচা হচ্ছে দেদার। এর জন্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গড়ে উঠেছে ১ হাজারের মতো অবৈধ ডিজিটাল হাট। এসব গোপন হাটে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য (এনআইডি) ও মোবাইল ফোনের কথোপকথনের (কল ডেটা রেকর্ড–সিডিআর) যাবতীয় রেকর্ড লেনদেন করা হচ্ছে। এমনকি ফোন ব্যবহারকারী কখন-কোথায় আসছেন-যাচ্ছেন, সে রকম ‘জীবন্ত’ তথ্যেরও হাতবদল হচ্ছে। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) তদন্তে এসব শনাক্ত হয়েছে।
এনটিএমসির কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ এনটিএমসি থেকে তথ্য পাওয়া ৪২টি সংস্থার কেউ কেউ নাগরিকদের এসব স্পর্শকাতর তথ্য গোপন ডিজিটাল বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এসব কাজে দুটি সংস্থার সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। ওই দুই সংস্থায় একজন পুলিশ সুপারসহ চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একটি সংস্থা দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
জানতে চাইলে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ পন্থায় তথ্য হস্তান্তরের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে গোপন তথ্য কেনাবেচার গ্রুপগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এসব নিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বৈঠকও করেছে এনটিএমসি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোনো নাগরিকের তথ্য বেহাত হওয়ার কারণে তাঁর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। কেউ তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের নথিপত্র হাতিয়েও নিতে পারে। এমনকি এসব নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তিও হতে পারে।
দেশের সব মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টেলিফোনে যোগাযোগের যাবতীয় তথ্যের ভান্ডার হলো ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএমসি। সব আইন প্রয়োগকারী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্ত সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এনটিএমসি থেকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে থাকে। এসব তথ্য সরবরাহের জন্য ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফরম বা এনআইপি’ নামের একটি প্ল্যাটফরম রয়েছে। প্রতিটি সংস্থা তাদের নিজস্ব আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সেই প্ল্যাটফরমে ঢুকে তথ্য নিয়ে থাকে। তবে কোন সংস্থা কোন তথ্য নিচ্ছে, তার ‘লগ’ থেকে যায় এনটিএমসিতে। এতে করে কোন সংস্থা কার তথ্য নিচ্ছে, তা সহজে জানতে পারে এনটিএমসি।
এনটিএমসির পক্ষ থেকে গত ২৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, এনটিএমসির সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল নম্বরের সিডিআরসহ গোপনীয় তথ্য টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, এই অনুসন্ধানে নেমে এনটিএমসি জানতে পারে, টেলিগ্রাম অ্যাপের ৪৯টি গ্রুপে এনআইডি ও মোবাইলের তথ্য কেনাবেচা হচ্ছে। এসব গ্রুপে ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে। এ ছাড়া ২২টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানে ৫ হাজার সদস্য। সবচেয়ে বেশি সদস্য ফেসবুকের ৭২৫টি গ্রুপে। এতে ৩২ লাখ সদস্য রয়েছে। এসব গ্রুপে টাকার বিনিময়ে মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও এনআইডির তথ্য কেনাবেচা হয়। অনলাইনে এসব চক্রের পরিচিত নাম ‘ইথিক্যাল হ্যাকার’ গ্রুপ। যে কেউ চাইলে তাদের মাধ্যমে এসব গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক গতকাল আজকের পত্রিকাকে জানান, কিছুদিন আগে তিনি ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে তাঁর ভাইয়ের মোবাইল ফোনের দুই মাসের কললিস্ট সংগ্রহ করেন। ওই যুবক বলেন, চাইলে যে কারও কললিস্ট ও এসএমএসের তথ্য পাওয়া যায়।
এনটিএমসির চিঠিতে বলা হয়, টেলিগ্রাম অ্যাপের তথ্য কেনাবেচার খোঁজ করতে গিয়ে তারা জানতে পারে, দুটি আইডি থেকে গত ২৫ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল—এক মাসে অনেক তথ্য হাতানো হয়েছে, যা অস্বাভাবিক। এই দুটি আইডির একটি ব্যবহার করেন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট বা এটিইউর পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন, অন্যটি র্যাব-৬-এর কর্মকর্তা তারেক আমান বান্না। এনটিএমসির পক্ষ থেকে তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত এই দুটি সংস্থার তথ্য নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
এনটিএমসির অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এটিইউর পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিনকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
তবে এটিইউর প্রধান, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংবেদনশীল ও গোপনীয় এসব তথ্য হস্তান্তরে কোনোভাবেই ফারহানা ইয়াসমিন জড়িত নন। তারপরও তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জানার চেষ্টা চলছে, কীভাবে কী হয়েছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে।
অন্যদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬-এ কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আমান বান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। তদন্তের পরই সব পরিষ্কার হবে।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তাই তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তথ্য নেওয়ার জন্য এনটিএমসি থেকে কর্মকর্তাদের নামে আইডি তৈরি করা হলেও তাঁরা সেটা ব্যবহার করেন না। এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের আইডি কর্মকর্তারা তুলে দেন অধীনস্থ কনস্টেবলদের হাতে। তাঁরাই টাকা নিয়ে তথ্য কেনাবেচা করেন।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান (জোহা) এ ব্যাপারে একমত পোষণ করে বলেন, তুলনামূলক ছোট কর্মকর্তাদের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও মনিটরিং থাকে না। অর্থের লোভে তাঁরা ব্যক্তিগত এসব তথ্য বাইরে বিক্রি করে দিতে পারেন।
এর সমাধান হিসেবে এই প্রযুক্তিবিদ মনে করেন, এনটিএমসি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। যেখানে সব তথ্য থাকবে। শুধু ইউনিটের প্রধানদেরই এই সফটওয়্যারে প্রবেশাধিকার থাকবে।
এনটিএমসির কর্মকর্তারা জানান, তথ্য ফাঁস নিয়ে তাঁরা টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে ১৩ মে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে এনটিএমসির পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলো হলো, এনআইডির সব তথ্য একটি সার্ভারে রাখা, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার আইডি বাতিল করে নতুন আইডি করা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয় এমন ক্ষেত্রে সব তথ্য না দেওয়া এবং টেলিফোনের সব তথ্য শুধু এনটিএমসি থেকে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকা। সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এনটিএমসিকে ‘একক দায়িত্বে’ রাখার কথাও বলা হয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে নাগরিকের সব তথ্য বাইরে চলে গেলে মানুষের নাগরিক ও ব্যক্তিজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই অধ্যাপক আরও বলেন, নিজেদের খেয়ালখুশিমতো কেউ তথ্য নিতে পারবেন না। তদন্তের প্রয়োজনেই কেবল এই তথ্য দেওয়ার কথা। সেটা কড়াকড়ি করলেই কেবল এর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
(পত্রিকায় ছাপা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬-এ কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আমান বান্নার মন্তব্যটি অনলাইন সংস্করণে সংশোধন করা হয়েছে।)

দেশের মানুষের ব্যক্তিগত গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য কেনাবেচা হচ্ছে দেদার। এর জন্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গড়ে উঠেছে ১ হাজারের মতো অবৈধ ডিজিটাল হাট। এসব গোপন হাটে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য (এনআইডি) ও মোবাইল ফোনের কথোপকথনের (কল ডেটা রেকর্ড–সিডিআর) যাবতীয় রেকর্ড লেনদেন করা হচ্ছে। এমনকি ফোন ব্যবহারকারী কখন-কোথায় আসছেন-যাচ্ছেন, সে রকম ‘জীবন্ত’ তথ্যেরও হাতবদল হচ্ছে। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) তদন্তে এসব শনাক্ত হয়েছে।
এনটিএমসির কর্মকর্তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ এনটিএমসি থেকে তথ্য পাওয়া ৪২টি সংস্থার কেউ কেউ নাগরিকদের এসব স্পর্শকাতর তথ্য গোপন ডিজিটাল বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এসব কাজে দুটি সংস্থার সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। ওই দুই সংস্থায় একজন পুলিশ সুপারসহ চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একটি সংস্থা দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
জানতে চাইলে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ পন্থায় তথ্য হস্তান্তরের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে গোপন তথ্য কেনাবেচার গ্রুপগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এসব নিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বৈঠকও করেছে এনটিএমসি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোনো নাগরিকের তথ্য বেহাত হওয়ার কারণে তাঁর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। কেউ তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের নথিপত্র হাতিয়েও নিতে পারে। এমনকি এসব নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তিও হতে পারে।
দেশের সব মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টেলিফোনে যোগাযোগের যাবতীয় তথ্যের ভান্ডার হলো ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএমসি। সব আইন প্রয়োগকারী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্ত সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এনটিএমসি থেকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে থাকে। এসব তথ্য সরবরাহের জন্য ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফরম বা এনআইপি’ নামের একটি প্ল্যাটফরম রয়েছে। প্রতিটি সংস্থা তাদের নিজস্ব আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সেই প্ল্যাটফরমে ঢুকে তথ্য নিয়ে থাকে। তবে কোন সংস্থা কোন তথ্য নিচ্ছে, তার ‘লগ’ থেকে যায় এনটিএমসিতে। এতে করে কোন সংস্থা কার তথ্য নিচ্ছে, তা সহজে জানতে পারে এনটিএমসি।
এনটিএমসির পক্ষ থেকে গত ২৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, এনটিএমসির সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল নম্বরের সিডিআরসহ গোপনীয় তথ্য টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, এই অনুসন্ধানে নেমে এনটিএমসি জানতে পারে, টেলিগ্রাম অ্যাপের ৪৯টি গ্রুপে এনআইডি ও মোবাইলের তথ্য কেনাবেচা হচ্ছে। এসব গ্রুপে ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে। এ ছাড়া ২২টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানে ৫ হাজার সদস্য। সবচেয়ে বেশি সদস্য ফেসবুকের ৭২৫টি গ্রুপে। এতে ৩২ লাখ সদস্য রয়েছে। এসব গ্রুপে টাকার বিনিময়ে মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও এনআইডির তথ্য কেনাবেচা হয়। অনলাইনে এসব চক্রের পরিচিত নাম ‘ইথিক্যাল হ্যাকার’ গ্রুপ। যে কেউ চাইলে তাদের মাধ্যমে এসব গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক গতকাল আজকের পত্রিকাকে জানান, কিছুদিন আগে তিনি ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে তাঁর ভাইয়ের মোবাইল ফোনের দুই মাসের কললিস্ট সংগ্রহ করেন। ওই যুবক বলেন, চাইলে যে কারও কললিস্ট ও এসএমএসের তথ্য পাওয়া যায়।
এনটিএমসির চিঠিতে বলা হয়, টেলিগ্রাম অ্যাপের তথ্য কেনাবেচার খোঁজ করতে গিয়ে তারা জানতে পারে, দুটি আইডি থেকে গত ২৫ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল—এক মাসে অনেক তথ্য হাতানো হয়েছে, যা অস্বাভাবিক। এই দুটি আইডির একটি ব্যবহার করেন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট বা এটিইউর পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন, অন্যটি র্যাব-৬-এর কর্মকর্তা তারেক আমান বান্না। এনটিএমসির পক্ষ থেকে তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত এই দুটি সংস্থার তথ্য নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
এনটিএমসির অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এটিইউর পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিনকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
তবে এটিইউর প্রধান, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এস এম রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংবেদনশীল ও গোপনীয় এসব তথ্য হস্তান্তরে কোনোভাবেই ফারহানা ইয়াসমিন জড়িত নন। তারপরও তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জানার চেষ্টা চলছে, কীভাবে কী হয়েছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে।
অন্যদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬-এ কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আমান বান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। তদন্তের পরই সব পরিষ্কার হবে।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তাই তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তথ্য নেওয়ার জন্য এনটিএমসি থেকে কর্মকর্তাদের নামে আইডি তৈরি করা হলেও তাঁরা সেটা ব্যবহার করেন না। এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের আইডি কর্মকর্তারা তুলে দেন অধীনস্থ কনস্টেবলদের হাতে। তাঁরাই টাকা নিয়ে তথ্য কেনাবেচা করেন।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান (জোহা) এ ব্যাপারে একমত পোষণ করে বলেন, তুলনামূলক ছোট কর্মকর্তাদের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও মনিটরিং থাকে না। অর্থের লোভে তাঁরা ব্যক্তিগত এসব তথ্য বাইরে বিক্রি করে দিতে পারেন।
এর সমাধান হিসেবে এই প্রযুক্তিবিদ মনে করেন, এনটিএমসি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। যেখানে সব তথ্য থাকবে। শুধু ইউনিটের প্রধানদেরই এই সফটওয়্যারে প্রবেশাধিকার থাকবে।
এনটিএমসির কর্মকর্তারা জানান, তথ্য ফাঁস নিয়ে তাঁরা টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে ১৩ মে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে এনটিএমসির পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলো হলো, এনআইডির সব তথ্য একটি সার্ভারে রাখা, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার আইডি বাতিল করে নতুন আইডি করা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয় এমন ক্ষেত্রে সব তথ্য না দেওয়া এবং টেলিফোনের সব তথ্য শুধু এনটিএমসি থেকে সংগ্রহ করার সুযোগ থাকা। সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এনটিএমসিকে ‘একক দায়িত্বে’ রাখার কথাও বলা হয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে নাগরিকের সব তথ্য বাইরে চলে গেলে মানুষের নাগরিক ও ব্যক্তিজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই অধ্যাপক আরও বলেন, নিজেদের খেয়ালখুশিমতো কেউ তথ্য নিতে পারবেন না। তদন্তের প্রয়োজনেই কেবল এই তথ্য দেওয়ার কথা। সেটা কড়াকড়ি করলেই কেবল এর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
(পত্রিকায় ছাপা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬-এ কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আমান বান্নার মন্তব্যটি অনলাইন সংস্করণে সংশোধন করা হয়েছে।)

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
২৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
২ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’
মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’
মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে গড়ে উঠেছে এক হাজারের মতো অবৈধ ডিজিটাল হাট। এসব গোপন হাটে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য (এনআইডি) ও মোবাইল ফোনের কথোপকথনের (কল ডেটা রেকর্ড–সিডিআর) কেনাবেচা হচ্ছে দেদার।
২১ মে ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
২ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে গড়ে উঠেছে এক হাজারের মতো অবৈধ ডিজিটাল হাট। এসব গোপন হাটে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য (এনআইডি) ও মোবাইল ফোনের কথোপকথনের (কল ডেটা রেকর্ড–সিডিআর) কেনাবেচা হচ্ছে দেদার।
২১ মে ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
২৮ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
২ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে গড়ে উঠেছে এক হাজারের মতো অবৈধ ডিজিটাল হাট। এসব গোপন হাটে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য (এনআইডি) ও মোবাইল ফোনের কথোপকথনের (কল ডেটা রেকর্ড–সিডিআর) কেনাবেচা হচ্ছে দেদার।
২১ মে ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
২৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১১ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে গড়ে উঠেছে এক হাজারের মতো অবৈধ ডিজিটাল হাট। এসব গোপন হাটে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য (এনআইডি) ও মোবাইল ফোনের কথোপকথনের (কল ডেটা রেকর্ড–সিডিআর) কেনাবেচা হচ্ছে দেদার।
২১ মে ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
২৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
২ ঘণ্টা আগে