রাহুল শর্মা, ঢাকা

শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
একই অবস্থা ফেনীর এনায়েত উল্লাহ মহিলা কলেজের শিক্ষক করিম উদ্দিনের। তিনিও দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখন পর্যন্ত অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।
১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) কার্যালয়ে এ দুই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, অবসরে যাওয়ার পর আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকার আশায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। কিন্তু এখন অবসর সুবিধা পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আবেদনগুলোর অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭০০টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি অথবা পরিশোধ করতে প্রয়োজন ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
তহবিল-সংকট এবং ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি দূর করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। পদাধিকারবলে দপ্তর দুটির বোর্ডে রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক রেজাউল করীম বলেন, ‘অর্থসংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল করার কাজও চলছে। আশা করছি, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অর্থ স্থানান্তর আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে করা হবে। এতে ভোগান্তি কমবে ও দ্রুত অর্থছাড় হবে।’
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অবসর ও কল্যাণ সুবিধার অর্থ পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষকেরা। তবে ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এ খাতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এর মূল কারণ ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত জটিলতা ও তহবিল-সংকট। এ জন্য নতুন করে আবেদন অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। শুধু আগে যেসব আবেদন অনুমোদন করা হয়েছিল, সেগুলোই নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধের কাজ চলছে।
সূত্র আরও বলছে, মূলত দুটি কারণে দীর্ঘদিন ধরে অবসর ও কল্যাণ ভাতা সময়মতো পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর একটি তহবিলের সংকট, অন্যটি ব্যবস্থাপনাগত জটিলতা।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি কল্যাণ ট্রাস্টে প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে ১৩ কোটি, আর অবসর বোর্ডে ৪২ কোটি টাকা। এ জন্য ভাতা পরিশোধে দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই দপ্তরে মাসে ঘাটতি হচ্ছে ৬৬০ কোটি টাকা। আর এখন পর্যন্ত যেসব আবেদন আছে, তা পরিশোধ করতে প্রয়োজন সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল না হওয়ায় ব্যবস্থাপনায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘বিশেষ’ সুপারিশে ভাতা পরিশোধের ক্রম লঙ্ঘন করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যাংকে যে প্রক্রিয়ায় ভাতা পাঠানো হয়, সেটিও জটিল। তবে সরকার পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, অবসর নেওয়ার পর প্রাপ্য ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষকদের অবসরের পর প্রাপ্য সুবিধা অবশ্যই যথাসময়ে দিতে হবে। তহবিল-সংকটের কথা বলে এ ক্ষেত্রে গড়িমসি অনুচিত, এটা বড় অন্যায়। প্রয়োজনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে হলেও শিক্ষকদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দ্রুত দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এ দেশে শিক্ষককেরা সব সময়ই অবহেলিত। মানবিক দিক বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।’
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আমরা আন্তরিক এ সমস্যা সমাধানে।’

শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
একই অবস্থা ফেনীর এনায়েত উল্লাহ মহিলা কলেজের শিক্ষক করিম উদ্দিনের। তিনিও দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখন পর্যন্ত অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।
১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) কার্যালয়ে এ দুই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, অবসরে যাওয়ার পর আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকার আশায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। কিন্তু এখন অবসর সুবিধা পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আবেদনগুলোর অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭০০টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি অথবা পরিশোধ করতে প্রয়োজন ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
তহবিল-সংকট এবং ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি দূর করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। পদাধিকারবলে দপ্তর দুটির বোর্ডে রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক রেজাউল করীম বলেন, ‘অর্থসংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল করার কাজও চলছে। আশা করছি, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অর্থ স্থানান্তর আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে করা হবে। এতে ভোগান্তি কমবে ও দ্রুত অর্থছাড় হবে।’
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অবসর ও কল্যাণ সুবিধার অর্থ পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষকেরা। তবে ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এ খাতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এর মূল কারণ ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত জটিলতা ও তহবিল-সংকট। এ জন্য নতুন করে আবেদন অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। শুধু আগে যেসব আবেদন অনুমোদন করা হয়েছিল, সেগুলোই নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধের কাজ চলছে।
সূত্র আরও বলছে, মূলত দুটি কারণে দীর্ঘদিন ধরে অবসর ও কল্যাণ ভাতা সময়মতো পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর একটি তহবিলের সংকট, অন্যটি ব্যবস্থাপনাগত জটিলতা।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি কল্যাণ ট্রাস্টে প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে ১৩ কোটি, আর অবসর বোর্ডে ৪২ কোটি টাকা। এ জন্য ভাতা পরিশোধে দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই দপ্তরে মাসে ঘাটতি হচ্ছে ৬৬০ কোটি টাকা। আর এখন পর্যন্ত যেসব আবেদন আছে, তা পরিশোধ করতে প্রয়োজন সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল না হওয়ায় ব্যবস্থাপনায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘বিশেষ’ সুপারিশে ভাতা পরিশোধের ক্রম লঙ্ঘন করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যাংকে যে প্রক্রিয়ায় ভাতা পাঠানো হয়, সেটিও জটিল। তবে সরকার পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, অবসর নেওয়ার পর প্রাপ্য ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষকদের অবসরের পর প্রাপ্য সুবিধা অবশ্যই যথাসময়ে দিতে হবে। তহবিল-সংকটের কথা বলে এ ক্ষেত্রে গড়িমসি অনুচিত, এটা বড় অন্যায়। প্রয়োজনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে হলেও শিক্ষকদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দ্রুত দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এ দেশে শিক্ষককেরা সব সময়ই অবহেলিত। মানবিক দিক বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।’
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আমরা আন্তরিক এ সমস্যা সমাধানে।’
রাহুল শর্মা, ঢাকা

শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
একই অবস্থা ফেনীর এনায়েত উল্লাহ মহিলা কলেজের শিক্ষক করিম উদ্দিনের। তিনিও দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখন পর্যন্ত অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।
১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) কার্যালয়ে এ দুই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, অবসরে যাওয়ার পর আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকার আশায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। কিন্তু এখন অবসর সুবিধা পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আবেদনগুলোর অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭০০টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি অথবা পরিশোধ করতে প্রয়োজন ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
তহবিল-সংকট এবং ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি দূর করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। পদাধিকারবলে দপ্তর দুটির বোর্ডে রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক রেজাউল করীম বলেন, ‘অর্থসংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল করার কাজও চলছে। আশা করছি, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অর্থ স্থানান্তর আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে করা হবে। এতে ভোগান্তি কমবে ও দ্রুত অর্থছাড় হবে।’
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অবসর ও কল্যাণ সুবিধার অর্থ পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষকেরা। তবে ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এ খাতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এর মূল কারণ ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত জটিলতা ও তহবিল-সংকট। এ জন্য নতুন করে আবেদন অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। শুধু আগে যেসব আবেদন অনুমোদন করা হয়েছিল, সেগুলোই নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধের কাজ চলছে।
সূত্র আরও বলছে, মূলত দুটি কারণে দীর্ঘদিন ধরে অবসর ও কল্যাণ ভাতা সময়মতো পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর একটি তহবিলের সংকট, অন্যটি ব্যবস্থাপনাগত জটিলতা।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি কল্যাণ ট্রাস্টে প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে ১৩ কোটি, আর অবসর বোর্ডে ৪২ কোটি টাকা। এ জন্য ভাতা পরিশোধে দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই দপ্তরে মাসে ঘাটতি হচ্ছে ৬৬০ কোটি টাকা। আর এখন পর্যন্ত যেসব আবেদন আছে, তা পরিশোধ করতে প্রয়োজন সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল না হওয়ায় ব্যবস্থাপনায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘বিশেষ’ সুপারিশে ভাতা পরিশোধের ক্রম লঙ্ঘন করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যাংকে যে প্রক্রিয়ায় ভাতা পাঠানো হয়, সেটিও জটিল। তবে সরকার পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, অবসর নেওয়ার পর প্রাপ্য ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষকদের অবসরের পর প্রাপ্য সুবিধা অবশ্যই যথাসময়ে দিতে হবে। তহবিল-সংকটের কথা বলে এ ক্ষেত্রে গড়িমসি অনুচিত, এটা বড় অন্যায়। প্রয়োজনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে হলেও শিক্ষকদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দ্রুত দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এ দেশে শিক্ষককেরা সব সময়ই অবহেলিত। মানবিক দিক বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।’
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আমরা আন্তরিক এ সমস্যা সমাধানে।’

শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
একই অবস্থা ফেনীর এনায়েত উল্লাহ মহিলা কলেজের শিক্ষক করিম উদ্দিনের। তিনিও দুই বছর আগে কল্যাণ ও অবসর সুবিধার জন্য আলাদা আবেদন জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনো আবেদনই এখন পর্যন্ত অনুমোদন করেনি কর্তৃপক্ষ।
১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) কার্যালয়ে এ দুই শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, অবসরে যাওয়ার পর আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকার আশায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। কিন্তু এখন অবসর সুবিধা পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের আবেদনগুলোর অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।
এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে অবসর সুবিধা দেওয়া। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭০০টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি অথবা পরিশোধ করতে প্রয়োজন ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে জানা যায়, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৭ হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তি করতে প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।
তহবিল-সংকট এবং ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি দূর করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম। পদাধিকারবলে দপ্তর দুটির বোর্ডে রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক রেজাউল করীম বলেন, ‘অর্থসংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটাল করার কাজও চলছে। আশা করছি, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অর্থ স্থানান্তর আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে করা হবে। এতে ভোগান্তি কমবে ও দ্রুত অর্থছাড় হবে।’
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই অবসর ও কল্যাণ সুবিধার অর্থ পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষকেরা। তবে ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর এ খাতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এর মূল কারণ ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত জটিলতা ও তহবিল-সংকট। এ জন্য নতুন করে আবেদন অনুমোদন বন্ধ রয়েছে। শুধু আগে যেসব আবেদন অনুমোদন করা হয়েছিল, সেগুলোই নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধের কাজ চলছে।
সূত্র আরও বলছে, মূলত দুটি কারণে দীর্ঘদিন ধরে অবসর ও কল্যাণ ভাতা সময়মতো পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর একটি তহবিলের সংকট, অন্যটি ব্যবস্থাপনাগত জটিলতা।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি কল্যাণ ট্রাস্টে প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে ১৩ কোটি, আর অবসর বোর্ডে ৪২ কোটি টাকা। এ জন্য ভাতা পরিশোধে দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই দপ্তরে মাসে ঘাটতি হচ্ছে ৬৬০ কোটি টাকা। আর এখন পর্যন্ত যেসব আবেদন আছে, তা পরিশোধ করতে প্রয়োজন সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল না হওয়ায় ব্যবস্থাপনায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘বিশেষ’ সুপারিশে ভাতা পরিশোধের ক্রম লঙ্ঘন করা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যাংকে যে প্রক্রিয়ায় ভাতা পাঠানো হয়, সেটিও জটিল। তবে সরকার পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, অবসর নেওয়ার পর প্রাপ্য ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির শিকার হওয়া খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষকদের অবসরের পর প্রাপ্য সুবিধা অবশ্যই যথাসময়ে দিতে হবে। তহবিল-সংকটের কথা বলে এ ক্ষেত্রে গড়িমসি অনুচিত, এটা বড় অন্যায়। প্রয়োজনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে হলেও শিক্ষকদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা দ্রুত দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এ দেশে শিক্ষককেরা সব সময়ই অবহেলিত। মানবিক দিক বিবেচনা করে সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।’
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘মূলত তহবিল-সংকটের কারণে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আমরা আন্তরিক এ সমস্যা সমাধানে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৩ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৩ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

শেরপুর জেলার মাটিকাটা জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোজাম্মেল হক অবসরে গেছেন ২০২১ সালে। অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১৩ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে