
সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিএনপির আপত্তি এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে দলটির অবস্থান নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বিএনপির সমালোচনায় মুখর। বিএনপির নেতারাও সমন্বয়ক ও সরকারের সংস্কারের পক্ষে সরব ব্যক্তিদের সমালোচনা করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বিষয়ে অনড়। অন্যদিকে বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এমনকি তারা এখনই নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণও চায়।
হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘বিগত দেড় দশকের আওয়ামী স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে নির্মমভাবে পিষ্ট হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। আওয়ামী লীগের অন্যায়, অবিচার ও প্রহসনমূলক অপশাসনের দরুন তারা তাদের বহুসংখ্যক একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীকে চিরতরে হারিয়েছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার হরণসহ সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে বিগত দিনগুলোয় দল হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগ চালিয়েছে নির্মমতম অত্যাচারের খড়্গ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া খেটে খাওয়া দিনমজুর থেকে শুরু করে সাধারণ শিশু-কিশোরেরাও শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী স্বৈরশাসনের দুর্দিন পেরিয়ে চব্বিশের সফল গণ-অভ্যুত্থান এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার চিরতরে বিলোপের স্বার্থেই সব নিপীড়িত দলকে এক মহান ঐক্যের সামনে হাজির করেছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কোনো ঠাঁই নেই। দল হিসেবে যে আওয়ামী লীগ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের আপামর মানুষের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করে গুম-খুন ও অন্যায়-অবিচারের রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আগামীর ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার বিন্দুমাত্র সুযোগ অবশিষ্ট নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ ও বিগত বছরে আওয়ামী অপশাসনের পেছনে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তাদের বিচারের দাবিই এখন বাংলাদেশের তামাম জনগণের মুখে মুখে, অন্তরে অন্তরে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘একটি ব্যাপার আমাদের মনে রাখা দরকার, এত রক্ত বিসর্জনের পরে আমরা কেউই আর ’৭১ ও ’৯০-এর ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা যেমন চাই না আমাদের দেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক, তেমনই চাই না যে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে পুনরায় কোনো বহিঃশক্তির আধিপত্য কায়েম হোক। দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে এই মহৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের সবার একতা বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত-নির্বিশেষে আমরা এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব একই গন্তব্যের দিকে।’
‘বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো দলের সাথেই শিক্ষার্থীদের ভেদাভেদ নেই। তা ছাড়া এই গণ-অভ্যুত্থানের পরে একটি ব্যাপার দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে যে বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতি কখনোই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। সুতরাং আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই। অপশাসনের বদলে সুশাসন চাই। বাংলাদেশের মানুষ বহুকাল যাবৎ নানাবিধ দুর্দশায় দিনানিপাত করছে; আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘পুনরায় বলি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণে এই মুহূর্তে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য অপরিহার্য। সুতরাং আমরা পারস্পরিক রেষারেষি, অবিশ্বাস ও দলাদলির বদলে একতা ও ঐক্যের দৃষ্টান্ত কায়েম করব। একই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দলমত-নির্বিশেষে আমরা সবাই আগামীতে এক হয়ে কাজ করব। বিভাজন নয়, ঐক্য চাই। ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্য চাই।’

সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিএনপির আপত্তি এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে দলটির অবস্থান নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বিএনপির সমালোচনায় মুখর। বিএনপির নেতারাও সমন্বয়ক ও সরকারের সংস্কারের পক্ষে সরব ব্যক্তিদের সমালোচনা করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বিষয়ে অনড়। অন্যদিকে বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এমনকি তারা এখনই নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণও চায়।
হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘বিগত দেড় দশকের আওয়ামী স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে নির্মমভাবে পিষ্ট হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। আওয়ামী লীগের অন্যায়, অবিচার ও প্রহসনমূলক অপশাসনের দরুন তারা তাদের বহুসংখ্যক একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীকে চিরতরে হারিয়েছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার হরণসহ সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে বিগত দিনগুলোয় দল হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগ চালিয়েছে নির্মমতম অত্যাচারের খড়্গ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া খেটে খাওয়া দিনমজুর থেকে শুরু করে সাধারণ শিশু-কিশোরেরাও শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী স্বৈরশাসনের দুর্দিন পেরিয়ে চব্বিশের সফল গণ-অভ্যুত্থান এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার চিরতরে বিলোপের স্বার্থেই সব নিপীড়িত দলকে এক মহান ঐক্যের সামনে হাজির করেছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কোনো ঠাঁই নেই। দল হিসেবে যে আওয়ামী লীগ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের আপামর মানুষের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করে গুম-খুন ও অন্যায়-অবিচারের রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আগামীর ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার বিন্দুমাত্র সুযোগ অবশিষ্ট নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ ও বিগত বছরে আওয়ামী অপশাসনের পেছনে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তাদের বিচারের দাবিই এখন বাংলাদেশের তামাম জনগণের মুখে মুখে, অন্তরে অন্তরে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘একটি ব্যাপার আমাদের মনে রাখা দরকার, এত রক্ত বিসর্জনের পরে আমরা কেউই আর ’৭১ ও ’৯০-এর ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা যেমন চাই না আমাদের দেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক, তেমনই চাই না যে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে পুনরায় কোনো বহিঃশক্তির আধিপত্য কায়েম হোক। দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে এই মহৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের সবার একতা বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত-নির্বিশেষে আমরা এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব একই গন্তব্যের দিকে।’
‘বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো দলের সাথেই শিক্ষার্থীদের ভেদাভেদ নেই। তা ছাড়া এই গণ-অভ্যুত্থানের পরে একটি ব্যাপার দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে যে বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতি কখনোই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। সুতরাং আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই। অপশাসনের বদলে সুশাসন চাই। বাংলাদেশের মানুষ বহুকাল যাবৎ নানাবিধ দুর্দশায় দিনানিপাত করছে; আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘পুনরায় বলি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণে এই মুহূর্তে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য অপরিহার্য। সুতরাং আমরা পারস্পরিক রেষারেষি, অবিশ্বাস ও দলাদলির বদলে একতা ও ঐক্যের দৃষ্টান্ত কায়েম করব। একই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দলমত-নির্বিশেষে আমরা সবাই আগামীতে এক হয়ে কাজ করব। বিভাজন নয়, ঐক্য চাই। ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্য চাই।’

সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিএনপির আপত্তি এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে দলটির অবস্থান নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বিএনপির সমালোচনায় মুখর। বিএনপির নেতারাও সমন্বয়ক ও সরকারের সংস্কারের পক্ষে সরব ব্যক্তিদের সমালোচনা করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বিষয়ে অনড়। অন্যদিকে বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এমনকি তারা এখনই নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণও চায়।
হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘বিগত দেড় দশকের আওয়ামী স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে নির্মমভাবে পিষ্ট হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। আওয়ামী লীগের অন্যায়, অবিচার ও প্রহসনমূলক অপশাসনের দরুন তারা তাদের বহুসংখ্যক একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীকে চিরতরে হারিয়েছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার হরণসহ সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে বিগত দিনগুলোয় দল হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগ চালিয়েছে নির্মমতম অত্যাচারের খড়্গ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া খেটে খাওয়া দিনমজুর থেকে শুরু করে সাধারণ শিশু-কিশোরেরাও শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী স্বৈরশাসনের দুর্দিন পেরিয়ে চব্বিশের সফল গণ-অভ্যুত্থান এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার চিরতরে বিলোপের স্বার্থেই সব নিপীড়িত দলকে এক মহান ঐক্যের সামনে হাজির করেছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কোনো ঠাঁই নেই। দল হিসেবে যে আওয়ামী লীগ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের আপামর মানুষের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করে গুম-খুন ও অন্যায়-অবিচারের রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আগামীর ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার বিন্দুমাত্র সুযোগ অবশিষ্ট নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ ও বিগত বছরে আওয়ামী অপশাসনের পেছনে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তাদের বিচারের দাবিই এখন বাংলাদেশের তামাম জনগণের মুখে মুখে, অন্তরে অন্তরে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘একটি ব্যাপার আমাদের মনে রাখা দরকার, এত রক্ত বিসর্জনের পরে আমরা কেউই আর ’৭১ ও ’৯০-এর ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা যেমন চাই না আমাদের দেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক, তেমনই চাই না যে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে পুনরায় কোনো বহিঃশক্তির আধিপত্য কায়েম হোক। দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে এই মহৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের সবার একতা বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত-নির্বিশেষে আমরা এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব একই গন্তব্যের দিকে।’
‘বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো দলের সাথেই শিক্ষার্থীদের ভেদাভেদ নেই। তা ছাড়া এই গণ-অভ্যুত্থানের পরে একটি ব্যাপার দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে যে বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতি কখনোই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। সুতরাং আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই। অপশাসনের বদলে সুশাসন চাই। বাংলাদেশের মানুষ বহুকাল যাবৎ নানাবিধ দুর্দশায় দিনানিপাত করছে; আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘পুনরায় বলি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণে এই মুহূর্তে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য অপরিহার্য। সুতরাং আমরা পারস্পরিক রেষারেষি, অবিশ্বাস ও দলাদলির বদলে একতা ও ঐক্যের দৃষ্টান্ত কায়েম করব। একই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দলমত-নির্বিশেষে আমরা সবাই আগামীতে এক হয়ে কাজ করব। বিভাজন নয়, ঐক্য চাই। ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্য চাই।’

সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিএনপির আপত্তি এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে দলটির অবস্থান নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বিএনপির সমালোচনায় মুখর। বিএনপির নেতারাও সমন্বয়ক ও সরকারের সংস্কারের পক্ষে সরব ব্যক্তিদের সমালোচনা করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বিষয়ে অনড়। অন্যদিকে বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এমনকি তারা এখনই নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণও চায়।
হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘বিগত দেড় দশকের আওয়ামী স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে নির্মমভাবে পিষ্ট হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। আওয়ামী লীগের অন্যায়, অবিচার ও প্রহসনমূলক অপশাসনের দরুন তারা তাদের বহুসংখ্যক একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীকে চিরতরে হারিয়েছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার হরণসহ সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে বিগত দিনগুলোয় দল হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগ চালিয়েছে নির্মমতম অত্যাচারের খড়্গ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া খেটে খাওয়া দিনমজুর থেকে শুরু করে সাধারণ শিশু-কিশোরেরাও শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী স্বৈরশাসনের দুর্দিন পেরিয়ে চব্বিশের সফল গণ-অভ্যুত্থান এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার চিরতরে বিলোপের স্বার্থেই সব নিপীড়িত দলকে এক মহান ঐক্যের সামনে হাজির করেছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লিখেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কোনো ঠাঁই নেই। দল হিসেবে যে আওয়ামী লীগ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের আপামর মানুষের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করে গুম-খুন ও অন্যায়-অবিচারের রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আগামীর ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার বিন্দুমাত্র সুযোগ অবশিষ্ট নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ ও বিগত বছরে আওয়ামী অপশাসনের পেছনে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তাদের বিচারের দাবিই এখন বাংলাদেশের তামাম জনগণের মুখে মুখে, অন্তরে অন্তরে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘একটি ব্যাপার আমাদের মনে রাখা দরকার, এত রক্ত বিসর্জনের পরে আমরা কেউই আর ’৭১ ও ’৯০-এর ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা যেমন চাই না আমাদের দেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক, তেমনই চাই না যে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে পুনরায় কোনো বহিঃশক্তির আধিপত্য কায়েম হোক। দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে এই মহৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের সবার একতা বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত-নির্বিশেষে আমরা এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব একই গন্তব্যের দিকে।’
‘বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো দলের সাথেই শিক্ষার্থীদের ভেদাভেদ নেই। তা ছাড়া এই গণ-অভ্যুত্থানের পরে একটি ব্যাপার দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে যে বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতি কখনোই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। সুতরাং আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই। অপশাসনের বদলে সুশাসন চাই। বাংলাদেশের মানুষ বহুকাল যাবৎ নানাবিধ দুর্দশায় দিনানিপাত করছে; আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘পুনরায় বলি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণে এই মুহূর্তে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য অপরিহার্য। সুতরাং আমরা পারস্পরিক রেষারেষি, অবিশ্বাস ও দলাদলির বদলে একতা ও ঐক্যের দৃষ্টান্ত কায়েম করব। একই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দলমত-নির্বিশেষে আমরা সবাই আগামীতে এক হয়ে কাজ করব। বিভাজন নয়, ঐক্য চাই। ফ্যাসিবাদ বিলোপে ঐক্য চাই।’

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী...
২ ঘণ্টা আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘মব’ বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রখ্যাত তরুণ নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যাকাণ্ডের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়। একই সময়ে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
আইরিন খান বলেন, ‘এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি। বিচারহীনতা দূর করতে এবং সংবাদমাধ্যম ও শিল্প-সাহিত্যের স্বাধীনতা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতাই এসব ঘটনার পথ তৈরি করেছে।’ শরিফ ওসমান বিন হাদির পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর ঘোষণার পর সাংবাদিক ও শিল্পীদের লক্ষ্য করে সংগঠিত সহিংসতারও তিনি কঠোর নিন্দা জানান।
জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, জনরোষকে সাংবাদিক ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক—বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন দেশ একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বর ও ভিন্নমতের ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে কয়েক শ সাংবাদিককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অস্পষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে দীর্ঘ সময় নিবর্তনমূলকভাবে আটক রাখা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। আইরিন খান বলেন, সরকার যদি নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়, তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে।

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘মব’ বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রখ্যাত তরুণ নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যাকাণ্ডের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়। একই সময়ে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
আইরিন খান বলেন, ‘এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি। বিচারহীনতা দূর করতে এবং সংবাদমাধ্যম ও শিল্প-সাহিত্যের স্বাধীনতা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতাই এসব ঘটনার পথ তৈরি করেছে।’ শরিফ ওসমান বিন হাদির পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর ঘোষণার পর সাংবাদিক ও শিল্পীদের লক্ষ্য করে সংগঠিত সহিংসতারও তিনি কঠোর নিন্দা জানান।
জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, জনরোষকে সাংবাদিক ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক—বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন দেশ একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বর ও ভিন্নমতের ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে কয়েক শ সাংবাদিককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অস্পষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে দীর্ঘ সময় নিবর্তনমূলকভাবে আটক রাখা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। আইরিন খান বলেন, সরকার যদি নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়, তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে।

জুলাই–আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বিষয়ে অনড়। অন্যদিকে বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এমনকি তারা এখনই নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণও চায়...
২০ নভেম্বর ২০২৪
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গানটি গেয়েছেন স্টয়িক ব্লিসখ্যাত কাজী।

আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গানটি গেয়েছেন স্টয়িক ব্লিসখ্যাত কাজী।

জুলাই–আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বিষয়ে অনড়। অন্যদিকে বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এমনকি তারা এখনই নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণও চায়...
২০ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী...
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
২ ঘণ্টা আগেবিবিসি বাংলা

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ ও হুমকি প্রদান, ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসাকেন্দ্রে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
এর জের ধরে বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ১৬ মাসে একই দিনে সকালে এক দেশের দূতকে তলবের পাল্টায় বিকেলে অন্য দেশের দূতকে তলবের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর মিছিলের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল করেছেন বামপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হিন্দুত্ববাদীরা একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও বামপন্থীরা সেই চেষ্টা করেনি।

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ ও হুমকি প্রদান, ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসাকেন্দ্রে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
এর জের ধরে বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ১৬ মাসে একই দিনে সকালে এক দেশের দূতকে তলবের পাল্টায় বিকেলে অন্য দেশের দূতকে তলবের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর মিছিলের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল করেছেন বামপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হিন্দুত্ববাদীরা একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও বামপন্থীরা সেই চেষ্টা করেনি।

জুলাই–আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বিষয়ে অনড়। অন্যদিকে বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এমনকি তারা এখনই নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণও চায়...
২০ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী...
২ ঘণ্টা আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার পর সাতজনের পক্ষে থাকা আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে হবে, ভিকটিম ব্যারিস্টার আরমানের লেখা বই পড়া ও অভিযোগ-সংক্রান্ত এত বড় ভলিউম পড়তে হবে। প্রস্তুতির জন্য আমার সময় প্রয়োজন। তা ছাড়া আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ আবেদন করব।’
এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। সে সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে আদেশের সময় ১০ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি, এই আদালতের মাধ্যমে আমরা ইনসাফ পাব।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারের মধ্য দিয়ে তথ্য-প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বিচার ছাড়া আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড পাওয়া গেছে। সে কারণে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হলো।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
প্রস্তুতির জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবী তাবারক হোসেন তিন মাস সময় চান। এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’
বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো আদেশ দিইনি। আমরা আলোচনা করছি। আমরা কি কথা বলতে পারব না?’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনি মতামত দিয়েছেন। আপনি মতামত দিলে আসামিপক্ষ সুবিধা নেবে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’ বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আপনি এভাবে মন্তব্য করতে পারেন না। আপনি কথায় কথায় দাঁড়িয়ে যাবেন না। আপনার কথায় আমাদের চলতে হবে? আপনি আমাদের হ্যান্ডিক্যাপ বানিয়ে রাখবেন? আপনি বসেন।’ এ সময় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য নিরুত্তর ছিলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনারা কথা বলবেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য না শুনে সিদ্ধান্ত দিলে গ্রাউন্ড তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন একটি বিশেষ আইন। অপরাধের গুরুত্বের কারণে বিলম্ব ছাড়া বিচার করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের পর আসামিপক্ষকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আইনে। কিন্তু এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আগেই আসামিপক্ষ চার সপ্তাহ সময় পেয়েছে। এখন তিন সপ্তাহের বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। আসামিপক্ষের আইনজীবী অসুস্থ থাকলে তিনি মামলা ছেড়ে দেবেন। তাঁর জন্য তো আদালত বসে থাকবে না। সাতজন আসামির জন্য কি আলাদাভাবে সময় দিতে হবে? একই ঘটনা, একই অভিযোগ। মূলত আসামিপক্ষ মামলা বিলম্ব করতে চায়।’
আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতির জন্য তিন মাস সময় চাই।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘তিন সপ্তাহ পাবেন।’ তাবারক হোসেন বলেন, ‘এর আগে ডিজিএফআইয়ের মামলায় এক মাস সময় দিয়েছেন।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদার বলেন, ‘ঠিক আছে, চার সপ্তাহ।’ এ সময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য আছে। আসামিপক্ষের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই বিচার হতে না দেওয়া। এখানে গত ১৫ বছর কী হয়েছে, আমরা দেখেছি।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে জন্যই তো আপনাদের আপত্তি। তখন যা হয়েছে, আমরা তো তা করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাইরে গিয়ে বলেন, এখানে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাইপ তুলে সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আসামিরা ঘটনার সময় র্যাবে ছিলেন, সেই সময়কার অপরাধের বিচার হচ্ছে। তাঁরা সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায়, আর্মির পোশাকে এই অপরাধ করেননি।’
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আর্মির বিরুদ্ধে না। এখানে সেনাবাহিনীর বিচার হচ্ছে না। আর আমরা ডিলে অ্যালাউ করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, ছুরিকাঘাত করা হচ্ছে। সাক্ষীকে মেরে ফেললে আমরা বিচার করব কীভাবে?’ আইনজীবী তাবারক হোসেন হঠাৎ দাঁড়িয়ে চিফ প্রসিকিউটরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তাড়াহুড়ো করছেন কেন? জাস্টিস হারিড, জাস্টিস বারিড।’ এ সময় উত্তেজিত হয়ে যান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি তাবারক হোসেনকে বলেন, ‘আমরা কোনো তাড়াহুড়ো করছি না। আপনি দাঁড়ালেন কেন? আপনি বসেন।’ এ সময় বিচারকও আইনজীবীকে বসতে বলেন। ট্রাইব্যুনাল চার সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেন। পরে আইনজীবী তাবারক হোসেন ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুমতি নিয়ে কথা বলি। বললে আপনারা বলতে পারেন। তিনি (চিফ প্রসিকিউটর) বসার কথা বলতে পারেন না। আমি উনার সিনিয়র। আমি কথা বললে উনি পেছন থেকে ডিক্টেট করেন। উনি এটা করতে পারেন না।’
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (চিফ প্রসিকিউটর) কিছু রিপ্লাই দিয়েছেন। তাঁর কথা শেষ না হতেই তিনি (তাবারক হোসেন) কথা বলতে শুরু করেছেন।’ পরে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘একজনের কথা শেষ না করতে অন্যজন কথা বলবেন না।’ পরে আদালত সূচনা বক্তব্যের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।
এ মামলার শুনানি শেষ হলে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে থাকা গুমের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করে দেন। এ সময় আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ হাস্যচ্ছলে বলেন, ‘আপনারা আমাদের হ্যাপি নিউ ইয়ারও পালন করতে দেবেন না দেখছি।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ারের জায়গায় হ্যাপি জানাজা হয়ে যায় কি না, বলা তো যায় না।’ তখন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ওপরের দিকে ইশারা করে বলেন—মৃত্যুর ফয়সালা আসমানে হয়।
এর আগে র্যাবের টিএফআইয়ের মাধ্যমে গুম–নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সময় আবেদন মঞ্জুর নিয়ে শুনানিতে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বিচারকের মধ্যে।
অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার পর সাতজনের পক্ষে থাকা আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে হবে, ভিকটিম ব্যারিস্টার আরমানের লেখা বই পড়া ও অভিযোগ-সংক্রান্ত এত বড় ভলিউম পড়তে হবে। প্রস্তুতির জন্য আমার সময় প্রয়োজন। তা ছাড়া আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ আবেদন করব।’
এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। সে সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে আদেশের সময় ১০ জন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি, এই আদালতের মাধ্যমে আমরা ইনসাফ পাব।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারের মধ্য দিয়ে তথ্য-প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বিচার ছাড়া আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড পাওয়া গেছে। সে কারণে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হলো।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
প্রস্তুতির জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবী তাবারক হোসেন তিন মাস সময় চান। এ সময় ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা সময় দেব।’ তবে প্রসিকিউশনের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য না শুনে সময় দেওয়া ঠিক হবে না।’
বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো আদেশ দিইনি। আমরা আলোচনা করছি। আমরা কি কথা বলতে পারব না?’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনি মতামত দিয়েছেন। আপনি মতামত দিলে আসামিপক্ষ সুবিধা নেবে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’ বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘আপনি এভাবে মন্তব্য করতে পারেন না। আপনি কথায় কথায় দাঁড়িয়ে যাবেন না। আপনার কথায় আমাদের চলতে হবে? আপনি আমাদের হ্যান্ডিক্যাপ বানিয়ে রাখবেন? আপনি বসেন।’ এ সময় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য নিরুত্তর ছিলেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আপনারা কথা বলবেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য না শুনে সিদ্ধান্ত দিলে গ্রাউন্ড তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন একটি বিশেষ আইন। অপরাধের গুরুত্বের কারণে বিলম্ব ছাড়া বিচার করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের পর আসামিপক্ষকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আইনে। কিন্তু এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আগেই আসামিপক্ষ চার সপ্তাহ সময় পেয়েছে। এখন তিন সপ্তাহের বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। আসামিপক্ষের আইনজীবী অসুস্থ থাকলে তিনি মামলা ছেড়ে দেবেন। তাঁর জন্য তো আদালত বসে থাকবে না। সাতজন আসামির জন্য কি আলাদাভাবে সময় দিতে হবে? একই ঘটনা, একই অভিযোগ। মূলত আসামিপক্ষ মামলা বিলম্ব করতে চায়।’
আইনজীবী তাবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতির জন্য তিন মাস সময় চাই।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘তিন সপ্তাহ পাবেন।’ তাবারক হোসেন বলেন, ‘এর আগে ডিজিএফআইয়ের মামলায় এক মাস সময় দিয়েছেন।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদার বলেন, ‘ঠিক আছে, চার সপ্তাহ।’ এ সময় চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য আছে। আসামিপক্ষের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই বিচার হতে না দেওয়া। এখানে গত ১৫ বছর কী হয়েছে, আমরা দেখেছি।’ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে জন্যই তো আপনাদের আপত্তি। তখন যা হয়েছে, আমরা তো তা করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বাইরে গিয়ে বলেন, এখানে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাইপ তুলে সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আসামিরা ঘটনার সময় র্যাবে ছিলেন, সেই সময়কার অপরাধের বিচার হচ্ছে। তাঁরা সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায়, আর্মির পোশাকে এই অপরাধ করেননি।’
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আর্মির বিরুদ্ধে না। এখানে সেনাবাহিনীর বিচার হচ্ছে না। আর আমরা ডিলে অ্যালাউ করব না।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, ছুরিকাঘাত করা হচ্ছে। সাক্ষীকে মেরে ফেললে আমরা বিচার করব কীভাবে?’ আইনজীবী তাবারক হোসেন হঠাৎ দাঁড়িয়ে চিফ প্রসিকিউটরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তাড়াহুড়ো করছেন কেন? জাস্টিস হারিড, জাস্টিস বারিড।’ এ সময় উত্তেজিত হয়ে যান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি তাবারক হোসেনকে বলেন, ‘আমরা কোনো তাড়াহুড়ো করছি না। আপনি দাঁড়ালেন কেন? আপনি বসেন।’ এ সময় বিচারকও আইনজীবীকে বসতে বলেন। ট্রাইব্যুনাল চার সপ্তাহের সময় মঞ্জুর করেন। পরে আইনজীবী তাবারক হোসেন ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুমতি নিয়ে কথা বলি। বললে আপনারা বলতে পারেন। তিনি (চিফ প্রসিকিউটর) বসার কথা বলতে পারেন না। আমি উনার সিনিয়র। আমি কথা বললে উনি পেছন থেকে ডিক্টেট করেন। উনি এটা করতে পারেন না।’
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (চিফ প্রসিকিউটর) কিছু রিপ্লাই দিয়েছেন। তাঁর কথা শেষ না হতেই তিনি (তাবারক হোসেন) কথা বলতে শুরু করেছেন।’ পরে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ বলেন, ‘একজনের কথা শেষ না করতে অন্যজন কথা বলবেন না।’ পরে আদালত সূচনা বক্তব্যের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।
এ মামলার শুনানি শেষ হলে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে থাকা গুমের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করে দেন। এ সময় আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ হাস্যচ্ছলে বলেন, ‘আপনারা আমাদের হ্যাপি নিউ ইয়ারও পালন করতে দেবেন না দেখছি।’ চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ারের জায়গায় হ্যাপি জানাজা হয়ে যায় কি না, বলা তো যায় না।’ তখন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ওপরের দিকে ইশারা করে বলেন—মৃত্যুর ফয়সালা আসমানে হয়।
এর আগে র্যাবের টিএফআইয়ের মাধ্যমে গুম–নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

জুলাই–আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার বিষয়ে অনড়। অন্যদিকে বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। এমনকি তারা এখনই নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণও চায়...
২০ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী...
২ ঘণ্টা আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
২ ঘণ্টা আগে