Ajker Patrika

পুলিশে ফিরছেন চাকরিচ্যুতরা, শীর্ষস্থানীয় পদ ফের চুক্তিভিত্তিক

  • চাকরিচ্যুত ৯ কর্মকর্তা ইতিমধ্যে পুনর্বহাল
  • ১০ কর্মকর্তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার
  • বিভাগীয় মামলা থেকে কয়েকজনকে অব্যাহতি
  • বিগত সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ২৮ জন
  • বরখাস্ত ও ওএসডি করা হয়েছিল ২৮ জনকে
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫: ৫৪
পুলিশে ফিরছেন চাকরিচ্যুতরা, শীর্ষস্থানীয় পদ ফের চুক্তিভিত্তিক

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।

পুলিশের এসব কর্মকর্তার মধ্যে অনেকে চাকরি ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ আমলেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। কেউ ট্রাইব্যুনালের রায়ে, আবার কেউ মামলা প্রত্যাহার করার শর্তে পুনর্বহাল হয়েছেন। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ৫১ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে ২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় এবং ২৮ জনকে বরখাস্ত ও ওএসডি করে রাখা হয়। চাকরিচ্যুতদের একজন হলেন পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) এ কে মাহফুজুল হক। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ২০০৯ সালে তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ছিলেন। তাঁকে দিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি শুরু করে। চাকরিচ্যুত হওয়া ২৮ এবং ওএসডি করে রাখা ২৮ জন সরকার পরিবর্তনের পর তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে সাময়িক বরখাস্ত, স্থায়ী বরখাস্ত করা হয় অনেককে। তাঁরাও চাকরিতে নিয়মিত হতে চান। তাঁদের দাবির তুলনায় চাকরিতে পুনর্বহালের সংখ্যা খুব কম।

জানা গেছে, যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। চাকরিচ্যুত কয়েকজনকে অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে। কয়েকজনকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, যাঁরা সত্যিকারের বঞ্চিত তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্য কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, যাঁদের দিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনগণ লাভবান হবে। তবে অতীতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত পছন্দের লোককে ফিরিয়ে আনা হয়।

ঘুষগ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক কারণে সাময়িক বরখাস্ত, ওএসডি ও চাকরিচ্যুতির নজির আছে। আগের সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাকে পরবর্তী সরকারের আমলে পুনর্বহালের ঘটনাও ঘটে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অসাধু কর্মকর্তার চাকরি ফিরে পাওয়ার অভিযোগও ওঠে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত ২৭ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পতিত সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো পাঁচ কর্মকর্তাকে সেদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ছিলেন রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আলী হোসেন ফকির, সিআইডির পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিয়া, ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান এবং সিআইডির পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান।

এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক পুলিশ সুপার আলী আকবর খানকে, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায় অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে, ২২ নভেম্বর অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুব আলমকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাজ্জাত আলী পুনর্বহালের তিন দিনের মাথায় ডিএমপির কমিশনার নিয়োগ হন। সর্বশেষ গত সোমবার পুলিশ সুপার মো. মুনির হোসেনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।

সূত্র বলেছে, বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অপেশাদার আচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নৌ পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আরেফ, রংপুরের পুলিশ সুপার মিলু মিয়া, শিল্প পুলিশ-২-এর সাবেক পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান ও ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের পুলিশ সুপার শামীমা ইয়াসমিন। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরে এক কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে মো. আব্দুল্লাহ আরেফকে সাময়িক বরখাস্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন। মিলু মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছিল ৭ বছরের এক শিশুকে আসামির মতো গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করায়। তাঁকেও বিভাগীয় মামলা থেকে ৬ নভেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়। সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই বিভাগীয় মামলা করা হয়। সেই মামলা থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি দায়মুক্তি পান। দীর্ঘদিন গরহাজিরের কারণে বিভাগীয় মামলা হওয়া ও গুরুদণ্ড পাওয়া শামীমা ইয়াসমিনকে ২৯ আগস্ট অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পুলিশ বাহিনীতে চাকরিতে পুনর্বহালের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পদ ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের প্রধানদের বছরের পর বছর চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে পদোন্নতি ও পদায়নে জটলার সৃষ্টি হতো। অনেকে বঞ্চিত হতেন।

বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম এবং ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলীকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। র‍্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানের এক বছরের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরোধিতা করে পুলিশের সাবেক আইজি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তাই বলে ধারাবাহিকভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সমর্থনযোগ্য নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিলেও তা ৬ মাস বা ১ বছরের বেশি হওয়া উচিত নয়। এতে বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি কার্যক্রম ব্যর্থ মনে হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুমোদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল বিএনটিটিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।

তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ কাল

বাসস, ঢাকা  
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ফাইল ছবি
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ফাইল ছবি

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার সিরিয়াস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাসস, ঢাকা  
ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে শনিবার ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: বাসস
ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে শনিবার ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: বাসস

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’

আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’

ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন সোমবার, ঢাকার ৬ জেলায় এ পর্যন্ত সংগ্রহ ৫০৯টি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘রোববার সারা দেশ থেকে মনোনয়নপত্র-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’

ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাঁর দুই আসন থেকে ২৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর শুধু ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোহেল রানা নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

মো. ইউনুচ আলী আরও জানান, ঢাকার ছয়টি জেলার ৪১টি আসন থেকে ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলার ৩৬টি আসন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।

বেলায়েত হোসেন আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ২৩ আসনে শুক্রবার পর্যন্ত ১৯৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণ চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত