আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
পুলিশের এসব কর্মকর্তার মধ্যে অনেকে চাকরি ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ আমলেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। কেউ ট্রাইব্যুনালের রায়ে, আবার কেউ মামলা প্রত্যাহার করার শর্তে পুনর্বহাল হয়েছেন। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ৫১ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে ২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় এবং ২৮ জনকে বরখাস্ত ও ওএসডি করে রাখা হয়। চাকরিচ্যুতদের একজন হলেন পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) এ কে মাহফুজুল হক। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ২০০৯ সালে তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ছিলেন। তাঁকে দিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি শুরু করে। চাকরিচ্যুত হওয়া ২৮ এবং ওএসডি করে রাখা ২৮ জন সরকার পরিবর্তনের পর তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে সাময়িক বরখাস্ত, স্থায়ী বরখাস্ত করা হয় অনেককে। তাঁরাও চাকরিতে নিয়মিত হতে চান। তাঁদের দাবির তুলনায় চাকরিতে পুনর্বহালের সংখ্যা খুব কম।
জানা গেছে, যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। চাকরিচ্যুত কয়েকজনকে অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে। কয়েকজনকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, যাঁরা সত্যিকারের বঞ্চিত তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্য কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, যাঁদের দিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনগণ লাভবান হবে। তবে অতীতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত পছন্দের লোককে ফিরিয়ে আনা হয়।
ঘুষগ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক কারণে সাময়িক বরখাস্ত, ওএসডি ও চাকরিচ্যুতির নজির আছে। আগের সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাকে পরবর্তী সরকারের আমলে পুনর্বহালের ঘটনাও ঘটে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অসাধু কর্মকর্তার চাকরি ফিরে পাওয়ার অভিযোগও ওঠে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত ২৭ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পতিত সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো পাঁচ কর্মকর্তাকে সেদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ছিলেন রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আলী হোসেন ফকির, সিআইডির পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিয়া, ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান এবং সিআইডির পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান।
এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক পুলিশ সুপার আলী আকবর খানকে, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায় অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে, ২২ নভেম্বর অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুব আলমকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাজ্জাত আলী পুনর্বহালের তিন দিনের মাথায় ডিএমপির কমিশনার নিয়োগ হন। সর্বশেষ গত সোমবার পুলিশ সুপার মো. মুনির হোসেনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।
সূত্র বলেছে, বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অপেশাদার আচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নৌ পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আরেফ, রংপুরের পুলিশ সুপার মিলু মিয়া, শিল্প পুলিশ-২-এর সাবেক পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান ও ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের পুলিশ সুপার শামীমা ইয়াসমিন। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরে এক কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে মো. আব্দুল্লাহ আরেফকে সাময়িক বরখাস্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন। মিলু মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছিল ৭ বছরের এক শিশুকে আসামির মতো গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করায়। তাঁকেও বিভাগীয় মামলা থেকে ৬ নভেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়। সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই বিভাগীয় মামলা করা হয়। সেই মামলা থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি দায়মুক্তি পান। দীর্ঘদিন গরহাজিরের কারণে বিভাগীয় মামলা হওয়া ও গুরুদণ্ড পাওয়া শামীমা ইয়াসমিনকে ২৯ আগস্ট অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পুলিশ বাহিনীতে চাকরিতে পুনর্বহালের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পদ ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের প্রধানদের বছরের পর বছর চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে পদোন্নতি ও পদায়নে জটলার সৃষ্টি হতো। অনেকে বঞ্চিত হতেন।
বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম এবং ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলীকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানের এক বছরের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরোধিতা করে পুলিশের সাবেক আইজি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তাই বলে ধারাবাহিকভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সমর্থনযোগ্য নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিলেও তা ৬ মাস বা ১ বছরের বেশি হওয়া উচিত নয়। এতে বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি কার্যক্রম ব্যর্থ মনে হতে পারে।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
পুলিশের এসব কর্মকর্তার মধ্যে অনেকে চাকরি ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ আমলেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। কেউ ট্রাইব্যুনালের রায়ে, আবার কেউ মামলা প্রত্যাহার করার শর্তে পুনর্বহাল হয়েছেন। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ৫১ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে ২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় এবং ২৮ জনকে বরখাস্ত ও ওএসডি করে রাখা হয়। চাকরিচ্যুতদের একজন হলেন পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) এ কে মাহফুজুল হক। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ২০০৯ সালে তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ছিলেন। তাঁকে দিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি শুরু করে। চাকরিচ্যুত হওয়া ২৮ এবং ওএসডি করে রাখা ২৮ জন সরকার পরিবর্তনের পর তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে সাময়িক বরখাস্ত, স্থায়ী বরখাস্ত করা হয় অনেককে। তাঁরাও চাকরিতে নিয়মিত হতে চান। তাঁদের দাবির তুলনায় চাকরিতে পুনর্বহালের সংখ্যা খুব কম।
জানা গেছে, যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। চাকরিচ্যুত কয়েকজনকে অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে। কয়েকজনকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, যাঁরা সত্যিকারের বঞ্চিত তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্য কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, যাঁদের দিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনগণ লাভবান হবে। তবে অতীতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত পছন্দের লোককে ফিরিয়ে আনা হয়।
ঘুষগ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক কারণে সাময়িক বরখাস্ত, ওএসডি ও চাকরিচ্যুতির নজির আছে। আগের সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাকে পরবর্তী সরকারের আমলে পুনর্বহালের ঘটনাও ঘটে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অসাধু কর্মকর্তার চাকরি ফিরে পাওয়ার অভিযোগও ওঠে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত ২৭ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পতিত সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো পাঁচ কর্মকর্তাকে সেদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ছিলেন রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আলী হোসেন ফকির, সিআইডির পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিয়া, ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান এবং সিআইডির পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান।
এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক পুলিশ সুপার আলী আকবর খানকে, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায় অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে, ২২ নভেম্বর অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুব আলমকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাজ্জাত আলী পুনর্বহালের তিন দিনের মাথায় ডিএমপির কমিশনার নিয়োগ হন। সর্বশেষ গত সোমবার পুলিশ সুপার মো. মুনির হোসেনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।
সূত্র বলেছে, বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অপেশাদার আচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নৌ পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আরেফ, রংপুরের পুলিশ সুপার মিলু মিয়া, শিল্প পুলিশ-২-এর সাবেক পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান ও ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের পুলিশ সুপার শামীমা ইয়াসমিন। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরে এক কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে মো. আব্দুল্লাহ আরেফকে সাময়িক বরখাস্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন। মিলু মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছিল ৭ বছরের এক শিশুকে আসামির মতো গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করায়। তাঁকেও বিভাগীয় মামলা থেকে ৬ নভেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়। সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই বিভাগীয় মামলা করা হয়। সেই মামলা থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি দায়মুক্তি পান। দীর্ঘদিন গরহাজিরের কারণে বিভাগীয় মামলা হওয়া ও গুরুদণ্ড পাওয়া শামীমা ইয়াসমিনকে ২৯ আগস্ট অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পুলিশ বাহিনীতে চাকরিতে পুনর্বহালের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পদ ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের প্রধানদের বছরের পর বছর চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে পদোন্নতি ও পদায়নে জটলার সৃষ্টি হতো। অনেকে বঞ্চিত হতেন।
বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম এবং ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলীকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানের এক বছরের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরোধিতা করে পুলিশের সাবেক আইজি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তাই বলে ধারাবাহিকভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সমর্থনযোগ্য নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিলেও তা ৬ মাস বা ১ বছরের বেশি হওয়া উচিত নয়। এতে বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি কার্যক্রম ব্যর্থ মনে হতে পারে।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
পুলিশের এসব কর্মকর্তার মধ্যে অনেকে চাকরি ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ আমলেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। কেউ ট্রাইব্যুনালের রায়ে, আবার কেউ মামলা প্রত্যাহার করার শর্তে পুনর্বহাল হয়েছেন। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ৫১ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে ২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় এবং ২৮ জনকে বরখাস্ত ও ওএসডি করে রাখা হয়। চাকরিচ্যুতদের একজন হলেন পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) এ কে মাহফুজুল হক। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ২০০৯ সালে তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ছিলেন। তাঁকে দিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি শুরু করে। চাকরিচ্যুত হওয়া ২৮ এবং ওএসডি করে রাখা ২৮ জন সরকার পরিবর্তনের পর তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে সাময়িক বরখাস্ত, স্থায়ী বরখাস্ত করা হয় অনেককে। তাঁরাও চাকরিতে নিয়মিত হতে চান। তাঁদের দাবির তুলনায় চাকরিতে পুনর্বহালের সংখ্যা খুব কম।
জানা গেছে, যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। চাকরিচ্যুত কয়েকজনকে অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে। কয়েকজনকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, যাঁরা সত্যিকারের বঞ্চিত তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্য কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, যাঁদের দিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনগণ লাভবান হবে। তবে অতীতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত পছন্দের লোককে ফিরিয়ে আনা হয়।
ঘুষগ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক কারণে সাময়িক বরখাস্ত, ওএসডি ও চাকরিচ্যুতির নজির আছে। আগের সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাকে পরবর্তী সরকারের আমলে পুনর্বহালের ঘটনাও ঘটে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অসাধু কর্মকর্তার চাকরি ফিরে পাওয়ার অভিযোগও ওঠে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত ২৭ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পতিত সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো পাঁচ কর্মকর্তাকে সেদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ছিলেন রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আলী হোসেন ফকির, সিআইডির পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিয়া, ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান এবং সিআইডির পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান।
এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক পুলিশ সুপার আলী আকবর খানকে, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায় অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে, ২২ নভেম্বর অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুব আলমকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাজ্জাত আলী পুনর্বহালের তিন দিনের মাথায় ডিএমপির কমিশনার নিয়োগ হন। সর্বশেষ গত সোমবার পুলিশ সুপার মো. মুনির হোসেনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।
সূত্র বলেছে, বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অপেশাদার আচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নৌ পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আরেফ, রংপুরের পুলিশ সুপার মিলু মিয়া, শিল্প পুলিশ-২-এর সাবেক পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান ও ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের পুলিশ সুপার শামীমা ইয়াসমিন। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরে এক কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে মো. আব্দুল্লাহ আরেফকে সাময়িক বরখাস্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন। মিলু মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছিল ৭ বছরের এক শিশুকে আসামির মতো গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করায়। তাঁকেও বিভাগীয় মামলা থেকে ৬ নভেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়। সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই বিভাগীয় মামলা করা হয়। সেই মামলা থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি দায়মুক্তি পান। দীর্ঘদিন গরহাজিরের কারণে বিভাগীয় মামলা হওয়া ও গুরুদণ্ড পাওয়া শামীমা ইয়াসমিনকে ২৯ আগস্ট অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পুলিশ বাহিনীতে চাকরিতে পুনর্বহালের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পদ ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের প্রধানদের বছরের পর বছর চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে পদোন্নতি ও পদায়নে জটলার সৃষ্টি হতো। অনেকে বঞ্চিত হতেন।
বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম এবং ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলীকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানের এক বছরের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরোধিতা করে পুলিশের সাবেক আইজি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তাই বলে ধারাবাহিকভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সমর্থনযোগ্য নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিলেও তা ৬ মাস বা ১ বছরের বেশি হওয়া উচিত নয়। এতে বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি কার্যক্রম ব্যর্থ মনে হতে পারে।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
পুলিশের এসব কর্মকর্তার মধ্যে অনেকে চাকরি ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ আমলেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। কেউ ট্রাইব্যুনালের রায়ে, আবার কেউ মামলা প্রত্যাহার করার শর্তে পুনর্বহাল হয়েছেন। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ৫১ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে ২৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় এবং ২৮ জনকে বরখাস্ত ও ওএসডি করে রাখা হয়। চাকরিচ্যুতদের একজন হলেন পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি) এ কে মাহফুজুল হক। তিনি আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ২০০৯ সালে তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ছিলেন। তাঁকে দিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি শুরু করে। চাকরিচ্যুত হওয়া ২৮ এবং ওএসডি করে রাখা ২৮ জন সরকার পরিবর্তনের পর তাঁদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে সাময়িক বরখাস্ত, স্থায়ী বরখাস্ত করা হয় অনেককে। তাঁরাও চাকরিতে নিয়মিত হতে চান। তাঁদের দাবির তুলনায় চাকরিতে পুনর্বহালের সংখ্যা খুব কম।
জানা গেছে, যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। চাকরিচ্যুত কয়েকজনকে অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে। কয়েকজনকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, যাঁরা সত্যিকারের বঞ্চিত তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্য কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, যাঁদের দিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনগণ লাভবান হবে। তবে অতীতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত পছন্দের লোককে ফিরিয়ে আনা হয়।
ঘুষগ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক কারণে সাময়িক বরখাস্ত, ওএসডি ও চাকরিচ্যুতির নজির আছে। আগের সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাকে পরবর্তী সরকারের আমলে পুনর্বহালের ঘটনাও ঘটে। রাজনৈতিক বিবেচনায় অসাধু কর্মকর্তার চাকরি ফিরে পাওয়ার অভিযোগও ওঠে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত ২৭ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পতিত সরকারের আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো পাঁচ কর্মকর্তাকে সেদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ছিলেন রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আলী হোসেন ফকির, সিআইডির পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিয়া, ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান এবং সিআইডির পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান।
এ ছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক পুলিশ সুপার আলী আকবর খানকে, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায় অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে, ২২ নভেম্বর অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুব আলমকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাজ্জাত আলী পুনর্বহালের তিন দিনের মাথায় ডিএমপির কমিশনার নিয়োগ হন। সর্বশেষ গত সোমবার পুলিশ সুপার মো. মুনির হোসেনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।
সূত্র বলেছে, বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অপেশাদার আচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নৌ পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আরেফ, রংপুরের পুলিশ সুপার মিলু মিয়া, শিল্প পুলিশ-২-এর সাবেক পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান ও ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের পুলিশ সুপার শামীমা ইয়াসমিন। ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরে এক কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে মো. আব্দুল্লাহ আরেফকে সাময়িক বরখাস্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছেন। মিলু মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছিল ৭ বছরের এক শিশুকে আসামির মতো গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করায়। তাঁকেও বিভাগীয় মামলা থেকে ৬ নভেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হয়। সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই বিভাগীয় মামলা করা হয়। সেই মামলা থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি দায়মুক্তি পান। দীর্ঘদিন গরহাজিরের কারণে বিভাগীয় মামলা হওয়া ও গুরুদণ্ড পাওয়া শামীমা ইয়াসমিনকে ২৯ আগস্ট অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পুলিশ বাহিনীতে চাকরিতে পুনর্বহালের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পদ ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের প্রধানদের বছরের পর বছর চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে পদোন্নতি ও পদায়নে জটলার সৃষ্টি হতো। অনেকে বঞ্চিত হতেন।
বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম এবং ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলীকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানের এক বছরের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিরোধিতা করে পুলিশের সাবেক আইজি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে, তাই বলে ধারাবাহিকভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সমর্থনযোগ্য নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিলেও তা ৬ মাস বা ১ বছরের বেশি হওয়া উচিত নয়। এতে বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি কার্যক্রম ব্যর্থ মনে হতে পারে।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন...
৪ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গুম ও হাওর-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
পরে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে ব্যক্তি অন্যূন পাঁচ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না এলে ট্রাইবুন্যাল তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে।
সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল’-এর জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তাঁর ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
এদিকে, বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়াও নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিশ্বে বিরল ও অনন্য। কিন্তু নদী ও নদীপথের বাধা সৃষ্টি করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, বিষ ও কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এই ইকোসিস্টেম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ছে। অন্যদিক, জলাশয় রক্ষায় আইনি কাঠামোরও অপ্রতুলতা রয়েছে।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকা ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ ছাড়া, হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং ওই অপরাধের জন্য আরোপনীয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ/দপ্তর/সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গুম ও হাওর-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
পরে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর ফলে ব্যক্তি অন্যূন পাঁচ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না এলে ট্রাইবুন্যাল তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে।
সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল’-এর জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তাঁর ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
এদিকে, বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়াও নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিশ্বে বিরল ও অনন্য। কিন্তু নদী ও নদীপথের বাধা সৃষ্টি করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, বিষ ও কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এই ইকোসিস্টেম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ছে। অন্যদিক, জলাশয় রক্ষায় আইনি কাঠামোরও অপ্রতুলতা রয়েছে।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকা ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ ছাড়া, হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং ওই অপরাধের জন্য আরোপনীয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ/দপ্তর/সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন...
৪ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগপত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৮৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এ ছাড়া এই আসামি ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩ টাকা লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে কমিশন কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৯ অক্টোবর আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্তে আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তাঁর ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানের সম্পৃক্ততা পায় সংস্থাটি।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৭ নভেম্বর আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগপত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৮৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজ বৃহস্পতিবার চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এ ছাড়া এই আসামি ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩ টাকা লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে কমিশন কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৯ অক্টোবর আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্তে আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তাঁর ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানের সম্পৃক্ততা পায় সংস্থাটি।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৭ নভেম্বর আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন...
৪ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন নির্দেশনাটি স্বরাষ্ট্র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালপত্র ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে বিধায় এসব কার্যালয়ে নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালপত্রের সুরক্ষাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক বলে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
এই অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের সদয় নির্দেশনা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন নির্দেশনাটি স্বরাষ্ট্র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালপত্র ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে বিধায় এসব কার্যালয়ে নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালপত্রের সুরক্ষাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক বলে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
এই অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের সদয় নির্দেশনা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তাঁদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
ওবায়দুল কাদের ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হোসেন নিখিল, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
এখন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিলে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের পর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিচারকাজ।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তাঁদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
ওবায়দুল কাদের ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হোসেন নিখিল, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
এখন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিলে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের পর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিচারকাজ।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, বরখাস্ত হওয়া ও বঞ্চিত পুলিশ কর্মকর্তারা চাকরিতে ফিরছেন। চাকরিচ্যুত ও অবসরে পাঠানো আটজনকে এবং বরখাস্ত হওয়া অন্তত ১০ জনকে ইতিমধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ ও বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন...
৪ ঘণ্টা আগে