আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মৃদুভাষী ড. আহসান এইচ মনসুরকে দেখে মনে হয় না তিনি দাগি দুর্নীতিবাজদের মনে ভয় ধরাতে পারবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গভর্নর ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তিকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান দ্য অবজারভার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, হাসিনা সরকারের আমলেও তাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।
চলতি মাসের লম্বা সময়জুড়ে ৭৪ বছর বয়সী আহসান এইচ মনসুর লন্ডনে ছিলেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট, বিভিন্ন এনজিও, আইনজীবী এবং ‘অ্যাসেটস’ ট্র্যাকিং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে পাচার হওয়া কয়েক শ কোটি ডলার খুঁজে বের করতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আহসান মনসুরের এই সফরের আগে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ এমপির কাছে ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল তাঁর সম্মানহানির উদ্দেশ্যে। এই প্রচারণার পেছনে কারা, তা স্পষ্ট নয়। ব্রিটিশ এমপিরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং ই-মেইলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এক এমপি এটিকে ‘অপতথ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
দ্য অবজারভারকে আহসান মনসুর বলেন, ‘সম্পদ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায়...যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এবং বিশেষভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ সরিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের ধাওয়া করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নাম জানি, আমরা সবাই তাদের নাম জানি এবং তারাই অথবা তাদের সহযোগীরা এগুলো (অপতথ্য) তৈরি করছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আমার খ্যাতি কমানো এবং আমি এমন নই।’
ব্রিটিশ এমপিদের কাছে পাঠানো ই-মেইলগুলোতে এমন ‘সাংবাদিকদের’ লেখা প্রতিবেদনের লিংক ছিল, যাঁদের নাম ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং দ্য অবজারভার তাঁদের ছবি স্টক ইমেজ হিসেবে খুঁজে পেয়েছে। এসব আর্টিকেলে বিশেষভাবে আহসান এইচ মনসুরের মেয়ে মেহরিনের দামি পোশাক ও আর্থিক সচ্ছলতার ওপর আলোকপাত করা হয়েছিল।
নিজের মেয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘তিনি (মেহেরিন) একজন মার্কিন নাগরিক, বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর সামান্যই সম্পর্ক আছে। কেন তাঁর পোশাকের ধরন একজন আমেরিকান থেকে আলাদা হতে হবে? আমার উপদেষ্টারা আমাকে এটি উপেক্ষা করতে বলছেন। অথবা আমি পদত্যাগ করতে পারি। কিন্তু যদি আমি পদত্যাগ করি, তবে তাঁরা জিতে যাবে।’
পাঠানো মেইলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর অংশ ছিল একটি ব্রিটিশ খ্যাতি ব্যবস্থাপনা সংস্থার পাঠানো একটি ই-মেইল, যেখানে অভিযোগ করা হয়, তাঁকে যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী এবং হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের ‘মানহানি করতে প্রস্তুত’ বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের পর তিনি এ বছরের শুরুতে পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশের সম্পদ উদ্ধার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিলেও তিনি বলছেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁর পরিস্থিতি নিয়ে কিছুই বলিনি। আমার প্রধান লক্ষ্য হলো যারা আমার ব্যাংক লুট করেছে।’
লন্ডন হয়তো তাঁর সেই লক্ষ্যের চাবিকাঠি হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের ইউএসএআইডির তহবিল কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য তহবিলের ছোট একটি উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় যখন বাংলাদেশ অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে, তখন দেশের অন্যতম বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সম্পদ অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা খুব একটা বেশি না-ও হতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ান, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও আলজাজিরার তদন্তে দেখা গেছে, হাসিনা সরকারের কিছু সদস্য লন্ডনের রিয়েল এস্টেট খাতে শত শত কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন। অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আহসান মনসুর বলেন, ‘এটি (লন্ডন) কেবল বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও আসা এই দুর্নীতিবাজদের জন্য অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। এটি একটি নিরাপদ আশ্রয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ব্রিটেন থেকে এ পর্যন্ত কত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে? খুব বেশি নয়।’ তবে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের পরিকল্পনাকে অত্যন্ত সমর্থন করে, যা খুবই কঠিন ও সময়সাপেক্ষ।
ব্রিটিশ তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় তদন্তকারীদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিগুলোও সাহায্য করছে। এ মাসের শুরুতে মনসুর কয়েক ডজন আইনি সংস্থা, মামলায় তহবিল সরবরাহকারী ও সম্পদ ট্র্যাকারদের একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। এই সম্মেলনে এত বেশি লোকসমাগম হয়েছিল যে, যাঁরা দেরিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা জায়গা পাননি। তাঁদের জুম কলের মাধ্যমে যুক্ত হতে হয়েছিল।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা মনে করি, ব্রিটিশ আইনে এ ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অনেক শক্তিশালী বিধান রয়েছে। ইংলিশ আইনি ব্যবস্থার একটি সুনাম রয়েছে এবং যদি আমরা এখানে বিজয়ী হতে পারি, তবে আমরা দেশের অন্যান্য বিচার বিভাগেও অনুরূপ বিজয় অর্জন করতে পারব। আমরা সবাই এই খেলায় নতুন। এ ধরনের দুর্নীতিবাজ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারসংক্রান্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা আমার আগে ছিল না।’
মনসুরের মতে, এর পরের পদক্ষেপ হবে যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদের বিরুদ্ধে ফ্রিজিং অর্ডার (জব্দ করার আদেশ) জারির জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো। তিনি বলেন, ‘এটি নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা এটিকে দ্রুত করার চেষ্টা করছি। আমরা এ বছর সেই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৃষ্ট ছিদ্রগুলো বন্ধ করা। সেই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্যই তিনি ৭০ বছর বয়সে অবসর থেকে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ, কারণ আমার রক্তচাপ ওঠানামা করছে। ডাক্তার বিশ্রাম নিতে বলেন, আর আমি এখানে দিনে ১৫টি মিটিং করছি।’
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) ২৫ বছরেরও বেশি সময় কাজ করা আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশের নতুন যাত্রার শুরুতে থাকতে না পেরে নিজেকে সামলাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে সরকার আমাকে গভর্নরের পদ প্রস্তাব করেছিল। আমি বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। আমি গ্রহণ করতে পারিনি। কারণ, আমি জানতাম তিনি তিন মাসের মধ্যে আমাকে বরখাস্ত করবেন এবং তারপরে আমাকে হয় মুখ বন্ধ রাখতে হবে অথবা দেশ ছাড়তে হবে। আমি এর কোনোটিই করতে চাইনি।’
হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের গতি মনসুরকে অবাক করেছিল। তবে সরকারের পতন হবে, বিষয়টি তিনি জানতেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবদ্দশায় এই বিপ্লব দেখব তা কখনো ভাবিনি। তিনি দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন, এটি হিটলারের শাসনের মতো ছিল। তবে আমি একটি বিষয় জানতাম, তাদের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাই তাদের পতন ডেকে আনবে। সবকিছু এতটাই দ্রুত ঘটেছে, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। এটি একটি বড় স্বস্তি, আশা করি আরও ভালো কিছু আসছে।’

মৃদুভাষী ড. আহসান এইচ মনসুরকে দেখে মনে হয় না তিনি দাগি দুর্নীতিবাজদের মনে ভয় ধরাতে পারবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গভর্নর ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তিকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান দ্য অবজারভার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, হাসিনা সরকারের আমলেও তাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।
চলতি মাসের লম্বা সময়জুড়ে ৭৪ বছর বয়সী আহসান এইচ মনসুর লন্ডনে ছিলেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট, বিভিন্ন এনজিও, আইনজীবী এবং ‘অ্যাসেটস’ ট্র্যাকিং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে পাচার হওয়া কয়েক শ কোটি ডলার খুঁজে বের করতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আহসান মনসুরের এই সফরের আগে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ এমপির কাছে ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল তাঁর সম্মানহানির উদ্দেশ্যে। এই প্রচারণার পেছনে কারা, তা স্পষ্ট নয়। ব্রিটিশ এমপিরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং ই-মেইলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এক এমপি এটিকে ‘অপতথ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
দ্য অবজারভারকে আহসান মনসুর বলেন, ‘সম্পদ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায়...যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এবং বিশেষভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ সরিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের ধাওয়া করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নাম জানি, আমরা সবাই তাদের নাম জানি এবং তারাই অথবা তাদের সহযোগীরা এগুলো (অপতথ্য) তৈরি করছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আমার খ্যাতি কমানো এবং আমি এমন নই।’
ব্রিটিশ এমপিদের কাছে পাঠানো ই-মেইলগুলোতে এমন ‘সাংবাদিকদের’ লেখা প্রতিবেদনের লিংক ছিল, যাঁদের নাম ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং দ্য অবজারভার তাঁদের ছবি স্টক ইমেজ হিসেবে খুঁজে পেয়েছে। এসব আর্টিকেলে বিশেষভাবে আহসান এইচ মনসুরের মেয়ে মেহরিনের দামি পোশাক ও আর্থিক সচ্ছলতার ওপর আলোকপাত করা হয়েছিল।
নিজের মেয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘তিনি (মেহেরিন) একজন মার্কিন নাগরিক, বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর সামান্যই সম্পর্ক আছে। কেন তাঁর পোশাকের ধরন একজন আমেরিকান থেকে আলাদা হতে হবে? আমার উপদেষ্টারা আমাকে এটি উপেক্ষা করতে বলছেন। অথবা আমি পদত্যাগ করতে পারি। কিন্তু যদি আমি পদত্যাগ করি, তবে তাঁরা জিতে যাবে।’
পাঠানো মেইলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর অংশ ছিল একটি ব্রিটিশ খ্যাতি ব্যবস্থাপনা সংস্থার পাঠানো একটি ই-মেইল, যেখানে অভিযোগ করা হয়, তাঁকে যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী এবং হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের ‘মানহানি করতে প্রস্তুত’ বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের পর তিনি এ বছরের শুরুতে পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশের সম্পদ উদ্ধার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিলেও তিনি বলছেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁর পরিস্থিতি নিয়ে কিছুই বলিনি। আমার প্রধান লক্ষ্য হলো যারা আমার ব্যাংক লুট করেছে।’
লন্ডন হয়তো তাঁর সেই লক্ষ্যের চাবিকাঠি হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের ইউএসএআইডির তহবিল কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য তহবিলের ছোট একটি উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় যখন বাংলাদেশ অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে, তখন দেশের অন্যতম বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সম্পদ অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা খুব একটা বেশি না-ও হতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ান, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও আলজাজিরার তদন্তে দেখা গেছে, হাসিনা সরকারের কিছু সদস্য লন্ডনের রিয়েল এস্টেট খাতে শত শত কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন। অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আহসান মনসুর বলেন, ‘এটি (লন্ডন) কেবল বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও আসা এই দুর্নীতিবাজদের জন্য অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। এটি একটি নিরাপদ আশ্রয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ব্রিটেন থেকে এ পর্যন্ত কত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে? খুব বেশি নয়।’ তবে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের পরিকল্পনাকে অত্যন্ত সমর্থন করে, যা খুবই কঠিন ও সময়সাপেক্ষ।
ব্রিটিশ তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় তদন্তকারীদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য এসেছিলেন। পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিগুলোও সাহায্য করছে। এ মাসের শুরুতে মনসুর কয়েক ডজন আইনি সংস্থা, মামলায় তহবিল সরবরাহকারী ও সম্পদ ট্র্যাকারদের একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। এই সম্মেলনে এত বেশি লোকসমাগম হয়েছিল যে, যাঁরা দেরিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা জায়গা পাননি। তাঁদের জুম কলের মাধ্যমে যুক্ত হতে হয়েছিল।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা মনে করি, ব্রিটিশ আইনে এ ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অনেক শক্তিশালী বিধান রয়েছে। ইংলিশ আইনি ব্যবস্থার একটি সুনাম রয়েছে এবং যদি আমরা এখানে বিজয়ী হতে পারি, তবে আমরা দেশের অন্যান্য বিচার বিভাগেও অনুরূপ বিজয় অর্জন করতে পারব। আমরা সবাই এই খেলায় নতুন। এ ধরনের দুর্নীতিবাজ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারসংক্রান্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা আমার আগে ছিল না।’
মনসুরের মতে, এর পরের পদক্ষেপ হবে যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদের বিরুদ্ধে ফ্রিজিং অর্ডার (জব্দ করার আদেশ) জারির জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো। তিনি বলেন, ‘এটি নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা এটিকে দ্রুত করার চেষ্টা করছি। আমরা এ বছর সেই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৃষ্ট ছিদ্রগুলো বন্ধ করা। সেই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্যই তিনি ৭০ বছর বয়সে অবসর থেকে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ, কারণ আমার রক্তচাপ ওঠানামা করছে। ডাক্তার বিশ্রাম নিতে বলেন, আর আমি এখানে দিনে ১৫টি মিটিং করছি।’
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) ২৫ বছরেরও বেশি সময় কাজ করা আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশের নতুন যাত্রার শুরুতে থাকতে না পেরে নিজেকে সামলাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে সরকার আমাকে গভর্নরের পদ প্রস্তাব করেছিল। আমি বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। আমি গ্রহণ করতে পারিনি। কারণ, আমি জানতাম তিনি তিন মাসের মধ্যে আমাকে বরখাস্ত করবেন এবং তারপরে আমাকে হয় মুখ বন্ধ রাখতে হবে অথবা দেশ ছাড়তে হবে। আমি এর কোনোটিই করতে চাইনি।’
হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের গতি মনসুরকে অবাক করেছিল। তবে সরকারের পতন হবে, বিষয়টি তিনি জানতেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবদ্দশায় এই বিপ্লব দেখব তা কখনো ভাবিনি। তিনি দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন, এটি হিটলারের শাসনের মতো ছিল। তবে আমি একটি বিষয় জানতাম, তাদের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাই তাদের পতন ডেকে আনবে। সবকিছু এতটাই দ্রুত ঘটেছে, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। এটি একটি বড় স্বস্তি, আশা করি আরও ভালো কিছু আসছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’
মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’
মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

আকারে তুলনামূলক ছোটা খাটো ও মৃদুভাষী ড. আহসান এইচ মনসুরকে দেখে মনে হয় না, তিনি দাগি দুর্নীতিবাজদের মনে ভয় ধরাতে পারবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গভর্নর ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তিকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন।
৩০ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

আকারে তুলনামূলক ছোটা খাটো ও মৃদুভাষী ড. আহসান এইচ মনসুরকে দেখে মনে হয় না, তিনি দাগি দুর্নীতিবাজদের মনে ভয় ধরাতে পারবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গভর্নর ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তিকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন।
৩০ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

আকারে তুলনামূলক ছোটা খাটো ও মৃদুভাষী ড. আহসান এইচ মনসুরকে দেখে মনে হয় না, তিনি দাগি দুর্নীতিবাজদের মনে ভয় ধরাতে পারবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গভর্নর ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তিকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন।
৩০ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আকারে তুলনামূলক ছোটা খাটো ও মৃদুভাষী ড. আহসান এইচ মনসুরকে দেখে মনে হয় না, তিনি দাগি দুর্নীতিবাজদের মনে ভয় ধরাতে পারবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গভর্নর ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তিকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন।
৩০ মার্চ ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে