সৌগত বসু, ঢাকা

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে। রেলের তৎকালীন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে অগ্রাধিকার দেওয়া বিপুল ব্যয়ের এসব প্রকল্পে ট্রেন চলে মাত্র কয়েকটি। অথচ সম্ভাব্য লাভজনক প্রকল্পের কাজ চলেছে ধীরগতিতে। কোনোটি বন্ধও হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্র তথা জনস্বার্থ।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ‘এলাকাপ্রীতির জন্য’ উৎসাহের সঙ্গে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু থমকে গেছে অনেক ‘লাইফ লাইন’ (অতি প্রয়োজনীয়) প্রকল্প। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন (বিকল্প), বগুড়া-সিরাজগঞ্জ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন প্রকল্প, ঢাকা-সিলেট ডাবল লাইন, ঢাকা-জামালপুর ডাবল লাইন প্রকল্প। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন সমীক্ষার পর বন্ধই হয়ে গেছে।
রেলসূত্র বলছে, যখন যিনি রেলে মন্ত্রী হয়ে আসেন, তখন তাঁর এলাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নূরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গ বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। আবার সর্বশেষ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সময়ে অগ্রাধিকার ছিল দক্ষিণবঙ্গকেন্দ্রিক। অন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও সুযোগ-সুবিধামতো নিজেদের এলাকাভিত্তিক প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছেন। তবে এ রকম অনেক প্রকল্প চালু হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ট্রেন চলছে না।
রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ। তারপর যথাক্রমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, খুলনা-মোংলা ও আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ এগুলোতে ট্রেন চলছে মাত্র ৭টি। এগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে দেশের রেলকে যুক্ত করা আখাউড়া-আগরতলা রুটে একটি ট্রেনও চলছে না। ৩৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে ট্রেন চালু রয়েছে ৪টি এবং ১৮ হাজার কোটি টাকার দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মাত্র দুটি। রেলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর, রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জ লাইনে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী মেলেনি। মধুখালী-মাগুরা রেলপথের কাজ শেষ হলে একই অবস্থা হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদীউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ঠিকাদারদের সুবিধায় রেলের অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখানে লাভ-লোকসান কিংবা জনগণের জন্য কতটা উপযোগী, সেটা ভাবা হয়নি। এতে রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদারদের দুষ্টচক্রই কেবল লাভবান হয়েছে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লোকসান হয় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। রেলের লোকসানের বোঝা বাড়ানোর পেছনে অযৌক্তিক প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কথা আর কাজের ফারাকের নমুনা
রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং পুরোনো লাইন সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে বলা হয়েছিল, এই লাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন হয়। এখন পর্যন্ত এই পথে ট্রেন চলছে মাত্র দুটি।
ঈশ্বরদী-ঢালারচর লাইনের প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ সালে। ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্পন্ন হয় ২০১৮ সালে। শুরুতে ধরা ৯৮৩ কোটি টাকা ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১৫ কোটিতে। এ পথের বিষয়ে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয়নি। উদ্বোধনের পর দুই বছর আদৌ কোনো ট্রেন চলেনি। ২০২০ সালে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। চলার কথা ছিল ১০টি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী ও পাবনার বাসিন্দা প্রয়াত এ কে খোন্দকারের আগ্রহে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরুই হয় ২০২১ সালের মে মাসে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, এর কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। তবে ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ২-৩টির বেশি আন্তনগর ট্রেন চলবে না। ফলে এটি হতে যাচ্ছে আরেকটি ‘সাদা হাতি’ প্রকল্প। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের একক আগ্রহে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
ভারতের অর্থায়নে খুলনা থেকে মোংলা বন্দরে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ বসানো হয়। মোংলা বন্দর থেকে খুলনা ও যশোর হয়ে ভারতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল। তবে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর উদ্বোধনের দীর্ঘ সাত মাস পর গত ১ জুন থেকে পুরোনো ইঞ্জিন ও বগি দিয়ে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটিমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে এই লাইনে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর যা অবস্থা
দেশের রেল যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার কমিয়ে বিকল্প (কডলাইন) রেলরুট তৈরি করার প্রকল্প থমকে গেছে। ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লাইন হলে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা। কয়েক দশক ধরে আলোচনা চলার পরে ২০১০ সালে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। রেলের সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয়ের ‘অদৃশ্য ইশারায়’ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রেল কর্তৃপক্ষ এর কারণ বলতে পারছে না। প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গত ১২ মার্চ মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনাপত্র জারি করে কাজ স্থগিত করে।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। অগ্রগতি না হওয়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন থেকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা। অর্থায়নের জটিলতায় ভারতীয় ঋণের এ প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের টানাপোড়েনে দৃশ্যত তা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২০১৬ সালে চীনের ঋণে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন তৈরির বিষয়ে সমঝোতা হয়। শর্ত অনুযায়ী কাজ পায় চীনের ঠিকাদার সিসিইসিসি। কিন্তু চীন ২০২০ সালে প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাকে (জাইকা) বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। ২০২১ সালে জাইকা কাজ শুরু করলেও প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি নেই। কারণ, জাইকা আবার সমীক্ষা করতে বলছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী প্রকল্প আগামী পাঁচ বছরেও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। অগ্রগতি নেই টঙ্গী-জামালপুর ডাবল রেললাইন ও ঢাকা-সিলেট ডাবল রেললাইন প্রকল্পেরও।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার পরিকল্পনা থাকলেও এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাইকার মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর অর্থায়ন সঠিক সময়ে না হওয়ায় করতে পারি না। অনেক কিছু তো আমাদের হাতে নেই। তাদের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়।’
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের চেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দিকে নজর বেশি কেন—এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন মন্ত্রণালয় হঠাৎ চিঠি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বগুড়া-সিরাজগঞ্জসহ ভারতীয় ঋণের প্রকল্পে অর্থায়ন চেয়ে বারবার চিঠি দিলেও দাতার কোনো সাড়া নেই। একটা চিঠি দিলে জবাব পেতে ৬ মাস সময় লাগে।’

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে। রেলের তৎকালীন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে অগ্রাধিকার দেওয়া বিপুল ব্যয়ের এসব প্রকল্পে ট্রেন চলে মাত্র কয়েকটি। অথচ সম্ভাব্য লাভজনক প্রকল্পের কাজ চলেছে ধীরগতিতে। কোনোটি বন্ধও হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্র তথা জনস্বার্থ।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ‘এলাকাপ্রীতির জন্য’ উৎসাহের সঙ্গে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু থমকে গেছে অনেক ‘লাইফ লাইন’ (অতি প্রয়োজনীয়) প্রকল্প। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন (বিকল্প), বগুড়া-সিরাজগঞ্জ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন প্রকল্প, ঢাকা-সিলেট ডাবল লাইন, ঢাকা-জামালপুর ডাবল লাইন প্রকল্প। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন সমীক্ষার পর বন্ধই হয়ে গেছে।
রেলসূত্র বলছে, যখন যিনি রেলে মন্ত্রী হয়ে আসেন, তখন তাঁর এলাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নূরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গ বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। আবার সর্বশেষ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সময়ে অগ্রাধিকার ছিল দক্ষিণবঙ্গকেন্দ্রিক। অন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও সুযোগ-সুবিধামতো নিজেদের এলাকাভিত্তিক প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছেন। তবে এ রকম অনেক প্রকল্প চালু হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ট্রেন চলছে না।
রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ। তারপর যথাক্রমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, খুলনা-মোংলা ও আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ এগুলোতে ট্রেন চলছে মাত্র ৭টি। এগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে দেশের রেলকে যুক্ত করা আখাউড়া-আগরতলা রুটে একটি ট্রেনও চলছে না। ৩৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে ট্রেন চালু রয়েছে ৪টি এবং ১৮ হাজার কোটি টাকার দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মাত্র দুটি। রেলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর, রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জ লাইনে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী মেলেনি। মধুখালী-মাগুরা রেলপথের কাজ শেষ হলে একই অবস্থা হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদীউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ঠিকাদারদের সুবিধায় রেলের অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখানে লাভ-লোকসান কিংবা জনগণের জন্য কতটা উপযোগী, সেটা ভাবা হয়নি। এতে রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদারদের দুষ্টচক্রই কেবল লাভবান হয়েছে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লোকসান হয় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। রেলের লোকসানের বোঝা বাড়ানোর পেছনে অযৌক্তিক প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কথা আর কাজের ফারাকের নমুনা
রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং পুরোনো লাইন সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে বলা হয়েছিল, এই লাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন হয়। এখন পর্যন্ত এই পথে ট্রেন চলছে মাত্র দুটি।
ঈশ্বরদী-ঢালারচর লাইনের প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ সালে। ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্পন্ন হয় ২০১৮ সালে। শুরুতে ধরা ৯৮৩ কোটি টাকা ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১৫ কোটিতে। এ পথের বিষয়ে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয়নি। উদ্বোধনের পর দুই বছর আদৌ কোনো ট্রেন চলেনি। ২০২০ সালে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। চলার কথা ছিল ১০টি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী ও পাবনার বাসিন্দা প্রয়াত এ কে খোন্দকারের আগ্রহে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরুই হয় ২০২১ সালের মে মাসে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, এর কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। তবে ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ২-৩টির বেশি আন্তনগর ট্রেন চলবে না। ফলে এটি হতে যাচ্ছে আরেকটি ‘সাদা হাতি’ প্রকল্প। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের একক আগ্রহে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
ভারতের অর্থায়নে খুলনা থেকে মোংলা বন্দরে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ বসানো হয়। মোংলা বন্দর থেকে খুলনা ও যশোর হয়ে ভারতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল। তবে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর উদ্বোধনের দীর্ঘ সাত মাস পর গত ১ জুন থেকে পুরোনো ইঞ্জিন ও বগি দিয়ে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটিমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে এই লাইনে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর যা অবস্থা
দেশের রেল যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার কমিয়ে বিকল্প (কডলাইন) রেলরুট তৈরি করার প্রকল্প থমকে গেছে। ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লাইন হলে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা। কয়েক দশক ধরে আলোচনা চলার পরে ২০১০ সালে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। রেলের সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয়ের ‘অদৃশ্য ইশারায়’ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রেল কর্তৃপক্ষ এর কারণ বলতে পারছে না। প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গত ১২ মার্চ মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনাপত্র জারি করে কাজ স্থগিত করে।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। অগ্রগতি না হওয়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন থেকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা। অর্থায়নের জটিলতায় ভারতীয় ঋণের এ প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের টানাপোড়েনে দৃশ্যত তা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২০১৬ সালে চীনের ঋণে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন তৈরির বিষয়ে সমঝোতা হয়। শর্ত অনুযায়ী কাজ পায় চীনের ঠিকাদার সিসিইসিসি। কিন্তু চীন ২০২০ সালে প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাকে (জাইকা) বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। ২০২১ সালে জাইকা কাজ শুরু করলেও প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি নেই। কারণ, জাইকা আবার সমীক্ষা করতে বলছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী প্রকল্প আগামী পাঁচ বছরেও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। অগ্রগতি নেই টঙ্গী-জামালপুর ডাবল রেললাইন ও ঢাকা-সিলেট ডাবল রেললাইন প্রকল্পেরও।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার পরিকল্পনা থাকলেও এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাইকার মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর অর্থায়ন সঠিক সময়ে না হওয়ায় করতে পারি না। অনেক কিছু তো আমাদের হাতে নেই। তাদের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়।’
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের চেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দিকে নজর বেশি কেন—এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন মন্ত্রণালয় হঠাৎ চিঠি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বগুড়া-সিরাজগঞ্জসহ ভারতীয় ঋণের প্রকল্পে অর্থায়ন চেয়ে বারবার চিঠি দিলেও দাতার কোনো সাড়া নেই। একটা চিঠি দিলে জবাব পেতে ৬ মাস সময় লাগে।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে