নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্র সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় কমিশন। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধু দলের সংখ্যা নয়, বরং অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ৩৪টি রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছাবে, তবে এটি নির্ধারিত কোনো শর্ত নয়। আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের কাজ সম্পন্ন করতে চায়। তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো আগামীকালই একমত হয়, তবে আমরা দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করব।’ এ ছাড়া, নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, আর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে।
সংবিধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা সম্ভব কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশে অতীতেও অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। তবে এটি একমাত্র পদ্ধতি নয়, বরং আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গণপরিষদ নির্বাচনের দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, এর বাইরেও অনেক রাজনৈতিক শক্তি ও দল গণপরিষদের কথা অতীতেও বলেছে। কেবল মাত্র ৫ আগস্ট পরবর্তী নয়, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবত যারা সংবিধান নিয়ে আলোচনা করে, রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে তাঁরা গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের কথা বলেছেন। আমরা রাজনৈতিক দলের কাছে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছি, তারা মতামত দিক, তারপর আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।
বিএনপি সংস্কার প্রক্রিয়ায় একমত না হলে বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে আলী রীয়াজ বলেন, সংখ্যাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়। কিন্তু সংখ্যা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দুটো বিষয়কে আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে আমাদের একজায়গায় এসে জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে। যা বর্তমান কাঠামো পরিবর্তনে সহায়ক হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথরেখা তৈরি হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নাগরিকদের মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলের বাইরে কারও সঙ্গে এই মুহূর্তে আলোচনা করবে না জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিকদের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমানে কমিশন শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় সনদের প্রধান কাজ হবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা। এটি সংবিধান সংশোধন বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করা যেতে পারে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তবে এত আত্মদান বৃথা যাবে।
রাষ্ট্র সংস্কার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় কমিশন। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধু দলের সংখ্যা নয়, বরং অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ৩৪টি রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছাবে, তবে এটি নির্ধারিত কোনো শর্ত নয়। আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের কাজ সম্পন্ন করতে চায়। তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো আগামীকালই একমত হয়, তবে আমরা দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করব।’ এ ছাড়া, নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, আর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে।
সংবিধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা সম্ভব কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশে অতীতেও অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। তবে এটি একমাত্র পদ্ধতি নয়, বরং আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গণপরিষদ নির্বাচনের দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, এর বাইরেও অনেক রাজনৈতিক শক্তি ও দল গণপরিষদের কথা অতীতেও বলেছে। কেবল মাত্র ৫ আগস্ট পরবর্তী নয়, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন যাবত যারা সংবিধান নিয়ে আলোচনা করে, রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে তাঁরা গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের কথা বলেছেন। আমরা রাজনৈতিক দলের কাছে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছি, তারা মতামত দিক, তারপর আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।
বিএনপি সংস্কার প্রক্রিয়ায় একমত না হলে বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে আলী রীয়াজ বলেন, সংখ্যাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়। কিন্তু সংখ্যা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দুটো বিষয়কে আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে আমাদের একজায়গায় এসে জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে। যা বর্তমান কাঠামো পরিবর্তনে সহায়ক হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথরেখা তৈরি হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নাগরিকদের মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলের বাইরে কারও সঙ্গে এই মুহূর্তে আলোচনা করবে না জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিকদের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমানে কমিশন শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় সনদের প্রধান কাজ হবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা। এটি সংবিধান সংশোধন বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করা যেতে পারে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তবে এত আত্মদান বৃথা যাবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
৬ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকারের পতন শেষে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজপথে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের যেন শেষ নেই। এসব সামলানোর পাশাপাশি নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের অহেতুক হস্তক্ষেপে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। বাহিনীর কর্মকর্তারাই সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন এই পরিস্থিতির কথা। তবে পুলিশের কাজে যারা বাধা দিচ্ছে...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এবং দেশে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উগ্রপন্থী তৎপরতা চালানো হচ্ছে—মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান (ডিএনআই) তুলসী গ্যাবার্ডের এমন মন্তব্যের প্রতি গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
৭ ঘণ্টা আগে৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশের গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে টহল গাড়ি অন্যদের কাছ থেকে ধার করে চালাতে হচ্ছে, যা পরবর্তীতে অনৈতিক তদবিরের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাওয়ে প্রধান উপদষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমনটি জানান চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের...
৮ ঘণ্টা আগে