
সুখের বিষয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ছিল, এটি ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার মতো চলে। ছোটবেলায় বেশি থাকে, মধ্যবয়সে কমে যায় এবং পরে আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি হয়তো আর সত্য নয়। তরুণদের সুখের গ্রাফ আর আগের মতো নেই। ছয়টি ইংরেজিভাষী দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের সুখের মাত্রা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক কম।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, গত এক দশকে তরুণদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি ও সুখের মাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। গবেষণাটি করেছেন সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জিন টোয়েঞ্জ এবং ডার্টমাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ ডেভিড জি ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার। এতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
অন্য দেশগুলোর গবেষণাগুলোও বলছে, বৈশ্বিকভাবে একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার ও টোয়েঞ্জের গবেষণা সুখের ঐতিহ্যবাহী ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এই পরিবর্তন কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কেন তরুণদের মধ্যে অসুখী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে?
গবেষকেরা বলছেন, ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট। এই বয়সী অনেকেই উচ্চমাত্রার বিষণ্নতা ও মানসিক চাপের শিকার, যা তাদের তুলনায় সামান্য বড়দের মধ্যে তেমন দেখা যায় না। অন্যদিকে, বয়স্কদের মধ্যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুখের মাত্রা বাড়তে থাকে।
এই নাটকীয় পরিবর্তন গবেষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, তরুণ প্রজন্ম এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—যেখানে কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তাদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, সুখ কমে যাওয়ার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তারের কারণে বর্তমান তরুণদের অভিজ্ঞতা আগের প্রজন্মের তুলনায় একেবারে ভিন্ন।
আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষক ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন, ‘ইন্টারনেটই প্রধান কারণ। এই প্রবণতার ব্যাখ্যা দিতে অন্য কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
জরিপ প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চের ২০২৪ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ৪ মার্কিন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে ৩ জনই বলেছেন, তারা যখন তাদের স্মার্টফোন ছাড়া থাকেন—তখন বেশি সুখী বা প্রশান্তি অনুভব করেন। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীরা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম সুখী। গবেষকেরা এটিও দেখেছেন যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই এর অন্যতম প্রধান কারণ।
ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের গবেষণাগুলোর ফলও মিলে যায়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় তরুণদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের বিস্তার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আফ্রিকান দেশগুলোর তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর করা এনবিইআরের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার বিশাল জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি মানুষ কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি। তবে যারা ব্যবহার করেছেন, তাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি বেশি দেখা গেছে।
সেই গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেট না থাকাটা সম্ভবত ব্যাখ্যা করে, কেন আফ্রিকায় তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় কম খারাপ হয়েছে। তবে সামনে ঝুঁকি আছে, কারণ আফ্রিকায় স্মার্টফোন বিক্রি দ্রুত বাড়ছে।’ গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের তরুণদের মধ্যে এখনো ‘ইউ-আকৃতির’ সুখের বক্ররেখা বিদ্যমান, যা কম ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই একটি বৈশ্বিক প্রবণতা। বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, মধ্যবয়সীদের মধ্যেও যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন, তাদের সুখের মাত্রা আগের প্রজন্মের একই বয়সী মানুষের তুলনায় কম।
তবে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনকেই দায়ী করা যাবে না। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও একাকিত্বও তরুণদের সুখ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। এই বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘সংস্কৃতিগত বেশ কিছু পরিবর্তন জীবন সম্পর্কে সন্তুষ্টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে আছে—মানুষের সঙ্গে কম মেলামেশা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং আয় বৈষম্যের বৃদ্ধি।’
২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ বছরের কম বয়সী তরুণদের মধ্যে সুখের মাত্রা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির পর। যুক্তরাষ্ট্রে এই অবনতি এতটাই তীব্র যে, দেশটি ২০১২ সাল থেকে প্রকাশিত এই সুখ সূচকের শীর্ষ ২০টি দেশের তালিকা থেকে প্রথমবারের মতো ছিটকে গেছে।
গবেষণার লেখকেরা বলছেন, তরুণদের সুখ কমার কারণ আরও গভীরভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন, যাতে নীতিনির্ধারকেরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার এই প্রবণতা বদলানোর সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, ‘সমস্যা হলো, তরুণদের কল্যাণ অব্যাহতভাবে কমছে। এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।’ তিনি পরামর্শ দেন, ‘ফোন থেকে দূরে থাকুন এবং সবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।’
আল-জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আরও খবর পড়ুন:

সুখের বিষয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ছিল, এটি ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার মতো চলে। ছোটবেলায় বেশি থাকে, মধ্যবয়সে কমে যায় এবং পরে আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি হয়তো আর সত্য নয়। তরুণদের সুখের গ্রাফ আর আগের মতো নেই। ছয়টি ইংরেজিভাষী দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের সুখের মাত্রা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক কম।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, গত এক দশকে তরুণদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি ও সুখের মাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। গবেষণাটি করেছেন সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জিন টোয়েঞ্জ এবং ডার্টমাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ ডেভিড জি ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার। এতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
অন্য দেশগুলোর গবেষণাগুলোও বলছে, বৈশ্বিকভাবে একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার ও টোয়েঞ্জের গবেষণা সুখের ঐতিহ্যবাহী ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এই পরিবর্তন কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কেন তরুণদের মধ্যে অসুখী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে?
গবেষকেরা বলছেন, ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট। এই বয়সী অনেকেই উচ্চমাত্রার বিষণ্নতা ও মানসিক চাপের শিকার, যা তাদের তুলনায় সামান্য বড়দের মধ্যে তেমন দেখা যায় না। অন্যদিকে, বয়স্কদের মধ্যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুখের মাত্রা বাড়তে থাকে।
এই নাটকীয় পরিবর্তন গবেষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, তরুণ প্রজন্ম এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—যেখানে কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তাদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, সুখ কমে যাওয়ার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তারের কারণে বর্তমান তরুণদের অভিজ্ঞতা আগের প্রজন্মের তুলনায় একেবারে ভিন্ন।
আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষক ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন, ‘ইন্টারনেটই প্রধান কারণ। এই প্রবণতার ব্যাখ্যা দিতে অন্য কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
জরিপ প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চের ২০২৪ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ৪ মার্কিন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে ৩ জনই বলেছেন, তারা যখন তাদের স্মার্টফোন ছাড়া থাকেন—তখন বেশি সুখী বা প্রশান্তি অনুভব করেন। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীরা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম সুখী। গবেষকেরা এটিও দেখেছেন যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই এর অন্যতম প্রধান কারণ।
ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের গবেষণাগুলোর ফলও মিলে যায়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় তরুণদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের বিস্তার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আফ্রিকান দেশগুলোর তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর করা এনবিইআরের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার বিশাল জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি মানুষ কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি। তবে যারা ব্যবহার করেছেন, তাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি বেশি দেখা গেছে।
সেই গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেট না থাকাটা সম্ভবত ব্যাখ্যা করে, কেন আফ্রিকায় তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় কম খারাপ হয়েছে। তবে সামনে ঝুঁকি আছে, কারণ আফ্রিকায় স্মার্টফোন বিক্রি দ্রুত বাড়ছে।’ গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের তরুণদের মধ্যে এখনো ‘ইউ-আকৃতির’ সুখের বক্ররেখা বিদ্যমান, যা কম ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই একটি বৈশ্বিক প্রবণতা। বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, মধ্যবয়সীদের মধ্যেও যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন, তাদের সুখের মাত্রা আগের প্রজন্মের একই বয়সী মানুষের তুলনায় কম।
তবে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনকেই দায়ী করা যাবে না। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও একাকিত্বও তরুণদের সুখ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। এই বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘সংস্কৃতিগত বেশ কিছু পরিবর্তন জীবন সম্পর্কে সন্তুষ্টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে আছে—মানুষের সঙ্গে কম মেলামেশা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং আয় বৈষম্যের বৃদ্ধি।’
২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ বছরের কম বয়সী তরুণদের মধ্যে সুখের মাত্রা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির পর। যুক্তরাষ্ট্রে এই অবনতি এতটাই তীব্র যে, দেশটি ২০১২ সাল থেকে প্রকাশিত এই সুখ সূচকের শীর্ষ ২০টি দেশের তালিকা থেকে প্রথমবারের মতো ছিটকে গেছে।
গবেষণার লেখকেরা বলছেন, তরুণদের সুখ কমার কারণ আরও গভীরভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন, যাতে নীতিনির্ধারকেরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার এই প্রবণতা বদলানোর সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, ‘সমস্যা হলো, তরুণদের কল্যাণ অব্যাহতভাবে কমছে। এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।’ তিনি পরামর্শ দেন, ‘ফোন থেকে দূরে থাকুন এবং সবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।’
আল-জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আরও খবর পড়ুন:

সুখের বিষয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ছিল, এটি ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার মতো চলে। ছোটবেলায় বেশি থাকে, মধ্যবয়সে কমে যায় এবং পরে আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি হয়তো আর সত্য নয়। তরুণদের সুখের গ্রাফ আর আগের মতো নেই। ছয়টি ইংরেজিভাষী দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের সুখের মাত্রা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক কম।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, গত এক দশকে তরুণদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি ও সুখের মাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। গবেষণাটি করেছেন সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জিন টোয়েঞ্জ এবং ডার্টমাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ ডেভিড জি ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার। এতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
অন্য দেশগুলোর গবেষণাগুলোও বলছে, বৈশ্বিকভাবে একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার ও টোয়েঞ্জের গবেষণা সুখের ঐতিহ্যবাহী ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এই পরিবর্তন কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কেন তরুণদের মধ্যে অসুখী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে?
গবেষকেরা বলছেন, ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট। এই বয়সী অনেকেই উচ্চমাত্রার বিষণ্নতা ও মানসিক চাপের শিকার, যা তাদের তুলনায় সামান্য বড়দের মধ্যে তেমন দেখা যায় না। অন্যদিকে, বয়স্কদের মধ্যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুখের মাত্রা বাড়তে থাকে।
এই নাটকীয় পরিবর্তন গবেষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, তরুণ প্রজন্ম এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—যেখানে কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তাদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, সুখ কমে যাওয়ার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তারের কারণে বর্তমান তরুণদের অভিজ্ঞতা আগের প্রজন্মের তুলনায় একেবারে ভিন্ন।
আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষক ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন, ‘ইন্টারনেটই প্রধান কারণ। এই প্রবণতার ব্যাখ্যা দিতে অন্য কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
জরিপ প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চের ২০২৪ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ৪ মার্কিন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে ৩ জনই বলেছেন, তারা যখন তাদের স্মার্টফোন ছাড়া থাকেন—তখন বেশি সুখী বা প্রশান্তি অনুভব করেন। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীরা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম সুখী। গবেষকেরা এটিও দেখেছেন যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই এর অন্যতম প্রধান কারণ।
ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের গবেষণাগুলোর ফলও মিলে যায়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় তরুণদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের বিস্তার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আফ্রিকান দেশগুলোর তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর করা এনবিইআরের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার বিশাল জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি মানুষ কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি। তবে যারা ব্যবহার করেছেন, তাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি বেশি দেখা গেছে।
সেই গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেট না থাকাটা সম্ভবত ব্যাখ্যা করে, কেন আফ্রিকায় তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় কম খারাপ হয়েছে। তবে সামনে ঝুঁকি আছে, কারণ আফ্রিকায় স্মার্টফোন বিক্রি দ্রুত বাড়ছে।’ গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের তরুণদের মধ্যে এখনো ‘ইউ-আকৃতির’ সুখের বক্ররেখা বিদ্যমান, যা কম ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই একটি বৈশ্বিক প্রবণতা। বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, মধ্যবয়সীদের মধ্যেও যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন, তাদের সুখের মাত্রা আগের প্রজন্মের একই বয়সী মানুষের তুলনায় কম।
তবে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনকেই দায়ী করা যাবে না। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও একাকিত্বও তরুণদের সুখ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। এই বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘সংস্কৃতিগত বেশ কিছু পরিবর্তন জীবন সম্পর্কে সন্তুষ্টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে আছে—মানুষের সঙ্গে কম মেলামেশা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং আয় বৈষম্যের বৃদ্ধি।’
২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ বছরের কম বয়সী তরুণদের মধ্যে সুখের মাত্রা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির পর। যুক্তরাষ্ট্রে এই অবনতি এতটাই তীব্র যে, দেশটি ২০১২ সাল থেকে প্রকাশিত এই সুখ সূচকের শীর্ষ ২০টি দেশের তালিকা থেকে প্রথমবারের মতো ছিটকে গেছে।
গবেষণার লেখকেরা বলছেন, তরুণদের সুখ কমার কারণ আরও গভীরভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন, যাতে নীতিনির্ধারকেরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার এই প্রবণতা বদলানোর সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, ‘সমস্যা হলো, তরুণদের কল্যাণ অব্যাহতভাবে কমছে। এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।’ তিনি পরামর্শ দেন, ‘ফোন থেকে দূরে থাকুন এবং সবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।’
আল-জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আরও খবর পড়ুন:

সুখের বিষয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ছিল, এটি ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার মতো চলে। ছোটবেলায় বেশি থাকে, মধ্যবয়সে কমে যায় এবং পরে আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি হয়তো আর সত্য নয়। তরুণদের সুখের গ্রাফ আর আগের মতো নেই। ছয়টি ইংরেজিভাষী দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের সুখের মাত্রা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক কম।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ (এনবিইআর) প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, গত এক দশকে তরুণদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি ও সুখের মাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। গবেষণাটি করেছেন সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জিন টোয়েঞ্জ এবং ডার্টমাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ ডেভিড জি ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার। এতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
অন্য দেশগুলোর গবেষণাগুলোও বলছে, বৈশ্বিকভাবে একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার ও টোয়েঞ্জের গবেষণা সুখের ঐতিহ্যবাহী ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এই পরিবর্তন কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কেন তরুণদের মধ্যে অসুখী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে?
গবেষকেরা বলছেন, ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট। এই বয়সী অনেকেই উচ্চমাত্রার বিষণ্নতা ও মানসিক চাপের শিকার, যা তাদের তুলনায় সামান্য বড়দের মধ্যে তেমন দেখা যায় না। অন্যদিকে, বয়স্কদের মধ্যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুখের মাত্রা বাড়তে থাকে।
এই নাটকীয় পরিবর্তন গবেষকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ, তরুণ প্রজন্ম এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—যেখানে কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তাদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, সুখ কমে যাওয়ার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তারের কারণে বর্তমান তরুণদের অভিজ্ঞতা আগের প্রজন্মের তুলনায় একেবারে ভিন্ন।
আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষক ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন, ‘ইন্টারনেটই প্রধান কারণ। এই প্রবণতার ব্যাখ্যা দিতে অন্য কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।’
জরিপ প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চের ২০২৪ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ৪ মার্কিন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে ৩ জনই বলেছেন, তারা যখন তাদের স্মার্টফোন ছাড়া থাকেন—তখন বেশি সুখী বা প্রশান্তি অনুভব করেন। ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীরা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম সুখী। গবেষকেরা এটিও দেখেছেন যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই এর অন্যতম প্রধান কারণ।
ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ারের বক্তব্যের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের গবেষণাগুলোর ফলও মিলে যায়। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় তরুণদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের বিস্তার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আফ্রিকান দেশগুলোর তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর করা এনবিইআরের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার বিশাল জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি মানুষ কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি। তবে যারা ব্যবহার করেছেন, তাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি বেশি দেখা গেছে।
সেই গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেট না থাকাটা সম্ভবত ব্যাখ্যা করে, কেন আফ্রিকায় তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় কম খারাপ হয়েছে। তবে সামনে ঝুঁকি আছে, কারণ আফ্রিকায় স্মার্টফোন বিক্রি দ্রুত বাড়ছে।’ গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের তরুণদের মধ্যে এখনো ‘ইউ-আকৃতির’ সুখের বক্ররেখা বিদ্যমান, যা কম ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার বলেন বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই একটি বৈশ্বিক প্রবণতা। বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, মধ্যবয়সীদের মধ্যেও যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন, তাদের সুখের মাত্রা আগের প্রজন্মের একই বয়সী মানুষের তুলনায় কম।
তবে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনকেই দায়ী করা যাবে না। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও একাকিত্বও তরুণদের সুখ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। এই বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘সংস্কৃতিগত বেশ কিছু পরিবর্তন জীবন সম্পর্কে সন্তুষ্টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে আছে—মানুষের সঙ্গে কম মেলামেশা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং আয় বৈষম্যের বৃদ্ধি।’
২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ বছরের কম বয়সী তরুণদের মধ্যে সুখের মাত্রা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির পর। যুক্তরাষ্ট্রে এই অবনতি এতটাই তীব্র যে, দেশটি ২০১২ সাল থেকে প্রকাশিত এই সুখ সূচকের শীর্ষ ২০টি দেশের তালিকা থেকে প্রথমবারের মতো ছিটকে গেছে।
গবেষণার লেখকেরা বলছেন, তরুণদের সুখ কমার কারণ আরও গভীরভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন, যাতে নীতিনির্ধারকেরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে ব্ল্যাঞ্চফ্লাওয়ার এই প্রবণতা বদলানোর সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, ‘সমস্যা হলো, তরুণদের কল্যাণ অব্যাহতভাবে কমছে। এটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।’ তিনি পরামর্শ দেন, ‘ফোন থেকে দূরে থাকুন এবং সবার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।’
আল-জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান
আরও খবর পড়ুন:

হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না...
১৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের বিষয়ে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে। সেটা হলো, খাবার ভালোভাবে রান্না করতে হবে, পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। কিন্তু জাপানে এই ধারণার ব্যতিক্রম দেখা যায়, বিশেষ করে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে। সেখানে কাঁচা ডিম খাওয়া শুধু সাধারণ নয়, দৈনন্দিন খাদ্যসংস্কৃতির অংশ। বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের...
১৮ ঘণ্টা আগে
আমিষ হোক কিংবা নিরামিষ, খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। রসুনের আছে কড়া ঘ্রাণ, যা রান্নায় যোগ করে নতুন মাত্রা। শুধু তা-ই নয়, কাঁচা রসুনও পেটের অসুখ ভালো করে দেওয়া পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা কি রসুনের সঠিক ব্যবহার জানি? অনেক সময় রসুন ব্যবহারের সাধারণ কিছু ভুলেই...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাগদান এবং একসঙ্গে ব্যবসা শুরু
চীনা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হেইলংজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা মিস্টার হে ও মিস ওয়াং পারিবারিকভাবে বাগদান করেন। বাগদানের পর তাঁরা হেবেই প্রদেশে গিয়ে মিস্টার হে-এর পরিবারের মালিকানাধীন একটি মালাটাং রেস্তোরাঁ একসঙ্গে পরিচালনা করতে শুরু করেন।
সংসার ও ব্যবসা নিয়ে বিরোধ
একসঙ্গে থাকা ও ব্যবসা পরিচালনার ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিস্টার হে অভিযোগ করেন, তাঁর হবু স্ত্রী সহজ কাজ বেছে নিতেন এবং প্রতিদিন এত বেশি খাবার খেতেন যে রেস্তোরাঁয় ক্রেতাদের বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ থাকত না। তিনি বলেন, ‘সে প্রতিদিন এত বেশি খায় যে আমাদের বিক্রি করার মতো উপকরণই শেষ হয়ে যায়।’
পরিবারের অবস্থান
মিস্টার হে-এর পরিবারও বিয়ে বাতিলের পক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, ভবিষ্যৎ পুত্রবধূর আচরণ আগের মতো নেই। বাগদানের আগের সময়ের তুলনায় তাঁর দায়িত্ববোধ এবং কাজের আগ্রহ কমে গেছে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তাদের মতে, সংসার ও পারিবারিক ব্যবসার প্রতি যে মনোযোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা তিনি দেখাননি। এ কারণেই পরিবারটি বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়।
আদালতে মামলা ও আর্থিক দাবি
বাগদান ভেঙে যাওয়ার পর মিস্টার হে আদালতে মামলা করেন। তিনি মেয়েকে তাঁর দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান ফেরত চান; পাশাপাশি প্রেমের সময়কার খরচ হিসেবে আরও ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দাবি করেন। এই খরচের তালিকায় গার্লফ্রেন্ডকে উপহার দেওয়া টাইটস ও অন্তর্বাসের দামও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মিস ওয়াংয়ের প্রতিক্রিয়া
আদালতে মিস ওয়াং তাঁর সাবেক হবু স্বামীর এই হিসাবি মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি যখন স্বেচ্ছায় এসব জিনিস কিনেছিলেন, তখন কি আপনি খুশি ছিলেন না? আমি তো আপনার বান্ধবীই ছিলাম।’
ডেটিং খরচ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত
সব দিক বিবেচনা করে আদালত প্রেমের সময়কার ৩০ হাজার ইউয়ান খরচ ফেরতের দাবি নাকচ করে দেন। আদালতের মতে, এগুলো ছিল স্বেচ্ছায় করা ব্যয়, যা সম্পর্ক চলাকালে উভয় পক্ষের জন্য মানসিক মূল্য বহন করেছিল। এগুলো কোনো ঋণ নয়।
যৌতুক ফেরত নিয়ে রায়
তবে যৌতুকের বিষয়ে আদালত চীনের দেওয়ানি আইন প্রয়োগ করেন। আইন অনুযায়ী, যদি দম্পতি বিয়ের নিবন্ধন না করে থাকেন বা নিবন্ধন করলেও বাস্তবে একসঙ্গে সংসার না করে থাকেন, তাহলে যৌতুক আংশিক বা সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হতে পারে। সে অনুযায়ী আদালত মিস ওয়াংকে যৌতুকের অর্ধেক ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। উভয় পক্ষ এই রায় মেনে নেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি পরে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ভাইরাল হয়ে যায়। লাখো মানুষ এ বিষয়ে মতামত দেন। অধিকাংশ মন্তব্যেই মিস্টার হে-এর কৃপণতা ও অতিরিক্ত হিসাবি মানসিকতার সমালোচনা করা হয়। এক নেটিজেন লেখেন, ‘যদি প্রতিটি নুডলসের বাটির দাম হিসাব করেন, তাহলে বিয়ে না করে কর্মচারী নিয়োগ করাই ভালো।’ অনেকে আবার মন্তব্য করেন, এমন একজন বস্তুবাদী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় নারীটি ভাগ্যবান।
এ ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গল্প নয়; প্রেম, বিয়ে ও অর্থনৈতিক প্রত্যাশা নিয়ে সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সম্পর্কের ভেতরে স্বেচ্ছায় করা খরচ কতটা হিসাবের আওতায় আসতে পারে এবং পারিবারিক প্রত্যাশা ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়গুলো নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তৃত বিতর্ক।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাগদান এবং একসঙ্গে ব্যবসা শুরু
চীনা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হেইলংজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা মিস্টার হে ও মিস ওয়াং পারিবারিকভাবে বাগদান করেন। বাগদানের পর তাঁরা হেবেই প্রদেশে গিয়ে মিস্টার হে-এর পরিবারের মালিকানাধীন একটি মালাটাং রেস্তোরাঁ একসঙ্গে পরিচালনা করতে শুরু করেন।
সংসার ও ব্যবসা নিয়ে বিরোধ
একসঙ্গে থাকা ও ব্যবসা পরিচালনার ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিস্টার হে অভিযোগ করেন, তাঁর হবু স্ত্রী সহজ কাজ বেছে নিতেন এবং প্রতিদিন এত বেশি খাবার খেতেন যে রেস্তোরাঁয় ক্রেতাদের বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ থাকত না। তিনি বলেন, ‘সে প্রতিদিন এত বেশি খায় যে আমাদের বিক্রি করার মতো উপকরণই শেষ হয়ে যায়।’
পরিবারের অবস্থান
মিস্টার হে-এর পরিবারও বিয়ে বাতিলের পক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, ভবিষ্যৎ পুত্রবধূর আচরণ আগের মতো নেই। বাগদানের আগের সময়ের তুলনায় তাঁর দায়িত্ববোধ এবং কাজের আগ্রহ কমে গেছে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তাদের মতে, সংসার ও পারিবারিক ব্যবসার প্রতি যে মনোযোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা তিনি দেখাননি। এ কারণেই পরিবারটি বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়।
আদালতে মামলা ও আর্থিক দাবি
বাগদান ভেঙে যাওয়ার পর মিস্টার হে আদালতে মামলা করেন। তিনি মেয়েকে তাঁর দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান ফেরত চান; পাশাপাশি প্রেমের সময়কার খরচ হিসেবে আরও ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দাবি করেন। এই খরচের তালিকায় গার্লফ্রেন্ডকে উপহার দেওয়া টাইটস ও অন্তর্বাসের দামও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মিস ওয়াংয়ের প্রতিক্রিয়া
আদালতে মিস ওয়াং তাঁর সাবেক হবু স্বামীর এই হিসাবি মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি যখন স্বেচ্ছায় এসব জিনিস কিনেছিলেন, তখন কি আপনি খুশি ছিলেন না? আমি তো আপনার বান্ধবীই ছিলাম।’
ডেটিং খরচ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত
সব দিক বিবেচনা করে আদালত প্রেমের সময়কার ৩০ হাজার ইউয়ান খরচ ফেরতের দাবি নাকচ করে দেন। আদালতের মতে, এগুলো ছিল স্বেচ্ছায় করা ব্যয়, যা সম্পর্ক চলাকালে উভয় পক্ষের জন্য মানসিক মূল্য বহন করেছিল। এগুলো কোনো ঋণ নয়।
যৌতুক ফেরত নিয়ে রায়
তবে যৌতুকের বিষয়ে আদালত চীনের দেওয়ানি আইন প্রয়োগ করেন। আইন অনুযায়ী, যদি দম্পতি বিয়ের নিবন্ধন না করে থাকেন বা নিবন্ধন করলেও বাস্তবে একসঙ্গে সংসার না করে থাকেন, তাহলে যৌতুক আংশিক বা সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হতে পারে। সে অনুযায়ী আদালত মিস ওয়াংকে যৌতুকের অর্ধেক ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। উভয় পক্ষ এই রায় মেনে নেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি পরে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ভাইরাল হয়ে যায়। লাখো মানুষ এ বিষয়ে মতামত দেন। অধিকাংশ মন্তব্যেই মিস্টার হে-এর কৃপণতা ও অতিরিক্ত হিসাবি মানসিকতার সমালোচনা করা হয়। এক নেটিজেন লেখেন, ‘যদি প্রতিটি নুডলসের বাটির দাম হিসাব করেন, তাহলে বিয়ে না করে কর্মচারী নিয়োগ করাই ভালো।’ অনেকে আবার মন্তব্য করেন, এমন একজন বস্তুবাদী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় নারীটি ভাগ্যবান।
এ ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গল্প নয়; প্রেম, বিয়ে ও অর্থনৈতিক প্রত্যাশা নিয়ে সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সম্পর্কের ভেতরে স্বেচ্ছায় করা খরচ কতটা হিসাবের আওতায় আসতে পারে এবং পারিবারিক প্রত্যাশা ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়গুলো নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তৃত বিতর্ক।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সুখের বিষয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ছিল, এটি ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার মতো চলে। ছোটবেলায় বেশি থাকে, মধ্যবয়সে কমে যায় এবং পরে আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি হয়তো আর সত্য নয়। তরুণদের সুখের গ্রাফ আর আগের মতো নেই। ছয়টি ইংরেজিভাষী দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের সুখের..
০৮ মার্চ ২০২৫
রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না...
১৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের বিষয়ে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে। সেটা হলো, খাবার ভালোভাবে রান্না করতে হবে, পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। কিন্তু জাপানে এই ধারণার ব্যতিক্রম দেখা যায়, বিশেষ করে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে। সেখানে কাঁচা ডিম খাওয়া শুধু সাধারণ নয়, দৈনন্দিন খাদ্যসংস্কৃতির অংশ। বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের...
১৮ ঘণ্টা আগে
আমিষ হোক কিংবা নিরামিষ, খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। রসুনের আছে কড়া ঘ্রাণ, যা রান্নায় যোগ করে নতুন মাত্রা। শুধু তা-ই নয়, কাঁচা রসুনও পেটের অসুখ ভালো করে দেওয়া পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা কি রসুনের সঠিক ব্যবহার জানি? অনেক সময় রসুন ব্যবহারের সাধারণ কিছু ভুলেই...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। মাংস বা সবজি বেক করা, খাবার ঢেকে রাখা কিংবা ওভেনে ব্যবহার—সব ক্ষেত্রেই ফয়েলের ব্যবহার ব্যাপক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। ফলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, আসলে বিষয়টি কতটা সত্য?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না। সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সাধারণ রান্নার জন্য নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক ডা. ড্যারিন ডেটওয়াইলার বলেন, ‘প্রতিদিনের সাধারণ রান্না ও বেকিংয়ের কাজে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার সাধারণত নিরাপদ। এতে হঠাৎ করে অ্যালুমিনিয়াম বিষক্রিয়ার আশঙ্কা নেই।’
তবে তিনি সতর্ক করে জানান, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ফয়েল থেকে অল্প পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। বিশেষ করে খুব বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলে বা টক ও অ্যাসিডিক খাবারের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি বাড়ে।

টক খাবারে কেন ঝুঁকি বেশি
টমেটো, লেবু, কমলা, ভিনেগার বা টক-মিষ্টি সসজাতীয় খাবারে প্রাকৃতিকভাবে অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিড অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। ফলে ফয়েলের গঠন ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং সেখান থেকে অল্প পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম খাবারের মধ্যে চলে আসতে পারে।
ড. ডেটওয়াইলারের ভাষায়, ‘এর পরিমাণ সাধারণত খুবই সামান্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে বেশি পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে তা স্নায়বিক রোগসহ কিছু দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যসমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
সর্বোচ্চ কত তাপমাত্রা পর্যন্ত নিরাপদ
ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলের যোগাযোগ পরিচালক তামিকা সিমস জানান, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ২০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নিরাপদভাবে ব্যবহার করা যায়। এই সীমার মধ্যে ওভেন বা সাধারণ রান্নার বেশির ভাগ কাজই পড়ে। রান্নাবিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ জেসিকা গেভিন বলেন, ‘দৈনন্দিন রান্নায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সাধারণত নিরাপদ। তবে টক বা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময় ফয়েলের সংস্পর্শে রাখা উচিত নয়। এতে খাবারে ধাতব স্বাদ আসতে পারে এবং ফয়েলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
শরীরে অ্যালুমিনিয়াম কতটা প্রবেশ করে
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, একজন গড় আমেরিকান প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে প্রায় ৭ থেকে ৯ মিলিগ্রাম অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করেন। এর বেশির ভাগ অংশ শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। জেসিকা গ্যাভিনের মতে, শরীরে প্রবেশ করা মোট অ্যালুমিনিয়ামের মাত্র ৪ শতাংশের মতো আসে রান্নার সরঞ্জাম, কাটলারি, বেকিং ট্রে বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল থেকে। বাকি অংশ আসে খাবার, প্রসাধনী, ওষুধ, পানি এবং বাতাসে থাকা কণিকার মাধ্যমে।
কারা বেশি সতর্ক থাকবেন
ডা. ডেটওয়াইলার জানান, মাঝেমধ্যে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে ঝুঁকি খুবই সামান্য। তবে যাঁরা নিয়মিত ও দীর্ঘদিন ধরে বেশি পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করে—
নিরাপদ ব্যবহারের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহারের কয়েকটি সহজ পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
বিকল্প কী
যাঁরা একেবারে ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে চান, তাঁদের জন্য ভালো বিকল্প হলো কাচের বেকিং ট্রে বা পাত্র। এগুলো রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এবং কোনো ক্ষতিকর উপাদান খাবারে মেশার আশঙ্কা নেই।
সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল রান্নার ক্ষেত্রে সাধারণত নিরাপদ। তবে টক খাবার, অতিরিক্ত তাপ ও দীর্ঘ সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। সচেতন ব্যবহারই পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে।
সূত্র: হাফপোস্ট

রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। মাংস বা সবজি বেক করা, খাবার ঢেকে রাখা কিংবা ওভেনে ব্যবহার—সব ক্ষেত্রেই ফয়েলের ব্যবহার ব্যাপক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। ফলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, আসলে বিষয়টি কতটা সত্য?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না। সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সাধারণ রান্নার জন্য নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক ডা. ড্যারিন ডেটওয়াইলার বলেন, ‘প্রতিদিনের সাধারণ রান্না ও বেকিংয়ের কাজে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার সাধারণত নিরাপদ। এতে হঠাৎ করে অ্যালুমিনিয়াম বিষক্রিয়ার আশঙ্কা নেই।’
তবে তিনি সতর্ক করে জানান, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ফয়েল থেকে অল্প পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। বিশেষ করে খুব বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলে বা টক ও অ্যাসিডিক খাবারের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি বাড়ে।

টক খাবারে কেন ঝুঁকি বেশি
টমেটো, লেবু, কমলা, ভিনেগার বা টক-মিষ্টি সসজাতীয় খাবারে প্রাকৃতিকভাবে অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিড অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। ফলে ফয়েলের গঠন ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং সেখান থেকে অল্প পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম খাবারের মধ্যে চলে আসতে পারে।
ড. ডেটওয়াইলারের ভাষায়, ‘এর পরিমাণ সাধারণত খুবই সামান্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে বেশি পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে তা স্নায়বিক রোগসহ কিছু দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যসমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
সর্বোচ্চ কত তাপমাত্রা পর্যন্ত নিরাপদ
ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলের যোগাযোগ পরিচালক তামিকা সিমস জানান, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ২০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নিরাপদভাবে ব্যবহার করা যায়। এই সীমার মধ্যে ওভেন বা সাধারণ রান্নার বেশির ভাগ কাজই পড়ে। রান্নাবিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ জেসিকা গেভিন বলেন, ‘দৈনন্দিন রান্নায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সাধারণত নিরাপদ। তবে টক বা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময় ফয়েলের সংস্পর্শে রাখা উচিত নয়। এতে খাবারে ধাতব স্বাদ আসতে পারে এবং ফয়েলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
শরীরে অ্যালুমিনিয়াম কতটা প্রবেশ করে
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, একজন গড় আমেরিকান প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে প্রায় ৭ থেকে ৯ মিলিগ্রাম অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করেন। এর বেশির ভাগ অংশ শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। জেসিকা গ্যাভিনের মতে, শরীরে প্রবেশ করা মোট অ্যালুমিনিয়ামের মাত্র ৪ শতাংশের মতো আসে রান্নার সরঞ্জাম, কাটলারি, বেকিং ট্রে বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল থেকে। বাকি অংশ আসে খাবার, প্রসাধনী, ওষুধ, পানি এবং বাতাসে থাকা কণিকার মাধ্যমে।
কারা বেশি সতর্ক থাকবেন
ডা. ডেটওয়াইলার জানান, মাঝেমধ্যে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে ঝুঁকি খুবই সামান্য। তবে যাঁরা নিয়মিত ও দীর্ঘদিন ধরে বেশি পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করে—
নিরাপদ ব্যবহারের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহারের কয়েকটি সহজ পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
বিকল্প কী
যাঁরা একেবারে ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে চান, তাঁদের জন্য ভালো বিকল্প হলো কাচের বেকিং ট্রে বা পাত্র। এগুলো রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এবং কোনো ক্ষতিকর উপাদান খাবারে মেশার আশঙ্কা নেই।
সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল রান্নার ক্ষেত্রে সাধারণত নিরাপদ। তবে টক খাবার, অতিরিক্ত তাপ ও দীর্ঘ সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। সচেতন ব্যবহারই পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে।
সূত্র: হাফপোস্ট

সুখের বিষয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ছিল, এটি ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার মতো চলে। ছোটবেলায় বেশি থাকে, মধ্যবয়সে কমে যায় এবং পরে আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি হয়তো আর সত্য নয়। তরুণদের সুখের গ্রাফ আর আগের মতো নেই। ছয়টি ইংরেজিভাষী দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের সুখের..
০৮ মার্চ ২০২৫
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের বিষয়ে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে। সেটা হলো, খাবার ভালোভাবে রান্না করতে হবে, পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। কিন্তু জাপানে এই ধারণার ব্যতিক্রম দেখা যায়, বিশেষ করে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে। সেখানে কাঁচা ডিম খাওয়া শুধু সাধারণ নয়, দৈনন্দিন খাদ্যসংস্কৃতির অংশ। বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের...
১৮ ঘণ্টা আগে
আমিষ হোক কিংবা নিরামিষ, খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। রসুনের আছে কড়া ঘ্রাণ, যা রান্নায় যোগ করে নতুন মাত্রা। শুধু তা-ই নয়, কাঁচা রসুনও পেটের অসুখ ভালো করে দেওয়া পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা কি রসুনের সঠিক ব্যবহার জানি? অনেক সময় রসুন ব্যবহারের সাধারণ কিছু ভুলেই...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের বিষয়ে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে। সেটা হলো, খাবার ভালোভাবে রান্না করতে হবে, পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। কিন্তু জাপানে এই ধারণার ব্যতিক্রম দেখা যায়, বিশেষ করে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে। সেখানে কাঁচা ডিম খাওয়া শুধু সাধারণ নয়, দৈনন্দিন খাদ্যসংস্কৃতির অংশ।
জাপানে ভ্রমণে গেলে বিদেশিরা প্রায়ই কাঁচা ডিমসহ পরিবেশিত বিভিন্ন খাবারের মুখোমুখি হন। দেশটির সকালের জনপ্রিয় খাবার তামাগো কাকে গোহান (গরম ভাতে কাঁচা ডিম), উডন সুকিমি নুডলস কিংবা গ্রিল করা গরুর মাংসের সঙ্গে ঘন ডিপিং সস—সবখানেই কাঁচা ডিম ব্যবহার করা হয়। অথচ বিশ্বের অন্য অনেক দেশে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ভয়ের কারণে কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলা হয়।
এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে রয়েছে জাপানের সুসংগঠিত খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানে খামার থেকে শুরু করে সুপার মার্কেট পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ডিমের গুণমান নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

খামার থেকে নিরাপত্তা শুরু
জাপান পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (জেপিএ) তথ্য অনুযায়ী, ডিমের নিরাপত্তা শুরু হয় মুরগি পালনের পরিবেশ থেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিম পাড়া মুরগি খোলা পরিবেশে নয়, নিয়ন্ত্রিত ও আবদ্ধ ব্যবস্থায় পালন করা হয়। ফলে বন্য পাখি, পোকামাকড় বা ইঁদুরের মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি কমে যায়। বড় খামারগুলোতে মুরগিকে ছোট বয়সেই সালমোনেলা প্রতিরোধের টিকা দেওয়া হয়। এতে করে মুরগির শরীর থেকে ডিমে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর আশঙ্কা প্রায় শূন্যে নেমে আসে। পাশাপাশি খাদ্য স্বাস্থ্য আইনের আওতায় খাদ্য ও পানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
জিপি সেন্টারে আধুনিক প্রযুক্তি
খামার থেকে সংগ্রহের পর ডিম সরাসরি বাজারে যায় না। প্রথমে সেগুলো পাঠানো হয় বিশেষায়িত গ্রেডিং অ্যান্ড প্যাকিং সেন্টার তথা জিপি সেন্টারে। এখানেই ডিমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়। সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো ধোয়ার প্রক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ডিম সাধারণত না ধুয়ে বাজারে আনা হয়, যাতে ডিমের প্রাকৃতিক সুরক্ষাকবচ অক্ষুণ্ন থাকে। কিন্তু জাপানে উষ্ণ পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে ডিম ধোয়া বাধ্যতামূলক। এতে ডিমের খোলস থেকে সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণভাবে দূর হয়, যদিও প্রাকৃতিক আবরণ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে ডিম পরীক্ষা করা হয়। স্পেকট্রাল বিশ্লেষণের মাধ্যমে রক্তের দাগ বা অন্যান্য বস্তুযুক্ত ডিম বাদ দেওয়া হয়। এমনকি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র দিয়ে ডিমে হালকা টোকা দিয়ে শব্দ বিশ্লেষণের মাধ্যমে খোলসের সূক্ষ্ম ফাটলও শনাক্ত করা হয়। যেগুলো চোখে দেখা যায় না, কিন্তু ব্যাকটেরিয়া ঢোকার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
কাঁচা খাওয়ার জন্য আলাদা মেয়াদ
জাপানি ডিমের প্যাকেটে থাকা ‘বেস্ট বিফোর’ তারিখটি আসলে সাধারণ মেয়াদ নয়। এটি হলো কাঁচা খাওয়ার জন্য নিরাপদ সময়সীমা। সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হার বিবেচনা করে এই সময় নির্ধারণ করা হয়। সে সময়কাল গ্রীষ্মকালে সাধারণত ১৪ দিন এবং শীতকালে ২১ দিন। এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও ডিম নষ্ট হয় না, তবে তখন তা অবশ্যই ভালোভাবে রান্না করে খেতে হয়।
সংরক্ষণ ব্যবস্থা
ধোয়ার ফলে ডিমের প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর নষ্ট হওয়ায় জাপানে ডিম সব সময় ঠান্ডা পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয়। পরিবহন থেকে শুরু করে দোকানের শেলফ সব জায়গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা হয়, যাতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ থাকে। এ কারণেই জাপানে সুপার মার্কেট বা কনভিনিয়েন্স স্টোরে ডিম কখনোই ঘরের তাপমাত্রায় রাখা হয় না। এই মডেল এখন হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশেও অনুসরণ করা হচ্ছে। এর ফলে সেখানেও কাঁচা ডিম খাওয়ার চাহিদা বাড়ছে।
জাপানে কাঁচা ডিম খাওয়া কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নয়। এটি সুপরিকল্পিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানে কাঁচা ডিম খাওয়ার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিনের গবেষণা, কঠোর নীতিমালা এবং প্রযুক্তিনির্ভর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে। খামারে মুরগি পালনের পরিবেশ থেকে শুরু করে ডিম সংগ্রহ, পরিষ্কার করা, পরীক্ষা, সংরক্ষণ এবং ভোক্তার হাতে পৌঁছানো—প্রতিটি ধাপেই রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম ও নজরদারি। কোনো একটি ধাপেও অবহেলা বা শিথিলতার সুযোগ নেই।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের বিষয়ে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে। সেটা হলো, খাবার ভালোভাবে রান্না করতে হবে, পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। কিন্তু জাপানে এই ধারণার ব্যতিক্রম দেখা যায়, বিশেষ করে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে। সেখানে কাঁচা ডিম খাওয়া শুধু সাধারণ নয়, দৈনন্দিন খাদ্যসংস্কৃতির অংশ।
জাপানে ভ্রমণে গেলে বিদেশিরা প্রায়ই কাঁচা ডিমসহ পরিবেশিত বিভিন্ন খাবারের মুখোমুখি হন। দেশটির সকালের জনপ্রিয় খাবার তামাগো কাকে গোহান (গরম ভাতে কাঁচা ডিম), উডন সুকিমি নুডলস কিংবা গ্রিল করা গরুর মাংসের সঙ্গে ঘন ডিপিং সস—সবখানেই কাঁচা ডিম ব্যবহার করা হয়। অথচ বিশ্বের অন্য অনেক দেশে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ভয়ের কারণে কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলা হয়।
এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে রয়েছে জাপানের সুসংগঠিত খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানে খামার থেকে শুরু করে সুপার মার্কেট পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ডিমের গুণমান নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

খামার থেকে নিরাপত্তা শুরু
জাপান পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (জেপিএ) তথ্য অনুযায়ী, ডিমের নিরাপত্তা শুরু হয় মুরগি পালনের পরিবেশ থেকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিম পাড়া মুরগি খোলা পরিবেশে নয়, নিয়ন্ত্রিত ও আবদ্ধ ব্যবস্থায় পালন করা হয়। ফলে বন্য পাখি, পোকামাকড় বা ইঁদুরের মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি কমে যায়। বড় খামারগুলোতে মুরগিকে ছোট বয়সেই সালমোনেলা প্রতিরোধের টিকা দেওয়া হয়। এতে করে মুরগির শরীর থেকে ডিমে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর আশঙ্কা প্রায় শূন্যে নেমে আসে। পাশাপাশি খাদ্য স্বাস্থ্য আইনের আওতায় খাদ্য ও পানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
জিপি সেন্টারে আধুনিক প্রযুক্তি
খামার থেকে সংগ্রহের পর ডিম সরাসরি বাজারে যায় না। প্রথমে সেগুলো পাঠানো হয় বিশেষায়িত গ্রেডিং অ্যান্ড প্যাকিং সেন্টার তথা জিপি সেন্টারে। এখানেই ডিমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়। সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো ধোয়ার প্রক্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ডিম সাধারণত না ধুয়ে বাজারে আনা হয়, যাতে ডিমের প্রাকৃতিক সুরক্ষাকবচ অক্ষুণ্ন থাকে। কিন্তু জাপানে উষ্ণ পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে ডিম ধোয়া বাধ্যতামূলক। এতে ডিমের খোলস থেকে সব ধরনের ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণভাবে দূর হয়, যদিও প্রাকৃতিক আবরণ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে ডিম পরীক্ষা করা হয়। স্পেকট্রাল বিশ্লেষণের মাধ্যমে রক্তের দাগ বা অন্যান্য বস্তুযুক্ত ডিম বাদ দেওয়া হয়। এমনকি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র দিয়ে ডিমে হালকা টোকা দিয়ে শব্দ বিশ্লেষণের মাধ্যমে খোলসের সূক্ষ্ম ফাটলও শনাক্ত করা হয়। যেগুলো চোখে দেখা যায় না, কিন্তু ব্যাকটেরিয়া ঢোকার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
কাঁচা খাওয়ার জন্য আলাদা মেয়াদ
জাপানি ডিমের প্যাকেটে থাকা ‘বেস্ট বিফোর’ তারিখটি আসলে সাধারণ মেয়াদ নয়। এটি হলো কাঁচা খাওয়ার জন্য নিরাপদ সময়সীমা। সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হার বিবেচনা করে এই সময় নির্ধারণ করা হয়। সে সময়কাল গ্রীষ্মকালে সাধারণত ১৪ দিন এবং শীতকালে ২১ দিন। এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও ডিম নষ্ট হয় না, তবে তখন তা অবশ্যই ভালোভাবে রান্না করে খেতে হয়।
সংরক্ষণ ব্যবস্থা
ধোয়ার ফলে ডিমের প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর নষ্ট হওয়ায় জাপানে ডিম সব সময় ঠান্ডা পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয়। পরিবহন থেকে শুরু করে দোকানের শেলফ সব জায়গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা হয়, যাতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ থাকে। এ কারণেই জাপানে সুপার মার্কেট বা কনভিনিয়েন্স স্টোরে ডিম কখনোই ঘরের তাপমাত্রায় রাখা হয় না। এই মডেল এখন হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশেও অনুসরণ করা হচ্ছে। এর ফলে সেখানেও কাঁচা ডিম খাওয়ার চাহিদা বাড়ছে।
জাপানে কাঁচা ডিম খাওয়া কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নয়। এটি সুপরিকল্পিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানে কাঁচা ডিম খাওয়ার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিনের গবেষণা, কঠোর নীতিমালা এবং প্রযুক্তিনির্ভর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে। খামারে মুরগি পালনের পরিবেশ থেকে শুরু করে ডিম সংগ্রহ, পরিষ্কার করা, পরীক্ষা, সংরক্ষণ এবং ভোক্তার হাতে পৌঁছানো—প্রতিটি ধাপেই রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম ও নজরদারি। কোনো একটি ধাপেও অবহেলা বা শিথিলতার সুযোগ নেই।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সুখের বিষয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ছিল, এটি ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার মতো চলে। ছোটবেলায় বেশি থাকে, মধ্যবয়সে কমে যায় এবং পরে আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি হয়তো আর সত্য নয়। তরুণদের সুখের গ্রাফ আর আগের মতো নেই। ছয়টি ইংরেজিভাষী দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের সুখের..
০৮ মার্চ ২০২৫
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না...
১৬ ঘণ্টা আগে
আমিষ হোক কিংবা নিরামিষ, খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। রসুনের আছে কড়া ঘ্রাণ, যা রান্নায় যোগ করে নতুন মাত্রা। শুধু তা-ই নয়, কাঁচা রসুনও পেটের অসুখ ভালো করে দেওয়া পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা কি রসুনের সঠিক ব্যবহার জানি? অনেক সময় রসুন ব্যবহারের সাধারণ কিছু ভুলেই...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রান্নাঘরের অতি পরিচিত একটি মসলা হলো রসুন। আমিষ হোক কিংবা নিরামিষ, খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। রসুনের আছে কড়া ঘ্রাণ, যা রান্নায় যোগ করে নতুন মাত্রা। শুধু তা-ই নয়, কাঁচা রসুনও পেটের অসুখ ভালো করে দেওয়া পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা কি রসুনের সঠিক ব্যবহার জানি? অনেক সময় রসুন ব্যবহারের সাধারণ কিছু ভুলেই খাবারের স্বাদ তিতকুটে হয়ে যায়, নষ্ট হয় এর পুষ্টিগুণও।
ফ্রিজে রসুন রাখার ভুল
অনেকেই রসুন ভালো রাখতে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। এটি রসুনের জন্য সব থেকে ক্ষতিকর। ফ্রিজের ঠান্ডা ও আর্দ্র পরিবেশে রসুন দ্রুত অঙ্কুরিত হয়। আবার ফ্রিজের শুকনা বাতাস রসুনের কোয়া থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে রসুন স্পঞ্জের মতো নরম হয়ে যায় এবং এর আসল স্বাদ হারিয়ে ফেলে। এর পরিবর্তে রসুন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। ঝুড়ি বা জালের ব্যাগে এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে বাতাস চলাচল করতে পারে। সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখা ভালো।
রসুন নিয়ে আতঙ্ক

ভিনেগারে রসুনের আচার করলে অথবা সসে মেশালে অনেক সময় তা নীলচে বা সবুজ রং ধারণ করে। অনেকে মনে করেন, এটি বিষাক্ত এবং তা ফেলে দেন। আসলে এটি একটি স্বাভাবিক রাসায়নিক বিক্রিয়া। রসুনের সালফার যৌগ যখন অ্যাসিড বা খনিজ পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তখন এমন রং হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং স্বাদেও কোনো পরিবর্তন আনে না। উত্তর চীনে ‘লাবা রসুন’ নামক একটি ঐতিহ্যবাহী খাবারে রসুনের এই চমৎকার সবুজ রংই বিশেষত্ব হিসেবে ধরা হয়। পুরোনো রসুনের কোয়ার ভেতরে সবুজ রঙের একটি অঙ্কুর দেখা যায়। এটি বিষাক্ত নয়, তবে রসুনের বাকি অংশের তুলনায় এটি বেশ তিতকুটে ও কড়া স্বাদের হয়। রসুনের অঙ্কুরটি ফেলে দিন। সূক্ষ্ম স্বাদের কোনো খাবার বা কাঁচা সস তৈরির সময় এই অঙ্কুরটি ফেলে দেওয়া ভালো। না হলে খাবারের স্বাদ নষ্ট হতে পারে।
কোন রান্নায় কেমন রসুন

রসুনের স্বাদ কতটা কড়া হবে, তা নির্ভর করে আপনি এটি কীভাবে কাটছেন তার ওপর। রসুন যত বেশি মিহি করে কুচি করবেন বা থেঁতো করবেন, তত বেশি সালফার যৌগ নির্গত হবে। এতে স্বাদ তত বেশি উগ্র ও কড়া হবে। সব রান্নায় রসুনকুচি না দিয়ে প্রয়োজন বুঝে কাটুন। ঘন সসের জন্য থেঁতো করা রসুন, স্যুপ বা স্ট্যুর সুগন্ধের জন্য কুচানো রসুন এবং হালকা সবজি রান্নার জন্য পাতলা স্লাইস করা রসুন ব্যবহার করুন। গ্রিল করা খাবারে মিহি কুচি রসুন এড়িয়ে চলুন। মাংস বা সবজি গ্রিল করার আগে ম্যারিনেশনে মিহি কুচি করা রসুন ব্যবহার করবেন না। আগুনের সরাসরি তাপে ক্ষুদ্র রসুনের টুকরাগুলো মাংস সেদ্ধ হওয়ার আগেই পুড়ে কালো হয়ে যায় এবং খাবার তিতকুটে করে ফেলে। রসুনের কুচির বদলে থেঁতো করা রসুনের রস ব্যবহার করুন অথবা ম্যারিনেশনের জন্য গার্লিক পাউডার বেছে নিন।
কড়াইয়ে শুরুতেই রসুন নয়
তেল গরম হতেই পেঁয়াজ বা সবজির আগে রসুন দিয়ে দেওয়া আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। রসুনে চিনির পরিমাণ বেশি এবং আর্দ্রতা কম থাকায় এটি খুব দ্রুত পুড়ে যায়। পেঁয়াজ বা মাংস সেদ্ধ হওয়ার আগেই রসুন পুড়ে কালো হয়ে যেতে পারে। আগে সবজি বা পেঁয়াজ ভাজুন। রান্না প্রায় শেষের দিকে এলে রসুনকুচি যোগ করুন। রসুনের সুগন্ধ বের হতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট সময় লাগে। এ ছাড়া চড়া আঁচে কখনই রসুন ভাজবেন না। অনেকেই সময় বাঁচাতে উচ্চ তাপে রসুন ভাজেন। এতে তা বাইরে থেকে পুড়ে লাল হয়ে যায়, কিন্তু ভেতর থেকে এর সুগন্ধ বের হতে পারে না। এটি খাবারের স্বাদ তিতকুটে করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানও তৈরি করতে পারে। সব সময় মাঝারি বা কম আঁচে রসুন ভাজুন। এতে রসুনের প্রাকৃতিক চিনি ধীরে ধীরে ক্যারামেলাইজড হয়ে চমৎকার সোনালি রং ধারণ করবে এবং একটি মিষ্টি সুগন্ধ তৈরি করবে।
সূত্র: টেস্টিং টেবিল

রান্নাঘরের অতি পরিচিত একটি মসলা হলো রসুন। আমিষ হোক কিংবা নিরামিষ, খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। রসুনের আছে কড়া ঘ্রাণ, যা রান্নায় যোগ করে নতুন মাত্রা। শুধু তা-ই নয়, কাঁচা রসুনও পেটের অসুখ ভালো করে দেওয়া পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা কি রসুনের সঠিক ব্যবহার জানি? অনেক সময় রসুন ব্যবহারের সাধারণ কিছু ভুলেই খাবারের স্বাদ তিতকুটে হয়ে যায়, নষ্ট হয় এর পুষ্টিগুণও।
ফ্রিজে রসুন রাখার ভুল
অনেকেই রসুন ভালো রাখতে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। এটি রসুনের জন্য সব থেকে ক্ষতিকর। ফ্রিজের ঠান্ডা ও আর্দ্র পরিবেশে রসুন দ্রুত অঙ্কুরিত হয়। আবার ফ্রিজের শুকনা বাতাস রসুনের কোয়া থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে রসুন স্পঞ্জের মতো নরম হয়ে যায় এবং এর আসল স্বাদ হারিয়ে ফেলে। এর পরিবর্তে রসুন ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। ঝুড়ি বা জালের ব্যাগে এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে বাতাস চলাচল করতে পারে। সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখা ভালো।
রসুন নিয়ে আতঙ্ক

ভিনেগারে রসুনের আচার করলে অথবা সসে মেশালে অনেক সময় তা নীলচে বা সবুজ রং ধারণ করে। অনেকে মনে করেন, এটি বিষাক্ত এবং তা ফেলে দেন। আসলে এটি একটি স্বাভাবিক রাসায়নিক বিক্রিয়া। রসুনের সালফার যৌগ যখন অ্যাসিড বা খনিজ পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তখন এমন রং হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং স্বাদেও কোনো পরিবর্তন আনে না। উত্তর চীনে ‘লাবা রসুন’ নামক একটি ঐতিহ্যবাহী খাবারে রসুনের এই চমৎকার সবুজ রংই বিশেষত্ব হিসেবে ধরা হয়। পুরোনো রসুনের কোয়ার ভেতরে সবুজ রঙের একটি অঙ্কুর দেখা যায়। এটি বিষাক্ত নয়, তবে রসুনের বাকি অংশের তুলনায় এটি বেশ তিতকুটে ও কড়া স্বাদের হয়। রসুনের অঙ্কুরটি ফেলে দিন। সূক্ষ্ম স্বাদের কোনো খাবার বা কাঁচা সস তৈরির সময় এই অঙ্কুরটি ফেলে দেওয়া ভালো। না হলে খাবারের স্বাদ নষ্ট হতে পারে।
কোন রান্নায় কেমন রসুন

রসুনের স্বাদ কতটা কড়া হবে, তা নির্ভর করে আপনি এটি কীভাবে কাটছেন তার ওপর। রসুন যত বেশি মিহি করে কুচি করবেন বা থেঁতো করবেন, তত বেশি সালফার যৌগ নির্গত হবে। এতে স্বাদ তত বেশি উগ্র ও কড়া হবে। সব রান্নায় রসুনকুচি না দিয়ে প্রয়োজন বুঝে কাটুন। ঘন সসের জন্য থেঁতো করা রসুন, স্যুপ বা স্ট্যুর সুগন্ধের জন্য কুচানো রসুন এবং হালকা সবজি রান্নার জন্য পাতলা স্লাইস করা রসুন ব্যবহার করুন। গ্রিল করা খাবারে মিহি কুচি রসুন এড়িয়ে চলুন। মাংস বা সবজি গ্রিল করার আগে ম্যারিনেশনে মিহি কুচি করা রসুন ব্যবহার করবেন না। আগুনের সরাসরি তাপে ক্ষুদ্র রসুনের টুকরাগুলো মাংস সেদ্ধ হওয়ার আগেই পুড়ে কালো হয়ে যায় এবং খাবার তিতকুটে করে ফেলে। রসুনের কুচির বদলে থেঁতো করা রসুনের রস ব্যবহার করুন অথবা ম্যারিনেশনের জন্য গার্লিক পাউডার বেছে নিন।
কড়াইয়ে শুরুতেই রসুন নয়
তেল গরম হতেই পেঁয়াজ বা সবজির আগে রসুন দিয়ে দেওয়া আমাদের অনেকেরই অভ্যাস। রসুনে চিনির পরিমাণ বেশি এবং আর্দ্রতা কম থাকায় এটি খুব দ্রুত পুড়ে যায়। পেঁয়াজ বা মাংস সেদ্ধ হওয়ার আগেই রসুন পুড়ে কালো হয়ে যেতে পারে। আগে সবজি বা পেঁয়াজ ভাজুন। রান্না প্রায় শেষের দিকে এলে রসুনকুচি যোগ করুন। রসুনের সুগন্ধ বের হতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট সময় লাগে। এ ছাড়া চড়া আঁচে কখনই রসুন ভাজবেন না। অনেকেই সময় বাঁচাতে উচ্চ তাপে রসুন ভাজেন। এতে তা বাইরে থেকে পুড়ে লাল হয়ে যায়, কিন্তু ভেতর থেকে এর সুগন্ধ বের হতে পারে না। এটি খাবারের স্বাদ তিতকুটে করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানও তৈরি করতে পারে। সব সময় মাঝারি বা কম আঁচে রসুন ভাজুন। এতে রসুনের প্রাকৃতিক চিনি ধীরে ধীরে ক্যারামেলাইজড হয়ে চমৎকার সোনালি রং ধারণ করবে এবং একটি মিষ্টি সুগন্ধ তৈরি করবে।
সূত্র: টেস্টিং টেবিল

সুখের বিষয়ে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ছিল, এটি ‘ইউ-আকৃতির’ বক্ররেখার মতো চলে। ছোটবেলায় বেশি থাকে, মধ্যবয়সে কমে যায় এবং পরে আবার বাড়তে থাকে। কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, এটি হয়তো আর সত্য নয়। তরুণদের সুখের গ্রাফ আর আগের মতো নেই। ছয়টি ইংরেজিভাষী দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের সুখের..
০৮ মার্চ ২০২৫
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না...
১৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের বিষয়ে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে। সেটা হলো, খাবার ভালোভাবে রান্না করতে হবে, পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। কিন্তু জাপানে এই ধারণার ব্যতিক্রম দেখা যায়, বিশেষ করে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে। সেখানে কাঁচা ডিম খাওয়া শুধু সাধারণ নয়, দৈনন্দিন খাদ্যসংস্কৃতির অংশ। বিশ্বের অনেক দেশেই খাবারের...
১৮ ঘণ্টা আগে