মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৬ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৮ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৬ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৮ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৮ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৬ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৬ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৮ ঘণ্টা আগে