মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে