শারে আল মুতানাব্বি
মুসলমানদের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে বাগদাদ নগরীর যুগান্তকারী ভূমিকা রয়েছে। আব্বাসি আমলে মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠা এ নগরী এখনো ইসলামের সোনালি অতীতের বহু স্মৃতিচিহ্ন বহন করে চলেছে। শারে আল মুতানাব্বি এক ঐতিহাসিক বাজার, যা কেবল বাগদাদ কিংবা ইরাক নয়, গোটা আরব বিশ্বে বই বিপণনের জন্য বিখ্যাত। লিখেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক, ঢাকা

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন। কালের পরিক্রমায় অসংখ্য রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে এখনো টিকে আছে শারে আল মুতানাব্বি।
শারে আল মুতানাব্বি নামটি ১৯৩২ সালে বাদশাহ প্রথম ফয়সালের দেওয়া। বাজারের বর্তমান কাঠামোটি তিনি তৈরি করেন এবং আব্বাসি আমলের বিখ্যাত কবি আবু-তাইয়েব আল মুতানাব্বির (৯১৫-৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) নামে বাজারটির নামকরণ করেন।
বাজারের প্রবেশপথে খিলানযুক্ত কারুকাজ করা একটি সুদৃশ্য ফটক রয়েছে। এতে সোনালি হরফে খোদাই করা আছে কবি আল মুতানাব্বির দুটি পঙ্ক্তি। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে অবস্থিত এ বাজারে বইয়ের দোকানের পাশাপাশি ছাপাখানা, কফিশপ, ক্লাব, সরকারি অফিসসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে। বাজারের শেষ প্রান্তে দজলা নদীর পাড়ে রয়েছে কবি আল মুতানাব্বির চমৎকার এক ভাস্কর্য।
শারে আল মুতানাব্বিকে বলা হয় বাগদাদের লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের তীর্থস্থান। দজলার পাড়ে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা থেকে শুরু করে আধুনিক ইরাকের উত্থান-পতনের রাজসাক্ষী এ জায়গা। কত রাজা-বাদশাহ এসেছেন, গেছেন! কত প্রতাপশালী শাসকের পদতলে পিষ্ট হয়েছে বাগদাদ! রাজবংশের শাসন, কমিউনিস্ট শাসন, বাথ পার্টির শাসন, মার্কিন আগ্রাসন—কত পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে এ নগরী! তবে শারে আল মুতানাব্বি এখনো টিকে আছে।
শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে শারে আল মুতানাব্বির বইয়ের বাজারের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে সব কালেই। অনেক বই নিষিদ্ধ হয়েছে সময়ে সময়ে। অনেক প্রেস বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাগদাদের প্রতিবাদী চরিত্রকে বদলানো যায়নি। এ বাজারের অলিগলিতে সব সময় বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের আনাগোনা ছিল। এ বাজারের কোনো এক আড্ডা থেকে উঠে এসেছে এ জনপদের ভবিষ্যৎ তৈরির বিপ্লবী কোনো সিদ্ধান্ত।
লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের জন্য এখানে গড়ে উঠেছে বিখ্যাত কিছু কফিশপ। সেসবের মধ্যে শাবান্দর ক্যাফে অন্যতম। বাজারের শেষ প্রান্তের শতবর্ষী এ ক্যাফে এখনো বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে। ইরাকের অনেক প্রেসিডেন্ট এসব কফিশপে নির্দ্বিধায় যাতায়াত করতেন।
শারে আল মুতানাব্বিতে বইয়ের দোকান ও ছাপাখানা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভাসমান দোকান। এসব দোকান এখনো অনেকটা অরক্ষিত বলা যায়। রাতের আঁধারে দোকানের বইপত্রের কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলেও কেউ চুরি করে না। তাই তো ইরাকিরা বলে—পাঠক কখনো চুরি করে না, চোর কখনো পড়ে না।
২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন চলাকালে এক গাড়িবোমা হামলায় শারে আল মুতানাব্বি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২৬ জন নিহত হয়। এরপর দীর্ঘদিন বাজারটি বন্ধ ছিল। পরে নুরি আল-মালিকির আমলে তা সংস্কার করে আবার চালু করা হয়। ফলে নতুন জীবন পায় ইরাকি বুদ্ধিবৃত্তির এ আঁতুড়ঘর।
সারা বছরই শিল্পসাহিত্য-সংশ্লিষ্ট আয়োজন চলতে থাকে এ বাজারে। বইমেলা, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, সাহিত্য আড্ডা, সেমিনার, কনফারেন্স, সভা, সমিতিসহ হাজারো উৎসব আলো ছড়ায় এখানে। বই যে পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে, তারই প্রমাণ হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সাক্ষী শারে আল মুতানাব্বি।

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন। কালের পরিক্রমায় অসংখ্য রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে এখনো টিকে আছে শারে আল মুতানাব্বি।
শারে আল মুতানাব্বি নামটি ১৯৩২ সালে বাদশাহ প্রথম ফয়সালের দেওয়া। বাজারের বর্তমান কাঠামোটি তিনি তৈরি করেন এবং আব্বাসি আমলের বিখ্যাত কবি আবু-তাইয়েব আল মুতানাব্বির (৯১৫-৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) নামে বাজারটির নামকরণ করেন।
বাজারের প্রবেশপথে খিলানযুক্ত কারুকাজ করা একটি সুদৃশ্য ফটক রয়েছে। এতে সোনালি হরফে খোদাই করা আছে কবি আল মুতানাব্বির দুটি পঙ্ক্তি। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে অবস্থিত এ বাজারে বইয়ের দোকানের পাশাপাশি ছাপাখানা, কফিশপ, ক্লাব, সরকারি অফিসসহ অনেক স্থাপনা রয়েছে। বাজারের শেষ প্রান্তে দজলা নদীর পাড়ে রয়েছে কবি আল মুতানাব্বির চমৎকার এক ভাস্কর্য।
শারে আল মুতানাব্বিকে বলা হয় বাগদাদের লেখক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের তীর্থস্থান। দজলার পাড়ে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা থেকে শুরু করে আধুনিক ইরাকের উত্থান-পতনের রাজসাক্ষী এ জায়গা। কত রাজা-বাদশাহ এসেছেন, গেছেন! কত প্রতাপশালী শাসকের পদতলে পিষ্ট হয়েছে বাগদাদ! রাজবংশের শাসন, কমিউনিস্ট শাসন, বাথ পার্টির শাসন, মার্কিন আগ্রাসন—কত পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে এ নগরী! তবে শারে আল মুতানাব্বি এখনো টিকে আছে।
শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে শারে আল মুতানাব্বির বইয়ের বাজারের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে সব কালেই। অনেক বই নিষিদ্ধ হয়েছে সময়ে সময়ে। অনেক প্রেস বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাগদাদের প্রতিবাদী চরিত্রকে বদলানো যায়নি। এ বাজারের অলিগলিতে সব সময় বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের আনাগোনা ছিল। এ বাজারের কোনো এক আড্ডা থেকে উঠে এসেছে এ জনপদের ভবিষ্যৎ তৈরির বিপ্লবী কোনো সিদ্ধান্ত।
লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের জন্য এখানে গড়ে উঠেছে বিখ্যাত কিছু কফিশপ। সেসবের মধ্যে শাবান্দর ক্যাফে অন্যতম। বাজারের শেষ প্রান্তের শতবর্ষী এ ক্যাফে এখনো বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক মানুষের আনাগোনায় মুখর থাকে। ইরাকের অনেক প্রেসিডেন্ট এসব কফিশপে নির্দ্বিধায় যাতায়াত করতেন।
শারে আল মুতানাব্বিতে বইয়ের দোকান ও ছাপাখানা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভাসমান দোকান। এসব দোকান এখনো অনেকটা অরক্ষিত বলা যায়। রাতের আঁধারে দোকানের বইপত্রের কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলেও কেউ চুরি করে না। তাই তো ইরাকিরা বলে—পাঠক কখনো চুরি করে না, চোর কখনো পড়ে না।
২০০৭ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন চলাকালে এক গাড়িবোমা হামলায় শারে আল মুতানাব্বি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২৬ জন নিহত হয়। এরপর দীর্ঘদিন বাজারটি বন্ধ ছিল। পরে নুরি আল-মালিকির আমলে তা সংস্কার করে আবার চালু করা হয়। ফলে নতুন জীবন পায় ইরাকি বুদ্ধিবৃত্তির এ আঁতুড়ঘর।
সারা বছরই শিল্পসাহিত্য-সংশ্লিষ্ট আয়োজন চলতে থাকে এ বাজারে। বইমেলা, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, সাহিত্য আড্ডা, সেমিনার, কনফারেন্স, সভা, সমিতিসহ হাজারো উৎসব আলো ছড়ায় এখানে। বই যে পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে, তারই প্রমাণ হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সাক্ষী শারে আল মুতানাব্বি।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

আরব বিশ্বে একটি প্রবাদ আছে—কায়রো লেখে, বৈরুত প্রকাশ করে আর বাগদাদ পড়ে। মূলত শারে আল মুতানাব্বির কারণেই এ প্রবাদে বাগদাদের নাম জুড়ে গেছে। পুরোনো বাগদাদে অবস্থিত শারে আল মুতানাব্বির শিকড় আব্বাসি আমলে। বাগদাদের প্রথম বইয়ের বাজার এটি। সেকালের বই বিক্রেতারা এখানে জড়ো হতেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৫ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
৯ ঘণ্টা আগে