মুনীরুল ইসলাম

সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
রমজানে প্রতিটি ইবাদতেই ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোজাই রমজানের প্রধান ইবাদত। তবে রোজার চেয়ে নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। অন্য সময় তো নামাজ পড়বেনই, রমজানে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য ইবাদতের মাত্রাও বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এখানে কয়েকটি বিশেষ ইবাদতের কথা তুলে ধরা হলো—
১. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াব অনেক গুণ বেশি। যাঁরা শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, তাঁরা এ মাসে তা শিখে নিতে পারেন।
২. চলাফেরা ও চালচলনে শালীন হওয়া উচিত। নারীদের খোলামেলা চালচলন তাঁদের নিজেদের রোজার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অন্যদের রোজা হালকা করার জন্যও দায়ী।
৩. পরচর্চা, কুৎসা, নিরর্থক বিষয় নিয়ে মাতামাতি ইত্যাদি পরিত্যাগ করতে হবে। এগুলো রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকারক। না খেয়ে উপোস থাকা যেমন রোজার অংশ, তেমনি বাকসংযমও। তাই রমজানে নারীদের জন্য উচিত যথাসম্ভব বাকসংযম করা।
৪. অধিক হারে দান-সদকা করা উচিত। কেননা, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় রমজানে দান-সদকার ফজিলত অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে দারুণ সুযোগ। সংসারের নিয়ন্তা হিসেবে তাঁরা এ মাসে গরিব-দুঃখীর দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. রোজা রেখে ক্ষুধা-পিপাসার প্রভাব যেন কোনোভাবেই আচরণে প্রকাশ না পায়। সাংসারিক কাজের ঝামেলার কারণে রোজা রেখে মেজাজ খারাপ করে রাখা যাবে না। সংসারের শৃঙ্খলার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বছরের অন্যান্য সময় থেকে যেহেতু রমজানের রুটিন কিছুটা ভিন্ন, সে জন্য সাংসারিক কাজকর্ম কিংবা পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তা নিরসন করার দায়িত্ব নারীদের ওপরই বর্তায় সাধারণত।
৬. পরিবারের সব কাজের ভার নিজের কাঁধে তুলে না নিয়ে পুরুষদেরও কিছু কাজ ভাগ করে দেওয়া উচিত। স্ত্রীকে কাজে সহযোগিতা করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তাই মিলেমিশে কাজ করে নিজের ওপর কাজের চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা এবং সেই সময়টি ইবাদতে ব্যয় করা উচিত।
৭. শেষ দশকে ইতিকাফ করা। তবে তা অন্দরমহলে পূর্ণ পর্দা বজায় রেখে। মহানবী (সা.)-এর স্ত্রীরাও রমজানের শেষ ১০ দিন নিজ নিজ কক্ষে ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের মাধ্যমে রমজানের হক যেমন ভালোভাবে আদায় করা যায়, তেমনি মহিমান্বিত রাত শবে কদরের ফজিলত ও বরকত লাভে ধন্য হওয়া যায়। তাই নারীদের জন্য এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
রমজানে প্রতিটি ইবাদতেই ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোজাই রমজানের প্রধান ইবাদত। তবে রোজার চেয়ে নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। অন্য সময় তো নামাজ পড়বেনই, রমজানে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য ইবাদতের মাত্রাও বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এখানে কয়েকটি বিশেষ ইবাদতের কথা তুলে ধরা হলো—
১. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াব অনেক গুণ বেশি। যাঁরা শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, তাঁরা এ মাসে তা শিখে নিতে পারেন।
২. চলাফেরা ও চালচলনে শালীন হওয়া উচিত। নারীদের খোলামেলা চালচলন তাঁদের নিজেদের রোজার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অন্যদের রোজা হালকা করার জন্যও দায়ী।
৩. পরচর্চা, কুৎসা, নিরর্থক বিষয় নিয়ে মাতামাতি ইত্যাদি পরিত্যাগ করতে হবে। এগুলো রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকারক। না খেয়ে উপোস থাকা যেমন রোজার অংশ, তেমনি বাকসংযমও। তাই রমজানে নারীদের জন্য উচিত যথাসম্ভব বাকসংযম করা।
৪. অধিক হারে দান-সদকা করা উচিত। কেননা, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় রমজানে দান-সদকার ফজিলত অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে দারুণ সুযোগ। সংসারের নিয়ন্তা হিসেবে তাঁরা এ মাসে গরিব-দুঃখীর দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. রোজা রেখে ক্ষুধা-পিপাসার প্রভাব যেন কোনোভাবেই আচরণে প্রকাশ না পায়। সাংসারিক কাজের ঝামেলার কারণে রোজা রেখে মেজাজ খারাপ করে রাখা যাবে না। সংসারের শৃঙ্খলার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বছরের অন্যান্য সময় থেকে যেহেতু রমজানের রুটিন কিছুটা ভিন্ন, সে জন্য সাংসারিক কাজকর্ম কিংবা পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তা নিরসন করার দায়িত্ব নারীদের ওপরই বর্তায় সাধারণত।
৬. পরিবারের সব কাজের ভার নিজের কাঁধে তুলে না নিয়ে পুরুষদেরও কিছু কাজ ভাগ করে দেওয়া উচিত। স্ত্রীকে কাজে সহযোগিতা করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তাই মিলেমিশে কাজ করে নিজের ওপর কাজের চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা এবং সেই সময়টি ইবাদতে ব্যয় করা উচিত।
৭. শেষ দশকে ইতিকাফ করা। তবে তা অন্দরমহলে পূর্ণ পর্দা বজায় রেখে। মহানবী (সা.)-এর স্ত্রীরাও রমজানের শেষ ১০ দিন নিজ নিজ কক্ষে ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের মাধ্যমে রমজানের হক যেমন ভালোভাবে আদায় করা যায়, তেমনি মহিমান্বিত রাত শবে কদরের ফজিলত ও বরকত লাভে ধন্য হওয়া যায়। তাই নারীদের জন্য এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুনীরুল ইসলাম

সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
রমজানে প্রতিটি ইবাদতেই ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোজাই রমজানের প্রধান ইবাদত। তবে রোজার চেয়ে নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। অন্য সময় তো নামাজ পড়বেনই, রমজানে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য ইবাদতের মাত্রাও বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এখানে কয়েকটি বিশেষ ইবাদতের কথা তুলে ধরা হলো—
১. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াব অনেক গুণ বেশি। যাঁরা শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, তাঁরা এ মাসে তা শিখে নিতে পারেন।
২. চলাফেরা ও চালচলনে শালীন হওয়া উচিত। নারীদের খোলামেলা চালচলন তাঁদের নিজেদের রোজার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অন্যদের রোজা হালকা করার জন্যও দায়ী।
৩. পরচর্চা, কুৎসা, নিরর্থক বিষয় নিয়ে মাতামাতি ইত্যাদি পরিত্যাগ করতে হবে। এগুলো রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকারক। না খেয়ে উপোস থাকা যেমন রোজার অংশ, তেমনি বাকসংযমও। তাই রমজানে নারীদের জন্য উচিত যথাসম্ভব বাকসংযম করা।
৪. অধিক হারে দান-সদকা করা উচিত। কেননা, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় রমজানে দান-সদকার ফজিলত অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে দারুণ সুযোগ। সংসারের নিয়ন্তা হিসেবে তাঁরা এ মাসে গরিব-দুঃখীর দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. রোজা রেখে ক্ষুধা-পিপাসার প্রভাব যেন কোনোভাবেই আচরণে প্রকাশ না পায়। সাংসারিক কাজের ঝামেলার কারণে রোজা রেখে মেজাজ খারাপ করে রাখা যাবে না। সংসারের শৃঙ্খলার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বছরের অন্যান্য সময় থেকে যেহেতু রমজানের রুটিন কিছুটা ভিন্ন, সে জন্য সাংসারিক কাজকর্ম কিংবা পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তা নিরসন করার দায়িত্ব নারীদের ওপরই বর্তায় সাধারণত।
৬. পরিবারের সব কাজের ভার নিজের কাঁধে তুলে না নিয়ে পুরুষদেরও কিছু কাজ ভাগ করে দেওয়া উচিত। স্ত্রীকে কাজে সহযোগিতা করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তাই মিলেমিশে কাজ করে নিজের ওপর কাজের চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা এবং সেই সময়টি ইবাদতে ব্যয় করা উচিত।
৭. শেষ দশকে ইতিকাফ করা। তবে তা অন্দরমহলে পূর্ণ পর্দা বজায় রেখে। মহানবী (সা.)-এর স্ত্রীরাও রমজানের শেষ ১০ দিন নিজ নিজ কক্ষে ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের মাধ্যমে রমজানের হক যেমন ভালোভাবে আদায় করা যায়, তেমনি মহিমান্বিত রাত শবে কদরের ফজিলত ও বরকত লাভে ধন্য হওয়া যায়। তাই নারীদের জন্য এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
রমজানে প্রতিটি ইবাদতেই ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোজাই রমজানের প্রধান ইবাদত। তবে রোজার চেয়ে নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। অন্য সময় তো নামাজ পড়বেনই, রমজানে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য ইবাদতের মাত্রাও বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এখানে কয়েকটি বিশেষ ইবাদতের কথা তুলে ধরা হলো—
১. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। রমজান কোরআন নাজিলের মাস। রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াব অনেক গুণ বেশি। যাঁরা শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, তাঁরা এ মাসে তা শিখে নিতে পারেন।
২. চলাফেরা ও চালচলনে শালীন হওয়া উচিত। নারীদের খোলামেলা চালচলন তাঁদের নিজেদের রোজার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অন্যদের রোজা হালকা করার জন্যও দায়ী।
৩. পরচর্চা, কুৎসা, নিরর্থক বিষয় নিয়ে মাতামাতি ইত্যাদি পরিত্যাগ করতে হবে। এগুলো রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকারক। না খেয়ে উপোস থাকা যেমন রোজার অংশ, তেমনি বাকসংযমও। তাই রমজানে নারীদের জন্য উচিত যথাসম্ভব বাকসংযম করা।
৪. অধিক হারে দান-সদকা করা উচিত। কেননা, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় রমজানে দান-সদকার ফজিলত অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে দারুণ সুযোগ। সংসারের নিয়ন্তা হিসেবে তাঁরা এ মাসে গরিব-দুঃখীর দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।
৫. রোজা রেখে ক্ষুধা-পিপাসার প্রভাব যেন কোনোভাবেই আচরণে প্রকাশ না পায়। সাংসারিক কাজের ঝামেলার কারণে রোজা রেখে মেজাজ খারাপ করে রাখা যাবে না। সংসারের শৃঙ্খলার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বছরের অন্যান্য সময় থেকে যেহেতু রমজানের রুটিন কিছুটা ভিন্ন, সে জন্য সাংসারিক কাজকর্ম কিংবা পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তা নিরসন করার দায়িত্ব নারীদের ওপরই বর্তায় সাধারণত।
৬. পরিবারের সব কাজের ভার নিজের কাঁধে তুলে না নিয়ে পুরুষদেরও কিছু কাজ ভাগ করে দেওয়া উচিত। স্ত্রীকে কাজে সহযোগিতা করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তাই মিলেমিশে কাজ করে নিজের ওপর কাজের চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করা এবং সেই সময়টি ইবাদতে ব্যয় করা উচিত।
৭. শেষ দশকে ইতিকাফ করা। তবে তা অন্দরমহলে পূর্ণ পর্দা বজায় রেখে। মহানবী (সা.)-এর স্ত্রীরাও রমজানের শেষ ১০ দিন নিজ নিজ কক্ষে ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের মাধ্যমে রমজানের হক যেমন ভালোভাবে আদায় করা যায়, তেমনি মহিমান্বিত রাত শবে কদরের ফজিলত ও বরকত লাভে ধন্য হওয়া যায়। তাই নারীদের জন্য এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
২ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক...
৫ ঘণ্টা আগে
অনেককাল আগে—যখন হরফের সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়নি, তখন পরস্পরে ভাববিনিময় চলত বস্তুর ছবি এঁকে। গাছের পাতায়, পশুর চামড়ায় বা প্রস্তরখণ্ডে। যুগের পরিবর্তনে ভাব প্রকাশের মাধ্যমেও এসেছে পরিবর্তন। ছবি থেকে সংকেত, সংকেত থেকে বর্ণকে গ্রহণ করেছে মানুষ।
৫ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. জুমার দিনের মর্যাদা অনুধাবন: জুমা মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দীর্ঘ দোয়ায় মগ্ন হওয়া এবং জুমার খুতবা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
২. সালাতে খুশু-খুজু অর্জন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। নামাজকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৩. কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক: নিয়মিত তিলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআনের অর্থ ও শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্তানদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা আমাদের কর্তব্য।
৪. তাওবা ও আত্মপর্যালোচনা: অতীতের গুনাহের জন্য আন্তরিক অনুতাপ এবং প্রকাশ্য-গোপন সব পাপ থেকে ফিরে আসার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। প্রতিদিনের আমল নিজে নিজে মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা আত্মশুদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
৫. সবর, তাওয়াক্কুল ও তাকওয়া চর্চা: বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের দাবি। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে এবং সর্বদা আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বজায় রাখতে হবে।
৬. পরিবারে ইসলামি পরিবেশ প্রতিষ্ঠা: পরিবারে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা এবং স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। পারিবারিকভাবে নামাজ ও নিয়মিত দ্বীনি আলোচনার চর্চা করা একজন মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
৭. সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিকতা: প্রতিবেশীর হক আদায় করা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।
৮. দুনিয়াবিমুখতা ও আত্মসংযম: অতিরিক্ত ভোগবিলাস ও অপচয় পরিহার করে সহজ-সরল ও সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে হবে।
৯. ইসলামের মহান মনীষীদের অনুসরণ: ইসলামের মহান মনীষী ও সালাফদের জীবন থেকে সংযম, ত্যাগ ও পবিত্রতার শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনের মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষায় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১০. নতুন আমলি অঙ্গীকার: প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ছোট হলেও নিয়মিত ভালো আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং গুনাহমুক্ত জীবনের পথে অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞাই হোক আজকের জুমার শিক্ষা।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। জমাদিউস সানি মাসের এই বরকতময় চতুর্থ জুমাকে আমাদের জীবনে হেদায়েত ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি।

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. জুমার দিনের মর্যাদা অনুধাবন: জুমা মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দীর্ঘ দোয়ায় মগ্ন হওয়া এবং জুমার খুতবা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
২. সালাতে খুশু-খুজু অর্জন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। নামাজকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৩. কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক: নিয়মিত তিলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআনের অর্থ ও শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্তানদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা আমাদের কর্তব্য।
৪. তাওবা ও আত্মপর্যালোচনা: অতীতের গুনাহের জন্য আন্তরিক অনুতাপ এবং প্রকাশ্য-গোপন সব পাপ থেকে ফিরে আসার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। প্রতিদিনের আমল নিজে নিজে মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা আত্মশুদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
৫. সবর, তাওয়াক্কুল ও তাকওয়া চর্চা: বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের দাবি। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে এবং সর্বদা আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বজায় রাখতে হবে।
৬. পরিবারে ইসলামি পরিবেশ প্রতিষ্ঠা: পরিবারে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা এবং স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। পারিবারিকভাবে নামাজ ও নিয়মিত দ্বীনি আলোচনার চর্চা করা একজন মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
৭. সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিকতা: প্রতিবেশীর হক আদায় করা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।
৮. দুনিয়াবিমুখতা ও আত্মসংযম: অতিরিক্ত ভোগবিলাস ও অপচয় পরিহার করে সহজ-সরল ও সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে হবে।
৯. ইসলামের মহান মনীষীদের অনুসরণ: ইসলামের মহান মনীষী ও সালাফদের জীবন থেকে সংযম, ত্যাগ ও পবিত্রতার শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনের মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষায় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১০. নতুন আমলি অঙ্গীকার: প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ছোট হলেও নিয়মিত ভালো আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং গুনাহমুক্ত জীবনের পথে অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞাই হোক আজকের জুমার শিক্ষা।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। জমাদিউস সানি মাসের এই বরকতময় চতুর্থ জুমাকে আমাদের জীবনে হেদায়েত ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি।

সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
৩১ মার্চ ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক...
৫ ঘণ্টা আগে
অনেককাল আগে—যখন হরফের সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়নি, তখন পরস্পরে ভাববিনিময় চলত বস্তুর ছবি এঁকে। গাছের পাতায়, পশুর চামড়ায় বা প্রস্তরখণ্ডে। যুগের পরিবর্তনে ভাব প্রকাশের মাধ্যমেও এসেছে পরিবর্তন। ছবি থেকে সংকেত, সংকেত থেকে বর্ণকে গ্রহণ করেছে মানুষ।
৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদুল হারামের এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ মাহের মুকাইলি মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত আলেম ও কারি। তিনি মক্কার মসজিদুল হারামের একজন ইমাম ও খতিব।
আল-মুয়াইকিলি মদিনার টিচার্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি শিক্ষক হিসেবে মক্কা আল-মুকাররমায় চলে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি মক্কার প্রিন্স আবদুল মজিদ স্কুলে স্টুডেন্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ১৪২৫ হিজরিতে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ ফ্যাকাল্টি থেকে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর ফিকহ শাস্ত্রের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি তাফসির বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এবং উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিভাগের ভাইস ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মক্কার আল-আওয়ালি এলাকার আল-সাদি মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবিহতে ইমামতি করেন ১৪২৬ ও ১৪২৭ হিজরিতে। এরপর ১৪২৮ হিজরির রমজানে তিনি মসজিদুল হারামে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সেই বছর থেকেই তিনি মসজিদুল হারামের স্থায়ী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অন্যদিকে, মসজিদে নববির এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ আহমাদ হুজাইফি সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
শায়খ ড. আহমাদ বিন আলি আল-হুজাইফি মসজিদে নববির প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ আলি বিন আবদুর রহমান আল-হুজাইফির সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে তিনি মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি মদিনার ঐতিহাসিক মসজিদে কুবার ইমাম ও খতিব ছিলেন।
তিনি মদিনার তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ফার্স্ট ক্লাস অনার্সসহ মাস্টার্স ও পিএইচডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি অর্জন করেন। মদিনার ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বক্তব্য ও গবেষণামূলক কাজে তাঁর ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এই দুই মসজিদে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক (ওয়াক্ত) নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক নামাজ এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজের সমান এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে এক (ওয়াক্ত) নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৪ / ১১)
অন্য হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সহিহ্ বুখারি: ১১৯০, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৯৪)

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদুল হারামের এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ মাহের মুকাইলি মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত আলেম ও কারি। তিনি মক্কার মসজিদুল হারামের একজন ইমাম ও খতিব।
আল-মুয়াইকিলি মদিনার টিচার্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি শিক্ষক হিসেবে মক্কা আল-মুকাররমায় চলে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি মক্কার প্রিন্স আবদুল মজিদ স্কুলে স্টুডেন্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ১৪২৫ হিজরিতে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ ফ্যাকাল্টি থেকে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর ফিকহ শাস্ত্রের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি তাফসির বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এবং উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিভাগের ভাইস ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মক্কার আল-আওয়ালি এলাকার আল-সাদি মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবিহতে ইমামতি করেন ১৪২৬ ও ১৪২৭ হিজরিতে। এরপর ১৪২৮ হিজরির রমজানে তিনি মসজিদুল হারামে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সেই বছর থেকেই তিনি মসজিদুল হারামের স্থায়ী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অন্যদিকে, মসজিদে নববির এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ আহমাদ হুজাইফি সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
শায়খ ড. আহমাদ বিন আলি আল-হুজাইফি মসজিদে নববির প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ আলি বিন আবদুর রহমান আল-হুজাইফির সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে তিনি মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি মদিনার ঐতিহাসিক মসজিদে কুবার ইমাম ও খতিব ছিলেন।
তিনি মদিনার তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ফার্স্ট ক্লাস অনার্সসহ মাস্টার্স ও পিএইচডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি অর্জন করেন। মদিনার ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বক্তব্য ও গবেষণামূলক কাজে তাঁর ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এই দুই মসজিদে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক (ওয়াক্ত) নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক নামাজ এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজের সমান এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে এক (ওয়াক্ত) নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৪ / ১১)
অন্য হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সহিহ্ বুখারি: ১১৯০, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৯৪)

সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
৩১ মার্চ ২০২৩
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
২ ঘণ্টা আগে
১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক...
৫ ঘণ্টা আগে
অনেককাল আগে—যখন হরফের সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়নি, তখন পরস্পরে ভাববিনিময় চলত বস্তুর ছবি এঁকে। গাছের পাতায়, পশুর চামড়ায় বা প্রস্তরখণ্ডে। যুগের পরিবর্তনে ভাব প্রকাশের মাধ্যমেও এসেছে পরিবর্তন। ছবি থেকে সংকেত, সংকেত থেকে বর্ণকে গ্রহণ করেছে মানুষ।
৫ ঘণ্টা আগেশায়ক মহিউদ্দীন ফারুকী

১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষাগত ভবিষ্যতের জন্য নীতি প্রণয়ন ও চর্চার পথ উন্মুক্তকরণ’।
আজকের বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনশীল। প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও বহুভাষিক সমাজব্যবস্থা ভাষার চরিত্র বদলে দিচ্ছে। এই পরিবর্তনের ধারায় আরবি ভাষাও এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি। একদিকে এটি কোরআনের ভাষা; প্রাচীন জ্ঞান ও সাহিত্যভান্ডারের ধারক; অন্যদিকে আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলাও তার জন্য জরুরি। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য এই দ্বৈত বাস্তবতাকে সামনে রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য হলো, এমন কার্যকরী সমাধান ও মূলনীতি আবিষ্কার করা, যা দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ডিজিটাল পরিবর্তনের আলোকে আরবি ভাষার ভবিষ্যৎকে পুনর্গঠন করবে, যা শিক্ষা-প্রযুক্তি কর্তৃক কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে আরবিকে আরও প্রভাবশালী ভূমিকা পালনে সক্ষম করে তুলবে। এই বছরের প্রতিপাদ্যে উদ্ভাবনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আধুনিক সময়ে পরিবর্তিত সামাজিক কাঠামো ও প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে আরবি ভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার উপায় খোঁজা এই প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য।
ডিজিটাল যুগে ভাষার বিকাশ অনেকাংশেই নির্ভর করে প্রযুক্তিতে তার উপস্থিতির ওপর। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনে আরবি ভাষার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল কোরআন, তাজবিদ শেখার অ্যাপ ও আরবি অভিধান নতুন প্রজন্মের কাছে আরবি শিক্ষাকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলছে। আরবির এই চলমান অগ্রগতি ইতিবাচক। তবে জরুরি বিষয় হলো, এই অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাকে প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করতে হবে এবং এর সক্ষমতা অটুট রাখার জন্য দরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া শিক্ষানীতিতে আরবি ভাষার গুরুত্ব নিশ্চিত করা, প্রশাসন, আদালত ও গণমাধ্যমে আরবির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং গবেষণা ও অনুবাদ কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণের প্রস্তাবও থাকছে এবারের প্রতিপাদ্যে। নীতির পাশাপাশি বাস্তব প্রয়োগের প্রতিও গুরুত্ব থাকছে এখানে। শ্রেণিকক্ষে আরবি শেখানোর কার্যকরী পদ্ধতি এবং অভিবাসী, প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিহীনসহ সর্বস্তরের অনারবদের জন্য সহজ পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কথাও থাকছে এতে।
সবশেষে রয়েছে ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের কথা। আরবি ভাষা যেন শুধু নির্দিষ্ট অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং নারী-পুরুষ, বয়স্ক-শিশু, আরব-অনারব সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুভাষিকতার সঙ্গে আরবির সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায়, এর জন্য দরকার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন প্রয়াস। চলতি বছরের প্রতিপাদ্যে এ বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছে।
এ বছর সৌদি আরবে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসের আয়োজন হয়েছে বাদশাহ সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেবা সংস্থা ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে এবং ইউনেসকোতে কর্মরত সৌদি সরকারের প্রতিনিধিদলের সমন্বয়ে। এ বিষয়ে বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ বছরের আরবি ভাষা দিবসের আয়োজন আরবি ভাষার সেবা ও বিশ্বব্যাপী আরবির প্রচার বৃদ্ধিকারী উদ্যোগসমূহের প্রতি বাদশাহ সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেবা সংস্থার সর্বাত্মক প্রতিশ্রুতির পরিচয় বহন করে।’ (সূত্র: আর-রিয়াদ)
এ বছরের প্রতিপাদ্য ঘোষণার পর ইউনেসকো তাদের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছে, ‘দ্রুতগামী ডিজিটাল পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির মধ্যে এবারের বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে এবারের আয়োজন এমন কিছু আলোচনা তুলে ধরবে, যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সাধারণ কথাবার্তায় আরবির উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে যে বহুভাষিক সমাজে ভাষা-শিক্ষামাধ্যম সীমিত, সেখানে আরবির উপস্থিতি সহজ ও অবারিত করবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ভাষার নানামাত্রিক চর্চা ও অনুশীলন, অন্য ভাষাসমূহের সঙ্গে একে পূর্ণ সমতার অবস্থানে উন্নীতকরণ এবং বিভিন্ন দেশ ও সমাজে স্বকীয়তা ঠিক রেখে আরবির প্রবেশায়নের পথ-পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে।’
ইউনেসকো আরও জানিয়েছে, ‘বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসের আয়োজনটি আরবি ভাষা নিয়ে পরস্পরে কথোপকথন, চিন্তা ও ভাব বিনিময়ের সুযোগ। পাশাপাশি আরবি ভাষার বৈশ্বিক অবস্থানের মূল্যায়ন ও এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ।’
আমাদেরও প্রত্যাশা, বাংলাদেশে আরবি ভাষা চর্চাকে আরও বেগবান করতে হবে। আরবি ভাষা ব্যাপককরণের ক্ষেত্রে যত সংকট, সব নিরসন করতে হবে। এই ভাষার অগ্রগতি সাধনের জন্য যথাযথ পথ ও পন্থা তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে, আরবি ভাষা শিক্ষাদানের জগতে আমাদের আরেকটু সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। অনারবদের আরবি ভাষা পাঠদান পদ্ধতি ও কার্যকরী সিলেবাসের প্রয়োগ আমাদের শিক্ষার্থীদের ভাষাশিক্ষাকে সহজ করবে। কওমি ও আলিয়া উভয় শিক্ষাব্যবস্থাতেই আরবির সিলেবাসকে প্রাচীন ও আধুনিক আরবির সমন্বয়ে জীবন্ত ও প্রায়োগিক হিসেবে পুনর্গঠন করা জরুরি।
সবশেষে আমাদের আহ্বান, আরবি ভাষাকে দিবসকেন্দ্রিক উদ্যাপন না করে একে জীবনব্যাপী রূপ দেওয়া দরকার। মুসলমান মাত্রই আরবি ভাষার মুখাপেক্ষী। আমাদের জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ থেকে নিয়ে প্রায় প্রতিটি ইবাদতেই আরবির প্রয়োজন হয়। আরবি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারিক ভাষা। তাই ‘আরবি ভাষা দিবস’ শিরোনামে একটি দিন নির্ধারিত থাকলেও বাস্তবিক জীবনে আমাদের প্রতিটি দিনই আরবি ভাষা দিবস।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ

১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাষাগত ভবিষ্যতের জন্য নীতি প্রণয়ন ও চর্চার পথ উন্মুক্তকরণ’।
আজকের বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনশীল। প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও বহুভাষিক সমাজব্যবস্থা ভাষার চরিত্র বদলে দিচ্ছে। এই পরিবর্তনের ধারায় আরবি ভাষাও এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি। একদিকে এটি কোরআনের ভাষা; প্রাচীন জ্ঞান ও সাহিত্যভান্ডারের ধারক; অন্যদিকে আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলাও তার জন্য জরুরি। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য এই দ্বৈত বাস্তবতাকে সামনে রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য হলো, এমন কার্যকরী সমাধান ও মূলনীতি আবিষ্কার করা, যা দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ডিজিটাল পরিবর্তনের আলোকে আরবি ভাষার ভবিষ্যৎকে পুনর্গঠন করবে, যা শিক্ষা-প্রযুক্তি কর্তৃক কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে আরবিকে আরও প্রভাবশালী ভূমিকা পালনে সক্ষম করে তুলবে। এই বছরের প্রতিপাদ্যে উদ্ভাবনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আধুনিক সময়ে পরিবর্তিত সামাজিক কাঠামো ও প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে আরবি ভাষাকে এগিয়ে নেওয়ার উপায় খোঁজা এই প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য।
ডিজিটাল যুগে ভাষার বিকাশ অনেকাংশেই নির্ভর করে প্রযুক্তিতে তার উপস্থিতির ওপর। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনে আরবি ভাষার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ডিজিটাল কোরআন, তাজবিদ শেখার অ্যাপ ও আরবি অভিধান নতুন প্রজন্মের কাছে আরবি শিক্ষাকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলছে। আরবির এই চলমান অগ্রগতি ইতিবাচক। তবে জরুরি বিষয় হলো, এই অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাকে প্রয়োজনীয় উপাদান সরবরাহ করতে হবে এবং এর সক্ষমতা অটুট রাখার জন্য দরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া শিক্ষানীতিতে আরবি ভাষার গুরুত্ব নিশ্চিত করা, প্রশাসন, আদালত ও গণমাধ্যমে আরবির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং গবেষণা ও অনুবাদ কার্যক্রমে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণের প্রস্তাবও থাকছে এবারের প্রতিপাদ্যে। নীতির পাশাপাশি বাস্তব প্রয়োগের প্রতিও গুরুত্ব থাকছে এখানে। শ্রেণিকক্ষে আরবি শেখানোর কার্যকরী পদ্ধতি এবং অভিবাসী, প্রতিবন্ধী, দৃষ্টিহীনসহ সর্বস্তরের অনারবদের জন্য সহজ পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কথাও থাকছে এতে।
সবশেষে রয়েছে ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের কথা। আরবি ভাষা যেন শুধু নির্দিষ্ট অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে; বরং নারী-পুরুষ, বয়স্ক-শিশু, আরব-অনারব সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুভাষিকতার সঙ্গে আরবির সহাবস্থান নিশ্চিত করা যায়, এর জন্য দরকার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন প্রয়াস। চলতি বছরের প্রতিপাদ্যে এ বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছে।
এ বছর সৌদি আরবে বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসের আয়োজন হয়েছে বাদশাহ সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেবা সংস্থা ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে এবং ইউনেসকোতে কর্মরত সৌদি সরকারের প্রতিনিধিদলের সমন্বয়ে। এ বিষয়ে বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ বছরের আরবি ভাষা দিবসের আয়োজন আরবি ভাষার সেবা ও বিশ্বব্যাপী আরবির প্রচার বৃদ্ধিকারী উদ্যোগসমূহের প্রতি বাদশাহ সুলতান বিন আবদুল আজিজ সেবা সংস্থার সর্বাত্মক প্রতিশ্রুতির পরিচয় বহন করে।’ (সূত্র: আর-রিয়াদ)
এ বছরের প্রতিপাদ্য ঘোষণার পর ইউনেসকো তাদের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছে, ‘দ্রুতগামী ডিজিটাল পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির মধ্যে এবারের বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে এবারের আয়োজন এমন কিছু আলোচনা তুলে ধরবে, যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সাধারণ কথাবার্তায় আরবির উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে যে বহুভাষিক সমাজে ভাষা-শিক্ষামাধ্যম সীমিত, সেখানে আরবির উপস্থিতি সহজ ও অবারিত করবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই ভাষার নানামাত্রিক চর্চা ও অনুশীলন, অন্য ভাষাসমূহের সঙ্গে একে পূর্ণ সমতার অবস্থানে উন্নীতকরণ এবং বিভিন্ন দেশ ও সমাজে স্বকীয়তা ঠিক রেখে আরবির প্রবেশায়নের পথ-পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে।’
ইউনেসকো আরও জানিয়েছে, ‘বিশ্ব আরবি ভাষা দিবসের আয়োজনটি আরবি ভাষা নিয়ে পরস্পরে কথোপকথন, চিন্তা ও ভাব বিনিময়ের সুযোগ। পাশাপাশি আরবি ভাষার বৈশ্বিক অবস্থানের মূল্যায়ন ও এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ।’
আমাদেরও প্রত্যাশা, বাংলাদেশে আরবি ভাষা চর্চাকে আরও বেগবান করতে হবে। আরবি ভাষা ব্যাপককরণের ক্ষেত্রে যত সংকট, সব নিরসন করতে হবে। এই ভাষার অগ্রগতি সাধনের জন্য যথাযথ পথ ও পন্থা তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে, আরবি ভাষা শিক্ষাদানের জগতে আমাদের আরেকটু সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। অনারবদের আরবি ভাষা পাঠদান পদ্ধতি ও কার্যকরী সিলেবাসের প্রয়োগ আমাদের শিক্ষার্থীদের ভাষাশিক্ষাকে সহজ করবে। কওমি ও আলিয়া উভয় শিক্ষাব্যবস্থাতেই আরবির সিলেবাসকে প্রাচীন ও আধুনিক আরবির সমন্বয়ে জীবন্ত ও প্রায়োগিক হিসেবে পুনর্গঠন করা জরুরি।
সবশেষে আমাদের আহ্বান, আরবি ভাষাকে দিবসকেন্দ্রিক উদ্যাপন না করে একে জীবনব্যাপী রূপ দেওয়া দরকার। মুসলমান মাত্রই আরবি ভাষার মুখাপেক্ষী। আমাদের জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ থেকে নিয়ে প্রায় প্রতিটি ইবাদতেই আরবির প্রয়োজন হয়। আরবি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারিক ভাষা। তাই ‘আরবি ভাষা দিবস’ শিরোনামে একটি দিন নির্ধারিত থাকলেও বাস্তবিক জীবনে আমাদের প্রতিটি দিনই আরবি ভাষা দিবস।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ

সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
৩১ মার্চ ২০২৩
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
২ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
অনেককাল আগে—যখন হরফের সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়নি, তখন পরস্পরে ভাববিনিময় চলত বস্তুর ছবি এঁকে। গাছের পাতায়, পশুর চামড়ায় বা প্রস্তরখণ্ডে। যুগের পরিবর্তনে ভাব প্রকাশের মাধ্যমেও এসেছে পরিবর্তন। ছবি থেকে সংকেত, সংকেত থেকে বর্ণকে গ্রহণ করেছে মানুষ।
৫ ঘণ্টা আগেজহুরুল ইসলাম

অনেককাল আগে—যখন হরফের সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়নি, তখন পরস্পরে ভাববিনিময় চলত বস্তুর ছবি এঁকে। গাছের পাতায়, পশুর চামড়ায় বা প্রস্তরখণ্ডে। যুগের পরিবর্তনে ভাব প্রকাশের মাধ্যমেও এসেছে পরিবর্তন। ছবি থেকে সংকেত, সংকেত থেকে বর্ণকে গ্রহণ করেছে মানুষ। পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার বর্ণমালাই ঐতিহাসিক এ নিয়মের ভেতর দিয়ে বরণ করেছে আজকের আধুনিক রূপ।
ভাষাতাত্ত্বিকদের সর্বসম্মত মত হলো, আরবি হরফের মূল উৎস সেমেটিক লিপিগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর অন্যতম প্রাচীন লিপি হলো ফিনিশীয় লিপি। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীতে প্রচলিত এই ফিনিশীয় লিপি থেকে পরবর্তী সময়ে জন্ম হয় আরমীয় লিপির এবং এ লিপিরই একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা নাবাতীয় লিপি। নাবাতীয় গোষ্ঠীর লোকজন বাস করত বর্তমান জর্ডান, উত্তর আরব ও হিজাজ অঞ্চলে এবং তাদের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সমৃদ্ধির কারণে নাবাতীয় লিপির ব্যবহার ছিল বহুল। জর্ডানের পেট্রা নগরীর পুরোনো দেয়ালে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে নাবাতীয় লিপির নমুনা।
নাবাতীয় লিপির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ছিল। এর প্রায় সব বর্ণই পরস্পর মিলিয়ে লেখা হতো। একটি বর্ণ শব্দের শুরু, মাঝে ও শেষে তিন অবস্থায় তিন রূপ ধারণ করত। এর বর্ণগুলোর কোথাও কোনো নুকতা বা বিন্দুর ব্যবহার ছিল না। একে লেখা হতো ডান থেকে বাঁয়ে। পরে এই বিষয়গুলো আরবি হরফের মৌলিক বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয় এবং এর থেকেই আরবি হরফের প্রাথমিক কাঠামো গড়ে ওঠে।
আরবের জাহেলি যুগেই আরবি ভাষা পূর্ণতার শিখরে আরোহণ করে। আরবের কবি ও বক্তাদের সৃজনশীল সাহিত্য এর উজ্জ্বল প্রমাণ। তবে জাহেলি যুগে লেখার চর্চা ছিল সীমিত। এর মধ্যে কিছু শিলালিপি, চুক্তিপত্র ও কবিতার অংশে আরবি লিপির প্রাথমিক নিদর্শন পাওয়া যায়। এই সময়ের লিপিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি হিজাজি লিপি। এই লিপির ধরন একটু সরল। প্রাথমিক কোরআনের কিছু পাণ্ডুলিপিতে এর নমুনা দেখা যায়। দ্বিতীয়টি কুফি লিপি। এটি অপেক্ষাকৃত কোনাকুনি ধরনের। পরে কোরআন লিপিবদ্ধকরণে এই লিপি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে।
ইসলাম আগমনের পর আরবি হরফ এক নতুন যুগে প্রবেশ করে। প্রথম দিকে আরবি লিপিতে বিন্দু ও হরকতের ব্যবহার ছিল না। নুকতা না থাকার ফলে একটি হরফকে (যেমন: বা-তা-ছা অথবা হা-খা-জিম) বিভিন্নভাবে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতো। আবার হরকতের অনুপস্থিতিতে শব্দের প্রকরণ ও বাক্যের ব্যাকরণিক সমস্যা সৃষ্টি হতো। কাজেই কোরআন সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য আরবি লিপির মানোন্নয়ন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। হরকতের জটিলতা নিরসনের জন্য হিজরি প্রথম শতাব্দীতেই আরবি ব্যাকরণশাস্ত্রের প্রণেতা আবুল আসওয়াদ দুয়ালি নুকতার ব্যবহার শুরু করেন। জবরের জন্য হরফের ওপর এক নুকতা, জেরের জন্য নিচে এক নুকতা, পেশের জন্য হরফের আগে এক নুকতা ও তানবিনের জন্য দুই নুকতার প্রচলন ঘটান তিনি। হরকতের সংকট থেকে বেরিয়ে আসা এর মাধ্যমে কিছুটা সহজ হয়।
বাকি থাকে সাদৃশ্যপূর্ণ বর্ণগুলো আলাদা করার বিষয়। এ সমস্যা দূর করার জন্য আবুল আসওয়াদ দুয়ালির ছাত্র বিখ্যাত আরবি ব্যাকরণবিদ নাসর ইবনে আসিম ও ইয়াহইয়া ইবনে ইয়ামুর এগিয়ে আসেন এবং এক রকম দুইটি হরফের একটিকে নুকতাযুক্ত ও অপরটিকে নুকতাবিহীন রেখে অথবা একাধিক নুকতার ব্যবহার করে হরফ চেনার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
উভয় ক্ষেত্রে নুকতা ব্যবহারের ফলে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ সময় বিখ্যাত আরবিবিদ, আরবিতে প্রথম অভিধান প্রণেতা ও ছন্দশাস্ত্রের আবিষ্কারক খলিল আহমাদ ফারাহিদি হরকতের জন্য জবর, জের ও পেশের ব্যবহার শুরু করেন এবং এই পদ্ধতিই ব্যাপকভাবে আরবি লিপিতে প্রসার লাভ করে। আধুনিক যুগে আরবি লিপির জন্য আরবি ভাষা একাডেমিসমূহের প্রচেষ্টায় ‘ইমলা’ নামে আরবি বানানরীতি প্রণীত হয়েছে এবং সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত মূলনীতির আওতায় আরবি নুসুস বা টেক্সট লেখা হচ্ছে।
লেখক: শিক্ষক, মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ

অনেককাল আগে—যখন হরফের সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়নি, তখন পরস্পরে ভাববিনিময় চলত বস্তুর ছবি এঁকে। গাছের পাতায়, পশুর চামড়ায় বা প্রস্তরখণ্ডে। যুগের পরিবর্তনে ভাব প্রকাশের মাধ্যমেও এসেছে পরিবর্তন। ছবি থেকে সংকেত, সংকেত থেকে বর্ণকে গ্রহণ করেছে মানুষ। পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার বর্ণমালাই ঐতিহাসিক এ নিয়মের ভেতর দিয়ে বরণ করেছে আজকের আধুনিক রূপ।
ভাষাতাত্ত্বিকদের সর্বসম্মত মত হলো, আরবি হরফের মূল উৎস সেমেটিক লিপিগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর অন্যতম প্রাচীন লিপি হলো ফিনিশীয় লিপি। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীতে প্রচলিত এই ফিনিশীয় লিপি থেকে পরবর্তী সময়ে জন্ম হয় আরমীয় লিপির এবং এ লিপিরই একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা নাবাতীয় লিপি। নাবাতীয় গোষ্ঠীর লোকজন বাস করত বর্তমান জর্ডান, উত্তর আরব ও হিজাজ অঞ্চলে এবং তাদের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সমৃদ্ধির কারণে নাবাতীয় লিপির ব্যবহার ছিল বহুল। জর্ডানের পেট্রা নগরীর পুরোনো দেয়ালে এখনো সংরক্ষিত রয়েছে নাবাতীয় লিপির নমুনা।
নাবাতীয় লিপির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ছিল। এর প্রায় সব বর্ণই পরস্পর মিলিয়ে লেখা হতো। একটি বর্ণ শব্দের শুরু, মাঝে ও শেষে তিন অবস্থায় তিন রূপ ধারণ করত। এর বর্ণগুলোর কোথাও কোনো নুকতা বা বিন্দুর ব্যবহার ছিল না। একে লেখা হতো ডান থেকে বাঁয়ে। পরে এই বিষয়গুলো আরবি হরফের মৌলিক বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয় এবং এর থেকেই আরবি হরফের প্রাথমিক কাঠামো গড়ে ওঠে।
আরবের জাহেলি যুগেই আরবি ভাষা পূর্ণতার শিখরে আরোহণ করে। আরবের কবি ও বক্তাদের সৃজনশীল সাহিত্য এর উজ্জ্বল প্রমাণ। তবে জাহেলি যুগে লেখার চর্চা ছিল সীমিত। এর মধ্যে কিছু শিলালিপি, চুক্তিপত্র ও কবিতার অংশে আরবি লিপির প্রাথমিক নিদর্শন পাওয়া যায়। এই সময়ের লিপিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি হিজাজি লিপি। এই লিপির ধরন একটু সরল। প্রাথমিক কোরআনের কিছু পাণ্ডুলিপিতে এর নমুনা দেখা যায়। দ্বিতীয়টি কুফি লিপি। এটি অপেক্ষাকৃত কোনাকুনি ধরনের। পরে কোরআন লিপিবদ্ধকরণে এই লিপি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে।
ইসলাম আগমনের পর আরবি হরফ এক নতুন যুগে প্রবেশ করে। প্রথম দিকে আরবি লিপিতে বিন্দু ও হরকতের ব্যবহার ছিল না। নুকতা না থাকার ফলে একটি হরফকে (যেমন: বা-তা-ছা অথবা হা-খা-জিম) বিভিন্নভাবে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতো। আবার হরকতের অনুপস্থিতিতে শব্দের প্রকরণ ও বাক্যের ব্যাকরণিক সমস্যা সৃষ্টি হতো। কাজেই কোরআন সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য আরবি লিপির মানোন্নয়ন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। হরকতের জটিলতা নিরসনের জন্য হিজরি প্রথম শতাব্দীতেই আরবি ব্যাকরণশাস্ত্রের প্রণেতা আবুল আসওয়াদ দুয়ালি নুকতার ব্যবহার শুরু করেন। জবরের জন্য হরফের ওপর এক নুকতা, জেরের জন্য নিচে এক নুকতা, পেশের জন্য হরফের আগে এক নুকতা ও তানবিনের জন্য দুই নুকতার প্রচলন ঘটান তিনি। হরকতের সংকট থেকে বেরিয়ে আসা এর মাধ্যমে কিছুটা সহজ হয়।
বাকি থাকে সাদৃশ্যপূর্ণ বর্ণগুলো আলাদা করার বিষয়। এ সমস্যা দূর করার জন্য আবুল আসওয়াদ দুয়ালির ছাত্র বিখ্যাত আরবি ব্যাকরণবিদ নাসর ইবনে আসিম ও ইয়াহইয়া ইবনে ইয়ামুর এগিয়ে আসেন এবং এক রকম দুইটি হরফের একটিকে নুকতাযুক্ত ও অপরটিকে নুকতাবিহীন রেখে অথবা একাধিক নুকতার ব্যবহার করে হরফ চেনার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
উভয় ক্ষেত্রে নুকতা ব্যবহারের ফলে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ সময় বিখ্যাত আরবিবিদ, আরবিতে প্রথম অভিধান প্রণেতা ও ছন্দশাস্ত্রের আবিষ্কারক খলিল আহমাদ ফারাহিদি হরকতের জন্য জবর, জের ও পেশের ব্যবহার শুরু করেন এবং এই পদ্ধতিই ব্যাপকভাবে আরবি লিপিতে প্রসার লাভ করে। আধুনিক যুগে আরবি লিপির জন্য আরবি ভাষা একাডেমিসমূহের প্রচেষ্টায় ‘ইমলা’ নামে আরবি বানানরীতি প্রণীত হয়েছে এবং সুপরিকল্পিত ও সুবিন্যস্ত মূলনীতির আওতায় আরবি নুসুস বা টেক্সট লেখা হচ্ছে।
লেখক: শিক্ষক, মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ

সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ। তাই তাদের রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে সফলতার দ্বার উন্মোচন করা উচিত।
৩১ মার্চ ২০২৩
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
২ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
১৮ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস। প্রতিবছর এ দিবসটি পালনের জন্য কিং সালমান আরবি ভাষা একাডেমি ও ইউনেসকোর যৌথ উদ্যোগে একটি স্লোগান বা আলোচনার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ২০২৫ সালে আরবি ভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আরবি ভাষার উদ্ভাবনী সম্ভাবনা: ব্যাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক...
৫ ঘণ্টা আগে