আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়
ওমর আল হুসাইন, মিসর থেকে

আল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও। আজহার তো কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, হাজার বছর পরে এসেও নববি সিলসিলা জারি রাখা এক দেদীপ্যমান আলোক রশ্মি। ইসলামি শিক্ষার চির আধুনিক নয় শুধু, অত্যাধুনিক বাতিঘর। একই সঙ্গে আজহারে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি জাগতিক শিক্ষাও সমান প্রাসঙ্গিক। মানে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোনো কিছুই, কোনো শিক্ষাই অনুপস্থিত না থাকে, আজহার তার সর্বশ্রেষ্ঠ উপমা বা উদাহরণ!
প্রতিষ্ঠা-পট
৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ। ফাতিমি শাসন তখন। চতুর্থ প্রধান খেলাফত। কায়রোতে তার রাজধানী। ওই বছরই কায়রো শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন ফাতিমি শাসক ও ইমাম আল-মুইজ লিদ্বীনিল্লাহর আদেশে প্রতিষ্ঠা করা হয় আল-আজহার মসজিদ। এই মসজিদই আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণতা নেয়। আল-মুইজ লিদ্বীনিল্লাহ ছিলেন ফাতিমি খেলাফতের চতুর্থ ইমাম বা খলিফা। বলে রাখা ভালো, ফাতিমি খেলাফত ছিল শিয়া ইসমাইলিয়া প্রভাবের খেলাফত। (এই খেলাফতের নামকরণ ছিল সাইয়েদা ফাতিমা (রা.)-এর নামে)। ইমাম বা খলিফা মুইজও ইসমাইলি শিয়াই ছিলেন। ফলে আজহার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল শিয়া মতবাদ প্রচারের জন্যই।
মতবাদ পরিবর্তন
১১৭১ খ্রিষ্টাব্দে মিসরের ক্ষমতায় আসেন মহান মুজাহিদ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী। তিনি তখন আজহারের কার্যক্রম ও শিক্ষাদান সীমিত করে দেন। ধীরে ধীরে শিয়া ইমামদের প্রভাব কমিয়ে আনেন। তখন প্রায় ১০-১২ বছর আজহারের শিক্ষা কার্যক্রম অতি সীমিত হয়ে আসে, এমনকি বন্ধই ছিল বলা চলে। পরবর্তী সময়ে তিনি সুন্নি আলেমদের নিয়োগ দেন এবং যথাক্রমে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম ও সামাজিক কার্যক্রম অগ্রগতির দিকে যেতে থাকে। এবং আজহারের সকল কার্যক্রমই এগোতে থাকে মাজহাবভিত্তিক। মানে প্রসিদ্ধ চার মাজহাবের রূপরেখায়—শাফেয়ি, হানাফি, মালিকি ও হাম্বলি।
আল-আজহারের নাম অপরিবর্তিতই আছে শুরু থেকে। কেননা শিয়ারা এই নামটি নির্বাচন করেছেন সাইয়েদা ফাতিমাতু আল-জাহরা (রা.)-এর নাম থেকে। তাই আজহারের এই নামকরণকে ফাতিমি খেলাফতের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
আল-আজহারের প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্য
আজহারের স্থাপত্য একদিকে যেমন ইসলামি শিল্প ও স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন, তেমনি এটি ইতিহাসের নানা পর্বের সাক্ষী। প্রাচীন অংশে মুঘলীয় মিনার, মার্বেল পাথরের মেঝে ও মাঠ, আরবি ক্যালিগ্রাফি এবং কুব্বা (গম্বুজ) চোখে পড়ে, যা উসমানীয় এবং ফাতিমি স্থাপত্যের ছাপ বহন করে।
আধুনিক ভবনগুলো—গবেষণাকেন্দ্র, লাইব্রেরি, অডিটরিয়াম, আইটি ল্যাব, মেডিকেল ফ্যাকাল্টিসহ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন। এই যুগলতা আল-আজহারকে একাধারে অতীত ও ভবিষ্যতের সেতুবন্ধনে পরিণত করেছে। এমনকি আধুনিক ভবনগুলোতেও ইসলামি বিভিন্ন খেলাফতের বিভিন্ন ছাপ পরিলক্ষিত।

শিক্ষা ও পাঠক্রম
আজহার তো বহুমুখী। আজহারের ফ্যাকাল্টি পরিচিতি ও শিক্ষার বিষয়াদি নিয়ে বলতে গেলে আলাদা নিবন্ধের প্রয়োজন। তবু কিছু নোক্তা দিয়ে রাখছি। আজহারের ফ্যাকাল্টিগুলো সাধারণত তিন স্তরের। এর মাধ্যমে ফ্যাকাল্টিগুলোর বিন্যাস করা হয়—
১. শরয়ি তথা ইসলামি শরিয়াভিত্তিক বিভাগগুলো। যেমন, কোরআন ও হাদিস, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আকিদা ও কালামশাস্ত্র, ইসলামিক ইতিহাস ও দাওয়া এবং অন্যান্য।
২. ইলমি তথা বিজ্ঞানভিত্তিক (সায়েন্স) বিভাগগুলো। যেমন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
৩. নজরি তথা মানবিক বিভাগ বা থিওরেটিক্যাল/সামাজিক বিজ্ঞানভিত্তিক। যেমন, ইতিহাস, ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভাষাতত্ত্ব (আরবি সাহিত্য, ইংরেজি, ফরাসি ইত্যাদি)।

বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাবেন যেভাবে
বাংলাদেশ থেকে আল-আজহারে পড়তে যাওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়, যদিও বর্তমানে লিগ্যাল ভিসা বন্ধ আছে। তবু পুরোনো ধাপগুলো আওড়ানো—
যোগ্যতা: দাওরায়ে হাদিস, কামিল অথবা উচ্চমাধ্যমিক পাস শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে আরবি ভাষায় দক্ষতা অপরিহার্য।
আবেদন: সরাসরি অনলাইনে বা আল-আজহারের বিভিন্ন বিদেশি ছাত্র সংস্থার মাধ্যমে অথবা পরিচিত কারও মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে নিতে হয়।
ভিসা ও কাগজপত্র: শিক্ষার্থী ভিসার জন্য বাংলাদেশের মিসরীয় দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়—পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট, অফার লেটার, মেডিকেল রিপোর্ট, স্টুডেন্ট বিমা ইত্যাদি। (যদিও স্বীকৃত এই পদ্ধতিতে এখন ভিসা দেওয়া বন্ধ আছে)

অর্থায়ন: সাধারণত এখানে নিজ খরচে পড়তে হয়, কেউ কেউ সরাসরি আজহারের অথবা মিসর সরকারের বৃত্তিও (স্কলারশিপ) পায়। সেটার নানা প্রক্রিয়া আছে। সরাসরি স্কলারশিপেও আসা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় তাদের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেয়। তবে সেটার দৌড়ঝাঁপ অনেক এবং কোটাও খুবই সামান্য।
এখানে আসার পর প্রথমেই ভাষা পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে সামনে এগোতে হয়। অবশ্য কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা দেশে থেকেই ভাষা পরীক্ষায় অংশ নেন। কেননা ওসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আজহারের মুআদালা বা সনদ সমতার চুক্তি আছে।
প্রিয় পাঠক, আপনাকে পিরামিডের শহরে দাওয়াত করছি। দাওয়াত করছি ঐতিহাসিক আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরে। আজহার তো শুধু কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, বরং আজহার ইতিহাস আগলে আছে। আজহার একটি ঐতিহ্য, আলোক ও দিগ্দর্শন। এর ইতিহাস যেমন দীপ্তিময়, ভবিষ্যৎও তেমনি সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম যুবসমাজ যদি এখান থেকে সত্যিকারের জ্ঞান ও নৈতিকতা অর্জন করে, তবে পরবর্তী শতাব্দীর ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। ১৮ শুরফা সড়ক, জাহের, কায়রো।

আল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও। আজহার তো কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, হাজার বছর পরে এসেও নববি সিলসিলা জারি রাখা এক দেদীপ্যমান আলোক রশ্মি। ইসলামি শিক্ষার চির আধুনিক নয় শুধু, অত্যাধুনিক বাতিঘর। একই সঙ্গে আজহারে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি জাগতিক শিক্ষাও সমান প্রাসঙ্গিক। মানে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোনো কিছুই, কোনো শিক্ষাই অনুপস্থিত না থাকে, আজহার তার সর্বশ্রেষ্ঠ উপমা বা উদাহরণ!
প্রতিষ্ঠা-পট
৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ। ফাতিমি শাসন তখন। চতুর্থ প্রধান খেলাফত। কায়রোতে তার রাজধানী। ওই বছরই কায়রো শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন ফাতিমি শাসক ও ইমাম আল-মুইজ লিদ্বীনিল্লাহর আদেশে প্রতিষ্ঠা করা হয় আল-আজহার মসজিদ। এই মসজিদই আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণতা নেয়। আল-মুইজ লিদ্বীনিল্লাহ ছিলেন ফাতিমি খেলাফতের চতুর্থ ইমাম বা খলিফা। বলে রাখা ভালো, ফাতিমি খেলাফত ছিল শিয়া ইসমাইলিয়া প্রভাবের খেলাফত। (এই খেলাফতের নামকরণ ছিল সাইয়েদা ফাতিমা (রা.)-এর নামে)। ইমাম বা খলিফা মুইজও ইসমাইলি শিয়াই ছিলেন। ফলে আজহার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল শিয়া মতবাদ প্রচারের জন্যই।
মতবাদ পরিবর্তন
১১৭১ খ্রিষ্টাব্দে মিসরের ক্ষমতায় আসেন মহান মুজাহিদ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী। তিনি তখন আজহারের কার্যক্রম ও শিক্ষাদান সীমিত করে দেন। ধীরে ধীরে শিয়া ইমামদের প্রভাব কমিয়ে আনেন। তখন প্রায় ১০-১২ বছর আজহারের শিক্ষা কার্যক্রম অতি সীমিত হয়ে আসে, এমনকি বন্ধই ছিল বলা চলে। পরবর্তী সময়ে তিনি সুন্নি আলেমদের নিয়োগ দেন এবং যথাক্রমে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম ও সামাজিক কার্যক্রম অগ্রগতির দিকে যেতে থাকে। এবং আজহারের সকল কার্যক্রমই এগোতে থাকে মাজহাবভিত্তিক। মানে প্রসিদ্ধ চার মাজহাবের রূপরেখায়—শাফেয়ি, হানাফি, মালিকি ও হাম্বলি।
আল-আজহারের নাম অপরিবর্তিতই আছে শুরু থেকে। কেননা শিয়ারা এই নামটি নির্বাচন করেছেন সাইয়েদা ফাতিমাতু আল-জাহরা (রা.)-এর নাম থেকে। তাই আজহারের এই নামকরণকে ফাতিমি খেলাফতের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
আল-আজহারের প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্য
আজহারের স্থাপত্য একদিকে যেমন ইসলামি শিল্প ও স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন, তেমনি এটি ইতিহাসের নানা পর্বের সাক্ষী। প্রাচীন অংশে মুঘলীয় মিনার, মার্বেল পাথরের মেঝে ও মাঠ, আরবি ক্যালিগ্রাফি এবং কুব্বা (গম্বুজ) চোখে পড়ে, যা উসমানীয় এবং ফাতিমি স্থাপত্যের ছাপ বহন করে।
আধুনিক ভবনগুলো—গবেষণাকেন্দ্র, লাইব্রেরি, অডিটরিয়াম, আইটি ল্যাব, মেডিকেল ফ্যাকাল্টিসহ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন। এই যুগলতা আল-আজহারকে একাধারে অতীত ও ভবিষ্যতের সেতুবন্ধনে পরিণত করেছে। এমনকি আধুনিক ভবনগুলোতেও ইসলামি বিভিন্ন খেলাফতের বিভিন্ন ছাপ পরিলক্ষিত।

শিক্ষা ও পাঠক্রম
আজহার তো বহুমুখী। আজহারের ফ্যাকাল্টি পরিচিতি ও শিক্ষার বিষয়াদি নিয়ে বলতে গেলে আলাদা নিবন্ধের প্রয়োজন। তবু কিছু নোক্তা দিয়ে রাখছি। আজহারের ফ্যাকাল্টিগুলো সাধারণত তিন স্তরের। এর মাধ্যমে ফ্যাকাল্টিগুলোর বিন্যাস করা হয়—
১. শরয়ি তথা ইসলামি শরিয়াভিত্তিক বিভাগগুলো। যেমন, কোরআন ও হাদিস, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আকিদা ও কালামশাস্ত্র, ইসলামিক ইতিহাস ও দাওয়া এবং অন্যান্য।
২. ইলমি তথা বিজ্ঞানভিত্তিক (সায়েন্স) বিভাগগুলো। যেমন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
৩. নজরি তথা মানবিক বিভাগ বা থিওরেটিক্যাল/সামাজিক বিজ্ঞানভিত্তিক। যেমন, ইতিহাস, ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভাষাতত্ত্ব (আরবি সাহিত্য, ইংরেজি, ফরাসি ইত্যাদি)।

বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাবেন যেভাবে
বাংলাদেশ থেকে আল-আজহারে পড়তে যাওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়, যদিও বর্তমানে লিগ্যাল ভিসা বন্ধ আছে। তবু পুরোনো ধাপগুলো আওড়ানো—
যোগ্যতা: দাওরায়ে হাদিস, কামিল অথবা উচ্চমাধ্যমিক পাস শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে আরবি ভাষায় দক্ষতা অপরিহার্য।
আবেদন: সরাসরি অনলাইনে বা আল-আজহারের বিভিন্ন বিদেশি ছাত্র সংস্থার মাধ্যমে অথবা পরিচিত কারও মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে নিতে হয়।
ভিসা ও কাগজপত্র: শিক্ষার্থী ভিসার জন্য বাংলাদেশের মিসরীয় দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়—পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট, অফার লেটার, মেডিকেল রিপোর্ট, স্টুডেন্ট বিমা ইত্যাদি। (যদিও স্বীকৃত এই পদ্ধতিতে এখন ভিসা দেওয়া বন্ধ আছে)

অর্থায়ন: সাধারণত এখানে নিজ খরচে পড়তে হয়, কেউ কেউ সরাসরি আজহারের অথবা মিসর সরকারের বৃত্তিও (স্কলারশিপ) পায়। সেটার নানা প্রক্রিয়া আছে। সরাসরি স্কলারশিপেও আসা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় তাদের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেয়। তবে সেটার দৌড়ঝাঁপ অনেক এবং কোটাও খুবই সামান্য।
এখানে আসার পর প্রথমেই ভাষা পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে সামনে এগোতে হয়। অবশ্য কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা দেশে থেকেই ভাষা পরীক্ষায় অংশ নেন। কেননা ওসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আজহারের মুআদালা বা সনদ সমতার চুক্তি আছে।
প্রিয় পাঠক, আপনাকে পিরামিডের শহরে দাওয়াত করছি। দাওয়াত করছি ঐতিহাসিক আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরে। আজহার তো শুধু কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, বরং আজহার ইতিহাস আগলে আছে। আজহার একটি ঐতিহ্য, আলোক ও দিগ্দর্শন। এর ইতিহাস যেমন দীপ্তিময়, ভবিষ্যৎও তেমনি সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম যুবসমাজ যদি এখান থেকে সত্যিকারের জ্ঞান ও নৈতিকতা অর্জন করে, তবে পরবর্তী শতাব্দীর ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। ১৮ শুরফা সড়ক, জাহের, কায়রো।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়
ওমর আল হুসাইন, মিসর থেকে

আল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও। আজহার তো কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, হাজার বছর পরে এসেও নববি সিলসিলা জারি রাখা এক দেদীপ্যমান আলোক রশ্মি। ইসলামি শিক্ষার চির আধুনিক নয় শুধু, অত্যাধুনিক বাতিঘর। একই সঙ্গে আজহারে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি জাগতিক শিক্ষাও সমান প্রাসঙ্গিক। মানে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোনো কিছুই, কোনো শিক্ষাই অনুপস্থিত না থাকে, আজহার তার সর্বশ্রেষ্ঠ উপমা বা উদাহরণ!
প্রতিষ্ঠা-পট
৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ। ফাতিমি শাসন তখন। চতুর্থ প্রধান খেলাফত। কায়রোতে তার রাজধানী। ওই বছরই কায়রো শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন ফাতিমি শাসক ও ইমাম আল-মুইজ লিদ্বীনিল্লাহর আদেশে প্রতিষ্ঠা করা হয় আল-আজহার মসজিদ। এই মসজিদই আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণতা নেয়। আল-মুইজ লিদ্বীনিল্লাহ ছিলেন ফাতিমি খেলাফতের চতুর্থ ইমাম বা খলিফা। বলে রাখা ভালো, ফাতিমি খেলাফত ছিল শিয়া ইসমাইলিয়া প্রভাবের খেলাফত। (এই খেলাফতের নামকরণ ছিল সাইয়েদা ফাতিমা (রা.)-এর নামে)। ইমাম বা খলিফা মুইজও ইসমাইলি শিয়াই ছিলেন। ফলে আজহার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল শিয়া মতবাদ প্রচারের জন্যই।
মতবাদ পরিবর্তন
১১৭১ খ্রিষ্টাব্দে মিসরের ক্ষমতায় আসেন মহান মুজাহিদ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী। তিনি তখন আজহারের কার্যক্রম ও শিক্ষাদান সীমিত করে দেন। ধীরে ধীরে শিয়া ইমামদের প্রভাব কমিয়ে আনেন। তখন প্রায় ১০-১২ বছর আজহারের শিক্ষা কার্যক্রম অতি সীমিত হয়ে আসে, এমনকি বন্ধই ছিল বলা চলে। পরবর্তী সময়ে তিনি সুন্নি আলেমদের নিয়োগ দেন এবং যথাক্রমে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম ও সামাজিক কার্যক্রম অগ্রগতির দিকে যেতে থাকে। এবং আজহারের সকল কার্যক্রমই এগোতে থাকে মাজহাবভিত্তিক। মানে প্রসিদ্ধ চার মাজহাবের রূপরেখায়—শাফেয়ি, হানাফি, মালিকি ও হাম্বলি।
আল-আজহারের নাম অপরিবর্তিতই আছে শুরু থেকে। কেননা শিয়ারা এই নামটি নির্বাচন করেছেন সাইয়েদা ফাতিমাতু আল-জাহরা (রা.)-এর নাম থেকে। তাই আজহারের এই নামকরণকে ফাতিমি খেলাফতের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
আল-আজহারের প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্য
আজহারের স্থাপত্য একদিকে যেমন ইসলামি শিল্প ও স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন, তেমনি এটি ইতিহাসের নানা পর্বের সাক্ষী। প্রাচীন অংশে মুঘলীয় মিনার, মার্বেল পাথরের মেঝে ও মাঠ, আরবি ক্যালিগ্রাফি এবং কুব্বা (গম্বুজ) চোখে পড়ে, যা উসমানীয় এবং ফাতিমি স্থাপত্যের ছাপ বহন করে।
আধুনিক ভবনগুলো—গবেষণাকেন্দ্র, লাইব্রেরি, অডিটরিয়াম, আইটি ল্যাব, মেডিকেল ফ্যাকাল্টিসহ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন। এই যুগলতা আল-আজহারকে একাধারে অতীত ও ভবিষ্যতের সেতুবন্ধনে পরিণত করেছে। এমনকি আধুনিক ভবনগুলোতেও ইসলামি বিভিন্ন খেলাফতের বিভিন্ন ছাপ পরিলক্ষিত।

শিক্ষা ও পাঠক্রম
আজহার তো বহুমুখী। আজহারের ফ্যাকাল্টি পরিচিতি ও শিক্ষার বিষয়াদি নিয়ে বলতে গেলে আলাদা নিবন্ধের প্রয়োজন। তবু কিছু নোক্তা দিয়ে রাখছি। আজহারের ফ্যাকাল্টিগুলো সাধারণত তিন স্তরের। এর মাধ্যমে ফ্যাকাল্টিগুলোর বিন্যাস করা হয়—
১. শরয়ি তথা ইসলামি শরিয়াভিত্তিক বিভাগগুলো। যেমন, কোরআন ও হাদিস, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আকিদা ও কালামশাস্ত্র, ইসলামিক ইতিহাস ও দাওয়া এবং অন্যান্য।
২. ইলমি তথা বিজ্ঞানভিত্তিক (সায়েন্স) বিভাগগুলো। যেমন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
৩. নজরি তথা মানবিক বিভাগ বা থিওরেটিক্যাল/সামাজিক বিজ্ঞানভিত্তিক। যেমন, ইতিহাস, ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভাষাতত্ত্ব (আরবি সাহিত্য, ইংরেজি, ফরাসি ইত্যাদি)।

বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাবেন যেভাবে
বাংলাদেশ থেকে আল-আজহারে পড়তে যাওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়, যদিও বর্তমানে লিগ্যাল ভিসা বন্ধ আছে। তবু পুরোনো ধাপগুলো আওড়ানো—
যোগ্যতা: দাওরায়ে হাদিস, কামিল অথবা উচ্চমাধ্যমিক পাস শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে আরবি ভাষায় দক্ষতা অপরিহার্য।
আবেদন: সরাসরি অনলাইনে বা আল-আজহারের বিভিন্ন বিদেশি ছাত্র সংস্থার মাধ্যমে অথবা পরিচিত কারও মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে নিতে হয়।
ভিসা ও কাগজপত্র: শিক্ষার্থী ভিসার জন্য বাংলাদেশের মিসরীয় দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়—পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট, অফার লেটার, মেডিকেল রিপোর্ট, স্টুডেন্ট বিমা ইত্যাদি। (যদিও স্বীকৃত এই পদ্ধতিতে এখন ভিসা দেওয়া বন্ধ আছে)

অর্থায়ন: সাধারণত এখানে নিজ খরচে পড়তে হয়, কেউ কেউ সরাসরি আজহারের অথবা মিসর সরকারের বৃত্তিও (স্কলারশিপ) পায়। সেটার নানা প্রক্রিয়া আছে। সরাসরি স্কলারশিপেও আসা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় তাদের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেয়। তবে সেটার দৌড়ঝাঁপ অনেক এবং কোটাও খুবই সামান্য।
এখানে আসার পর প্রথমেই ভাষা পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে সামনে এগোতে হয়। অবশ্য কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা দেশে থেকেই ভাষা পরীক্ষায় অংশ নেন। কেননা ওসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আজহারের মুআদালা বা সনদ সমতার চুক্তি আছে।
প্রিয় পাঠক, আপনাকে পিরামিডের শহরে দাওয়াত করছি। দাওয়াত করছি ঐতিহাসিক আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরে। আজহার তো শুধু কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, বরং আজহার ইতিহাস আগলে আছে। আজহার একটি ঐতিহ্য, আলোক ও দিগ্দর্শন। এর ইতিহাস যেমন দীপ্তিময়, ভবিষ্যৎও তেমনি সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম যুবসমাজ যদি এখান থেকে সত্যিকারের জ্ঞান ও নৈতিকতা অর্জন করে, তবে পরবর্তী শতাব্দীর ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। ১৮ শুরফা সড়ক, জাহের, কায়রো।

আল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও। আজহার তো কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, হাজার বছর পরে এসেও নববি সিলসিলা জারি রাখা এক দেদীপ্যমান আলোক রশ্মি। ইসলামি শিক্ষার চির আধুনিক নয় শুধু, অত্যাধুনিক বাতিঘর। একই সঙ্গে আজহারে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি জাগতিক শিক্ষাও সমান প্রাসঙ্গিক। মানে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন কোনো কিছুই, কোনো শিক্ষাই অনুপস্থিত না থাকে, আজহার তার সর্বশ্রেষ্ঠ উপমা বা উদাহরণ!
প্রতিষ্ঠা-পট
৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ। ফাতিমি শাসন তখন। চতুর্থ প্রধান খেলাফত। কায়রোতে তার রাজধানী। ওই বছরই কায়রো শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন ফাতিমি শাসক ও ইমাম আল-মুইজ লিদ্বীনিল্লাহর আদেশে প্রতিষ্ঠা করা হয় আল-আজহার মসজিদ। এই মসজিদই আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণতা নেয়। আল-মুইজ লিদ্বীনিল্লাহ ছিলেন ফাতিমি খেলাফতের চতুর্থ ইমাম বা খলিফা। বলে রাখা ভালো, ফাতিমি খেলাফত ছিল শিয়া ইসমাইলিয়া প্রভাবের খেলাফত। (এই খেলাফতের নামকরণ ছিল সাইয়েদা ফাতিমা (রা.)-এর নামে)। ইমাম বা খলিফা মুইজও ইসমাইলি শিয়াই ছিলেন। ফলে আজহার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল শিয়া মতবাদ প্রচারের জন্যই।
মতবাদ পরিবর্তন
১১৭১ খ্রিষ্টাব্দে মিসরের ক্ষমতায় আসেন মহান মুজাহিদ সালাহউদ্দিন আইয়ুবী। তিনি তখন আজহারের কার্যক্রম ও শিক্ষাদান সীমিত করে দেন। ধীরে ধীরে শিয়া ইমামদের প্রভাব কমিয়ে আনেন। তখন প্রায় ১০-১২ বছর আজহারের শিক্ষা কার্যক্রম অতি সীমিত হয়ে আসে, এমনকি বন্ধই ছিল বলা চলে। পরবর্তী সময়ে তিনি সুন্নি আলেমদের নিয়োগ দেন এবং যথাক্রমে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম ও সামাজিক কার্যক্রম অগ্রগতির দিকে যেতে থাকে। এবং আজহারের সকল কার্যক্রমই এগোতে থাকে মাজহাবভিত্তিক। মানে প্রসিদ্ধ চার মাজহাবের রূপরেখায়—শাফেয়ি, হানাফি, মালিকি ও হাম্বলি।
আল-আজহারের নাম অপরিবর্তিতই আছে শুরু থেকে। কেননা শিয়ারা এই নামটি নির্বাচন করেছেন সাইয়েদা ফাতিমাতু আল-জাহরা (রা.)-এর নাম থেকে। তাই আজহারের এই নামকরণকে ফাতিমি খেলাফতের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
আল-আজহারের প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্য
আজহারের স্থাপত্য একদিকে যেমন ইসলামি শিল্প ও স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন, তেমনি এটি ইতিহাসের নানা পর্বের সাক্ষী। প্রাচীন অংশে মুঘলীয় মিনার, মার্বেল পাথরের মেঝে ও মাঠ, আরবি ক্যালিগ্রাফি এবং কুব্বা (গম্বুজ) চোখে পড়ে, যা উসমানীয় এবং ফাতিমি স্থাপত্যের ছাপ বহন করে।
আধুনিক ভবনগুলো—গবেষণাকেন্দ্র, লাইব্রেরি, অডিটরিয়াম, আইটি ল্যাব, মেডিকেল ফ্যাকাল্টিসহ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন। এই যুগলতা আল-আজহারকে একাধারে অতীত ও ভবিষ্যতের সেতুবন্ধনে পরিণত করেছে। এমনকি আধুনিক ভবনগুলোতেও ইসলামি বিভিন্ন খেলাফতের বিভিন্ন ছাপ পরিলক্ষিত।

শিক্ষা ও পাঠক্রম
আজহার তো বহুমুখী। আজহারের ফ্যাকাল্টি পরিচিতি ও শিক্ষার বিষয়াদি নিয়ে বলতে গেলে আলাদা নিবন্ধের প্রয়োজন। তবু কিছু নোক্তা দিয়ে রাখছি। আজহারের ফ্যাকাল্টিগুলো সাধারণত তিন স্তরের। এর মাধ্যমে ফ্যাকাল্টিগুলোর বিন্যাস করা হয়—
১. শরয়ি তথা ইসলামি শরিয়াভিত্তিক বিভাগগুলো। যেমন, কোরআন ও হাদিস, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আকিদা ও কালামশাস্ত্র, ইসলামিক ইতিহাস ও দাওয়া এবং অন্যান্য।
২. ইলমি তথা বিজ্ঞানভিত্তিক (সায়েন্স) বিভাগগুলো। যেমন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
৩. নজরি তথা মানবিক বিভাগ বা থিওরেটিক্যাল/সামাজিক বিজ্ঞানভিত্তিক। যেমন, ইতিহাস, ভূগোল, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভাষাতত্ত্ব (আরবি সাহিত্য, ইংরেজি, ফরাসি ইত্যাদি)।

বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাবেন যেভাবে
বাংলাদেশ থেকে আল-আজহারে পড়তে যাওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়, যদিও বর্তমানে লিগ্যাল ভিসা বন্ধ আছে। তবু পুরোনো ধাপগুলো আওড়ানো—
যোগ্যতা: দাওরায়ে হাদিস, কামিল অথবা উচ্চমাধ্যমিক পাস শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে আরবি ভাষায় দক্ষতা অপরিহার্য।
আবেদন: সরাসরি অনলাইনে বা আল-আজহারের বিভিন্ন বিদেশি ছাত্র সংস্থার মাধ্যমে অথবা পরিচিত কারও মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে নিতে হয়।
ভিসা ও কাগজপত্র: শিক্ষার্থী ভিসার জন্য বাংলাদেশের মিসরীয় দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়—পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট, অফার লেটার, মেডিকেল রিপোর্ট, স্টুডেন্ট বিমা ইত্যাদি। (যদিও স্বীকৃত এই পদ্ধতিতে এখন ভিসা দেওয়া বন্ধ আছে)

অর্থায়ন: সাধারণত এখানে নিজ খরচে পড়তে হয়, কেউ কেউ সরাসরি আজহারের অথবা মিসর সরকারের বৃত্তিও (স্কলারশিপ) পায়। সেটার নানা প্রক্রিয়া আছে। সরাসরি স্কলারশিপেও আসা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় তাদের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেয়। তবে সেটার দৌড়ঝাঁপ অনেক এবং কোটাও খুবই সামান্য।
এখানে আসার পর প্রথমেই ভাষা পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে সামনে এগোতে হয়। অবশ্য কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা দেশে থেকেই ভাষা পরীক্ষায় অংশ নেন। কেননা ওসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আজহারের মুআদালা বা সনদ সমতার চুক্তি আছে।
প্রিয় পাঠক, আপনাকে পিরামিডের শহরে দাওয়াত করছি। দাওয়াত করছি ঐতিহাসিক আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরে। আজহার তো শুধু কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, বরং আজহার ইতিহাস আগলে আছে। আজহার একটি ঐতিহ্য, আলোক ও দিগ্দর্শন। এর ইতিহাস যেমন দীপ্তিময়, ভবিষ্যৎও তেমনি সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম যুবসমাজ যদি এখান থেকে সত্যিকারের জ্ঞান ও নৈতিকতা অর্জন করে, তবে পরবর্তী শতাব্দীর ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। ১৮ শুরফা সড়ক, জাহের, কায়রো।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৩ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
০১ আগস্ট ২০২৫
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৩ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

আল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
০১ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৩ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
০১ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

আল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
০১ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৩ ঘণ্টা আগে