Ajker Patrika

গুনাহগার স্বজনদের জন্য আল্লাহর সঙ্গে তর্ক করবেন জান্নাতিরা

আমিনুল ইসলাম হুসাইনী
গুনাহগার স্বজনদের জন্য আল্লাহর সঙ্গে তর্ক করবেন জান্নাতিরা

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি সুসজ্জিত হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আসার পর শয়তানের প্রবঞ্চনায় মুমিন তার কৃত ওয়াদা ভুলে যায়। জড়িয়ে পড়ে নানা পাপকাজে। তারা ভুলে যায়—সময় ফুরালেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। 

বোকা পথিক যেমন রঙিন প্রজাপতির পেছনে ছুটতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে, তেমনি কোনো কোনো মুমিন বান্দা এই পৃথিবীর মোহ মায়ার মরীচিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে জান্নাতের পথ হারিয়ে ফেলছে। জীবন সূর্য ডোবার আগেই যে বাড়ি ফেরার পাথেয় জোগাতে হবে, তাদের সেই খেয়ালই নেই। তারা এতটাই বেখেয়ালে হয়ে পড়েছে যে, নিজেদের রবকেই ভুলে বসে আছে। যে মহান রব তাদের মায়ের গর্ভে লালনপালন করেছেন। বিন্দু থেকে এত বড় মানুষে পরিণত করেছেন। মেধা-মস্তিষ্ক, শক্তি, সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়েছেন। সুন্দর অবয়ব আর শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তারা সেই রবের অবাধ্য হচ্ছে। এ জন্যই মুসলমান হওয়ার পরও তাদের স্থান সুখময় জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে হবে। অবশ্য পরে কোনো এক সময় জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। মুমিন হয়েও কারা জাহান্নামে যাবে আর কখন তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, নিচে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো—

বিচার দিবসের কঠিন সময়ে মানুষ যখন একটু সুপারিশের জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে ব্যর্থ হয়ে ফিরবে, তখন নবী (সা.) গুনাহগার উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, আমি তখন আল্লাহর আরশের নিচে এসে সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হবে, আপনি মাথা তুলুন। আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। নবী (সা.) মাথা তুলবেন এবং বলবেন—হে রব, আপনি আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আমার প্রিয় নবী, আমার নিরপরাধ বান্দাদের জান্নাতের ডান দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। অন্য দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে প্রবেশ করাতে পারেন।’ (বুখারি: ৪৭১২) 

হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুপারিশে যেমন গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করবেন, তেমনি তাঁর আরও কিছু প্রিয় বান্দা যেমন—কোরআনে হাফেজ, আলেম, শহিদ ও ফেরেশতাদের সুপারিশ করার সম্মান দান করবেন। তাদের সুপারিশেও এমন অনেক গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের ওপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল। 

হাদিসে এসেছে, পুণ্যবান মুমিনগণ পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, আপনজনদের জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবেন। এমনকি তারা গুনাহগারদের শাস্তি মওকুফের জন্য আল্লাহ তাআলার সঙ্গে তর্কও জুড়বেন। একপর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন এবং গুনাহগার মুমিনদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে দুনিয়াতে তোমাদের যে ঝগড়া হয়, তা জাহান্নামি ভাইদের সম্পর্কে রবের সঙ্গে মুমিনদের ঝগড়ার চেয়ে বেশি কঠিন নয়। তারা বলবে, “হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করত, আমাদের সঙ্গে রোজা রাখত ও আমাদের সঙ্গে হজ করত। কিন্তু আপনি তাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। ” আল্লাহ বলবেন, “যাও তাদের থেকে যাকে তোমরা চেনো, তাকে বের করো। ” তখন সেই মুমিনেরা পরিচিতজনদের কাছে আসবে। চেহারা দেখে তাদের চিনতে পারবে। তাদের কারও পায়ের গোছার অর্ধেক আগুনে খেয়ে ফেলেছে। কাউকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। তারা তাদের বের করে এনে বলবে, “হে আমাদের রব, যাদের সম্পর্কে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাদের বের করেছি। ” আল্লাহ বলবেন, “বের করো যার অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” এরপর বলবেন, “যার অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” একপর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, “যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” ’ (সুনানে নাসায়ি: ৫০১০) 

তবে বিন্দু পরিমাণ ইমান থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে কোনো এক সময় পরিত্রাণ পাব—এমন আশায় নেক আমল ছেড়ে দেওয়া, গুনাহের কাজে মজে থাকা মোটেও ঠিক হবে না। এক সময় জান্নাতে যাওয়ার চেয়ে প্রথমেই জান্নাতের মালিক হওয়াই কি শ্রেয় নয়? এ ছাড়া এই পৃথিবীর সামান্য আগুনের তাপই যেখানে আমাদের সহ্যের বাইরে, সেখানে জাহান্নামের আগুনের তাপ কীভাবে সহ্য করব? একটু ভাবুন, সেই আগুন সহ্য করতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে এখনই করুণাময় রবের পথে ফিরে আসুন। তাঁর কাছে ক্ষমা চান। আশ্রয় চান। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল। 

লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লন্ডন থেকে রাত সোয়া ১২টায় দেশের পথে রওনা দেবেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত

তারেক রহমানের জন্য উড়োজাহাজে এ-১ আসন নির্ধারণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪২ মিনিট
আসর০৩: ৪৩ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট
মাগরিব০৫: ২০ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লন্ডন থেকে রাত সোয়া ১২টায় দেশের পথে রওনা দেবেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত

তারেক রহমানের জন্য উড়োজাহাজে এ-১ আসন নির্ধারণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)

নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।

পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)

অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লন্ডন থেকে রাত সোয়া ১২টায় দেশের পথে রওনা দেবেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত

তারেক রহমানের জন্য উড়োজাহাজে এ-১ আসন নির্ধারণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৬ মিনিট
ফজর০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
জোহর১১: ৫৯ মিনিট০৩: ৪১ মিনিট
আসর০৩: ৪২ মিনিট০৫: ১৭ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৮ মিনিট
এশা০৬: ৩৯ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লন্ডন থেকে রাত সোয়া ১২টায় দেশের পথে রওনা দেবেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত

তারেক রহমানের জন্য উড়োজাহাজে এ-১ আসন নির্ধারণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজানের আগে নামাজ আদায় করা যাবে কি

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)

নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)

প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লন্ডন থেকে রাত সোয়া ১২টায় দেশের পথে রওনা দেবেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত

তারেক রহমানের জন্য উড়োজাহাজে এ-১ আসন নির্ধারণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত