আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি সুসজ্জিত হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আসার পর শয়তানের প্রবঞ্চনায় মুমিন তার কৃত ওয়াদা ভুলে যায়। জড়িয়ে পড়ে নানা পাপকাজে। তারা ভুলে যায়—সময় ফুরালেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
বোকা পথিক যেমন রঙিন প্রজাপতির পেছনে ছুটতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে, তেমনি কোনো কোনো মুমিন বান্দা এই পৃথিবীর মোহ মায়ার মরীচিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে জান্নাতের পথ হারিয়ে ফেলছে। জীবন সূর্য ডোবার আগেই যে বাড়ি ফেরার পাথেয় জোগাতে হবে, তাদের সেই খেয়ালই নেই। তারা এতটাই বেখেয়ালে হয়ে পড়েছে যে, নিজেদের রবকেই ভুলে বসে আছে। যে মহান রব তাদের মায়ের গর্ভে লালনপালন করেছেন। বিন্দু থেকে এত বড় মানুষে পরিণত করেছেন। মেধা-মস্তিষ্ক, শক্তি, সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়েছেন। সুন্দর অবয়ব আর শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তারা সেই রবের অবাধ্য হচ্ছে। এ জন্যই মুসলমান হওয়ার পরও তাদের স্থান সুখময় জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে হবে। অবশ্য পরে কোনো এক সময় জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। মুমিন হয়েও কারা জাহান্নামে যাবে আর কখন তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, নিচে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো—
বিচার দিবসের কঠিন সময়ে মানুষ যখন একটু সুপারিশের জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে ব্যর্থ হয়ে ফিরবে, তখন নবী (সা.) গুনাহগার উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, আমি তখন আল্লাহর আরশের নিচে এসে সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হবে, আপনি মাথা তুলুন। আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। নবী (সা.) মাথা তুলবেন এবং বলবেন—হে রব, আপনি আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আমার প্রিয় নবী, আমার নিরপরাধ বান্দাদের জান্নাতের ডান দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। অন্য দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে প্রবেশ করাতে পারেন।’ (বুখারি: ৪৭১২)
হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুপারিশে যেমন গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করবেন, তেমনি তাঁর আরও কিছু প্রিয় বান্দা যেমন—কোরআনে হাফেজ, আলেম, শহিদ ও ফেরেশতাদের সুপারিশ করার সম্মান দান করবেন। তাদের সুপারিশেও এমন অনেক গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের ওপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল।
হাদিসে এসেছে, পুণ্যবান মুমিনগণ পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, আপনজনদের জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবেন। এমনকি তারা গুনাহগারদের শাস্তি মওকুফের জন্য আল্লাহ তাআলার সঙ্গে তর্কও জুড়বেন। একপর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন এবং গুনাহগার মুমিনদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে দুনিয়াতে তোমাদের যে ঝগড়া হয়, তা জাহান্নামি ভাইদের সম্পর্কে রবের সঙ্গে মুমিনদের ঝগড়ার চেয়ে বেশি কঠিন নয়। তারা বলবে, “হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করত, আমাদের সঙ্গে রোজা রাখত ও আমাদের সঙ্গে হজ করত। কিন্তু আপনি তাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। ” আল্লাহ বলবেন, “যাও তাদের থেকে যাকে তোমরা চেনো, তাকে বের করো। ” তখন সেই মুমিনেরা পরিচিতজনদের কাছে আসবে। চেহারা দেখে তাদের চিনতে পারবে। তাদের কারও পায়ের গোছার অর্ধেক আগুনে খেয়ে ফেলেছে। কাউকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। তারা তাদের বের করে এনে বলবে, “হে আমাদের রব, যাদের সম্পর্কে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাদের বের করেছি। ” আল্লাহ বলবেন, “বের করো যার অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” এরপর বলবেন, “যার অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” একপর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, “যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” ’ (সুনানে নাসায়ি: ৫০১০)
তবে বিন্দু পরিমাণ ইমান থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে কোনো এক সময় পরিত্রাণ পাব—এমন আশায় নেক আমল ছেড়ে দেওয়া, গুনাহের কাজে মজে থাকা মোটেও ঠিক হবে না। এক সময় জান্নাতে যাওয়ার চেয়ে প্রথমেই জান্নাতের মালিক হওয়াই কি শ্রেয় নয়? এ ছাড়া এই পৃথিবীর সামান্য আগুনের তাপই যেখানে আমাদের সহ্যের বাইরে, সেখানে জাহান্নামের আগুনের তাপ কীভাবে সহ্য করব? একটু ভাবুন, সেই আগুন সহ্য করতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে এখনই করুণাময় রবের পথে ফিরে আসুন। তাঁর কাছে ক্ষমা চান। আশ্রয় চান। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি সুসজ্জিত হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আসার পর শয়তানের প্রবঞ্চনায় মুমিন তার কৃত ওয়াদা ভুলে যায়। জড়িয়ে পড়ে নানা পাপকাজে। তারা ভুলে যায়—সময় ফুরালেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
বোকা পথিক যেমন রঙিন প্রজাপতির পেছনে ছুটতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে, তেমনি কোনো কোনো মুমিন বান্দা এই পৃথিবীর মোহ মায়ার মরীচিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে জান্নাতের পথ হারিয়ে ফেলছে। জীবন সূর্য ডোবার আগেই যে বাড়ি ফেরার পাথেয় জোগাতে হবে, তাদের সেই খেয়ালই নেই। তারা এতটাই বেখেয়ালে হয়ে পড়েছে যে, নিজেদের রবকেই ভুলে বসে আছে। যে মহান রব তাদের মায়ের গর্ভে লালনপালন করেছেন। বিন্দু থেকে এত বড় মানুষে পরিণত করেছেন। মেধা-মস্তিষ্ক, শক্তি, সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়েছেন। সুন্দর অবয়ব আর শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তারা সেই রবের অবাধ্য হচ্ছে। এ জন্যই মুসলমান হওয়ার পরও তাদের স্থান সুখময় জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে হবে। অবশ্য পরে কোনো এক সময় জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। মুমিন হয়েও কারা জাহান্নামে যাবে আর কখন তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, নিচে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো—
বিচার দিবসের কঠিন সময়ে মানুষ যখন একটু সুপারিশের জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে ব্যর্থ হয়ে ফিরবে, তখন নবী (সা.) গুনাহগার উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, আমি তখন আল্লাহর আরশের নিচে এসে সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হবে, আপনি মাথা তুলুন। আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। নবী (সা.) মাথা তুলবেন এবং বলবেন—হে রব, আপনি আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আমার প্রিয় নবী, আমার নিরপরাধ বান্দাদের জান্নাতের ডান দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। অন্য দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে প্রবেশ করাতে পারেন।’ (বুখারি: ৪৭১২)
হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুপারিশে যেমন গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করবেন, তেমনি তাঁর আরও কিছু প্রিয় বান্দা যেমন—কোরআনে হাফেজ, আলেম, শহিদ ও ফেরেশতাদের সুপারিশ করার সম্মান দান করবেন। তাদের সুপারিশেও এমন অনেক গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের ওপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল।
হাদিসে এসেছে, পুণ্যবান মুমিনগণ পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, আপনজনদের জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবেন। এমনকি তারা গুনাহগারদের শাস্তি মওকুফের জন্য আল্লাহ তাআলার সঙ্গে তর্কও জুড়বেন। একপর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন এবং গুনাহগার মুমিনদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে দুনিয়াতে তোমাদের যে ঝগড়া হয়, তা জাহান্নামি ভাইদের সম্পর্কে রবের সঙ্গে মুমিনদের ঝগড়ার চেয়ে বেশি কঠিন নয়। তারা বলবে, “হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করত, আমাদের সঙ্গে রোজা রাখত ও আমাদের সঙ্গে হজ করত। কিন্তু আপনি তাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। ” আল্লাহ বলবেন, “যাও তাদের থেকে যাকে তোমরা চেনো, তাকে বের করো। ” তখন সেই মুমিনেরা পরিচিতজনদের কাছে আসবে। চেহারা দেখে তাদের চিনতে পারবে। তাদের কারও পায়ের গোছার অর্ধেক আগুনে খেয়ে ফেলেছে। কাউকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। তারা তাদের বের করে এনে বলবে, “হে আমাদের রব, যাদের সম্পর্কে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাদের বের করেছি। ” আল্লাহ বলবেন, “বের করো যার অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” এরপর বলবেন, “যার অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” একপর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, “যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” ’ (সুনানে নাসায়ি: ৫০১০)
তবে বিন্দু পরিমাণ ইমান থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে কোনো এক সময় পরিত্রাণ পাব—এমন আশায় নেক আমল ছেড়ে দেওয়া, গুনাহের কাজে মজে থাকা মোটেও ঠিক হবে না। এক সময় জান্নাতে যাওয়ার চেয়ে প্রথমেই জান্নাতের মালিক হওয়াই কি শ্রেয় নয়? এ ছাড়া এই পৃথিবীর সামান্য আগুনের তাপই যেখানে আমাদের সহ্যের বাইরে, সেখানে জাহান্নামের আগুনের তাপ কীভাবে সহ্য করব? একটু ভাবুন, সেই আগুন সহ্য করতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে এখনই করুণাময় রবের পথে ফিরে আসুন। তাঁর কাছে ক্ষমা চান। আশ্রয় চান। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি
১৮ এপ্রিল ২০২৩
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি
১৮ এপ্রিল ২০২৩
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি
১৮ এপ্রিল ২০২৩
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি
১৮ এপ্রিল ২০২৩
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে