ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সর্বাধিক জোর দেয় ইসলাম। ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো পালন করতে পবিত্র হতে হয়। পাশাপাশি দৈহিক পরিচ্ছন্নতা অর্জনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বভাবজাত কাজ ১০ টি। গোঁফ খাটো করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, হাত ও পায়ের আঙুলের গিরাগুলো ধোয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম মুণ্ডানো, এস্তেনজা করা এবং কুলি করা।’ (মিশকাত: পৃ.৪৪)
গোঁফ ও দাড়ির বিধান
হাদিসে গোঁফ খাটো রাখার এবং দাড়ি লম্বা রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করো—গোঁফ খাটো করো এবং দাড়ি লম্বা করো।’ (মুয়াত্তা মালেক: ৯৪৭)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে সুন্দর করে দাড়ি রেখেছেন।’ (তিরমিজি: ২৭৬২)
সাহাবি ইবনে ওমর (রা.) গোঁফ এমনভাবে খাটো করতেন যে চামড়া দেখা যেত। তিনি দাড়ি ধরতেন এবং এক মুঠোর বেশি হলে হজ ও ওমরাহর সময় কেটে ফেলতেন। (বুখারি: ৫৮৯২)
মেসওয়াক করা
দাঁত পরিষ্কার রাখতে এবং মুখ দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে মিসওয়াক করা উচিত। মহানবী (সা.) এ সুন্নত সব সময় পালন করতেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টের কারণ হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে প্রতি নামাজে (অজুতে) মিসওয়াক আবশ্যক করে দিতাম।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৪)
মেসওয়াক করলে মুখ পরিচ্ছন্ন হয়, এতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মিসওয়াক মুখ পরিচ্ছন্ন করে এবং পালনকর্তাকে সন্তুষ্ট করে।’ (দারেমি ও নাসায়ির সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৪)
অজুর সময় ছাড়াও মহানবী (সা.) মিসওয়াক করতেন। আল-মিকদাদ ইবনে শুরাইহ থেকে তাঁর বাবার সূত্রে বর্ণিত, আমি আয়িশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মহানবী (সা.) ঘরে প্রবেশ করে প্রথম কোন কাজ করতেন?’ তিনি বলেন, মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজতেন।’ (মুসলিম: ৩৭১)
সাধারণভাবে মিসওয়াক ব্যবহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তবে কোনো কোনো আলেমের মতে, মিসওয়াকের পরিবর্তে প্রচলিত ব্রাশ ব্যবহার করলেও সুন্নত আদায় হবে। কারণ তাতে মিসওয়াকের আসল উদ্দেশ্য—দাঁত পরিষ্কার করা এবং মুখ দুর্গন্ধমুক্ত রাখার বিষয়টি অর্জিত হচ্ছে।
কুলি করা এবং নাকে পানি দেওয়া
অজুর সময় কুলি করা সুন্নত। ফরজ গোসলের জন্য গড়গড়া করে কুলি করা ফরজ। তবে রোজার সময় গড়গড়া করা যাবে না। কারণ এতে ভেতরে পানি প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। মাইমুনা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর জন্য গোসলের পানি এনে একটি কাপড় দিয়ে পর্দা করলাম, তিনি পানি দিয়ে উভয় হাত ধৌত করলেন, এরপর বাঁ হাতে পানি নিয়ে গুপ্তাঙ্গ ধুয়ে মাটিতে হাত মাসেহ করে পানি দ্বারা হাত ধৌত করলেন। এরপর তিনি কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও হাত দুটো কনুই পর্যন্ত ধৌত করলেন। এরপর গোটা শরীরে পানি ঢাললেন, নাক সাফ করলেন এবং উভয় পা ধৌত করলেন। আমি তাঁর জন্য একটি কাপড় আনলে তিনি তা না নিয়ে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৮)
অজু করার সময় নাকে পানি দেওয়াও সুন্নত। ফরজ গোসলে নাকে পানি দেওয়া ফরজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জেগে অজু করে, তখন সে যেন তিনবার নাক পরিষ্কার করে। কেননা শয়তান নাকের ছিদ্রে রাতযাপন করে।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৫)
এস্তেনজার বিধান
প্রস্রাব ও পায়খানা করার পর মলদ্বার ও মূত্র দ্বার পরিষ্কার করা আবশ্যক। আর এ জন্য পানি ও ঢিলা উভয়ই ব্যবহার করা উত্তম। উভয়টি ব্যবহারের কারণেই কোরআনে কুফাবাসীর প্রশংসা করা হয়েছে। ঢিলার পরিবর্তে আধুনিক কালের টিস্যুও ব্যবহার করা যাবে। দুটির মধ্যে পানি দিয়ে এস্তেনজা করা উত্তম। আর ঢিলা বা টিস্যু ব্যবহার করা মুস্তাহাব। নাপাকি নির্গত হওয়ার স্থান অতিক্রম করে আশপাশে ছড়িয়ে গেলে পানি ব্যবহার করা ওয়াজিব।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন টয়লেটে যায়, তখন সে যেন তার সঙ্গে তিনটি পাথর নিয়ে যায়, যা দিয়ে সে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট।’ (আবু দাউদ: ৪০)
অন্য হাদিসে আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) টয়লেটে যেতেন আর আমি ও আমার মতো আরেকটি ছেলে পানির পাত্র ও বর্শার মতো লাঠিসহ তাঁর জন্য পানি নিয়ে যেতাম। এই পানি দিয়ে তিনি শৌচকার্য সম্পন্ন করতেন।’ (বুখারি: ১৫১; মুসলিম: ২৭০ ও ২৭১)
অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা
রাসুলুল্লাহ (সা.) বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং নাভির নিচের পশম মুণ্ডানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কেননা বগলের পশম সহজে ওপড়ানো যায়। পক্ষান্তরে নাভির নিচের পশম সহজে ওপড়ানো যায় না। এ বিধান পরিচ্ছন্নতার জন্য। যদি কেউ এর বিপরীত করে—অর্থাৎ বগলের পশম মুণ্ডায় এবং নাভির নিচের পশম উপড়ে ফেলে, এতেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
৪০ দিনের মধ্যে একবার হলেও অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের গোঁফ খাটো করার, নখ কাটার, নাভির নিচের পশম মুণ্ডানোর এবং বগলের পশম ওপড়ানোর মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা হলো ঊর্ধ্বে ৪০ দিন। (মুসলিম: ২৫৮; আবু দাউদ; ৪২০০)
কেউ অবহেলা করে ৪০ দিনের বেশি সময় অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকলে গুনাহগার হবে। তবে তা পরিষ্কার না করার কারণে শরীর নাপাক হয়ে যাবে না। বরং নামাজ, রোজা, তেলাওয়াত ইত্যাদি আদায় করা তখনো বৈধ হবে। কারণ এসব লোম শরিয়তের দৃষ্টিতে নাপাক নয়।
নখ কাটার বিধান
নখ কাটা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোঁফ ও নখ কাটতেন। (আল-মাজমাহ: ২৫ / ১৮০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের নখ কাটো, কর্তিত অংশ পুঁতে রাখো, হাত ও পায়ের গিরাগুলো ধৌত করো, মুখে লেগে থাকা খাদ্য দূর করো এবং মিসওয়াক করো। দুর্গন্ধ অবস্থায় আমার কাছে এসো না।’ (নাওয়াদেরুল উসুল: পৃ.১১৫)
তবে নখ কাটার কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম হাদিসে বর্ণিত নেই। এ বিষয়ে প্রচলিত যে নিয়ম রয়েছে—ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে শেষ করা—এ ধরনের বিষয় পরবর্তী মুহাদ্দিস ও বুজর্গদের তৈরি। সুতরাং তাকে সুন্নত বলা যায় না। বড়জোর পরবর্তী বুজর্গদের বাতলানো পদ্ধতি ও নিয়ম বলা যায়। (আল-মাকাসিদ লিস-সাখাবি: পৃ.৩১৩ ও ৪২১; আল-আসরার লি-মুল্লা আলি কারি: পৃ.১৭০ ও ২৪১)
চুল রাখার বিধান
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চুল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, কান পর্যন্ত চুল রাখতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর চুল মোবারক কানের অর্ধেক পর্যন্ত লম্বা ছিল।’ হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ও মহানবী (সা.) একই পাত্রে গোসল করতাম। তাঁর চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা থেকে খানিক লম্বা এবং কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল থেকে খানিক খাটো ছিল। হজরত উম্মেহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর চুলকে চার ঝুঁটিবিশিষ্ট দেখেছি।’ (শামায়েলে তিরমিজি: ২৩-৩০)
হজ বা ওমরাহ ছাড়া মহানবী (সা.) কখনো মাথার চুল মুণ্ডন করেছেন বলে জানা যায় না। (যাদুল মাআদ: ১ / ১৬৭)
তাই হজ-ওমরাহ ছাড়া মাথা মুণ্ডন করা অনেকেই মাকরুহ বলেছেন। সাহাবিরা চুল ছোট রাখতেন, তবে মুণ্ডন করতেন না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হজ বা ওমরাহ ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৯ / ১৮০)
তবে ছোট করে চুল রাখাও জায়েজ। মাথার সব অংশে তা সমান হতে হবে। কোথাও বড়, আবার কোথাও ছোট—এভাবে কাটা ইসলামসম্মত নয়। আর লম্বা চুল রাখলে তা নিয়মিত আঁচড়ে পরিপাটি করে রাখতে হবে। মহানবী (সা.) এমনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। (নাসায়ি: ৮ / ১৮৪)
হাদিসে আরও এসেছে, চুলে তেল দেওয়া, সুগন্ধি মিশিয়ে তেল দেওয়া, পুরুষের জন্য আঁচড়িয়ে পরিপাটি রাখা, মাঝে সিঁথি করাও সুন্নত। (মুয়াত্তা মালিক: ২ / ৯৪৯)
চুল, নখ ও লোম কাটার নির্ধারিত সময় নেই। সপ্তাহের বিশেষ দিনে কাটতে হবে, অমুক দিন কাটা যাবে না, রাতে কাটা যাবে না—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এগুলো সমাজের প্রচলিত সংস্কার।
আল্লাহ আমাদের দৈহিক পরিচ্ছন্নতা অর্জনে ইসলাম নির্দেশিত শিষ্টাচারগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সর্বাধিক জোর দেয় ইসলাম। ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো পালন করতে পবিত্র হতে হয়। পাশাপাশি দৈহিক পরিচ্ছন্নতা অর্জনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বভাবজাত কাজ ১০ টি। গোঁফ খাটো করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, হাত ও পায়ের আঙুলের গিরাগুলো ধোয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম মুণ্ডানো, এস্তেনজা করা এবং কুলি করা।’ (মিশকাত: পৃ.৪৪)
গোঁফ ও দাড়ির বিধান
হাদিসে গোঁফ খাটো রাখার এবং দাড়ি লম্বা রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করো—গোঁফ খাটো করো এবং দাড়ি লম্বা করো।’ (মুয়াত্তা মালেক: ৯৪৭)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে সুন্দর করে দাড়ি রেখেছেন।’ (তিরমিজি: ২৭৬২)
সাহাবি ইবনে ওমর (রা.) গোঁফ এমনভাবে খাটো করতেন যে চামড়া দেখা যেত। তিনি দাড়ি ধরতেন এবং এক মুঠোর বেশি হলে হজ ও ওমরাহর সময় কেটে ফেলতেন। (বুখারি: ৫৮৯২)
মেসওয়াক করা
দাঁত পরিষ্কার রাখতে এবং মুখ দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে মিসওয়াক করা উচিত। মহানবী (সা.) এ সুন্নত সব সময় পালন করতেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টের কারণ হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে প্রতি নামাজে (অজুতে) মিসওয়াক আবশ্যক করে দিতাম।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৪)
মেসওয়াক করলে মুখ পরিচ্ছন্ন হয়, এতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মিসওয়াক মুখ পরিচ্ছন্ন করে এবং পালনকর্তাকে সন্তুষ্ট করে।’ (দারেমি ও নাসায়ির সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৪)
অজুর সময় ছাড়াও মহানবী (সা.) মিসওয়াক করতেন। আল-মিকদাদ ইবনে শুরাইহ থেকে তাঁর বাবার সূত্রে বর্ণিত, আমি আয়িশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মহানবী (সা.) ঘরে প্রবেশ করে প্রথম কোন কাজ করতেন?’ তিনি বলেন, মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজতেন।’ (মুসলিম: ৩৭১)
সাধারণভাবে মিসওয়াক ব্যবহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তবে কোনো কোনো আলেমের মতে, মিসওয়াকের পরিবর্তে প্রচলিত ব্রাশ ব্যবহার করলেও সুন্নত আদায় হবে। কারণ তাতে মিসওয়াকের আসল উদ্দেশ্য—দাঁত পরিষ্কার করা এবং মুখ দুর্গন্ধমুক্ত রাখার বিষয়টি অর্জিত হচ্ছে।
কুলি করা এবং নাকে পানি দেওয়া
অজুর সময় কুলি করা সুন্নত। ফরজ গোসলের জন্য গড়গড়া করে কুলি করা ফরজ। তবে রোজার সময় গড়গড়া করা যাবে না। কারণ এতে ভেতরে পানি প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। মাইমুনা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর জন্য গোসলের পানি এনে একটি কাপড় দিয়ে পর্দা করলাম, তিনি পানি দিয়ে উভয় হাত ধৌত করলেন, এরপর বাঁ হাতে পানি নিয়ে গুপ্তাঙ্গ ধুয়ে মাটিতে হাত মাসেহ করে পানি দ্বারা হাত ধৌত করলেন। এরপর তিনি কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও হাত দুটো কনুই পর্যন্ত ধৌত করলেন। এরপর গোটা শরীরে পানি ঢাললেন, নাক সাফ করলেন এবং উভয় পা ধৌত করলেন। আমি তাঁর জন্য একটি কাপড় আনলে তিনি তা না নিয়ে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৮)
অজু করার সময় নাকে পানি দেওয়াও সুন্নত। ফরজ গোসলে নাকে পানি দেওয়া ফরজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জেগে অজু করে, তখন সে যেন তিনবার নাক পরিষ্কার করে। কেননা শয়তান নাকের ছিদ্রে রাতযাপন করে।’ (বুখারি ও মুসলিমের সূত্রে মিশকাত: পৃ.৪৫)
এস্তেনজার বিধান
প্রস্রাব ও পায়খানা করার পর মলদ্বার ও মূত্র দ্বার পরিষ্কার করা আবশ্যক। আর এ জন্য পানি ও ঢিলা উভয়ই ব্যবহার করা উত্তম। উভয়টি ব্যবহারের কারণেই কোরআনে কুফাবাসীর প্রশংসা করা হয়েছে। ঢিলার পরিবর্তে আধুনিক কালের টিস্যুও ব্যবহার করা যাবে। দুটির মধ্যে পানি দিয়ে এস্তেনজা করা উত্তম। আর ঢিলা বা টিস্যু ব্যবহার করা মুস্তাহাব। নাপাকি নির্গত হওয়ার স্থান অতিক্রম করে আশপাশে ছড়িয়ে গেলে পানি ব্যবহার করা ওয়াজিব।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন টয়লেটে যায়, তখন সে যেন তার সঙ্গে তিনটি পাথর নিয়ে যায়, যা দিয়ে সে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট।’ (আবু দাউদ: ৪০)
অন্য হাদিসে আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) টয়লেটে যেতেন আর আমি ও আমার মতো আরেকটি ছেলে পানির পাত্র ও বর্শার মতো লাঠিসহ তাঁর জন্য পানি নিয়ে যেতাম। এই পানি দিয়ে তিনি শৌচকার্য সম্পন্ন করতেন।’ (বুখারি: ১৫১; মুসলিম: ২৭০ ও ২৭১)
অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা
রাসুলুল্লাহ (সা.) বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং নাভির নিচের পশম মুণ্ডানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কেননা বগলের পশম সহজে ওপড়ানো যায়। পক্ষান্তরে নাভির নিচের পশম সহজে ওপড়ানো যায় না। এ বিধান পরিচ্ছন্নতার জন্য। যদি কেউ এর বিপরীত করে—অর্থাৎ বগলের পশম মুণ্ডায় এবং নাভির নিচের পশম উপড়ে ফেলে, এতেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
৪০ দিনের মধ্যে একবার হলেও অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের গোঁফ খাটো করার, নখ কাটার, নাভির নিচের পশম মুণ্ডানোর এবং বগলের পশম ওপড়ানোর মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা হলো ঊর্ধ্বে ৪০ দিন। (মুসলিম: ২৫৮; আবু দাউদ; ৪২০০)
কেউ অবহেলা করে ৪০ দিনের বেশি সময় অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকলে গুনাহগার হবে। তবে তা পরিষ্কার না করার কারণে শরীর নাপাক হয়ে যাবে না। বরং নামাজ, রোজা, তেলাওয়াত ইত্যাদি আদায় করা তখনো বৈধ হবে। কারণ এসব লোম শরিয়তের দৃষ্টিতে নাপাক নয়।
নখ কাটার বিধান
নখ কাটা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার নামাজে যাওয়ার আগে গোঁফ ও নখ কাটতেন। (আল-মাজমাহ: ২৫ / ১৮০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের নখ কাটো, কর্তিত অংশ পুঁতে রাখো, হাত ও পায়ের গিরাগুলো ধৌত করো, মুখে লেগে থাকা খাদ্য দূর করো এবং মিসওয়াক করো। দুর্গন্ধ অবস্থায় আমার কাছে এসো না।’ (নাওয়াদেরুল উসুল: পৃ.১১৫)
তবে নখ কাটার কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম হাদিসে বর্ণিত নেই। এ বিষয়ে প্রচলিত যে নিয়ম রয়েছে—ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে শেষ করা—এ ধরনের বিষয় পরবর্তী মুহাদ্দিস ও বুজর্গদের তৈরি। সুতরাং তাকে সুন্নত বলা যায় না। বড়জোর পরবর্তী বুজর্গদের বাতলানো পদ্ধতি ও নিয়ম বলা যায়। (আল-মাকাসিদ লিস-সাখাবি: পৃ.৩১৩ ও ৪২১; আল-আসরার লি-মুল্লা আলি কারি: পৃ.১৭০ ও ২৪১)
চুল রাখার বিধান
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চুল সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, কান পর্যন্ত চুল রাখতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর চুল মোবারক কানের অর্ধেক পর্যন্ত লম্বা ছিল।’ হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি ও মহানবী (সা.) একই পাত্রে গোসল করতাম। তাঁর চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা থেকে খানিক লম্বা এবং কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল থেকে খানিক খাটো ছিল। হজরত উম্মেহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর চুলকে চার ঝুঁটিবিশিষ্ট দেখেছি।’ (শামায়েলে তিরমিজি: ২৩-৩০)
হজ বা ওমরাহ ছাড়া মহানবী (সা.) কখনো মাথার চুল মুণ্ডন করেছেন বলে জানা যায় না। (যাদুল মাআদ: ১ / ১৬৭)
তাই হজ-ওমরাহ ছাড়া মাথা মুণ্ডন করা অনেকেই মাকরুহ বলেছেন। সাহাবিরা চুল ছোট রাখতেন, তবে মুণ্ডন করতেন না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হজ বা ওমরাহ ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৯ / ১৮০)
তবে ছোট করে চুল রাখাও জায়েজ। মাথার সব অংশে তা সমান হতে হবে। কোথাও বড়, আবার কোথাও ছোট—এভাবে কাটা ইসলামসম্মত নয়। আর লম্বা চুল রাখলে তা নিয়মিত আঁচড়ে পরিপাটি করে রাখতে হবে। মহানবী (সা.) এমনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। (নাসায়ি: ৮ / ১৮৪)
হাদিসে আরও এসেছে, চুলে তেল দেওয়া, সুগন্ধি মিশিয়ে তেল দেওয়া, পুরুষের জন্য আঁচড়িয়ে পরিপাটি রাখা, মাঝে সিঁথি করাও সুন্নত। (মুয়াত্তা মালিক: ২ / ৯৪৯)
চুল, নখ ও লোম কাটার নির্ধারিত সময় নেই। সপ্তাহের বিশেষ দিনে কাটতে হবে, অমুক দিন কাটা যাবে না, রাতে কাটা যাবে না—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এগুলো সমাজের প্রচলিত সংস্কার।
আল্লাহ আমাদের দৈহিক পরিচ্ছন্নতা অর্জনে ইসলাম নির্দেশিত শিষ্টাচারগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর ২০২২
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩১ মিনিট আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে