ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

ইসলাম উন্নত জীবনের পথ দেখায়। চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে। আজ আমরা মহানবী (সা.)-এর খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো জানব।
আল্লাহর নামে শুরু করা
রাসুল (সা.) খাওয়ার শুরুতে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন এবং তাঁর সঙ্গীদেরও তা বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে এবং ডান হাতে খাবার খাও। এবং তোমার দিক থেকে খাও।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৬৭; তিরমিজি, হাদিস: ১৯১৩)। অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যখন তোমরা খাবার খেতে শুরু করো, তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো— বিসমিল্লাহি আওওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু। (রিয়াজুস সালেহিন: ৭২৯)
সোনা-রুপার পাত্রে না খাওয়া
সোনা-রুপার পাত্রে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমরা সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৩৩; মুসলিম, হাদিস: ২০৬৭)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া
খাওয়ার আগে হাত ধোয়া মুস্তাহাব। খাওয়ার পরে হাত ধোয়া সুন্নত। (তুহফাতুল আহওয়াজি: ৫ / ৪৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৭৪৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪৯৩)
ডান হাতে খাওয়া
রাসুল (সা.) আজীবন ডান হাত দিয়ে খাবার খেয়েছেন এবং বাঁ হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাত দিয়ে পানাহার কোরো না। কেননা, শয়তান বাম হাতে পানাহার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯১২)
বসে খাওয়া
বসে পানাহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৬)
মাটিতে বসে খাওয়া
মহানবী (সা.) মাটির ওপর বসে খাবার খেতেন। (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৭৮৪৩)। মাটির ওপর বসে খাওয়ার অর্থ—সমতল স্থানে খাওয়া এবং পাত্র ওপরে রেখে না খাওয়া।
তিন আঙুলে খাওয়া
শুকনো খাবার তিন আঙুলে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) শুকনো খাবার খাওয়ার সময় বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করতেন। (মুসলিম, হাদিস: ২০৩২)। তবে অসুবিধা হলে সব আঙুল ব্যবহার করা যাবে।
দস্তরখান ব্যবহার করা
খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এই সুন্নত আদায়ের জন্য আরেকটি সহায়ক আদব হলো দস্তরখান বিছানো। নবী (সা.) চামড়ার দস্তরখানায় খাবার খেতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৪১৫)। দস্তরখানা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া যায়।
খাওয়ার সময় বিনয়ী হওয়া
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করে বিনয়ের সঙ্গে খাওয়া উচিত। মহানবী (সা.) বলতেন, ‘দাসের মতো খাই, দাসের মতো বসি।’ (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৫৫৭২)
উপুড় হয়ে শুয়ে না খাওয়া
উপুড় হয়ে শুয়ে খাওয়া আদবের খেলাপ। মহানবী (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩৩৭০; আবু দাউদ, হাদিস: ৩৭৭৪)
প্লেটের একপাশ থেকে খাওয়া
খাবার প্লেটের এক পাশ থেকে খাওয়া সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের মধ্যখানে বরকত নাজিল হয়। তোমরা একপাশ থেকে খাও। মধ্যখান থেকে নয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮০৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৭৭)
পড়ে গেলে উঠিয়ে খাওয়া
খাওয়ার সময় কিছু পড়ে গেলে তা উঠিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) এমনটি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৪২১৮; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৪)
হেলান না দেওয়া
কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘আমি হেলান দেওয়া অবস্থায় কোনো কিছু খাই না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস: ১৯৮৬)
খাবারের দোষ না ধরা
রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষত্রুটি ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন আর অপছন্দ হলে ত্যাগ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯৮, ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৮২)
খাবারে ফুঁক না দেওয়া
খাবারের মধ্যে ফুঁক দেওয়া অনেক রোগ সৃষ্টির কারণ। রাসুল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কখনো খাবারে ফুঁক দিতেন না। ফুঁক দিতেন না কোনো কিছু পানকালেও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৪১৩)
পরিমিত খাওয়া
ভোজনবিলাসিতায় নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। অতিভোজন নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র মানুষ পূর্ণ করে না। মানুষের জন্য পিঠ সোজা রাখার মতো খাওয়াই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি খেতে হলে সে যেন পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাবারের জন্য, এক ভাগ পানির জন্য এবং এক ভাগ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বরাদ্দ রাখে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩৮০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৪৯)
যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাক
ঘরে সব সময় ভালো খাবার থাকে না। তাই যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (মুসলিম, হাদিস: ২০৫২)
একসঙ্গে বেশি খাবার মুখে না দেওয়া
খাবার সামনে এলে একসঙ্গে অনেক খাবার মুখে পুরে না দেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। খাওয়ার সময় কয়েকটি খেজুর একসঙ্গে মুখে পুরে দিতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। (মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫; বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫)
খাবার অপচয় না করা
খাবার অপচয় করা কঠিন গুনাহ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীকে ‘শয়তানের ভাই’ আখ্যা দিয়েছেন। অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো; কিন্তু অপচয় করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা: আরাফ, আয়াত: ৩১)
প্রতিযোগিতা করে না খাওয়া
একত্রে খাবার খাওয়ার সময় সবার চেয়ে বেশি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। বরং সবার চেয়ে কম খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে সবার সমান খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আর খাওয়ার সময় ভালো জিনিসটি আগেভাগে তুলে না খাওয়া এবং বড় বড় লোকমা মুখে পুরে না দেওয়া। মহানবী (সা.) সঙ্গীর অনুমতি ছাড়া একসঙ্গে দুটি করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫; মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫)
পানীয় তিন শ্বাসে পান করা
পানীয় এক নিশ্বাসে পান না করে তিন শ্বাসে পান করা সুন্নত। পাত্রের ভেতরে নিশ্বাস ফেলা উচিত নয়। মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পানি পান করতেন এবং বলতেন, ‘এতে বেশি তৃপ্তি আসে, পিপাসার কষ্ট থেকে অথবা কোনো ব্যাধি সৃষ্টির হাত থেকে বাঁচা যায় এবং হজম, পরিপাক ও দেহের উপকার বেশি হয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৮)
বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা
কলসি, জগ বা এ জাতীয় বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান করা উচিত নয়। মহানবী (সা.) এভাবে পান করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি: হাদিস: ৫৬২৭ ও ৫৬২৯; মুসলিম, হাদিস: ১৬০৯)
আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়া
খাবার গ্রহণের পর আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়ার কথা বলেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ খাবার খেলে আঙুল চেটে না খেয়ে হাত মুছবে না। কারণ সে জানে না, কোন খাবারে বরকত আছে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৩৮০৯; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৩)
অপ্রয়োজনীয় আলাপ না করা
খাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কথা বলতে অসুবিধা নেই। খাবারের মেন্যু নিয়ে আলাপ করতেও সমস্যা নেই। বরং মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। তবে অহেতুক গল্পগুজব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৩৩৪০; মুসলিম, হাদিস: ১৯৪)
খাবার শেষে কুলি করা
খাবার শেষে কুলি করে মুখের ভেতর পরিষ্কার করে নেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) খাবার শেষে কুলি করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯০)
পরিবেশনকারী সবার শেষে খাওয়া
যে ব্যক্তি খাবার পরিবেশন করবেন, তাঁর জন্য মুস্তাহাব হলো, তিনি সবার শেষে খাবেন। মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন এবং বলেছেন, ‘যে লোকদের পানি পান করায়, সে যেন সবার শেষে পান করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮১)
একাকী না খেয়ে একত্রে খাওয়া
একাকী না খেয়ে একাধিক লোক একত্রে খাওয়া ভালো। মহানবী (সা.) বলেন, ‘একজনের খাবার দুই জনের জন্য, দুজনের খাবার চার জনের জন্য এবং চার জনের খাবার আট জনের জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৪৮৯; তিরমিজি, হাদিস: ১৮২০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৫৪)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা একসঙ্গে খাও এবং পৃথক পৃথক খেয়ো না। কারণ জামাতের সঙ্গে খাওয়ায় বরকত আছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৮৭)
খাওয়ার সময় কেউ এলে তাঁকে ডাকা
খাওয়ার সময় বাইরে থেকে কেউ এলে তাঁকে খাবারের দস্তরখানে ডাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৯৯)
খাওয়ার আগে যাচাই করা
খাওয়ার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা সুন্নত। খাবারের উৎস সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) খাবার সম্পর্কে না জেনে তা গ্রহণ করতেন না। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯১)
পরিচারকদের সঙ্গে নিয়ে খাওয়া
খাবার প্রস্তুতকারী পরিচারককে সঙ্গে নিয়ে খাওয়া সুন্নত। তা সম্ভব না হলে খাবারের ভালো অংশ থেকে তাঁর জন্য রেখে দেওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪৬০; মুসলিম, হাদিস: ১৬৬৩)
দোয়া পড়া
খাবার খাওয়া শেষ হলে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায় করা উচিত। রাসুল (সা.) খাবার শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতেন। দোয়া পড়তেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) খাওয়া শেষে এই দোয়া পাঠ করতেন।
الْحَمْدُ لله الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়াসাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।
অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫০)
আল্লাহ তাআলা আমাদের খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো পালন করার তাওফিক দিন।

ইসলাম উন্নত জীবনের পথ দেখায়। চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে। আজ আমরা মহানবী (সা.)-এর খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো জানব।
আল্লাহর নামে শুরু করা
রাসুল (সা.) খাওয়ার শুরুতে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন এবং তাঁর সঙ্গীদেরও তা বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে এবং ডান হাতে খাবার খাও। এবং তোমার দিক থেকে খাও।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৬৭; তিরমিজি, হাদিস: ১৯১৩)। অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যখন তোমরা খাবার খেতে শুরু করো, তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো— বিসমিল্লাহি আওওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু। (রিয়াজুস সালেহিন: ৭২৯)
সোনা-রুপার পাত্রে না খাওয়া
সোনা-রুপার পাত্রে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমরা সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৩৩; মুসলিম, হাদিস: ২০৬৭)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া
খাওয়ার আগে হাত ধোয়া মুস্তাহাব। খাওয়ার পরে হাত ধোয়া সুন্নত। (তুহফাতুল আহওয়াজি: ৫ / ৪৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৭৪৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪৯৩)
ডান হাতে খাওয়া
রাসুল (সা.) আজীবন ডান হাত দিয়ে খাবার খেয়েছেন এবং বাঁ হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাত দিয়ে পানাহার কোরো না। কেননা, শয়তান বাম হাতে পানাহার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯১২)
বসে খাওয়া
বসে পানাহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৬)
মাটিতে বসে খাওয়া
মহানবী (সা.) মাটির ওপর বসে খাবার খেতেন। (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৭৮৪৩)। মাটির ওপর বসে খাওয়ার অর্থ—সমতল স্থানে খাওয়া এবং পাত্র ওপরে রেখে না খাওয়া।
তিন আঙুলে খাওয়া
শুকনো খাবার তিন আঙুলে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) শুকনো খাবার খাওয়ার সময় বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করতেন। (মুসলিম, হাদিস: ২০৩২)। তবে অসুবিধা হলে সব আঙুল ব্যবহার করা যাবে।
দস্তরখান ব্যবহার করা
খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এই সুন্নত আদায়ের জন্য আরেকটি সহায়ক আদব হলো দস্তরখান বিছানো। নবী (সা.) চামড়ার দস্তরখানায় খাবার খেতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৪১৫)। দস্তরখানা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া যায়।
খাওয়ার সময় বিনয়ী হওয়া
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করে বিনয়ের সঙ্গে খাওয়া উচিত। মহানবী (সা.) বলতেন, ‘দাসের মতো খাই, দাসের মতো বসি।’ (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৫৫৭২)
উপুড় হয়ে শুয়ে না খাওয়া
উপুড় হয়ে শুয়ে খাওয়া আদবের খেলাপ। মহানবী (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩৩৭০; আবু দাউদ, হাদিস: ৩৭৭৪)
প্লেটের একপাশ থেকে খাওয়া
খাবার প্লেটের এক পাশ থেকে খাওয়া সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের মধ্যখানে বরকত নাজিল হয়। তোমরা একপাশ থেকে খাও। মধ্যখান থেকে নয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮০৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৭৭)
পড়ে গেলে উঠিয়ে খাওয়া
খাওয়ার সময় কিছু পড়ে গেলে তা উঠিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) এমনটি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৪২১৮; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৪)
হেলান না দেওয়া
কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘আমি হেলান দেওয়া অবস্থায় কোনো কিছু খাই না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস: ১৯৮৬)
খাবারের দোষ না ধরা
রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষত্রুটি ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন আর অপছন্দ হলে ত্যাগ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯৮, ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৮২)
খাবারে ফুঁক না দেওয়া
খাবারের মধ্যে ফুঁক দেওয়া অনেক রোগ সৃষ্টির কারণ। রাসুল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কখনো খাবারে ফুঁক দিতেন না। ফুঁক দিতেন না কোনো কিছু পানকালেও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৪১৩)
পরিমিত খাওয়া
ভোজনবিলাসিতায় নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। অতিভোজন নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র মানুষ পূর্ণ করে না। মানুষের জন্য পিঠ সোজা রাখার মতো খাওয়াই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি খেতে হলে সে যেন পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাবারের জন্য, এক ভাগ পানির জন্য এবং এক ভাগ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বরাদ্দ রাখে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩৮০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৪৯)
যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাক
ঘরে সব সময় ভালো খাবার থাকে না। তাই যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (মুসলিম, হাদিস: ২০৫২)
একসঙ্গে বেশি খাবার মুখে না দেওয়া
খাবার সামনে এলে একসঙ্গে অনেক খাবার মুখে পুরে না দেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। খাওয়ার সময় কয়েকটি খেজুর একসঙ্গে মুখে পুরে দিতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। (মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫; বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫)
খাবার অপচয় না করা
খাবার অপচয় করা কঠিন গুনাহ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীকে ‘শয়তানের ভাই’ আখ্যা দিয়েছেন। অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো; কিন্তু অপচয় করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা: আরাফ, আয়াত: ৩১)
প্রতিযোগিতা করে না খাওয়া
একত্রে খাবার খাওয়ার সময় সবার চেয়ে বেশি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। বরং সবার চেয়ে কম খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে সবার সমান খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আর খাওয়ার সময় ভালো জিনিসটি আগেভাগে তুলে না খাওয়া এবং বড় বড় লোকমা মুখে পুরে না দেওয়া। মহানবী (সা.) সঙ্গীর অনুমতি ছাড়া একসঙ্গে দুটি করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫; মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫)
পানীয় তিন শ্বাসে পান করা
পানীয় এক নিশ্বাসে পান না করে তিন শ্বাসে পান করা সুন্নত। পাত্রের ভেতরে নিশ্বাস ফেলা উচিত নয়। মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পানি পান করতেন এবং বলতেন, ‘এতে বেশি তৃপ্তি আসে, পিপাসার কষ্ট থেকে অথবা কোনো ব্যাধি সৃষ্টির হাত থেকে বাঁচা যায় এবং হজম, পরিপাক ও দেহের উপকার বেশি হয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৮)
বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা
কলসি, জগ বা এ জাতীয় বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান করা উচিত নয়। মহানবী (সা.) এভাবে পান করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি: হাদিস: ৫৬২৭ ও ৫৬২৯; মুসলিম, হাদিস: ১৬০৯)
আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়া
খাবার গ্রহণের পর আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়ার কথা বলেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ খাবার খেলে আঙুল চেটে না খেয়ে হাত মুছবে না। কারণ সে জানে না, কোন খাবারে বরকত আছে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৩৮০৯; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৩)
অপ্রয়োজনীয় আলাপ না করা
খাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কথা বলতে অসুবিধা নেই। খাবারের মেন্যু নিয়ে আলাপ করতেও সমস্যা নেই। বরং মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। তবে অহেতুক গল্পগুজব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৩৩৪০; মুসলিম, হাদিস: ১৯৪)
খাবার শেষে কুলি করা
খাবার শেষে কুলি করে মুখের ভেতর পরিষ্কার করে নেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) খাবার শেষে কুলি করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯০)
পরিবেশনকারী সবার শেষে খাওয়া
যে ব্যক্তি খাবার পরিবেশন করবেন, তাঁর জন্য মুস্তাহাব হলো, তিনি সবার শেষে খাবেন। মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন এবং বলেছেন, ‘যে লোকদের পানি পান করায়, সে যেন সবার শেষে পান করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮১)
একাকী না খেয়ে একত্রে খাওয়া
একাকী না খেয়ে একাধিক লোক একত্রে খাওয়া ভালো। মহানবী (সা.) বলেন, ‘একজনের খাবার দুই জনের জন্য, দুজনের খাবার চার জনের জন্য এবং চার জনের খাবার আট জনের জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৪৮৯; তিরমিজি, হাদিস: ১৮২০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৫৪)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা একসঙ্গে খাও এবং পৃথক পৃথক খেয়ো না। কারণ জামাতের সঙ্গে খাওয়ায় বরকত আছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৮৭)
খাওয়ার সময় কেউ এলে তাঁকে ডাকা
খাওয়ার সময় বাইরে থেকে কেউ এলে তাঁকে খাবারের দস্তরখানে ডাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৯৯)
খাওয়ার আগে যাচাই করা
খাওয়ার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা সুন্নত। খাবারের উৎস সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) খাবার সম্পর্কে না জেনে তা গ্রহণ করতেন না। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯১)
পরিচারকদের সঙ্গে নিয়ে খাওয়া
খাবার প্রস্তুতকারী পরিচারককে সঙ্গে নিয়ে খাওয়া সুন্নত। তা সম্ভব না হলে খাবারের ভালো অংশ থেকে তাঁর জন্য রেখে দেওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪৬০; মুসলিম, হাদিস: ১৬৬৩)
দোয়া পড়া
খাবার খাওয়া শেষ হলে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায় করা উচিত। রাসুল (সা.) খাবার শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতেন। দোয়া পড়তেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) খাওয়া শেষে এই দোয়া পাঠ করতেন।
الْحَمْدُ لله الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়াসাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।
অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫০)
আল্লাহ তাআলা আমাদের খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো পালন করার তাওফিক দিন।
ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

ইসলাম উন্নত জীবনের পথ দেখায়। চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে। আজ আমরা মহানবী (সা.)-এর খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো জানব।
আল্লাহর নামে শুরু করা
রাসুল (সা.) খাওয়ার শুরুতে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন এবং তাঁর সঙ্গীদেরও তা বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে এবং ডান হাতে খাবার খাও। এবং তোমার দিক থেকে খাও।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৬৭; তিরমিজি, হাদিস: ১৯১৩)। অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যখন তোমরা খাবার খেতে শুরু করো, তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো— বিসমিল্লাহি আওওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু। (রিয়াজুস সালেহিন: ৭২৯)
সোনা-রুপার পাত্রে না খাওয়া
সোনা-রুপার পাত্রে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমরা সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৩৩; মুসলিম, হাদিস: ২০৬৭)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া
খাওয়ার আগে হাত ধোয়া মুস্তাহাব। খাওয়ার পরে হাত ধোয়া সুন্নত। (তুহফাতুল আহওয়াজি: ৫ / ৪৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৭৪৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪৯৩)
ডান হাতে খাওয়া
রাসুল (সা.) আজীবন ডান হাত দিয়ে খাবার খেয়েছেন এবং বাঁ হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাত দিয়ে পানাহার কোরো না। কেননা, শয়তান বাম হাতে পানাহার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯১২)
বসে খাওয়া
বসে পানাহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৬)
মাটিতে বসে খাওয়া
মহানবী (সা.) মাটির ওপর বসে খাবার খেতেন। (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৭৮৪৩)। মাটির ওপর বসে খাওয়ার অর্থ—সমতল স্থানে খাওয়া এবং পাত্র ওপরে রেখে না খাওয়া।
তিন আঙুলে খাওয়া
শুকনো খাবার তিন আঙুলে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) শুকনো খাবার খাওয়ার সময় বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করতেন। (মুসলিম, হাদিস: ২০৩২)। তবে অসুবিধা হলে সব আঙুল ব্যবহার করা যাবে।
দস্তরখান ব্যবহার করা
খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এই সুন্নত আদায়ের জন্য আরেকটি সহায়ক আদব হলো দস্তরখান বিছানো। নবী (সা.) চামড়ার দস্তরখানায় খাবার খেতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৪১৫)। দস্তরখানা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া যায়।
খাওয়ার সময় বিনয়ী হওয়া
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করে বিনয়ের সঙ্গে খাওয়া উচিত। মহানবী (সা.) বলতেন, ‘দাসের মতো খাই, দাসের মতো বসি।’ (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৫৫৭২)
উপুড় হয়ে শুয়ে না খাওয়া
উপুড় হয়ে শুয়ে খাওয়া আদবের খেলাপ। মহানবী (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩৩৭০; আবু দাউদ, হাদিস: ৩৭৭৪)
প্লেটের একপাশ থেকে খাওয়া
খাবার প্লেটের এক পাশ থেকে খাওয়া সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের মধ্যখানে বরকত নাজিল হয়। তোমরা একপাশ থেকে খাও। মধ্যখান থেকে নয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮০৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৭৭)
পড়ে গেলে উঠিয়ে খাওয়া
খাওয়ার সময় কিছু পড়ে গেলে তা উঠিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) এমনটি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৪২১৮; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৪)
হেলান না দেওয়া
কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘আমি হেলান দেওয়া অবস্থায় কোনো কিছু খাই না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস: ১৯৮৬)
খাবারের দোষ না ধরা
রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষত্রুটি ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন আর অপছন্দ হলে ত্যাগ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯৮, ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৮২)
খাবারে ফুঁক না দেওয়া
খাবারের মধ্যে ফুঁক দেওয়া অনেক রোগ সৃষ্টির কারণ। রাসুল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কখনো খাবারে ফুঁক দিতেন না। ফুঁক দিতেন না কোনো কিছু পানকালেও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৪১৩)
পরিমিত খাওয়া
ভোজনবিলাসিতায় নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। অতিভোজন নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র মানুষ পূর্ণ করে না। মানুষের জন্য পিঠ সোজা রাখার মতো খাওয়াই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি খেতে হলে সে যেন পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাবারের জন্য, এক ভাগ পানির জন্য এবং এক ভাগ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বরাদ্দ রাখে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩৮০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৪৯)
যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাক
ঘরে সব সময় ভালো খাবার থাকে না। তাই যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (মুসলিম, হাদিস: ২০৫২)
একসঙ্গে বেশি খাবার মুখে না দেওয়া
খাবার সামনে এলে একসঙ্গে অনেক খাবার মুখে পুরে না দেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। খাওয়ার সময় কয়েকটি খেজুর একসঙ্গে মুখে পুরে দিতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। (মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫; বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫)
খাবার অপচয় না করা
খাবার অপচয় করা কঠিন গুনাহ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীকে ‘শয়তানের ভাই’ আখ্যা দিয়েছেন। অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো; কিন্তু অপচয় করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা: আরাফ, আয়াত: ৩১)
প্রতিযোগিতা করে না খাওয়া
একত্রে খাবার খাওয়ার সময় সবার চেয়ে বেশি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। বরং সবার চেয়ে কম খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে সবার সমান খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আর খাওয়ার সময় ভালো জিনিসটি আগেভাগে তুলে না খাওয়া এবং বড় বড় লোকমা মুখে পুরে না দেওয়া। মহানবী (সা.) সঙ্গীর অনুমতি ছাড়া একসঙ্গে দুটি করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫; মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫)
পানীয় তিন শ্বাসে পান করা
পানীয় এক নিশ্বাসে পান না করে তিন শ্বাসে পান করা সুন্নত। পাত্রের ভেতরে নিশ্বাস ফেলা উচিত নয়। মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পানি পান করতেন এবং বলতেন, ‘এতে বেশি তৃপ্তি আসে, পিপাসার কষ্ট থেকে অথবা কোনো ব্যাধি সৃষ্টির হাত থেকে বাঁচা যায় এবং হজম, পরিপাক ও দেহের উপকার বেশি হয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৮)
বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা
কলসি, জগ বা এ জাতীয় বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান করা উচিত নয়। মহানবী (সা.) এভাবে পান করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি: হাদিস: ৫৬২৭ ও ৫৬২৯; মুসলিম, হাদিস: ১৬০৯)
আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়া
খাবার গ্রহণের পর আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়ার কথা বলেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ খাবার খেলে আঙুল চেটে না খেয়ে হাত মুছবে না। কারণ সে জানে না, কোন খাবারে বরকত আছে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৩৮০৯; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৩)
অপ্রয়োজনীয় আলাপ না করা
খাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কথা বলতে অসুবিধা নেই। খাবারের মেন্যু নিয়ে আলাপ করতেও সমস্যা নেই। বরং মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। তবে অহেতুক গল্পগুজব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৩৩৪০; মুসলিম, হাদিস: ১৯৪)
খাবার শেষে কুলি করা
খাবার শেষে কুলি করে মুখের ভেতর পরিষ্কার করে নেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) খাবার শেষে কুলি করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯০)
পরিবেশনকারী সবার শেষে খাওয়া
যে ব্যক্তি খাবার পরিবেশন করবেন, তাঁর জন্য মুস্তাহাব হলো, তিনি সবার শেষে খাবেন। মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন এবং বলেছেন, ‘যে লোকদের পানি পান করায়, সে যেন সবার শেষে পান করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮১)
একাকী না খেয়ে একত্রে খাওয়া
একাকী না খেয়ে একাধিক লোক একত্রে খাওয়া ভালো। মহানবী (সা.) বলেন, ‘একজনের খাবার দুই জনের জন্য, দুজনের খাবার চার জনের জন্য এবং চার জনের খাবার আট জনের জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৪৮৯; তিরমিজি, হাদিস: ১৮২০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৫৪)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা একসঙ্গে খাও এবং পৃথক পৃথক খেয়ো না। কারণ জামাতের সঙ্গে খাওয়ায় বরকত আছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৮৭)
খাওয়ার সময় কেউ এলে তাঁকে ডাকা
খাওয়ার সময় বাইরে থেকে কেউ এলে তাঁকে খাবারের দস্তরখানে ডাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৯৯)
খাওয়ার আগে যাচাই করা
খাওয়ার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা সুন্নত। খাবারের উৎস সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) খাবার সম্পর্কে না জেনে তা গ্রহণ করতেন না। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯১)
পরিচারকদের সঙ্গে নিয়ে খাওয়া
খাবার প্রস্তুতকারী পরিচারককে সঙ্গে নিয়ে খাওয়া সুন্নত। তা সম্ভব না হলে খাবারের ভালো অংশ থেকে তাঁর জন্য রেখে দেওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪৬০; মুসলিম, হাদিস: ১৬৬৩)
দোয়া পড়া
খাবার খাওয়া শেষ হলে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায় করা উচিত। রাসুল (সা.) খাবার শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতেন। দোয়া পড়তেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) খাওয়া শেষে এই দোয়া পাঠ করতেন।
الْحَمْدُ لله الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়াসাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।
অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫০)
আল্লাহ তাআলা আমাদের খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো পালন করার তাওফিক দিন।

ইসলাম উন্নত জীবনের পথ দেখায়। চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে। আজ আমরা মহানবী (সা.)-এর খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো জানব।
আল্লাহর নামে শুরু করা
রাসুল (সা.) খাওয়ার শুরুতে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন এবং তাঁর সঙ্গীদেরও তা বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে এবং ডান হাতে খাবার খাও। এবং তোমার দিক থেকে খাও।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৬৭; তিরমিজি, হাদিস: ১৯১৩)। অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যখন তোমরা খাবার খেতে শুরু করো, তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো— বিসমিল্লাহি আওওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু। (রিয়াজুস সালেহিন: ৭২৯)
সোনা-রুপার পাত্রে না খাওয়া
সোনা-রুপার পাত্রে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমরা সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৩৩; মুসলিম, হাদিস: ২০৬৭)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া
খাওয়ার আগে হাত ধোয়া মুস্তাহাব। খাওয়ার পরে হাত ধোয়া সুন্নত। (তুহফাতুল আহওয়াজি: ৫ / ৪৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৭৪৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪৯৩)
ডান হাতে খাওয়া
রাসুল (সা.) আজীবন ডান হাত দিয়ে খাবার খেয়েছেন এবং বাঁ হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাত দিয়ে পানাহার কোরো না। কেননা, শয়তান বাম হাতে পানাহার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯১২)
বসে খাওয়া
বসে পানাহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৬)
মাটিতে বসে খাওয়া
মহানবী (সা.) মাটির ওপর বসে খাবার খেতেন। (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৭৮৪৩)। মাটির ওপর বসে খাওয়ার অর্থ—সমতল স্থানে খাওয়া এবং পাত্র ওপরে রেখে না খাওয়া।
তিন আঙুলে খাওয়া
শুকনো খাবার তিন আঙুলে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) শুকনো খাবার খাওয়ার সময় বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করতেন। (মুসলিম, হাদিস: ২০৩২)। তবে অসুবিধা হলে সব আঙুল ব্যবহার করা যাবে।
দস্তরখান ব্যবহার করা
খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এই সুন্নত আদায়ের জন্য আরেকটি সহায়ক আদব হলো দস্তরখান বিছানো। নবী (সা.) চামড়ার দস্তরখানায় খাবার খেতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৪১৫)। দস্তরখানা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া যায়।
খাওয়ার সময় বিনয়ী হওয়া
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করে বিনয়ের সঙ্গে খাওয়া উচিত। মহানবী (সা.) বলতেন, ‘দাসের মতো খাই, দাসের মতো বসি।’ (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৫৫৭২)
উপুড় হয়ে শুয়ে না খাওয়া
উপুড় হয়ে শুয়ে খাওয়া আদবের খেলাপ। মহানবী (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩৩৭০; আবু দাউদ, হাদিস: ৩৭৭৪)
প্লেটের একপাশ থেকে খাওয়া
খাবার প্লেটের এক পাশ থেকে খাওয়া সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের মধ্যখানে বরকত নাজিল হয়। তোমরা একপাশ থেকে খাও। মধ্যখান থেকে নয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮০৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৭৭)
পড়ে গেলে উঠিয়ে খাওয়া
খাওয়ার সময় কিছু পড়ে গেলে তা উঠিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) এমনটি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৪২১৮; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৪)
হেলান না দেওয়া
কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘আমি হেলান দেওয়া অবস্থায় কোনো কিছু খাই না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস: ১৯৮৬)
খাবারের দোষ না ধরা
রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষত্রুটি ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন আর অপছন্দ হলে ত্যাগ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯৮, ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৮২)
খাবারে ফুঁক না দেওয়া
খাবারের মধ্যে ফুঁক দেওয়া অনেক রোগ সৃষ্টির কারণ। রাসুল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কখনো খাবারে ফুঁক দিতেন না। ফুঁক দিতেন না কোনো কিছু পানকালেও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৪১৩)
পরিমিত খাওয়া
ভোজনবিলাসিতায় নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। অতিভোজন নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র মানুষ পূর্ণ করে না। মানুষের জন্য পিঠ সোজা রাখার মতো খাওয়াই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি খেতে হলে সে যেন পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাবারের জন্য, এক ভাগ পানির জন্য এবং এক ভাগ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বরাদ্দ রাখে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩৮০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৪৯)
যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাক
ঘরে সব সময় ভালো খাবার থাকে না। তাই যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (মুসলিম, হাদিস: ২০৫২)
একসঙ্গে বেশি খাবার মুখে না দেওয়া
খাবার সামনে এলে একসঙ্গে অনেক খাবার মুখে পুরে না দেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। খাওয়ার সময় কয়েকটি খেজুর একসঙ্গে মুখে পুরে দিতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। (মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫; বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫)
খাবার অপচয় না করা
খাবার অপচয় করা কঠিন গুনাহ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীকে ‘শয়তানের ভাই’ আখ্যা দিয়েছেন। অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো; কিন্তু অপচয় করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা: আরাফ, আয়াত: ৩১)
প্রতিযোগিতা করে না খাওয়া
একত্রে খাবার খাওয়ার সময় সবার চেয়ে বেশি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। বরং সবার চেয়ে কম খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে সবার সমান খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আর খাওয়ার সময় ভালো জিনিসটি আগেভাগে তুলে না খাওয়া এবং বড় বড় লোকমা মুখে পুরে না দেওয়া। মহানবী (সা.) সঙ্গীর অনুমতি ছাড়া একসঙ্গে দুটি করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫; মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫)
পানীয় তিন শ্বাসে পান করা
পানীয় এক নিশ্বাসে পান না করে তিন শ্বাসে পান করা সুন্নত। পাত্রের ভেতরে নিশ্বাস ফেলা উচিত নয়। মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পানি পান করতেন এবং বলতেন, ‘এতে বেশি তৃপ্তি আসে, পিপাসার কষ্ট থেকে অথবা কোনো ব্যাধি সৃষ্টির হাত থেকে বাঁচা যায় এবং হজম, পরিপাক ও দেহের উপকার বেশি হয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৮)
বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা
কলসি, জগ বা এ জাতীয় বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান করা উচিত নয়। মহানবী (সা.) এভাবে পান করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি: হাদিস: ৫৬২৭ ও ৫৬২৯; মুসলিম, হাদিস: ১৬০৯)
আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়া
খাবার গ্রহণের পর আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়ার কথা বলেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ খাবার খেলে আঙুল চেটে না খেয়ে হাত মুছবে না। কারণ সে জানে না, কোন খাবারে বরকত আছে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৩৮০৯; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৩)
অপ্রয়োজনীয় আলাপ না করা
খাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কথা বলতে অসুবিধা নেই। খাবারের মেন্যু নিয়ে আলাপ করতেও সমস্যা নেই। বরং মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। তবে অহেতুক গল্পগুজব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৩৩৪০; মুসলিম, হাদিস: ১৯৪)
খাবার শেষে কুলি করা
খাবার শেষে কুলি করে মুখের ভেতর পরিষ্কার করে নেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) খাবার শেষে কুলি করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯০)
পরিবেশনকারী সবার শেষে খাওয়া
যে ব্যক্তি খাবার পরিবেশন করবেন, তাঁর জন্য মুস্তাহাব হলো, তিনি সবার শেষে খাবেন। মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন এবং বলেছেন, ‘যে লোকদের পানি পান করায়, সে যেন সবার শেষে পান করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮১)
একাকী না খেয়ে একত্রে খাওয়া
একাকী না খেয়ে একাধিক লোক একত্রে খাওয়া ভালো। মহানবী (সা.) বলেন, ‘একজনের খাবার দুই জনের জন্য, দুজনের খাবার চার জনের জন্য এবং চার জনের খাবার আট জনের জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৪৮৯; তিরমিজি, হাদিস: ১৮২০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৫৪)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা একসঙ্গে খাও এবং পৃথক পৃথক খেয়ো না। কারণ জামাতের সঙ্গে খাওয়ায় বরকত আছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৮৭)
খাওয়ার সময় কেউ এলে তাঁকে ডাকা
খাওয়ার সময় বাইরে থেকে কেউ এলে তাঁকে খাবারের দস্তরখানে ডাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৯৯)
খাওয়ার আগে যাচাই করা
খাওয়ার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা সুন্নত। খাবারের উৎস সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) খাবার সম্পর্কে না জেনে তা গ্রহণ করতেন না। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯১)
পরিচারকদের সঙ্গে নিয়ে খাওয়া
খাবার প্রস্তুতকারী পরিচারককে সঙ্গে নিয়ে খাওয়া সুন্নত। তা সম্ভব না হলে খাবারের ভালো অংশ থেকে তাঁর জন্য রেখে দেওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪৬০; মুসলিম, হাদিস: ১৬৬৩)
দোয়া পড়া
খাবার খাওয়া শেষ হলে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায় করা উচিত। রাসুল (সা.) খাবার শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতেন। দোয়া পড়তেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) খাওয়া শেষে এই দোয়া পাঠ করতেন।
الْحَمْدُ لله الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়াসাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।
অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫০)
আল্লাহ তাআলা আমাদের খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো পালন করার তাওফিক দিন।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে।
১৬ নভেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে।
১৬ নভেম্বর ২০২২
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৯ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে।
১৬ নভেম্বর ২০২২
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে।
১৬ নভেম্বর ২০২২
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে