Ajker Patrika

পানাহারে মহানবী (সা.)–এর শেখানো ৩০ শিষ্টাচার

ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১১: ৩১
পানাহারে মহানবী (সা.)–এর শেখানো ৩০ শিষ্টাচার

ইসলাম উন্নত জীবনের পথ দেখায়। চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে। আজ আমরা মহানবী (সা.)-এর খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো জানব।

আল্লাহর নামে শুরু করা
রাসুল (সা.) খাওয়ার শুরুতে সব সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতেন এবং তাঁর সঙ্গীদেরও তা বলতে উৎসাহিত করতেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে এবং ডান হাতে খাবার খাও। এবং তোমার দিক থেকে খাও।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৬৭; তিরমিজি, হাদিস: ১৯১৩)। অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘যখন তোমরা খাবার খেতে শুরু করো, তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো— বিসমিল্লাহি আওওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু। (রিয়াজুস সালেহিন: ৭২৯)

সোনা-রুপার পাত্রে না খাওয়া
সোনা-রুপার পাত্রে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমরা সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার কোরো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৩৩; মুসলিম, হাদিস: ২০৬৭)

খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া
খাওয়ার আগে হাত ধোয়া মুস্তাহাব। খাওয়ার পরে হাত ধোয়া সুন্নত। (তুহফাতুল আহওয়াজি: ৫ / ৪৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৭৪৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪৯৩)

ডান হাতে খাওয়া
রাসুল (সা.) আজীবন ডান হাত দিয়ে খাবার খেয়েছেন এবং বাঁ হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাত দিয়ে পানাহার কোরো না। কেননা, শয়তান বাম হাতে পানাহার করে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯১২)

বসে খাওয়া
বসে পানাহার করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৬)

মাটিতে বসে খাওয়া
মহানবী (সা.) মাটির ওপর বসে খাবার খেতেন। (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৭৮৪৩)। মাটির ওপর বসে খাওয়ার অর্থ—সমতল স্থানে খাওয়া এবং পাত্র ওপরে রেখে না খাওয়া।

তিন আঙুলে খাওয়া
শুকনো খাবার তিন আঙুলে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) শুকনো খাবার খাওয়ার সময় বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করতেন। (মুসলিম, হাদিস: ২০৩২)। তবে অসুবিধা হলে সব আঙুল ব্যবহার করা যাবে।

দস্তরখান ব্যবহার করা
খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এই সুন্নত আদায়ের জন্য আরেকটি সহায়ক আদব হলো দস্তরখান বিছানো। নবী (সা.) চামড়ার দস্তরখানায় খাবার খেতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৪১৫)। দস্তরখানা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া যায়।

খাওয়ার সময় বিনয়ী হওয়া
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করে বিনয়ের সঙ্গে খাওয়া উচিত। মহানবী (সা.) বলতেন, ‘দাসের মতো খাই, দাসের মতো বসি।’ (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৫৫৭২)

উপুড় হয়ে শুয়ে না খাওয়া
উপুড় হয়ে শুয়ে খাওয়া আদবের খেলাপ। মহানবী (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ৩৩৭০; আবু দাউদ, হাদিস: ৩৭৭৪) 

প্লেটের একপাশ থেকে খাওয়া
খাবার প্লেটের এক পাশ থেকে খাওয়া সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাবারের মধ্যখানে বরকত নাজিল হয়। তোমরা একপাশ থেকে খাও। মধ্যখান থেকে নয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮০৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৭৭)

পড়ে গেলে উঠিয়ে খাওয়া
খাওয়ার সময় কিছু পড়ে গেলে তা উঠিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে খাওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) এমনটি করার নির্দেশনা দিয়েছেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৪২১৮; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৪)

হেলান না দেওয়া
কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খেতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, ‘আমি হেলান দেওয়া অবস্থায় কোনো কিছু খাই না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস: ১৯৮৬)

খাবারের দোষ না ধরা
রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষত্রুটি ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন আর অপছন্দ হলে ত্যাগ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৯৮, ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৮২)

খাবারে ফুঁক না দেওয়া
খাবারের মধ্যে ফুঁক দেওয়া অনেক রোগ সৃষ্টির কারণ। রাসুল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কখনো খাবারে ফুঁক দিতেন না। ফুঁক দিতেন না কোনো কিছু পানকালেও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৪১৩)

পরিমিত খাওয়া
ভোজনবিলাসিতায় নিরুৎসাহিত করে ইসলাম। অতিভোজন নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো পাত্র মানুষ পূর্ণ করে না। মানুষের জন্য পিঠ সোজা রাখার মতো খাওয়াই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি খেতে হলে সে যেন পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাবারের জন্য, এক ভাগ পানির জন্য এবং এক ভাগ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বরাদ্দ রাখে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৩৮০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৪৯)

যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাক
ঘরে সব সময় ভালো খাবার থাকে না। তাই যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (মুসলিম, হাদিস: ২০৫২)

একসঙ্গে বেশি খাবার মুখে না দেওয়া
খাবার সামনে এলে একসঙ্গে অনেক খাবার মুখে পুরে না দেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। খাওয়ার সময় কয়েকটি খেজুর একসঙ্গে মুখে পুরে দিতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। (মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫; বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫)

খাবার অপচয় না করা
খাবার অপচয় করা কঠিন গুনাহ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীকে ‘শয়তানের ভাই’ আখ্যা দিয়েছেন। অন্য আয়াতে বলেছেন, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো; কিন্তু অপচয় করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা: আরাফ, আয়াত: ৩১)

প্রতিযোগিতা করে না খাওয়া
একত্রে খাবার খাওয়ার সময় সবার চেয়ে বেশি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। বরং সবার চেয়ে কম খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে সবার সমান খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আর খাওয়ার সময় ভালো জিনিসটি আগেভাগে তুলে না খাওয়া এবং বড় বড় লোকমা মুখে পুরে না দেওয়া। মহানবী (সা.) সঙ্গীর অনুমতি ছাড়া একসঙ্গে দুটি করে খেজুর খেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৪৫৫; মুসলিম, হাদিস: ২০৪৫)

পানীয় তিন শ্বাসে পান করা
পানীয় এক নিশ্বাসে পান না করে তিন শ্বাসে পান করা সুন্নত। পাত্রের ভেতরে নিশ্বাস ফেলা উচিত নয়। মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পানি পান করতেন এবং বলতেন, ‘এতে বেশি তৃপ্তি আসে, পিপাসার কষ্ট থেকে অথবা কোনো ব্যাধি সৃষ্টির হাত থেকে বাঁচা যায় এবং হজম, পরিপাক ও দেহের উপকার বেশি হয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২০২৮)

বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা
কলসি, জগ বা এ জাতীয় বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান করা উচিত নয়। মহানবী (সা.) এভাবে পান করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি: হাদিস: ৫৬২৭ ও ৫৬২৯; মুসলিম, হাদিস: ১৬০৯)

প্রতীকী ছবিআঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়া
খাবার গ্রহণের পর আঙুল ও প্লেট চেটে খাওয়ার কথা বলেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ খাবার খেলে আঙুল চেটে না খেয়ে হাত মুছবে না। কারণ সে জানে না, কোন খাবারে বরকত আছে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৩৮০৯; মুসলিম, হাদিস: ২০৩৩)

অপ্রয়োজনীয় আলাপ না করা
খাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কথা বলতে অসুবিধা নেই। খাবারের মেন্যু নিয়ে আলাপ করতেও সমস্যা নেই। বরং মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন। তবে অহেতুক গল্পগুজব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৩৩৪০; মুসলিম, হাদিস: ১৯৪)

খাবার শেষে কুলি করা
খাবার শেষে কুলি করে মুখের ভেতর পরিষ্কার করে নেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) খাবার শেষে কুলি করতেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯০)

পরিবেশনকারী সবার শেষে খাওয়া
যে ব্যক্তি খাবার পরিবেশন করবেন, তাঁর জন্য মুস্তাহাব হলো, তিনি সবার শেষে খাবেন। মহানবী (সা.) এমনটি করেছেন এবং বলেছেন, ‘যে লোকদের পানি পান করায়, সে যেন সবার শেষে পান করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮১)

একাকী না খেয়ে একত্রে খাওয়া
একাকী না খেয়ে একাধিক লোক একত্রে খাওয়া ভালো। মহানবী (সা.) বলেন, ‘একজনের খাবার দুই জনের জন্য, দুজনের খাবার চার জনের জন্য এবং চার জনের খাবার আট জনের জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম, হাদিস: ৫৪৮৯; তিরমিজি, হাদিস: ১৮২০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৫৪)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা একসঙ্গে খাও এবং পৃথক পৃথক খেয়ো না। কারণ জামাতের সঙ্গে খাওয়ায় বরকত আছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৮৭)

খাওয়ার সময় কেউ এলে তাঁকে ডাকা 
খাওয়ার সময় বাইরে থেকে কেউ এলে তাঁকে খাবারের দস্তরখানে ডাকা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩২৯৯)

খাওয়ার আগে যাচাই করা
খাওয়ার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা সুন্নত। খাবারের উৎস সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) খাবার সম্পর্কে না জেনে তা গ্রহণ করতেন না। (বুখারি, হাদিস: ৫৩৯১)

পরিচারকদের সঙ্গে নিয়ে খাওয়া
খাবার প্রস্তুতকারী পরিচারককে সঙ্গে নিয়ে খাওয়া সুন্নত। তা সম্ভব না হলে খাবারের ভালো অংশ থেকে তাঁর জন্য রেখে দেওয়া উচিত। (বুখারি, হাদিস: ৫৪৬০; মুসলিম, হাদিস: ১৬৬৩)

দোয়া পড়া
খাবার খাওয়া শেষ হলে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায় করা উচিত। রাসুল (সা.) খাবার শেষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাতেন। দোয়া পড়তেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) খাওয়া শেষে এই দোয়া পাঠ করতেন।
الْحَمْدُ لله الَّذِي أَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مُسْلِمِينَ
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতআমানা, ওয়াসাকানা, অজাআলানা মুসলিমিন।
অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের খাইয়েছেন, পান করিয়েছেন এবং মুসলিম বানিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫০) 

আল্লাহ তাআলা আমাদের খাবার গ্রহণের সুন্নত ও আদবগুলো পালন করার তাওফিক দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১২ মিনিট
ফজর০৫: ১৩ মিনিট০৬: ৩২ মিনিট
জোহর১১: ৫৫ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১৩ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৫ মিনিট০৬: ৩৪ মিনিট
এশা০৬: ৩৫ মিনিট০৫: ১২ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পবিত্র কাবায় শিশুদের নিরাপত্তায় বিনা মূল্যে ‘সেফটি ব্রেসলেট’

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।

গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।

এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।

নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।

প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।

সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চার দশক বুখারি শরিফ পড়ানো শায়খুল হাদিস মাহবুবুল হক কাসেমীর ইন্তেকাল

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৬
মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী। ছবি: সংগৃহীত
মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী। ছবি: সংগৃহীত

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।

আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।

মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।

শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।

১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।

শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।

তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।

ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।

মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাবলিগের প্রবীণ মুরব্বি হাজি সেলিমের ইন্তেকাল

ইসলাম ডেস্ক 
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ মুরব্বি হাজি সেলিম। ছবি: সংগৃহীত
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ মুরব্বি হাজি সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।

হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’

হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

তাইওয়ানে যুদ্ধে জড়ালে চীনের কাছে হারতে পারে যুক্তরাষ্ট্র— পেন্টাগনের গোপন নথি ফাঁস

হাদিকে গুলি: সীমান্তে মানুষ পার করা ফিলিপকে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর দুই সহযোগী আটক

খালি হাতে বন্দুকধারীকে ঠেকিয়ে নায়ক বনে যাওয়া কে এই আল-আহমেদ

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত