মুফতি শাব্বির আহমদ

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা।
কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারা ও অন্যকে উপহার দেওয়ার সুযোগ।
গোশত বণ্টনের শরয়ি বিধান
কোরবানির গোশত এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। এটি বাধ্যতামূলক কোনো আমল নয় বরং মোস্তাহাব। যদি কেউ পুরো গোশত নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৫/৩০০)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও। (সুরা হজ: ২৮)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা খাও, জমা করে রাখো এবং দান-খয়রাত করো।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৬৯, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৭২, সুনানে নাসায়ি: ৪৪২৬, মুআত্তা মালিক: ২১৩৫)
এভাবেই কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া এবং অন্যকে খাওয়ানোর উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এটি মুসলিম সমাজের ঐতিহ্য। এ যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে আতিথেয়তা। কোরবানির দিনগুলোতে সকল মুসলিম আল্লাহর মেহমান। বান্দা শুধু গরিব-দুঃখীদের ঘরে ঘরে গোশত পৌঁছে দেয় আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে। এটা বান্দার পক্ষ থেকে কোনো করুণা নয়।
সামাজিক অসংগতি
কোরবানির ঈদের দিন দুপুর থেকে আমাদের সমাজে একটি দৃশ্য সকলের চোখে পড়ে। তা হলো কোরবানিদাতার বাড়ির দরজায় কিছু মানুষ গোশতের জন্য ভিড় করে। যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
কোরবানি আদ্যোপান্ত একটি ইবাদত। আর ইবাদতের সঙ্গে এই দৃশ্যটি অসংগতিপূর্ণ। ইবাদতের মধ্যে বিনয় নম্রতা থাকা অপরিহার্য। তবেই এটা আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হয়। সামাজিক এই দৃশ্যটি বিনয়ের বিপরীত এবং অহমিকার বহিঃপ্রকাশ। লোকজন আমার বাড়ির সামনে ছুটে আসছে। আমি গোশত বিলাচ্ছি। এতে নিজের অহংবোধ স্বাভাবিকভাবে জেগে ওঠে, আমিত্ব জেগে উঠে, মনের পশু সজাগ হয়। ইবাদত করতে গিয়ে যদি ইবাদতের মূল মহিমাই ক্ষুণ্ন হয়—তাহলে ইবাদতের বাকি থাকল কী!
এ যেন ইবাদতের পরিবর্তে ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিষ্ঠা। যে ভিক্ষাবৃত্তি ইসলাম জায়েজ রাখেনি, পছন্দ করেনি—সাময়িকভাবে আমরাই সে ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা করি। কোনো মুসলমান এমনটি করতে পারে না এবং এই চিত্র পছন্দ করতে পারে না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ মোমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে যা নিজের জন্য করে। (সহিহ্ বুখারি: ১৩, সহিহ্ মুসলিম: ৪৫)
কোনো মুসলমান নিজের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করে না—তাহলে সে তার অন্য ভাই-বোনের জন্য এই ভিক্ষাবৃত্তি কীভাবে পছন্দ করে! ইবাদত হচ্ছে পুণ্য, মহত্ত্ব আর ভিক্ষা হচ্ছে অনুচিত।
কোরবানির গোশত অন্যকে খাওয়ানো যখন ইবাদত, তখন সেই ইবাদতে ভিক্ষার কলঙ্ক কেন যুক্ত হবে! কোরবানি হচ্ছে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত। মহান নবীর মহান সুন্নত কেন ভিক্ষাবৃত্তির কালিতে মলিন হবে!
ইবাদতের মূল প্রাণ হচ্ছে তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়া ভীতি জেগে উঠুক। নিজের আমিত্ব ও অহংবোধ চিরতরে কোরবানি হয়ে যাক।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহর কাছে তোমাদের পশুর গোশত, রক্ত কিছুই পৌঁছায় না—তাঁর কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানির মূল সার্থকতা হলো, নিজের আমিত্বকে ত্যাগ করে আল্লাহর সামনে নিজেকে পেশ করা। সুতরাং নিজের আমিত্বকে কোরবানি করার একটি বড় সুযোগ হচ্ছে ঈদুল আজহা।
কোরবানির গোশত নিয়ে আমি যদি মুসলিম ভাইবোনদের দুয়ার দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে পারি—সেটা আমার আমিত্ব অহমিকা দূর করার কার্যকরী ওষুধ হবে এবং এটি হবে আমার বিনয় নম্রতার পরিচয়। এটি গরিব মিসকিনের প্রতি ভ্রাতৃত্ব মমত্ববোধ। এতে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হন। কোরবানি যখন ইবাদত, তখন গোশত বণ্টনও আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
আমাদের করণীয়
কোরবানির আগেই আমরা নিজ নিজ এলাকার একটি তালিকা তৈরি করে রাখব—কারা কোরবানি দিতে সক্ষম নয়? তারপর কোরবানির দিন সে তালিকা অনুযায়ী সবার ঘরে ঘরে আমরাই কোরবানির গোশত পৌঁছে দেব।
প্রত্যেক মহল্লার কোরবানিদাতারা এই চিন্তা চেতনায় লালন করলে একটি প্রকৃত ইসলামি সমাজ, এবং সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চোখ জুড়ানো দৃশ্য ফুটে উঠবে—যা কোরবানির দিনকে করবে আনন্দ ভাগাভাগির দিন। আল্লাহর নৈকট্য হাসিলে নিজেকে সঁপে দিয়ে ইবাদতের মহিমায় ভাস্বর হওয়ার দিন।
একটি সতর্কতা
১. মানতের কোরবানির গোশত মানতকারী ও তার পরিবার খেতে পারবে না; বরং তার পুরোটাই দান করে দিতে হবে এবং যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত শুধু তাদেরই দেওয়া যাবে, ধনীদের দেওয়া যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৫, রদ্দুল মুহতার: ৩/৭৩৭)
২. কিছু সমাজে প্রচলিত আছে সকল কোরবানিদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গোশত সংগ্রহ করে তা সমাজের প্রতিটি ঘরে বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কোরবানিদাতা চক্ষুলজ্জার ভয়ে কিংবা সামাজিক চাপে পড়েই গোশত দিতে বাধ্য হন।
একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে ধনী, গরিব এমনকি স্বয়ং কোরবানিদাতাও ওই গোশতের ভাগ পায়। কিন্তু সমাজে অনেকের কোরবানি মানতের থাকে, যা গরিবদের অধিকার। তাই এ পদ্ধতি জায়েজ নেই।
তবে যদি মানতের না হয়, কুরবানিদাতা স্বেচ্ছায় এখানে গোশত দেন এবং তা শুধু গরিবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়—তাহলে তা জায়েজ হবে। (দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট, ফতোয়া নং: ১৫৩৮৩১)
লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা।
কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত নিজে খেতে পারা ও অন্যকে উপহার দেওয়ার সুযোগ।
গোশত বণ্টনের শরয়ি বিধান
কোরবানির গোশত এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। এটি বাধ্যতামূলক কোনো আমল নয় বরং মোস্তাহাব। যদি কেউ পুরো গোশত নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, ফাতাওয়া আলমগিরি: ৫/৩০০)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও। (সুরা হজ: ২৮)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা খাও, জমা করে রাখো এবং দান-খয়রাত করো।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৬৯, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৭২, সুনানে নাসায়ি: ৪৪২৬, মুআত্তা মালিক: ২১৩৫)
এভাবেই কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া এবং অন্যকে খাওয়ানোর উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এটি মুসলিম সমাজের ঐতিহ্য। এ যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে আতিথেয়তা। কোরবানির দিনগুলোতে সকল মুসলিম আল্লাহর মেহমান। বান্দা শুধু গরিব-দুঃখীদের ঘরে ঘরে গোশত পৌঁছে দেয় আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে। এটা বান্দার পক্ষ থেকে কোনো করুণা নয়।
সামাজিক অসংগতি
কোরবানির ঈদের দিন দুপুর থেকে আমাদের সমাজে একটি দৃশ্য সকলের চোখে পড়ে। তা হলো কোরবানিদাতার বাড়ির দরজায় কিছু মানুষ গোশতের জন্য ভিড় করে। যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
কোরবানি আদ্যোপান্ত একটি ইবাদত। আর ইবাদতের সঙ্গে এই দৃশ্যটি অসংগতিপূর্ণ। ইবাদতের মধ্যে বিনয় নম্রতা থাকা অপরিহার্য। তবেই এটা আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হয়। সামাজিক এই দৃশ্যটি বিনয়ের বিপরীত এবং অহমিকার বহিঃপ্রকাশ। লোকজন আমার বাড়ির সামনে ছুটে আসছে। আমি গোশত বিলাচ্ছি। এতে নিজের অহংবোধ স্বাভাবিকভাবে জেগে ওঠে, আমিত্ব জেগে উঠে, মনের পশু সজাগ হয়। ইবাদত করতে গিয়ে যদি ইবাদতের মূল মহিমাই ক্ষুণ্ন হয়—তাহলে ইবাদতের বাকি থাকল কী!
এ যেন ইবাদতের পরিবর্তে ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিষ্ঠা। যে ভিক্ষাবৃত্তি ইসলাম জায়েজ রাখেনি, পছন্দ করেনি—সাময়িকভাবে আমরাই সে ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রতিষ্ঠা করি। কোনো মুসলমান এমনটি করতে পারে না এবং এই চিত্র পছন্দ করতে পারে না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ মোমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে যা নিজের জন্য করে। (সহিহ্ বুখারি: ১৩, সহিহ্ মুসলিম: ৪৫)
কোনো মুসলমান নিজের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করে না—তাহলে সে তার অন্য ভাই-বোনের জন্য এই ভিক্ষাবৃত্তি কীভাবে পছন্দ করে! ইবাদত হচ্ছে পুণ্য, মহত্ত্ব আর ভিক্ষা হচ্ছে অনুচিত।
কোরবানির গোশত অন্যকে খাওয়ানো যখন ইবাদত, তখন সেই ইবাদতে ভিক্ষার কলঙ্ক কেন যুক্ত হবে! কোরবানি হচ্ছে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত। মহান নবীর মহান সুন্নত কেন ভিক্ষাবৃত্তির কালিতে মলিন হবে!
ইবাদতের মূল প্রাণ হচ্ছে তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়া ভীতি জেগে উঠুক। নিজের আমিত্ব ও অহংবোধ চিরতরে কোরবানি হয়ে যাক।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, আল্লাহর কাছে তোমাদের পশুর গোশত, রক্ত কিছুই পৌঁছায় না—তাঁর কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া ও আল্লাহ ভীতি। (সুরা হজ: ৩৭)
কোরবানির মূল সার্থকতা হলো, নিজের আমিত্বকে ত্যাগ করে আল্লাহর সামনে নিজেকে পেশ করা। সুতরাং নিজের আমিত্বকে কোরবানি করার একটি বড় সুযোগ হচ্ছে ঈদুল আজহা।
কোরবানির গোশত নিয়ে আমি যদি মুসলিম ভাইবোনদের দুয়ার দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে পারি—সেটা আমার আমিত্ব অহমিকা দূর করার কার্যকরী ওষুধ হবে এবং এটি হবে আমার বিনয় নম্রতার পরিচয়। এটি গরিব মিসকিনের প্রতি ভ্রাতৃত্ব মমত্ববোধ। এতে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হন। কোরবানি যখন ইবাদত, তখন গোশত বণ্টনও আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
আমাদের করণীয়
কোরবানির আগেই আমরা নিজ নিজ এলাকার একটি তালিকা তৈরি করে রাখব—কারা কোরবানি দিতে সক্ষম নয়? তারপর কোরবানির দিন সে তালিকা অনুযায়ী সবার ঘরে ঘরে আমরাই কোরবানির গোশত পৌঁছে দেব।
প্রত্যেক মহল্লার কোরবানিদাতারা এই চিন্তা চেতনায় লালন করলে একটি প্রকৃত ইসলামি সমাজ, এবং সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চোখ জুড়ানো দৃশ্য ফুটে উঠবে—যা কোরবানির দিনকে করবে আনন্দ ভাগাভাগির দিন। আল্লাহর নৈকট্য হাসিলে নিজেকে সঁপে দিয়ে ইবাদতের মহিমায় ভাস্বর হওয়ার দিন।
একটি সতর্কতা
১. মানতের কোরবানির গোশত মানতকারী ও তার পরিবার খেতে পারবে না; বরং তার পুরোটাই দান করে দিতে হবে এবং যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত শুধু তাদেরই দেওয়া যাবে, ধনীদের দেওয়া যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৫, রদ্দুল মুহতার: ৩/৭৩৭)
২. কিছু সমাজে প্রচলিত আছে সকল কোরবানিদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গোশত সংগ্রহ করে তা সমাজের প্রতিটি ঘরে বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কোরবানিদাতা চক্ষুলজ্জার ভয়ে কিংবা সামাজিক চাপে পড়েই গোশত দিতে বাধ্য হন।
একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে ধনী, গরিব এমনকি স্বয়ং কোরবানিদাতাও ওই গোশতের ভাগ পায়। কিন্তু সমাজে অনেকের কোরবানি মানতের থাকে, যা গরিবদের অধিকার। তাই এ পদ্ধতি জায়েজ নেই।
তবে যদি মানতের না হয়, কুরবানিদাতা স্বেচ্ছায় এখানে গোশত দেন এবং তা শুধু গরিবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়—তাহলে তা জায়েজ হবে। (দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট, ফতোয়া নং: ১৫৩৮৩১)
লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত...
০৪ জুন ২০২৫
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত...
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত...
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৪ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৭ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মুসলমানদের কোনো উৎসবই নিছক উৎসব নয়—ইবাদতও বটে। বরং ইবাদতের দিকটাই এখানে প্রবল। ঈদুল আজহায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কোরবানি। আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ—আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের চেষ্টা করা। কোরবানিতে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়, তেমনি এর আরেক উপকার হলো—কোরবানির গোশত...
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগে