অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন

মানবজীবনে আয় ও ব্যয় অতি পরিচিত এবং জীবনঘনিষ্ঠ দুটি বিষয়। ইসলামি জীবনবোধে বিশ্বাসী সবাইকেই বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ থেকে জীবন-জীবিকার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন আর সম্পদের খরচ জোগান—দুটোই হতে হবে সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে। ইসলাম তাই ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিষয়টিকে মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইসলামি জীবন-দর্শনে ব্যয়ের খাতসমূহও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। কেউ সম্পদ অর্জন করবে এবং তা একাই ভোগ করবে—এমনটি হতে পারে না। বরং জীবনের কল্যাণে, পরিবারের চাহিদা পরিপূরণে, সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে, জনকল্যাণমূলক কাজে অথবা মানবতা ও ধর্মীয় কল্যাণ সাধনে অব্যাহত ব্যয় করাই হচ্ছে প্রকৃত মানবাত্মার দায়িত্ব। সেই ব্যয় নানা সময়ে, বিভিন্ন উপলক্ষে, ভিন্ন ভিন্ন খাতে আর আলাদা আলাদা বিষয়ে একেক রকম তাৎপর্য বহন করে।
আল্লাহর পথে ব্যয় সব মুমিনের জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয়। পবিত্র মাহে রমজানে ব্যয় পুণ্যার্জন আর অধিকতর বরকত লাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কেননা, রমজানে প্রতিটি ইবাদতের পুরস্কার হিসেবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সওয়াব দেওয়া হয়। পবিত্র কোরআনে বিশ্বাসীদের যেসব গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে, তার একটি হলো এই কল্যাণমূলক ব্যয়। তাই মহান আল্লাহর পথে ব্যয় এবং তা পবিত্র রমজানে সম্পন্নকরণ নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম ব্যয়ের পর্যায়ে উপনীত।
আল্লাহর পথে ব্যয় কী? এ নিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি রয়েছে। আল্লাহকে সরাসরি কিছু দেওয়া যাচ্ছে না, আল্লাহর কোনো পরিবারও নেই, তাঁর খাওয়ার, পরিধানের কোনো চাহিদাও নেই। কিন্তু আমরা যদি জমিনে তাঁরই সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়াশীল হই, তাদের সেবা করি, আর্তমানবতার ডাকে সাড়া দিই, তাহলে তা-ই হবে মহান আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করা। গোটা সৃষ্টিজগৎই হলো আল্লাহর পরিবার, সমগ্র বিশ্বই আল্লাহর সংসারের অন্তর্ভুক্ত।
মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, ‘তোমরা দুনিয়াবাসীর (সৃষ্টিজীব) প্রতি রহম করো, তবে আকাশবাসী (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি রহম করবেন। ইসলাম, মানবতা, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, মুখাপেক্ষী, ফকির-মিসকিন, প্রার্থী, দরিদ্র, তথা গোটা সৃষ্টির জন্যই আমরা ইতিবাচক ও নিয়মের মধ্যে যে ব্যয় নির্বাহ করব, তা-ই মহান আল্লাহর পথে ব্যয়ের পরিধির মধ্যে পড়বে।’
সুতরাং আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় মানে কোনো সংকীর্ণ বা গণ্ডীবদ্ধ বা কোনো বিশেষ খাতে ব্যয় নয়—এটি সামগ্রিক ও ব্যাপক প্রসারিত। পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যেন একটি শস্যদানা, যা সাতটি ছড়া উৎপন্ন করল এবং প্রতিটি ছড়ায় আরও ১০০টি করে দানা বের হলো। মহান আল্লাহ চাইলে তা আরও বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিতে পারেন।’
আল্লাহর পথে ব্যয় হচ্ছে নিজেকে ধ্বংসের পথ থেকে বাঁচানো। ইরশাদ হচ্ছে—‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো; আর তোমরা (আল্লাহর পথে ব্যয় না করে) নিজেরা নিজেদের ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ কোরো না।’ বরং আল্লাহর পথে ব্যয় করার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ মহান আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ইরশাদ হচ্ছে, ‘যারা স্বীয় ধনসম্পদ ব্যয় করে দিনে বা রাতে আর প্রকাশ্যে বা গোপনে, তাদের জন্য পরম প্রভুর নিকট রয়েছে পুণ্য এবং তারা কখনো চিন্তিত বা শঙ্কিত হবে না।’ এই ব্যয়ের কোনো লোকসান নেই, বরং তা আরও সম্পদের প্রবৃদ্ধি দান করে। বলা হচ্ছে, ‘এমন কে আছে, যে মহান আল্লাহকে তার সম্পদ ধার দেবে? আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে দ্বিগুণ বা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন।’
মহান আল্লাহ ব্যয়ের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে বলছেন, ‘আমি তোমাদের যে সম্পদ দিয়েছি, তা থেকে তোমরা তোমাদের মৃত্যু আসার পূর্বেই ব্যয় করো।’ আমরা যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছি, কিন্তু কল্যাণের পথে ব্যয় করছি না, তাদের জন্য এটি এক কঠোর বার্তা; অন্তত নিজের অস্তিত্বে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পূর্বেই যেন আমরা সচেতন হই, জেগে উঠি এবং আর্তমানবতার জন্য ব্যয় করি। আর সেই ব্যয়ের প্রকৃষ্ট মৌসুম আমাদের দ্বারে সমুপস্থিত; মাহে রমজানের এই পুণ্যলগ্নে আল্লাহর পথে ব্যয়ের মাধ্যমে আমরা যেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণ সাধনে ব্রতী হতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের সকল ব্যয় কবুল করুন।
লেখক: চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মানবজীবনে আয় ও ব্যয় অতি পরিচিত এবং জীবনঘনিষ্ঠ দুটি বিষয়। ইসলামি জীবনবোধে বিশ্বাসী সবাইকেই বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ থেকে জীবন-জীবিকার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন আর সম্পদের খরচ জোগান—দুটোই হতে হবে সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে। ইসলাম তাই ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিষয়টিকে মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইসলামি জীবন-দর্শনে ব্যয়ের খাতসমূহও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। কেউ সম্পদ অর্জন করবে এবং তা একাই ভোগ করবে—এমনটি হতে পারে না। বরং জীবনের কল্যাণে, পরিবারের চাহিদা পরিপূরণে, সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে, জনকল্যাণমূলক কাজে অথবা মানবতা ও ধর্মীয় কল্যাণ সাধনে অব্যাহত ব্যয় করাই হচ্ছে প্রকৃত মানবাত্মার দায়িত্ব। সেই ব্যয় নানা সময়ে, বিভিন্ন উপলক্ষে, ভিন্ন ভিন্ন খাতে আর আলাদা আলাদা বিষয়ে একেক রকম তাৎপর্য বহন করে।
আল্লাহর পথে ব্যয় সব মুমিনের জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয়। পবিত্র মাহে রমজানে ব্যয় পুণ্যার্জন আর অধিকতর বরকত লাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কেননা, রমজানে প্রতিটি ইবাদতের পুরস্কার হিসেবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সওয়াব দেওয়া হয়। পবিত্র কোরআনে বিশ্বাসীদের যেসব গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে, তার একটি হলো এই কল্যাণমূলক ব্যয়। তাই মহান আল্লাহর পথে ব্যয় এবং তা পবিত্র রমজানে সম্পন্নকরণ নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম ব্যয়ের পর্যায়ে উপনীত।
আল্লাহর পথে ব্যয় কী? এ নিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি রয়েছে। আল্লাহকে সরাসরি কিছু দেওয়া যাচ্ছে না, আল্লাহর কোনো পরিবারও নেই, তাঁর খাওয়ার, পরিধানের কোনো চাহিদাও নেই। কিন্তু আমরা যদি জমিনে তাঁরই সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়াশীল হই, তাদের সেবা করি, আর্তমানবতার ডাকে সাড়া দিই, তাহলে তা-ই হবে মহান আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করা। গোটা সৃষ্টিজগৎই হলো আল্লাহর পরিবার, সমগ্র বিশ্বই আল্লাহর সংসারের অন্তর্ভুক্ত।
মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, ‘তোমরা দুনিয়াবাসীর (সৃষ্টিজীব) প্রতি রহম করো, তবে আকাশবাসী (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি রহম করবেন। ইসলাম, মানবতা, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, মুখাপেক্ষী, ফকির-মিসকিন, প্রার্থী, দরিদ্র, তথা গোটা সৃষ্টির জন্যই আমরা ইতিবাচক ও নিয়মের মধ্যে যে ব্যয় নির্বাহ করব, তা-ই মহান আল্লাহর পথে ব্যয়ের পরিধির মধ্যে পড়বে।’
সুতরাং আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় মানে কোনো সংকীর্ণ বা গণ্ডীবদ্ধ বা কোনো বিশেষ খাতে ব্যয় নয়—এটি সামগ্রিক ও ব্যাপক প্রসারিত। পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যেন একটি শস্যদানা, যা সাতটি ছড়া উৎপন্ন করল এবং প্রতিটি ছড়ায় আরও ১০০টি করে দানা বের হলো। মহান আল্লাহ চাইলে তা আরও বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিতে পারেন।’
আল্লাহর পথে ব্যয় হচ্ছে নিজেকে ধ্বংসের পথ থেকে বাঁচানো। ইরশাদ হচ্ছে—‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো; আর তোমরা (আল্লাহর পথে ব্যয় না করে) নিজেরা নিজেদের ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ কোরো না।’ বরং আল্লাহর পথে ব্যয় করার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ মহান আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ইরশাদ হচ্ছে, ‘যারা স্বীয় ধনসম্পদ ব্যয় করে দিনে বা রাতে আর প্রকাশ্যে বা গোপনে, তাদের জন্য পরম প্রভুর নিকট রয়েছে পুণ্য এবং তারা কখনো চিন্তিত বা শঙ্কিত হবে না।’ এই ব্যয়ের কোনো লোকসান নেই, বরং তা আরও সম্পদের প্রবৃদ্ধি দান করে। বলা হচ্ছে, ‘এমন কে আছে, যে মহান আল্লাহকে তার সম্পদ ধার দেবে? আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে দ্বিগুণ বা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন।’
মহান আল্লাহ ব্যয়ের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে বলছেন, ‘আমি তোমাদের যে সম্পদ দিয়েছি, তা থেকে তোমরা তোমাদের মৃত্যু আসার পূর্বেই ব্যয় করো।’ আমরা যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছি, কিন্তু কল্যাণের পথে ব্যয় করছি না, তাদের জন্য এটি এক কঠোর বার্তা; অন্তত নিজের অস্তিত্বে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পূর্বেই যেন আমরা সচেতন হই, জেগে উঠি এবং আর্তমানবতার জন্য ব্যয় করি। আর সেই ব্যয়ের প্রকৃষ্ট মৌসুম আমাদের দ্বারে সমুপস্থিত; মাহে রমজানের এই পুণ্যলগ্নে আল্লাহর পথে ব্যয়ের মাধ্যমে আমরা যেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণ সাধনে ব্রতী হতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের সকল ব্যয় কবুল করুন।
লেখক: চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন

মানবজীবনে আয় ও ব্যয় অতি পরিচিত এবং জীবনঘনিষ্ঠ দুটি বিষয়। ইসলামি জীবনবোধে বিশ্বাসী সবাইকেই বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ থেকে জীবন-জীবিকার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন আর সম্পদের খরচ জোগান—দুটোই হতে হবে সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে। ইসলাম তাই ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিষয়টিকে মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইসলামি জীবন-দর্শনে ব্যয়ের খাতসমূহও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। কেউ সম্পদ অর্জন করবে এবং তা একাই ভোগ করবে—এমনটি হতে পারে না। বরং জীবনের কল্যাণে, পরিবারের চাহিদা পরিপূরণে, সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে, জনকল্যাণমূলক কাজে অথবা মানবতা ও ধর্মীয় কল্যাণ সাধনে অব্যাহত ব্যয় করাই হচ্ছে প্রকৃত মানবাত্মার দায়িত্ব। সেই ব্যয় নানা সময়ে, বিভিন্ন উপলক্ষে, ভিন্ন ভিন্ন খাতে আর আলাদা আলাদা বিষয়ে একেক রকম তাৎপর্য বহন করে।
আল্লাহর পথে ব্যয় সব মুমিনের জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয়। পবিত্র মাহে রমজানে ব্যয় পুণ্যার্জন আর অধিকতর বরকত লাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কেননা, রমজানে প্রতিটি ইবাদতের পুরস্কার হিসেবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সওয়াব দেওয়া হয়। পবিত্র কোরআনে বিশ্বাসীদের যেসব গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে, তার একটি হলো এই কল্যাণমূলক ব্যয়। তাই মহান আল্লাহর পথে ব্যয় এবং তা পবিত্র রমজানে সম্পন্নকরণ নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম ব্যয়ের পর্যায়ে উপনীত।
আল্লাহর পথে ব্যয় কী? এ নিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি রয়েছে। আল্লাহকে সরাসরি কিছু দেওয়া যাচ্ছে না, আল্লাহর কোনো পরিবারও নেই, তাঁর খাওয়ার, পরিধানের কোনো চাহিদাও নেই। কিন্তু আমরা যদি জমিনে তাঁরই সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়াশীল হই, তাদের সেবা করি, আর্তমানবতার ডাকে সাড়া দিই, তাহলে তা-ই হবে মহান আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করা। গোটা সৃষ্টিজগৎই হলো আল্লাহর পরিবার, সমগ্র বিশ্বই আল্লাহর সংসারের অন্তর্ভুক্ত।
মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, ‘তোমরা দুনিয়াবাসীর (সৃষ্টিজীব) প্রতি রহম করো, তবে আকাশবাসী (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি রহম করবেন। ইসলাম, মানবতা, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, মুখাপেক্ষী, ফকির-মিসকিন, প্রার্থী, দরিদ্র, তথা গোটা সৃষ্টির জন্যই আমরা ইতিবাচক ও নিয়মের মধ্যে যে ব্যয় নির্বাহ করব, তা-ই মহান আল্লাহর পথে ব্যয়ের পরিধির মধ্যে পড়বে।’
সুতরাং আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় মানে কোনো সংকীর্ণ বা গণ্ডীবদ্ধ বা কোনো বিশেষ খাতে ব্যয় নয়—এটি সামগ্রিক ও ব্যাপক প্রসারিত। পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যেন একটি শস্যদানা, যা সাতটি ছড়া উৎপন্ন করল এবং প্রতিটি ছড়ায় আরও ১০০টি করে দানা বের হলো। মহান আল্লাহ চাইলে তা আরও বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিতে পারেন।’
আল্লাহর পথে ব্যয় হচ্ছে নিজেকে ধ্বংসের পথ থেকে বাঁচানো। ইরশাদ হচ্ছে—‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো; আর তোমরা (আল্লাহর পথে ব্যয় না করে) নিজেরা নিজেদের ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ কোরো না।’ বরং আল্লাহর পথে ব্যয় করার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ মহান আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ইরশাদ হচ্ছে, ‘যারা স্বীয় ধনসম্পদ ব্যয় করে দিনে বা রাতে আর প্রকাশ্যে বা গোপনে, তাদের জন্য পরম প্রভুর নিকট রয়েছে পুণ্য এবং তারা কখনো চিন্তিত বা শঙ্কিত হবে না।’ এই ব্যয়ের কোনো লোকসান নেই, বরং তা আরও সম্পদের প্রবৃদ্ধি দান করে। বলা হচ্ছে, ‘এমন কে আছে, যে মহান আল্লাহকে তার সম্পদ ধার দেবে? আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে দ্বিগুণ বা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন।’
মহান আল্লাহ ব্যয়ের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে বলছেন, ‘আমি তোমাদের যে সম্পদ দিয়েছি, তা থেকে তোমরা তোমাদের মৃত্যু আসার পূর্বেই ব্যয় করো।’ আমরা যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছি, কিন্তু কল্যাণের পথে ব্যয় করছি না, তাদের জন্য এটি এক কঠোর বার্তা; অন্তত নিজের অস্তিত্বে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পূর্বেই যেন আমরা সচেতন হই, জেগে উঠি এবং আর্তমানবতার জন্য ব্যয় করি। আর সেই ব্যয়ের প্রকৃষ্ট মৌসুম আমাদের দ্বারে সমুপস্থিত; মাহে রমজানের এই পুণ্যলগ্নে আল্লাহর পথে ব্যয়ের মাধ্যমে আমরা যেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণ সাধনে ব্রতী হতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের সকল ব্যয় কবুল করুন।
লেখক: চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মানবজীবনে আয় ও ব্যয় অতি পরিচিত এবং জীবনঘনিষ্ঠ দুটি বিষয়। ইসলামি জীবনবোধে বিশ্বাসী সবাইকেই বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ থেকে জীবন-জীবিকার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন আর সম্পদের খরচ জোগান—দুটোই হতে হবে সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে। ইসলাম তাই ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিষয়টিকে মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইসলামি জীবন-দর্শনে ব্যয়ের খাতসমূহও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। কেউ সম্পদ অর্জন করবে এবং তা একাই ভোগ করবে—এমনটি হতে পারে না। বরং জীবনের কল্যাণে, পরিবারের চাহিদা পরিপূরণে, সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতিরে, জনকল্যাণমূলক কাজে অথবা মানবতা ও ধর্মীয় কল্যাণ সাধনে অব্যাহত ব্যয় করাই হচ্ছে প্রকৃত মানবাত্মার দায়িত্ব। সেই ব্যয় নানা সময়ে, বিভিন্ন উপলক্ষে, ভিন্ন ভিন্ন খাতে আর আলাদা আলাদা বিষয়ে একেক রকম তাৎপর্য বহন করে।
আল্লাহর পথে ব্যয় সব মুমিনের জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয়। পবিত্র মাহে রমজানে ব্যয় পুণ্যার্জন আর অধিকতর বরকত লাভের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কেননা, রমজানে প্রতিটি ইবাদতের পুরস্কার হিসেবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সওয়াব দেওয়া হয়। পবিত্র কোরআনে বিশ্বাসীদের যেসব গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে, তার একটি হলো এই কল্যাণমূলক ব্যয়। তাই মহান আল্লাহর পথে ব্যয় এবং তা পবিত্র রমজানে সম্পন্নকরণ নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম ব্যয়ের পর্যায়ে উপনীত।
আল্লাহর পথে ব্যয় কী? এ নিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি রয়েছে। আল্লাহকে সরাসরি কিছু দেওয়া যাচ্ছে না, আল্লাহর কোনো পরিবারও নেই, তাঁর খাওয়ার, পরিধানের কোনো চাহিদাও নেই। কিন্তু আমরা যদি জমিনে তাঁরই সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়াশীল হই, তাদের সেবা করি, আর্তমানবতার ডাকে সাড়া দিই, তাহলে তা-ই হবে মহান আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করা। গোটা সৃষ্টিজগৎই হলো আল্লাহর পরিবার, সমগ্র বিশ্বই আল্লাহর সংসারের অন্তর্ভুক্ত।
মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, ‘তোমরা দুনিয়াবাসীর (সৃষ্টিজীব) প্রতি রহম করো, তবে আকাশবাসী (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি রহম করবেন। ইসলাম, মানবতা, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, মুখাপেক্ষী, ফকির-মিসকিন, প্রার্থী, দরিদ্র, তথা গোটা সৃষ্টির জন্যই আমরা ইতিবাচক ও নিয়মের মধ্যে যে ব্যয় নির্বাহ করব, তা-ই মহান আল্লাহর পথে ব্যয়ের পরিধির মধ্যে পড়বে।’
সুতরাং আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় মানে কোনো সংকীর্ণ বা গণ্ডীবদ্ধ বা কোনো বিশেষ খাতে ব্যয় নয়—এটি সামগ্রিক ও ব্যাপক প্রসারিত। পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যেন একটি শস্যদানা, যা সাতটি ছড়া উৎপন্ন করল এবং প্রতিটি ছড়ায় আরও ১০০টি করে দানা বের হলো। মহান আল্লাহ চাইলে তা আরও বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করে দিতে পারেন।’
আল্লাহর পথে ব্যয় হচ্ছে নিজেকে ধ্বংসের পথ থেকে বাঁচানো। ইরশাদ হচ্ছে—‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো; আর তোমরা (আল্লাহর পথে ব্যয় না করে) নিজেরা নিজেদের ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ কোরো না।’ বরং আল্লাহর পথে ব্যয় করার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ মহান আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ইরশাদ হচ্ছে, ‘যারা স্বীয় ধনসম্পদ ব্যয় করে দিনে বা রাতে আর প্রকাশ্যে বা গোপনে, তাদের জন্য পরম প্রভুর নিকট রয়েছে পুণ্য এবং তারা কখনো চিন্তিত বা শঙ্কিত হবে না।’ এই ব্যয়ের কোনো লোকসান নেই, বরং তা আরও সম্পদের প্রবৃদ্ধি দান করে। বলা হচ্ছে, ‘এমন কে আছে, যে মহান আল্লাহকে তার সম্পদ ধার দেবে? আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে দ্বিগুণ বা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন।’
মহান আল্লাহ ব্যয়ের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে বলছেন, ‘আমি তোমাদের যে সম্পদ দিয়েছি, তা থেকে তোমরা তোমাদের মৃত্যু আসার পূর্বেই ব্যয় করো।’ আমরা যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছি, কিন্তু কল্যাণের পথে ব্যয় করছি না, তাদের জন্য এটি এক কঠোর বার্তা; অন্তত নিজের অস্তিত্বে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পূর্বেই যেন আমরা সচেতন হই, জেগে উঠি এবং আর্তমানবতার জন্য ব্যয় করি। আর সেই ব্যয়ের প্রকৃষ্ট মৌসুম আমাদের দ্বারে সমুপস্থিত; মাহে রমজানের এই পুণ্যলগ্নে আল্লাহর পথে ব্যয়ের মাধ্যমে আমরা যেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণ সাধনে ব্রতী হতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের সকল ব্যয় কবুল করুন।
লেখক: চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

মানবজীবনে আয় ও ব্যয় অতি পরিচিত এবং জীবনঘনিষ্ঠ দুটি বিষয়। ইসলামি জীবনবোধে বিশ্বাসী সবাইকেই বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ থেকে জীবন-জীবিকার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন আর সম্পদের খরচ জোগান—দুটোই হতে হবে সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে। ইসলাম তাই ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিষয়টিকে মান
১৯ এপ্রিল ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানবজীবনে আয় ও ব্যয় অতি পরিচিত এবং জীবনঘনিষ্ঠ দুটি বিষয়। ইসলামি জীবনবোধে বিশ্বাসী সবাইকেই বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ থেকে জীবন-জীবিকার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন আর সম্পদের খরচ জোগান—দুটোই হতে হবে সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে। ইসলাম তাই ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিষয়টিকে মান
১৯ এপ্রিল ২০২২
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

মানবজীবনে আয় ও ব্যয় অতি পরিচিত এবং জীবনঘনিষ্ঠ দুটি বিষয়। ইসলামি জীবনবোধে বিশ্বাসী সবাইকেই বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ থেকে জীবন-জীবিকার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন আর সম্পদের খরচ জোগান—দুটোই হতে হবে সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে। ইসলাম তাই ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিষয়টিকে মান
১৯ এপ্রিল ২০২২
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানবজীবনে আয় ও ব্যয় অতি পরিচিত এবং জীবনঘনিষ্ঠ দুটি বিষয়। ইসলামি জীবনবোধে বিশ্বাসী সবাইকেই বৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ থেকে জীবন-জীবিকার ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্পদ অর্জন আর সম্পদের খরচ জোগান—দুটোই হতে হবে সংবিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে। ইসলাম তাই ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিষয়টিকে মান
১৯ এপ্রিল ২০২২
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে