
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ, এয়ার ফোর্স জেনারেল সি. কিউ. ব্রাউনকে গতকাল শুক্রবার বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকেও সরিয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতৃত্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, তিনি ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করবেন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রাজিন’ কেইনকে।
এটি ঐতিহ্য ভঙ্গ করা একটা সিদ্ধান্ত, কারণ কেইনকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে বসানো হচ্ছে।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটিকেও সরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া, এয়ার ফোর্সের ভাইস চিফ অব স্টাফ এবং আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্সের জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পদগুলো সামরিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে একটি অস্থির সময়ের সূচনা করল, যেখানে ইতিমধ্যেই বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপক বরখাস্ত, বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং ট্রাম্পের নতুন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির অধীনে সামরিক বাহিনী ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে।
বেসামরিক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মধারী সদস্যদের রাজনীতিমুক্ত রাখা হয়। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের নীতিই পেন্টাগন বাস্তবায়ন করে।
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
গত নভেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ব্রাউনের বরখাস্তের কথাও ছিল।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড, যিনি সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট, তিনি বলেছেন, ‘সামরিক নেতৃত্বের রাজনৈতিক আনুগত্য পরীক্ষা অথবা বর্ণ ভেদে বৈচিত্র্য ও লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে বরখাস্ত করা, কোনোভাবেই কর্মদক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের সৈন্যদের আস্থা এবং পেশাদারিকে ক্ষুণ্ন করে।’
ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট রিপ্রেজেনটেটিভ সেথ মোল্টন বলেন, ‘এ ধরনের বরখাস্ত “অ–আমেরিকা সুলভ, অ–দেশপ্রেমিক এবং আমাদের সৈন্যদের ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। এটি আমাদের সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিকরণ।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ওক’ (সামাজিক নানা ইস্যুতে সোচ্চার লোকদের ব্যঙ্গ করে বলা হয়) জেনারেল এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে ‘আপত্তিকরভাবে প্রত্যাহারের জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের বরখাস্ত করার কথা বলেছিলেন। তবে গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ব্রাউনকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি জেনারেল চার্লস সি. কিউ. ব্রাউনকে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সেবা করা, বিশেষ করে বর্তমানে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ হিসেবে তাঁর সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি একজন সৎ ভদ্রলোক এবং অসাধারণ নেতা। আমি তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য একটি দারুণ ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
এদিকে পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অবশ্য ব্রাউনের যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ বাতিল করার মতো একটি বিস্তৃত এজেন্ডা নিয়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর সর্বশেষ বইতে হেগসেথ প্রশ্ন তোলেন, ব্রাউন যদি কালো না হতেন, তাহলে কি এই চাকরি পেতেন?
হেগসেথ লিখেছেন, ‘এটা কি তাঁর ত্বকের রঙের কারণে? নাকি তাঁর দক্ষতার কারণে? আমরা কখনই জানব না, কিন্তু সব সময় সন্দেহ থাকবে—যা সি. কিউ.–এর প্রতি অবিচার বলে মনে হয়। কিন্তু যেহেতু তিনি জাতিগত কার্ড তাঁর অন্যতম প্রধান পরিচয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাই এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়।’
ব্রাউন সাবেক ফাইটার পাইলট। তিনি মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় কমান্ড করেছেন। ২০২০ সালে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওতে সামরিক বাহিনীতে বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। ট্রাম্প বরখাস্তের আদেশ দেওয়ার সময় ব্রাউন সরকারি সফরে ছিলেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই অ্যাডমিরাল লিন্ডা ফাগানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের প্রধান থেকে বরখাস্ত করেন। লিন্ডা ছিলেন প্রথম নারী কমান্ডিং অফিসার। গত মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন সাবেক আর্মি জেনারেল এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিল করেন। এ ছাড়া, পেন্টাগনের দেয়াল থেকে তাঁর প্রতিকৃতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন মিলি। ২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময় চার–তারকা জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়ার পর ট্রাম্পের অন্যতম সমালোচক হয়ে ওঠেন। মৃত্যুর হুমকিও পান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কাকে আর্মি, নেভি এবং এয়ার ফোর্সের নতুন জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে বেছে নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বইতে হেগসেথ সামরিক আইনজীবীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, খারাপ লোকদের শাস্তি দেওয়ার চেয়ে তাঁরা আমাদের সৈন্যদের বিচারের জন্য বেশি সময় ব্যয় করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ, এয়ার ফোর্স জেনারেল সি. কিউ. ব্রাউনকে গতকাল শুক্রবার বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের শীর্ষস্থানীয় পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকেও সরিয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতৃত্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে জানান, তিনি ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করবেন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রাজিন’ কেইনকে।
এটি ঐতিহ্য ভঙ্গ করা একটা সিদ্ধান্ত, কারণ কেইনকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদে বসানো হচ্ছে।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটিকেও সরিয়ে দিচ্ছেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া, এয়ার ফোর্সের ভাইস চিফ অব স্টাফ এবং আর্মি, নেভি ও এয়ার ফোর্সের জজ অ্যাডভোকেট জেনারেলদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পদগুলো সামরিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত পেন্টাগনে একটি অস্থির সময়ের সূচনা করল, যেখানে ইতিমধ্যেই বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপক বরখাস্ত, বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং ট্রাম্পের নতুন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বৈদেশিক নীতির অধীনে সামরিক বাহিনী ব্যাপক পরিবর্তনের প্রস্তুতি চলছে।
বেসামরিক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মধারী সদস্যদের রাজনীতিমুক্ত রাখা হয়। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের নীতিই পেন্টাগন বাস্তবায়ন করে।
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
গত নভেম্বরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ব্রাউনের বরখাস্তের কথাও ছিল।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। রোড আইল্যান্ডের সিনেটর জ্যাক রিড, যিনি সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট, তিনি বলেছেন, ‘সামরিক নেতৃত্বের রাজনৈতিক আনুগত্য পরীক্ষা অথবা বর্ণ ভেদে বৈচিত্র্য ও লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে বরখাস্ত করা, কোনোভাবেই কর্মদক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের সৈন্যদের আস্থা এবং পেশাদারিকে ক্ষুণ্ন করে।’
ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট রিপ্রেজেনটেটিভ সেথ মোল্টন বলেন, ‘এ ধরনের বরখাস্ত “অ–আমেরিকা সুলভ, অ–দেশপ্রেমিক এবং আমাদের সৈন্যদের ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। এটি আমাদের সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিকরণ।’
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ওক’ (সামাজিক নানা ইস্যুতে সোচ্চার লোকদের ব্যঙ্গ করে বলা হয়) জেনারেল এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে ‘আপত্তিকরভাবে প্রত্যাহারের জন্য দায়ী’ ব্যক্তিদের বরখাস্ত করার কথা বলেছিলেন। তবে গতকাল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ব্রাউনকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি জেনারেল চার্লস সি. কিউ. ব্রাউনকে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সেবা করা, বিশেষ করে বর্তমানে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ হিসেবে তাঁর সেবার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি একজন সৎ ভদ্রলোক এবং অসাধারণ নেতা। আমি তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য একটি দারুণ ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
এদিকে পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অবশ্য ব্রাউনের যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। সামরিক বাহিনীতে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ বাতিল করার মতো একটি বিস্তৃত এজেন্ডা নিয়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর সর্বশেষ বইতে হেগসেথ প্রশ্ন তোলেন, ব্রাউন যদি কালো না হতেন, তাহলে কি এই চাকরি পেতেন?
হেগসেথ লিখেছেন, ‘এটা কি তাঁর ত্বকের রঙের কারণে? নাকি তাঁর দক্ষতার কারণে? আমরা কখনই জানব না, কিন্তু সব সময় সন্দেহ থাকবে—যা সি. কিউ.–এর প্রতি অবিচার বলে মনে হয়। কিন্তু যেহেতু তিনি জাতিগত কার্ড তাঁর অন্যতম প্রধান পরিচয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাই এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়।’
ব্রাউন সাবেক ফাইটার পাইলট। তিনি মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় কমান্ড করেছেন। ২০২০ সালে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওতে সামরিক বাহিনীতে বৈষম্যের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। ট্রাম্প বরখাস্তের আদেশ দেওয়ার সময় ব্রাউন সরকারি সফরে ছিলেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনই অ্যাডমিরাল লিন্ডা ফাগানকে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের প্রধান থেকে বরখাস্ত করেন। লিন্ডা ছিলেন প্রথম নারী কমান্ডিং অফিসার। গত মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন সাবেক আর্মি জেনারেল এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্ক মিলির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দল এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বাতিল করেন। এ ছাড়া, পেন্টাগনের দেয়াল থেকে তাঁর প্রতিকৃতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিছু সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন মিলি। ২০২৩ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময় চার–তারকা জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়ার পর ট্রাম্পের অন্যতম সমালোচক হয়ে ওঠেন। মৃত্যুর হুমকিও পান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কাকে আর্মি, নেভি এবং এয়ার ফোর্সের নতুন জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে বেছে নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৪ সালে প্রকাশিত বইতে হেগসেথ সামরিক আইনজীবীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, খারাপ লোকদের শাস্তি দেওয়ার চেয়ে তাঁরা আমাদের সৈন্যদের বিচারের জন্য বেশি সময় ব্যয় করেন।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ ব্রাউন হলেন দ্বিতীয় আফ্রিকান–আমেরিকান, যিনি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হয়েছিলেন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সিনেটে তাঁর উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে