
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার সম্ভব কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই।’ এ সময় তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে তিরস্কার করে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনীহা দেখানোর অভিযোগ তোলেন। জেলেনস্কি নির্ধারিত সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যান।
পরে ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের চেয়েও বড় কিছু। কিয়েভের জন্য ওয়াশিংটনের সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, কারণ রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অনেক কম এবং দুর্বল। ট্রাম্পের পছন্দের চ্যানেল হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হয়ে যাবে।’
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক তীব্র বাদানুবাদে রূপ নেয়। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সেখানে উপস্থিত ছিল। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ওয়াশিংটনের সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন জেলেনস্কি, কিন্তু বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল অফিসের এই বৈঠককে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পক্ষ না নেয়। তিন বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি হোয়াইট হাউস ছাড়েন জেলেনস্কি।
ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন। এতে ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকালীন মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জেলেনস্কিকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।’
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়নে এক যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছিল। কিন্তু বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি এবং এটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
হোয়াইট হাউসের ঘটনার পর ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত জেলেনস্কির সমর্থনে এগিয়ে আসেন। জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রেডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘এই ভয়াবহ যুদ্ধে কখনোই আগ্রাসী ও ভুক্তভোগীকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কি বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের এক কর্মকর্তা।
এদিকে, আগামীকাল রোববার ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করতে ব্রিটেন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির একটি বৈঠকের আয়োজন করবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছেন, যা ইউরোপসহ ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের বিস্মিত করেছে এবং ইউক্রেনকে আরও দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাটি তার অবস্থান বদলের সবচেয়ে প্রকাশ্য উদাহরণ।
বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার পর উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এ সময় জেলেনস্কি হাত গুটিয়ে পাল্টা যুক্তি দেন, পুতিনকে বিশ্বাস করা যায় না এবং ভ্যান্স কখনোই ইউক্রেন সফর করেননি।
এ সময় জেলেনস্কি বলেন, ‘কোন কূটনীতির কথা বলছেন, জেডি?’ জবাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এমন এক কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশের ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে পারে।’
জেলেনস্কি ট্রাম্পের রাশিয়াবান্ধব অবস্থানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘একজন হত্যাকারীর সঙ্গে কোনো আপস করবেন না।’
ট্রাম্পের শিবির পরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘আমেরিকানদের পক্ষ নিচ্ছিলেন’ এবং বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমেরিকা জড়িত থাকলে হয়তো প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। তাই তিনি যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন আসতে পারেন।’
পরে হোয়াইট হাউস থেকে ফ্লোরিডায় ছুটিতে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলেনস্কিকে বুঝতে হবে যে তিনি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন। তিনি যদি বলেন, আমি শান্তি চাই, তাহলে ভালো হবে। তাঁকে বারবার “পুতিন এই, পুতিন সেই” বলে নেতিবাচক কিছু বলা বন্ধ করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প তাঁর দুই শীর্ষ সহকারীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন জেলেনস্কিকে চলে যেতে হবে, যদিও তখনো প্রতিনিধিদলের জন্য মধ্যাহ্নভোজ প্রস্তুত করা হচ্ছিল। ইউক্রেনীয় পক্ষ বৈঠক চালিয়ে যেতে চাইলেও তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা চলে যেতে পারে।
এই বিরোধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে পরিকল্পিত খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। যার বিনিময়ে ইউক্রেন চেয়েছিল, যেন ট্রাম্প তাদের যুদ্ধে সমর্থন দেন এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে নতুন সাহায্য অনুমোদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আপাতত খনিজ চুক্তি নিয়ে আর আলোচনা করতে চান না।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন, যেন তিনি ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেন, যদিও তিনি সেখানে মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি নন। ট্রাম্প বরং হুমকি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে সমর্থন সরিয়ে নেবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা হয় চুক্তি করবেন, নয়তো আমরা সরে যাব এবং তখন আপনাদের যা হওয়ার তাই হবে। আমি মনে করি না, এটা ভালো কিছু হবে।’ ট্রাম্প বলেন, পুতিন শান্তিচুক্তি করতে চান এবং ভ্যান্সও জানান, ওভাল অফিসে এসে জেলেনস্কির কৌশল নিয়ে তর্ক করা অসম্মানজনক। এ সময় জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি (আমেরিকানদের) কখনো ধন্যবাদ দেননি।’ উত্তরে জেলেনস্কি গলা চড়িয়ে বলেন, ‘আমি বহুবার আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
জেলেনস্কি বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নৈতিক সমর্থন পেয়েছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প তাঁর প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন। ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধের অবসান চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান এবং ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থের হিসাব কষতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই, ইতিহাস আমাকে শান্তিদূত হিসেবে মনে রাখুক।’
বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ করা এবং অর্থ অন্য কাজে ব্যয় করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়ালেও এখনো বহিরাগত সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, পাশাপাশি বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে জনবল সংকটের মুখে রয়েছে।
২০২২ সালে কিয়েভের উপকণ্ঠ থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে এবং বিশাল এলাকা পুনর্দখল করেছিল ইউক্রেন, তবে রাশিয়া এখনো তাদের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখলে রেখেছে এবং ২০২৩ সালের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণের পর থেকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তাঁকে ‘একনায়ক’ বলেছেন এবং তাঁকে খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন, যদিও পরে তিনি ‘একনায়ক’ মন্তব্য সংশোধন করে নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার সম্ভব কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই।’ এ সময় তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে তিরস্কার করে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনীহা দেখানোর অভিযোগ তোলেন। জেলেনস্কি নির্ধারিত সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যান।
পরে ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের চেয়েও বড় কিছু। কিয়েভের জন্য ওয়াশিংটনের সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, কারণ রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অনেক কম এবং দুর্বল। ট্রাম্পের পছন্দের চ্যানেল হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হয়ে যাবে।’
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক তীব্র বাদানুবাদে রূপ নেয়। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সেখানে উপস্থিত ছিল। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ওয়াশিংটনের সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন জেলেনস্কি, কিন্তু বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল অফিসের এই বৈঠককে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পক্ষ না নেয়। তিন বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি হোয়াইট হাউস ছাড়েন জেলেনস্কি।
ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন। এতে ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকালীন মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জেলেনস্কিকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।’
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়নে এক যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছিল। কিন্তু বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি এবং এটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
হোয়াইট হাউসের ঘটনার পর ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত জেলেনস্কির সমর্থনে এগিয়ে আসেন। জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রেডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘এই ভয়াবহ যুদ্ধে কখনোই আগ্রাসী ও ভুক্তভোগীকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কি বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের এক কর্মকর্তা।
এদিকে, আগামীকাল রোববার ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করতে ব্রিটেন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির একটি বৈঠকের আয়োজন করবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছেন, যা ইউরোপসহ ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের বিস্মিত করেছে এবং ইউক্রেনকে আরও দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাটি তার অবস্থান বদলের সবচেয়ে প্রকাশ্য উদাহরণ।
বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার পর উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এ সময় জেলেনস্কি হাত গুটিয়ে পাল্টা যুক্তি দেন, পুতিনকে বিশ্বাস করা যায় না এবং ভ্যান্স কখনোই ইউক্রেন সফর করেননি।
এ সময় জেলেনস্কি বলেন, ‘কোন কূটনীতির কথা বলছেন, জেডি?’ জবাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এমন এক কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশের ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে পারে।’
জেলেনস্কি ট্রাম্পের রাশিয়াবান্ধব অবস্থানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘একজন হত্যাকারীর সঙ্গে কোনো আপস করবেন না।’
ট্রাম্পের শিবির পরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘আমেরিকানদের পক্ষ নিচ্ছিলেন’ এবং বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমেরিকা জড়িত থাকলে হয়তো প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। তাই তিনি যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন আসতে পারেন।’
পরে হোয়াইট হাউস থেকে ফ্লোরিডায় ছুটিতে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলেনস্কিকে বুঝতে হবে যে তিনি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন। তিনি যদি বলেন, আমি শান্তি চাই, তাহলে ভালো হবে। তাঁকে বারবার “পুতিন এই, পুতিন সেই” বলে নেতিবাচক কিছু বলা বন্ধ করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প তাঁর দুই শীর্ষ সহকারীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন জেলেনস্কিকে চলে যেতে হবে, যদিও তখনো প্রতিনিধিদলের জন্য মধ্যাহ্নভোজ প্রস্তুত করা হচ্ছিল। ইউক্রেনীয় পক্ষ বৈঠক চালিয়ে যেতে চাইলেও তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা চলে যেতে পারে।
এই বিরোধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে পরিকল্পিত খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। যার বিনিময়ে ইউক্রেন চেয়েছিল, যেন ট্রাম্প তাদের যুদ্ধে সমর্থন দেন এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে নতুন সাহায্য অনুমোদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আপাতত খনিজ চুক্তি নিয়ে আর আলোচনা করতে চান না।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন, যেন তিনি ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেন, যদিও তিনি সেখানে মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি নন। ট্রাম্প বরং হুমকি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে সমর্থন সরিয়ে নেবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা হয় চুক্তি করবেন, নয়তো আমরা সরে যাব এবং তখন আপনাদের যা হওয়ার তাই হবে। আমি মনে করি না, এটা ভালো কিছু হবে।’ ট্রাম্প বলেন, পুতিন শান্তিচুক্তি করতে চান এবং ভ্যান্সও জানান, ওভাল অফিসে এসে জেলেনস্কির কৌশল নিয়ে তর্ক করা অসম্মানজনক। এ সময় জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি (আমেরিকানদের) কখনো ধন্যবাদ দেননি।’ উত্তরে জেলেনস্কি গলা চড়িয়ে বলেন, ‘আমি বহুবার আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
জেলেনস্কি বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নৈতিক সমর্থন পেয়েছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প তাঁর প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন। ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধের অবসান চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান এবং ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থের হিসাব কষতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই, ইতিহাস আমাকে শান্তিদূত হিসেবে মনে রাখুক।’
বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ করা এবং অর্থ অন্য কাজে ব্যয় করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়ালেও এখনো বহিরাগত সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, পাশাপাশি বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে জনবল সংকটের মুখে রয়েছে।
২০২২ সালে কিয়েভের উপকণ্ঠ থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে এবং বিশাল এলাকা পুনর্দখল করেছিল ইউক্রেন, তবে রাশিয়া এখনো তাদের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখলে রেখেছে এবং ২০২৩ সালের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণের পর থেকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তাঁকে ‘একনায়ক’ বলেছেন এবং তাঁকে খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন, যদিও পরে তিনি ‘একনায়ক’ মন্তব্য সংশোধন করে নেন।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
২১ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইংরেজি নববর্ষের (২০২৬) প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একীভূত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিং থেকে প্রচারিত ভাষণে সি বলেছেন, মাতৃভূমির পুনর্মিলন সময়ের দাবি এবং এটি একটি অপ্রতিরোধ্য ধারা, যা কেউ থামাতে পারবে না।
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পর সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি চিন পিংয়ের ভাষণের আগে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধের অনুকরণে এই মহড়া চালায় পিএলএ। এতে চীনা নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্ট গার্ড অংশ নেয়।
এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯টি যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নেয়। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রেকর্ড ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদেই বেইজিং এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে দেওয়া ভাষণে সি বলেন, চীন ‘খোলা বাহুতে বিশ্বকে আলিঙ্গন করছে’। তিনি এ বছর বেইজিংয়ে আয়োজিত কয়েকটি বহুপক্ষীয় সম্মেলনের কথাও তুলে ধরেন। এর মধ্যে আগস্টে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন সামিটের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ বিশ্বনেতারা অংশ নেন। সম্মেলনটি বেইজিংয়ের কাছের বন্দরনগরী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হয়।
সির ভাষণের সময় চীনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে গত সেপ্টেম্বরের বিশাল সামরিক প্যারেডের দৃশ্য দেখানো হয়, যেখানে সি চিন পিংয়ের পাশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা এই জোটকে ‘অ্যাক্সিস অব আপহিভ্যাল’ বা অস্থিরতার অক্ষ হিসেবে অভিহিত করছেন।
ভাষণে সি চিন পিং ‘তাইওয়ান রেট্রোসেশন ডে’ বা তাইওয়ান প্রত্যাবর্তন (২৫ অক্টোবর) দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ১৯৪৫ সালের এই দিনেই তাইওয়ানে জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয়। তবে চীন এখন এ দিনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে।
সির ভাষণে চীনের উচ্চপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরা হয়। তিনি কিকবক্সিং রোবট এবং মে মাসে উৎক্ষেপণ করা ধূমকেতু অনুসন্ধান মিশন ‘তিয়ানওয়েন-২’-এর কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি ভিডিও গেম ব্ল্যাক মিথ: উকং এবং অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘নে ঝা ২’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে চীনা সংস্কৃতির জয়গান করেন।

ইংরেজি নববর্ষের (২০২৬) প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একীভূত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিং থেকে প্রচারিত ভাষণে সি বলেছেন, মাতৃভূমির পুনর্মিলন সময়ের দাবি এবং এটি একটি অপ্রতিরোধ্য ধারা, যা কেউ থামাতে পারবে না।
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পর সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি চিন পিংয়ের ভাষণের আগে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধের অনুকরণে এই মহড়া চালায় পিএলএ। এতে চীনা নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্ট গার্ড অংশ নেয়।
এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯টি যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নেয়। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রেকর্ড ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদেই বেইজিং এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে দেওয়া ভাষণে সি বলেন, চীন ‘খোলা বাহুতে বিশ্বকে আলিঙ্গন করছে’। তিনি এ বছর বেইজিংয়ে আয়োজিত কয়েকটি বহুপক্ষীয় সম্মেলনের কথাও তুলে ধরেন। এর মধ্যে আগস্টে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন সামিটের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ বিশ্বনেতারা অংশ নেন। সম্মেলনটি বেইজিংয়ের কাছের বন্দরনগরী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হয়।
সির ভাষণের সময় চীনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে গত সেপ্টেম্বরের বিশাল সামরিক প্যারেডের দৃশ্য দেখানো হয়, যেখানে সি চিন পিংয়ের পাশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা এই জোটকে ‘অ্যাক্সিস অব আপহিভ্যাল’ বা অস্থিরতার অক্ষ হিসেবে অভিহিত করছেন।
ভাষণে সি চিন পিং ‘তাইওয়ান রেট্রোসেশন ডে’ বা তাইওয়ান প্রত্যাবর্তন (২৫ অক্টোবর) দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ১৯৪৫ সালের এই দিনেই তাইওয়ানে জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয়। তবে চীন এখন এ দিনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে।
সির ভাষণে চীনের উচ্চপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরা হয়। তিনি কিকবক্সিং রোবট এবং মে মাসে উৎক্ষেপণ করা ধূমকেতু অনুসন্ধান মিশন ‘তিয়ানওয়েন-২’-এর কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি ভিডিও গেম ব্ল্যাক মিথ: উকং এবং অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘নে ঝা ২’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে চীনা সংস্কৃতির জয়গান করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়...
০১ মার্চ ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কয়েক মাস ধরে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাঁর বাম হাতের পেছনেও একই ধরনের দাগ লক্ষ করা গেছে। হোয়াইট হাউস এর আগে ডান হাতের দাগের কারণ হিসেবে ‘অতিরিক্ত করমর্দন’ ও নিয়মিত ‘অ্যাসপিরিন’ সেবনের কথা বলেছিল। তবে এই নতুন দাগ হোয়াইট হাউসের আগের ব্যাখ্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, নতুন এই দাগ নিয়ে তাৎক্ষণিক উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তাঁদের মতে, এটি বয়সজনিত সাধারণ একটি অবস্থা হতে পারে। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অনিচ্ছুক থাকায় বিষয়টি নিয়ে যে নজরদারি চলছে, তা আরও বাড়তে পারে।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফাইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেফ্রি লিন্ডার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, তাঁরা কৌতূহলের এই চক্রটাকেই আরও উসকে দিচ্ছেন। তিনি সব সময় মানুষের সামনে যান, তাঁর একটা ভাবমূর্তি আছে। এমন ছোট বিষয়ও সেই ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিষয়টি তাঁর জন্য সংবেদনশীল। কারণ, তিনি প্রায়ই নিজের কর্মশক্তি ও উদ্যমের কথা বলেন।
গত বছরের নির্বাচনের আগে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ও মানসিক-শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উসকে দিয়েছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী বাইডেনকে তিনি এখনো তুলনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, বাইডেন এটা করতে পারতেন?’
তবে তুলনামূলকভাবে ব্যস্ত সূচি বজায় রাখলেও ট্রাম্প নিজেও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রশ্ন এড়াতে পারেননি। গ্রীষ্মকালে তাঁর পা ফুলে যাওয়ার ছবি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ নামে একধরনের শিরার রোগে আক্রান্ত। এটি সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের বাঁ হাতের দাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস নতুন কোনো ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণের মানুষ। তিনি প্রতিদিন ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করেন ও হাত মেলান।
কিন্তু একাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু ডানহাতি, তাই বাঁ হাতের দাগ কেবল হাত মেলানোর কারণেই হয়েছে—এমন সম্ভাবনা কম। তবে হ্যাঁ, বয়স ও অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে এমন দাগ দেখা দিতে পারে।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জোনাথন রাইনার বলেন, কখনো কখনো সামান্য আঘাত বা কোথাও ধাক্কা লাগলেও এমন দাগ হতে পারে।
রাইনার জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে কখনো পরীক্ষা করেননি। তবে তিনি বলেন, অ্যাসপিরিনের চেয়ে শক্তিশালী ওষুধ সেবনকারীদের মধ্যেও এমন দাগ দেখা যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ট্রাম্প কি তাঁর সব ওষুধের তথ্য প্রকাশ করেছেন?
রাইনার অবশ্য বলেছেন, এমন ওষুধ সেবন করা খুবই সাধারণ এবং এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি অফিসে থাকাকালে বাইডেনের ‘ইলিকুইস’ নামে রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহারের তথ্য প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন।
রাইনার বলেন, এখন প্রশ্নটা চিকিৎসার চেয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে বেশি। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের ওষুধসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত নজরদারির সমালোচনাই বেশি করে।
এদিকে হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে থেকে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ ছিল। তিনি সেটি ভারী মেকআপ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকতে শুরু করলে এবং ক্যামেরা থেকে আড়াল করতে অন্য হাত ব্যবহার করলে বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে।
ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি রোগের তথ্য জানানোর সময়ই হোয়াইট হাউস ডান হাতের দাগের প্রসঙ্গ তোলে। সে সময় তাঁর চিকিৎসকের চিঠিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি সব দিক থেকে সুস্থ আছেন।
গত এপ্রিলে করা শারীরিক পরীক্ষার পর অক্টোবরে হঠাৎ আবার ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে যান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস তখন এটিকে ‘রুটিন’ পরীক্ষা বললেও পরে ট্রাম্প নিজেই জানান, তাঁর এমআরআই করা হয়েছিল। শুরুতে তিনি বলেন, ফলাফল ‘ভালো’, তবে কোন অংশের স্ক্যান হয়েছে—তা তিনি জানেন না বলে জানান। এই অস্পষ্টতায় নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
কয়েক সপ্তাহ পর ট্রাম্পের চিকিৎসক শন বারবাবেলা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও পেটের অংশের ইমেজিং করা হয়েছে এবং ফলাফল ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’। তিনি বলেন, এই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন পরীক্ষা উপকারী।
তবে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক রাইনার তখন বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা সাধারণ নিয়ম নয় এবং এটি সম্ভবত কোনো চিকিৎসাজনিত উদ্বেগ থেকেই করা হয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
গত মাসে ওভাল অফিসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু এমন দাবি নাকচ করে হোয়াইট হাউস একে ‘ভিত্তিহীন গল্প’ বলে উড়িয়ে দেয়। পরে এটি নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন ছাপা হলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে চলতি মাসে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তাঁকে আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন দেখা যায়।
এখন বাঁ হাতের দাগের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেনশিয়াল ইতিহাসবিদ টিমোথি নাফতালি বলেন, প্রেসিডেন্ট তরুণ নন। যখন শক্তির ভাবমূর্তি অতিরিক্তভাবে তুলে ধরা হয়, তখন সামান্য দুর্বলতাও বড় হয়ে ধরা দেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কয়েক মাস ধরে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ দেখা গেলেও সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাঁর বাম হাতের পেছনেও একই ধরনের দাগ লক্ষ করা গেছে। হোয়াইট হাউস এর আগে ডান হাতের দাগের কারণ হিসেবে ‘অতিরিক্ত করমর্দন’ ও নিয়মিত ‘অ্যাসপিরিন’ সেবনের কথা বলেছিল। তবে এই নতুন দাগ হোয়াইট হাউসের আগের ব্যাখ্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, নতুন এই দাগ নিয়ে তাৎক্ষণিক উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তাঁদের মতে, এটি বয়সজনিত সাধারণ একটি অবস্থা হতে পারে। তবে তাঁরা সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অনিচ্ছুক থাকায় বিষয়টি নিয়ে যে নজরদারি চলছে, তা আরও বাড়তে পারে।
নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফাইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জেফ্রি লিন্ডার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, তাঁরা কৌতূহলের এই চক্রটাকেই আরও উসকে দিচ্ছেন। তিনি সব সময় মানুষের সামনে যান, তাঁর একটা ভাবমূর্তি আছে। এমন ছোট বিষয়ও সেই ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। বিষয়টি তাঁর জন্য সংবেদনশীল। কারণ, তিনি প্রায়ই নিজের কর্মশক্তি ও উদ্যমের কথা বলেন।
গত বছরের নির্বাচনের আগে তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স ও মানসিক-শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ উসকে দিয়েছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী বাইডেনকে তিনি এখনো তুলনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, বাইডেন এটা করতে পারতেন?’
তবে তুলনামূলকভাবে ব্যস্ত সূচি বজায় রাখলেও ট্রাম্প নিজেও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত প্রশ্ন এড়াতে পারেননি। গ্রীষ্মকালে তাঁর পা ফুলে যাওয়ার ছবি প্রকাশের পর হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ নামে একধরনের শিরার রোগে আক্রান্ত। এটি সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের বাঁ হাতের দাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউস নতুন কোনো ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণের মানুষ। তিনি প্রতিদিন ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করেন ও হাত মেলান।
কিন্তু একাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ সিএনএনকে বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু ডানহাতি, তাই বাঁ হাতের দাগ কেবল হাত মেলানোর কারণেই হয়েছে—এমন সম্ভাবনা কম। তবে হ্যাঁ, বয়স ও অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে এমন দাগ দেখা দিতে পারে।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জোনাথন রাইনার বলেন, কখনো কখনো সামান্য আঘাত বা কোথাও ধাক্কা লাগলেও এমন দাগ হতে পারে।
রাইনার জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে কখনো পরীক্ষা করেননি। তবে তিনি বলেন, অ্যাসপিরিনের চেয়ে শক্তিশালী ওষুধ সেবনকারীদের মধ্যেও এমন দাগ দেখা যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ট্রাম্প কি তাঁর সব ওষুধের তথ্য প্রকাশ করেছেন?
রাইনার অবশ্য বলেছেন, এমন ওষুধ সেবন করা খুবই সাধারণ এবং এটি বড় কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি অফিসে থাকাকালে বাইডেনের ‘ইলিকুইস’ নামে রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহারের তথ্য প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন।
রাইনার বলেন, এখন প্রশ্নটা চিকিৎসার চেয়ে স্বচ্ছতা নিয়ে বেশি। হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের ওষুধসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত নজরদারির সমালোচনাই বেশি করে।
এদিকে হোয়াইট হাউসে ফেরার আগে থেকে ট্রাম্পের ডান হাতে কালশিটে দাগ ছিল। তিনি সেটি ভারী মেকআপ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢাকতে শুরু করলে এবং ক্যামেরা থেকে আড়াল করতে অন্য হাত ব্যবহার করলে বিষয়টি আরও আলোচনায় আসে।
ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি রোগের তথ্য জানানোর সময়ই হোয়াইট হাউস ডান হাতের দাগের প্রসঙ্গ তোলে। সে সময় তাঁর চিকিৎসকের চিঠিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি সব দিক থেকে সুস্থ আছেন।
গত এপ্রিলে করা শারীরিক পরীক্ষার পর অক্টোবরে হঠাৎ আবার ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে যান ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস তখন এটিকে ‘রুটিন’ পরীক্ষা বললেও পরে ট্রাম্প নিজেই জানান, তাঁর এমআরআই করা হয়েছিল। শুরুতে তিনি বলেন, ফলাফল ‘ভালো’, তবে কোন অংশের স্ক্যান হয়েছে—তা তিনি জানেন না বলে জানান। এই অস্পষ্টতায় নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
কয়েক সপ্তাহ পর ট্রাম্পের চিকিৎসক শন বারবাবেলা জানান, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও পেটের অংশের ইমেজিং করা হয়েছে এবং ফলাফল ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’। তিনি বলেন, এই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন পরীক্ষা উপকারী।
তবে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক রাইনার তখন বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা সাধারণ নিয়ম নয় এবং এটি সম্ভবত কোনো চিকিৎসাজনিত উদ্বেগ থেকেই করা হয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন।
গত মাসে ওভাল অফিসের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু এমন দাবি নাকচ করে হোয়াইট হাউস একে ‘ভিত্তিহীন গল্প’ বলে উড়িয়ে দেয়। পরে এটি নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন ছাপা হলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে চলতি মাসে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তাঁকে আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন দেখা যায়।
এখন বাঁ হাতের দাগের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেনশিয়াল ইতিহাসবিদ টিমোথি নাফতালি বলেন, প্রেসিডেন্ট তরুণ নন। যখন শক্তির ভাবমূর্তি অতিরিক্তভাবে তুলে ধরা হয়, তখন সামান্য দুর্বলতাও বড় হয়ে ধরা দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়...
০১ মার্চ ২০২৫
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
২১ মিনিট আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাবালক হওয়ার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব (খতনা) পালন করতে গিয়ে গত দুই মাসে অন্তত ৪১ জন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত তরুণদের অধিকাংশই খতনাপরবর্তী সংক্রমণ ও ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪১ তরুণের মৃত্যুর পেছনে স্কুলগুলোর চরম অবহেলা ও অভিভাবকদের অসচেতনতাই দায়ী। তিনি জানান, যেসব স্কুলে খতনার অনুষ্ঠান হয়, তারা অনেক সময় তরুণদের পানি পান করতে বাধা দেয়। তাদের ধারণা, পানি না খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাবে। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে এটি মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন অনুযায়ী, যেসব স্কুলে খতনা করানো হয়, তাদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেশটিতে প্রচুর অবৈধ স্কুল গড়ে উঠেছে, যেখানে ১৬ বছরের নিচেও খতনা করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর অধিকাংশ মৃত্যু এসব অনিবন্ধিত স্কুলেই ঘটেছে। এ ছাড়া অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজ নেন না বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও তদারকি করেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশকে এই মৃত্যুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২১ জন তরুণ মারা গেছে। এ ছাড়া ফ্রি স্টেট প্রদেশে ১৩ জন এবং অন্যান্য এলাকায় আরও সাতজনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
মন্ত্রী ভেলেনকোসিনি হ্লাবিসা আরও জানান, অবৈধ স্কুলগুলোতে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সংক্রমণের শিকার হয়ে আরও প্রায় ২০০ জন তরুণ বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আফ্রিকান সংস্কৃতিতে ছেলেদের ঘর থেকে দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো অস্ত্রোপচার ছাড়াই ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খতনা। উৎসব শেষে তরুণেরা যখন বাড়ি ফেরে, তখন বড় ধরনের উদ্যাপন করা হয়। তবে প্রতিবছরই এই ‘ম্যানহুড’ বা পুরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় শত শত তরুণ পঙ্গুত্ববরণ করে কিংবা প্রাণ হারায়।
তবে দেশটির সরকার এবার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব অংশীদারকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন ডাকা হবে, যাতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়...
০১ মার্চ ২০২৫
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
২১ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়...
০১ মার্চ ২০২৫
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
২১ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
২ ঘণ্টা আগে