আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর নতুন দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও অর্থ না পেলে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে পারত না কিংবা ইয়েমেনে বারবার বিমান হামলা চালাতেও সক্ষম হতো না। এই বিশ্লেষণকে সমর্থন করেছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞও। তাঁদের মতে, গাজা এবং পুরো অঞ্চলে ইসরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারত না যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ও কূটনৈতিক সহায়তা ছাড়া।
মধ্যপ্রাচ্য কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ফেলো ওমর এইচ রহমান আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজা কিংবা অঞ্চলের অন্য কোথাও যুদ্ধ চালাতে পারত না। এ সহায়তা সব দিক থেকেই অপরিহার্য।’
শুধু গাজাতেই ইসরায়েলের হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ১৬০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অগণিত মানুষ চাপা পড়ে আছে। এ ছাড়া ইয়েমেনে বিমান হামলায় ইসরায়েল কয়েক শ মানুষকে হত্যা করেছে। গত জুনে ইরানে হামলায় নিহত হয় হাজারের বেশি মানুষ।
দুই বছর আগে হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। বন্দী হন দুই শতাধিক। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজা ধ্বংস করে দেয়। একই সঙ্গে অঞ্চলের যেকোনো বিরোধী শক্তিকে লক্ষ্য করে বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু করে। তারা পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে হামলা বাড়ায়, লেবাননে ৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করে দেয়। লেবানন ও সিরিয়ার ভূমি দখল করে। দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বোমা মারে এবং ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইয়েমেনের হুতিদের সঙ্গেও সংঘাতে নামে। গবেষকেরা বলছেন, এসব যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইসরায়েলের স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রয়োজন হয়েছিল।
‘ইউএস মিলিটারি এইড অ্যান্ড আর্মস ট্রান্সফার্স টু ইসরায়েল, অক্টোবর ২০২৩–সেপ্টেম্বর ২০২৫’ শিরোনামের প্রতিবেদনে কুইন্সি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক উইলিয়াম ডি হার্টাং লিখেছেন, ‘বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিপুল ব্যয় বিবেচনায় পরিষ্কার, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, অস্ত্র আর রাজনৈতিক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কিংবা অন্যত্র সামরিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে, তা সম্ভব হতো না।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’ ও কুইন্সি ইনস্টিটিউট। কুইন্সি নিজেদের পরিচয় দেয় এমন এক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, যারা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে অবিরাম যুদ্ধ থেকে কূটনীতি ও সংযমের দিকে নিয়ে যেতে চায়। হার্টাংয়ের প্রতিবেদন এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের বাজেট বিশেষজ্ঞ লিন্ডা জে বিলমেসের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা এবং অঞ্চলে নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ডে মোট ৩১ দশমিক ৩৫ থেকে ৩৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
এতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল একাধিক ফ্রন্টে দুই বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। বিশ্লেষকেরাও এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। ওমর এইচ রহমান বলেন, ‘ইসরায়েল যা কিছু ঘটিয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ছাড়া সম্ভব নয়। ইসরায়েল বিপুল পরিমাণ বোমা ফেলেছে। কিছু অস্ত্র তারা নিজেরা বানালেও বোমা তৈরি করে না। তাই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া তাদের এসব ফেলার উপায় নেই।’
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি সাহায্যের ক্ষেত্রে ইসরায়েল সবচেয়ে বড় বার্ষিক প্রাপক (প্রায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) এবং সবচেয়ে বড় মোট প্রাপকও (২০২২ পর্যন্ত ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি)। প্রশাসন বদলালেও এই সমর্থনে পরিবর্তন আসেনি। হার্টাংয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছেন। এসব অস্ত্র ও সেবা আগামী বছরগুলোতে টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করা হবে।
ওমর এইচ রহমান বলেন, ‘এটাই হলো আসল চিত্র—একটি দেশ যেটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে আসছে, তাকে গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্ব কোনো প্রশ্ন ছাড়াই সমর্থন দিয়েছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রবাহ ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে যখন গবেষকেরা গণহত্যা বলছেন, তখন মার্কিন জনগণের বড় অংশ ইসরায়েলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন। আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যেও এ বিরূপতা বাড়ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপ অনুযায়ী, ১০ জনের মধ্যে চারজন ইহুদি বিশ্বাস করেন, ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। ৬০ শতাংশের বেশি মনে করেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল।
বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রবণতা ভবিষ্যতে মার্কিন রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির নির্বাহী সহসভাপতি ম্যাট ডাস বলেন, ‘কিছু সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়তো ভাবছেন, বিষয়টি তাঁদের মোকাবিলা করতে হবে না। কিন্তু তারা ভুল করছেন। ২০২৮ সালের নির্বাচনে কোনো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এড়িয়ে যেতে পারবে না যে, বাইডেন প্রশাসন গণহত্যা ঘটিয়েছে এবং এতে সহায়তা করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচকেরা বলছেন, এই বিপুল অর্থসাহায্যের কারণে সাধারণ আমেরিকানরা হতাশ। কারণ, তাঁদের করের টাকা ইসরায়েলের যুদ্ধে ব্যয় হচ্ছে। ম্যাট ডাস বলেন, ‘বাজেট আসলে অগ্রাধিকার নির্ধারণের বিষয়। অথচ আমেরিকানদের সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা সবচেয়ে দুর্বল। তবু ইসরায়েলের যুদ্ধে সহায়তা দিতে বিলিয়ন ডলার বের করা হয়। যে কেউ পারিবারিক বাজেট বোঝে, সে বুঝতে পারবে, বিষয়টি কতটা অন্তঃসারশূন্য।’
তিনি যোগ করেন, ‘এ শুধু ইসরায়েলের স্বার্থ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শিল্প জটিলতার স্বার্থও বটে। কারণ এই সহায়তার বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো পাচ্ছে। তারা বিপুল মুনাফা করছে, হাতিয়ে নিচ্ছে অস্ত্র বিক্রির বাজার।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর নতুন দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও অর্থ না পেলে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে পারত না কিংবা ইয়েমেনে বারবার বিমান হামলা চালাতেও সক্ষম হতো না। এই বিশ্লেষণকে সমর্থন করেছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞও। তাঁদের মতে, গাজা এবং পুরো অঞ্চলে ইসরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারত না যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ও কূটনৈতিক সহায়তা ছাড়া।
মধ্যপ্রাচ্য কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ফেলো ওমর এইচ রহমান আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজা কিংবা অঞ্চলের অন্য কোথাও যুদ্ধ চালাতে পারত না। এ সহায়তা সব দিক থেকেই অপরিহার্য।’
শুধু গাজাতেই ইসরায়েলের হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ১৬০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অগণিত মানুষ চাপা পড়ে আছে। এ ছাড়া ইয়েমেনে বিমান হামলায় ইসরায়েল কয়েক শ মানুষকে হত্যা করেছে। গত জুনে ইরানে হামলায় নিহত হয় হাজারের বেশি মানুষ।
দুই বছর আগে হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। বন্দী হন দুই শতাধিক। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজা ধ্বংস করে দেয়। একই সঙ্গে অঞ্চলের যেকোনো বিরোধী শক্তিকে লক্ষ্য করে বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু করে। তারা পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে হামলা বাড়ায়, লেবাননে ৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করে দেয়। লেবানন ও সিরিয়ার ভূমি দখল করে। দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বোমা মারে এবং ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইয়েমেনের হুতিদের সঙ্গেও সংঘাতে নামে। গবেষকেরা বলছেন, এসব যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইসরায়েলের স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রয়োজন হয়েছিল।
‘ইউএস মিলিটারি এইড অ্যান্ড আর্মস ট্রান্সফার্স টু ইসরায়েল, অক্টোবর ২০২৩–সেপ্টেম্বর ২০২৫’ শিরোনামের প্রতিবেদনে কুইন্সি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক উইলিয়াম ডি হার্টাং লিখেছেন, ‘বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিপুল ব্যয় বিবেচনায় পরিষ্কার, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, অস্ত্র আর রাজনৈতিক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কিংবা অন্যত্র সামরিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে, তা সম্ভব হতো না।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’ ও কুইন্সি ইনস্টিটিউট। কুইন্সি নিজেদের পরিচয় দেয় এমন এক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, যারা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে অবিরাম যুদ্ধ থেকে কূটনীতি ও সংযমের দিকে নিয়ে যেতে চায়। হার্টাংয়ের প্রতিবেদন এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের বাজেট বিশেষজ্ঞ লিন্ডা জে বিলমেসের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা এবং অঞ্চলে নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ডে মোট ৩১ দশমিক ৩৫ থেকে ৩৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
এতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল একাধিক ফ্রন্টে দুই বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। বিশ্লেষকেরাও এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। ওমর এইচ রহমান বলেন, ‘ইসরায়েল যা কিছু ঘটিয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ছাড়া সম্ভব নয়। ইসরায়েল বিপুল পরিমাণ বোমা ফেলেছে। কিছু অস্ত্র তারা নিজেরা বানালেও বোমা তৈরি করে না। তাই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া তাদের এসব ফেলার উপায় নেই।’
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি সাহায্যের ক্ষেত্রে ইসরায়েল সবচেয়ে বড় বার্ষিক প্রাপক (প্রায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) এবং সবচেয়ে বড় মোট প্রাপকও (২০২২ পর্যন্ত ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি)। প্রশাসন বদলালেও এই সমর্থনে পরিবর্তন আসেনি। হার্টাংয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছেন। এসব অস্ত্র ও সেবা আগামী বছরগুলোতে টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করা হবে।
ওমর এইচ রহমান বলেন, ‘এটাই হলো আসল চিত্র—একটি দেশ যেটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে আসছে, তাকে গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্ব কোনো প্রশ্ন ছাড়াই সমর্থন দিয়েছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রবাহ ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে যখন গবেষকেরা গণহত্যা বলছেন, তখন মার্কিন জনগণের বড় অংশ ইসরায়েলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন। আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যেও এ বিরূপতা বাড়ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপ অনুযায়ী, ১০ জনের মধ্যে চারজন ইহুদি বিশ্বাস করেন, ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। ৬০ শতাংশের বেশি মনে করেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল।
বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রবণতা ভবিষ্যতে মার্কিন রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির নির্বাহী সহসভাপতি ম্যাট ডাস বলেন, ‘কিছু সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়তো ভাবছেন, বিষয়টি তাঁদের মোকাবিলা করতে হবে না। কিন্তু তারা ভুল করছেন। ২০২৮ সালের নির্বাচনে কোনো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এড়িয়ে যেতে পারবে না যে, বাইডেন প্রশাসন গণহত্যা ঘটিয়েছে এবং এতে সহায়তা করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচকেরা বলছেন, এই বিপুল অর্থসাহায্যের কারণে সাধারণ আমেরিকানরা হতাশ। কারণ, তাঁদের করের টাকা ইসরায়েলের যুদ্ধে ব্যয় হচ্ছে। ম্যাট ডাস বলেন, ‘বাজেট আসলে অগ্রাধিকার নির্ধারণের বিষয়। অথচ আমেরিকানদের সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা সবচেয়ে দুর্বল। তবু ইসরায়েলের যুদ্ধে সহায়তা দিতে বিলিয়ন ডলার বের করা হয়। যে কেউ পারিবারিক বাজেট বোঝে, সে বুঝতে পারবে, বিষয়টি কতটা অন্তঃসারশূন্য।’
তিনি যোগ করেন, ‘এ শুধু ইসরায়েলের স্বার্থ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শিল্প জটিলতার স্বার্থও বটে। কারণ এই সহায়তার বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো পাচ্ছে। তারা বিপুল মুনাফা করছে, হাতিয়ে নিচ্ছে অস্ত্র বিক্রির বাজার।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর নতুন দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও অর্থ না পেলে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে পারত না কিংবা ইয়েমেনে বারবার বিমান হামলা চালাতেও সক্ষম হতো না। এই বিশ্লেষণকে সমর্থন করেছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞও। তাঁদের মতে, গাজা এবং পুরো অঞ্চলে ইসরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারত না যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ও কূটনৈতিক সহায়তা ছাড়া।
মধ্যপ্রাচ্য কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ফেলো ওমর এইচ রহমান আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজা কিংবা অঞ্চলের অন্য কোথাও যুদ্ধ চালাতে পারত না। এ সহায়তা সব দিক থেকেই অপরিহার্য।’
শুধু গাজাতেই ইসরায়েলের হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ১৬০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অগণিত মানুষ চাপা পড়ে আছে। এ ছাড়া ইয়েমেনে বিমান হামলায় ইসরায়েল কয়েক শ মানুষকে হত্যা করেছে। গত জুনে ইরানে হামলায় নিহত হয় হাজারের বেশি মানুষ।
দুই বছর আগে হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। বন্দী হন দুই শতাধিক। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজা ধ্বংস করে দেয়। একই সঙ্গে অঞ্চলের যেকোনো বিরোধী শক্তিকে লক্ষ্য করে বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু করে। তারা পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে হামলা বাড়ায়, লেবাননে ৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করে দেয়। লেবানন ও সিরিয়ার ভূমি দখল করে। দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বোমা মারে এবং ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইয়েমেনের হুতিদের সঙ্গেও সংঘাতে নামে। গবেষকেরা বলছেন, এসব যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইসরায়েলের স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রয়োজন হয়েছিল।
‘ইউএস মিলিটারি এইড অ্যান্ড আর্মস ট্রান্সফার্স টু ইসরায়েল, অক্টোবর ২০২৩–সেপ্টেম্বর ২০২৫’ শিরোনামের প্রতিবেদনে কুইন্সি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক উইলিয়াম ডি হার্টাং লিখেছেন, ‘বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিপুল ব্যয় বিবেচনায় পরিষ্কার, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, অস্ত্র আর রাজনৈতিক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কিংবা অন্যত্র সামরিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে, তা সম্ভব হতো না।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’ ও কুইন্সি ইনস্টিটিউট। কুইন্সি নিজেদের পরিচয় দেয় এমন এক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, যারা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে অবিরাম যুদ্ধ থেকে কূটনীতি ও সংযমের দিকে নিয়ে যেতে চায়। হার্টাংয়ের প্রতিবেদন এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের বাজেট বিশেষজ্ঞ লিন্ডা জে বিলমেসের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা এবং অঞ্চলে নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ডে মোট ৩১ দশমিক ৩৫ থেকে ৩৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
এতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল একাধিক ফ্রন্টে দুই বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। বিশ্লেষকেরাও এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। ওমর এইচ রহমান বলেন, ‘ইসরায়েল যা কিছু ঘটিয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ছাড়া সম্ভব নয়। ইসরায়েল বিপুল পরিমাণ বোমা ফেলেছে। কিছু অস্ত্র তারা নিজেরা বানালেও বোমা তৈরি করে না। তাই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া তাদের এসব ফেলার উপায় নেই।’
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি সাহায্যের ক্ষেত্রে ইসরায়েল সবচেয়ে বড় বার্ষিক প্রাপক (প্রায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) এবং সবচেয়ে বড় মোট প্রাপকও (২০২২ পর্যন্ত ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি)। প্রশাসন বদলালেও এই সমর্থনে পরিবর্তন আসেনি। হার্টাংয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছেন। এসব অস্ত্র ও সেবা আগামী বছরগুলোতে টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করা হবে।
ওমর এইচ রহমান বলেন, ‘এটাই হলো আসল চিত্র—একটি দেশ যেটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে আসছে, তাকে গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্ব কোনো প্রশ্ন ছাড়াই সমর্থন দিয়েছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রবাহ ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে যখন গবেষকেরা গণহত্যা বলছেন, তখন মার্কিন জনগণের বড় অংশ ইসরায়েলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন। আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যেও এ বিরূপতা বাড়ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপ অনুযায়ী, ১০ জনের মধ্যে চারজন ইহুদি বিশ্বাস করেন, ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। ৬০ শতাংশের বেশি মনে করেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল।
বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রবণতা ভবিষ্যতে মার্কিন রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির নির্বাহী সহসভাপতি ম্যাট ডাস বলেন, ‘কিছু সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়তো ভাবছেন, বিষয়টি তাঁদের মোকাবিলা করতে হবে না। কিন্তু তারা ভুল করছেন। ২০২৮ সালের নির্বাচনে কোনো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এড়িয়ে যেতে পারবে না যে, বাইডেন প্রশাসন গণহত্যা ঘটিয়েছে এবং এতে সহায়তা করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচকেরা বলছেন, এই বিপুল অর্থসাহায্যের কারণে সাধারণ আমেরিকানরা হতাশ। কারণ, তাঁদের করের টাকা ইসরায়েলের যুদ্ধে ব্যয় হচ্ছে। ম্যাট ডাস বলেন, ‘বাজেট আসলে অগ্রাধিকার নির্ধারণের বিষয়। অথচ আমেরিকানদের সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা সবচেয়ে দুর্বল। তবু ইসরায়েলের যুদ্ধে সহায়তা দিতে বিলিয়ন ডলার বের করা হয়। যে কেউ পারিবারিক বাজেট বোঝে, সে বুঝতে পারবে, বিষয়টি কতটা অন্তঃসারশূন্য।’
তিনি যোগ করেন, ‘এ শুধু ইসরায়েলের স্বার্থ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শিল্প জটিলতার স্বার্থও বটে। কারণ এই সহায়তার বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো পাচ্ছে। তারা বিপুল মুনাফা করছে, হাতিয়ে নিচ্ছে অস্ত্র বিক্রির বাজার।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর নতুন দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও অর্থ না পেলে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যার যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করতে পারত না কিংবা ইয়েমেনে বারবার বিমান হামলা চালাতেও সক্ষম হতো না। এই বিশ্লেষণকে সমর্থন করেছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞও। তাঁদের মতে, গাজা এবং পুরো অঞ্চলে ইসরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে পারত না যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ও কূটনৈতিক সহায়তা ছাড়া।
মধ্যপ্রাচ্য কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ফেলো ওমর এইচ রহমান আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজা কিংবা অঞ্চলের অন্য কোথাও যুদ্ধ চালাতে পারত না। এ সহায়তা সব দিক থেকেই অপরিহার্য।’
শুধু গাজাতেই ইসরায়েলের হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ১৬০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অগণিত মানুষ চাপা পড়ে আছে। এ ছাড়া ইয়েমেনে বিমান হামলায় ইসরায়েল কয়েক শ মানুষকে হত্যা করেছে। গত জুনে ইরানে হামলায় নিহত হয় হাজারের বেশি মানুষ।
দুই বছর আগে হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। বন্দী হন দুই শতাধিক। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজা ধ্বংস করে দেয়। একই সঙ্গে অঞ্চলের যেকোনো বিরোধী শক্তিকে লক্ষ্য করে বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু করে। তারা পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে হামলা বাড়ায়, লেবাননে ৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করে দেয়। লেবানন ও সিরিয়ার ভূমি দখল করে। দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বোমা মারে এবং ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ইয়েমেনের হুতিদের সঙ্গেও সংঘাতে নামে। গবেষকেরা বলছেন, এসব যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইসরায়েলের স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রয়োজন হয়েছিল।
‘ইউএস মিলিটারি এইড অ্যান্ড আর্মস ট্রান্সফার্স টু ইসরায়েল, অক্টোবর ২০২৩–সেপ্টেম্বর ২০২৫’ শিরোনামের প্রতিবেদনে কুইন্সি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র গবেষক উইলিয়াম ডি হার্টাং লিখেছেন, ‘বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিপুল ব্যয় বিবেচনায় পরিষ্কার, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, অস্ত্র আর রাজনৈতিক সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কিংবা অন্যত্র সামরিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে, তা সম্ভব হতো না।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’ ও কুইন্সি ইনস্টিটিউট। কুইন্সি নিজেদের পরিচয় দেয় এমন এক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, যারা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে অবিরাম যুদ্ধ থেকে কূটনীতি ও সংযমের দিকে নিয়ে যেতে চায়। হার্টাংয়ের প্রতিবেদন এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের বাজেট বিশেষজ্ঞ লিন্ডা জে বিলমেসের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা এবং অঞ্চলে নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ডে মোট ৩১ দশমিক ৩৫ থেকে ৩৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
এতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইসরায়েল একাধিক ফ্রন্টে দুই বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। বিশ্লেষকেরাও এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। ওমর এইচ রহমান বলেন, ‘ইসরায়েল যা কিছু ঘটিয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ছাড়া সম্ভব নয়। ইসরায়েল বিপুল পরিমাণ বোমা ফেলেছে। কিছু অস্ত্র তারা নিজেরা বানালেও বোমা তৈরি করে না। তাই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া তাদের এসব ফেলার উপায় নেই।’
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি সাহায্যের ক্ষেত্রে ইসরায়েল সবচেয়ে বড় বার্ষিক প্রাপক (প্রায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) এবং সবচেয়ে বড় মোট প্রাপকও (২০২২ পর্যন্ত ১৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি)। প্রশাসন বদলালেও এই সমর্থনে পরিবর্তন আসেনি। হার্টাংয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনই বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছেন। এসব অস্ত্র ও সেবা আগামী বছরগুলোতে টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করা হবে।
ওমর এইচ রহমান বলেন, ‘এটাই হলো আসল চিত্র—একটি দেশ যেটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে আসছে, তাকে গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্ব কোনো প্রশ্ন ছাড়াই সমর্থন দিয়েছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রবাহ ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে যখন গবেষকেরা গণহত্যা বলছেন, তখন মার্কিন জনগণের বড় অংশ ইসরায়েলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন। আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যেও এ বিরূপতা বাড়ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপ অনুযায়ী, ১০ জনের মধ্যে চারজন ইহুদি বিশ্বাস করেন, ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। ৬০ শতাংশের বেশি মনে করেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল।
বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রবণতা ভবিষ্যতে মার্কিন রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির নির্বাহী সহসভাপতি ম্যাট ডাস বলেন, ‘কিছু সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়তো ভাবছেন, বিষয়টি তাঁদের মোকাবিলা করতে হবে না। কিন্তু তারা ভুল করছেন। ২০২৮ সালের নির্বাচনে কোনো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এড়িয়ে যেতে পারবে না যে, বাইডেন প্রশাসন গণহত্যা ঘটিয়েছে এবং এতে সহায়তা করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচকেরা বলছেন, এই বিপুল অর্থসাহায্যের কারণে সাধারণ আমেরিকানরা হতাশ। কারণ, তাঁদের করের টাকা ইসরায়েলের যুদ্ধে ব্যয় হচ্ছে। ম্যাট ডাস বলেন, ‘বাজেট আসলে অগ্রাধিকার নির্ধারণের বিষয়। অথচ আমেরিকানদের সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা সবচেয়ে দুর্বল। তবু ইসরায়েলের যুদ্ধে সহায়তা দিতে বিলিয়ন ডলার বের করা হয়। যে কেউ পারিবারিক বাজেট বোঝে, সে বুঝতে পারবে, বিষয়টি কতটা অন্তঃসারশূন্য।’
তিনি যোগ করেন, ‘এ শুধু ইসরায়েলের স্বার্থ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শিল্প জটিলতার স্বার্থও বটে। কারণ এই সহায়তার বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো পাচ্ছে। তারা বিপুল মুনাফা করছে, হাতিয়ে নিচ্ছে অস্ত্র বিক্রির বাজার।’

তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৩৩ মিনিট আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর নতুন দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
০৭ অক্টোবর ২০২৫
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী যখন খেলায় মত্ত, তখন তিনি বন্দী ছিলেন অন্ধকারে। ছয় বছর বয়সে ঘরবন্দী হওয়া লিসা ২০ বছর পর সেই দরজা পেরিয়ে বাইরে এলেও আলো দেখার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।
কিছু গল্প ক্ষতের মতো করে উন্মোচিত হয়। কিছু শৈশব যেন কোনোদিনই শুরু হয় না। লিসার জীবন তেমনই এক গল্প। নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া এক শৈশবের, পরিস্থিতিতে মুছে যাওয়া এক শিশুর এবং এক নারীর।
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও ছিল শুধু অন্ধকার।
ছায়াই ছিল তাঁর পরিচয়। কথোপকথন বলতে ছিল শুধু দরজার নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া থালাবাটির শব্দ। দুই দশক ধরে বন্দিদশার পর এখন তিনি নিজের নামে সাড়া দিতেও হিমশিম খান।
লিসার বন্দিত্ব শুরু হয়েছিল না লোহার শিক দিয়ে, না শিকল দিয়ে—শুরু হয়েছিল আতঙ্ক দিয়ে।
২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। সেই কথায় আতঙ্ক এত গভীর হয়, তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন নীরবতায়। এরই মধ্যে মারা যান তাঁর মা। কৃষক বাবা হয়ে পড়েন দুর্বল ও আতঙ্কিত। কোনো সহায়তা নেই, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, কারও কাছে ভরসা চাওয়ার নেই। তাই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা মেয়ের জীবনের পরবর্তী ২০ বছর নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি মেয়েকে মাটির ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বলেন, অন্ধকারই তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। জানালাবিহীন একটি ঘরই হয়ে ওঠে তাঁর পৃথিবী। না সূর্যের আলো। না কোনো কথা। না কোনো মানুষের স্পর্শ।
শুধু দরজায় রেখে যাওয়া এক প্লেট খাবার আর প্রতিদিন একটু একটু করে সংকুচিত হয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিধ্বনি।
যে ব্যবস্থা তাঁকে রক্ষা করবে ভাবা হয়েছিল, তা-ই শেষমেশ তাঁকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের দল যখন কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় এক নারীকে, যাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক আলো থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে লিসার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁর মানসিক বিকাশও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। আচরণ বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সী শিশুর মতো। প্রতিটি শব্দে ভয় পান। যেকোনো স্পর্শে চমকে ওঠেন।
উদ্ধারের পর লিসাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লিসার শৈশব থেমে যায় প্রবল ট্রমায় আর প্রাপ্তবয়স্ক জীবন গঠিত হয়েছে ইন্দ্রিয়ের বঞ্চনায়।
সমাজকল্যাণ দপ্তর পুরো ঘটনায় এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষ লিসার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে—কেন তিনি ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন এবং এই বন্দিত্ব আইনবহির্ভূত আটক হিসেবে বিবেচিত হবে কি না।
জেলার প্রশাসন কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে, লিসার বাবা কি ভয়ে ও অজ্ঞতার কারণে স্কুল, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাননি?
লিসা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে আছেন, যেখানে সেবাকর্মী ও কাউন্সেলররা তাঁকে নতুন করে জীবন খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

পৃথিবী যখন খেলায় মত্ত, তখন তিনি বন্দী ছিলেন অন্ধকারে। ছয় বছর বয়সে ঘরবন্দী হওয়া লিসা ২০ বছর পর সেই দরজা পেরিয়ে বাইরে এলেও আলো দেখার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।
কিছু গল্প ক্ষতের মতো করে উন্মোচিত হয়। কিছু শৈশব যেন কোনোদিনই শুরু হয় না। লিসার জীবন তেমনই এক গল্প। নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া এক শৈশবের, পরিস্থিতিতে মুছে যাওয়া এক শিশুর এবং এক নারীর।
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও ছিল শুধু অন্ধকার।
ছায়াই ছিল তাঁর পরিচয়। কথোপকথন বলতে ছিল শুধু দরজার নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া থালাবাটির শব্দ। দুই দশক ধরে বন্দিদশার পর এখন তিনি নিজের নামে সাড়া দিতেও হিমশিম খান।
লিসার বন্দিত্ব শুরু হয়েছিল না লোহার শিক দিয়ে, না শিকল দিয়ে—শুরু হয়েছিল আতঙ্ক দিয়ে।
২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। সেই কথায় আতঙ্ক এত গভীর হয়, তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন নীরবতায়। এরই মধ্যে মারা যান তাঁর মা। কৃষক বাবা হয়ে পড়েন দুর্বল ও আতঙ্কিত। কোনো সহায়তা নেই, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, কারও কাছে ভরসা চাওয়ার নেই। তাই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা মেয়ের জীবনের পরবর্তী ২০ বছর নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি মেয়েকে মাটির ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বলেন, অন্ধকারই তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। জানালাবিহীন একটি ঘরই হয়ে ওঠে তাঁর পৃথিবী। না সূর্যের আলো। না কোনো কথা। না কোনো মানুষের স্পর্শ।
শুধু দরজায় রেখে যাওয়া এক প্লেট খাবার আর প্রতিদিন একটু একটু করে সংকুচিত হয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিধ্বনি।
যে ব্যবস্থা তাঁকে রক্ষা করবে ভাবা হয়েছিল, তা-ই শেষমেশ তাঁকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের দল যখন কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় এক নারীকে, যাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক আলো থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে লিসার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁর মানসিক বিকাশও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। আচরণ বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সী শিশুর মতো। প্রতিটি শব্দে ভয় পান। যেকোনো স্পর্শে চমকে ওঠেন।
উদ্ধারের পর লিসাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লিসার শৈশব থেমে যায় প্রবল ট্রমায় আর প্রাপ্তবয়স্ক জীবন গঠিত হয়েছে ইন্দ্রিয়ের বঞ্চনায়।
সমাজকল্যাণ দপ্তর পুরো ঘটনায় এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষ লিসার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে—কেন তিনি ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন এবং এই বন্দিত্ব আইনবহির্ভূত আটক হিসেবে বিবেচিত হবে কি না।
জেলার প্রশাসন কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে, লিসার বাবা কি ভয়ে ও অজ্ঞতার কারণে স্কুল, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাননি?
লিসা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে আছেন, যেখানে সেবাকর্মী ও কাউন্সেলররা তাঁকে নতুন করে জীবন খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর নতুন দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
০৭ অক্টোবর ২০২৫
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৩৩ মিনিট আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছে, দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে আছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এক যাত্রী ইন্ডিগোর এই ব্যর্থতাকে ‘মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে এনডিটিভিকে জানান, বারো ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে। প্রতিবার তারা বলছেন এক ঘণ্টা দেরি, দু–ঘণ্টা দেরি। আমরা একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের মালপত্র পর্যন্ত হাতে নেই। ইন্ডিগোর কর্মীরা আমাদের কিছু বলছেন না। এই মুহূর্তে এটি সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা। আমি বুঝি না কেন তারা নতুন যাত্রী নিচ্ছে আর মালপত্র জমিয়ে রাখছেন।’
আরেক যাত্রী জানালেন যে তিনি গতকাল দুপুর থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তারা বারবার ফ্লাইট পিছিয়ে দিচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট খবর পাচ্ছি না।’ আরেক যাত্রী বলেন, ‘খুবই মানসিক চাপের বিষয় এটা। চৌদ্দ ঘণ্টা ধরে আমি বিমানবন্দরে বসে আছি। খাবার বা অন্য কিছুর জন্য কোনো কুপন নেই। আমার কানেকটিং ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন, কিন্তু কর্মীরা কোনো স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন না। এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কর্মীদের বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন। কারণ তাদের কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। একদল যাত্রী প্রতিবাদস্বরূপ একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ফ্লাইট গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা ছিল। আমি আমার সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছাই। আমাদের বলা হয়েছিল যে ফ্লাইট সময়মতো চলবে। এখন আমরা এখানে বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আছি। ইন্ডিগো আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি। তারা শুধু বলে চলেছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি হচ্ছে। আমাদের কোনো স্পষ্ট খবর, খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। ইন্ডিগোর সাড়া একেবারেই যাচ্ছেতাই। এখানে বয়স্ক মানুষ আছেন, যাদের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে, তাদের জন্য কোনো সমাধান নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
গোয়া বিমানবন্দরে একদল যাত্রী হতাশায় ভেঙে পড়েন। এক ভিডিওতে দেখা যায় তারা ইন্ডিগোর কর্মীদের লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বহু পুলিশ কর্মীকেও সেখানে দেখা যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। সেখানে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) ইন্ডিগোর যাত্রীদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে কমপক্ষে ঊনপঞ্চাশটি বহির্গমন ও তেতাল্লিশটি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর এই পরিচালনগত ত্রুটি আজ চতুর্থ দিনের মতো চলছে। কুড়ি বছরের পুরোনো এই বিমান সংস্থাটি ক্রু-সংকট ও প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ একাধিক কারণে পাঁচ শ পঞ্চাশটিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার রেকর্ড তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক শ চারটি, দিল্লি বিমানবন্দরে দু শ পঁচিশটি, বেঙ্গালুরুতে এক শ দু'টি এবং হায়দরাবাদে বিরানব্বইটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভূপাল বিমানবন্দরেও কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগো স্বীকার করেছে যে তারা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রু-এর প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে আন্দাজ করেছিল এবং পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, যার ফলস্বরূপ শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময়ে পর্যাপ্ত ক্রু-এর অভাব দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সময়সূচি স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে তারা আরও বিঘ্ন এড়াতে ফ্লাইট পরিচালন কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের বলেছেন যে পরিচালন স্বাভাবিক করা এবং সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ‘সহজ লক্ষ্য হবে না।’ বিমান সংস্থাটি গত রাতে তাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে নতুন করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গত দুই দিন ধরে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক এবং পরিচালন ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সব গ্রাহক এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তারা আরও যোগ করেছে, ‘ইন্ডিগো এই বিলম্বের প্রভাব কমাতে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে ও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছে, দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে আছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এক যাত্রী ইন্ডিগোর এই ব্যর্থতাকে ‘মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে এনডিটিভিকে জানান, বারো ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে। প্রতিবার তারা বলছেন এক ঘণ্টা দেরি, দু–ঘণ্টা দেরি। আমরা একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের মালপত্র পর্যন্ত হাতে নেই। ইন্ডিগোর কর্মীরা আমাদের কিছু বলছেন না। এই মুহূর্তে এটি সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা। আমি বুঝি না কেন তারা নতুন যাত্রী নিচ্ছে আর মালপত্র জমিয়ে রাখছেন।’
আরেক যাত্রী জানালেন যে তিনি গতকাল দুপুর থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তারা বারবার ফ্লাইট পিছিয়ে দিচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট খবর পাচ্ছি না।’ আরেক যাত্রী বলেন, ‘খুবই মানসিক চাপের বিষয় এটা। চৌদ্দ ঘণ্টা ধরে আমি বিমানবন্দরে বসে আছি। খাবার বা অন্য কিছুর জন্য কোনো কুপন নেই। আমার কানেকটিং ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন, কিন্তু কর্মীরা কোনো স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন না। এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কর্মীদের বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন। কারণ তাদের কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। একদল যাত্রী প্রতিবাদস্বরূপ একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ফ্লাইট গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা ছিল। আমি আমার সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছাই। আমাদের বলা হয়েছিল যে ফ্লাইট সময়মতো চলবে। এখন আমরা এখানে বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আছি। ইন্ডিগো আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি। তারা শুধু বলে চলেছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি হচ্ছে। আমাদের কোনো স্পষ্ট খবর, খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। ইন্ডিগোর সাড়া একেবারেই যাচ্ছেতাই। এখানে বয়স্ক মানুষ আছেন, যাদের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে, তাদের জন্য কোনো সমাধান নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
গোয়া বিমানবন্দরে একদল যাত্রী হতাশায় ভেঙে পড়েন। এক ভিডিওতে দেখা যায় তারা ইন্ডিগোর কর্মীদের লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বহু পুলিশ কর্মীকেও সেখানে দেখা যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। সেখানে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) ইন্ডিগোর যাত্রীদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে কমপক্ষে ঊনপঞ্চাশটি বহির্গমন ও তেতাল্লিশটি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর এই পরিচালনগত ত্রুটি আজ চতুর্থ দিনের মতো চলছে। কুড়ি বছরের পুরোনো এই বিমান সংস্থাটি ক্রু-সংকট ও প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ একাধিক কারণে পাঁচ শ পঞ্চাশটিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার রেকর্ড তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক শ চারটি, দিল্লি বিমানবন্দরে দু শ পঁচিশটি, বেঙ্গালুরুতে এক শ দু'টি এবং হায়দরাবাদে বিরানব্বইটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভূপাল বিমানবন্দরেও কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগো স্বীকার করেছে যে তারা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রু-এর প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে আন্দাজ করেছিল এবং পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, যার ফলস্বরূপ শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময়ে পর্যাপ্ত ক্রু-এর অভাব দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সময়সূচি স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে তারা আরও বিঘ্ন এড়াতে ফ্লাইট পরিচালন কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের বলেছেন যে পরিচালন স্বাভাবিক করা এবং সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ‘সহজ লক্ষ্য হবে না।’ বিমান সংস্থাটি গত রাতে তাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে নতুন করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গত দুই দিন ধরে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক এবং পরিচালন ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সব গ্রাহক এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তারা আরও যোগ করেছে, ‘ইন্ডিগো এই বিলম্বের প্রভাব কমাতে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে ও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর নতুন দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
০৭ অক্টোবর ২০২৫
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৩৩ মিনিট আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিপুল আর্থিক সহায়তা না থাকলে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের দেওয়া সহায়তার অঙ্ক ২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’-এর নতুন দুই প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
০৭ অক্টোবর ২০২৫
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৩৩ মিনিট আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে