শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের মতো ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজার মানুষেরাও শুরু করেছেন রোজা। তবে অন্যান্য দেশ বা অঞ্চলের মানুষ যতটা উৎসাহ, উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাস নিয়ে রমজান শুরু করেছেন, শোকাহত গাজাবাসীর সেই সুযোগ ছিল না। কিন্তু তাদের বিশ্বাসের কোনো কমতি নেই। গাজাবাসীর রমজান ও বিশ্বাসের বিষয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় লিখেছেন ফিলিস্তিনি লেখিকা ইসরা আবু ক্বামার।

বিশ্বের অন্য প্রান্তে যখন মানুষ উৎসবের আবহে রমজানের রোজা ও ইবাদত শুরু করছে, তখন আমরা তা করছি শোক ও বেদনার মধ্যে। যুদ্ধের আর্তনাদ এখনো কানে বাজছে। এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে কি না, কেউ জানে না। সবাই উদ্বিগ্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে। সবারই আশঙ্কা—যদি আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়!
গত এক বছরে আমরা যা দেখেছি, যা সহ্য করেছি, তার স্মৃতি ও ট্রমা আমাদের মনকে ভারাক্রান্ত করে রেখেছে। তবে এটি প্রথম নয় যে, আমরা যুদ্ধের মধ্যে রমজান পালন করছি। ২০১৪ সালেও যুদ্ধ চলাকালে রমজান কেটেছিল। তখন আমার বয়স মাত্র ৯ বছর। তবুও স্পষ্ট মনে আছে, কীভাবে সেসময় বিমান হামলা আর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আমাদের রমজানের রাতগুলো কেটেছিল। স্পষ্ট মনে আছে, আমাদের পাড়ায় বোমা বর্ষণের সময় কীভাবে আমরা অন্ধকারের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম।
কিন্তু গত বছরের রমজান ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেটা ছিল অকল্পনীয়ভাবে ভয়াবহ। চারপাশে শুধুই ক্ষুধা। সারা দিন উপবাস থেকে ইফতার করতাম এক ক্যান হামুস বা মটরশুঁটি দিয়ে। এইটুকু খাবারও খেতাম ছয়জন মিলে ভাগ করে। বিদ্যুৎ না থাকায় সেই বিস্বাদ টিনজাত খাবার অন্ধকারে চিবিয়ে খেতাম। টেবিলের ওপারে থাকা পরিবারের সদস্যদের মুখও দেখতে পেতাম না।
আমরা আমাদের আত্মীয়স্বজনদের থেকেও দূরে ছিলাম। যাদের সঙ্গে আগে রমজান কাটাতাম—আমার দাদি, খালা, ফুফু, চাচাতো-খালাতো ভাইবোনরা—সবাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়েছিল। কেউ আশ্রয়শিবিরের তাঁবুতে, কেউ আটকে ছিল উত্তরে। যে মাসটি একত্রিত হওয়ার, তা আমাদের জন্য হয়ে উঠেছিল বিচ্ছিন্নতা ও নিঃসঙ্গতার মাস।
আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল রমজানের আনন্দময় আবহ। আমরা ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষা করতাম মাগরিবের আজানের জন্য, ফজরের আজানের জন্য—কিন্তু সেই ডাক কখনো শোনা যেত না। সব মসজিদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যারা আজান দিতে চেয়েছিল, তারাও ভয় পেয়েছিল। ভয় ছিল, তাদের কণ্ঠস্বর হয়তো বোমার নিশানা বানিয়ে দেবে, তারা হয়তো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
কাছের মসজিদের লাউডস্পিকারে মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ শোনার বদলে আমরা ইফতার করতাম ক্ষেপণাস্ত্রের বিকট আওয়াজ আর গোলাগুলির শব্দে। যুদ্ধের আগে, ইফতারের পর পরিবারের সঙ্গে মসজিদে যেতাম নামাজ পড়তে, আপনজনদের সঙ্গে দেখা করতে। তারপর গাজার রাস্তায় ঘুরে বেড়াতাম, রমজানের প্রাণবন্ত পরিবেশ উপভোগ করতাম, শেষে বাড়ি ফিরে তাজা কাতায়েফ খেতাম। কিন্তু গত বছর, গণহত্যার মধ্যে, আমাদের কোথাও যাওয়ার উপায় ছিল না।
গাজার সবচেয়ে সুন্দর ও ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর একটি—গ্রেট ওমরি মসজিদ, যেখানে আমার বাবা ও ভাইয়েরা রমজানের শেষ দশ রাত কাটাতেন, যেখানে কোরআন তিলাওয়াত হতো সুমধুর কণ্ঠে—সেটাও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল। যে স্থান একসময় ছিল ইবাদত ও শান্তির প্রতীক, তা পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে।
এ বছরের রমজান শুরু হচ্ছে যুদ্ধবিরতির মধ্যে। ইফতারের সময় আর বোমার আঘাতে জমিন কাঁপে না। ফজরের নীরবতা ভেঙে আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় না। এখন অন্তত এই ভয় নেই যে, ঘর সাজানোর রঙিন বাতি ঘরগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে দেবে।
ব্যথা আর বিপর্যয়ের মাঝেও গাজার রাস্তায় জীবন ফিরে আসার চেষ্টা করছে। যেসব দোকানপাট এখনো টিকে আছে, সেগুলো আবার খুলেছে। ফেরিওয়ালারাও ফিরে এসেছে। নুসেইরাতের বড় সুপারমার্কেট হাইপার মল আবার চালু হয়েছে। রমজানের আগে আমার বাবা আমাকে ও আমার বোনকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। আলোকিত মলে ঢুকে আমরা উচ্ছ্বাস সামলাতে পারছিলাম না। মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল, যেন আমরা অতীতে ফিরে গিয়েছি। তাকাগুলো আবার ভরে গিয়েছে—চকোলেট, বিস্কুট, চিপসের নানা ব্র্যান্ডে। ছিল রমজানের সাজসজ্জা, নানা আকৃতির ফানুস, খেজুরের বাক্স, রঙিন শুকনো ফল আর ক্বমর আল-দিন।
কিন্তু এই প্রাচুর্য বিভ্রমমাত্র। দোকানপাটে যা কিছু রয়েছে, তার বেশির ভাগই এসেছে বাণিজ্যিক ট্রাকে, যা মানবিক সাহায্যের পরিবর্তে গাজায় ঢোকার অনুমতি পেয়েছে। অথচ এসব পণ্য অধিকাংশ মানুষের সাধ্যের বাইরে—যারা তাদের জীবন ও জীবিকা হারিয়েছে।
তাহলে গাজার বেশির ভাগ মানুষ এবার ইফতারে কী খাবে? হয়তো টিনজাত খাবারের চেয়ে একটু ভালো কিছু—একটা সাধারণ খাবার, হয়তো ভাত, মোলোখিয়া বা যতটুকু সবজি তারা কিনতে পারবে।
আমাদের পরিবারের জন্য প্রথম ইফতারে থাকছে মুসাখান—পালংশাকের রুটি, মুরগি ও প্রচুর পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি এক ফিলিস্তিনি খাবার। আমরা জানি, আমরা ভাগ্যবান। গাজার বেশির ভাগ মানুষ সেই মুরগিও কিনতে পারবে না, যা এখন বাজারে পাওয়া গেলেও যুদ্ধের আগে দামের দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
কিন্তু খাবারই একমাত্র জিনিস নয়, যা এ বছরের রমজানের টেবিল থেকে হারিয়ে যাবে। যুদ্ধের এই সময়ে ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে, সরকারি তালিকা থেকে তাদের নামই মুছে গেছে। তারা আর কখনো রমজান পালন করবে না।
অসংখ্য ইফতার টেবিলে থাকবে এক শূন্য আসন—একজন বাবা, যার কণ্ঠে আর শোনা যাবে না সন্তানদের ডাক; এক ছেলে, যে আর অধীর আগ্রহে ইফতারের অপেক্ষা করবে না; এক মা, যার হাতে আর কখনো তৈরি হবে সুস্বাদু খাবার।
আমিও আমার প্রিয় মানুষদের হারিয়েছি। আমার খালার স্বামী, যিনি প্রতি বছর আমাদের ইফতারে ডাকতেন, তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার বন্ধু শাইমা, লিনা আর রোয়া—যাদের সঙ্গে আমি তারাবির নামাজের পর মসজিদে দেখা করতাম—তাঁরা সবাই শহীদ হয়েছে।
উৎসবের আমেজ হয়তো নেই, কিন্তু রমজানের মূল সত্তা টিকে আছে। এই মাস আমাদের জীবনের অন্যান্য ব্যস্ততা ও চিন্তা থেকে দূরে সরে গিয়ে ইমানের সঙ্গে সংযোগ করার সুযোগ দেয়। এটি ক্ষমার সময়। এটি আল্লাহর কাছে ঘনিষ্ঠতা ও আধ্যাত্মিক ধৈর্য খোঁজার মাস।
আমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।

বিশ্বের অন্য প্রান্তে যখন মানুষ উৎসবের আবহে রমজানের রোজা ও ইবাদত শুরু করছে, তখন আমরা তা করছি শোক ও বেদনার মধ্যে। যুদ্ধের আর্তনাদ এখনো কানে বাজছে। এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে কি না, কেউ জানে না। সবাই উদ্বিগ্ন ভবিষ্যৎ নিয়ে। সবারই আশঙ্কা—যদি আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়!
গত এক বছরে আমরা যা দেখেছি, যা সহ্য করেছি, তার স্মৃতি ও ট্রমা আমাদের মনকে ভারাক্রান্ত করে রেখেছে। তবে এটি প্রথম নয় যে, আমরা যুদ্ধের মধ্যে রমজান পালন করছি। ২০১৪ সালেও যুদ্ধ চলাকালে রমজান কেটেছিল। তখন আমার বয়স মাত্র ৯ বছর। তবুও স্পষ্ট মনে আছে, কীভাবে সেসময় বিমান হামলা আর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আমাদের রমজানের রাতগুলো কেটেছিল। স্পষ্ট মনে আছে, আমাদের পাড়ায় বোমা বর্ষণের সময় কীভাবে আমরা অন্ধকারের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম।
কিন্তু গত বছরের রমজান ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেটা ছিল অকল্পনীয়ভাবে ভয়াবহ। চারপাশে শুধুই ক্ষুধা। সারা দিন উপবাস থেকে ইফতার করতাম এক ক্যান হামুস বা মটরশুঁটি দিয়ে। এইটুকু খাবারও খেতাম ছয়জন মিলে ভাগ করে। বিদ্যুৎ না থাকায় সেই বিস্বাদ টিনজাত খাবার অন্ধকারে চিবিয়ে খেতাম। টেবিলের ওপারে থাকা পরিবারের সদস্যদের মুখও দেখতে পেতাম না।
আমরা আমাদের আত্মীয়স্বজনদের থেকেও দূরে ছিলাম। যাদের সঙ্গে আগে রমজান কাটাতাম—আমার দাদি, খালা, ফুফু, চাচাতো-খালাতো ভাইবোনরা—সবাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়েছিল। কেউ আশ্রয়শিবিরের তাঁবুতে, কেউ আটকে ছিল উত্তরে। যে মাসটি একত্রিত হওয়ার, তা আমাদের জন্য হয়ে উঠেছিল বিচ্ছিন্নতা ও নিঃসঙ্গতার মাস।
আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল রমজানের আনন্দময় আবহ। আমরা ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষা করতাম মাগরিবের আজানের জন্য, ফজরের আজানের জন্য—কিন্তু সেই ডাক কখনো শোনা যেত না। সব মসজিদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যারা আজান দিতে চেয়েছিল, তারাও ভয় পেয়েছিল। ভয় ছিল, তাদের কণ্ঠস্বর হয়তো বোমার নিশানা বানিয়ে দেবে, তারা হয়তো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
কাছের মসজিদের লাউডস্পিকারে মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ শোনার বদলে আমরা ইফতার করতাম ক্ষেপণাস্ত্রের বিকট আওয়াজ আর গোলাগুলির শব্দে। যুদ্ধের আগে, ইফতারের পর পরিবারের সঙ্গে মসজিদে যেতাম নামাজ পড়তে, আপনজনদের সঙ্গে দেখা করতে। তারপর গাজার রাস্তায় ঘুরে বেড়াতাম, রমজানের প্রাণবন্ত পরিবেশ উপভোগ করতাম, শেষে বাড়ি ফিরে তাজা কাতায়েফ খেতাম। কিন্তু গত বছর, গণহত্যার মধ্যে, আমাদের কোথাও যাওয়ার উপায় ছিল না।
গাজার সবচেয়ে সুন্দর ও ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর একটি—গ্রেট ওমরি মসজিদ, যেখানে আমার বাবা ও ভাইয়েরা রমজানের শেষ দশ রাত কাটাতেন, যেখানে কোরআন তিলাওয়াত হতো সুমধুর কণ্ঠে—সেটাও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল। যে স্থান একসময় ছিল ইবাদত ও শান্তির প্রতীক, তা পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে।
এ বছরের রমজান শুরু হচ্ছে যুদ্ধবিরতির মধ্যে। ইফতারের সময় আর বোমার আঘাতে জমিন কাঁপে না। ফজরের নীরবতা ভেঙে আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় না। এখন অন্তত এই ভয় নেই যে, ঘর সাজানোর রঙিন বাতি ঘরগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে দেবে।
ব্যথা আর বিপর্যয়ের মাঝেও গাজার রাস্তায় জীবন ফিরে আসার চেষ্টা করছে। যেসব দোকানপাট এখনো টিকে আছে, সেগুলো আবার খুলেছে। ফেরিওয়ালারাও ফিরে এসেছে। নুসেইরাতের বড় সুপারমার্কেট হাইপার মল আবার চালু হয়েছে। রমজানের আগে আমার বাবা আমাকে ও আমার বোনকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। আলোকিত মলে ঢুকে আমরা উচ্ছ্বাস সামলাতে পারছিলাম না। মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল, যেন আমরা অতীতে ফিরে গিয়েছি। তাকাগুলো আবার ভরে গিয়েছে—চকোলেট, বিস্কুট, চিপসের নানা ব্র্যান্ডে। ছিল রমজানের সাজসজ্জা, নানা আকৃতির ফানুস, খেজুরের বাক্স, রঙিন শুকনো ফল আর ক্বমর আল-দিন।
কিন্তু এই প্রাচুর্য বিভ্রমমাত্র। দোকানপাটে যা কিছু রয়েছে, তার বেশির ভাগই এসেছে বাণিজ্যিক ট্রাকে, যা মানবিক সাহায্যের পরিবর্তে গাজায় ঢোকার অনুমতি পেয়েছে। অথচ এসব পণ্য অধিকাংশ মানুষের সাধ্যের বাইরে—যারা তাদের জীবন ও জীবিকা হারিয়েছে।
তাহলে গাজার বেশির ভাগ মানুষ এবার ইফতারে কী খাবে? হয়তো টিনজাত খাবারের চেয়ে একটু ভালো কিছু—একটা সাধারণ খাবার, হয়তো ভাত, মোলোখিয়া বা যতটুকু সবজি তারা কিনতে পারবে।
আমাদের পরিবারের জন্য প্রথম ইফতারে থাকছে মুসাখান—পালংশাকের রুটি, মুরগি ও প্রচুর পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি এক ফিলিস্তিনি খাবার। আমরা জানি, আমরা ভাগ্যবান। গাজার বেশির ভাগ মানুষ সেই মুরগিও কিনতে পারবে না, যা এখন বাজারে পাওয়া গেলেও যুদ্ধের আগে দামের দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
কিন্তু খাবারই একমাত্র জিনিস নয়, যা এ বছরের রমজানের টেবিল থেকে হারিয়ে যাবে। যুদ্ধের এই সময়ে ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে, সরকারি তালিকা থেকে তাদের নামই মুছে গেছে। তারা আর কখনো রমজান পালন করবে না।
অসংখ্য ইফতার টেবিলে থাকবে এক শূন্য আসন—একজন বাবা, যার কণ্ঠে আর শোনা যাবে না সন্তানদের ডাক; এক ছেলে, যে আর অধীর আগ্রহে ইফতারের অপেক্ষা করবে না; এক মা, যার হাতে আর কখনো তৈরি হবে সুস্বাদু খাবার।
আমিও আমার প্রিয় মানুষদের হারিয়েছি। আমার খালার স্বামী, যিনি প্রতি বছর আমাদের ইফতারে ডাকতেন, তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার বন্ধু শাইমা, লিনা আর রোয়া—যাদের সঙ্গে আমি তারাবির নামাজের পর মসজিদে দেখা করতাম—তাঁরা সবাই শহীদ হয়েছে।
উৎসবের আমেজ হয়তো নেই, কিন্তু রমজানের মূল সত্তা টিকে আছে। এই মাস আমাদের জীবনের অন্যান্য ব্যস্ততা ও চিন্তা থেকে দূরে সরে গিয়ে ইমানের সঙ্গে সংযোগ করার সুযোগ দেয়। এটি ক্ষমার সময়। এটি আল্লাহর কাছে ঘনিষ্ঠতা ও আধ্যাত্মিক ধৈর্য খোঁজার মাস।
আমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
২ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

আমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।
০২ মার্চ ২০২৫
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
২ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

আমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।
০২ মার্চ ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।
০২ মার্চ ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

আমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।
০২ মার্চ ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
২ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে