মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক এক মূল্যায়নে উঠে এসেছে, ইরানের বৈজ্ঞানিকদের একটি গোপন দল তুলনামূলক কম উন্নত কিন্তু দ্রুততর পদ্ধতির মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ক্রমবর্ধমান মজুত কাজে লাগিয়ে এক বছরের বেশি সময় না নিয়ে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাচ্ছে।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু সাম্প্রতিক মূল্যায়নে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব আগের তুলনায় দুর্বল হওয়ায় দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রকে ডিটারেন্ট বা কৌশলগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখছে বলে অনেকে মনে করছেন।
মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের ধারণা, ইরানের আঞ্চলিক মিত্র হামাস ও হিজবুল্লাহ বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। অন্য দিকে, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় আশ্রয় নেওয়ায় সিরিয়ার ভেতর দিয়ে ইরানের অস্ত্র সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এ অবস্থায় ইরান সামরিক দিক থেকে আরও চাপে পড়েছে। এর মধ্যেই গত অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও পারমাণবিক অবকাঠামোর কিছু অংশে হামলা চালায়, যা দেশটির সামরিক সক্ষমতার ওপর আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নতুন গোয়েন্দা তথ্যের পর কিছু মার্কিন কর্মকর্তা মনে করছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনকে এখন জরুরি বলে বিবেচনা করছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান যতটা পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে, তা দিয়ে একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হলেও কার্যকরভাবে যুদ্ধের জন্য উপযোগী একটি ‘ওয়ারহেড’ তৈরি করা এখনো জটিল ও সময়সাপেক্ষ।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে এ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। আজ মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আলোচনায় আসতে পারে।
এদিকে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কাছে পারমাণবিক কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ তথ্য নাও থাকতে পারে। কারণ, এই কার্যক্রম মূলত ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস বা বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) পরিচালনা করে থাকে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষে। তিনি আগেও বলেছেন, ‘আশা করি, এটি এমনভাবে মীমাংসা হবে যাতে উদ্বেগের কিছু না থাকে। সত্যি বলতে, এটি আরও এগিয়ে যাওয়ার আগেই সমাধান হলে ভালো হয়।’
তবে নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে একটি সাধারণ পারমাণবিক ডিভাইস তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। যদিও এটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বহনযোগ্য নয়, বরং এটি ডিটারেন্ট বা প্রতিরোধমূলক অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহারের সম্ভাবনা বেশি।
ইরান বহুদিন ধরে দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল বেসামরিক ব্যবহারের জন্য। তবে ২০১৮ সালে ইসরায়েলের একটি অভিযানে ইরানের পারমাণবিক নথি উদ্ধারের পর দেশটির প্রকৃত অভিপ্রায় নিয়ে আরও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন গোয়েন্দা তথ্য সেই সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক এক মূল্যায়নে উঠে এসেছে, ইরানের বৈজ্ঞানিকদের একটি গোপন দল তুলনামূলক কম উন্নত কিন্তু দ্রুততর পদ্ধতির মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ক্রমবর্ধমান মজুত কাজে লাগিয়ে এক বছরের বেশি সময় না নিয়ে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাচ্ছে।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু সাম্প্রতিক মূল্যায়নে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব আগের তুলনায় দুর্বল হওয়ায় দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রকে ডিটারেন্ট বা কৌশলগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখছে বলে অনেকে মনে করছেন।
মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের ধারণা, ইরানের আঞ্চলিক মিত্র হামাস ও হিজবুল্লাহ বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। অন্য দিকে, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় আশ্রয় নেওয়ায় সিরিয়ার ভেতর দিয়ে ইরানের অস্ত্র সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এ অবস্থায় ইরান সামরিক দিক থেকে আরও চাপে পড়েছে। এর মধ্যেই গত অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও পারমাণবিক অবকাঠামোর কিছু অংশে হামলা চালায়, যা দেশটির সামরিক সক্ষমতার ওপর আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নতুন গোয়েন্দা তথ্যের পর কিছু মার্কিন কর্মকর্তা মনে করছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনকে এখন জরুরি বলে বিবেচনা করছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান যতটা পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে, তা দিয়ে একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হলেও কার্যকরভাবে যুদ্ধের জন্য উপযোগী একটি ‘ওয়ারহেড’ তৈরি করা এখনো জটিল ও সময়সাপেক্ষ।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে এ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। আজ মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আলোচনায় আসতে পারে।
এদিকে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কাছে পারমাণবিক কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ তথ্য নাও থাকতে পারে। কারণ, এই কার্যক্রম মূলত ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস বা বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) পরিচালনা করে থাকে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষে। তিনি আগেও বলেছেন, ‘আশা করি, এটি এমনভাবে মীমাংসা হবে যাতে উদ্বেগের কিছু না থাকে। সত্যি বলতে, এটি আরও এগিয়ে যাওয়ার আগেই সমাধান হলে ভালো হয়।’
তবে নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে একটি সাধারণ পারমাণবিক ডিভাইস তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। যদিও এটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বহনযোগ্য নয়, বরং এটি ডিটারেন্ট বা প্রতিরোধমূলক অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহারের সম্ভাবনা বেশি।
ইরান বহুদিন ধরে দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল বেসামরিক ব্যবহারের জন্য। তবে ২০১৮ সালে ইসরায়েলের একটি অভিযানে ইরানের পারমাণবিক নথি উদ্ধারের পর দেশটির প্রকৃত অভিপ্রায় নিয়ে আরও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন গোয়েন্দা তথ্য সেই সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। সেই প্রস্তাব তারা ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিলও। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩৩ মিনিট আগেইসরায়েলের সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুগুলো মধ্যে ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনাও ছিল। কিন্তু সেসব হামলা খুব সামান্যই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি করতে পেরেছে। আর এই ব্যর্থতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের সম্ভাব্যতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে...
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে আক্রমণ চালানোর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সংঘাতের সূচনা করে। এরপর দুদিন ইরান খুব ছোট পরিসরে জবাব দিলেও তৃতীয় দিন থেকে ইসরায়েলের ওপর যেন স্রেফ নরক নামিয়ে এনেছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র মুহুর্মুহু আঘাত হানছে ইসরায়েলি শহরগুলোতে। বেশির ভাগ বাসিন্দাকেই আশ্রয় নি
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে আক্রমণ চালানোর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সংঘাতের সূচনা করে। এরপর দুদিন ইরান খুব ছোট পরিসরে জবাব দিলেও তৃতীয় দিন থেকে ইসরায়েলের ওপর যেন স্রেফ নরক নামিয়ে এনেছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র মুহুর্মুহু আঘাত হানছে ইসরায়েলি শহরগুলোতে।
১ ঘণ্টা আগে