Ajker Patrika

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের নিবন্ধ /মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিতে চায় ইসরায়েল, পারবে কি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, ২৩: ১৮
রোববার ইসরায়েলি হামলায় তেহরানে শাহরান তেল গুদামে আগুন ও ধোঁয়া দেখছেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত
রোববার ইসরায়েলি হামলায় তেহরানে শাহরান তেল গুদামে আগুন ও ধোঁয়া দেখছেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত

এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।

ইসরায়েল নিজের খায়েশ মোতাবেক মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেওয়ার অভিযানে নেমেছে। ট্রাম্প প্রশাসনকে অনেকটা বাধ্য করছে এই নতুন বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে। ইসরায়েল চতুর্থ দিনে এসে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা আরও জোরদার করেছে। তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে অস্থিরতা ও ভূরাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস ঘটাতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।

দুঃসাহসিক গোয়েন্দা অভিযান ও তীব্র সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল কার্যত হামাস ও হিজবুল্লাহকে নিষ্ক্রিয় করেছে এবং একই সঙ্গে সিরিয়ায় আসাদ শাসনের পতন ঘটিয়েছে। এখন তারা সরাসরি তেহরানকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।

ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আড়ালে ইসরায়েল চালিয়েছে এক নজিরবিহীন হামলা। এর লক্ষ্য কেবল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া নয়, বরং দেশটির ধর্মভিত্তিক শাসনব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলা।

এই সংঘাত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত কূটনৈতিক পথের কাঁটাও। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ছিলেন। তবে সে পথে কোনো সাফল্য না আসায় এখন তিনি ইসরায়েলি হামলার প্রশংসা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘এখনই চুক্তিতে না এলে ইরানের কিছুই বাকি থাকবে না।’

মধ্যপ্রাচ্যে নাক না গলানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া ট্রাম্প এখন ইরানি পাল্টা আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গি বিমান পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ইরান যদি আমেরিকান ঘাঁটি বা পারস্য উপসাগরের জ্বালানি রপ্তানিতে বাধা দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে এখন পর্যন্ত ভয়ংকর রকমের বিস্তৃত যুদ্ধ শুরু হয়নি। ইরান ইসরায়েলের দিকে প্রচুর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, কিন্তু তেমন কোনো কার্যকর ফল আসেনি। ইসরায়েলি নেতারা এখন অবশ্যম্ভাবী বিজয়ের কথাও বলছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতাকে বদলে দিতে পারে।

শুক্রবার ইরানিদের উদ্দেশে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনাদের মুক্তির দিন এখন খুব কাছেই। সেই দিন এলে ইসরায়েলি ও ইরানিরা তাদের প্রাচীন বন্ধুত্ব পুনর্গঠন করবে। একসঙ্গে আমরা শান্তি, সমৃদ্ধি ও আশার ভবিষ্যৎ গড়ব।’

যুক্তরাষ্ট্র দেশীয় সংকট ও অন্য ভূরাজনৈতিক হুমকি নিয়ে ব্যতিব্যস্ততার মধ্যে ইসরায়েলের এই সাহসী আক্রমণ চালিয়েছে। সেটি অনেকটা মার্কিন স্বার্থের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে ইসরায়েলকে না করতে পারছেন না ট্রাম্প। আগের নির্ধারিত মার্কিন কূটনৈতিক রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে তিনি নিজস্ব বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেছেন।

ক্ষমতায় আসার আগে গাজায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেন ও ইরান সংকট মাথাচাড়া দেওয়ার পর তার মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটেছে। গাজাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বললেও তাতে আগ্রহ হারিয়েছেন। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েও থেমে গেছেন। ফলে নেতানিয়াহু সহজেই নিজের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।

ইসরায়েলের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। ইরান যে বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে এবং তার চারপাশে জোট তৈরি করেছে, তা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। তাই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করা এখন জরুরি।

গত কয়েক দিনে ইসরায়েল ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, এতে তারা ইচ্ছামতো হামলা চালাতে পারছে। তবে এখনো পর্যন্ত তারা ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো—যেমন শক্তভাবে সুরক্ষিত ফোরদৌ কেন্দ্র বা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ইউরেনিয়াম মজুত ধ্বংস করতে পারেনি।

সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথন প্যানিকফ বলেন, ইসরায়েল ও ইরান—উভয়ের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই যুদ্ধে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বেঁচে থাকে কি না তার ওপর।

রোববার দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েল ৫০ ঘণ্টায় ২৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন এখনো ইসরায়েলকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেনি—যা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বড় পরিবর্তন।

পূর্বের বাইডেন প্রশাসন হামলার মাত্রা কমাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ দিয়েছিল, যাতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমে, গাজার যুদ্ধ থামে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। ইরান ও ইসরায়েলের সরাসরি সংঘাতে বাইডেন প্রশাসন চাইত, ইসরায়েল যেন ইরানের পারমাণবিক বা জ্বালানি খাতে হামলা না করে।

এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বারবার বলেছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে ধৈর্য ধরুন, যাতে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু নেতানিয়াহু যখন তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, যে নির্ধারিত দুই মাসের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে, তখন ট্রাম্প সম্মতি দেন।

সাবেক ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল ওরেন বলেন, ‘এই যুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে ইতি টানার চেয়ে বড় ভুল আর কিছু হতে পারে না।’

তবে বড় প্রতিবন্ধকতা এখন ইসরায়েল নিজেই। ২০ মাসের যুদ্ধে ক্লান্ত জনতা, অনেককেই বারবার সেনাবাহিনীতে ডাকা হয়েছে, পরিবার ও পেশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজায় এখনো অন্তত ২০ জন জিম্মি জীবিত এবং অনেক লাশ ফেরত আনা হয়নি। সঙ্গে আছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়ে বিভক্তি। বিরোধীদের সামরিক ও নিরাপত্তা খাত থেকে সরিয়ে দেওয়া, বিচারব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে বিতর্ক ও গাজার যুদ্ধ শেষ করতে না পারাসহ ইত্যাদি কারণে দেশ বিভক্ত।

ওরেন বলেন, ব্যথা, ক্লান্তি আর অনিশ্চয়তা—এই তিনেই ইসরায়েলি সমাজ ডুবে আছে এখন।

তবে ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ইয়োহানান প্লেসনার মনে করেন, তবু এখানে বোঝাপড়াটা স্পষ্ট। এই সংঘাতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এপ্রিলের এক জরিপ বলছে, অর্ধেকের বেশি ইহুদি ইসরায়েলি ইরানের ওপর হামলার পক্ষে, এমনকি আমেরিকার সমর্থন না থাকলেও।

ইসরায়েল বহু বছর ধরে ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা ও হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। তারা ‘ঘাস কাটা’ কৌশলে হামলা করেছে, সরবরাহ বন্ধ করেছে। কিন্তু ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের আক্রমণে সেই কৌশল ব্যর্থ হয়। এরপর তারা ধারাবাহিকভাবে হামাস ও হিজবুল্লাহকে দমন করে।

এতে নিরাপত্তা মহলে নতুন উপলব্ধি আসে, ঝুঁকি নিয়ে হলেও হুমকি চিরতরে দূর করাই একমাত্র পথ। প্লেসনার বলেন, এটা কেবল মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক দফা সহিংসতা নয়। এটা অনেক বড় মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক ঘটনা। এখন কেবল ইরানই বাকি।

ইসরায়েলের লক্ষ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নয়; বরং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে তারা সীমিত লক্ষ্য নির্ধারণ করে সফল হয়। ২ মাসের মধ্যে হিজবুল্লাহ পিছু হটে। কিন্তু গাজায় এই কৌশল ছিল না। হামাসকে ধ্বংস করার ঘোষণা থাকলেও যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা ছিল না। ফলে ২০ মাস ধরে চলা অভিযানে গাজায় প্রায় ৫৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তবু যুদ্ধের শেষ নেই।

গাজার যুদ্ধ নিয়ে দেশে আস্থা কমছে। আন্তর্জাতিক সমর্থনও হ্রাস পেয়েছে। শিশুর মৃত্যু ও দুর্ভিক্ষের ছবি বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলকে একঘরে করে ফেলেছে।

তেল আবিবভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড্যানি সিট্রিনোভিচ বলেন, ইরানে প্রাথমিক সাফল্যে ইসরায়েলে যে উল্লাস দেখা যাচ্ছে, তা দ্রুত বদলে যেতে পারে যদি ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রাখে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক সাফল্য অনেক সময় কূটনৈতিকভাবে কাজে আসেনি। ১৯৮২ সালে বৈরুতে দ্রুত অগ্রসর হয়ে তারা ২০০০ সাল পর্যন্ত লেবাননে আটকে ছিল। ১৯৬৭ সালের জয়ও ১৯৭৩ সালের আকস্মিক হামলায় অনেকটাই ম্লান হয়।

এখন নেতানিয়াহুর বড় চ্যালেঞ্জ ইরানে কৌশলগত সাফল্যকে স্থায়ী কূটনৈতিক বিজয়ে রূপ দেওয়া। ইরান দুর্বল, কিন্তু এখনো একটি বড় এবং অটল প্রতিপক্ষ। নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প চান, তারা যেন এক দুর্বল অবস্থায় আলোচনায় বসে। কিন্তু ইরান না-ও বসতে পারে।

সিট্রিনোভিচ বলেন, ‘ইসরায়েলকে এখনই ভাবতে হবে, কীভাবে এই যুদ্ধের ইতি টানবে। আমাদের যুদ্ধ শুরুর আগেই ‘প্রস্থান কৌশল’ নিয়ে ভাবতে শুরু করা উচিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাপানে তুষারপাতে পিচ্ছিল রাস্তায় ৫০টি গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫১
পরপর অনেকগুলো গাড়ির সংঘর্ষের অন্তত ১০টি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত
পরপর অনেকগুলো গাড়ির সংঘর্ষের অন্তত ১০টি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।

দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগ দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান, তবে আপত্তি হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্তে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।

হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’

ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’

ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।

ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রুশ হামলায় রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
রুশ হামলায় রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।

তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।

ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে

জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।

এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’

জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।

দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন

মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।

জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুয়াতেমালায় বাস খাদে পড়ে নিহত অন্তত ১৫, আহত ১৯

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।  ছবি: সংগৃহীত
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।

দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।

আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত