আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।
ইসরায়েল নিজের খায়েশ মোতাবেক মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেওয়ার অভিযানে নেমেছে। ট্রাম্প প্রশাসনকে অনেকটা বাধ্য করছে এই নতুন বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে। ইসরায়েল চতুর্থ দিনে এসে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা আরও জোরদার করেছে। তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে অস্থিরতা ও ভূরাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস ঘটাতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।
দুঃসাহসিক গোয়েন্দা অভিযান ও তীব্র সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল কার্যত হামাস ও হিজবুল্লাহকে নিষ্ক্রিয় করেছে এবং একই সঙ্গে সিরিয়ায় আসাদ শাসনের পতন ঘটিয়েছে। এখন তারা সরাসরি তেহরানকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আড়ালে ইসরায়েল চালিয়েছে এক নজিরবিহীন হামলা। এর লক্ষ্য কেবল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া নয়, বরং দেশটির ধর্মভিত্তিক শাসনব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলা।
এই সংঘাত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত কূটনৈতিক পথের কাঁটাও। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ছিলেন। তবে সে পথে কোনো সাফল্য না আসায় এখন তিনি ইসরায়েলি হামলার প্রশংসা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘এখনই চুক্তিতে না এলে ইরানের কিছুই বাকি থাকবে না।’
মধ্যপ্রাচ্যে নাক না গলানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া ট্রাম্প এখন ইরানি পাল্টা আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গি বিমান পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ইরান যদি আমেরিকান ঘাঁটি বা পারস্য উপসাগরের জ্বালানি রপ্তানিতে বাধা দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত ভয়ংকর রকমের বিস্তৃত যুদ্ধ শুরু হয়নি। ইরান ইসরায়েলের দিকে প্রচুর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, কিন্তু তেমন কোনো কার্যকর ফল আসেনি। ইসরায়েলি নেতারা এখন অবশ্যম্ভাবী বিজয়ের কথাও বলছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতাকে বদলে দিতে পারে।
শুক্রবার ইরানিদের উদ্দেশে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনাদের মুক্তির দিন এখন খুব কাছেই। সেই দিন এলে ইসরায়েলি ও ইরানিরা তাদের প্রাচীন বন্ধুত্ব পুনর্গঠন করবে। একসঙ্গে আমরা শান্তি, সমৃদ্ধি ও আশার ভবিষ্যৎ গড়ব।’
যুক্তরাষ্ট্র দেশীয় সংকট ও অন্য ভূরাজনৈতিক হুমকি নিয়ে ব্যতিব্যস্ততার মধ্যে ইসরায়েলের এই সাহসী আক্রমণ চালিয়েছে। সেটি অনেকটা মার্কিন স্বার্থের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে ইসরায়েলকে না করতে পারছেন না ট্রাম্প। আগের নির্ধারিত মার্কিন কূটনৈতিক রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে তিনি নিজস্ব বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেছেন।
ক্ষমতায় আসার আগে গাজায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেন ও ইরান সংকট মাথাচাড়া দেওয়ার পর তার মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটেছে। গাজাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বললেও তাতে আগ্রহ হারিয়েছেন। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েও থেমে গেছেন। ফলে নেতানিয়াহু সহজেই নিজের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
ইসরায়েলের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। ইরান যে বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে এবং তার চারপাশে জোট তৈরি করেছে, তা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। তাই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করা এখন জরুরি।
গত কয়েক দিনে ইসরায়েল ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, এতে তারা ইচ্ছামতো হামলা চালাতে পারছে। তবে এখনো পর্যন্ত তারা ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো—যেমন শক্তভাবে সুরক্ষিত ফোরদৌ কেন্দ্র বা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ইউরেনিয়াম মজুত ধ্বংস করতে পারেনি।
সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথন প্যানিকফ বলেন, ইসরায়েল ও ইরান—উভয়ের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই যুদ্ধে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বেঁচে থাকে কি না তার ওপর।
রোববার দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েল ৫০ ঘণ্টায় ২৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন এখনো ইসরায়েলকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেনি—যা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বড় পরিবর্তন।
পূর্বের বাইডেন প্রশাসন হামলার মাত্রা কমাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ দিয়েছিল, যাতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমে, গাজার যুদ্ধ থামে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। ইরান ও ইসরায়েলের সরাসরি সংঘাতে বাইডেন প্রশাসন চাইত, ইসরায়েল যেন ইরানের পারমাণবিক বা জ্বালানি খাতে হামলা না করে।
এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বারবার বলেছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে ধৈর্য ধরুন, যাতে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু নেতানিয়াহু যখন তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, যে নির্ধারিত দুই মাসের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে, তখন ট্রাম্প সম্মতি দেন।
সাবেক ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল ওরেন বলেন, ‘এই যুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে ইতি টানার চেয়ে বড় ভুল আর কিছু হতে পারে না।’
তবে বড় প্রতিবন্ধকতা এখন ইসরায়েল নিজেই। ২০ মাসের যুদ্ধে ক্লান্ত জনতা, অনেককেই বারবার সেনাবাহিনীতে ডাকা হয়েছে, পরিবার ও পেশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজায় এখনো অন্তত ২০ জন জিম্মি জীবিত এবং অনেক লাশ ফেরত আনা হয়নি। সঙ্গে আছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়ে বিভক্তি। বিরোধীদের সামরিক ও নিরাপত্তা খাত থেকে সরিয়ে দেওয়া, বিচারব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে বিতর্ক ও গাজার যুদ্ধ শেষ করতে না পারাসহ ইত্যাদি কারণে দেশ বিভক্ত।
ওরেন বলেন, ব্যথা, ক্লান্তি আর অনিশ্চয়তা—এই তিনেই ইসরায়েলি সমাজ ডুবে আছে এখন।
তবে ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ইয়োহানান প্লেসনার মনে করেন, তবু এখানে বোঝাপড়াটা স্পষ্ট। এই সংঘাতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এপ্রিলের এক জরিপ বলছে, অর্ধেকের বেশি ইহুদি ইসরায়েলি ইরানের ওপর হামলার পক্ষে, এমনকি আমেরিকার সমর্থন না থাকলেও।
ইসরায়েল বহু বছর ধরে ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা ও হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। তারা ‘ঘাস কাটা’ কৌশলে হামলা করেছে, সরবরাহ বন্ধ করেছে। কিন্তু ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের আক্রমণে সেই কৌশল ব্যর্থ হয়। এরপর তারা ধারাবাহিকভাবে হামাস ও হিজবুল্লাহকে দমন করে।
এতে নিরাপত্তা মহলে নতুন উপলব্ধি আসে, ঝুঁকি নিয়ে হলেও হুমকি চিরতরে দূর করাই একমাত্র পথ। প্লেসনার বলেন, এটা কেবল মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক দফা সহিংসতা নয়। এটা অনেক বড় মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক ঘটনা। এখন কেবল ইরানই বাকি।
ইসরায়েলের লক্ষ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নয়; বরং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে তারা সীমিত লক্ষ্য নির্ধারণ করে সফল হয়। ২ মাসের মধ্যে হিজবুল্লাহ পিছু হটে। কিন্তু গাজায় এই কৌশল ছিল না। হামাসকে ধ্বংস করার ঘোষণা থাকলেও যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা ছিল না। ফলে ২০ মাস ধরে চলা অভিযানে গাজায় প্রায় ৫৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তবু যুদ্ধের শেষ নেই।
গাজার যুদ্ধ নিয়ে দেশে আস্থা কমছে। আন্তর্জাতিক সমর্থনও হ্রাস পেয়েছে। শিশুর মৃত্যু ও দুর্ভিক্ষের ছবি বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলকে একঘরে করে ফেলেছে।
তেল আবিবভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড্যানি সিট্রিনোভিচ বলেন, ইরানে প্রাথমিক সাফল্যে ইসরায়েলে যে উল্লাস দেখা যাচ্ছে, তা দ্রুত বদলে যেতে পারে যদি ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রাখে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক সাফল্য অনেক সময় কূটনৈতিকভাবে কাজে আসেনি। ১৯৮২ সালে বৈরুতে দ্রুত অগ্রসর হয়ে তারা ২০০০ সাল পর্যন্ত লেবাননে আটকে ছিল। ১৯৬৭ সালের জয়ও ১৯৭৩ সালের আকস্মিক হামলায় অনেকটাই ম্লান হয়।
এখন নেতানিয়াহুর বড় চ্যালেঞ্জ ইরানে কৌশলগত সাফল্যকে স্থায়ী কূটনৈতিক বিজয়ে রূপ দেওয়া। ইরান দুর্বল, কিন্তু এখনো একটি বড় এবং অটল প্রতিপক্ষ। নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প চান, তারা যেন এক দুর্বল অবস্থায় আলোচনায় বসে। কিন্তু ইরান না-ও বসতে পারে।
সিট্রিনোভিচ বলেন, ‘ইসরায়েলকে এখনই ভাবতে হবে, কীভাবে এই যুদ্ধের ইতি টানবে। আমাদের যুদ্ধ শুরুর আগেই ‘প্রস্থান কৌশল’ নিয়ে ভাবতে শুরু করা উচিত।’

এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।
ইসরায়েল নিজের খায়েশ মোতাবেক মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেওয়ার অভিযানে নেমেছে। ট্রাম্প প্রশাসনকে অনেকটা বাধ্য করছে এই নতুন বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে। ইসরায়েল চতুর্থ দিনে এসে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা আরও জোরদার করেছে। তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে অস্থিরতা ও ভূরাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস ঘটাতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।
দুঃসাহসিক গোয়েন্দা অভিযান ও তীব্র সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল কার্যত হামাস ও হিজবুল্লাহকে নিষ্ক্রিয় করেছে এবং একই সঙ্গে সিরিয়ায় আসাদ শাসনের পতন ঘটিয়েছে। এখন তারা সরাসরি তেহরানকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আড়ালে ইসরায়েল চালিয়েছে এক নজিরবিহীন হামলা। এর লক্ষ্য কেবল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া নয়, বরং দেশটির ধর্মভিত্তিক শাসনব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলা।
এই সংঘাত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত কূটনৈতিক পথের কাঁটাও। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ছিলেন। তবে সে পথে কোনো সাফল্য না আসায় এখন তিনি ইসরায়েলি হামলার প্রশংসা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘এখনই চুক্তিতে না এলে ইরানের কিছুই বাকি থাকবে না।’
মধ্যপ্রাচ্যে নাক না গলানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া ট্রাম্প এখন ইরানি পাল্টা আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গি বিমান পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ইরান যদি আমেরিকান ঘাঁটি বা পারস্য উপসাগরের জ্বালানি রপ্তানিতে বাধা দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত ভয়ংকর রকমের বিস্তৃত যুদ্ধ শুরু হয়নি। ইরান ইসরায়েলের দিকে প্রচুর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, কিন্তু তেমন কোনো কার্যকর ফল আসেনি। ইসরায়েলি নেতারা এখন অবশ্যম্ভাবী বিজয়ের কথাও বলছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতাকে বদলে দিতে পারে।
শুক্রবার ইরানিদের উদ্দেশে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনাদের মুক্তির দিন এখন খুব কাছেই। সেই দিন এলে ইসরায়েলি ও ইরানিরা তাদের প্রাচীন বন্ধুত্ব পুনর্গঠন করবে। একসঙ্গে আমরা শান্তি, সমৃদ্ধি ও আশার ভবিষ্যৎ গড়ব।’
যুক্তরাষ্ট্র দেশীয় সংকট ও অন্য ভূরাজনৈতিক হুমকি নিয়ে ব্যতিব্যস্ততার মধ্যে ইসরায়েলের এই সাহসী আক্রমণ চালিয়েছে। সেটি অনেকটা মার্কিন স্বার্থের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে ইসরায়েলকে না করতে পারছেন না ট্রাম্প। আগের নির্ধারিত মার্কিন কূটনৈতিক রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে তিনি নিজস্ব বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেছেন।
ক্ষমতায় আসার আগে গাজায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেন ও ইরান সংকট মাথাচাড়া দেওয়ার পর তার মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটেছে। গাজাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বললেও তাতে আগ্রহ হারিয়েছেন। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েও থেমে গেছেন। ফলে নেতানিয়াহু সহজেই নিজের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
ইসরায়েলের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। ইরান যে বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করেছে এবং তার চারপাশে জোট তৈরি করেছে, তা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। তাই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করা এখন জরুরি।
গত কয়েক দিনে ইসরায়েল ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, এতে তারা ইচ্ছামতো হামলা চালাতে পারছে। তবে এখনো পর্যন্ত তারা ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো—যেমন শক্তভাবে সুরক্ষিত ফোরদৌ কেন্দ্র বা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ইউরেনিয়াম মজুত ধ্বংস করতে পারেনি।
সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথন প্যানিকফ বলেন, ইসরায়েল ও ইরান—উভয়ের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই যুদ্ধে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বেঁচে থাকে কি না তার ওপর।
রোববার দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েল ৫০ ঘণ্টায় ২৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন এখনো ইসরায়েলকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেনি—যা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বড় পরিবর্তন।
পূর্বের বাইডেন প্রশাসন হামলার মাত্রা কমাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ দিয়েছিল, যাতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমে, গাজার যুদ্ধ থামে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। ইরান ও ইসরায়েলের সরাসরি সংঘাতে বাইডেন প্রশাসন চাইত, ইসরায়েল যেন ইরানের পারমাণবিক বা জ্বালানি খাতে হামলা না করে।
এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বারবার বলেছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে ধৈর্য ধরুন, যাতে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু নেতানিয়াহু যখন তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, যে নির্ধারিত দুই মাসের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে, তখন ট্রাম্প সম্মতি দেন।
সাবেক ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল ওরেন বলেন, ‘এই যুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে ইতি টানার চেয়ে বড় ভুল আর কিছু হতে পারে না।’
তবে বড় প্রতিবন্ধকতা এখন ইসরায়েল নিজেই। ২০ মাসের যুদ্ধে ক্লান্ত জনতা, অনেককেই বারবার সেনাবাহিনীতে ডাকা হয়েছে, পরিবার ও পেশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজায় এখনো অন্তত ২০ জন জিম্মি জীবিত এবং অনেক লাশ ফেরত আনা হয়নি। সঙ্গে আছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়ে বিভক্তি। বিরোধীদের সামরিক ও নিরাপত্তা খাত থেকে সরিয়ে দেওয়া, বিচারব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে বিতর্ক ও গাজার যুদ্ধ শেষ করতে না পারাসহ ইত্যাদি কারণে দেশ বিভক্ত।
ওরেন বলেন, ব্যথা, ক্লান্তি আর অনিশ্চয়তা—এই তিনেই ইসরায়েলি সমাজ ডুবে আছে এখন।
তবে ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ইয়োহানান প্লেসনার মনে করেন, তবু এখানে বোঝাপড়াটা স্পষ্ট। এই সংঘাতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এপ্রিলের এক জরিপ বলছে, অর্ধেকের বেশি ইহুদি ইসরায়েলি ইরানের ওপর হামলার পক্ষে, এমনকি আমেরিকার সমর্থন না থাকলেও।
ইসরায়েল বহু বছর ধরে ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা ও হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। তারা ‘ঘাস কাটা’ কৌশলে হামলা করেছে, সরবরাহ বন্ধ করেছে। কিন্তু ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের আক্রমণে সেই কৌশল ব্যর্থ হয়। এরপর তারা ধারাবাহিকভাবে হামাস ও হিজবুল্লাহকে দমন করে।
এতে নিরাপত্তা মহলে নতুন উপলব্ধি আসে, ঝুঁকি নিয়ে হলেও হুমকি চিরতরে দূর করাই একমাত্র পথ। প্লেসনার বলেন, এটা কেবল মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক দফা সহিংসতা নয়। এটা অনেক বড় মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক ঘটনা। এখন কেবল ইরানই বাকি।
ইসরায়েলের লক্ষ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নয়; বরং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে তারা সীমিত লক্ষ্য নির্ধারণ করে সফল হয়। ২ মাসের মধ্যে হিজবুল্লাহ পিছু হটে। কিন্তু গাজায় এই কৌশল ছিল না। হামাসকে ধ্বংস করার ঘোষণা থাকলেও যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা ছিল না। ফলে ২০ মাস ধরে চলা অভিযানে গাজায় প্রায় ৫৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তবু যুদ্ধের শেষ নেই।
গাজার যুদ্ধ নিয়ে দেশে আস্থা কমছে। আন্তর্জাতিক সমর্থনও হ্রাস পেয়েছে। শিশুর মৃত্যু ও দুর্ভিক্ষের ছবি বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলকে একঘরে করে ফেলেছে।
তেল আবিবভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড্যানি সিট্রিনোভিচ বলেন, ইরানে প্রাথমিক সাফল্যে ইসরায়েলে যে উল্লাস দেখা যাচ্ছে, তা দ্রুত বদলে যেতে পারে যদি ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রাখে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক সাফল্য অনেক সময় কূটনৈতিকভাবে কাজে আসেনি। ১৯৮২ সালে বৈরুতে দ্রুত অগ্রসর হয়ে তারা ২০০০ সাল পর্যন্ত লেবাননে আটকে ছিল। ১৯৬৭ সালের জয়ও ১৯৭৩ সালের আকস্মিক হামলায় অনেকটাই ম্লান হয়।
এখন নেতানিয়াহুর বড় চ্যালেঞ্জ ইরানে কৌশলগত সাফল্যকে স্থায়ী কূটনৈতিক বিজয়ে রূপ দেওয়া। ইরান দুর্বল, কিন্তু এখনো একটি বড় এবং অটল প্রতিপক্ষ। নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প চান, তারা যেন এক দুর্বল অবস্থায় আলোচনায় বসে। কিন্তু ইরান না-ও বসতে পারে।
সিট্রিনোভিচ বলেন, ‘ইসরায়েলকে এখনই ভাবতে হবে, কীভাবে এই যুদ্ধের ইতি টানবে। আমাদের যুদ্ধ শুরুর আগেই ‘প্রস্থান কৌশল’ নিয়ে ভাবতে শুরু করা উচিত।’

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।
১৬ জুন ২০২৫
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।
১৬ জুন ২০২৫
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।
১৬ জুন ২০২৫
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

এক বছর আগে গাজায় আগ্রাসনে নেমে বেশ চাপে ছিল ইসরায়েল। আটকে পড়া জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণ, আর ওয়াশিংটনের চাপ ছিল যুদ্ধ থামাতে। তবে এবার ইরানে আক্রমণ শুরু করার পর তেমন কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেই দেশটি।
১৬ জুন ২০২৫
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে