আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মুখে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে হামাস। শীর্ষ কমান্ডারদের হারানো, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও ইরান থেকে ভবিষ্যৎ সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গাজায় অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সংগঠনের যোদ্ধারা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছেন। তবে ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাওয়া স্থানীয় কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও এখন তাদের লড়তে হচ্ছে।
রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক বিদ্রোহী নেতা ইয়াসির আবু শাবাবকে হত্যা করতে হামাস তাদের শীর্ষ যোদ্ধাদের পাঠালেও তিনি এখনো গাজার রাফা এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে নিরাপদে রয়েছেন। ওই অঞ্চলেই তিনি একটি স্বতন্ত্র প্রশাসন গঠনের চেষ্টা করছেন। তবে আবু শাবাবের দল দাবি করছে, তারা কোনো ইসরায়েলি সহায়তা পায় না এবং কেবল মানবিক সহায়তা বণ্টনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। তারা স্থানীয় লোকদের ফেরার আহ্বান জানিয়ে খাদ্য ও আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে হামাস তাঁকে ‘সহযোগী’ হিসেবে অভিযুক্ত করে ‘লোহা মুষ্টিতে’ দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
হামাসের কিছু ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, গাজায় দখল ধরে রাখতে তারা যুদ্ধবিরতির পক্ষপাতী—এমনকি সাময়িক যুদ্ধবিরতিও তাদের জন্য জরুরি। কারণ, এতে ক্লান্ত জনগণ কিছুটা স্বস্তি পাবে। পাশাপাশি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ত্রাণ লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে হামাস।
ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, তারা ২০ হাজার বা তার বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং শত শত মাইল সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে ফেলেছে। যদিও হামাস তাদের নিহত সদস্যদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। রয়টার্স হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র, ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্র, কূটনীতিকসহ ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা হামাসের একটি গুরুতর দুর্বল চিত্র তুলে ধরেছে। তবে তা সত্ত্বেও গাজায় তাদের কিছু প্রভাব এবং অপারেশনাল সক্ষমতা রয়েছে।
গাজা নগরীর বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী ইসসাম বলেন, ‘তারা (হামাস) আগের মতো নেই, তবে এখনো বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়—তারা লোকজনকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে, ত্রাণের ট্রাক পাহারা দিচ্ছে কিংবা অপরাধীদের শাস্তি দেয়।’
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হামাস বর্তমানে সীমিত হামলা চালাতে সক্ষম। সংগঠনের সদস্যদের ‘গড় বয়স’ দিন দিন কমে আসছে। কারণ, তাঁরা দারিদ্র্যপীড়িত, বাস্তুচ্যুত তরুণদের থেকে যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। তবে এখনো তারা পাল্টা আঘাত হানতে সক্ষম। যেমন—গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় হামাসের হামলায় সাতজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছানোয় আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতির জন্য জোরালো চাপ দিচ্ছে। হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ শেষ করতে একটি সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণ কোনো বিকল্প নয়।’ তিনি বলেন, হামাস সব বন্দীকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, তবে যুদ্ধ থামাতে হবে এবং ইসরায়েলকে গাজা থেকে সরে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা সংকট সমাধানে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে এবং ইরানে হামলা বন্দীদের মুক্তিতে সহায়ক হবে।
এদিকে হামাসের সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তবে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইরানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের কর্মকর্তা সাঈদ ইজাদি নিহত হওয়ার পর তেহরানের সমর্থনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি ছিলেন হামাসের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে। ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানের সহায়তা কমে আসতে পারে, বিশেষ করে অর্থায়ন ও সামরিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে। এর প্রভাব হামাসের প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর পড়তে পারে।
হামাস ইজাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জানিয়েছে, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। হামাস ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে বলে, ‘আমরা বিশ্বাস হারাইনি, তবে বাস্তবতা বলছে—পরিস্থিতি ভালো নয়।’
বৈরুতের কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের সিনিয়র ফেলো ইয়াজিদ সাইঘ রয়টার্সকে বলেন, ‘হামাস এখন শুধু অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে—শুধু সামরিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও। যদি যুদ্ধ বন্ধ না হয়, তারা গাজা থেকে চিরকালের জন্য মুছে যেতে পারে। আবার কোনো রাজনৈতিকভাবেও তারা জায়গা হারাতে পারে।’
হামাস এখন সেই গোষ্ঠীর একটি ছায়ামাত্র, যারা ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েলি হিসাব অনুযায়ী, সেই হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়। এই হামলার ঘটনার পরে থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল হামাসের যে ক্ষতি করেছে, তা তাদের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড়। গাজায় তাদের বেশির ভাগ শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হামাস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গোষ্ঠীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর ২০০৭ সালে পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। কিন্তু এই হামাস এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। ইসরায়েলি দমন-পীড়নের মুখে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব হারিয়ে তারা ছায়া-সংগঠন হিসেবে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, আন্তর্জাতিক চাপ ও ইরানের বর্তমান পরিস্থিতি এই সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। যদিও তারা আত্মসমর্পণ না করার ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, ততই প্রতিরোধের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারানোর শঙ্কা বাড়ছে।

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মুখে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে হামাস। শীর্ষ কমান্ডারদের হারানো, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও ইরান থেকে ভবিষ্যৎ সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গাজায় অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সংগঠনের যোদ্ধারা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছেন। তবে ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাওয়া স্থানীয় কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও এখন তাদের লড়তে হচ্ছে।
রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক বিদ্রোহী নেতা ইয়াসির আবু শাবাবকে হত্যা করতে হামাস তাদের শীর্ষ যোদ্ধাদের পাঠালেও তিনি এখনো গাজার রাফা এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে নিরাপদে রয়েছেন। ওই অঞ্চলেই তিনি একটি স্বতন্ত্র প্রশাসন গঠনের চেষ্টা করছেন। তবে আবু শাবাবের দল দাবি করছে, তারা কোনো ইসরায়েলি সহায়তা পায় না এবং কেবল মানবিক সহায়তা বণ্টনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। তারা স্থানীয় লোকদের ফেরার আহ্বান জানিয়ে খাদ্য ও আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে হামাস তাঁকে ‘সহযোগী’ হিসেবে অভিযুক্ত করে ‘লোহা মুষ্টিতে’ দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
হামাসের কিছু ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, গাজায় দখল ধরে রাখতে তারা যুদ্ধবিরতির পক্ষপাতী—এমনকি সাময়িক যুদ্ধবিরতিও তাদের জন্য জরুরি। কারণ, এতে ক্লান্ত জনগণ কিছুটা স্বস্তি পাবে। পাশাপাশি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ত্রাণ লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে হামাস।
ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, তারা ২০ হাজার বা তার বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং শত শত মাইল সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে ফেলেছে। যদিও হামাস তাদের নিহত সদস্যদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। রয়টার্স হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র, ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্র, কূটনীতিকসহ ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা হামাসের একটি গুরুতর দুর্বল চিত্র তুলে ধরেছে। তবে তা সত্ত্বেও গাজায় তাদের কিছু প্রভাব এবং অপারেশনাল সক্ষমতা রয়েছে।
গাজা নগরীর বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী ইসসাম বলেন, ‘তারা (হামাস) আগের মতো নেই, তবে এখনো বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়—তারা লোকজনকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে, ত্রাণের ট্রাক পাহারা দিচ্ছে কিংবা অপরাধীদের শাস্তি দেয়।’
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হামাস বর্তমানে সীমিত হামলা চালাতে সক্ষম। সংগঠনের সদস্যদের ‘গড় বয়স’ দিন দিন কমে আসছে। কারণ, তাঁরা দারিদ্র্যপীড়িত, বাস্তুচ্যুত তরুণদের থেকে যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। তবে এখনো তারা পাল্টা আঘাত হানতে সক্ষম। যেমন—গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় হামাসের হামলায় সাতজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছানোয় আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতির জন্য জোরালো চাপ দিচ্ছে। হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ শেষ করতে একটি সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণ কোনো বিকল্প নয়।’ তিনি বলেন, হামাস সব বন্দীকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, তবে যুদ্ধ থামাতে হবে এবং ইসরায়েলকে গাজা থেকে সরে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা সংকট সমাধানে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে এবং ইরানে হামলা বন্দীদের মুক্তিতে সহায়ক হবে।
এদিকে হামাসের সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তবে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইরানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের কর্মকর্তা সাঈদ ইজাদি নিহত হওয়ার পর তেহরানের সমর্থনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি ছিলেন হামাসের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে। ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানের সহায়তা কমে আসতে পারে, বিশেষ করে অর্থায়ন ও সামরিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে। এর প্রভাব হামাসের প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর পড়তে পারে।
হামাস ইজাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জানিয়েছে, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। হামাস ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে বলে, ‘আমরা বিশ্বাস হারাইনি, তবে বাস্তবতা বলছে—পরিস্থিতি ভালো নয়।’
বৈরুতের কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের সিনিয়র ফেলো ইয়াজিদ সাইঘ রয়টার্সকে বলেন, ‘হামাস এখন শুধু অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে—শুধু সামরিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও। যদি যুদ্ধ বন্ধ না হয়, তারা গাজা থেকে চিরকালের জন্য মুছে যেতে পারে। আবার কোনো রাজনৈতিকভাবেও তারা জায়গা হারাতে পারে।’
হামাস এখন সেই গোষ্ঠীর একটি ছায়ামাত্র, যারা ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েলি হিসাব অনুযায়ী, সেই হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়। এই হামলার ঘটনার পরে থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল হামাসের যে ক্ষতি করেছে, তা তাদের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড়। গাজায় তাদের বেশির ভাগ শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হামাস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গোষ্ঠীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর ২০০৭ সালে পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। কিন্তু এই হামাস এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। ইসরায়েলি দমন-পীড়নের মুখে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব হারিয়ে তারা ছায়া-সংগঠন হিসেবে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, আন্তর্জাতিক চাপ ও ইরানের বর্তমান পরিস্থিতি এই সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। যদিও তারা আত্মসমর্পণ না করার ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, ততই প্রতিরোধের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারানোর শঙ্কা বাড়ছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মুখে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে হামাস। শীর্ষ কমান্ডারদের হারানো, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও ইরান থেকে ভবিষ্যৎ সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গাজায় অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সংগঠনের যোদ্ধারা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছেন। তবে ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাওয়া স্থানীয় কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও এখন তাদের লড়তে হচ্ছে।
রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক বিদ্রোহী নেতা ইয়াসির আবু শাবাবকে হত্যা করতে হামাস তাদের শীর্ষ যোদ্ধাদের পাঠালেও তিনি এখনো গাজার রাফা এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে নিরাপদে রয়েছেন। ওই অঞ্চলেই তিনি একটি স্বতন্ত্র প্রশাসন গঠনের চেষ্টা করছেন। তবে আবু শাবাবের দল দাবি করছে, তারা কোনো ইসরায়েলি সহায়তা পায় না এবং কেবল মানবিক সহায়তা বণ্টনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। তারা স্থানীয় লোকদের ফেরার আহ্বান জানিয়ে খাদ্য ও আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে হামাস তাঁকে ‘সহযোগী’ হিসেবে অভিযুক্ত করে ‘লোহা মুষ্টিতে’ দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
হামাসের কিছু ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, গাজায় দখল ধরে রাখতে তারা যুদ্ধবিরতির পক্ষপাতী—এমনকি সাময়িক যুদ্ধবিরতিও তাদের জন্য জরুরি। কারণ, এতে ক্লান্ত জনগণ কিছুটা স্বস্তি পাবে। পাশাপাশি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ত্রাণ লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে হামাস।
ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, তারা ২০ হাজার বা তার বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং শত শত মাইল সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে ফেলেছে। যদিও হামাস তাদের নিহত সদস্যদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। রয়টার্স হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র, ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্র, কূটনীতিকসহ ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা হামাসের একটি গুরুতর দুর্বল চিত্র তুলে ধরেছে। তবে তা সত্ত্বেও গাজায় তাদের কিছু প্রভাব এবং অপারেশনাল সক্ষমতা রয়েছে।
গাজা নগরীর বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী ইসসাম বলেন, ‘তারা (হামাস) আগের মতো নেই, তবে এখনো বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়—তারা লোকজনকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে, ত্রাণের ট্রাক পাহারা দিচ্ছে কিংবা অপরাধীদের শাস্তি দেয়।’
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হামাস বর্তমানে সীমিত হামলা চালাতে সক্ষম। সংগঠনের সদস্যদের ‘গড় বয়স’ দিন দিন কমে আসছে। কারণ, তাঁরা দারিদ্র্যপীড়িত, বাস্তুচ্যুত তরুণদের থেকে যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। তবে এখনো তারা পাল্টা আঘাত হানতে সক্ষম। যেমন—গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় হামাসের হামলায় সাতজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছানোয় আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতির জন্য জোরালো চাপ দিচ্ছে। হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ শেষ করতে একটি সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণ কোনো বিকল্প নয়।’ তিনি বলেন, হামাস সব বন্দীকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, তবে যুদ্ধ থামাতে হবে এবং ইসরায়েলকে গাজা থেকে সরে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা সংকট সমাধানে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে এবং ইরানে হামলা বন্দীদের মুক্তিতে সহায়ক হবে।
এদিকে হামাসের সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তবে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইরানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের কর্মকর্তা সাঈদ ইজাদি নিহত হওয়ার পর তেহরানের সমর্থনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি ছিলেন হামাসের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে। ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানের সহায়তা কমে আসতে পারে, বিশেষ করে অর্থায়ন ও সামরিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে। এর প্রভাব হামাসের প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর পড়তে পারে।
হামাস ইজাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জানিয়েছে, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। হামাস ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে বলে, ‘আমরা বিশ্বাস হারাইনি, তবে বাস্তবতা বলছে—পরিস্থিতি ভালো নয়।’
বৈরুতের কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের সিনিয়র ফেলো ইয়াজিদ সাইঘ রয়টার্সকে বলেন, ‘হামাস এখন শুধু অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে—শুধু সামরিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও। যদি যুদ্ধ বন্ধ না হয়, তারা গাজা থেকে চিরকালের জন্য মুছে যেতে পারে। আবার কোনো রাজনৈতিকভাবেও তারা জায়গা হারাতে পারে।’
হামাস এখন সেই গোষ্ঠীর একটি ছায়ামাত্র, যারা ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েলি হিসাব অনুযায়ী, সেই হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়। এই হামলার ঘটনার পরে থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল হামাসের যে ক্ষতি করেছে, তা তাদের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড়। গাজায় তাদের বেশির ভাগ শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হামাস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গোষ্ঠীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর ২০০৭ সালে পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। কিন্তু এই হামাস এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। ইসরায়েলি দমন-পীড়নের মুখে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব হারিয়ে তারা ছায়া-সংগঠন হিসেবে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, আন্তর্জাতিক চাপ ও ইরানের বর্তমান পরিস্থিতি এই সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। যদিও তারা আত্মসমর্পণ না করার ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, ততই প্রতিরোধের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারানোর শঙ্কা বাড়ছে।

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মুখে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে হামাস। শীর্ষ কমান্ডারদের হারানো, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও ইরান থেকে ভবিষ্যৎ সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গাজায় অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হামাসের ঘনিষ্ঠ তিনটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সংগঠনের যোদ্ধারা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছেন। তবে ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাওয়া স্থানীয় কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও এখন তাদের লড়তে হচ্ছে।
রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক বিদ্রোহী নেতা ইয়াসির আবু শাবাবকে হত্যা করতে হামাস তাদের শীর্ষ যোদ্ধাদের পাঠালেও তিনি এখনো গাজার রাফা এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে নিরাপদে রয়েছেন। ওই অঞ্চলেই তিনি একটি স্বতন্ত্র প্রশাসন গঠনের চেষ্টা করছেন। তবে আবু শাবাবের দল দাবি করছে, তারা কোনো ইসরায়েলি সহায়তা পায় না এবং কেবল মানবিক সহায়তা বণ্টনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। তারা স্থানীয় লোকদের ফেরার আহ্বান জানিয়ে খাদ্য ও আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে হামাস তাঁকে ‘সহযোগী’ হিসেবে অভিযুক্ত করে ‘লোহা মুষ্টিতে’ দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
হামাসের কিছু ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, গাজায় দখল ধরে রাখতে তারা যুদ্ধবিরতির পক্ষপাতী—এমনকি সাময়িক যুদ্ধবিরতিও তাদের জন্য জরুরি। কারণ, এতে ক্লান্ত জনগণ কিছুটা স্বস্তি পাবে। পাশাপাশি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ত্রাণ লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে হামাস।
ইসরায়েলি এক সামরিক কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, তারা ২০ হাজার বা তার বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং শত শত মাইল সুড়ঙ্গ ধ্বংস করে ফেলেছে। যদিও হামাস তাদের নিহত সদস্যদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। রয়টার্স হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র, ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্র, কূটনীতিকসহ ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা হামাসের একটি গুরুতর দুর্বল চিত্র তুলে ধরেছে। তবে তা সত্ত্বেও গাজায় তাদের কিছু প্রভাব এবং অপারেশনাল সক্ষমতা রয়েছে।
গাজা নগরীর বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী ইসসাম বলেন, ‘তারা (হামাস) আগের মতো নেই, তবে এখনো বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়—তারা লোকজনকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে, ত্রাণের ট্রাক পাহারা দিচ্ছে কিংবা অপরাধীদের শাস্তি দেয়।’
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হামাস বর্তমানে সীমিত হামলা চালাতে সক্ষম। সংগঠনের সদস্যদের ‘গড় বয়স’ দিন দিন কমে আসছে। কারণ, তাঁরা দারিদ্র্যপীড়িত, বাস্তুচ্যুত তরুণদের থেকে যোদ্ধা সংগ্রহ করছে। তবে এখনো তারা পাল্টা আঘাত হানতে সক্ষম। যেমন—গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় হামাসের হামলায় সাতজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছানোয় আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতির জন্য জোরালো চাপ দিচ্ছে। হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ শেষ করতে একটি সমঝোতার জন্য প্রস্তুত। তবে আত্মসমর্পণ কোনো বিকল্প নয়।’ তিনি বলেন, হামাস সব বন্দীকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, তবে যুদ্ধ থামাতে হবে এবং ইসরায়েলকে গাজা থেকে সরে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা সংকট সমাধানে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে এবং ইরানে হামলা বন্দীদের মুক্তিতে সহায়ক হবে।
এদিকে হামাসের সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। তবে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ইরানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের কর্মকর্তা সাঈদ ইজাদি নিহত হওয়ার পর তেহরানের সমর্থনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি ছিলেন হামাসের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে। ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানের সহায়তা কমে আসতে পারে, বিশেষ করে অর্থায়ন ও সামরিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে। এর প্রভাব হামাসের প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর পড়তে পারে।
হামাস ইজাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জানিয়েছে, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। হামাস ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে বলে, ‘আমরা বিশ্বাস হারাইনি, তবে বাস্তবতা বলছে—পরিস্থিতি ভালো নয়।’
বৈরুতের কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের সিনিয়র ফেলো ইয়াজিদ সাইঘ রয়টার্সকে বলেন, ‘হামাস এখন শুধু অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে—শুধু সামরিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও। যদি যুদ্ধ বন্ধ না হয়, তারা গাজা থেকে চিরকালের জন্য মুছে যেতে পারে। আবার কোনো রাজনৈতিকভাবেও তারা জায়গা হারাতে পারে।’
হামাস এখন সেই গোষ্ঠীর একটি ছায়ামাত্র, যারা ২০২৩ সালে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েলি হিসাব অনুযায়ী, সেই হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়। এই হামলার ঘটনার পরে থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল হামাসের যে ক্ষতি করেছে, তা তাদের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড়। গাজায় তাদের বেশির ভাগ শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হামাস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গোষ্ঠীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর ২০০৭ সালে পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। কিন্তু এই হামাস এখন এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। ইসরায়েলি দমন-পীড়নের মুখে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব হারিয়ে তারা ছায়া-সংগঠন হিসেবে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, আন্তর্জাতিক চাপ ও ইরানের বর্তমান পরিস্থিতি এই সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। যদিও তারা আত্মসমর্পণ না করার ঘোষণা দিয়েছে, কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, ততই প্রতিরোধের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা হারানোর শঙ্কা বাড়ছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মুখে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে হামাস। শীর্ষ কমান্ডারদের হারানো, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও ইরান থেকে ভবিষ্যৎ সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গাজায় অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৭ জুন ২০২৫
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মুখে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে হামাস। শীর্ষ কমান্ডারদের হারানো, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও ইরান থেকে ভবিষ্যৎ সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গাজায় অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৭ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মুখে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে হামাস। শীর্ষ কমান্ডারদের হারানো, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও ইরান থেকে ভবিষ্যৎ সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গাজায় অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৭ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের মুখে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে হামাস। শীর্ষ কমান্ডারদের হারানো, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস ও ইরান থেকে ভবিষ্যৎ সহায়তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গাজায় অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৭ জুন ২০২৫
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে