অনলাইন ডেস্ক
গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি কোয়াডের একটি সম্মেলনে ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কথা এড়িয়ে গেছে ভারত। ঠিক ভারত নয়, বলা চলে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে এই হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে কোয়াড সদস্য দেশগুলো। আবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতেও আনা হয়েছে কিছু সংশোধন। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের।
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) ওয়াশিংটনে কোয়াডভুক্ত চার দেশের (ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই জঘন্য হামলার সংগঠক, অর্থদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব অনুসারে সব সদস্য রাষ্ট্রের উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করা।’
কোয়াডের বিবৃতি খেয়াল করলে দেখবেন, তারা এখানে পাকিস্তানের নাম সরাসরি উল্লেখ করেনি কিংবা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কোনো আহ্বানও জানায়নি। কোয়াডের বিবৃতির এই ভাষা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৫ মে দেওয়া বিবৃতির প্রায় অনুরূপ। ওই বিবৃতিতে হামলার জন্য কারা দায়ী, তা উল্লেখ করা হয়নি এবং ভারত সরকারের নামও ব্যবহার করা হয়নি।
তবে এর আগে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে টোকিওতে কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ও সেপ্টেম্বরের উইলমিংটনে কোয়াড নেতাদের বৈঠকে যেসব বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোতে ২৬/১১ মুম্বাই হামলা ও ২০১৬ সালের পাঠানকোট বিমানঘাঁটি হামলার কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু এবারের বিবৃতিতে তেমন কোনো স্পষ্টতা নেই। এমনকি লস্কর-ই-তাইয়েবা ও জইশ-ই-মুহাম্মদের নামও তাতে অনুপস্থিত।
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতেও কিছু সংশোধন এনেছে ভারত। একই দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের কথোপকথনের পর একটি বিবৃতি দেয়। এতে প্রথমে ‘পাকিস্তান মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ’-সংক্রান্ত একটি লাইন থাকলেও পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রথমে দেওয়া বিবৃতিতে, অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের সামরিক অভিযান ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই বিবৃতি সংশোধন করে এসব প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হয়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, জাতিসংঘের বিবৃতির ভাষায় পাকিস্তানের প্রভাব ছিল। পাকিস্তান বর্তমানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য এবং চীনের সমর্থনপুষ্ট। আর ওই বিবৃতির খসড়া করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের প্রতি ওয়াশিংটনের অবস্থান অনেকটা নরম হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান, যা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনার পর বিরোধী দলগুলো মোদি সরকারের সমালোচনা করছে। তারা বলছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের মদদদাতা হিসেবে চিহ্নিত করতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাম্পের মন্তব্য ভারত-পাকিস্তানকে আবারও ‘এক ঝুড়িতে’ ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।
গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি কোয়াডের একটি সম্মেলনে ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কথা এড়িয়ে গেছে ভারত। ঠিক ভারত নয়, বলা চলে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে এই হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে কোয়াড সদস্য দেশগুলো। আবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতেও আনা হয়েছে কিছু সংশোধন। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের।
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) ওয়াশিংটনে কোয়াডভুক্ত চার দেশের (ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই জঘন্য হামলার সংগঠক, অর্থদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব অনুসারে সব সদস্য রাষ্ট্রের উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করা।’
কোয়াডের বিবৃতি খেয়াল করলে দেখবেন, তারা এখানে পাকিস্তানের নাম সরাসরি উল্লেখ করেনি কিংবা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কোনো আহ্বানও জানায়নি। কোয়াডের বিবৃতির এই ভাষা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৫ মে দেওয়া বিবৃতির প্রায় অনুরূপ। ওই বিবৃতিতে হামলার জন্য কারা দায়ী, তা উল্লেখ করা হয়নি এবং ভারত সরকারের নামও ব্যবহার করা হয়নি।
তবে এর আগে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে টোকিওতে কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ও সেপ্টেম্বরের উইলমিংটনে কোয়াড নেতাদের বৈঠকে যেসব বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোতে ২৬/১১ মুম্বাই হামলা ও ২০১৬ সালের পাঠানকোট বিমানঘাঁটি হামলার কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু এবারের বিবৃতিতে তেমন কোনো স্পষ্টতা নেই। এমনকি লস্কর-ই-তাইয়েবা ও জইশ-ই-মুহাম্মদের নামও তাতে অনুপস্থিত।
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতেও কিছু সংশোধন এনেছে ভারত। একই দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের কথোপকথনের পর একটি বিবৃতি দেয়। এতে প্রথমে ‘পাকিস্তান মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ’-সংক্রান্ত একটি লাইন থাকলেও পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রথমে দেওয়া বিবৃতিতে, অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের সামরিক অভিযান ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই বিবৃতি সংশোধন করে এসব প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হয়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, জাতিসংঘের বিবৃতির ভাষায় পাকিস্তানের প্রভাব ছিল। পাকিস্তান বর্তমানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য এবং চীনের সমর্থনপুষ্ট। আর ওই বিবৃতির খসড়া করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের প্রতি ওয়াশিংটনের অবস্থান অনেকটা নরম হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান, যা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনার পর বিরোধী দলগুলো মোদি সরকারের সমালোচনা করছে। তারা বলছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের মদদদাতা হিসেবে চিহ্নিত করতে এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাম্পের মন্তব্য ভারত-পাকিস্তানকে আবারও ‘এক ঝুড়িতে’ ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।
এনএসপি বলছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বহু প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদ হারিয়েছে, যা মূলত রাষ্ট্রীয় দখলের মাধ্যমে হয়েছে। ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ায় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে হাজারের বেশি পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাকডোনাল্ডস, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো
৩ ঘণ্টা আগেশুল্ক এখন ভূরাজনীতির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। কুয়ালালামপুরে গতকাল বুধবার আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেইতিমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে তুরস্ক, জর্ডান ও লেবাননের দমকল বাহিনী। এ ছাড়া সাইপ্রাস থেকেও বিমান পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সিরিয়ার জরুরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী রায়েদ আল সালেহ।
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ সম্প্রতি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তিনি হোয়াইট হাউসকে না জানিয়েই নিয়েছেন বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে অন্তত পাঁচটি সূত্র। হেগসেথের এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের ভেতরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
৫ ঘণ্টা আগে